আসমানী ও জ্বীন পর্ব -০৪

#আসমানী_ও_জ্বীন
#০৪
#ইসরাত_জাহান_এশা

চাঁদনী নিজেকে একটা ভয়ংকর জঙ্গলে আবিষ্কার করে। চারদিক তাকাতেই অধরার চিৎকার কার শুনতে পায়।
—– মা মা তোমার কি হয়েছে এমন করছ কেনো তোমার শরীরের এমন বৃদ্ধ ছাপ পড়েছে কেনো ওমা কথা বলো। মা এরা কারা কি চায় এরা।
—- কে তোর মা? কেউ তোর মা না অধরা আমার মেয়ে পিশাচ সন্তান হা হা হা এখন তোকে শয়তানের নামে বলি দিয়ে ওকে পুনরায় যবুতী করে ফিরিয়ে আনব ও হবে শক্তিশালী অনেক শক্তিশালী হা হা হা (চন্ডি)
—- প্লিজ তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও তোমাদের দেখলেও আমার কেমন যেন ভয় লাগে আমাকে মেরো না। ও মা তুমি না আমাকে অনেক ভালোবাসতে মা মা।

চাদঁনী মা মা বলে চিৎকার করতে থাকে কিন্তু ওর কোনো কথা শুনছে না পাচঁ তারার মত একটা বৃত্ত একে সেখানে চাঁদনী কে শুয়ে দেওয়া হয়। চাঁদনী আমাকে ছেড়ে দেও বলে চিল্লাতে থাকে আমার সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছে আমাকে ছেড়ে দাও। চাঁদনীর শরীরে যতই যন্ত্রনা বাড়ছে ততই অধরার যন্ত্রণা কমে আসছে এবার চন্ডি মন্ত্র পড়া একটা সুই চাঁদনীর নাভী বরাবর ঢুকিয়ে দেয় চাঁদনী আর কোনো কথা বলতে পারছে না শুধু গলা কাটা মুরগীর মত ছরছর করছে সেই পাঁচ তারা অংনের মধ্যে চাঁদনীর শরীর থেকে রক্ত বেড়িয়ে অধরার শরীরে প্রবেশ করছে।
চাঁদনীর শরীর চামড়া গুলো বৃদ্ধ মানুষের মত থেতলে আসছে আস্তে আস্তে কংকালে পরিনত হয় আর অধরা ১৮ বছরের যুবতী হয়ে উঠে সবচেয়ে সুন্দরী একজন রমনী। ,,,,,
<>

আসমানী গায়ে চাঁদের আলো পড়তেই আসমানীর পুরো শরীর থেকে আলোর রশ্মি বের হতে থাকে। কতক্ষণ পর আসমানী উঠে বসে জিজ্ঞেস করে আপনারা কারা?
— আমি নুহা জ্বীন আর উনি করীম চাচা।
—- তা এখানে কেনো এসেছেন?
— তোমাকে নিয়ে যেতে তুমি সেই অসাধারণ বালিকা তোমার বাবা মা দাদা আর ছোট ভাইকে পিশাচেরা বন্দী করে রেখেছে। তাদের মুক্তি আর পিশাচের জাদু শক্তি একমাত্র তুমি ধংস করতে পারবে।
— কিন্তু
— কোনো কিন্তু না হ্যা আসমা তুই সেই মেয়ে চলে যা তোর পরিবারকে উদ্ধার করতে। (আসমার দাদী)

আসমা নুহা আর করিম চাচার সাথে চলে যায় ওস্তাদের কাছে।

— মা আসমানী তুমি এসেছো?
— হ্যা।
— এতদিন তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। শোনো তোমার তো অনেক কাজ মা। তোমাকে আজই যেতে হবে তোমার ভাইয়ের খোঁজে।
—- কিন্তু ওস্তাদজী আমার ভাই কোথায় আছে?
—- তোমার ভাই মায়াজাদুর একটা গ্রামে আছে সেখানে একটা জঙ্গলে বট গাছের মধ্যে কালোজাদুর মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে।
— কিন্তু আমি কিভাবে যাবো সেখানে?
— নুহা তোমাকে নিয়ে যাবে। আর তুমি এই কালো কাপুরটা রাখো এতে কোনো মানব পুত্র বা জ্বিন তোমার উপর কুনজর দিতে পারবে না। তবে পানিতে তোমার সুন্দর্য প্রকাশ পাবে সাবধান।
আর তোমার ভাইয়ের কাছে একটা বই আছে ঐখানে তোমার ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে সেটা তুমি অধ্যায়ন করলে তুমি সকল বিষয় জানতে পারবে।

আর তোমার ভাইকে নিয়েই তুমি তোমার বাবা মা কে খুজতে যাবে।

–তাহলে আমরা যাই ওস্তাদ (নুহা)

<>
—মা আমার চেহারা তো পরিবর্তন হয়ে গেলো। এত সুন্দর আমি ভাবতেই পারছি না। মা আমি একটি যাদুর আয়না চাই যে আমাকে বলে দিবে আমার থেকে আর কেউ সুন্দরী আছে কিনা। সকল জায়গার খবর দেখতে পারব। (অধরা)
—- এই নাও যাদু আয়না এই আয়নায় তুমি সবচেয়ে সুন্দরী কে দেখতে পাবে। যেকোনো জায়গার খবর পাবে।
—– এই আয়না বলতো আমি কে?
—- হা হা হা তুমি আমাকে আয়না ডাকছ কেনো আমি তো উষা।
— চুপ! বাজে কথা বন্ধ করো।
— জ্বী পিশাচ রানী অধরা।
— বল আমার মত কেউ কি সুন্দরী আছে?
—এখনো কাউকে দেখতে পাইনি হা হা হা
হাসতে হাসতে উষা আয়না থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো।

চন্ডি ওর সঙ্গিদের আদেশ করে ঐ তোরা চাঁদনীর কংকালটা এদিকে নিয়ে আয়।
—- মা এই কংকাল দিয়ে কি হবে?
—- এই মেয়ে থেকে তুমি যেমন তোমার জীবন নতুন ভাবে ফিরে পেয়েছ ওর কংকালেই রয়েছে তোমার প্রান ভোমরা এই কংকাল খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখতে হবে। যদি তোমার শত্রু জানতে পারে তাহলে তুমি শেষ।

অধরা ভয় পেয়ে যায় কি বলছ মা তাহলে এটাকে খুব দ্রুত কোথাও লুকিয়ে ফেলো। চন্ডী যাদুর মাধ্যমে কংকল গুলো ছোটো করে অধরার বাম চোখে ঠুকিয়ে দেয়।
তোমার বাম চোখে রয়েছে তোমার প্রান ভোমরা।

সামনে অমাবস্যার রাত মাত্র ৩ দিন বাকি আমাদের সকল শক্তি ফিরে পাবো সেই জন্য শুরু হোক আনন্দ ফুর্তি। গান বাজনা হা হা হা চলো শুরু করি মহাযোগ্য।
পিশাচীনিদের আস্তানায় শুরু হয় আনন্দ ফুর্তি শয়তানের নামে বলি দেওয়া হয় না রকম পশু পাখি।

নিশিকাল সবার মাঝখানে গিয়ে বলে উঠে থামো তোমরা। সবাই আনন্দ ফুর্তি করছ কিন্তু আমি ১৬ বছরের রমনী কোথায় পাবো কই থেকে নিয়ে আসব আমি কি শক্তি পাবো না?
— হ্যা তুই পাবি তোর শক্তি তার আগে তোকে খুজে বেড় করতে হবে ১৬ বছরের যুবতী কে আর যে অমাবস্যার রাতে তুই ঐ যুবতীর সাথে রাত্রী যাপন করতে পারবি সেদিন তোর শক্তি ফিরে পাবি। তুই বের হয়ে যা সেই রমনীর খোঁজে। ( চন্ডী)
— কিন্তু কোথায় খুঁজব তাকে?
— শিমুলতলী নামে একটা গ্রাম আছে ঐ গ্রামে যেতে পারলে তুই পেয়ে যাবি।

নিশিকাল দেড়ি না করে সেই গ্রামের খোঁজে বের হয়।

<>

— আচ্ছা নুহা জ্বীন সেই জায়গার নাম কি?
— সেই জায়গা হলো ছোট্ট একটা গ্রাম যেখানের মানুষ মায়াজালে আটকা তবে পিশাচীনিদের না বদজ্বীনের মায়ায় আটকা তোমাকে তাদের উদ্ধার করতে হবে তারপর তারা তোমার ভাইয়ের খোঁজ দিবে।
— সেই গ্রামের নাম কি?
—-শিমুলতলী।
— ওহহহ আচ্ছা।

হটাৎ করেই আসমানী চিৎকার করে উঠে নুহা ঐটা কি দেখো দেখো,,,,,

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here