এখানে আকাশটা ভালোবাসার পর্ব ২৪

#এখানে_আকাশটা_ভালবাসার
#লেখিকাঃ নয়নতারা নাতাশা
#পর্বঃ ২৪
.
“তোর মতো মেয়ের কাছ থেকে এরকম বোকামি আশা করা যায় না।”
সায়ানের কথা শুনে চমকে উঠল নওশি।
বারান্দায় বসেছিল সে। ঈশানের কথা, নিজের পরিবারের কথা ভাবছিল।
সায়ান কখন পাশে এসে বসেছে খেয়াল করেনি নওশি।
“বুঝিনি ভাইয়া”
“তুই নাকি ঈশানকে দেখিস নি!”
ঈশানের কথা শুনে একটু লজ্জা পেল নওশি। উত্তর দেবে কিনা বুঝতে পারছিল না সে।
নওশি কে চুপ থাকতে দেখে সায়ান আবার বলল,
“বিয়ে সারাজীবনের ব্যাপার, তোর নিজের একটা পছন্দ তো থাকেই, তুই ঈশানকে আলাদাভাবে কেন দেখতে চাসনি? ছেলেটা যেহেতু বাবার বন্ধুর ছেলে তাই পছন্দ না হলে ওরা আসত না৷ সুতরাং বিয়েটা যে হবে আমরা সবাই বুঝতে পারছি, তাহলে!”
একটানা কথাগুলো বলে থামল সায়ান।
এবারে একটু নড়েচড়ে বসল নওশি। সায়ান যে কথাগুলো খুব সিরিয়াসলি বলছে এবারে বুঝল সে।
একটু চুপ থেকে বলতে শুরু করল,
“ভাইয়া এবার আমার কথাগুলো শোনো,
ছেলেটা সম্পর্কে আমি যতটা শুনেছি ছেলেটা ভাল, বাবা মা বলেছে।
আর বাবা মা নিশ্চয়ই না বুঝে আমাকে কারোর সাথে বিয়ে দেবে না”
“এটা কোনো যুক্তি হলো আবার?”
নওশি একটু অবাক হলো যেখানে তার ভাইয়ের খুশি হওয়ার কথা সেখানে মোটামুটি রেগে আছে। পরক্ষণেই বুঝল নিজের জীবনের ব্যর্থতার জন্য তার ভাইয়া এ কথাগুলো বলছে।
মনে মনে অনেক ভাল লাগল নওশির।
“ভাইয়া, অতিরিক্ত দূরদর্শী ভাবনা ভাল কিছু এনে দেয় না। আজ আমি যদি ভাবি ছেলেটা মানে ঈশান খুব ভাল হবে, একেবারে আমার ভাবনার মতো, একেবারে শুদ্ধ, সুন্দর সেটা নেহাৎ ছেলেমানুষি। আবার আমি যদি ভাবি ঈশান মোটেই ভাল না সেটা ভাবাও বোকামি। ওর দোষগুণ থাকবেই”
এটুকু বলে থামল নওশি।
তারপর আবার বলতে শুরু করল,
“দেখ ভাইয়া, একসাথে থাকতে গেলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হবে, মানিয়ে চলতে হবে দুজনকেই।
আচ্ছা বলতো, তুই তো আগে থেকেই জানতে বলছিস, কেউ কারোর দোষ নিজে কি প্রকাশ করে? এখন সে আমার কাছে সবসময়ই চাইবে নিজেকে ভালভাবে উপস্থাপন করতে, আমি কি করে জানবো তার ভিতরের মানুষটা কেমন!”
“এটা ভুল, কারোর সাথে কথা বললেই জানা যায় সে কেমন!”
“জানি ভাইয়া, কিছুটা জানা যায় পুরোটা না। আর হয়তো আমি তার ব্যবহারে খারাপ কিছু পেলাম, আমি কি বাদ দিয়ে দিবো? এমন তো হতে পারে অভ্যাসটা সে পরিবর্তন করে নিবে!”
“যদি না করে?”
“ভাইয়া সব কিছুতে পরিপূর্ণতা বা পারফেকশন খুঁজতে গেলে স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়।”
“হুম, যদি পরে মানিয়ে নিতে না পারিস?”
নওশির কথা গুলো শুনে খুব ভাল লাগছিল সায়ানের। এত গভীরভাবে সেও কখনো চিন্তা করেনি।
“ভাইয়া, আমাদের জীবনে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমরা মানিয়ে নিই, দেখ ভাইয়া বাবা মায়ের মাঝে কি কোনো মতের অমিল নেই? অবশ্যই আছে। তবুও দেখ কি সুন্দর একসাথে আছে! এটাই মানিয়ে চলা। দুজন স্বামী-স্ত্রী হয় বটে কিন্তু একই মানুষ হয়ে যায় না, বুঝতে হবে দুজনের চাহিদা, ইচ্ছে, মতামত মানুষ হিসেবে পার্থক্য হতেই পারে। অতএব নিজেদের একান্ত নিজস্ব একটা পছন্দ থাকেই। আর সেখানে কোনো অমিল হলে মানিয়ে নিতে হয়।
নইলে একসাথে পথ চলা যায় না।
আর ভাইয়া এগুলো আমার মতামত, অন্য কারোর পছন্দ নাও হতে পারে। আমি কাউকে আমার মতামতের সীমারেখায় চলতে বলিনা।”
তন্ময় হয়ে শুনছিল নওশির বলা কথা গুলো!
“কবে এত বড় হয়ে গেলি রে বাবু?”
এবার লজ্জা পেল নওশি। ভাই জানতে চেয়েছিল বলে বন্ধুর মতো গড়গড় করে সব বলে দিল।
সানজানাকেও সেদিন এই কথা গুলো বলেছে নওশি। সানজানাও কেমন অন্য চোখে দেখেছে। বেশ শ্রদ্ধার চোখে।
নওশি জানেনা তার ভাবনা গুলো ভাল নাকি বাড়াবাড়ি।
তার ভাবনাগুলো এমনই!
“ভাইয়া তুই অযথাই ভাবছিস একটু, বাদ দে, যা হবে তা হওয়ার ছিল!”
“হুম আসলেই, আচ্ছা থাক বাবু আমি যাই”
একপ্রকার পালিয়েই উঠে আসল সায়ান। কোনোভাবে যদি রিদিমার প্রসঙ্গ উঠে আসে! নওশির কথা আজ শুনলে হয়তো এমনটা নাও হতে পারত! কি জানিহ!
“বাবা….”
“হ্যাঁ মামনি বলো”
“মাআয়ায়ায়া যাবোওও”
মায়ার কথা শুনে বুকটা ধ্বক করে উঠে সায়ানের।
এর মাঝে রিদিমা কারোর কাছেই মেয়ের খোঁজ নেয়নি। জানতে কি ইচ্ছে করে না মেয়েটা কেমন আছে! এইটুকুন বাচ্চা মেয়ে।
নওশি শুনতে পায় মায়ার গলা। তাড়াতাড়ি বারান্দা থেকে উঠে এসে নিয়ে যায় মায়াকে।
সায়ানের মনটা ভীষণ ভাবে খারাপ হয়ে গেল, কোনোরকমে উঠে তৈরি অফিসের পথে রওনা হল। আজ কিছুতেই ভাল লাগছে না সায়ানের।
অফিসে এসে বসতেই আরিফের ফোন।
ফোন রিসিভ করে একটানা আরিফের কথা গুলো শুনতে থাকল সায়ান তারপর বলল,
“আমি যেটা বলি তুই শুধু সেটা কর।
না আমি যা করছি ভেবে বুঝে করছি।
ওকে।”
এটা বলেই ফোন রেখে দিল সায়ান।
তারপর হঠাৎই ইমার্জেন্সি একটা মিটিং কল করল।
.
এই মুহূর্তে নওশি ঈশান, ঈতিশা, আর ঈশানের বাবা মায়ের সামনে বসে আছে।
নওশির বুকের মধ্যে ধুকপুকানি বেড়েই যাচ্ছে ক্রমশ।
মনে মনে নওশি খোঁজার চেষ্টা করছে কেন তার এমনটা হচ্ছে!
“আচ্ছা ওরা একটু নিজেরা কথা বলুক, একেবারেই তো পরিচয় নেই” বাবার কথায় একটু কেঁপে উঠল নওশি কিন্তু পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলো সে।
“সেটা ভালো হবে” এটা বলে সবাই অন্য রুমে গেল।
এই প্রথম ঈশান ভালভাবে তাকাল নওশির দিকে।
অপছন্দ হওয়ার মতো মেয়ে নয় নওশি কিন্তু আহামরি সুন্দরী নয় সে।
তবে একটা মায়া আছে পুরো মুখ জুড়ে।
সুন্দর মায়াবি।
“মায়াবতী কেমন আছেন?”
নওশি অবাক হয়ে তাকাল। আর এই প্রথমবার ঈশানকে দেখল সে। প্রথমবারেই এভাবে সম্বোধন করবে বুঝতে পারেনি ও।
নওশির অবাক ভাবটা নজরে পড়লেও এড়িয়ে গেল…
“কি ব্যাপার বললেন না তো কেমন আছেন!”
“আলহামদুলিল্লাহ। আপনি?”
“হুম আলহামদুলিল্লাহ। বাই দ্য ওয়ে আমি ঈশান আহমেদ।”
“আমি নওশি, শাকিরা সাহরাফ নওশি”
“নাইস নেম!”
“থ্যাংকস”
“তারপর বিয়েতে আপনার মতামত কি?”
“অবশ্যই পজেটিভ হবে যদি বাবা মা পজেটিভ হয়”
“উত্তর টা একটু সেকেলে হয়ে গেল না?”
“আমার তা মনে হয়না। আপনার মতামত? ”
“আপনাকে আমার ভাল লেগেছে বাকি টা পরিনতি আল্লাহ জানে। আচ্ছা আপনার ইচ্ছে, ভবিষ্যৎ ইচ্ছে?”
“আই ওয়ান্ট টু বি আ সাক্সেসফুল হাউজওয়াইফ”
চমকে তাকালো ঈশান। কোনো ফিজিক্স পড়া ভার্সিটির টপ স্টুডেন্ট এ কথা বলবে এটা আইডিয়াতেই ছিল না তার।
“মানে?”
“আমি একজন সফল গৃহিনী হতে চাই”
হেসে ফেলল ঈশান।
“আমি অনুবাদ চাইনি মিস মায়াবতী মানে মিস শাকিরা আমি জানতে চেয়েছি আপনি টপ স্টুডেন্ট, সব দিক দিয়ে এত্ত ব্রিলিয়ান্ট আর আপনার কোনো লক্ষ্য নেই?”
“আছে, লেখাপড়া শেষ করব, চাকরি করতে হবে এই ইচ্ছেটা আমার আসে না। আমাকে আপনি ব্যাকডেটেড ভাবতে পারেন, আপত্তি নেই”
“আচ্ছা… বেশ অবাক হয়ে গেলাম।”
মুখ তুলে মুচকি হাসল নওশি।
তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিল ঈশান। এই মেয়ের চোখের দিকে আর টোল পড়া গালের হাসিমুখের দিকে তাকানো যায় না। কি একটা আকর্ষণ ক্ষমতা আছে কাছে টানার। ঈশান এই মূহুর্তে তীব্র আকর্ষণবোধ করছে মেয়েটার জন্য। বারবার মনে হচ্ছে একে আমার চাই। হ্যান্ডসাম ছেলে ঈশান অনেক মেয়েদের সাথে টুকিটাকি ফেসবুক আর ফোনালাপ করেছে, কিন্তু সেই পর্যন্তই।
মেয়েদের প্রতি তার আগ্রহ নেই খুব একটা তবে এই নওশির সাথে কথা বলতে গেলে কোথায় যেন একটা ভাললাগা কাজ করছে।
নওশির মনে হচ্ছে সামনে বসা ছেলেটাকে সে ভালবেসে ফেলেছে।
নওশি না দেখেই ঈশানকে ভালবেসে ফেলেছিল। না দেখে যে কাউকে ভালবাসা যায় সেটা এর আগে কখনো নওশি জানতো না।
নিজের কাছেই এটা কেমন বাড়াবাড়ি মনে হয় নওশির।
কিন্তু এর কোনো কারণ খুঁজে পাইনি নিজেই। নওশি বুঝতে পেরেছে এই ছেলের সাথেই তার বিয়ে হবে। তাই কেমন যেন একটা ভাল লাগা তৈরি হতে হতে ভালবাসা তৈরি হয়ে গেছে।
আর আজ সরাসরি দেখেও ভাল লেগেছে।
এইসময়ই ঈতিশা চলে এল।
“কি মিষ্টি ভাবি কথা শেষ হলো?” দুষ্টু হেসে বলে ঈতিশা।
ঈতিশার কথাতে লজ্জা পায় নওশি।
ঈতিশা নওশির এই সময়ের শাড়ি পড়া ছবি তুলবে বলে ক্যামেরা ওপেন করেছে এমন সময় ইশারায় ঈশান ঈতিশাকে মোবাইলের নাম্বার নিতে বলে।
“মিষ্টি ভাবি তোমার নাম্বারটা দাও তো?”
নওশি মুচকি হেসে মোবাইলটা বাড়িয়ে দেয় ঈতিশার দিকে।
নওশির হাসিটা ভারি ভাল লাগল ঈতিশার। আর ঠিক এই সময়ই ঈতিশা হাতে থাকা মোবাইল থেকে পরপর ক্লিক করে কয়েকটা ছবি তুলে নেয়।
নওশি বুঝতে পারেনি।
এইসময় নওশির বাবা মা ঈশানের বাবা মা সবাই এসে পড়ে।
নওশির মা নওশিকে রুমে নিতে গেলে ঈশানের মা বলে, ভাবি, আপনি বসুন আমরা কথা বলব, ঈতিশা নিয়ে যা নওশি।
নওশি আর ঈতিশা চলে গেলে ঈশানের মা ছেলের চোখের দিকে তাকিয়ে ইশারায় জানতে চাইলেন পছন্দ কিনা।
ঈশান হ্যাঁবোধক মাথা নাড়ল।
আর নওশির মতামত জানতেন জাহরা।
তাই আর ইচ্ছে করেই জিজ্ঞাসা করেননি। তবুও ঈশানের মা মারিয়ার কথাতে নওশির মতামত শুনে নিলেন।
অবশেষে কথাবার্তার পর ঠিক হলো, পনেরো দিন পরেই বিয়ে।
আজ সায়ান রায়ান থাকতে পারেনি, সায়ানের মন বাজেরকমের খারাপ ছিল, আর রায়ানের প্রাক্টিক্যাল ছিল। তবে দুইজনেই লাঞ্চে এসে সবার সাথে জয়েন করবে এটাই কথা ছিল।
সময় মতো চলে এসে সায়ান রায়ান।
ঈশানের সাথে কথা বলে ভালই লাগে ওদের। খারাপ না ছেলেটা, মানাবে। নওশির হাইট একটু কম তবে বাকিটা ঠিক আছে বলে মনে হয় ওদের।
বিয়ে পনেরো দিনের মাঝে এটা শুনে খুব আশ্বস্ত হলো সায়ান।
মায়া এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল। কিছুক্ষণ আগেই উঠেছে সে। ঈতিশা আর নওশির কাছে ছিল। ঈতিশার ভীষণ ভাল লেগেছে মায়া কে। কি মিষ্টি মেয়ে!!
সায়ানকে দেখ মায়া ছুটে গেল বাবার কাছে।
“বাবায়ায়ায়া”
“জ্বি মামনি”
“চকেট…”
“এই তো…”
“থ্যানকুন” থ্যাংক ইউ শব্দটা রপ্ত করতে পারেনি মায়া। কিন্তু মেজ ফুপির কাছে শিখে নিয়েছে কোথায় থ্যাংক ইউ বলতে হয়।
এইটুকু মেয়ের কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয় ঈশান।
সায়ান হেসে বলে, “ওয়েলকাম মাই সুইট ডটার”
“খুব মিষ্টি তো আপনার মেয়ে।”
হাসল সায়ান।
“হুম সারাক্ষণ নওশির কাছেই থাকে ও, ওই এসব শিখিয়েছে।”
“খুব মিষ্টি মেয়ে, নাম কি তোমার?”
রিদিমার ঝামেলার ব্যাপারে আবছা শুনেছিল ঈশান। তাই সেটা নিয়ে কথা বলল না সে।
ঈশানের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো মায়া।
সায়ান বললো,
“মামনি তোমার আঙ্কেল। সালাম দাও”
মায়া “সালাম” বলে হাত বাড়িয়ে দিলো।অবাক হয়ে সালামের উত্তর নিল ঈশান।
রায়ান পাশ থেকে বলল,
“মা তোমার নাম বলো?”
“মায়া সায়ান” আধো বোলে কিন্তু বেশ স্পষ্ট করে বলল মায়া।
সায়ান হেসে বলল, “ওর নাম রাফসানা সায়ান মায়া, সবটা বলতে পারে না বলে নওশি ওইটুকু শিখিয়েছে।”
“এত মিষ্টি মেয়ে আপনার!”
মুচকি হাসল সায়ান।
“আচ্ছা আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে আসছি”
“আরে অবশ্যই” ঈশানের দিকে হেসে উঠে গেল রায়ান সায়ান।
ঈশান মায়াকে নিয়ে আদর করে কথা বলতে লাগল।
ফিসফিস করে বলল,
“মা, নওশিকে কিন্তু নিয়ে যাব আমি”
“শুশুরবারি? (শ্বশুড়বাড়ি)”
রীতিমতো বিষম খাওয়ার অবস্থা ঈশানের।
আসলে এই কয়দিন জাহরা মায়াকে বলত তোর মেজ ফুপিকে পাঠিয়ে দিব শ্বশুরবাড়ি, মায়া বলত আমিও শ্বশুরবাড়ি যাব। সেখান থেকেই রপ্ত করে নিয়েছে সে।
এভাবেই হাসি আর আনন্দের মাঝ থেকে নওশি হয়তো আরেকটা নতুন জীবনে পা রাখবে।
দিন কেটে যাবে আসবে সেই ক্ষণ!
শিহরিত হয় সে।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ঈশান আহমেদ আইডিটাতে আরেকবার গেল সে।
একদিন আগে খুঁজে পেয়েছে।
‘বেশ সুন্দর, যা ভেবেছিলাম তার থেকেও’ নিজের মনেই একটু হাসলো সে।
হঠাৎ কল আসাতে একটু অবাক হয়ে গেল, এ সময় তো কেউ কল দেয় না তার কাছে!
রিসিভ করতেই একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল,
“কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?”
“সরি?” একটু বিরক্ত হয়ে গেল নওশি।
“ঈশান, ঈশান আহমেদ”
নওশির মুখে এবার বিরক্তির চিহ্ন দূর করে লজ্জার লালিমা দেখা দিল…
খুবই স্বাভাবিক কিছু কথা বলেই রেখে দিয়েছিল ঈশান।
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here