কতটা চাই তোকে পর্ব ৩+৪

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—03
.
.
🍁
“রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর আমার সামনে মামুনি কাজ করছে’!!ভিতরে যাবো কি যাবো না এই ভেবে সংকোচ বোধ করছি’!!আচ্ছা মামুনি কি রেগে আছে আমার উপর’!!কিন্তু আমার তো কোনো দোষ ছিল না’!!কিন্তু এটা তো মামুনিকে বলা যাবে না’!!এমন সময় মামুনি ডাক দিয়ে বললঃ

———“কি হলো মাইশা তুই ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন??এখানে আয়’!!

“মামুনির কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হলাম আমি’!!তারপর মুচকি হেঁসে বললামঃ

———“না আসলে মামুনি……

———“থাক আর বলতে হবে না কালকের জন্য সংকোচ বোধ করছিস এই তো……

“মামুনির কথা শুনে আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!মামুনি আমায় এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলঃ

———“আমার তোর উপর কোনো রাগ নেই যেটা আছে সেটা হলো অভিমান’!!কারন কি জানিস? তুই আমায় এতটাই পর মনে করিস যে তুই কাব্যকে ভালোবাসিস এটা বললে আমরা মেনে নিতাম না’!!

———“আমি নিজেই জানতাম না তোমায় কি করে বলতাম বল তো (বিড় বিড় করে)

———“কি বললি…….

——–“না কিছু না,,আসলে মামুনি কি বলো তো তুমি তো জানো আপু আর কাব্য ভাইয়ার বিয়েটা সেই ছোট বেলা থেকে তোমরা ঠিক করে রেখেছিলে'”! তাই আরকি……

———“তাই সব মুখ বুঝে সহ্য করে নিলি,,আর যাইহোক তুই অত্যন্ত কাব্যকে তো বলতে পারতি……

———“আরে ধুর কি বলতাম আমি’!!কাব্য ভাইয়া আমায় ভালোবাসে না কি,,নিশ্চয়ই কালকে আপু জোর জবরদস্তি করে ভাইয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল তাই হয়তো বিয়ে করেছিল(মনে মনে)

———“কি হলো কি ভাবছিস……

———“কিছু না সরি মামুনি আর হবে না………

“মামুনি কিছু না বলেই খাবার নিয়ে চলে গেল টেবিলের কাছে……..’!!আমিও মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!সবাই আমাকে ভুল বুঝছে……..

__________________________________________

-“কিছুক্ষণের মধ্যেই মামাও চলে আসলেন টেবিলের কাছে’!!তারপর আসলো তানিশা,,আর তানিশা হলো কাব্যের ছোট বোন,,তবে আমার তানিশা আর আমার বয়স সেইম’!!আমার দুজনেই একসাথে একই ভার্সিটিতে পড়ি’!!আর আমরা দুজনেই অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাএী’!!

“তারপর আমাকেও ডাক দিল মামুনি’!!আমিও আর কিছু না ভেবে গিয়ে বসে পরলাম তানিশার পাশে’!!এমন সময় নিচে নামলো কাব্য ভাইয়া,, ওনাকে দেখেই বুকের ভিতর দক করে উঠল,,তখনকার বিষয়টার কথা মনে করেই’!!তবে এই মুহুর্তে নিশ্চিত আছি কিছু বলবে না’!!কারন এখানে এখন সবাই আছে’!!

“তারপর আর কি সবাই মিলে খাবার খেতে শুরু করলাম’!!এমন সময় মামু বলে উঠলঃ

——–“কাব্য এখন থেকে তুমি মাইশা আর তানিশাকে একসাথে ভার্সিটিতে পৌঁছি দিয়ে অফিস যাবে……

“বিনিময়ে ভাইয়া কিছু বললো না’!!চুপচাপ ব্রেকফাস্ট করে রুমে চলে গেল’!!কিছুক্ষণের মধ্যে মামা মামি দুজনেই চলে গেল’!!সবাই চলে যাওয়া দেখেই ঠাস একটা চাটি মারলাম আমি’ তানিশার মাথায়’!!কারন বোইনডা আমার সাথে কথা বলছে না…….

“আমার চাটি খেয়ে তানিশা বিরক্তি ছাপা মুখ নিয়ে বললোঃ

———-“তুই আমার সাথে বলবি না,,শয়তান মাইয়া,,তোর সাথে আড়ি…….

“তানিশার কথা শুনে কিছু না বলে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!তারপর বললামঃ

———“কেন বোইন কি হয়ছি আমি কি করছি,,তুইও কি সবার মতো আমাকে ভুল বুঝলি…..(মন খারাপ করে)

———-“তুই কি করে পারলি বল তো এত বড় কথাটা লুকাতে যে তুই কাব্য ভাইয়াকে ভালোবাসিস’!!সবার কথা না হয় বাদ দিলাম আমাকে তো বলতে পারতি’!!তুই জানিস কালকে রিয়া আপুর মুখে কথাগুলো শুনে আমার কতোটা কষ্ট হয়েছিল’!!এই তুই আমায় বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবিস………

“এতক্ষণ পর বুঝতে পারলাম,,বোইন আমার সাথে রাগ কেন করছে……’!!আমি তানিশাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ওর হাত ধরে ওর রুমে নিয়ে গেলাম’!!তারপর ওকে সব খুলে বললাম’!!সব শুনে ও অবাক’!!হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে……

“ওর এইভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে আমি বলে উঠলামঃ

———“তো দেখ যেখানে আমি নিজেই জানতাম না সেখানে তোকে কি করে বলতাম বল তো’!!

———“ওহ এই ব্যাপার কিন্তু আমি ভাবছি ভাইয়ার কথা কি করে মেনে নিলো তোকে……..

———-“কি করে আবার আপু নিশ্চয়ই বাধ্য করে ছিল ভাইয়াকে………

“আমার কথা শুনে হাসলো তানিশা……..’!!এই কথা মাঝখানে ওর এই ভাবে উচ্চ স্বরে হাসার কারনটা না বুঝতে পেরে বললাম’ আমিঃ

———“আশ্চর্য এখানে আমি হাসার মতো কি বলছি যে তুই এই ভাবে হাঁসছিল’!!

“কিন্তু তানিশা তার হাসি থামাতে পারছে না’!!

——-“আশ্চর্য এভাবে হাসার কি আছে…….

“কিছুক্ষণের মধ্যেই তানিশা তার হাসি থামিয়ে দিয়ে বললোঃ

———“তুই এখানো কাব্য ভাইয়াকে ভাইয়া ডাকছিস……

———-“ওহ এই ব্যাপার আরে এতদিনের অভ্যাস কি আর একদিনে যাবে বল’!!তাই তো ভাইয়া ভাইয়া আসছে………

———-“সব বুঝতে পারছি তবে হ্যা আমার সামনে বলেছিস ভালো কথা আবার অন্য কারো সামনে দাঁড়িয়ে বলিস না ওকে……

“তারপর আরকি পুরো সকালটা তানিশার সাথে গল্প করতে করতেই কাটিয়ে দিলাম’!!

__________________________________________

_____________________

“সারাদিন এটা ওটা করে কেটে গেল’!!আজকে একবারও ভাইয়া সামনে যাই নি’!!না জানি সামনে গেলে কি করতো আমায়’!!কিন্তু এখন তো রাত হয়ে গেছে এখন কি করবো’!!রাতে তো যেতেই হবে’!!সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে গেছে’!!তানিশাকে বললাম আজকে তোর সাথে ঘুমাই কিন্তু শয়তানডায় রাজি হলো না’!!!তোর কপালে বর জুডবে না’ দেখিস’!!বান্দর মাইয়া,একদম ভাইডার মতো হইছে,,খালি রাগটা নেই’!!এই সব বলতে বলতে এক পা এক পা করে রুমে দিকে এগোচ্ছি আমি’!!রুমের কাছে আসতেই আস্তে করে রুমের দরজাটা খুলে উঁকি দিলাম’!!অদ্ভুত বিষয় ভাইয়া রুমে নেই’!!গেল কই’!!এমন সময় পিছন থেকে কেউ বলে উঠলঃ

———-“তুই এইভাবে চোরের মতো উঁকি দিচ্ছিস কেন????

“আচমকা এমনটা বলাতে আমি ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম’!!পিছন ঘুরে তাকিয়ে ভাইয়াকে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি'”!!! আমতা আমতা করে বললামঃ

———“ইয়ে মানে কই কিছু না তো………

——–“সত্যি কিছু না,,তাহলে এতটা ভয় পাচ্ছিস কেন???

———“ভয় কেন পেতে যাবো’!!তুমি বাঘ না ভাল্লুক যে ভয় পাবো আমি………

———-“তার মানে তুই আমায় ভয় পাচ্ছিস না……..

———-“না……..

“আচমকা ভাইয়া আমার কথা শুনে সামনে এগোতে লাগলো’!!!আমি ঘাবড়ে গিয়ে রুমের ভিতর ঢুকে গেলাম’!!ভাইয়া রুমে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিল’!!যা দেখে আরো ভয় পেলাম আমি’!!এই রে আমায় আবার মারবে নাকি……আল্লাহ এই বারের মতো বাঁচিয়ে দেও আমায়,, কথা দিচ্ছি আর জীবনে কোনোদিন ভাইয়াকে রাগী, বদমেজাজি বললো না’!!….ভাইয়া দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমার দিকে এগোতে লাগল’!!যা দেখে আমি আমতা আমতা করে বললামঃ

———-“দেখ ভাইয়া তুমি কিন্তু এখন আমার সাথে রাগারাগি করতে পারো না’!!

———-“ওহ তাই নাকি কেন পারবো না শুনি……

——–“দেখ ভাইয়া তুমি এই ভাবে এগোলে আমি কিন্তু চিৎকার দিবো……..

———-“হুম দে না কে বারন করেছে……

———-“আমি কিন্তু সত্যি সত্যি দিবো……

———“হুম দে…..

“একপর্যায়ে আমি দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম’!!কিন্তু ভাইয়ার থামার কোনো নাম দেখছি তাই বললামঃ

———“আচ্ছা যাও সরি ভাইয়া আর হবে না,,আমি আর কোনোদিন কিছু বলবো না’!!

———-“তা কি কি যেন বলেছিস রিয়াকে আমি কেমন…..

———“কি বলেছি কিছু বলি নি শুধু বলেছি তুমি খুব ভালো……..’!!

———–“একদম মিথ্যা বলবি না…….

“এদিকে ভাইয়া আমার এতটা কাছে চলে এসেছে যে ভাইয়ার নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পারছি আমি,,কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার সাথে অসস্তি লাগছে……..’!!

———-“সরি ভাইয়া আর হবে এইবারের মতো ক্ষমা করে দেও……….

“ভাইয়া কিছুক্ষন চুপ থেকে বললোঃ

———“ঠিক আছে তবে আমার একটা শর্ত আছে……

———-“কি শর্ত………

———-“আজ সারারাত তুই আমার মাথা টিপে দিবি………

———“কি????আমি পারবো না………

“তুই পারবি না এই বলে ভাইয়া আমার দিকে আরো ঝুঁকে গেল’!!ভাইয়ার হর্ঠাৎ করে এইভাবে ঝুঁকে যাওয়া দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“হুম পারবো পারবো……..

“এদিকে মাইশার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে কাব্য বললোঃ

———“এই তো গুড গার্ল……’!!তারপর কাব্য আস্তে করে সরে আসলো মাইশার কাছ থেকে’!!তারপর গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো’!!

.

“বেশকিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থেকে আস্তে চোখ খুলে দেখলাম ভাইয়া বিছানায় শুয়ে আছে,,
আচমকা ভাইয়া বলে উঠলঃ

———-“কি হলো আর কতক্ষণ লাগবে……

———“এই তো আসছি…….

“তারপর আর কি অনিচ্ছা থাকা সত্বেও গিয়ে ভাইয়ার মাথা টিপতে লাগলাম……

“আর মনে মনে হাজারটা গালি দিতে লাগলাম,,শালা তোর কোনো দিন ভালো হবে না,,একটা হনুমান গরু, ছাগল,মহিষ…….

.

“এদিকে কাব্য বুঝতে পারছে মাইশা মনে মনে তাকে গালি দিচ্ছে তারপরও কিছু বললো না,,মনে মনে হাসছে সে’……..

“বেশ কিছুক্ষন মাথা টিপে দেওয়ার এখন হাত ব্যাথা করছে আমার কিন্তু এই হনুমানটা তা দেখতে পাচ্ছে না,,তার মতো সে আরামে ঘুমিয়ে আছে………. এভাবে করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতেই পারি নি……….

“এদিকে কাব্য চোখ খুলে মাইশা ঘুমিয়ে পরতে দেখে,আস্তে করে ওকে শুয়িয়ে দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল……….

!
!
!#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—04
.
.
🍁
“সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখলাম আমি কাব্য ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছি’!!যা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!হায় এখন যদি ভাইয়া আমায় এই ভাবে দেখে ফেলে তাহলে নিশ্চয়ই বকাযকা করবে এই ভেবে তাড়াতাড়ি করে ভাইয়া ছাড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে পরলাম আমি’!!!তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম’!!একে একে সবাই চলে আসলো সবাই নিচে’!!কাব্য ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলো নিচে’!!তারপর মামুনি সবাইকে খাবার বেরে দিল’!!খাবার খেতে খেতে মামা বলে উঠলেনঃ

———“কাব্য আজকে তুমি মাইশাকে নিয়ে ওদের বাসায় যাবে…’!!

———“না গেলে চলবে না’!!

——–“না তোমাকে যেতেই হবে……’!!

“কাব্য ভাইয়া আর কিছু বললো না’!!মনে মনে খুব খুশি হলাম আমি’!!তারপর ব্রেকফাস্ট করে রুমে চলে আসলাম’!!

“রুমে আসতেই দেখলাম’!কাব্য ভাইয়া বিছানায় বসে মোবাইল টিপছে’!!আমি কিছু বললাম না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে’!!আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো শেষ করে এসে তোকে নিয়ে যাবো’!!ফিরে এসে যদি দেখি তুই তৈরি হোস নি তাহলে কিন্তু তোকে এখানে রেখেই আমি চলে যাবো’!!এই বলে ভাইয়া বিছানা থেকে উঠে চলে গেল বাইরে………’!!

“আমিও আর কিছু না ভেবে আলমারি থেকে একটা সুন্দর শাড়ি বের করে শাড়িটা হাতে নিয়ে চলে গেলাম মামুনির কাছে…….

__________________________________________

“মামুনির রুমে ঢুকতেই দেখলাম মামুনি বিছানায় শুয়ে আছে’!!অসময়ে মামুনিকে এইভাবে শুয়ে থাকতে দেখে চিন্তিত স্বরে বললামঃ

——–“কি হলো মামুনি তুমি এই সময়,শুয়ে আছো শরীর খারাপ করছে নাকি……..

——–“আরে না এমনি ভালো লাগছিল না তাই শুয়ে ছিলাম এখন বল তুই এখানে……

“মামুনির সামনে আমার হাতে থাকা শাড়িটা দেখিয়ে বললামঃ

——–“আমাকে শাড়ি পরিয়ে দেও,,আমি পারছি না…….

“আমার কথা শুনে মামুনি হেঁসে বললোঃ

———-“এই ব্যাপার আয় আমি পরিয়ে দিচ্ছি আর শিখিয়েও দিচ্ছি……

“মামুনির কথা শুনে মুচকি হাসলাম’!!তারপর মামুনি আমায় শাড়ি পরাতে পরাতে শিখিয়েও দিল কিভাবে শাড়ি পরতে হয়’!!পুরোপুরি না বুঝলেও মোটামুটি পেরেছি……..

“মামুনি আমায় শাড়ি পরিয়ে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে’!!যা দেখে আমি বলে উঠলামঃ

——–“ওই ভাবে তাকিয়ে আছো কেন মামুনি,,আমাকে ভালো দেখাচ্ছে না,,জানতাম এই শাড়িতে কখনো আমায় ভালো লাগে না’!!

“আমার কথা শুনে মামুনি বলে উঠলঃ

——–“এত বুঝিস কেন তুই তোকে ভালো লাগছে না কে বলেছে তোকে ভালো লাগছে তাই তো তাকিয়ে আছি…….

“মামুনির কথা শুনে খুশি হয়ে গেলাম আমি’!!তারপর মামুনির গালে হাত দিয়ে বললামঃ

——–“থ্যাংকু মামুনি……….

“মামুনির রুম থেকে বের হতেই তানিশার সাথে দেখা হলো’!!ও আমায় দেখে হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!তানিশা দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বললঃ

——–“ওরে ভাবি তোকে তো সেই দেখাচ্ছে…….

“আমিও একটু ভাব নিয়ে বললামঃ

———“থ্যাংকু😎এই বলে হেঁসে দিলাম দুজনেই……..

“তারপর ও চলে গেল ওর রুমে আর আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম’!!

“রুমে ঢুকতেই দেখলাম ভাইয়া অলরেডি চলে এসেছে’!!হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম ভাইয়ার দিকে আজকে ভাইয়া একটা ব্লাক জিন্স আর ব্লাক শার্ট পরেছে,,ব্লাক ঘড়ি,চুলগুলো সাজানো অসম্ভব সুন্দর লাগছে ভাইয়াকে’!!সত্যি কথা বলতে ভাইয়াকে খুব ভালো লাগে,,কিন্তু যেদিন থেকে যেনে ছিলাম ভাইয়ার সাথে আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে সেদিন থেকে আর ভাইয়ার দিকে ওতোটা তাকাই নি’!!কিন্তু কে জানতো এই ভাইয়ার সাথেই আমার বিয়ে হয়ে যাবে’!!আমার এসব ভাবনার মাঝেই ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“কি হলো হা হয়ে তাকিয়ে আছিস কেন??

“ভাইয়ার কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“না ও কিছু না
“আমি খুশি মনে বললামঃ

——–“আমায় কেমন দেখাচ্ছে ভাইয়া……..একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভাইয়ার দিকে বললাম’!!

ভাইয়া কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে বললঃ

——–“একদম পেত্নীদের মতো লাগছে,,এতো সেজেছিস কেন এমনেই ভুত মতো লাগে তারওপর এতো মেকাপ একদম পেত্নীর মতো লাগছে…….

“মুহুর্তের মধ্যে মেজাজ তুরকে গেল’!!

———“কোথায় ভাবলাম ভাইয়া প্রশংসা করবে তা না এটা কি বললো’!!ধুর এই জন্যই বলি মাইশা যেচে প্রশংসা পেতে গেলে যা হয় আর কি,,বোকা মেয়ে কোথাকার আর একদ ঠিক হইছে…….এই সব বলে মনে মনে নিজেকে গালি দিতে লাগলাম আমি’!!!এমন সময় ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“কি হলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি না যাবি……

——–“হুম যামু চলেন…….তারপর আমরা দুজনেই রুম থেকেই বেরিয়ে আসলাম’!!নিচে নেমে মামুনি মামা কে বিদায় জানিয়ে আমরা চলে আসলাম বাহিরে………

“তারপর আমরা গিয়ে বসে পরলাম গাড়ি’!!তারপর ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!আমিও জানালা খুলে বাহিরে তাকিয়ে রইলাম’!!না জানি বাড়িতে গেলে আম্মু আব্বু কি বলবে’!!নিশ্চয়ই আমায় খুব খারাপ বলবে………

“হর্ঠাৎই মন খারাপ হয়ে গেল আমার’!!

__________________________________________

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে দিলো’!!তারপর দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে গেলাম’!!ভিতরে যেতে কেমন জানি লাগছে’!!তারপর কাব্য ভাইয়ার পিছন পিছন চলে আসলাম আমি’!!

“দরজার কলিং বেল বাজাতেই আম্মু এসে দরজা খুললো’!!এমন সময় আম্মুর পাশে এসে দাঁড়ালো আপু’!!আপুকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম’!!তারপর আমরা দুজনেই ভিতরে ঢুকে গেলাম’!!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here