ক্রাশ পর্ব -২৩

#ক্রাশ
#পর্ব_২৩
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
মোহনা বিছানা ঠিক করছে।
একটা নয়, দুই টা বিছানা।
একজন খাটে ঘুমাবে,আরেকজন মেঝেতে।
সাগর কোন কথা না বলে তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু মোহনার কান্ড দেখছে।
কিন্তু সে বেশিক্ষন চুপ করে থাকতে পারলো না।
মোহনাকে বললো,

একটা মেয়ে কত টা নির্দয়া হলে স্বামীর সাথে এমন আচরণ করে!!!
একই ঘর অথচ বিছানা দুই টা করছো।
মানুষের ভুল হতেই পারে,আর তার জন্য আমি সরিও বলেছি।
তারপরও এরকম ভাবে অত্যাচার করার কি দরকার?

মোহনা চুপচাপ তার কাজ করছে।

সাগর তখন বললো,
বউ এর থেকে স্বামীকে দূরে থাকতে হবে।
এটা কোনো শাস্তি হলো???
তুমি না হয় ইচ্ছামতো বকো আমাকে,প্রয়োজনে দুই চার টা চড় দাও তবুও এইরকম শাস্তি দাও না মোহনা???

মোহনা সাগরের কথায় কান না দিয়ে, বিছানা ঠিক করে বললো,
কই থাকবে?
নিচে না উপরে?

সাগর সে কথা শুনে মোহনার কাছে এগিয়ে এসে বললো,
তুমি এসব কি শুরু করেছো?
এতোক্ষন ধরে যে কথা গুলো বললাম সেগুলো শুনতে পাও নি?
কিসের নিচে আর কিসের উপরে?
এতোদিন আমরা যেভাবে ছিলাম আজও সেইভাবেই থাকবো।

মোহনা সেকথা শুনে বললো আমাদের সম্পর্ক আর আগের মতো নাই।।।
তুমি সে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছো।
তোমার পরিবারের আসল রুপ দেখে আমি নিজেও কনফিউজড।
আমি ভাবতেই পারছি না এই রকম একটা পরিবারে আমার বিয়ে হয়েছে।
আর আমার স্বামী এতো হাবাগোবা।
সে নাকি আবার কোন কালে আমার ক্রাশ ছিলো।
আমার পছন্দ এতো বাজে ছিঃ ছিঃ.
যে মুখ ফুটে বলতে পারে না আমি শুধুমাত্র আমার বউ কেই চাই।
আমি তাকে ডিভোর্স দিতে পারবো না।
সেজন্য এই সম্পর্কের শেষ পরিনতি কি হবে তুমি আমি কেউ জানি না।
সেজন্য আমাদের এখন থেকেই দূরত্ব বজায় রেখে থাকতে হবে।।।।
যতদিন না তোমার বাবা মা নিজে গিয়ে আমাকে বউ হিসেবে ঘরে তুলবে,
ততোদিন আমি তোমার সাথে একই বেডে এমনকি একই বাড়িতে থাকবো না।।
যদিও আজ বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে।
যেহেতু রাত অনেক গভীর হয়েছে।।
এতো রাতে একা একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে বাড়ি যেতে পারি?
এই বলে মোহনা একটা বালিশ মেঝেতে রাখলো।
আর নিজেই সেখানে গিয়ে শুয়ে পড়লো।

সাগর মোহনার কথা শুনে বললো,
আমিও তো ভাবতে পারি নি আমার পছন্দ করা মেয়ে এতো সিরিয়াস হবে!!!!
ভেবেছিলাম খুব সহজ সরল একজন মেয়ে।
আমাদের পরিবারের জন্য একদম পারফেক্ট একজন বউ।
ওমা???
সে তার তো দেখি কাঁচা মরিচের চেয়েও সাঁঝ।
আর তার তেজের কথা নাই বা বললাম।

মোহনা তখন রাগান্বিত কন্ঠে বললো,
কি বললে তুমি?
আমার ঝাঁঝ বেশি?
আমি তেজ দেখায়?
উচিত কথা বললেই আর উচিত কাজ করলেই সে খারাপ হয়ে যায়?
ভেবেছিলাম তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষমা করে দেবো কিন্তু না।
তোমার ক্ষমা নাই।
তুমি এ জীবনেও ক্ষমা পাবে না।

সাগর তখন বললো,
করতে হবে না ক্ষমা।
তোমার ক্ষমা তোমার কাছেই রাখো।
এই বলে সে মোহনার হাত ধরে টেনে বিছানার কাছে নিয়ে এলো।
আর বললো,
আমাদের কাউকেই মেঝেতে থাকতে হবে না।
আমরা দুইজনই বিছানায় থাকবো।
আমি তোমাকে না ধরলেই তো হলো?
তুমি তোমার জায়গায় ঘুমাবে আর আমি আমার জায়গায়।

মোহনা তখন বললো না হবে না সেটা।
তুমি যদি এটা না মানো তাহলে কিন্তু আমি বাহিরে চলে যাবো।
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থেকেই রাত পার করবো।

সাগর তখন বললো এতে কোন লাভ হবে না।
বরং ক্ষতিই হবে।।
কেউ দেখে ফেললে আমরা তিনজনই ফেসে যাবো।
এখন ভেবে দেখো কি করবে?

সেই কথা শুনে মোহনা আর একটা কথাও বললো না।
চুপচাপ বিছানাতেই শুয়ে পড়লো।
আর তাদের দুইজনের মাঝে একটা কোলবালিশ রাখলো।
তারপর বললো,
খবরদার বালিশ সরিয়ে এ পার্শ্বে কিছুতেই আসবে না।

সাগর সেই কথা শুনে কোলবালিশ টা মাঝখান থেকে সরিয়ে নিজের কাছে নিলো।
তারপর সেটা জড়িয়ে ধরে ঘুমালো।
মোহনা তা দেখে সাগরের চুল ধরে দিলো এক টান।
আর কোলবালিশ টা কেড়ে নিয়ে আবার মাঝখানে রাখলো।

সাগর তখন রাগান্বিত কন্ঠে বললো,
বালিশ টা আবার মাঝখানে রাখলে কেনো?
বললাম তো যাবো না কাছে।
কিছু একটা জড়িয়ে না ধরলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
বউও নাই।।
কি আর করার আছে?
এই বলে সাগর আবার কোলবালিশ টা নিলো।

মোহনা তখন বললো, যদি তুমি ঘুমের ঘোরে আমার পার্শ্বে চলে আসো তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে।
সাগর তখন চিৎকার করে বললো বললাম তো যাবো না।।
আর কতবার এই কথা টা বলবো?
এখন আর কোন কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে পড়ো।।
আমাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে।
কাল সকালে তোমাকে কোথায় লুকাবো সেই চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।
যদি ধরা পড়ি বাবা কে কি করে মুখ দেখাবো?
আমি কেনো যে তোমাকে এই ঘরে আনলাম?
কোন কিছু তো হলোই না উলটা ফেঁসে গেলাম।
এই বলে সে কোলবালিশের উপর তার পা তুলে দিয়ে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকলো।

মোহনা এই দৃশ্য দেখে আর চুপ করে থাকতে পারলো না।।
সে কোলবালিশ টা কেড়ে নিতে ধরলো।
আর বললো,
বার বার বারণ করা সত্ত্বেও ওটাকে জড়িয়ে ধরছো কেনো?
আমি কিন্তু সহ্য করতে পারছি না।
এই বলে মোহনা চোখ বড় বড় করে সাগরের দিকে তাকিয়ে রইলো।

সাগর তখন মোহনার হাত দুটি তার বুকে চেপে ধরলো।
আর বললো,

“” ওভাবে রাগান্বিত চোখে আমার দিকে তাকাবে না প্লিজ”
বুকের ভিতর টা একদম জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।

সাগরের এমন কথা শুনে মোহনার প্রচন্ড হাসি পেলো।
সে তার হাসি লুকাতে দ্রুত মুখ ঘুরিয়ে নিলো।

সাগর তা দেখে বললো,তুমি হাসছো?
এই তুমি হাসছো?
তোমার হাসি পাচ্ছে?

মোহনা তখন স্বাভাবিক মুখোভঙ্গিতে বললো,
কই না তো?
হাসবো কেনো?
এটা কি হাসির কথা?
এখন গ্যাসের ট্যাবলেট কই পাই আমি?
আমার কাছে তো কোন ঔষধ নাই।
মে বি গ্যাস্টিকের প্রবলেম আছে তোমার।
সেজন্য বুক এমন জ্বলতেছে।

সাগর সে কথা শুনে মোহনার গলা টিপে ধরলো আর বললো একদম মেরে ফেলবো।
মজা করতেছো আমার সাথে?
আমি কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছো না?
আমার কিন্তু এসব সহ্য হচ্ছে না।
মোহনা তখন সাগরের হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,
এসব আমি শুরু করি নি।
শুরু করেছো তুমি।
এই বলে সে তার জায়গায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।
সাগর তখন মোহনার কাছে গিয়ে বললো,
আমি ইচ্ছা করলে কিন্তু জোর করেই অনেক কিছু করতে পারি।।
কিন্তু করছি না কিছু।।
ভুল যেহেতু করেই ফেলছি?
কি আর করার?
আমাকেই তো এর সমাধান করতে হবে।
সেই জন্য শর্ত মেনে চলছি।
এই বলে সাগর ও শুয়ে পড়লো।

সাগর চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
কিন্তু তার চোখের ঘুমেরা আজ নিরুদ্দেশ হয়েছে।
কিছুক্ষন সে এপাশ ওপাশ করতে লাগলো।
তবুও ঘুম আসছে না তার।
ঘুম আজ তার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
সে আবার চোখ খুললো।
এবং পিছন থেকে মোহনাকে জড়িয়ে ধরলো।
–আমি এভাবে ঘুমাতে পারবো না।
তোমার যা করার করো তুমি।
আমি এসব শর্ত মানি না।

কিন্তু মোহনার কোনো সাড়াশব্দ সে পেলো না।
সাগর মনে মনে ভাবতে লাগলো ব্যাপার কি?
ঝগড়ুটে মেয়েটা কোন কথা বলছে না কেনো?
কোন রিয়েক্টও করছে না।
সাগর মোহনাকে তার পাশ করলো।
এদিকে মোহনা গভীর ঘুমে মগ্ন।
মোহনা জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
তার ভারী নিঃশ্বাস শুনে সাগরের ভেতরটা শান্তিতে ভরে উঠলো।
তার চোখে ঘুম নাই ঠিক আছে।
কিন্তু মোহনাকে এভাবে ঘুমাতে দেখে তার ঘুমহীন চোখ প্রশান্তি পাচ্ছে।
সাগর মোহনার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
কি যে অসাধারণ লাগছিলো তাকে বলে বোঝানো যাবে না।
এরকম দৃশ্য এর আগে সে একদিনও দেখে নি।
কারন এতোদিন দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে ধরে একসাথে ঘুমায়ছে।
তাই মনে হয় এই দৃশ্য টা তার চোখে পড়ে নি।
হঠাৎ মোহনা ঘুমের ঘোরে সাগর কে জড়িয়ে ধরলো।
কারন সাগর তার নিজের জায়গা থেকে সরে একেবারে মোহনার কাছে এসেছে।
সাগর মোহনার মুখের সর্বত্র হালকা হাতে স্পর্শ করলো।
আর ভাবতে লাগলো,
কি আছে এই মেয়ের মধ্যে যার জন্য তাকে এতো টা ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
কেনো ইচ্ছে জাগে তাকে সারাক্ষণ আদর ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলতে।
ঘুমন্ত মোহনার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে সে নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছে তা বলতে পারলো না।

সকালবেলা সাগর ঘুমের মধ্যেই চোখ মিটমিট করতে লাগলো।
কারন জানালা দিয়ে বাহিরের আলো এসে তার চোখে পড়ছে।
আবার বাহিরে লোকজনের কথাও শোনা যাচ্ছে।
সাগরের কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো।
সে তো মোহনাকে জড়িয়ে ধরে শুইছিলো।
কিন্তু মোহনা কোথায়?
সাগর এক লাফে বিছানা থেকে উঠলো।
তারপর তার মোবাইল টা হাতে নিলো।
ও বাবা!!
সকাল ১০ টা বেজে গেছে।
সাগর আর দেরী না করে বাহিরে চলে এলো।

সাগর কে দেখামাত্র তার মা বললো তুই লিমার ঘরে শুয়েছিলি কেনো?
আবার লিমা দেখি তোর ঘরে???
সাগর তখন বললো, ও ঘরে ভালো লাগছিলো না সেজন্য।
তাছাড়া লিমার ঘরটা বেশ গোছানো।
তাই ভাবলাম আজ ওখানেই শুই।

সে কথা শুনে সাগরের মা হেসে উঠলো,
আর বললো থাক আর মিথ্যে বলতে হবে না।
আমি সব বুঝি।
সাগর মনে মনে ভাবলো মা তাহলে মোহনার কথা জানে।
সাগর তখন বললো মা মোহনাকে দেখেছো?
ওকে দেখছি না যে?
সাগরের মা তখন বললো মোহনা না লিমা?
সাগর তখন বললো মানে?
তার মা বললো মানে আবার কি?
লিমা রান্নাঘরে আছে।
সাগর মনে মনে চিন্তা করছে ব্যাপার কি?
জানতে চাইলাম মোহনার কথা কিন্তু মা লিমার কথা বললো কেনো?

সাগর তাই রান্নাঘরেই গেলো।
কিন্তু মোহনা তো নেই সেখানে।
সাগর দেখতে পেলো লিমা তার মায়ের সাথে রান্না করছে।
সাগর তখন লিমা লিমা বলে ডাকতে লাগলো।
সেই কথা শুনে লিমা এগিয়ে এলো।
সাগর তখন লিমার হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে এলো।
আর বললো, মোহনা কই?
ওকে দেখছি না কেনো?
আর তোকে না বলেছিলাম ভোরে এসে আমাকে ডেকে দিতে।

লিমা তখন বললো,
আমি তো ডাকতে গিয়েছিলাম।
আমার ডাক শুনে ভাবি দরজা খুলে দিলো।
কিন্তু আপনাকে ডাকতে নিষেধ করলো সেজন্য আর ডাকি নি।
তারপর ভাবি কই যেনো চলে গেলো?
আমাকে কিছু বলে নি।
আমি যেতে বারন করেছিলাম।
আর এটাও বলেছিলাম যে সাগর ভাই কে বলে যান।
কিন্তু উনি আমার কোন কথাই শুনলেন না।

সাগর লিমার কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গেলো।
মোহনা তাকে না বলে কিভাবে চলে গেলো?
একবার তো তাকে বলে যেতে পারতো।
সাগর তখন তার ফোন টা বের করে মোহনাকে কল দিলো।
মোহনা ফোন রিসিভ করলো ঠিকই কিন্তু কোথায় আছে সেটা বললো না।
সাগর সে কথা শুনে বললো,তুমি এরকম করতেছো কেনো?
কই আছো প্লিজ বলো।
মোহনা তখন বললো তুমি জেনে কি করবে?
তাছাড়া শর্ত অনুযায়ী তুমি আমার সাথে দেখা বা কথা বলা কোনটাই করতে পারবে না যতদিন না তোমার বাবা,,,,,,,
সাগর বললো স্টপ,স্টপ।
আর বলতে হবে না।
আমার বাবা নিজে তোমাকে না আনলে আর আসবে না আমাদের বাড়ি।
মোহনা তখন বললো,একদম।
সাগর সে কথা শুনে বললো,
তাহলে মনে হয় না জীবনে আর দেখা হবে?
তোমরা শশুড় বউ মিলে যা শুরু করেছো না কি আর বলবো?
মাঝখান থেকে আমি আছি বিপদের মধ্যে।
এদিকেও যেতে পারছি না ওদিকেও যেতে পারছি না।
এই বলে সাগর কল কেটে দিলো।

এদিকে সাগরের মা সাগর কে নাস্তা খাওয়ার জন্য বার বার ডাকছে।
সাগর মোবাইল টিপতে টিপতেই ডাইনিং টেবিলে গেলো।
কিন্তু গিয়ে দেখে তার বাবা আর দাদু বসে আছে।
সাগর তার বাবা কে দেখে ফোন টা রেখে দিলো।
তখন তার বাবা বললো,এতোক্ষনে উঠলি?
সাগর মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলো।
তখন তার বাবা বললো,
তাড়াতাড়ি খাওয়াদাওয়া করে নে।
কারন আমরা কিছুক্ষন পরেই বাড়ির দিকে রওনা দিবো।
সাগর এই সুযোগে বললো,
বাবা আমি মোহনার ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই।

–কি বলবি ক্লিয়ার করে বল?

সাগর তখন বললো,
বাবা,মোহনা বুঝতে পারে নি।
ও ভুল করে এই কাজ টা করেছে।
তাছাড়া সামিরা অনেক কান্নাকাটি করেছে তো সেজন্য ওর চোখের পানি সহ্য করতে পারে নি।
তাই ওকে ক্ষমা করে দিয়ে প্লিজ ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
সাগর কথাগুলো বলতেই তার বাবা বললো আমার একদম সাফ কথা ও মেয়েকে আমি আর আমার বাড়িতে দেখতে চাই না।
যে মেয়ে আমাকে সবার সামনে এভাবে অপমান করলো তুই তার হয়ে ওকালতি করতে এসেছিস?
তুই যদি তোদের ডিভোর্স না চাস তাহলে তুইও সামিরার মতো চলে যেতে পারিস।
আমার কোন সন্তানের দরকার নাই।
এই বলে সাগরের বাবা চলে গেলো।

সাগর তখন তার দাদুকে বললো,দাদু তুমি একটু বাবাকে বলো না?
সাগরের দাদু বললো,আমি আর কি বলবো?
জানিসই তো তোর বাবা কেমন?
তাছাড়া আমারও মেয়েটাকে বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসার আগেই এর একটা মিমাংসা করতে হবে।
আর তুই খবরদার ওর সাথে কোন যোগাযোগ করবি না।
আমরা তোকে এর চেয়েও ভালো কোন মেয়ে দেখে বিয়ে করাবো।

সাগর তখন বললো মোহনাকেও তো তোমরাই চয়েজ করেছো।
তোমরা নিজেরাই পছন্দ করেছো।
আমি একটি বারের জন্য কিছু বলেছি।
আর এখন তাকে আর রাখতে চাচ্ছো না।
আবার যার সাথে বিয়ে দেবে সেও যদি এমনই হয়।
তখন?
তখন কি করবে?
তখন কি আবার বিয়ে দেবে আমাকে?
আমি আর কতবার বিয়ে করবো?
তোমরা যদি মোহনার সাথে আমার ডিভোর্স দাও আমি কিন্তু জীবনেও আর কাউকে বিয়ে করবো না।
বলে দিলাম।
এই বলে সাগর রাগ করে নাস্তা না খেয়েই বের হয়ে গেলো।
সাগরের দাদু তো একেবারে অবাক!!!
সাগর কি বলে গেলো এসব?
মোহনার সাথে থাকতে থাকতে সাগরও দেখি মুখে মুখে তর্ক করছে!!!

চলবে,,,,,
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here