এক ঝাঁক জোনাকির আলো পর্ব ৮

#একঝাঁক~জোনাকির~আলো🍁
#writer~হাফসা~আলম 🍂
.
৮.
বর্তমান……………………………..
আমার কল্পনা জুড়ে
যে গল্পেরা ছিল
আড়ালে সব লুকোনো
সেই গল্পেরা সব,রঙিন হল পলকেই
তোমাকে হঠাৎ পেয়ে যেন….
প্রেম তুমি,আসবে এভাবে
আবার হারিয়ে যাবে ভাবিনি…….।
আজো আছে সেই পথ
শুধু নেই তুমি..
বলো,কোথায় আছো অভিমানি?
অভিমানি..
সব থেকেও আজ কি যেন নেই
তোমাকে তাই খুঁজে যাই প্রতিক্ষণে..
আমার ভালোলাগাগুলো সব
তোমায় ভেবে ভেবে
সাঁজে রোজ এই মনে…
প্রেম তুমি, আসবে এভাবে
আবার হাড়িয়ে যাবে ভাবিনি…….
.
নিভ্র থামল।ডান হাতের উল্ট পিঠ দিয়ে পানিতে ভড়ে আসা চোখটা মুছে নিল।পাশে থাকা মদের বোতলটা ডান হাতে নিয়ে গটগট করে গলা ভিঁজিয়ে নিল। গিটারে রাখা হাত থেকে টপটপ করে গড়িয়ে রক্ত পড়ছে।সে কিছুক্ষণ হাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।আবার মদে চুমুক দিল।হঠাৎ করেই সে প্রচণ্ড রাগ নিয়ে বোতলটা সুইমিংপুলে ছুড়ে দিল।আর চেঁচিয়ে বলে উঠে………
—-“তুইত একবছর আমার পাশে আছিস সেও ছিল। যেখানে সে প্রথম দেখায় আমাকে নিজের মাতাল করা নেশায় ঘায়েল করেছে সেখানে তুই দুই মিনিটের জন্যও আমাকে মাতাল তো দুর ওকেই ভুলিয়ে রাখতে পারলিনা।শালা এই মদ আমি হুদাই গিলি।তোদের মত মদের বোতল যে কোন কাজের না তা এই একবছরে আমার বুঝা হয়েগেছে। আজ থেকে তুই আউট।ও আমাকে ওর লাইফ থেকে আউট করেছে আমি না হয় তোকে করলাম।দেখি কি মজা আছে লাইফ থেকে আউট করে।”
.
বলেই নিভ্র আবার গিটারে কাটাঁ হাত রাখলো।সাথে সাথে এক সাইডে লুকিয়ে থাকা অভ্র দৌড়ে এগিয়ে এলো।আর ভয়াত্নক ভাবে বলে উঠে……
—“আর বাজাতে হবে না।তুই সুন্দর গান পারস শালা আমি জানি এটা এত শুনাতে হবে না।তা এই আপদটাকে নাকি তুই উস্ঠা দিয়ে ফেলে দিলি??তবে যা করেছিস বেস করেছিস।তা এবার কি করবি ড্রাগস ট্রাই করবি???যদি কাজে দেয়।”
.
নিভ্র একদৃষ্টিতে তাকালো অভ্রর দিকে আবার চোখ ফিড়িয়ে নিয়ে বলে…..
—“ওকে ভুলা যাবে এমন কোনো ওষুধ আদো কি আছে এই পৃথিবীতে??”
অভ্র নিশ্চুপ হয়ে সামনে থাকা সুইমিংপুলের সচ্ছ নীল পানির দিকে তাকিয়ে আছে।তার কাছে এই প্রশ্নের আদো কোনো জবাব নেই।যদি সে যানতো এমন কিছু এই পৃথিবীতে আছে যা ওকে ভুলিয়ে রাখার মত তবে সে নিজেই আগে খুঁজে খেয়ে নিতো।কিন্তু আফসোস এমন কিছুই নেই যা খেয়ে ভালোবাসার মানুষকে ভুলিয়ে রাখা যায়।অভ্র মনে মনে কয়েকটা দীর্ঘনিঃশ্বাস নিলো।একবার নিভ্রের দিকে তাকালো।আবার ভাবনায় ডুবে ভাবতে লাগল নিভ্র তো তাও মনের কথাগুলো ব্যক্ত করতে পারছে।কিন্তু সে??সে তো সুপ্ত অনুভুতি নিয়ে ভিতরে ভিতরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তার ও তো বলতে ইচ্ছে হয় আমিও ভুলতে চাই সেই প্রথম দেখা।কিন্তু পাশে থাকা ছেলেটার জন্য সব পারে সে।সব কষ্ট লুকাতে পারে।কারন সে যানে এই একবছরে সে ভেঙেছে কিন্তু এই ছেলেটা নিঃশেষ হয়েছে।তার মেয়েটাকে ছাড়া কষ্ট হবে কিন্তু তার ভাই মারাই যাবে।এখনো বেচেঁ আছে তাকে পাওয়ার ক্ষিণ আশায়।হয়তো একদিন না একদিন সে পাবেই।নিভ্র আবার একবার তাকাল অভ্রর দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিল।হঠাৎ করে অভ্রকে জড়িয়ে নিল।অভ্র অবাক হল।কিন্তু নিভ্রর চোখের পানিতে নিজের টিশার্ট ভিজাতে দেখে সেও জড়িয়ে নিলো।অভ্র বার বার চোখ মুচছে যাতে নিভ্র বুঝতে না পারে সে কাদঁছে। কিন্তু নিভ্র ঠিকই বুঝতে পেড়েছে। কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস নিলো গোপনে।জড়িয়ে রেখেই নিভ্র বললো…..
—“নেই কোন ঔষুধই নেই এই পৃথিবীতে ওকে ভুলা যাবে এমন।দাদাজান বলেছিল ভালোবাসা নামক কঠিন এবং ভয়ঙ্কর পরীক্ষায় নামতে হলে এক বুক কষ্ট সোজ্জ করার ক্ষমতা নিয়ে নামতে হবে।আমি হয় তো নামতে পারিনি একবুক কষ্ট সোজ্জ করার ক্ষমতা নিয়ে কিন্তু তার চাইতেও বেশি পাচ্ছি। আর হচ্ছে না আমার দ্বারা।মুক্তি চাই আমি এই ভয়ঙ্কর যন্ত্রনা থেকে।কিন্তু কি ভাবে মিলবে বলবি??? মুক্তি?? ”
অভ্র নিজের থেকে নিভ্রকে ছাড়িয়ে নিলো।তার চোখের দিকে তাকালো।আর বলতে লাগলো…….
—“আমি জানি না রে।তোকে মুক্তি দিতে পারলে আমি নিজেও হয় তো একটু মুক্তি পেতাম।

নিভ্র উঠে দাঁড়ালো। সে বুঝতে পারছে অভ্রর খুব কান্না আসছে কিন্তু সে কান্না করতে পারছে না।শুধু মাত্র তার জন্যে। তাই সে সরে আসে।গিটারটা এক হাতে নিয়ে নিভ্র নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হয়।অভ্র পিছনে পিড়ে একবার তাকালো নিভ্রর দিকে।সে ভাবে এত গাদা গাদা মদ খেয়েও কিভাবে কারো এক বিন্দুও নেশা হয় না??কিভাবে এটা সম্ভব??নিভ্র যে মেয়েটার নেশায় পাগল হয়েগেছে এটা সে যানে কিন্তু তার নেশায় এতটাই ডুবেছে যে এখন পৃথিবীর কোন নেশাই তাকে ছুঁয়েও দেখতে পারছে না।কথাটা ভেবেই অভ্র হতভম্ভ। অভ্র আবার সুইমিংপুলের নীল সচ্ছ পানির দিকে তাকায়।পানির মাঝে থালার মত চাঁদের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। পানির কম্পোনের কারনে চাঁদও কেঁপেকেঁপে উঠছে।অভ্রর চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পরছে।আটকাতে চাচ্ছে না।লুকানোর কিছু নেই। যার কাছে লুকাতো সে নিজেই তাকে কান্নার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে।সে কাঁদবে। অনেক দিন পরে কাঁদবে। আর মনে মনে ভাববে যদি মেয়েটা একটা না হয়ে দুটো হতো??যদি দুই ভাই আবার আগের মত হাঁসতে পারতো??যদি দুজনের ভালোবাসা একই না হতো??যদি একজকে ঘিরে সব না হতো তবে সত্যি সে খুব খুশি হতো।সে তো এক বুক কষ্ট সোজ্জ করার ক্ষমতা নিয়েই নেমেছিল তবে কেন কষ্টটা পর্যাপ্ত হলো না??কেন এই যাত্রায় নিভ্ররটাই বেশি হয়েগেছে?? হুম আমার একবুক হলে নিভ্রর এর চাইতে বেশি।তাই তুমি নিভ্রর।হুম সাফা তুমি নিভ্রর কিন্তু তবুও ওকে কেনো রেখে গেলে??কেন ওর যন্ত্রণা বড়িয়ে চলেছ??কেনো তুমি ওর সব নেশার উর্দ্দে??অভ্রর ভারী বুক ছিড়ে একরা দীর্ঘ ক্ষতবিক্ষত নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এলো।
.
.
নিভ্র তাকিয়ে আছে সামনে থাকা তারই আঁকা এক যুবতীর ছবির দিকে।মেয়েটা দাঁত বেড় করে হেঁসে আছে।ডান হাত চুলে লাগানো জবা ফুলে।লাল টকটকে জবা ফুল।মেয়েটা একটু পাশে লাল সূর্য নিজের কিরণ ডুবিয়ে দিচ্ছে। উঁচু হাতের ভাঁজে নীল জামদানি জড়িয়ে আছে।ডান গালের এক পাশে গর্ত।যাতে পৃথিবীর সকল নিরামিষ ছেলেও নিজেকে ডুবাতে চাইবে।যেমন নিভ্র ডুবিয়েছে নিজেকে।চিকচিক করছে নীলাভ চোখগুলো। দেখেই মনে হচ্ছে মেয়েটার সব জুড়ে শুধু আনন্দ, শুধু খুশি আর শুধু ভালোবাসা।ঘন পাপড়ি গুলো চোখের সৌন্দর্য দিগুণ বাড়িয়েছে।আর ভ্রু জোড়া কুচকুচে কালো।বাম চোখের পাশে কিছু অবাধ্য চুল এসে পড়েছে।লাল ঠোঁটজোড়া প্রশারিত হয়ে শান্তি ছড়াচ্ছে।আর উঁচু করা গলার মাঝে বাম পাশে একটা কালো তিল।মেয়েটার বর্ননা একবার মনে মনে বুলিয়েই নিভ্র বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে চোখবুজে নেয়।তার মনে হচ্ছে তার হাড্ডিতে হাড্ডিতে রঞ্জে রঞ্জে শিহরণ বয়ে চলেছে। যা তার দেহকে দহন যন্ত্রনায় জ্বালিয়ে ঝাঁঝড়া করছে।বুকের পাঁজরের ব্যাথা দ্বিগুণ তালে বাড়ছে।এই ছবিটার সামনে আসলেই তার এমন হয়।নিভ্র ঠাস করে চোখ জোড়া খুলে ফেলে।ডান হাত কাঁপিয়ে মেয়েটার আঁকা গলায় হাত দেয়।বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে কিছুক্ষণ হাত বুলায় গলার সাইডে কালো তিলটাতে।মুচকি হেসেঁ মুগ্ধ হয়ে পালক না ফেলে দেখছে।কেনো যেনো তার মনে হয় সারা জীবন দেখলেও হয়তো সে তৃপ্ত হবে না।কাটাঁ হাতটা রক্তজবা ফুলটার উপড় রাখে।রক্ত দিয়ে জবার উপড় কিছুক্ষণ আঁকিবুঁকি করে।কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে নীলাভ চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।হঠাৎ হেসে উঠে।হাসতে হাসতেই বলে…………..
—“তোমরা মেয়ে জাতি বড্ড ভয়ঙ্কর। যানো???যে ভয়ঙ্কর হয় তার কাছে কিন্তু এটা মনে হয় না।যেমন সাপ অনেক বিষাক্ত কিন্তু তার কাছে এটা মনে হয় না।ঠিক একুই ভাবে তোমরাও তোমাদের ভয়ঙ্কর রূপ সম্পর্কে অবগত নও।যারা তোমাদের এই ভয়ঙ্কর রূপে ফেঁসে নিজেদের জ্বালা বাড়ায়, জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়,দহন যন্ত্রনায় কাতর হয় তারাই এই ভয়ঙ্করতার সাথে পরিচিত হয়।আমি নিজেই এর শিকার। হাসছ যে??হাসবে না।এটাই সত্য।তোমরা দমকা হাওয়ার মত এসে সব উড়িয়ে দিয়ে নিঃশ্ব করে চলে যাও।আমি নিজেই এর প্রমান। দেখ আমি নিঃশ্ব হয়ে আছি।আমি নিঃশ্ব হয়ে গেছি।শুধু কিন্তু আমি না অভ্রকেও তুমি নিঃশ্ব করলে।কেন বলো তো??তোমার জন্য শুধু তোমার জন্যে ওর কান্না দেখলে আমার হিংসে হয়।রাগ হয়।অভিমান হয়।তখন মনে শুধু একটা কথাই ঘুড়ে তোমার জন্যে সব যন্ত্রনার ভাগিদারও আমি একা হতে চাই।তবে কেনো ও কাদেঁ?? আবার আফসোসও হয় তোমাকে ছেড়ে দিতে পারবো না ভেবে।আমি এই যাত্রায় কোনো সেক্রিফাইজ করতে পাড়বো না।কিন্তু ও করছে।লুকিয়ে কাদঁছে তোমাকে লুকিয়ে খুঁজছে। কিন্তু তুমি কি করলে হারিয়ে গেলে??কেনো বলত??অনেক প্রশ্ন বাকি সব একসাথে করবো।মনে থাকবে??না থাকলেও কিছু করার নেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।হবেই। হবে।
.
নিভ্র খাটের সাথে ঠেস দিয়ে বসে পড়ে।দৃষ্টি এখনো ছবির দিকে।প্রশ্নে ডাকা সবুজ চোখ।বুকে দহন যন্ত্রনা।ঠোঁটে ভালোবাসার প্রকাশ।পাঁজরের খোঁজ চলছে মস্তিষ্কে।মুখে ক্লান্তির রেশ।আর একবুক দীর্ঘশ্বাস। জিহ্বায় একটাই প্রশ্ন. “কেনো চলে গেলে”??
.
.
যন্ত্রনারা হানা দিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।বুক ছিড়ে দীর্ঘশ্বাসদের আগমন।বাতাসে বাতাসে দহন জ্বালার গন্ধে দগ্ধ সব।বিষণ্ণতা, রাগ,অভিমান,জেদ,খোব তাড়া করে চলেছে প্রশ্নকে উত্তরের অপেক্ষায় কিন্তু উত্তরের মালিক নেই।একবছরের ভালোবাসা আর একবছরের দীর্ঘশ্বাস মিলে এক অদ্ভুত অনুভুতিতে জর্জরিত সব।…….
.
সকালের মিষ্টি রোদের আনাগোনা। সব রোদ একই রকম হয় শুধু মানুষে মনের অবস্থা ভেদে সবার অনুভুতি ভিন্ন। ইফতেখার কফির মড হাতে ছেলের রুমে প্রবেশ করেছে।রুমটা দেখেই দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো।নিভ্র আজও প্রতিদিনের মত বিছানার নিচে এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে।ইফতেখার এবার চোখ বুলালো রুমের চারপাশ। সারা রুম জুড়ে একজনের ছবিতে ডাকা।কোনো ছবি অনুভুতি মিশ্রিত হাতে আঁকা আবার কোনো ছবি ভালোবাসা দিয়ে যত্নে তোলা।নিচেও কিছু পেইন্টিং এলোমেলো হয়ে পরে আছে।ইফতেখার কফির মগ রুমের টেবিলে রেখে দিলো।নিচে বসে একটা একটা করে ছবি কুড়িয়ে নিতে লাগলো।ছবি গুলো গুছিয়ে টেবিলের উপড় তুলে রাখলেন।ধীর গতিতে হাঁটুতে ভড় দিয়ে ছেলের কাছে এলেন।ছেলের মাথায় হাত দিয়ে আদুরে গলায় বলে……..
—“আদর সোনা উঠো।সকাল হয়েগেছে।”
ছেলের নড়াচড়া না দেখে বিছানা থেকে একটা বালিশ নিয়ে ছেলের মাথার নিচে রাখতেই তার বুকে হাত লেগে যায়।নিভ্র চকিতেই উঠে বসে লাল লাল চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে…….
—“আম্মু তুমি এখানে কেনো??”
ছেলের মুখে আম্মু ডাক শুনতে তার ভালো লাগে।মনে হয় কলিজা জুড়িয়ে গেছে।কিন্তু যার জন্য এই ডাক শুনার এমন সৌভাগ্য হয়েছে তাকে হারিয়ে সে নিজেও প্রচণ্ড কষ্ট আছে।সেখানে তার ছেলে তো মেয়েটাকে জীবন দিয়ে ভালোবেসেছে।সে যে কিভাবে এখনো টিয়ে আছে এটা ভেবেও একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো ইফতেখারের।মেয়েটা যা করেছে তার জন্য সামনে পেলে ঠাটিয়ে দুই চারটি চড় বসিয়ে দিবে সে।আর তার একহাতের সাথে নিজের ছেলের এক হাত হ্যানকাপ দিয়ে বা লোহার শিকল দিয়ে বেধে দিবে।তখন দেখবে কোথায় যায় এ মেয়ে।নিভ্র মায়ের দিকে তাকিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে।রি রি করে তার কান্নার শব্দ ভেসে আসে।ইফতেখার ছেলের কান্না দেখে যেন সোজ্জ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।রাগি গলায় বলে উঠে……
—“কান্না করার মানে কি আদর??আর কত কান্না করবা ওই মেয়ের জন্যে যে কিনা তোমার ফিলিংস যানার পড়েও তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে??”আর কাঁদবা না। আমারও কষ্ট হয়।”
—আম্মু ওই তো তোমাকে নতুন কোরে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। জিবনের সবচাইতে বেস্ট ফিলিংস গুলোর সাথে পরিচয় করিয়েছে।আমার জীবনের বেস্ট একটা বছর দিয়েছে ও আমাকে।ভালোবাসতে শিখিয়েছে। ওকে কিভাবে ভুলি বলো??হচ্ছে না আমার দ্বারা।জাস্ট পারছিনা।”
—আর কত খুঁজবা?? খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে যাবা এবার।
—হলে হবো। কিন্তু ওকে খুজে বেড় করতে হবে।ওকে চাই। যেকোনো মূল্যে চাই।সব কিছুর উর্দ্দে গিয়ে ওকে আমার চাই।
.
নিভ্র উঠে গেল।আজ আবার নতুন করে খুঁজা শুরু করবে।আবার হন্ন হয়ে খুঁজবে। ইফতেখার মনে মনে বলে উঠে…
“যে নিজে থেকে হারিয়ে যায় তাকে খুঁজা যায় না বাবা” কথাটা বলেই দীর্ঘশ্বাস নিয়ে পর্দা ঠেলে নিভ্রর বেড রুম থেকে নিভ্রর সোফার রুমে ডুকে পরে।তারপর হাঁটা ধরে।রুমের বাহিরে দেয়ালে ঝুলানো কাঁচের বোতলে জোনাকি পোকা ঝুলতে দেখে ইফতেখার থামলেন। বিড়বিড় করে বলে উঠে… তুমি এসেছিলে একঝাঁক জোনাকির আলোর মতো। জোনাকি যেমন অন্ধকার জায়গাকে আলোকিত করে তুমিও আমাদের জীবনকে জোনাকির মত আলোকিত করেছ। জোনাকি যেমন নিজের সাথে তার আলোও নিয়ে যায় তুমিও ঠিক একুই ভাবে যাওয়ার সময় আমাদের দেওয়া আলো গুলো নিজের সাথে নিয়ে গেলে।কথাগুলো বলেই তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন। আজ একটা বছর ছেলেটা তার হন্ন হয়ে মেয়েটাকে জায়গায় জায়গায় খুজে চলেছে।মেয়েটা যে কেনো বিনা কারনে বিলিন হয়েগেছে এটা কারো মাথায় ডুকছে না।আর নিভ্র তো পাগলই ছিল কয়েক মাস।মেয়েটার নাম নিয়ে ডাকা হুট হাট করে দরজা খুলে বাইরে চলে যাওয়া।কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে দাড়িয়ে বিড়বিড় করা। হঠাৎ হঠাৎ হাসা।এই তো কিছুদিন আগেই ভালো হয়েছে।হসপিটালে যাওয়া শুরু করেছে।সব কাজ ঠিক মত করছে।মডেলিং টাও করছে কিন্তু তার পুরাপুরি সুস্থতার পিছনে একটাই কারন সাফাকে খুজে বেড় করা।কেনো হারিয়ে গেলো??এই কেনোর উত্তর খুঁজা।
.
🍁
দু’বছর আগে_________________________________
.
#চলবে……………🍁
.
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন……………. 🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here