এক_রক্তিম_ভোর পর্ব ২১

#এক_রক্তিম_ভোর
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_২১

বিয়ের কার্যক্রম শেষ হয়েছে কিছুক্ষন। তানজিলা এবং নাফিজকে ঘিরে রেখেছে দুই পরিবার। মাহি কিংবা নাবিলা কেউই তানজিলার কাছে থাকতে পারছে না। তাছাড়া তানজিলা কান্না জুড়ে দিলে মাহি এবং নাবিলাও শুরু করবে। তখন যাচ্ছেতাই অবস্থা হবে। নাবিলা এবং রোহান কিছুটা দূরে বসে গল্প করছে। গল্প করছে বললে ভুল হবে। রোহান বলছে এবং নাবিলা শুনছে। যদিও ওর মনোযোগ কিছুটা দূরের, আড়চোখে দেখতে থাকা প্রয়াস ভাইয়ার দিকে। মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। প্রয়াস যে খুব কষ্ট করে ওকে সহ্য করছে তা নাবিলা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে।

‘রোহান ভাইয়া? ওই পাজি সোহানটা আপনার ভাই তাইনা?’
মাহি কোমড়ে হাত দিয়ে রোহানের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো।

‘হ্যা আমারই ভাই। কেনো কিছু করেছে বুঝি?’

‘করেনি আবার। সেই কখন থেকে আমার পেছনে লেগেছে। শুধু বলেই চলেছে আমি নাকি ময়দা সুন্দরী। আপনিই বলুন ভাইয়া! আমি কি এমন মেক-আপ করেছি? বান্ধবীর বিয়েতে এইটুকু সাজবো না? মানুষ আরো কত্ত গর্জিয়াসভাবে সাজে।’

‘আরো গর্জিয়াস কিভাবে সাজে? না মানে আপনার মুখের কোথাও তো খালি দেখছি না। আরো মেক-আপ করবেন কোথায়?’
একটি অপরিচিত পুরুষ এসে দাড়ালো মাহির পাশে।

‘দেখেছেন ভাইয়া আপনার ভাই আবার খোচাচ্ছে আমায়।’

নাবিলা ছেলেটাকে চিনতে না পেরে রোহানের মুখের দিকে তাকালো। রোহান তা বুঝতে পেরে বললো,

‘ও আমার ছোট ভাই সোহান। মাস্টার্স পড়ছে।’
তারপর সোহানের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আর সোহান, ও হচ্ছে নাবিলা। আমার এক পুরোনো ছাত্রী।’

সোহান দাত কেলিয়ে হাত নেড়ে বললো,
‘ওসব ছাত্রী টাত্রী মানি না। বিয়ে বাড়িতে ওনারা এখন আমার বেয়াইন হন। তাইনা ময়দা সুন্দরী বেয়াইন!’

‘আবার? প্লিজ! দোহাই লাগে আমার প্রেস্টিজ এভাবে সবার সামনে পাঞ্চার করবেন না। আমার ক্রাসরা কি ভাববে?’

‘ক্রাসরা?’ সোহান মাথায় হাত দিয়ে ফেললো।
‘কয়টা ক্রাস আপনার?’

মাহি দাত দিয়ে জিভ কাটলো। ভুলে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে। রোহান এবং নাবিলা হেসে ফেললো।
নাবিলা মনে পড়ার ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলো,

‘তার আগে বল স্যার তোর ভাইয়া হলো কি করে?’

মাহি মুচকি হেসে বললো,
‘উনিই তো বিয়ে বাড়িতে আজকে আমার প্রথম ক্রাসের স্থান দখল করেছে। তাই আগেই আমি পরিচয় পর্ব সেড়ে ফেলেছি।’

রোহান মাহির এমন অকপট স্বীকারোক্তিতে শব্দ করে হাসলো।
‘শুধু বয়সেই বড় হয়েছো দেখছি। মনের দিক থেকে এখনো ইম্যাচিউর।’

‘হ্যা। আমরা চির সবুজ। বয়স ট্রেন কিংবা রকেটের গতিতে ছুটুক। মন আমাদের বাচ্চাই থাকবে। ‘দিলতো বাচ্চা হ্যায় জি’ তাইনা নাবিলা?’

নাবিলা সাথে তাল মেলালো।
‘আমাদের ভালোবাসার, আগলে রাখার মানুষ যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা ইম্যাচিউর হয়েই থাকবো।’

‘আফসোস আমি কারো ক্রাস হতে পারলাম না।’ সোহান আক্ষেপের সুরে বললো।

‘আপনি এসেই যদি আমার পেছনে না লাগতেন তাহলে ভেবে দেখতাম আমার সম্মানিত ক্রাসের ফলে আপনাকে ফেলা যায় কিনা।’

‘ইশশ! আপনার মতো ময়দা সুন্দরীর ক্রাস হতে বয়েই গেছে আমার।’

‘ভাইয়া…. আপনার পাজি ভাইকে চুপ হতে বলুন প্লিজ।’

‘তোমাদের মাঝে আমি নেই বাবা। আমায় টেনো না।’

প্রয়াস চেয়ার টেনে পাশে বসে বললো,
‘ ক্রাস অথবা ভালোবাসার মানুষকে ভাইয়া ডাকা তোমাদের বান্ধবীদের কমন স্বভাব তাইনা। একজন ভাইয়াকে বিয়ে করলো। আরেকজন ক্রাসকে ভাইয়া বানালো। আর কেউ কেউতো ভালোবাসার মানুষকে রক্তের সম্পর্কের না হওয়া স্বত্তেও নিজের বড় ভাই বানিয়ে ফেলছে।’
শেষের লাইনটা একটু কর্কশ শোনালো।

নাবিলা এবং মাহি দৃষ্টি বিনিময় করলো। প্রয়াসের কথাটা ওরা ধরতে পেরেছে।

‘আসলে প্রথম দেখায়তো আর বোঝা যায় না সে বিবাহিত বা গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা তাই ভাইয়া দিয়েই শুরু করলাম আরকি। আর রইলো কথা তানজিলা আর নাবিলার! ভাইয়া থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে ভাইয়া’ই ভালো।’ মাহি দাত কেলিয়ে বললো।

মাহি এবং সোহানের খুনসুটি চললো কিছুক্ষন। রোহানের ডাক পড়তেই সে উঠে চলে গেলো। পেছনে সোহানও। মাহি নাবিলার পাশের চেয়ারে বসে গলা ঝেরে বললো,

‘তোর সাথে রোহান ভাইয়াকে দারুন মানিয়েছে নাবিলা। যতটুকু বুঝলাম উনিও তোকে লাইক করছে। এগোবি?’

নাবিলা প্রয়াসের দিকে একপলক তাকালো। তারপর লজ্জায় মাথা নুইয়ে নিলো। প্রয়াস অগ্নি দৃষ্টিতে দেখছে নাবিলা এবং মাহিকে। মাহি শুকনো ঢোক গিলে অন্যদিকে ফিরলো। বেশি বলে ফেলেছে।
নাবিলা লজ্জা ধরে রেখেই বললো,

‘মন্দ হবে না। আমি ওনার চোখে আমার জন্য কিছু দেখেছি…’

নাবিলা কথা শেষ করার আগেই প্রয়াস বললো,
‘এবার আমার চোখে দেখবি।’

নাবিলার হাত টেনে বের হয়ে গেলো বিয়ে বাড়ি থেকে। নাবিলা হাজারবার অনুরোধ করলো থাকার। প্রয়াশ শুনলো না। চারিদিকে তখন রাতের আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়েছে। নাবিলাকে টেনে গাড়িতে বসিয়ে দিলো প্রয়াস। নিজেও ড্রাইভিং সিটে উঠে বসে নাবিলার বাহু ধরে নিজের দিকে ফেরালো।

‘সবার চোখের ভাষা বুঝিস। এবার বল আমার চোখে কি দেখিস?’

‘রা..রাগ।’

প্রয়াস নাবিলার বাহু ছেড়ে দিলো। জোরে জোরে কয়েকবার নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলো। দৃষ্টি নমনীয় করলো। কন্ঠে ভালোবাসা এবং আকুলতার সংমিশ্রণ ঘটালো।

‘এবার? এবার বল কি দেখিস। আমার চোখে কি তোর জন্য শুধুই রাগ? শুধুই শাসন? আর কিছু দেখিস না? বুঝিস না? ভালো করে দেখে বলতো এই চোখে কি কোনো অনুভূতি নেই?’

‘আছে। তোমার চোখ কেমন লাল লাল হয়ে আছে। তোমার বোধহয় ঘুম পেয়েছে। বাড়ি যাওয়ার আকুলতা দেখতে পাচ্ছি।’

প্রয়াসের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। আর একটা কথাও বললো না। বোঝা হয়ে গেছে সব।
গাড়ি চলতে শুরু করতেই নাবিলা মনে পড়ার ভঙ্গিতে বললো,

‘এই যা! আমিতো রোহান ভাইয়াকে বিদায়’ই দিলাম না। যদি খোজ করে? একটা ফোন করি নাহয়।’

প্রয়াস সাথে সাথে ব্রেক কষলো। নাবিলার হাত থেকে ছো মেরে ফোনটা নিয়ে ডায়াল লিস্ট দেখতে দেখতে স্বগতোক্তিতে বললো,

‘এর মধ্যে ফোন নাম্বারও আদান-প্রদান হয়ে গেছে?বাহ বাহ!’

‘ফোন নাম্বার এখনো সেভ করিনি। ওখানে পাবে না। আমি মুখস্ত করে নিয়েছি। মোবাইল থেকে ডিলেট করলেও আমার মন থেকে পারবে না।’

প্রয়াস ফোনটা পেছনের সিটে ছুড়ে দিয়ে ওর দিকে অগ্রসর হলো। নাবিলা গাড়ির দরজার সাথে লেগে গেলো। কিন্তু প্রয়াসের এগোনো থামলো না। দুজনের মাঝে এক ইঞ্চি দূরত্ব রেখে প্রয়াস থামলো। নাবিলার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার যোগার। নিশ্বাসের গাঢ়ত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো দুজনের। প্রয়াস কিছুক্ষন নাবিলার ভীতু চোখে তাকিয়ে রইলো। সেই ধারালো চাহনি সইতে না পেরে নাবিলা চোখ বুজে ফেললো।

তাহলে কি সেই মুহূর্তটা ধরা দিলো অবশেষে? প্রয়াস ওকে মনের কথা জানিয়ে আপন করে নেবে ওকে! নাবিলা সেই কাঙ্খিত শব্দটির অপেক্ষায় রইলো।
প্রয়াস তাতে জল ঢেলে দিয়ে বললো,

‘তোর মন আমি ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকাতে দেবো।’

গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো। গতি ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় নাবিলা ভয় পেলো।

‘ভাইয়া আস্তে চালাও। এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে তো।’

‘তোকে নিয়েই মরবো আজ।’

__________

বাড়ি ফিরে নাবিলা ক্ষিপ্ত মেজাজে রইলো। লোকটা এতো ধুরন্ধর যে জেলাস হওয়া সত্ত্বেও মনের কথা স্বীকার করলো না। সারাদিনের এতো পরিশ্রম সব মাঠে মারা গেলো। এই লোকের আশায় থাকতে থাকতে নাবিলার ধৈর্যের বাধ ভেঙে যাচ্ছে।

ঘুমানোর সময় কয়েক দফা তর্ক চললো নাবিলা এবং নয়নতারা বেগমের মাঝে। নাবিলা নিজের রুমে ঘুমাতে চায়। অন্যদিকে নয়নতারা বেগম তা দিতে নারাজ। অয়ন দেশে নেই তাই ভয় নেই, এসব বোঝাতে লাগলো দাদিকে।

নাবিলার অবশ্য নিজের রুমে ঘুমাতে চাওয়ার কারন আছে। সে চায় প্রয়াস রাতে ওর ঘরে আসুক। লোকটাকে সবদিক দিয়ে ঘিরে ফেলতে চায় নাবিলা। কিন্তু দাদিকে সে কথা কিভাবে বোঝায়। নাবিলা নয়নতারা বেগমকেও ওর সাথে ওর রুমে ঘুমাতে বললো। তাতে তিনি রাজি হয়ে গেলেন।
নাবিলা জানে। নয়নতারা বেগম যেসব ঔষধ খান তার মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেটও আছে। একবার ঘুমালে ফজরের আযানের আগে তার ঘুম ভাঙবে না।

ঘুমানোর আগে নাবিলা বারান্দায় কিছুক্ষন পায়চারী করলো। উদ্দ্যেশ প্রয়াসের দৃষ্টি আকর্ষন। নয়নতারা বেগম ইতিমধ্যেই ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গেছেন। তিনি নয়টা বাজতেই ঘুমের দেশে পাড়ি জমান।
প্রয়াস বারান্দায় নাবিলাকে হাটাহাটি করতে দেখে নিজেও বারান্দায় আসলো।

‘তুই এই রুমের বারান্দায় কি করছিস?’

‘আজ থেকে আবার এই রুমেই ঘুমাবো। দাদিকে ম্যানেজ করেছি। আর বারান্দার দরজাও খোলা থাকবে। অয়নের ভয়তো আর নেই। চারিদিক সিকিউর করা। হে হে।’

নাবিলা মেকি হেসে প্রয়াসকে কিছু বলতে না দিয়েই রুমে চলে গেলো৷ ওর উদ্দেশ্য পঞ্চাশ ভাগ সফল হয়ে গেছে।

_________

মাঝরাত অবধি এপাশ ওপাশ করে নাবিলা প্রায় বিরক্ত। লোকটা এখনো কেনো আসছে না বুঝতে পারছে না। নাকি আসবে না? নিজের মনে হাজারটা কথা সাজাতে লাগলো।

রাতের নিস্তব্ধতায় নাবিলার কেনো যেন অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে। আধারের মাঝে মানুষ যখন নিজেই নিজের কাছে আবছা হয়ে যায় তখন তার সকল আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, অভিলাষ, পাওয়া, না পাওয়া, দুঃখ, বিষাদ এসে ভর করে। অনুভূতিগুলো এসে জানান দেয় তাদের অস্তিত একজন ব্যক্তিকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কতটা সুখ কিংবা কতটা দুঃখ দিতে পারে। কতটা দহনে পোড়াতে কিংবা ভালোবাসায় মোড়াতে পারে।

নাবিলার ভেতর এখন একটা সুখ যন্ত্রণা ভর করেছে। একে অপরের মনের কথা জেনে নিভৃতে সেটা অনুভব করার মাঝেও একটা সুখ আছে। সাথে কিছুটা বলতে না পারার একটা সুক্ষ্ম যন্ত্রনা। এটা এক অপ্রকাশিত অথচ অদম্য অনুভূতি। প্রয়াসেরও কি তা হয়? জানা নেই নাবিলার। তবে সেই মানুষটার সবটা জুড়ে শুধু ওর বসবাস। একান্তই ওর।

বারান্দায় একটা শব্দ হলো। অতি সাবধানতা অবলম্বনকারীর দ্বারা ভুল বসত ঘটে যাওয়া একটা শব্দ। প্রয়াস চুপ করে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইলো। কাল সবার আগে সিসিটিভি ফুটেজের দফারফা করতে হবে। নাহলে কাকাইয়ের হাতে ধরা পড়া নিশ্চিত। মেয়েটা যে কেনো এত জ্বালায় ইদানীং! যদি না সে এই রুমে আসতো তাহলে প্রয়াসেরও জেগে জেগে বারান্দা পাহাড়া দিতে হতো না। আর না দেখার ইচ্ছা হতো। বিরক্তি সূচক একটা নিঃশ্বাস ফেলে রুমের দিকে সঙ্গোপনে এগিয়ে গেলো।

আজ রুমের ড্রিম লাইটটা জালিয়েই ঘুমিয়েছে নাবিলা। প্রয়াস ঘুমন্ত নাবিলার পাশে বসলো। সারাদিনের সব রাগ গলে জল হয়ে গেলো। অভিমানের পাহাড়ে ধস নামলো। স্রোতের গতি প্রবল হলো হৃদয়ের তীরে। প্রয়াস তার প্রেয়সীর মুখের ওপর ঝুকলো। কপালের ছোট চুলগুলো এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেগুলো সন্তর্পণে সরিয়ে দিলো। নিজের নিজের অশান্ত মনকে আটকে রাখার অদম্য প্রয়াসের কাছে হার মেনে অধর যুগলের উষ্ণ স্পর্শ এঁকে দিলো নিদ্রা কুমারীর কপালে।

‘তুই কি জানিস তুই অনেক দুষ্টু হয়ে গেছিস? সারাক্ষন পোড়াতে থাকিস আমায়। শান্তিতে ঘুমাতেও পারিনা। আমার স্বপ্নের মাঝেও তোর অস্তিত্ব। এভাবে মায়ায় বাধলি কি করে তুই? জেনেবুঝে করিস নাকি না জেনেই?’

‘আজ তোর ওপর এক আকাশ অভিমান জমিয়েছিলাম। অন্য ছেলের প্রশংসা কেনো করবি তুই? কেনো দেখবি তাদের? তুই শুধু আমাকে দেখবি। আর আমি তোকে। আমাকে এমন হিংসুক কিভাবে করে দিলি রে? জানিস তোর জন্য কতটা ভালোবাসা লুকিয়ে রেখেছি মনের মাঝে। আমার চোখের ভাষা কেনো বুঝিস না রে? তোকে যত্নে মুড়িয়ে রাখার প্রয়াসেই যে আমার প্রতিটা রজনী কাটে। আমি যে তোকে অনেক ভা…’
চুপ হয়ে গেলো প্রয়াস। বাকিটুকু বলতে পারলো না। গলা ধরে এলো।

নাবিলার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। ঘুমন্ত মানুষের সামনে অন্তত শিকার করতে পারতো। চুপ হয়ে যাওয়ার মানে কি? ধুর!

নাবিলা হুট করেই উঠে বসলো। প্রয়াস ভরকে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। নাবিলা এভাবে উঠে বসবে ভাবতেই পারেনি। কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে চোরের মতো চলে যেতে চাইলে নাবিলা ওর হাত ধরে ফেললো।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here