এক_রক্তিম_ভোর পর্ব ২৬

#এক_রক্তিম_ভোর
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_২৬

সূর্য প্রায় মাঝ গগনে এসে পড়েছে। সোনালি আলোর তেজে প্রকৃতিকে নাজেহাল যাচ্ছে অনবরত। বাগানে হলুদের আয়োজনে ছুটতে থাকা মানুষ জন ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। সায়মা বেগম ছুটেছে সবাইকে শরবত তৈরি করে দিতে। ফুল দিয়ে স্টেজ বানানো প্রায় অনেকটা হয়ে এসেছে। বাড়ির বারান্দা থেকে প্রয়াস সেদিকেই তাকিয়ে আছে। হলুদের আগ পর্যন্ত সে নাবিলার দেখা পাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নয়নতারা বেগম। বেশ কয়েকবার ফোনও দিয়েছিলো কথা বলতে। কিন্তু আশে পাশে কেউ না কেউ তাতে বাধা দিয়েছে। হয় কোনো কাজিন ফোন কেড়ে নিয়েছে অথবা বড়রা আশে পাশে থাকায় কথা বলতে পারেনি।

প্রয়াস দেখলো ওর বাবার দৃষ্টিতে আজ খুশি ঝরে পড়ছে। কত দিন পর তিনি এতো খুশি প্রয়াস মনে করতে পারলো না। প্রয়াসের মায়ের মৃত্যু সবাই মেনে নিলেও মানতে পারেননি শাহেদ সাহেব। তিনি একফোটা কাদেননি। কথা বলেননি দীর্ঘদিন। তার ভেতর একটা অদৃশ্য অভিমান সৃষ্টি হয় প্রয়াসের মায়ের প্রতি। সেই অভিমান থেকেই ছেলের সমস্ত দায়িত্ব সায়মা বেগমের হাতে দিয়ে তিনি নিজের কর্মজীবনে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেন।

ব্যস্ততাই শাহেদ সাহেবের ভালো থাকার, ভুলে থাকার একমাত্র ঔষধ। প্রয়াস নিজেও কতরাত বাবার ওপর অভিমান করে বালিশ ভিজিয়েছে। মায়ের চলে যাওয়ায় বাবাকে কাছে চেয়েছে। কিন্তু তার বাবা হুট করে কেন বদলে গেলো? তাকে আর ভালোবাসে না। আদর করে না। ঘুরতে নিয়ে যায় না সহ আরো কত অভিযোগ। ওকে সবসময় পজিটিভ ভাবে বুঝিয়ে গেছেন সায়মা বেগম।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রয়াস নিজেও বুজেছে বাবার ভালোবাসায় কমতি হয়নি। শুধু একটা পর্দা পড়েছে। শাহেদ সাহেব নিজেই সেটা তৈরি করেছে। প্রয়াসের ঘুমানোর পর রাতে মাথার কাছে কেউ থাকতো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো। প্রয়াস টের পেলেও চোখ খুলতো না। বাবার গায়ের মমতাময়ী গন্ধ, আঙুলের ভাজে ভাজে স্নেহ জানান দিতো তিনি এসেছেন। তার প্রতিটা আঙুল যখন প্রয়াসের চুলের ভাজে থাকতো প্রয়াস টের পেতো তাতে অপার ভালোবাসা মাখানো আছে। বা

বাবাও যে মায়ের মতো মমতাময়ী হয় সেটা প্রয়াস বুঝেছে বয়সের সাথে ধীরে ধীরে। আজ এতোদিন পর বাবার চোখে মুখে এতো খুশি দেখে প্রয়াসের অন্তরে ভালোলাগা ছেয়ে গেলো।

____________

দুপুর বারোটা নাগাদ নাবিলা, জেসি, মাহি সাথে আরো কিছু কাজিন পার্লারের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো। তানজিলা বিকেলে এসে যোগ দেবে বিয়েতে। বাইরে এসেই যেন জেসি, নাবিলা এবং মাহি হাফ ছেড়ে বাচলো। বিশেষ করে জেসি। বিদেশি নারীর প্রতি বিয়েতে আসা প্রতিটা আত্মীয়ের একরাশ কৌতুহল দেখা যাচ্ছিলো।

জেসির বাদামী চোখ, বাদামী চুল, পোষাক সব খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছিলো সবাই। সকাল থেকে ঘরে দরজা বন্ধ করে বসেছিলো সে। এখন পার্লারের জন্য বেড়িয়ে এসে খুব ভালো লাগছে। দুই গাড়িতে সবাই পার্লারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে। যার মধ্যে একটায় নাবিলা, জেসি এবং মাহি। আর অন্যটায় সব কাজিন।

সবার সাজগোজ শেষ হতে প্রায় বিকেল গড়ালো। এর মাঝে প্রয়াস নাবিলাকে তিনবার কল দিয়েছে। নাবিলা রিসিভ করেছিলো একবার। কিন্তু সবাই এমন ভাবে ওদের কথা গিলতে ব্যস্ত ছিলো যে বেচারি প্রানখুলে কিছু বলতেই পারলো না।

নাবিলা হলুদ এবং সবুজের কম্বিনেশনে একটা লেহেঙ্গা পড়েছে। সাথে আর্টিফিশিয়াল ফুলের গহনা। কোকড়া চুলগুলো ছড়িয়ে খোপা করা হয়েছে। সেখানে রঙ বেরঙের ছোট ছোট আর্টিফিশিয়াল ফুল লাগানো হয়েছে। পার্লারে এই প্রথম সাজ ওর। মুখে যে এতো প্রকার প্রসাধনী মাখা হয় নাবিলা সেগুলোর নাম শুনেছে কিনা সন্দেহ। পুরো সাজ শেষ হওয়ার পর ওর ওজন কয়েক কেজি বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে।

মাহি সেজেছে বেবি পিঙ্ক কালারের লেহেঙ্গায়। সাজেনি একমাত্র জেসি। ওর এতো সাজ ভালো লাগে না। যেভাবে এসেছিলো সেভাই রইলো। নাবিলা বেশ কয়েকবার বলেও সাজাতে পারলো না। আজ জেসিকে কিছুটা অন্যরকম লাগছে। চোখেমুখে প্রাণোচ্ছল ভাবটা কোথাও উধাও হয়ে আছে।

পার্লার থেকে বেড়িয়ে গাড়িতে ওঠার সময় মাহি হঠাৎ করেই বললো,

‘দোস্ত। তোরা চলে যা। আমার সামনে একটু কাজ আছে।’

নাবিলা ভ্রুকুটি করে বললো,
‘সামনে আবার কিসের কাজ? আর এই সাজে তুই অন্য কোথাও যাবি?’

‘হ্যা। ওই আসলে একটু হসপিটাল যাবো।’

নাবিলার মনে পড়লো কাল হসপিটাল যাওয়া নিয়ে সোহান এবং মাহির কথা হচ্ছিলো। রোহান স্যার হসপিটালে এডমিট। ওকে দেখতে যাবে মাহি।

‘আচ্ছা যা। তবে অনুষ্টান শুরুর আগে যেন তোকে বাড়িতে পাই।’

‘পৌছে যাবো চিন্তা করিস না।’

‘সোহান ভাইয়ার মনের অবস্থা নিশ্চয়ই ভালো নেই। তোকে দেখলে ভালো হয়েও যেতে পারে। অবশ্য সেজেগুজে গিয়ে ময়দা সুন্দরী ডাকার সুযোগ করে দিচ্ছিস কিন্তু।’

‘এহহ। আজ বলে দেখুক। হসপিটালেই ঝগড়া বাধাবো। আচ্ছা এখন আসি।’

মাহিকে বিদায় জানিয়ে নাবিলা গাড়িতে বসলো।ও নিজেও যেত রোহান স্যারকে দেখতে। কিন্তু সেটা প্রয়াস কিভাবে নেবে ভেবে পেলো না। প্রয়াসকে বলেই নাহয় দুজনে মিলে একদিন ওনাকে দেখে আসবে, মনে মনে ঠিক করলো নাবিলা।

গাড়ি কয়েক মিনিট চলার পর হুট করেই জেসি গাড়ি থামাতে বললো। নাবিলা ভ্রুকুটি করে তাকালো ওর দিকে। জেসি ড্রাইভার কে অল্প সময়ের জন্য বাহিরে যেতে বললে নাবিলা অবাক হলো। ড্রাইভার চলে যেতেই নাবিলা প্রশ্ন করলো,

‘কি হয়েছে আপু? তোমাকে আজ সকাল থেকেই কেমন মনমরা লাগছে। এখন আবার উশখুশ করছো। তুমি ঠিক আছো?’

জেসি নার্ভাস ফিল করছে। নাবিলা এই প্রথম জেসিকে নার্ভাস হতে দেখলো। চোখে কেমন একটা বিষাদ লেগে আছে। জেসি নাবিলার হাত চেপে ধরে বললো,

‘আমাকে যেতে হবে নাবিলা।’

‘যেতে হবে মানে?’ নাবিলা বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো।

‘মানে আমি দেশ ছাড়তে চাই নাবিলা। এখানে আমার দম বদ্ধ লাগছে। মনে হচ্ছে কেউ গলা চেপে ধরেছে৷’

‘কি হয়েছে আপু। আমাকে বলো প্লিজ!’

‘জানি না নাবিলা। শুধু এইটুকু জানি আমি এদেশে থাকতে চাইনা এখন। আমার ভেতর কেমন এক হাহাকার হচ্ছে। জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। অদৃশ্য কেউ গলা চেপে ধরছে। মনে হচ্ছে হয়তো এখান থেকে চলে গেলে কিছুটা লাঘব হবে।’

নাবিলা ভালো করে জেসিকে দেখলো। চোখটা কেমন টলমল করছে জেসির। ওর বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠলো। এই পরিস্থিতির সাথে নাবিলা পরিচিত। জেসির হাত শক্ত করে ধরে খুব কষ্টে উচ্চারণ করলো,

‘ভাইয়াকে খুব ভালোবাসো তাইনা?’

জেসির চোখের জল বাধ ভাঙলো। টুপ করে গড়িয়ে পড়লো চিবুক বেয়ে। নাবিলা নিজেও মন থেকে মানতে চাইলো না। ওর ভেতরেও কষ্টেরা হানা দিলো।ওর ভালোবাসার মানুষের জন্য আরেকজনের চোখে জল।

জেসি হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছে বললো,
‘দুই বছর আগে থেকে। বিশ্বাস করো। আমি শুরু থেকেই জানতাম ও তোমাকে ভালোবাসে। তবুও মনকে শাসনে রাখতে পারিনি। কিভাবে যেন ভালোবেসে ফেললাম টেরই পেলাম না। ও প্রতিনিয়ত তোমাকেই ভেবে গেছে। আর আমি ওকে। কিন্তু কখনো বুঝতে দেইনি। ওর জন্যই বাংলা ভাষাটা ভালো মিতো রপ্ত করেছিলাম। তার আগে আমি বাংলা তেমন জানতামই না।

সবসময় চাইতাম ওকে খুশি রাখতে। সেই খুশি রাখার একটা প্রচেষ্টাই ছিলো আমাদের লন্ডন ট্যুর। সেখানে গিয়ে প্রয়াস সত্যি সত্যিই মন থেকে খুশি হয়ে গেলো এমিলি, অলিভারের সন্ধান পেয়ে। ও তারপর থেকে সারাদিন আমাদের সাথে বসে তোমাকে নিয়ে কি কি করবে তার প্ল্যান করতো। ওর খুশিতে আমিও খুশি ছিলাম। খুব খুশি। এখানে আসার আগেই নিজের মনকে শাসন করে এসেছি। ছিলোও তাই। কিন্তু বিয়েটা সহ্য হচ্ছে না আমার। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে কিছু হারিয়ে ফেলছি চিরজীবনের মতো। আমি আর পারছিনা নাবিলা। আমি পারছিনা।’

নাবিলার চোখের কোল থেকে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। ওর চোখের সামনেই ওর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে কেউ বুকফাটা আর্তনাদ করছে। এটা কি সহ্য করা যায়? জেসি নিজেকে কিছুটা সামলে বললো,

‘তুমি ভেবো না। তোমাদের মাঝে আসার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। আর না প্রয়াসকে নিজের মনের কথা জানানোর ইচ্ছে আছে। তুমিও প্লিজ ওকে কিছু বলো না। আমি ইমোশন ধরে রাখতে পারিনি। সরি।’

নাবিলা এবারেও চুপ রইলো। জেসি একা একাই বলে গেলো।

‘ প্রয়াসের ভালোবাসার মানুষ তুমি। তাই আমিও তোমাকে পছন্দ করি। কিন্তু তোমাকে হলুদের সাজে দেখে খুব হিংসে হচ্ছে জানোতো। নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে এখানে এসেছিলাম বিয়েতে আনন্দ করবো বলে৷ অথচ দেখো! মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি বারবার। তোমাকে পেয়ে কত খুশি প্রয়াস। একটি পুরুষের আরাধনায় সব সময় তুমি ছিলে। আর আমার আরাধনায় তোমাকে চাওয়া সেই পুরুষটার ভালো থাকা। আমার মনে তোমাদের নিয়ে আর কোনো হিংসার সৃষ্টি হোক সেটা আমি চাই না। আমি দূর থেকেই তোমাদের ভালো চাইবো নাহয়। তাই আমাকে এখনি বিদায় দাও নাবিলা। আর আমার কথায় দয়া করে কষ্ট পেয়ো না। ভুলে যাও সব।’

নাবিলা নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে বললো,
‘তুমি কিভাবে যাবে? তোমার সবতো…’

‘সব মায়ের কাছে। শুধু কয়েকটা জামা আছে ওখানে। লাগবে না ওগুলো। আমি এখন মায়ের কাছে যাবো মামা বাড়ি। সেখান থেকে কাল ফিরে যাবো কানাডা। প্রয়াসকে বলো মা অসুস্থ তাই যেতে হলো।’

নাবিলা শক্ত করে জেসিকে জড়িয়ে ধরলো। দুজনের চোখে জল। একজনের আক্ষেপের আর অন্যজনের কিছুটা হিংসা, কিছুটা শ্রদ্ধাবোধ এবং কিছুটা ভালোবাসার এক নতুন মানে জানার। এভাবেও ভালোবাসা যায় সেটা জেসিকে না দেখলে নাবিলা হয়তো জানতোই না।

‘হয়েছে আর কেদো না পাগলি। মেক-আপ নষ্ট হয়ে যাবে। তখন প্রয়াস ভাববে তার বিয়ে হলুদ কোনো পেত্নীর সাথে হচ্ছে।’

‘তুমি এতো ভালো কেনো আপু?’ নাবিলা ফোপাঁতে ফোপাঁতে বললো।

জেসি নিজের ওপর তাচ্ছিল্য করে বললো,
‘কে বললো আমি ভালো? আমার মনেও যে জ্বালা ধরে। হিংসে হচ্ছে তোমার সুখ দেখে। আক্ষেপ হচ্ছে মনের মানুষটাকে না পেয়ে। তোমাদের বিয়ের কথা শোনার পর প্রয়াসের হাসি মুখ আমার সহ্য হচ্ছে না। বারবার নিজেকে তোমার সাথে তুলনা করে ফেলছি। মনে হচ্ছে সব ধ্বংস করে মরে যাই। আমি ভালো নই নাবিলা। আমার কোনো কাজে তোমরা কষ্ট না পাও তাইতো চলে যাওয়া।’

‘উহু। তুমি পালিয়ে যাচ্ছো।’

‘হয়তো। আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাটা যে জরুরি।’

এরপর কিছুক্ষন নিরবতা। নাবিলা তখনও জেসিকে ছাড়েনি। মানুষের মন কত বিচিত্র। যে মেয়েটা শুরু থেকে প্রয়াসের ভালো থাকা, খুশি থাকার জন্য এতো কিছু করে গেলো সেই কিনা শেষ মুহূর্তে সেই খুশি আর সহ্য করতে পারছে না। জেসি চোখের পানি মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো। নাবিলার মাথায় হাত দিয়ে বললো,

‘তোমাকে ছোট বোন ভাবি আমি। আর সেটা ভেবেই থাকতে চাই। আমার জীবনের সবথেকে মূল্যবার অনুভূতি, আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষটাকে সুখে রাখার দায়িত্ব এখন থেকে তোমার। ওকে সুখে রেখো। প্রয়াসও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে তোমায় সুখে রাখবে। আমাকে নিয়ে ভেবো না। আমি কখনোই তোমাদের মাঝে আসবো না। প্রয়াসকে এসব জানিয়ো না। আমি ওর ভালো বন্ধু হয়েই থাকতে চাই। যখন নিজের মনকে পুনরায় সামলে নিতে পারবো, তখন নাহয় আবার আসবো তোমাদের কাছে।’

জেসি গাড়ি থেকে নেমে গেলো। ধীর পায়ে হেটে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো। পেছনে ফেলে গেলো এক না পাওয়ার গল্প। ফেলে গেলো একটি ভুল মানুষের প্রতি নিজের অমূল্য এবং অপ্রকাশিত অনুভুতি। সাথে এক বুক আক্ষেপ।

নাবিলা তখনও ঘোরের মধ্যে আছে। ভালোবাসার এক নতুন রুপ দেখলো আজ। প্রয়াসকে নিয়ে জেসির কথাগুলো ওর খারাপ লেগেছে। হিংসা হয়েছে। কিন্তু একজন বোন হিসেবে দেখলে জেসির জন্য ওর মায়াও হয়েছে। মানুষটা নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু ভালোবেসেই গেলো।

হয়তো প্রয়াস নাবিলার মধ্যে ভালোবাসা না হলে ও প্রয়াসকে দিয়ে দিতো জাসিকে। কিন্তু ওরা যে একে অপরকে ভালোবাসে। যদিও জেসির মতো ভালোবাসতে পেরেছে কিনা জানে না নাবিলা। হয়তো প্রয়াসের মতোও বাসতে পারেনি।

নাবিলা নিজেকে সামলে নিলো। ড্রাইভারকে ডেকে গাড়ি স্টার্ট দিতে বললো। জেসি যেভাবে বলে গেছে সেভাবেই হবে। কিছু জানাবেনা ও প্রয়াসকে। ওদের ভালোবাসার পাতায় জেসি নাহয় ভালো বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকুক।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here