আমার_জান_তুমি পর্ব ৫

#আমার_জান_তুমি 2
#আইদা_ইসলাম_কনিকা
পর্বঃ০৫

আদিলঃকেনো ওর জন্য খারাপ লাগছে?

আইদাঃনাহহহহহ আমি সেটা বলতে চাইনি……(মথা নিচু করে)

আদিলও কিছু বললো নাহহ চুপচাপ খেয়ে অফিসে চলে যায় কিন্তু আইদাকে আজ আর সাথে করে নেয়না….আদিল গাড়ি চালাচ্ছে আর কাল রাতে কাব্য কে মারার কথা মনে করে বাঁকা হাসি দিচ্ছে……

কাল রাতে….
আইদা কে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে…… আদিল যায় কাব্য কে মারতে……..রায়হান কে দিয়ে কাব্য কে কিবনাব করে আদিলের ফামহাউসে নিয়ে যেতে বলে…….প্রায় ৩ঘন্টা জানোয়ারের মতো মেরেছে কাব্যকে আদিল….

কাব্যের এমন অবস্থা করেছে….. যে কোনো মেয়ের দিকে যেনো চোখতুলে না তাকাতে পারে…….তারপর নিজেই হসপিটালে ভর্তি করায়….. আর কায়েশ চৌধুরীকে কল করে…… আদিল কাব্যের সব কাহানি কায়েশকে বলে কায়েশ প্রথম দিকে রাগ করলেও পরে বুঝতে পারে কাব্য কি করেছে……কিন্তু কাব্যও দমে যাওয়ার পাত্র নয়……

এইসব ভাবতে ভাবতেই আদিল অফিসে পৌঁছে গেলো……. আর ঐদিকে আইদা একা একা বোর ফিল করছে……তাই সম্পূর্ণ বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে..এক একটা রুম ..দেখতে দেখতেই আইদা কেমন একটা রুমের সামনে চলে গেলো……রুমটা একটু আজব রকমের…… আইদা যেই না রুমে ঢুকতে যাবে তখনই একজন সার্ভেন্ট এসে বললো…..

সার্ভেন্টঃ ম্যম আপনার সাথে আপনার কাকা-কাকি এসেছে দেখা করেতে…….আইদাকে আর পায়কে এক দৌড় দিয়ে নিচে গিয়ে কাকা-কাকি কে জড়িয়ে ধরে…..

আইদাঃকেমন আছো তোমরা….. জানো কত মিস করেছি……

কাকিঃসব ঠিক আছে কিন্তু তোর হাতে কি হয়েছে আাইদা…… কিছু একটা ভেবে বললো পুরে গেছে….. আইদা আর তার কাকা কাকি সারাটা দিন গল্প আর খাওয়া দাওয়া করে কাটিয়ে দেয়….. বিকালে আইদার কাকা কাকিরা চলে যায়……আইদা রুমে যাওয়ার সময় ঐ রুমটার কথা মনে পরে আর কোতুহল বসতো ঐরুমটার কাছে যায় রুমটা যেই না খুলতে যাবে একটা হাত এসে আইদার হাত ধরে ফেলে আইদা দেখে আদিল তার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে….

আদিলঃএখানে কি করো আর কি চাই এখানে??(ধমক দিয়ে)
আইদাঃআমি ভিতরে যাবো…. আর দেখবো…
আদিলঃনাহহ এই রুমে যেতে পারবেনা…. (ধমক দিয়ে আইদাও কম ঘারত্যড়া নাহ…..ও তো যাবেই)
আইদাঃআমি তো যাবই……. তখনই আদিল একটা কষে চড় মেরে দেয় আইদাকে……
আদিলঃএই তুই এতো ঘাড়ত্যড়া কেনো……একবার বললে কথা শুনা যায় না…….সার্ভেন্টারও কিছু বলছেনা ভয়ে……আদিল আইদকে একটা ধাক্কা দিয়ে চলে যায়……আইদা তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায় আর ঐখানে বসে কাঁদতে থাকে….আদিল রুমে গিয়ে কোটা খুলে ছুড়ে মারে তখনই আদিলের ফোনটা বেজে ওঠে।।।

আদিলঃআপু আমি কি করবো……আজ আবার ওনাদের জন্য আইদাকে কষ্ট দিলাম….(হ্যা আদিলের আপুই কল দিয়েছে)

আপুঃদেখ আদিল তুই যা করেছিস ঠিক করিসনি যা গিয়ে এখনই আইদাকে সরি বল…..পরে আমি কল দিচ্ছি….(বলেই কলটা কেটে দিল)

প্রায় ২০ মিনিট হয়েগেছে আইদা রুমে আসে নাই…..আদিল৷ গেলো দেখতে আইদা কোথায় রুম থেকে বেরুতেই দেখে আইদা ঐ রুমটা সামনে মুখ গুজে কান্না করছে…… আদিল গিয়ে আইদার সামনে হাটু গেড়ে বসে…..আইদা আদিলের দিকে একপলক তাকায় গালে ৫ আঙ্গুলের ছাপ বসে গেছে আবার মুখ গুজে নেয়…..

আদিলঃরুমে চলো…..আইদা রুমে চলো….অনেক বলার পরও আইদা কিছু রেসপন্স করে নাহ….আদিল বুজতে পারে মেয়টা বেশ অভিমান করেছে…..তাই আর কিছু না ভেবে কোলে তুলে নিলো আইদাকে…. আইদা নামার জন্য ছোটফট করেছে…..আদিল দিল এক রাম ধমক আইদা আবারও কান্না করে দিল….আদিল আইদাকে রুমে এনে বিছানায় বসালো আর গালে হাত দিয় বলো…

আদিলঃ সরি জানপাখি….. অনেক ব্যথা লেগেছে নাহ

আইদাঃনাহহহ আরাম লাগছে…..কি এমন আছে ঐ ঘোরে….. যাবো না তোর ঐ ঘরে বেটা খবিশ… সবসময় বকে….. কথা বলবিনা তুই আমার সাথে….বলেই আইদা বিছানয় শুয়ে পরলো…… আদিলতো পুরো টাস্কি খেয়ে গেছে…. আইদার কথা শুনে…

.আদিলও কিছু বললো নাহ মুচকি হেসে চুপচাপ ফ্রেশ হতে চলে গেলো…..আদিল চলে যেতেই আইদা ওঠে বসে…অনেক খারাপ লাগছে….নিজের গালে হাত দিয়ে দেখলো গরম হয়ে আছে….তাই দেখতে গেলো আয়নায় গালে তো দাগ পরেছেই…সাথে চোখ গেলো গলায় ঘারে কালচে দাগ গুলোর দিকে…… আরো রেগে গেলো…..

আইদাঃহারামিতে করছে কি কেমন করে কামড়ে ধরে জোকের মতো…..রাক্ষস একটা…. (বকছে আর দাগ গুলোতে হাত বুলাচ্ছে) আর আদিল এতোখন আইদার কথা শুনে হাসছিল কিন্তু আদিল এটাও বুঝতে পারলো আইদা অনেক রেগে আছে….নয়তো যেই মেয়ে আদিলের ছায়াকে ভয় পায় সেকিনা তুই করে বলছে…
আদিলকে দেখে আইদা একটা ভেংচি কেটে আবার বিছানায় গিয়ে বসে…

আদিলঃ লক্ষ্মী সোনা চাঁদের কোনা রাগ করেনা…

আইদাঃ আলাদে একবারে আটখানা….

আদিলঃ না সোনা দশ খানা….. একটু হাসো…..

আইদা কিছু না বলে নিচে চলে গেলো আদিলও গেলো আইদা একটা চকলেট ফ্রিজ থেকে বের করে সোফায় বসে বসে খাচ্ছে আর টিভি দেখছে হল রুমে বসে…..

আদিলঃবউ আমার খুদা লাগছে…

আইদাঃযা গিয়ে খাবার খা…..আমার মাথা না….

আদিলঃ (আমি তো তোমাকে খাবো মনে মনে) আমিও চকলেট খাবো…….

আইদাঃযান খান……

আদিলঃসত্যি খাবো…. তুমি কিন্তু কিছু বলতে পারবনা….

আইদাঃভাবছে ওর হাতেরটা খাবে তাই আরেক বাইট মুখে পুরে হাতটা পিছনে নিল…. তখনই আদিল আইদার হাত চেপে ধরে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দেয় আইদার ঠোঁটে…….চকলেট শেষ করে আদিল বলে আমার চকলেট বেশি ইয়ামি ছিল……এখন চলো আমাকে খেতে দিবে….

চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here