“ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤ পর্ব_৭

#ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤
#লেখিকা_আয়েশা (কোয়েল)
#পর্ব_৭
.
🌸
.
ইশারা প্রকাশের থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলেই প্রকাশ এক টান মেরে ইশারা কে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় আর কোলে তুলে নেয়,,,পুরো কলেজ অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কারণ টা হলো প্রকাশ,,যে প্রকাশ কোনো মেয়ের দিকে ঘুরে তাকায় না সেই প্রকাশ সবার সামনে একটা বোবা মেয়ে কে কোলে তুলেছে,,,ইশারা অবাক হয়ে রয়েছে ছোটাছুটির চেষ্টা করলে প্রকাশ আরো শক্ত করে ইশারা কে ধরে আর তীক্ষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,,,তাতে ইশারা শান্ত হয়ে যায় আর চুপ করে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে আর প্রকাশ ইশারা কে কোলে করে নিয়ে বেরিয়ে কলেজ থেকে,,

প্রকাশ ইশারা কে কোলে করে নিয়ে এসে গাড়িতে বসায় আর জোর করে সিট বেল্ট লাগিয়ে দেয় আর নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়,,,প্রকাশ ফুল স্প্রীডে গাড়ি ড্রাইভ করছে যা দেখে ইশারার ভীষণ ভয় হচ্ছে প্রকাশ কে আবার ও গতরাতের মতো ভয়ানক লাগছে,,,ইশারা ভাবছে প্রকাশ না ঐ ছেলেটার মতো ওকে ও মেরে ফেলে [কি আজব 😑] এসব আবোল তাবোল ভাবতেই প্রকাশ জোরে গাড়ি ব্রেক করলো আর ইশারা সামান্য ঝুঁকে পরলো সামনের দিকে,,,

প্রকাশ গাড়ি থেকে নেমে ইশারার দিকে গিয়ে ওর সিট বেল্ট খুলে টেনে ওকে গাড়ি থেকে নামালো আর গাড়ির দরজা টা বিকট শব্দ করে বন্ধ করে দিলো সেখানে ইশারা আরেক দফা কেঁপে উঠলো,,,প্রকাশ ইশারার থেকে পিছন ফিরে বাম হাত কোমরে দিয়ে আর ডান হাতের দু-আঙুল কপালে স্লাইড করতে লাগলো এদিকে ইশারা দেখলো একটা নির্জন স্থানে ওরা রয়েছে এতে ইশারার ভয় সপ্তম আকাশে পৌঁছে গেলো,,ইশারা এক পা দু-পা করে পিছোতে লাগলো,,,ঘুরে হাঁটতে লাগলেই প্রকাশ পিছন থেকে ইশারার হাত ধরে হেঁচকা টান মেরে নিজের কাছে এনে ইশারার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো,,,

ইশারার দু-হাত নিজের বাম হাতে চেপে ধরে রেখেছে প্রকাশ আর ডান হাত দিয়ে ইশারার মাথা ধরে রেখেছে যাতে ইশারা মুভ না করতে পারে,,প্রকাশ ডিপলি কিস করছে ইশারা কে আস্তে আস্তে ইশারার ঠোঁট শুষে নিতে থাকলো প্রকাশ প্রায় অনেকক্ষণ ওভাবে থাকার পর ইশারা কে ছেড়ে দেয় প্রকাশ,,,আর দেখে ইশারা চোখ বুজে রয়েছে আর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে সেই দেখে প্রকাশ ইশার দু-গালে হাত দিয়ে কপালে কপাল ঠেঁকিয়ে বলতে লাগলো,,

প্রকাশ: কাল রাতে যদি আমি না যেতাম তাহলে কি হতো একবার ও ভাবতে পারছো?? যদি ঠিক সময়ে না গিয়ে ঐ ছেলে গুলো কে না মারতাম তাহলে আজ তোমার কতো বড়ো ক্ষতি হয়ে যেতো তুমি জানো না?? জানার পরেও কেনো ওভাবে ওখান থেকে চলে গেলে?? শুধু হিংস্র রুপটাই দেখ্লে আমার,,তোমার প্রতি ভালোবাসা টা দেখলে না??

ভালোবাসার কথা বলতেই ইশারা চোখ খুললো আর ধাক্কা দিয়ে প্রকাশ কে দুরে সরিয়ে দিলো,,প্রকাশ কিছুটা পিছিয়ে গেলো এমন হঠাৎ ধাক্কা দেওয়ায় প্রকাশ ইশারার দিকে মাথা তুলে তাকাতেই ইশারা বললো,,

ইশারা: এসব আপনি কি বলছেন?? আপনি আমাকে ভালোবাসেন?? একটা বোবা মেয়ে কে ভালবাসেন?? [ইশারায়]

প্রকাশ: হ্যাঁ ইশারা আমি তোমাকে ভালোবাসি,,ভীষণ ভালোবাসি বাঁচতে চাই তোমাকে আকড়ে ধরে,,নিজের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোমাকে আমার পাশে চাই,,সাথে চাই আই রিয়েলি রিয়েলি লাভ ইউ ইশারা,,

ইশারা প্রকাশের এমন কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,,ইশারা কে এভাবে চুপ করে যেতে দেখে প্রকাশ ইশারার কাছে গিয়ে বললো

প্রকাশ: ইশারা তুমি চাইলেই আমরা আমাদের জীবন টা নতুন ভাবে শুরু করতে পারি,,,সাজিয়ে নিতে পারি,,শুধু তুমি চা…

ইশারা: আমি বাড়ি যাবো [ইশারায়]

প্রকাশ কিছু বললো না ইশারা কে একবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আর তারপর ইশারা কে নিয়ে ইশারার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো,,সারা রাস্তায় ইশারা চুপ করে নীচের দিকে তাকিয়ে ছিলো একবার ও এদিক ওদিক তাকায়নি,,বাড়ির সামনে আসতেই চুপচাপ নেমে গেলো আর হেঁটে এগিয়ে গেলো বাড়ির দিকে একবার ও পিছন ফিরে তাকালো না,,তাকালে হয়তো প্রকাশের কৌতূহলী আর অসহায় চাহুনী দেখতে পেতো,,প্রকাশ ভেবেছিল ইশারা ওর দিকে তাকাবে কিন্তু নাহ ইশারা প্রকাশ কে ভুল প্রমান করে এগিয়ে গেলো আর ঢুকে গেলো বাড়িতে,,,

বাড়িতে ঢুকতেই ইশারা দেখলো ওর মামি আর নেহা সোফায় বসে টিভি দেখছে ইশারা কে দেখতে পেয়েই ইশারার মামি আর নেহা ইশারা কে জিজ্ঞেস করলো

মামি: কি রে মহারানি কলেজ করা হলো?? তা কি হবে এতো পড়াশোনা করে শেষে তো চাকরানি হয়েই থাকতে হবে

নেহা: বাহ বেশ ভালো বললে তো মা,,কিন্তু চাকরানি যখন হবে তাহলে তুমি ওকে মহারানি বলো কেনো?? চাকরানি তো বলতে পারো,,এমনিতেই তো ঝি গিরি করে আমাদের,,

মামি: আহা আমাদের চাকরানি কেনো হতে যাবে?? যে ঘরে বিয়ে দিচ্ছি সেই ঘরের চাকরানি হবে,,ওর নামে এই বাড়ি ও তো এই বাড়ির মহারানি তাই না??

নেহা: ওহ তাই বলো,,হমম নাম মহারানির আর কাম চাকরানির,,,কিন্তু ওকে বিয়ে করছে কে??

মামি: ঐ তো একটা মাঝ-বয়সি লোক অনেক বড়লোক একবার বিয়ে হয়েছিল বউ নেই,,আর একটা মেয়েও আছে ইশারা বিয়ে করলে নাকি অনেক টাকা ও দেবে আমাদের আর ওর ভাইয়ের যে অপারেশন টা হওয়ার কথা হার্টে ফুটো আছে বলে ওটার সব খরচ ও উনি দেবেন,,,বাঁচবো আপদ টা বিদায় হলে

নেহা: যা বলেছো এসব বোবা কালা নিয়ে থাকা যায় নাকি?

মামি: কালা কেনো বলছিস কানে তো সব শোনে

নেহা: ধুর দেখো কয়েকদিন পর সেটাও পারবে না হা হা হা হা

এসব কথা বলে মামি আর নেহা হাসতে লাগলো আর ইশারা চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেলো,,ইশারা ঘরে গিয়ে বসতেই ইশান দৌঁড়ে ইশারার কাছে এলো আর কাঁদতে কাঁদতে বললো

ইশান: দিদিয়া তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি?? মা-বাবার মতো??

ইশারা কিছু না বলে ইশান কে জড়িয়ে ধরলো আর কাঁদতে লাগলো,,,আজ বাবা মা নেই বলে কতো অত্যাচারিত হতে হচ্ছে ওদের দুজন কে,,,ইশারা জানতো ওর মামি একটা বয়স্ক লোকের সাথে ওর বিয়ে ঠিক করছে তাই তো প্রকাশ কে কোনো জবাব না দিয়েই চলে এলো,,,ইশারা এ কয়দিন প্রকাশের সাথে ভালো ব্যবহার করবে বলে ঠিক করেছে ভালো ব্যবহার করলে প্রকাশ কোনো সন্দেহ করবে না আর বিয়ে টাও ভালো ভাবে মিটে যাবে,,,ইশারা চায় না প্রকাশের জীবনের সাথে নিজেকে জড়াতে ওর মতো অক্ষম মেয়েকে বিয়ে করে কোনো ছেলে সুখি হতে পারবে না,,বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মধ্যে প্রেমালাপ করে সুখ দুঃখের কথা বলো,,,স্বামী স্ত্রী কেনো একজন প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে ও এমনটা ঘটে সেখানে ইশারা তো কথাই বলতে পারে না প্রেমালাপ কি করবে আর সুখ দুঃখের কথাই বা কি বলবে,,আর যাই হোক একটা বোবা মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করা যায় না এমনি কোনো ছেলেই তো চাইবে না সেখানে প্রকাশ তো বড়োলোকের ছেলে দেখতেও সুন্দর,,,

এমন সময় ইশারার মামি ইশারার ঘরে ঢুকল আর কোনো কিছু না বলেই ইশারার আলমারি খুলতে লাগলো,,,ইশারার আলমারি খুলে গয়নার বাক্স বাড় করে সেটা খুলতেই মামি অবাক হয়ে গেলো কারণ তার মধ্যে রয়েছে অনেক ভারী ভারী সোনা,,ইশারা উঠে গিয়ে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নিলো বাক্স টা আর বললো

ইশারা: এটা আমার মায়ের জিনিস,,একদম ধরবে না আমি কাওকে দেবো না এটা,,[ইশারায়]

মামি: আ মুলো জা,,,কি করবি তুই এসব সোনার গয়না নিয়ে?? ঝি চাকরানি দের এসবে মানায় না বুঝলি,,আমার কাছে যে এমিটেশন গয়না আছে সেগুলো পড়ে বিয়েতে বসবি,,,এখন দে এগুলো

ইশারা: না বললাম তো! আমি দেবো না এটা,,

মামি ইশারার গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলো আর চুলের মুটি ধরে বললো

মামি: দিবি না মানে তোর ঘাড় দেবে,,,এই গয়না না দিলে তোর ভাইয়ের চিকিৎসা করাব না,,ডিরেক্ট উপরে পাঠিয়ে দেবো বুঝলি??

গয়নার বাক্স টা নিয়ে ইশারা কে বিছানার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে চলে গেলো,,এদিকে ইশান ও তো ছোটো কি বা বলবে সে এতো ছোট বয়সে মাত্র ১২ বছর বয়সেই ছেলেটার হার্টে ফুটো ধরা পরেছে তাই মাঝে মাঝেই অজ্ঞান হয়ে যায়,,ঠিক করে খেতেও পায় না তাই দুর্বল ইশারা নিজে না খেয়ে ইশান কে খাওয়ায় নিজের খাবার যখন ইশানের দুর্বল লাগে,,,কিন্তু যেদিন খাবার দেয়না ইশারা কে সেদিন আর কি করবে ইশারা,,,নিজে না খেলেও তো চলে না তাই চায়ের দোকানের কাকার থেকে পাউরুটি এনে নিজে একটু খায় আর ভাই কে ও দেয়,,পরে টাকা শোধ করে দেয় লোকের বাড়ি কাজ করে জমানো টাকা দিয়ে,,,যা মাইনে পায় লোকের বাড়ি কাজ করে সেটাও মামি নিয়ে নেয় তাই রাগ করে ইশারা কাজ ছেড়ে দেয় আর মামি কে বলে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছে আর কাজ খোঁজার নাম করে মাঝে মাঝে কলেজ যায় আর সেখানে একটা বাড়ি খুঁজে নেয় কাজের সেই টাকাটা দিয়েই চালায় মামির অজান্তে,,

ইশান চুপ করে চলে গেলো ঘর থেকে আর বাইরে বেরিয়ে গেল বাড়ির,,,মন খারাপ হলে ইশান এটাই করে কিন্তু বাইরে বেরিয়ে কিছুটা এগোতেই দেখলো,,আগের দিন যেই দাদা টা ওর দিদি কে বাঁচিয়ে ছিলো আর ওদের খাবার খাওয়িছিলো সেই দাদা টা গাড়ির উপর বসে রয়েছে আর এক দিকে তাকিয়ে রয়েছে,,,ইশান সেইদিকে তাকালো যেখানে ছেলেটা তাকিয়ে রয়েছে আর দেখলো এটা ইশারার বারান্দা (ব্যালকনি)

প্রকাশ বাড়ি না গিয়ে ইশারার ঘরের বাইরে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেখানে বসে রয়েছে আর ইশারার ব্যালকনির দিকে চেয়ে রয়েছে,,,প্রকাশ কে ওভাবে দেখে ইশান প্রকাশের কাছে গেলো আর বললো

ইশান: তুমি ওভাবে আমার দিদিয়ার ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেনো??

ইশানের গলার আওয়াজ পেয়ে প্রকাশ লাফ দিয়ে নামলো আর ইশানের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে বললো

প্রকাশ: তোমার দিদিয়া কে দেখতে যে আমার মন টা ছটফট করছে,,,তাই তো চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছি,,,তোমার দিদিয়া কে দেখলেই এই মনে শান্তি আসবে তৃপ্তি পাবে,,,

ইশান: তাহলে তো বাড়িতেই যেতে পারো এখানে বসে আছো কেনো চাতক পাখির মতো?? [চেটে দিলো রেহ 😂]

প্রকাশ ইশানের কথায় ফিক করে হেসে দিলো আর ইশান কে কোলে নিয়ে গাড়ির উপরে বসালো আর বললো,,

প্রকাশ: আচ্ছা ইশান তুমি এতো রাতে এখানে বাড়ির বাইরে কি করছো??

ইশান: এমনি ভালো লাগছিল না,,,আচ্ছা তুমি আমার নাম জানলে কি করে?? আমি তো তোমার নাম জানি না

প্রকাশ: ও আমি সব জানি,,আমার নাম প্রকাশ

ইশান: প্রকাশ!!??

প্রকাশ: হমম

ইশান: ইশারা আর প্রকাশ,,ইশারা দিয়েই তো মনের কথা প্রকাশ করা হয়,,,আর ভালোবাসা ও,,হিহিহি তোমার সাথে আমার দিদিয়ার নামের কি সুন্দর মিল,,যদিও তোমার নাম টা অড তবুও এক সাথে বেশ সুন্দর লাগছে ইশারা ❤ প্রকাশ

প্রকাশ: তুমি তো ভীষণ পাকা?? আচ্ছা যাও ঘরে যাও আর তোমার দিদিয়া কে ব্যালকনি তে পাঠাও

ইশান: আমি পারবো না হুহ 😒 আমাকে পাকা কেনো বললে 😑

প্রকাশ: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি কাঁচা পাকা না,,,আর এ নাও (একটা চকলেট দিয়ে)

ইশান: এটা আমার??

প্রকাশ: হমম তোমার দিদিয়া কে দিয়ে দেবো ভেবেছিলাম তোমার জন্য বাট ভুলে গেছিলাম

ইশান: হিহিহি থ্যাংক ইউ প্রকাশ ভাইয়া,,,আমি এখুনি দিদিয়া কে ব্যালকনি তে আসতে বলছি,,

এই বলে ইশান দৌঁড় দিলো গাড়ি থেকে নেমে আর প্রকাশ হাসলো

প্রকাশ: ঠিক বলেছো তুমি ইশান,,,আমাদের সম্পর্কে #ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ পাবে

এই বলে আবার তাকালো ব্যালকনির দিকে,,,ইশান প্রকাশের কথা বলতে ইশারা ব্যালকনি তে চলে গেলো কারণ প্রকাশ কে কিছু বুঝতে দেওয়া যাবে না,,,ইশারা ব্যালকনি তে দিয়ে প্রকাশ কে দেখতে পেলো আর একটা শুকনো হাসি দিলো প্রকাশ ইশারা কে দেখে,,,ইশারা সেই দেখে চোখ নামিয়ে ঘরে চলে এলো আর প্রকাশ বেরিয়ে গেলো,,অন্তত নিজের প্রাণপাখির দেখা তো পেলো,,,

এই ভাবেই চলতে লাগলো দিন প্রকাশ কিছু জানে না ইশারার বিয়ের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত,,,এমনি একদিন প্রকাশ ইশারা কে কলেজে পেলো না ভাবলো হয়তো শরীর খারাপ তাই নিজের কাজে চলে গেলো আর ঠিক সেই সময় ইশান বেরিয়ে ছিলো প্রকাশ কে খবর দিতে যে আজ ইশারার বিয়ে,,,না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায় ইশান আর বিকেলে আবার বের হয় আর পেয়ে ও যায় প্রকাশ কে আর তারপর সব টা বলে প্রকাশ কে,,,সেই শুনে প্রকাশ ইশান কে বাড়ি যেতে বলে আর চিন্তা করতে না করে,,,

এরপরের ঘটনা তো আপনারা জানেনই [প্রথম পর্ব]

বর্তমান……………………..
.

.
[ফিরে আসবো আগামী পর্বে 🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here