কক্সবাজার পর্ব শেষ

#কক্সবাজার
#পর্ব_আর_বাকি_নেই

সেদিন তিনি চলে যাবার পরই আমাদের পরিবারে একটা বিশাল দুর্ঘটনা ঘটে। আমার একমাত্র বড় বোন নীপা একটা অমুসলিম ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এতে আমাদের পরিবার ভীষণ সোশ্যাল ক্রাইসিসে পড়ে গেল।
বাবা স্ট্রোক করলেন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। মরমর অবস্থা। মা একেবারে স্তম্ভিত। এতটুকু পর্যন্ত হলেও বোধহয় সহ্য করা যেতো৷ না.. এরপর আমাদের জীবনে এলো সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। সপ্তাহখানেক পর এক ভোর বেলায় আমার বড় বোনের লাশ পাওয়া গেল আমাদের বাড়ির সামনের ড্রেনে। আমার আপার বর পুলিশে অভিযোগ দিল যে বাবা-মায়ের দেয়া মানসিক চাপে আপা আত্মহত্যা করেছে।

বাড়ির মেয়ের মৃত্যুশোক যাপন করা তো অনেক দূর আমাদের তখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল। আমরা পড়ে গেলাম পুলিশি তদন্তে। মা’কে দু-দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হলো। বাবার অনুভূতিতে এর এত কঠিন আঁচ এলো যে, বাবা মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়লেন। ঘুমের মাঝেই বাবা’র আবার স্ট্রোক হলো। এবারে ব্রেন স্ট্রোক! আবার হসপিটালাইজড করা হলো। বাবা কোমায় চলে হেলেন। মা তখন একা ও নিঃস্ব। একহাতে পুলিশ কেইস সামলানো আর অন্যহাতে বাবার ব্যবসার হাল ধরতে চেষ্টা করছেন।

এসময় আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম এক ভয়ংকর মুহুর্তে। আমি সন্তানসম্ভবা। আমার মনে হয় পৃথিবীতে আমিই বোধহয় প্রথম ও একমাত্র নারী যে তাঁর সন্তান ধারণের মত স্বর্গীয় ব্যাপারটিকে সবথেকে বড় নরকীয় অভিশাপ হিসেবে নিয়েছিলাম। লোকলজ্জার ভয়ে কি করবো তখন… কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। উনা’র সাথে যোগাযোগ করে বলার সাহস পেলাম না। কারণ সন্তান নিয়ে আমি তখন মহা দোটানায়। লুকিয়ে এবরশান করে ফেলবো এমনও ভাবছিলাম। ওই মুহূর্তে সন্তান মানে আমাদের দুজনের জন্য বিশাল ঝড়! একদিকে আমার লুকানো স্বামীর হায়ার স্টাডিজের স্বপ্ন আরেকদিকে আমার মামলায় ভেসে যাওয়া পরিবার৷ কি করবো আমি?

আজ এই কথাগুলো যখন লিখছি তখন মনে হচ্ছে আমার হয়তো অনেক কিছুই করার ছিল। কিন্তু আমার ওই অতটুকু বয়সে ওই পরিস্থিতিতে করার মত সত্যিই কি কিছু ছিল? ওরকম পারিপার্শ্বিকতায় একটা মেয়ে ঠিক কতটুকু তুফান সামলাবে। ঠিক কতটুকু। যেখানে তাঁর বোন মৃত, বাবা অর্ধমৃত! মা জীবিত থেকেও মৃত। এদিকে দিন পেরিয়ে যাচ্ছিলো।

একসময় নিরুপায় আমি মা’কে পাথর হয়ে বললাম,
—তিনি কানাডায়, আমরা সব নিয়ম মেনে বিয়ে করেছি মা। এই সন্তানে কোনো পাপ নেই। তিনি মাসখানেক হলো সেখানে পড়তে গেছেন। একবার কি উনার সাথে যোগাযোগ করবে? প্লিজ মা?
এক মেয়ের এমন দুর্ঘটনার পর আমার এই দুর্ঘটনা মা কিছুতেই মানতে পারলেন না। মানা কি যায়?
যায় না! আমি হলেও কি মানতে পারতাম? পারতাম না।

মায়ের অবস্থা তখন নিজে দম আটকে মরে যান কিংবা আমায় গলা টিপে মেরে ফেলেন। একদিকে আমার একা মা… একদিকে আমার বিধ্বস্ত বাবা!
আমার কান্নাকাটি, অনুরোধ; মা কিচ্ছু শুনলেন না।
ওরকম পরিস্থিতির মধ্যেই বিয়ে ঠিক করলেন আমার। উনার ইউনিভার্সিটিতে ফোন করে আমি তখন লুকিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। যোগাযোগ হলো না। জামান স্যারও তখন দেশের বাইরে।
আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে নয়; বাচ্চা এবরশান করবো। এবরশান করে ফেললেই সব চুকে বুকে যাবে। মনকে বুঝালাম। কিন্তু বিধাতার অন্য ইচ্ছে।

এসময়ই আমার কোমায় থাকা বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। এদিকে বিয়েতে অমত করায় মা বিষ হাতে হুমকি দিলেন, আত্মহত্যা করবেন৷ কিছুতেই বুঝাতে পারলাম না এই বৈধতাকে পাপে, কলঙ্কে আমি কিছুতেই ভাসাতে পারবো না। কিছুতেই না।

নিরুপায় আমি পাগল পাগল হয়ে ছুটে গেলাম তাঁর কাছে, যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। তাঁর নাম আজাদ। সৃষ্টিকর্তা যে আছেন, সব ভালোবাসা নিয়ে সবসময় তিনি আমাদের পাশে আছেন। সেই প্রমাণ আমি তখন হাতে নাতে পেলাম। যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হলো, তিনি আমাকে সবধরনের আশ্বাস দিলেন। আমি বললাম,
—মাকে বাঁচাতে এই বিয়েটা আমায় করতে হবে। বাবা তো চলেই গেলেন। মাও যদি..
তিনি আমাকে সহায়তা করতে হাত বাড়ালেন । বললেন,
—বিয়ের নামে একটা নাটক হোক তাহলে। তুমিও বেঁচে যাও, এই সন্তানও। পরবর্তীতে যখন জাকির সাহেবের সাথে যোগাযোগ হবে সত্যিটা বলবে। জাকিরের সন্তান নিয়ে আমার আজাদের সাথে বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ে কি আসলেই হয়েছিল? উহুঁ… হয়নি। একটা সাজানো নাটক। দেখানো দলিল। মনের কবুল ছাড়া তো বিয়েই হয় না। তাও বিয়ের অনুষ্ঠান বলে যেটা হয়েছিলো সেটা ছিল সমাজকে থামানোর জন্য চাপিয়ে দেয়া পাপ। পাপ হয়েছিলো। আমিও সব মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম একটু সময় যাক; সব ঠিকঠাক হবে।

আমাদের বিয়ে বিয়ে নাটকের কিছুদিনের মাঝেই আজাদ জাকিরের ঠিকানা যোগাড় করলেন। আমি যোগাযোগ করলাম উনার সাথে। উনি পুরোটা শুনে রেগেমেগে ফোনেই কাঁদলেন। কিছুতেই কিছু বিশ্বাস করলেন না। করার কথাও নয়। উনার জায়গায় থাকলে আমিও কি করতাম? আমার মিছেমিছি বর আমাকে সান্ত্বনা দিলেন হুট করে কিছুই এখন করা যাবে না। আস্তে ধীরে পুরো পরিস্থিতিটা সামলাতে হবে। এদিকে আমার প্রেগন্যান্সির ব্যাপারটাও জানাজানি হয়ে গেছে আমার নতুন শ্বশুরবাড়িতে।আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। সব যেন মিথ্যে নাটকের সত্য গাঁথায় বন্দি হয়ে যাচ্ছিলো। আমরা বুঝতে পারছিলাম একটা মিথ্যে নাটক দিয়ে সবকিছুতে স্বাভাবিকতা আনতে গিয়ে কি ভীষণ অস্বাভাবিক সম্পর্কের বেড়াজালে আমরা দুজনে জড়িয়ে যাচ্ছিলাম। আশেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখার মিথ্যে আশ্বাস আর পাপে সব কালো হয়ে আসছিলো আমাদের জীবনে। সেই পাপের পরীক্ষায় আমার ভাগ্যে দিনকে দিন নতুন নতুন বিড়ম্বনা এসে যোগ হতে লাগলো। সাজানো নাটক আমার জীবনের বাস্তবতায় দুঃসহ ছায়া ফেলতে শুরু করলো।

এইসময় জাকির লিখে পাঠালো,
—নীরা, হয় এসপার নয় ওসপার। হয় তোমাকে এই মিথ্যে সংসারের নাটক ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে নয় আমাকে ছাড়তে হবে। এই কষ্ট যে আর আমি নিতে পারছি না। আর সম্ভব নয়! একমুহূর্তও সভব নয়।

সহ্য কি করে হবে? আমি হলেও কি সহ্য করতাম? প্রতি মুহূর্তে আমার মিথ্যে বিয়ে, সংসার নিয়ে মানুষটা পাহাড়সম অশান্তিতে ভুগছিলো। আমি শুধু তাঁর কাছে সময় চাইছিলাম। সবকিছু সামলানোর খেলায় নেমে যেন সব সম্পর্ক বেসামাল হয়ে পড়ছিলো দিনে দিনে। হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিলো সবকিছু। নতুন পরিবার, নতুন সম্পর্ক, এই সমাজ! আমার মা… আমি নিজেও হাপিয়ে উঠেছিলাম। বাবুর আটমাসের সময় জাকির আমায় লিখে পাঠালেন,
“আমি তোমাকে আর বিশ্বাস করতে পারছি না নীরা। এত পরীক্ষা নিও না আমার। এবার মুক্তি দাও।

আমিও ঠিক করলাম আসলেই রিস্ক নেবো। যা যাবার যাবে, যা খোয়ানোর খুয়াবো। সামলাতে গিয়ে তো নিজেই মরছি আমি। সেই মরনে তো আমার মিছেমিছি স্বামী হওয়া আজাদও মরছে। সিদ্ধান্ত নিলাম এবার আমি সব ছেড়ে দেবো। সেই মুহূর্তে নতুন দুর্ঘটনা আমার জীবনে হাজির হলো। যেই মানুষটা আমার বিপদে আমার জন্য, আমার মা’কে বাঁচাতে মিছেমিছি বিয়ের নাটকটা করলেন; এই এত সব করলেন, তিনি মারাত্মক রোড অ্যাক্সিডেন্ট করলেন। বাইক অ্যাক্সিডেন্টে। বাম-পা কাটা পড়ে গেল উনার। ডান পাও এক্সট্রিমলি ইনজুরড!

আমি থেমে পড়লাম। আমার জীবনের সব থেমে গেল। সেই প্রথম আমি টের পেলাম জীবনের সাজানো নাটকের কাছে আমার সাজানো নাটক হার মেনেছে। এই নাটক অস্বীকার করবার কোনো উপায়, শক্তি বা অধিকার কোনোটাই নেই আমার। আমি কিছুতেই এই নাটককে উপেক্ষা করতে পারি না। সেই ক্ষমতা আমার সাধ্যের বাইরে। আমি আমার মিছেমিছি স্বামীর পাশে থাকলাম। মিছেমিছি স্বামী আর না বলি। এবারে মানুষটার নাম ধরেই বলি বাকিটা! আজাদ আর আমার তারপরের ঘটনা অন্য। অ্যাক্সিডেন্টের ধাক্কা আজাদ কিছুটা সামলে উঠলেও ওর পা আর ঠিক হলো না। হুইল চেয়ারে বন্দী সে আমাকে বারবার করে বললো, তুমি চলে যাও নীরা। চলে যাও। প্লিজ.. আর নিজেকে কষ্ট দিও না।
আমি যেতে পারলাম না। আটকে গেলাম। জীবন গোছানোর চেষ্টা ছেড়ে দিলাম। জাকির তখন পাগল পাগল হয়ে চিঠি লিখলো,
“নীরা, তোমায় ভালোবেসে আমি মরেছি মরেছি মরেছি। তুমি খুনী খুনী এবং খুনী। তোমার সব মিথ্যে… সবটাই মিথ্যে। যে বিয়ের নাটক, যে শারীরিক শুদ্ধতা তুমি আমায় বুঝিয়েছো তার মাঝে আর সন্তানটাকে টেনো না। অনুরোধ। সন্তান যদি সত্যিই আমার হতো তাহলে অন্ যজায়গায় বিয়ের পর তুমি আমাকে জানাতে না। এই ছোট্ট ব্যাপারটা তো এতদিন খেয়ালই করিনি আমি। ছিঃ! তুমি আমার কাছে আর ফিরতে চাও না, এটা সন্তানের দোহাই দিয়ে বিয়ে নাটকের গল্প করে না বললেও পারতে। আমি তো তোমায় নিরঙ্কুশ ছুটি দিতে পারি এমনিতেই….

এবার তোমার জীবন থেকে চিরতরে নিঁখোজ হলাম আমি! তোমাকে আর চাই না আমি৷ তোমার বলা গল্পটা আমি মিথ্যে বলেই জেনে চললাম। তুমিও এখন থেকে সবসময় জানবে আমি নেই। খারাপ থেকো। কষ্টে বেঁচে থেকো।”

আমি আমার ভাগ্যকে মেনে নিলাম। জাকির আমাদের সন্তানের ব্যাপারে যখন “প্রশ্নের” নাড় টেনেছে সেখানে আর চাইলেও বিশ্বাস বসবে না। হয়তো পরীক্ষা দিয়ে আমি প্রমাণ করতে পারি সবটা কিন্তু মনের ভেতরের অবিশ্বাস তো উবে যাবে না। সে যদি সত্যিই আজাদ আর আমার সম্পর্কে… ছিঃ…. ভাবলাম যা হবার হোক! এই জীবনের লাগাম আর টানবো না আমি। সব আপনাআপনিই ভাসুক।

আমার ছেলে যখন জন্মালো, আমার মা গদগদ হয়ে আজাদকে বলছিলো,
—দেখো জামাই দেখো… একেবারে তোমার মত হয়েছে।
আজাদ নীরব হেসেছিল।
কিন্তু আমি তো জানি, সৌরভ কার মত হয়েছে। সৌরভ একেবারে তাঁর বাবার মত হয়েছে।
আজাদ নীরবে শুধু বলতো,
—সমাজ জানে, সবাই জানে এই সন্তান, এই সংসারে কোনো পাপ নেই। কি সুন্দর সবকিছু। কিন্তু আমি তো জানি আমার তোমার জীবনে কিচ্ছু সুন্দর নেই। কিছুই ভালো নেই। কত অসুস্থ মিথ্যেতে কি শক্তভাবে আটকে গেছি আমরা দুজন।

তারপর….
তারপর আমি আর এগোইনি ওপথে….
সৌরভের ছয়মাস সময়ে আমি মায়ের কাছে চলে এলাম। ততদিনে ঝড় থেমেছে, পরিস্থিতি অনেকটা হাতে এসেছে। জীবনে আগুনের ভাঁপের তাত কমে এসেছে…..। আজাদ তাঁর পরিবারকে বুঝালো সে আমাকে নিয়ে সংসার করতে পারবে না। সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করবে। করলোও। ওটাই তাঁর মূলত সত্যিকারের বিয়ে হলো।

আমার মুক্তি মিললো! সবকিছু থেকে। সব ভার হালকা হলো। শুধু ভালোবাসা আর ভালো থাকা হারিয়ে গেল। জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে, কিছু কিছু ঘটনা থাকে এসবের ব্যাখ্যা না জানতে ইচ্ছে করে, না জানাতে ইচ্ছে করে। নিজের মনও তখন সব হারিয়ে থেমে পড়ে ক্লান্ত হয়ে। শুধু নীরবে জিরোতে চায়। বারবার শুধু ক্লান্তি হালকা হবার নিঃশ্বাস ফেলে ফেলে চুপটি করে থেমে থাকে স্থির। বাকি পৃথিবীর কাউকে কিচ্ছু বুঝাতে ইচ্ছে করে না। কিচ্ছু না।
আমিও সেই সময়ে তেমন ক্লান্ত হয়ে ছিলাম। তেমনি ক্লান্ত। নিঃশেষ ক্লান্ত। কেন জানি এরপর আমার একবারও ইচ্ছে করলো না তাকে আমার নিজের অবস্থান বুঝাবার। এতবছরে কোনোভাবেই কোনকিছু স্পষ্ট করতে মন চায় নি আমার। কেন করেনি, সেই জবাবও দিতে চাই না কারো কাছে।

তারপর তো আজ মানুষটা মানে জাকির আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। সেই সামনে দাঁড়ানোতেও আমার মনের ছাপ একটুও কাটলো না। একটুও না। ওই যে বললাম না, আমি তো সব ছেড়ে দিয়েছিই…. যাক, কেটে যাক নিজের মত এই মূল্যহীন ক্লান্ত জীবন!

সৌরভের কথায় ধ্যান ভাঙলো আমার।
—মা, মা। কখন থেকে ডাকছি! কি হলো? এত চুপ করে আছো! দেখে যাও। একটা আংকেল এসে বলছে আমাদের কক্সবাজার যাওয়া নাকি ক্যানসেল হয়নি। তিনি সব ব্যবস্থা করে এসেছেন। আমরা নাকি প্লেনে করে কক্সবাজার যাবো।
আমি হাসলাম। কমিশনার সাহেব তাহলে সব ব্যবস্থা করেই দিয়েছেন। সৌরভ খুশি হয়ে কমিশনার সাহেবকে থ্যাংক্স বলতে ফোন করলো।
কথা বলে সৌরভ মুগ্ধ!
—মা, এত বড় একজন অফিসার। তাও কি ভালো গো মা। আমার সাথে কি সুন্দর করে কথা বললেন।
মনেই হয়নি এত বড় অফিসার।
তিনি তো বললেন, এবার থেকে প্রতিবছর আমরা প্লেনে করে যেখানে খুশি বেড়াতে যেতে পারবো। উনি ব্যবস্থা করে দেবেন সব।
রাতে ঘুমোবার সময় সৌরভ আমায় জড়িয়ে ধরে বললো,
—মা কমিশনার স্যারকে আমার এত ভালো লেগেছে। আমিও যদি বড় হয়ে উনার মত হতে পারতাম… ইশশশশ…
আমি সৌরভের কপালে চুমু খেয়ে মনে মনে বললাম , সৌরভ তোমাকে উনার মত হতে হবে না। তুমি এমনিতেই উনার মত বাবা।

ও হ্যাঁ বলাই তো হয়নি, তুলতুল আমার দত্তক নেওয়া সন্তান। সৌরভের সবসময় জেদ ছিল একটা বোন চাই মা৷ সেইজন্যই….

~আর চলবে না~
#তৃধা_আনিকা

বি:দ্র: পরম করুণাময়ের দয়ায় আমরা এখন বিপদমুক্ত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here