এক মুঠো প্রেম পর্ব -২০

#এক_মুঠো_প্রেম
#Writer_Mahfuza_Akter
#পর্বঃ২০

-আহির আর বেঁচে নেই, স্পৃহা! এক সপ্তাহ আগেই মারা গেছে সে।

কথাটা কর্ণকুহরে যেন ঝংকার দিয়ে উঠলো। ধপাধপ এগিয়ে চলা পা দুটো মুহূর্তে-ই থেমে গেল। প্রতিটি শিরা-উপশিরায় বয়ে চলা রক্তপ্রবাহ থমকে গেল স্পৃহার। বিস্ফোরিত চোখে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো আনিলার মুখের ওপর। তার মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু একটি বাক্যই বিরাজ করছে, যা বারবার শ্রবণেন্দ্রিয়তে ধ্বনিত হচ্ছে- “আহির আর বেঁচে নেই!” এটা আদৌ সম্ভব? স্পৃহা কম্পিত কণ্ঠে বললো,

-ম্ মিথ্যে বলছেন আপনি? আপনি না আহিরের ওয়াইফ! ওনার ব্যাপারে এ ধরনের মিথ্যে কীভাবে বলছেন?

আনিলা চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা শ্বাস ফেললো। সেই বদ্ধ চোখের কোল ছাপিয়ে তার অজান্তেই দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। হাঁটুর কাছে আনিলার জামা আঁকড়ে টেনে আশফি উত্তেজিত হয়ে স্পৃহাকে দেখিয়ে বললো,

-মাম্মা! মাম্মা!! এটা ঐ আন্টিটা না যার ছবি পাপার ঘরে বাঁধিয়ে রাখা আছে? পাপা সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতো ছবিটার দিকে! তাই না, মাম্মা?

আনিলা মাথা নিচু করে আশফির দিকে জলসিক্ত চাহনিতে তাকায়। ঠোঁটে হাসির রেখা টেনেই হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ায় সে। উত্তরে আশফি উৎফুল্ল হয়ে একটা হাসি দিলো। এক ছুটে স্পৃহার সামনে গিয়ে ওর হাত ধরে আনন্দিত কন্ঠে বললো,

-তুমিই তাহলে আমার কিউট মাম্মা, তাই না?

স্পৃহা প্রশ্নসূচক চাহনি নিক্ষেপ করলো আনিলার দিকে। ওর মাথায় সব কিছু এখন জটলা পাকিয়ে যাচ্ছে। তাই আশফির সামনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো। ওর গালে হাত রেখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

-কিউট মাম্মা মানে?

আশফি খিলখিলিয়ে হেসে বললো,

-ওহ গড! তুমি জানো না? পাপা ঠিকই বলতো! তুমি আসলেই বোকা। আরে পাপা-ই তো আমাকে বলেছিল যে, তুমি আমার আরেক মাম্মা। আমার কিউট মাম্মা!

-‘বলেছিল’ মানে? তোমার পাপা এখন কোথায়?

আফশি গাল ফুলিয়ে বললো,

-জানি না তো! পাপা লাস্ট আমাকে বলেছিল, তিনি আমার থেকে দূরে চলে যাবে। শুধু আমার সাথে স্বপ্নে-ই দেখা করবে। কিন্তু জানো? পাপা না এখন আমার স্বপ্নেও আসে না! পাপা বলতো, “আই এ্যাম অলওয়েজ দেয়ার ফর মাই চ্যাম্প!” কিন্তু এখন আমার মনে হয়, “হি ইজ নো-হোয়্যার ফর মি!” আমি আর পাপার সাথে কথা-ই বলবো না! পাপা ফিরে এলে অনেক রাগ দেখাবো, হুম।

আশফির অভিমানী সুরে বলা কথাগুলো স্পৃহাকে সম্পূর্ণভাবে অসার করে তুললো। ও চোখ ঘুরিয়ে আনিলার দিকে অপলক তাকিয়ে বললো,

-ও এসব কী বলছে? আহির কোথায়?

আনিলা নিজের ভেজা গাল দুটো হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছে নিলো। নাক টেনে নিজেকে ধাতস্থ করে স্পৃহার দিকে এগিয়ে গেলো। নিজের ব্যাগ থেকে অতি যত্নে একটা খাম বের করে স্পৃহার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

-আজ বিকেলে দেশে ফিরেছি আমি। এই লেটারটা তোমায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিরেক্ট এখানে এসেছি। এটাতেই তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পাবে।

স্পৃহা চিঠিটার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সেটা নিয়ে নিলো। কিছুক্ষণ সেটার দিকে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কাগজটা চোখের সামনে মেলে ধরলো। সাদা জমিনে ছোট ছোট কালো বর্ণের শব্দের সমাহার চোখের সামনে ভেসে উঠলো স্পৃহার,

“প্রিয়,
সম্বোধন শুনে রাগ করেছো নিশ্চয়ই? কিন্তু তোমার প্রতি এই সম্বোধন-টাই ব্যবহার করে অভ্যস্ত আমি। তাই একটু তিক্ত অনুভূতি নিয়েই সহ্য করে নাও না-হয়! আর হ্যাঁ, সবসময় তুইতোকারি করে ডাকলেও আজ তুমি করে বলছি। কারণটা না-হয় একটু পরেই বলি।

আজ তোমাকে নিজের কৃতকর্মের খোলাখুলি স্বীকারোক্তি দিতে চলেছি আমি। কখনো ভাবিনি কথাগুলো নিজে থেকেই জানাতে হবে তোমায়! সত্যিই ভাবিনি। এধরণের কিছু ঘটার ভয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতাম। কারণ আমি চাইতাম না তুমি জানো সবটা। সত্যটা আড়াল করার জন্যই তোমার থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে চলে এসেছি। আমি চেয়েছিলাম যে, তুমি আমায় আজীবন ঘৃণা করো। ঘৃণার আড়ালে চাপা পড়ে থাকুক তোমার জীবনে ‘আহির’ নামক অধ্যায়টা। কিন্তু সত্যকে কখনো ঢেকে রাখা যায় না। আমিও পারলাম না। পরিস্থিতি আজ এমন একটা জায়গায় এনে দাঁড় করালো যে, সবটা নিজেকেই স্বীকার করে নিতে হচ্ছে।

সবচেয়ে বড় সত্যিটা কী জানো? সত্যিটা হলো আমি তোমাকেই ভালোবাসি, স্পৃহা। পৃথিবীর আলো দেখার সাথে সাথেই আমি মা-হারা হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে বুকে আঁকড়ে নিয়েই বাবা বেঁচে ছিলেন। তার হাতেই আমি মানুষ হয়েছি। কিন্তু কৈশোরে পদার্পণ করতেই বাবাও আমায় একা করে দিয়ে চলে গেলেন। নামের আগে ‘অনাথ’ শব্দটা যুক্ত হয়ে গেল। কিন্তু বাবা আমার পুরো ভবিষ্যৎটাই গুছিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেজন্য আমায় কোনো সংকটে পড়তে হয়নি। কিন্তু তখন আমার একাকিত্বের সময় আমায় সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউ ছিল না! আমি একটা পনের বছর বয়সী ছেলে, যার আপন বলতে পুরো পৃথিবীতে কেউই ছিল না। ভাবতে পারো সেই সময়টা আমার জীবনের কতো দূর্বিষহ সময় ছিল? কিন্তু সেসময় আমাকে কেউ একজন নিজের বুকে আগলে নিয়েছিল। আমার পরিবারের অভাব পূরণ করেছিল। ওর জন্যই আমি পৃথিবীতে টিকে আছি। সেই ব্যক্তিটা আনিলার হাসবেন্ড আর আশফির জেনেটিক বাবা আয়াফ। অবাক করার বিষয় হলেও এটাই সত্যি।

আয়াফ আনিলাকে বিয়ে করেছিল ছয় বছর আগেই। তখন আমি, আয়াফ আর স্পন্দন তিনজনই ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম। দিনকাল বেশ ভালোই চলছিল তখন। কিন্তু বিয়ের ছয়-সাত মাস পর-ই সবকিছু ওলট পালট হয়ে গেল। আমি তখন হলে থাকতাম। আনিলা নিজের বাবার বাসায় গিয়েছিল কয়েকদিনের জন্য। তখন ও অন্তঃসত্তা ছিল। একদিন রাতের বেলা আমার ফোনে আয়াফের কল আসে। আমি ফোন রিসিভ করতেই ওর কাতরানো কন্ঠ শুনতে পাই,

‘ আ… আমি চ্ চলে যাচ্ছি, আহির। হয়তো আর বাঁচবো না। তুই শুধু আনিলা আর আমার বাচ্চাটাকে দেখে রাখিস। ওদের খেয়াল রাখিস। তোকে যেমন আমার বাবা মা পরিবারের অভাব বুঝতে দেয়নি, তুইও আমার বাচ্চাটাকে বাবার অভাব বুঝতে দিস না। ভালো থাকিস। ‘

এটাই ছিল ওর সাথে আমার শেষ কথা। সেদিন আয়াফ ওর বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছিলো। কিন্তু রাস্তায় কার-এক্সিডেন্টে তারা তিনজনই মারা যায়। আয়াফ শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে আমায় ফোন দিয়েছিল। হয়তো ও বুঝতে পেরেছিল ও আর বাঁচবে না, যেমনটা আমি বুঝতে পারছি!

সে যাইহোক, আয়াফের মৃত্যুর পর আনিলা একদমই ভেঙে পড়েছিল। আমি আর স্পন্দন ওকে সাপোর্ট দিয়ে আসছিলাম। এরপর আশফি পৃথিবীতে এলো। আশফি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখলে আমিই ওকে পাপা ডাক শেখাই। আনিলা নিষেধ করেছিলো। কিন্তু আমি আশফিকে বাবার অভাব বুঝতে না দেওয়ার জন্য সব চেষ্টা করেছি। আসলে যার কারণে নতুন জীবন পেয়েছি, তাকে দেওয়া কথা রাখতে পারবো না- এতোটা স্বার্থপর হতে পারিনি আমি। সেই সময়ে আমি তোমাকে ভালোবাসতাম আর আমার বিশ্বাস ছিল, তুমি সবটা জানার পর কখনো বাঁধা দেবে না। স্পন্দনও সবটা শুনে আশ্বাস দিয়েছিল যে, কোনো সমস্যা হবে না।

এরপর তুমি ভার্সিটিতে এসে ভর্তি হলে। তখন আমি লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছি মাত্র। আশফির তখন তিন বছর বয়স। স্পন্দনকে না জানিয়েই তোমায় ‘ভালোবাসি’ বলেছিলাম। কিন্তু তুমি আমায় টানা একবছর ঘুরিয়ে নিজের মনের কথা বলেছিলে। আমি তোমায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সবসময় তোমার পাশে থাকবো। কিন্তু আলটিমেটলি আমি কারো প্রতিশ্রুতি-ই রাখতে পারিনি। না তোমার, না আয়াফের। সেদিন রাতেই হুট করে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। নাক আর মুখ দিয়ে প্রচন্ড ব্লিডিং হচ্ছিল। এর আগেও এরকম হয়েছিল, কিন্তু তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু সেদিন রক্ত পড়া বন্ধই হচ্ছিল না! আনিলা আমার বাসায় এসে হসপিটালে নিয়ে যায়। সেদিন-ই জানতে পারি যে, আমার বাবাকে যে রোগটা কেড়ে নিয়েছে, সেই একই রোগ আমাকেও পৃথিবী থেকে কেড়ে নিতে চলেছে। সেসব কথা না-হয় না-ই বলি। ডক্টর বলেছিল, আমার ইম্প্রুভমেন্টের সম্ভাবনা তেমন নেই। তখন প্রচন্ড আক্ষেপ হচ্ছিল। কেন তোমাকে নিজের এই মুমূর্ষু জীবনটার সাথে জড়িয়েছিলাম?

এরপর তোমাকে নিজের থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার জন্য কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিলাম, যেটার জন্য এখন আক্ষেপ হচ্ছে। তখন তোমাকে সবটা জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভয় পেয়েছিলাম। তুমি সহ্য করতে পারবে তো! নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলবে না তো? অনেক ভালোবাসতে যে আমায়! সেই ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। শুধু আনিলা জানতো। ওকে অনেক রিকোয়েস্ট করে বিয়েতে রাজি করিয়েছি আমি। স্পন্দনও অবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওকে আশফির ভবিষ্যতের কথা বুঝিয়ে রাজি করিয়েছি। ও জানতো না যে, তুমিও আমাকে ভালোবাসো। অবশেষে হাতে-কলমে সেই নামমাত্র বিয়েটা হয়েছিল। এরপর যা যা হয়েছে, সবকিছু তোমাকে দেখানোর জন্য। যেন তুমি আমাকে ভুলে, ঘৃণা করে, মুভ অন করো। করেও ফেলেছিলে তুমি। বিয়ে করেছিলে আদ্রকে। বুকের ভেতর হাজারো দহন নিয়েও সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম।

কিন্তু ভাবতেও পারিনি আদ্র তোমার হাত ছেড়ে দেবে। কানাডা চলে আসার পর রোজ স্পন্দনের কাছ থেকে তোমার খোঁজ নিতাম। তুমি মা হতে চলেছ শুনে মনে অনেক শান্তি পেয়েছিলাম এটা ভেবে যে, তুমি সুখে আছো। কিন্তু তোমার বেবি মিসক্যারেজ হয়ে গেছে শুনে আমার পৃথিবী-টাই অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছে করছিল ছুটে যাই তোমার কাছে। কিন্তু সেটা তো এতো সহজে সম্ভব নয়! কারণ একমাস যাবৎ আমি চলৎশক্তিহীন। হুইলচেয়ার-ই আমার চলার একমাত্র অবলম্বন। হয়তো আমার সময়ও ফুরিয়ে এসেছে। মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। তিনদিন পর আমার বাংলাদেশ যাওয়ার ফ্লাইট। জানি না ফিরে যেতে পারবো কিনা! তবে শেষ বারের মতো তোমায় একবার দেখতে ইচ্ছে করছে। হয়তো সেটা আর পুরন হবে না।

আজ আমি বুঝতে পারছি, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল তোমার কাছ থেকে সবটা লুকানো। তোমায় সবটা জানিয়ে দিলে হয়তো এমন একটা দিন দেখতে হতো না! না আদ্রের কাছে তোমায় ঠকতে হতো আর না এতো কষ্ট পেতে হতো। তাই আজ নিজেই সবটা তোমার কাছে বলে দিলাম। কারণ সবটা না জানলে তুমি চিরদিন এটা ভেবে কষ্ট পাবে যে, তুমি দু-দুটো পুরুষের দ্বারা প্রতারিত হয়েছো!

সত্যি তো এটাই যে, আমার ভালোবাসায় একটুও খাঁদ ছিল না। তুমিও আমায় অনেক ভালোবাসতে। কিন্তু ভাগ্য বলেও কিছু একটা আছে যেটা চায় না, তোমার সাথে আমার মিল হোক। হয়তো আমরা একে-অপরের জন্য পৃথিবীতে আসিনি! আমি এসেছিলাম একাকিত্বকে সঙ্গী করে, আবার চলে যাচ্ছি একা হয়েই। তবে আমার শেষ ইচ্ছে আর প্রার্থনা একটাই – তোমার জীবনের সব দুঃখ কষ্টের অবসান ঘটিয়ে এক_মুঠো_প্রেমের আগমন ঘটুক, যেটার কাছে পৃথিবীর সকল ভালোবাসা ফিকে পড়ে যায়। আর আমার বিশ্বাস, আল্লাহ কাউকে নিরাশ করেন না।

ভালো থেকো। তুমি কাঁদলে কিন্তু আমি অনেক কষ্ট পাবো। কখনো আমার কথা ভেবে চোখের পানি ফেলো না। অনুরোধ রইলো। বিদায়।

-তোমার অপ্রিয়”

তিন পাতার চিঠিটা থেকে চোখ তুলে সামনে তাকালো স্পৃহা। চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে ওর। পলক ফেলতেই চোখে গড়িয়ে পড়লো টসটসে জলকণা। চিঠিটাও হাত গলিয়ে ফ্লোরে পড়ে গেল। স্পৃহা নিজেও ধপ করে বসে পড়লো মাটিতে। কান্নার তোড়ে শ্বাস রোধ হয়ে আসছে ওর। মুখে হাত চেপে ধরে শব্দ করেই কেঁদে দিলো সে। চিৎকার করে বললো,

-কেন করলে আমার সাথে এমনটা? কেন? কেন?

স্পৃহাকে এভাবে কাঁদতে দেখে প্রান্তি দুই হাতে নিজের মুখ চেপে ধরলো। আনিলার চোখ দুটোও পানিতে ভরে উঠেছে। স্পৃহা আজ অঝোর ধারায় কাঁদছে। কান্না যেন থামতেই চাইছে না! কিন্তু বেশিক্ষণ কান্না স্থায়ী হলো না। হাঁটু মুড়ে বসা অবস্থায়-ই মাথা ঘুরিয়ে উঠলো ওর। ঢলে পড়লো মাটিতে। কিন্তু ফ্লোরে পড়ার আগেই কেউ বাহুডোরে আগলে নিয়ে নিজের বুকে আশ্রয় করে দিলো স্পৃহাকে।

# চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here