এক্সিডেন্টলি প্রেম পর্ব ২৪

#এক্সডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-২৪♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥

—- শার্ট খুলুন!

কি হলো হা করে কী দেখছেন? শার্টটা খুলুন!

অন্বিতার কথায় হা করা মুখটা আগের তুলনায় আরো বৃহত্তর পরিধি নিয়ে হা হয়ে রইল নিশান্তের। নিশান্তকে এভাবে রসগোল্লার মতো নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সামান্য নড়েচড়ে দাঁড়ালো অন্বিতা। পাশ থেকে খোঁচা মেরে রিভান বললো,

—- ওই ব্যাটা, পরেও দেখার বহুত টাইম পাবি, আপাতত যা বলতেছে তাই কর। আমরা নাহয় ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসতেছি…..

রিভানের মুখের কথা হুট করে ছিনিয়ে নিয়ে সানি লাজুক লাজুক ভাব এনে ফিসফিসিয়ে বললো,

—- একি মামা, ভাবীর দেখি সরমের মাত্রা বহুত কম! এক্কেরে ডিরেক্ট রোমান্স করতে আইয়া পড়ছে তাও ফির দেবরদের সামনেই!

সানির কথায় সরু চোখে তাকালো অন্বিতা। ফিসফিসিয়ে বলার দরুন সম্পূর্ণ বাক্যটা স্পষ্ট না হলেও “ভাবী” শব্দটা বরাবরের মতো আবারও কানে গিয়ে ধাক্কা লাগলো তার। পাশ থেকে রিভান খোঁচা মেরে দিলো তৎক্ষণাৎ! মুখে জোড়পূর্বক হাসি ফুটিয়ে বললো,

—– আবে সানি লিওনের বাচ্চা, তোর তো সরমের ডিব্বা আছে তাইনা? তা খাঁড়ায় আছোস কিল্লাই? ব্যাট্টা চল বাহিরে!

বলেই একপ্রকার টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে সানিকে নিয়ে বেরিয়ে গেল রিভান। অন্বিতা দোমনা ভাব নিয়ে ওষুধের কৌটাটা টেবিলের ওপর রাখল। সামান্য স্বরে কেশে নিয়ে বলল,

—- ইয়ে মানে আপনাকে দেখতে এসে দেখলাম আন্টির শরীরটা তেমন ভালো নেই। অতিরিক্ত টেনশনের জন্য দূর্বল হয়ে পড়েছেন। তবু আন্টিই এসে ওষুধটা লাগাতে চাইলেন বাট আমিই বাঁধা দিলাম আরকি, উনি এখন রেস্ট নিচ্ছেন, উনার হয়ে আমি আপনার কাটা জায়গাগুলোতে ওষুধ লাগাতে এসেছি এই!

নিশান্ত খানিকটা আস্বস্ত হলো। বিছানার একপাশে চেপে বসে অন্বিতা বসতে ইশারা করে বলল,

—- আচ্ছা বসুন, বাট সমস্যা ছিলনা তো, আমি একাই লাগিয়ে নিতে পারতাম। শুধু শুধু কষ্ট করার প্রয়োজন ছিলনা।

অন্বিতা ঠোঁট বাঁকালো। ওষুধের কৌটাটা হাতে তুলে বিছানায় বসতে বসতে বললো,

—- কেমন পারতেন জানা আছে আমার, হাত যে অল্পের জন্য ভেঙে যায়নি এই অনেক।

নিশান্ত মৃদুস্বরে হাসলো। শার্টের বোতাম একে একে খুলে গা থেকে নামাতেই থেমে গেলো হাত! ঠিক যতোবারই বাহু বেশি দূর উঁচু করতে যাচ্ছে ততোবারই ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠতে হচ্ছে তাকে। এভাবেই কিচ্ছুক্ষণ দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথাটা সহ্য করার চেষ্টা চালালো নিশান্ত। অন্বিতা হয়তো বুঝলো তার চাপা ক্রন্দন মিশ্রিত জ্বালাপোড়া যার দরুন চটজলদি বলে উঠলো,

—- আপনি থামুন, আমি সাহায্য করছি!

বলেই ছোট্ট করে অস্বস্তি মাখা শ্বাস ত্যাগ করলো অন্বিতা। কাঁপাকাঁপা হাতে নিশান্তের শার্টের কলারে হাত রাখতেই কেঁপে উঠলো বুক। নিশান্ত নিজেও থমকালো। অদ্ভুত এক অনুভূতি এসে নাড়া দিয়ে গেল তার বক্ষে। হৃদপিন্ডের শীতল স্রোত বোঝালো ভেতরে চাপা কোনো সুপ্ত প্রেমাবেগ। নিশান্ত বুঝতে চেয়েও বুঝলোনা যেন। নিজের আবেগ মিশ্রিত ভাবনা শতশত পাথরের নিচে দমিয়ে রেখেই অন্য দিকে মনোযোগ দেবার চেষ্টা চালালো। তবে নিজেকে সামলাবার মতো জো ছিলো না অন্বিতার। শিরা-উপশিরায় ইলেকট্রিক শকের ন্যায় জোয়ার বয়ে চলছে তার। নিশান্তের পিঠে হাত ছোঁয়াতেই কম্পনের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চললো হৃদয়ের ধুকপুকানি। তার উন্মুক্ত ফর্সা পিঠে নজর পড়তেই কপাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো ঘাম। চোখ খিঁচে বন্ধ করেই চটজলদি ওষুধ লাগিয়ে থামলো অন্বিতা। অদ্ভুত সব অনুভূতির বেড়াজালে পিষ্ট হৃদয়খানি নিয়ে ঘোড়ার বেগে ছুট লাগিয়ে কয়েক হাত দূরে সরে এলো সে। নিশান্ত অন্বিতার কর্মকান্ডে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হলো। চিন্তার দরুন কুঁচকে এলো তার ভ্রু। উদ্বীগ্ন গলায় নিশান্ত প্রশ্ন ছুড়ল,

—– আপনি ঠিক আছেন তো মিস অন্বিতা?

নিশান্তের বলা এটুকু বাক্যই অস্থিরতা বাড়াতে যথেষ্ট ছিলো অন্বিতার। নিশান্ত তার হাবভাবে অবাক না হয়ে পারলোনা আর! “আ…আমি ঠিক আছি!” বলেই এক ছুটে বেরিয়ে যাওয়া অন্বিতাতেই দৃষ্টি স্থির হলো তার। মেয়েটার হঠাৎ এরকম বিহেভিয়ারে কপালে সুক্ষ্ম চিন্তার ভাঁজ ফেলে আরেকটু ঝুঁকে তাকাল নিশান্ত। ততক্ষণে দৃষ্টির অগোচরে চলে গিয়েছে অন্বিতা। হাল্কা দোলায় স্পন্দন গতিতে নড়তে থাকা দরজার দিকে চেয়ে বুক চিরে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। কি হচ্ছে এসব, কেনো হচ্ছে? কেনো না চাইতেও এতোটা ভাবতে বাধ্য করছে মন? কেনো এক পশলা মেঘ জমে ঝড়ে পড়ছে আহুতি ভরা ক্রন্দন? তবে কি আবারও দূর্বল হলো কারো প্রতি চেতনা? এ কেমন অনুভূতি যার অর্থ নেই কো জানা!

_________________________

দম বন্ধ করে এক ছুটে নিজের ঘরে ফিরেই দরজা লাগিয়ে দিলো অন্বিতা। এখনোও সমবেগে কেঁপেকেঁপে উঠছে তার বুক! ডিবডিবে আওয়াজে একনাগাড়ে আর্তনাদ করে চলেছে হৃদয়। বোনকে এমন অস্থিরতায় ঘেমে একাকার হতে দেখে ভ্রু কুঁচকালো আনন্দ। হাত থেকে নিচে ছেড়ে দিতেই “মিউউ” বলে অস্ফুটস্বরে ডেকে উঠলো “চিকু”। আনন্দ এগিয়ে গিয়ে অন্বিতার ওড়নার কোণা টেনে ধরে ঝাঁকাল। সাথেসাথেই এক প্রকার লাফিয়ে ছিটকে সরে গেলো অন্বিতা। বোনের এরকম গঙ্গা ফড়িংয়ের ন্যায় লাফালাফি বড্ড চোখে লাগলো আনন্দর। চিন্তিত গলায় বোনকে উদ্দেশ্য করে বলল,

—- অন্বিতাপু, এভাবে লাফাচ্ছ কেনো? ভূত টুত দেখেছ নাকি?

অন্বিতা আনন্দকে নিজের ঘরে আবিষ্কার করে বুকে হাত রেখে ফুঁ দিলো! মিনমিন করে বলল,

—- তু…তুই এখানে? ঘুমোস কি কেন? যেগুলো ম্যাথ সলভ করতে দিয়েছিলাম করেছিস?

আনন্দ ঠোঁট উল্টালো। মাথা ডানে-বামে নাড়িয়ে বলল,

—- সবগুলো পারিনি দেখেই তো তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর এই চিকুকে দেখো পঁচ্চা বিলাই, তোমার বিছানায় আরেকটু হলে পটি করে দিতো।

অন্বিতা বিছানার নিকটে গিয়ে চিকুকে কোলে তুলে নিয়ে বলল,

—- একদম মিথ্যা বলবি না, ও বিছানায় পটি করার মতো বাচ্চাই না। প্রতিদিন টয়লেয়ে করিয়ে আনি, আর নিজে তো লুকিয়ে লুকিয়ে ঠিকই বাচ্চাটাকে আদর করতে আসো মিয়া, আমায় দেখেই বদনাম গাওয়া শুরু?

আনন্দ বোকা হেসে মাথা চুলকালো। বিছানায় বসতে বসতে বললো,

—- আচ্ছা ওসব ছাড় না আপু, খিদে পেয়েছে! খাইয়ে দাও!

—- খাস নি এখনোও? তোকে না আব্বুর সাথে খেতে বসিয়ে গেলাম!

আনন্দ একদফা দাঁত কেলিয়ে মাথা ডানে-বামে নাড়ালো। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বললো,

—- হেহে খাইনি, নিজের হাতে খেতে একদম ভালো লাগে না। কোনো স্বাদই পাওয়া যায় না! একদম বিদঘুটে লাগে। তাইতো দু-লোকমা খেয়েই উঠে পড়েছি, তুমি ফিরলে তোমার হাতে খাইয়ে নিব বলে।

অন্বিতা কপাল চাপড়াতে লাগলো। ভাইটা যে কবে নিজ হাতে তুলে খাওয়ার অভ্যেস আয়ত্ত্ব করতে পারবে এই ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। তবু প্রশান্তি এটুকুতেই পায়, মায়ের অভাবটা তো কিছুটা হলেও পূরণ তো করতে পারে সে। আজ এভাবে আদরে না রাখলে যে ছেলেটা হুটহাট মায়ের শোকে কাতর হয়ে পড়তো ভীষণ। তখন কীভাবে সামলাত তাকে?

___________________________

ভার্সিটির লাইব্ররীতে তিন বান্ধবী গোল হয়ে বসে শুকনো ঢোক গিলে চলেছে একনাগাড়ে। তাদের সামনের টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ৬ টার মতো বই। এতো এতো পড়া জমে রয়েছে অথচ এক্সাম কিনা আগামীকালই! এই মুহুর্তে পাশ করার জন্যে হলেও বইয়ের পাতা যদি ছিঁড়ে ছিঁড়ে জুস বানিয়ে ঢকঢক করে খাওয়া যেত তবে নির্ঘাত তাই করে খেত শিখা-বাবলী। দেখতে দেখতে দুটো সপ্তাহ যেনো পলক ফেলা মাত্রই পেড়িয়ে গেল ঝড়ের গতিতে অথচ কোনো ভিত্তিতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা হলো না আজও।

শিখা-বাবলী যখন বইগুলো গিলে ফেলবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে নেমে পড়ে ঘাম ছুটিয়ে চলেছে এমন সময় শিখার চোখ গেল অন্বিতাতে। অন্বিতা তাদের সাথে বইয়ের দিকে হেলে রইলেও তার দৃষ্টি বইয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই মোটেই। জানালার বাহিরে গাছের কোনো এক ডালের ওপরে বসে থাকা দুটো কবুতরের মাঝেই ঘুরপাক খেয়ে চলেছে তার গোলকরন্ধ্র দুটি। শিখা এই দৃশ্য দেখে কপাল কুঁচকালো। কুনুই দিয়ে বাবলী হাল্কাভাবে ধাক্কা মেরে অন্বিতার দিকে তাকাতে ইশারা করে বলল,

—- এই মোটু, অন্বির কি হয়েছে বলতো? ওর হাবভাব এরকম ভাবুক টাইপ হলো কিভাবে তাও আবার এইরকম মরণ-বাঁচন সময়ে?

বাবলী চোখ-মুখ কুঁচকে তাকালো। অন্বিতার ঠোঁটে প্রশান্তিমাখা এক চিলতে মিষ্টি হাসি। দৃষ্টি কবুতর জোড়াতেই স্থির। আশেপাশে কোনো কিছুতেই বিন্দুমাত্র মন নেই তার। ভাবখানা এমন, যেনো কবুতর দুটির খুনসুটি দেখাই তার প্রধান কাজ। এর বাহিরে পৃথিবীর আর কোনো কাজই যেনো বরাদ্দ নেই তার।
বাবলীর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ প্রকট হলো। বাবলীর কানে কানে ফিসফিসিয়ে সে বললো,

—– হায় হায়! পাতলুরে অন্বি বোধহয় প্রেমের সাগরে ভাসতে শুরু করে দিয়েছে রে! মাগার কুয়েশ্চন হচ্ছে তার আশিকটা কে?

শিখা ভ্রু কুঁচকালো। বাবলীর মাথায় গাট্টা মেরে বলল,

—- সবসময় তোর এসব ফাউল মার্কা চিন্তাধারা ছাড়া আর কোনো ভাবনাই মনে আসে না তাইনা! গাধী! তোর কি মনে হয় ও প্রেমে পডার মতো মেয়ে? যে রোজ একটা করে হলেও ছেলেদে ঠ্যাং ভাঙে সে পড়বে প্রেমে? ইজ ইট আ জোক?

বাবলী ঠোঁট উল্টালো, আঘাত লাগা স্থান বরাবর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে মিনমিন করে বললো,

—- বড় কথা এইটা না ও প্রেমে পড়ার মতো কিনা, বড় কথা হইলো ও নিজেও একটা মানুষ। মেয়ে হোক ছেলে হোক, যে যেমনই হোক। প্রকৃতিরও একটা নিয়ম আছে বুঝলি, “প্রেম” সকলের জীবনেই আসে, হোক তা বিয়ের পর নিজের বরের প্রতি কিংবা বিয়ের আগেই কোনো পুরুষের প্রতি। যাকে নিয়ে বাঁচার উন্মাদনা কাজ করে প্রতিটি মেয়ের মাঝেই।

বাবলীর কথায় কপালের ভাঁজ দৃঢ় রূপ ধারণ করলো শিখার। হাজার হোক, বাবলীর কথাগুলো মানতে না চাইলেও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতোন নয়! যার দরুন কিউরিওসিটি ভর করলো তার মনেও। অন্বিতার বাহুতে ধাক্কা মেরে শিখা বলল,

—– দোস্ত, বাইরে কি দেখিস? গাছপালা না মানুষ?

এভাবে হুট করে ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটায় চমকে ফিরে তাকালো অন্বিতা। আমতা-আমতা করে বলল,

—– তে..তেমন কিছু না তো! আমি তো শুধু ওই কবুতর দুটো দেখছিলাম। খুব সুন্দর না?

শিখা-বাবলী একে-অপরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো, পরক্ষণে সেই দৃষ্টি অন্বিতাতে নিক্ষেপ করে বলল,

—– তুই কি প্রেমে পড়েছিস অন্বিতা?

শিখা-বাবলীর প্রশ্নে চোখ বড়বড় হয়ে এলো অন্বিতার। বিস্ময়ে একপ্রকার বিষম খাওয়া শুরু করতেই পানির পট এগিয়ে দিলো শিখা। অন্বিতা ঢকঢক করে পুরো বোতল খালি করে থামলো তবে। কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,

—– এ…এসব কোন ধরনের প..প্রশ্ন করছিস তোরা? এসব কি জিজ্ঞেস করার মতো প্রশ্ন?

—- সেটাই! জিজ্ঞেস করার মতো প্রশ্ন তো নয়, প্রেমে পড়লে তো সর্বপ্রথম আমাদের কেই তোর ইনর্ফম করার কথা, লুকিয়ে গেলি কেন তবে?

বাবলীর প্রশ্নে চুপসে গেল অন্বিতার মুখ। নার্ভাসনেসের বশে জিহ্ব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিল সে। এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশ প্রতিকূলে বুঝে নিয়ে বলল,

—- দেখ দোস্ত, আমি এখনোও নিজেই শিওর না। প্রেম কাকে বলে, কেমন অনুভুতি হয় এসবে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই। শুধু এটুকু জানি, কোনো এক অদ্ভুত অনুভূতিতে জড়িয়ে পড়ছি আমি। নিজেকে সরিয়ে রাখতে চেয়েও পারছিনা আমি উনার থেকে। বলতে পারিস এই অনুভূতির নাম কী? কী এর পরিচয়?

শিখা-বাবলী একে অপরের দিকে গোলগাল চোখে তাকালো। বাবলীর সন্দেহ যে এভাবে বিশ্বাসে পরিণত হয়ে পড়বে তা কল্পনাতীত ছিল শিখার! দু-বান্ধবীই অসম্ভবকে সম্ভব হতে দেখে মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে বন্দী হলো অগত্যাই! এক্সাইটমেন্ট ধরে রাখতে না পেরে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠা মাত্রই পাশে থাকা বইয়ের পাহাড় ধপাস করে পড়ে গেল মেঝেতে। আশেপাশের প্রত্যেকে বই থেকে থেকে মুখ তুলে তাকালো তৎক্ষণাৎ! অন্বিতা দু-হাতে চোখমুখ ঢেকে নিজেকে নিরপরাধী সাব্যস্তের অভিনয়ে লিপ্ত হলো। পেছন থেকে লাইব্রেরীতে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দদূষণ ঘটায় ধমকে উঠলেন লাইব্রেরীয়ান!
.
.
.
.
চলবে……………….💕

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here