এই রাত তোমার আমার পর্ব ৭

#এই_রাত_তোমার_আমার
#সানজিদা_ইসলাম
#৭ম_পর্ব

দুই মাস আগে,
রাতে খাওয়া দাওয়া করে আজমীন শুয়ে পরেছে অনেক আগেই।ফিমার চোখে ঘুম নেই সে‌ বসে বসে নাটক দেখছে এ কয়েকদিনে আজমীনের সাথে থেকে থেকে এই অভ্যাস রপ্ত করেছে সে। প্রথম প্রথম একটু বিরক্ত লাগলেও এখন এগুলো বেশ উপভোগ করে সে। সারাদিন অপেক্ষায় থাকে নতুন পর্বের। যদিও আজকের পর্বগুলো সে দেখে ফেলেছে কিন্তু মাহিয়াত এখনো ঘরে ফিরেনি তাই ঘুম আসছে না।

আজকাল তার খুব বাজে বাজে অভ্যাস হচ্ছে।যেমন মাহিয়াত ঘরে না আসলে তার ঘুম হয় না।বেশি রাত করে ঘরে ফিরলে তার চিন্তা হয় তাকে অখুশি দেখলে খুব জানতে ইচ্ছে করে তার মন খারাপের কারণ, তার ছোট ছোট কাজ গুলো করে দিতে আনন্দ পায় এ সবকিছু তার জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরও মন মানতে চায় না।মাহিয়াতের প্রতি অদ্ভুত এক টান অনুভব করে সে যদিও মাহিয়াতের দিকে টানার মতো বা তাকে মুগ্ধ করার জন্য কোনো কাজ করে না সে, না একটু হেসে কথা বলে না তার দিকে ভালো করে তাকায় তবুও সে বারবার মুগ্ধ হয় কারণ তার অজানা। একবার মন একটু তার ছোঁয়া পেতে চায় আবার শাসায় এই বলে যে সে অন্য কারো আবার আরেক মন বলে তারও তো হক আছে তারও স্বামী তাহলে সে কেনো বঞ্চিত থাকবে পরক্ষনেই মনে পরে তাকে শুধু প্রয়োজনে বিয়ে করেছে প্রয়োজন ফুরালে এই বাড়িতে তার মেয়াদ শেষ।কথা গুলো মনে পড়তেই আবার এক ধরনের বিষন্নতায় তাকে ঘিরে ধরে।

রাত এগারোটায় বাড়ি ফিরে মাহিয়াত কলিং বেলের আওয়াজ শুনতে দেরি ফিমার দরজার দিকে দৌড় দিতে দেরি নেই সে জানে এত রাতে কে আসতে পারে। তবুও অনান্য দিনের চেয়ে আজ মনেহয় একটু তারাতাড়ি বাড়ি ফিরেছে সে।দরজা খুলতেই মাহিয়াতের বিরক্তি আর রাগ মিশ্রিত চেহারা দেখে কিছুটা দমে খেলো সে। ঠোঁটের কোণে ছোট হাসিটা মিলিয়ে গেলো।ফিমা জানে তাকে দেখলে মাহিয়াত বিরক্ত ছড়া কিছুই হয়না তবুও বারবার একেক বাহানায় তাকে ঘুরে ঘুরে দেখতে ভালো লাগে তার।

হঠাৎ জেন তার মধ্যে কৈশোরের প্রেম জেগে উঠেছে।আর হবেনা কেনো? কৈশোরে পা রাখার সাথে সাথে তার বাবা মা তাকে বিয়ে নামক বেড়ীতে বেঁধে দিলো।যখন প্রেম ভালোবাসা ভালোভাবে বুঝতো না তখনই তার জীবনে আসে ইয়াসির তার মিষ্টি কথা মন ভুলানো হাঁসি এসবের কারণে সে প্রথম প্রেমে পড়ে তার স্বামীর কিন্তু তা শুধু রাতের আঁধার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিলো। তবুও সে এগুলোকে ইয়াসিরের ভালোবাসা মনে করে আকাড়ে ধরেছিল কিন্তু তার দেখানো ভালোবাসাও বেশি দিন টেকেনি বছর ঘুরতেই ফিমা তার আসল রুপ দেখে ফেলেছিলো। শুধু সমাজের ভয়ে সহ্য করে গেছে। কিন্তু একসময় তাও পারলো না সব কিছু উপেক্ষা করে তাকে ছেড়ে দিয়ে যেই আবার একটু নিজের মত করে বাঁচতে চাইছিলো ওমনি আবার বিয়ে…

তবে মাহিয়াত আলাদা তার সব ব্যাপারই আলাদা। তার চেহারা তার চরিত্র তার কথা বলার ধরণ সব আলাদা। প্রথমত মাহিয়াত অতিরিক্ত সুদর্শন পুরুষ একবার তাকালে তার দিক থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়ে যায়।যে কেউ তার হাসিতেই কাত হয়ে যাবে যদিও তার হাঁসি সরাসরি ফিমা দেখেনি আড় চোখে দেখেছে ফোনে কি যেন বলছিলো আর হাসছিলো সম্ভবত তার স্ত্রীর সাথে কথা বলছিলো।তার পর আসে ব্যক্তিত্ব সে খুবি ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লোক তার কথা বার্তা আর আচরণে মেনলি একটা ভাব আছে ফিমা মনে করে ঠাট্টা মশকরা করার জন্য সে তৈরিই হয়নি।আর সব থেকে বেশি টানে তার চরিত্রের কারণে। তাদের বিয়ের প্রায় তিন মাস হয়েছে। ফিমার মনে হয় না সে তাকে এখন পর্যন্ত গভীর ভাবে দেখেছে,রাতে তারা এক বিছানায় ঘুমায় তবু ইচ্ছে করে তো দূরের কথা ঘুমের ঘোরেও সে ফিমার শরীরে টাচ করে নি, কিন্তু সে চাইলেই তার সাথে যা খুশি করতে পারে তার অধিকারও আছে, কিন্তু সে তার দিকে অন্য দৃষ্টিতে তাকায় না পর্যন্ত।

কেনো এত নিয়ন্ত্রনে রাখে সে নিজেকে তার স্ত্রীকে ভালোবেসে বলে,ফিমার মাঝে মাঝে খুব আফসোস হয় কেনো মাহিয়াতের সাথে তার আগে দেখা হলো না কেনো ইয়াসিরের আগে সে আসলো না জীবনে।তাহলে জীবনে সত্যিকারে একজন ভালোবাসার মানুষ পেতো।

ফিমার ভিতর থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসলো,এর মধ্যেই মাহিয়াতের ডাক পরলো বেস জোরেই ডাকছে তাকে সে তরিঘরি করে ঘরে গেলো,

—ফিমা…ফিমা…

বিয়ের এতদিন পর মনে হয় এই প্রথম মাহিয়াত তার নাম ধরে ডাকছে কিন্তু এতে তার খুশি হওয়ার বদলে ভয় হচ্ছে কারণ মাহিয়াতের গলার স্বর শুনে বোঝা যাচ্ছে সে খুব রেগে আছে তাই তারাতাড়ি করে তার সামনে গেলো,

—জী,

—গতকাল আমি যেই স্যুট পরেছিল সেটা কোথায়?

—ঐটা তো মাকে দিয়ে দিয়েছি ওয়াশ করার জন্য।

—ওয়াশ করার জন্য মানে?স্যুটের পকেট একটা প্যাকেট ছিল সেটাতে আমার ইমপোটেন্ট একটা কাগজ ছিল সেটা কোথায়?

ফিমার টনক নড়লো প্রতিবারই তার কাপড় ওয়াশ করার আগে সে পকেট গুলো ভালো ভাবে চেক করে তারপর ওয়াশ করতে তার মায়ের কাছে দেয় কিন্তু গতকাল সে চেক করতে ভুলে গেছে আর এখনি এমনটা হতে হলো।

—কি হলো কথা বলছেন না কেন কাগজটা আমার এখন দরকার একটু চেক করতে হবে। তারাতাড়ি দিন, আর হ্যা দয়া করে আমার জিনিস পত্রে আর হাত দিবেন না। আমার জিনিসে বাইরের কেউ হাত দিক আমি এগুলো পছন্দ করিনা।

ফিমা দেড়ি না করে তারাতাড়ি করে স্যুটের পকেট চেক করতে থাকলো একে একে সবগুলো চেক করলো আলমারিতে ড্রয়েরে কোথাও বাদ রাখলো না কিন্তু কাগজ খুঁজে পেলো না সে এদিকে মাহিয়াতের রাগের পরিমাণ ধিরে ধিরে বেড়েই চলেছে সে এগিয়ে গিয়ে ফিমার হাত মুচড়ে ধরে জোরে জোরে জিজ্ঞেস করল,

—কি হলো পাচ্ছেননা তাইতো?ফিমা ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠলো তারপর ছলছল চোখে মাহিয়াতের দিকে তাকালো,কথা বলুন পাচ্ছেন না তাইতো?

ফিমা ডানে বায়ে মাথা নাড়লো।যা মাহিয়াতের রাগ আরো বাড়িয়ে দিলো সে ফিমার হাত আর একটু চেপে ধরে তাকে সামনে এনে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,

—আমার জিনিস আপনাকে ধরার সাহস কে দিয়েছে? আপনি জানেন কাগজটা আমার জন্য কত ইম্পর্ট্যান্ট ছিলো।এখন আমি আমার বসকে কিভাবে জবাবদিহি করবো? আপনি জানেন আমার কত বড় ক্ষতি করেছেন? এত দিন কিছু বলিনি বলে কি মনে করছেন যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন এটাকে নিজের সংসার ভেবে অধিকার ফলাতে আসবেন না। নিজের স্থান ভুলে যাবেন না।এখানে শুধু আমাদের প্রয়োজনে আপনাকে আনা হয়েছে আর তার বিনিময়ে টাকাও দেয়া হচ্ছে তাই যতটুকু করতে বলা হয়েছে ততটুকুই করুণ বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন নেই।আর যদি আপনার এই ধারণা থেকে থাকে আমার সামনে পিছনে সেজে গুজে ঘুরলে, আমার পছন্দের খাবার রান্না করলে, আমার জন্য অপেক্ষা করলে,
আমার জিনিস পত্রে গুছিয়ে রাখলে আমি আপনাকে ভালোবাসবো বা সারাজীবন কাছে রাখবো নুহাকে ছেড়ে দেবো তাহলে সেই স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিন নিজের অবস্থান ভালো ভাবে দেখে নিন নাকি চুক্তির কাগজটা সামনে দিবো?

মাহিয়াতের কথা গুলো ফিমার বুকে তীরের মত বিধছে। সত্যিই তো বলছে মাহিয়াত সে কিভাবে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে গেলো বামন হয়ে চাঁদ নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলো?সে কিভাবে ভুলে যেতে পারলো তাকে তারা কিনে নিয়েছে সে তাদের হুকুমের গোলাম মাত্র।আজ এতদিনে মাহিয়াত তাকে চোখে আঙুল দিয়ে তার স্থান দেখিয়ে দিয়েছে।

ফিমার সাথে রাগারাগী করার এক পর্যায়ে দরজায় কারো কড়া নাড়ার শব্দ হলো রাগের মাথায় সে ফিমার সাথে খুব জোরে জোরে কথা বলছিলো যা তার স্বভাবের বিপরীত কিন্তু কি করবে এক তো নুহার অদ্ভুত ব্যবহার তার সহ্য হচ্ছে না তার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে আর কত সহ্য করবে সে। আর অন্য দিকে এত ইম্পর্টেন্ট একটা কাগজ সে গায়েব করে দিয়েছে যার জের তাকে টানতে হবে আর তার মনে হচ্ছে এ সব কিছুর জন্য ফিমা দায়ী তাই তার উপর সব রাগ ঝেড়ে দিয়েছে।

সে এক ঝটকায় ফিমার হাত ছেড়ে দিয়ে দুটো বড় নিঃশ্বাস নিয়ে রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করলো তারপর দরজা খুলে দেখলো তার মা দাঁড়িয়ে আছে।মাহিয়াত জিজ্ঞেস করল,

—কিছু বলবে মা?এত রাতে আমার ঘরে যে কিছু দরকার?

—হ্যা তোর ঘরেই আসছিলাম একটা কাগজ দিতে কালকেই তোর জমার পকেট থেকে পেয়েছি ভাবছিলাম কাল দিবো তুই হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিস এখন পানি খাওয়ার জন্য উঠে তোর গলার আওয়াজ পেলাম তাই এখনি দিতে এসেছি হয়তো তোর দরকারি কাগজ।নে ধর আর এত রাতে এমন চিৎকার করছিলি কেনো? কিছু হয়েছে?

মাহিয়াত তার মায়ের হাত থেকে তরিঘরি করে কাগজটা নিয়ে ভিতরে চেক করে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,

—চিৎকার করছিলাম না মা এমনি কথা বলছিলাম।আর ধন্যবাদ এইটা খুবই জরুরি ছিলো। কোনো চিন্তা করো না তুমি ঘুমিয়ে পড়। ঘুম বলে মাহিয়াত দরজা লাগিয়ে পিছনে ফিরে দেখলো ফিমা নেই।সে যানে সে এখন কোথায় আছে। কিন্তু সে সেখানে যাবে না।মাহিয়াত চুপ চাপ কাজ করতে লাগলো কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার খুব অনুসুচনা হচ্ছে মেয়েটার সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি। নিশ্চয়ই সে খুব কষ্ট পেয়েছে সে তো জানে ফিমা কোন পরিস্থিতিতে তাকে বিয়ে করেছে এতে তার কোনো দোষ নেই উল্টো যদি কেউ দোষী আর সার্থপর হয় তাহলে তা হল তার পরিবার তারা মেয়েটার সাথে অন্যয় করছে সে অন্যায় করেছে তার মা অন্যায় করছে।তার উপর দিয়ে সে আবার মেয়েটাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় অনেক রাতে মাহিয়াতের কাজ শেষ হলো ফিমা তখনও ঘরে ফিরে নি সে একবার বারান্দার দিকে তাকিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল কিন্তু ঘুম আসছে না প্রচন্ড অপরাধ বোধ কাজ করতে লাগলো। সে উঠে বারান্দায় গেলো ফিমাকে সরি বলতে কিন্তু সেখানে গিয়ে সে দেখলো ফিমা দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে মুখে কান্নার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।একবার সে চাইল তাকে ডাক দিয়ে ঘরে ঘুমানোর জন্য বলতে কিন্তু কেনো জানি তার ঘুম ভাঙ্গাতে ইচ্ছে হলো না আবার এখানে ঘুমালেও সকালে শরীর খারাপ করবে তাই সাত পাঁচ না ভেবে মাহিয়াত ফিমাকে কোলে তুলে নিলো। তারপর বিছানায় শুইয়ে দিলো কিন্তু অসাবধানতা বশত
বসত তাকে রাখতে গিয়ে শাড়ির আঁচলটা সরে গেলো আর পায়ের কাছ থেকে একটু উপরে উঠে গেলো,

ঠোঁটে কারো নরম স্পর্শ পেয়ে ফিমার ঘুম হালকা হয়ে গেলো আস্তে আস্তে স্পর্শ গুলো গভীর হতে লাগলো তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো শরীরে কিছু অস্তিত্ব টের পেতেই আপনি আপনি চোখ খুলে গেল তার একটা পুরুষ অবয়ব পুরোপুরি তাকে অবদ্ধ করে রেখেছে সে বিন্দু পরিমাণ নড়াচড়া করতে পারছে না সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে আবয়বটি কার তাই একবার বাঁধা দিতে গিয়েও দিলো না সে তাকে স্ত্রী না মানলেই ফিমাতো তাকে স্বামী মানে তার অধিকার আছে তার উপর আর এমনটা তো হওয়ারই কথা ছিলো নইলে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কি করে।মাহিয়াত নিজের মধ্যে নেই সে নিজেকে ফিমার অস্তিত্বের সাথে মিলিয়ে নিতে ব্যাস্ত।সেও পুরুষ মানুষ তার কিছু শারীরিক চাহিদা আছে আর একই বিছানায় তার পাশেই তার স্ত্রী আছে যে তার জন্য সম্পূর্ণ হালাল তাহলে সে আর কতদিন নিজেকে ঠিক রাখবে।সেও মানুষ কোনো ফেরেস্তা না নুহাও তাকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না আর এমনিতেও এমনটা একদিন না একদিন হওয়ারই ছিল বরং আরো আগে হওয়ার ছিলো কিন্তু এক ধরনের সংকোচের কারণে তাকে ছুঁতে পারেনি কিন্তু এখন তার প্রয়োজনটা তার কাছে বেশি মনে হচ্ছে।

সেদিনের পর মাহিয়াতের ফিমার সাথে কথা বলার মুখও রইলো না আর না তার কাছে ক্ষমা চাইলো কিভাবে তার কাছে ক্ষমা চাইবে সে আর কোন কোন অন্যায়ের জন্য?আর ফিমা আগের থেকে আরো বিষন্ন হয়ে পড়লো কোনো কিছু ভালো লাগে না তার। সে শুধু অপেক্ষায় আছে এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার তার পর আর কেউ খুঁজে পাবে না তাকে। নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে সবার আড়াল হয়ে যাবে।তার সারাদিন রাত বেশি ভাগ সময় কাটে বারান্দায়।সে আর মাহিয়াতের কোনো জিনিসে স্পর্শ করে না রাতে তার চাহিদা পূরণ করার পর আর এক মিনিটও সে তার সামনে থাকে না আজকাল তার স্পর্শ তার সহ্য হয় না।হবেই বা কিভাবে সেখানে যে ভালোবাসার ছিটে ফোঁটাও নেই।তার রাত গুলো কাটে বারান্দায় কোনো এক অজানা কারণে এই জায়গাটু তার কাছে স্বর্গ মনে হয়। রাতকে তার আপন মনে হয় রাতের মত তার জীবনটাও ঘোর অন্ধকার।তাই তারা একে অপরের কাছে নিজের দুঃখ প্রকাশ করে কিছুটা নিস্তার পায়।

বর্তমান

বেলা গরিয়েছে অনেক আগেই অথচ ফিমা এখনো খাবার খেতে আসেনি।মেয়েটা দিন দিন অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে শরীরের দিকে তাকানো যায় না কিছু খায় না চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে শরীরের হাড়গুলোও বোধয় গুণা যাবে।তাকে যখন প্রথম দেখেছিল কি স্নিগ্ধই না লেগেছিল তাকে কিন্তু আজ মেয়েটার দিকে তাকানো যায় না।আসলে তারই ভুল হয়েছে সে যেচে পড়ে মেয়েটার জীবন নষ্ট করেছে আগে জানলে সে কখনোই এমন করতো না।এইসব কথা ভাবতে ভাবতে আজমীন ফিমার রুমে গিয়ে দেখলো সে কি জেন একটা হাতে নিয়ে তার দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে সামনে আসতেই সে চমকে ফিমার দিকে তাকালো…

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here