গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব ১৬

#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১৬
.
.
🦋
প্রাণো দ্রুত কল ডিসকানেক্ট করে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে , কেন যেন হঠাৎ হঠাৎ প্রাণোর ভিষণ লজ্জা লাগে স্মরণের সাথে কথা বলার সময়৷ অন্যদিকে স্মরণ নিকষ কালো অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রাণোর কথা ভেবে হাসছে৷

” প্রাণ আগামিকাল তোমার নতুন কিছু অপেক্ষা করছে ৷ আমি জানি তুমি এটার জন্য তৈরি নও কিন্তু আমার কিছু করার নেই কারণ তোমাকে আমার চাই ৷ তুমি শুধু আমার , আমার আত্মার সাথে মিশে গেছো ৷ কেন জানি না তোমার ওই নীল চোখ জোড়া আমাকে টানে তোমার কাছে, তোমাকে ছুতে ইচ্ছে করে৷ ভালোবাসতে ইচ্ছে করে ৷ জানো প্রাণ প্রথম দেখায় তোমাকে ভালোবেসে ফেলে ছিলাম৷ আমার বুকের বা পাশটার দু’ইন্চি নিচে যে হৃদয় টা আছে ওই খানটায় তোমার নাম খোদাই করে লেখা হয়ে গেছে৷ আমার প্রত্যেকটা নিশ্বাসে শুধু তুমি প্রাণ৷ ”

স্মরণ তার ফোনে প্রাণের ছবিতে চুমু দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরে ৷

____________

পরেরদিন ব্রেকফাস্ট টেবিলে সাদমান প্রাণো জুনাইদ কবির চুপচাপ বসে আছে৷ জুনাইদ কবির চায়ের কাঁপে চুমুক দিয়ে প্রাণোর উদ্দেশ্য বলতে লাগলো,” প্রাণো নিরব তোমার সাথে দেখা করতে চায়৷ ”

” কে নিরব?”
প্রাণোর কথা শুনে জুনাইদ কবির চায়ের কাঁপ রেখে তীক্ষ্ণ চাউনি নিয়ে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে বললো ,” যে ছেলেটার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি তার নাম নিরব ৷”

” কিন্তু আব্বু আমি এখনি বিয়ে করতে চাই না৷”

” আমি তোমার মতামত চাইনি প্রাণো ৷ আমি আমার ডিসিশন জানিয়েছি তোমায়, বিকেল চারটায় টু স্টার রেস্টুরেন্টে চলে যাবে ৷ ওখানে তোমার জন্য নিরব অপেক্ষা করবে৷”

প্রাণো আর কিছু বললো না ৷ না খেয়েই উঠে গেল৷ সাদমান তার বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস নেই বিধায় কিছু বললো না৷ রুমে এসে প্রাণো রাগে ফেটে পড়ছে ৷ জোড়ে জোড়ে কয়েক বার নিশ্বাস নিয়ে ঝটপট রেডি হয়ে বেড়িয়ে গেল কাউকে কিছু না বলে৷

” কণা প্রাণোকে দেখলাম খুব রেগে আছে ৷ কিন্তু কি কারনে এতো রেগে আছে বলতে পারো?”

“একদমই না RV ৷ একটা কাজ করো প্রাণো কে বলো সেই ইনফরমেশন এর কথা দেখো কি বলে৷”

” কণা আমি একা প্রাণোর কেভিনে যাবো না তুমিও চলো প্লিজ৷”

” ওকে বাট আমি কোন কথা বলবো না ৷ যা বলার তুমি বলবে৷”

” ওকে”

RV আর কণা দুজনে প্রাণোর কেভিনের সামনে এসে নক করে ৷

” কামিং”

” প্রাণো একটা ইনফরমেশন ছিলো ৷”

” ভনিতা না করে যা বলার বলে চলে যাও৷”

” আজ রাতে আবার মেয়ে পাচার হবে৷”

” গতকাল এতো বড় লস হওয়ার পর আবার পাচার করার সাহস কি করে হবে ওই লোকের? নিশ্চয়ই এটা কোন ফাঁদ RV ৷”

” কিন্তু আমার তো মনে হয় না এটা কোন ফাঁদ৷”

” এই জন্য তুমি আমি নয় আর আমি তুমি নই RV ৷ যাই হোক টিম রেডি রাখো আজ রাতে আমি অপারেশনে যাবো৷ ”

” কিহ তুমি একা যাবে?”

” হ্যাঁ Rv আমি একাই যাবো তবে কয়েক জন কে নিয়ে ফুল টিম নিয়ে নয়৷ আর একটা কথা এটা একটা ফাঁদ তোমাদের আগেও বলেছি এখন ও বলছি ৷ আমাদের ধরার জন্য শয়তান টা এমন ফন্দি আটছে৷ ”

” যাই হোক আমিও যাবো তোমার সাথে না শুনবো না৷”

” RV আমি যখন একবার বলেছি আমি একাই যাবো তারমানে আমি একাই যাবো৷ এন্ড দিস ইজ ফাইনাল ৷”

রাগে প্রাণো মুখটা লাল হয়ে আছে ৷ RV তা দেখে আর তর্কে জড়ালো না৷ ওইখান কার কাজ শেষ করে প্রাণো বাড়িতে ফিরে এসে লম্বা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখে নিশিতা বেগম বসে আছে৷

” আম্মু তুমি এখন এখানে, কিছু বলবে?”

” হুম বস এখানে”

প্রাণো ভেজা তোয়ালে ব্যালকনিতে মেলে দিয়ে তার মায়ের কাছে এসে বসে৷

” বলো কি বলবে?”

” প্রাণো আজ একটা সত্যি কথা বলবি আমাকে?”

” তোমাকে কখনো মিথ্যে কথা বলেছি মা?”

” তুই কি বাইরে কোন জব করিস?”

” জব! জব যদি করতাম তাহলে তোমরা তো জানতেই তাই না মা? ”

” হুম, যাই হোক আমার মনে হলো তাই জিজ্ঞাসা করলাম ৷ ভালো কথা শোন বিকেলে ওই ছেলের সাথে দেখা করতে যাবি কিন্তু শাড়ি পড়ে৷”

” কিন্তু মা..”

” না আমি কোন কথা শুনতে চাই না ৷ এটা আমার নির্দেশ মনে থাকে যেন৷” কথাটা বলে গট গট করে হেটে রুম থেকে বেরিয়ে গেল প্রাণোর মা৷ প্রাণোর মা যেতেই প্রাণোর ফোনটার আলো জ্বলে ওঠে ৷ প্রাণো ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে স্মরণের মেসেজ৷ এড্রেস টা দেখে প্রাণোর চোখ কপালে উঠে গেল ৷ কারণ স্মরণ যেখানে যেতে বলছে সেখানে তার বাবার ঠিক করা ছেলেটির সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা৷

বিকেলে কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতে কার্বাড থেকে কালো রঙের শাড়িটা বের করে পড়ে নিলো প্রাণো ৷ তার সাথে হালকা সাজ৷ চোখে গাঢ় কাজল, মুখে হালকা ফেস পাউডার ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক, কপালে কালো টিপ, কানে এন্টিকের বড় ঝুমকো , হাত জোড়ায় মুঠো ভর্তি কাঁচের চুড়ি আর খোলা চুল ব্যাস এতোটুকুতে তৈরি প্রাণো৷ প্রাণো মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো,” কার সাথে তুই আগে দেখা করবি প্রাণো? স্মরণ নাকি নিরব? কিছু একটা তো ভাবতেই হবে৷ আচ্ছা আমি যদি আগে নিরব এর সাথে দেখা করে সরাসরি বিয়ের জন্য না করে দি কেমন হয়? নিশ্চয়ই ভালো হবে ৷সাপ ও মরলো লাঠিও ভাঙলো না৷ এটাই করবো৷ ”

প্রাণোর যে ভাবা সেই কাজ টু স্টার রেস্টুরেন্টের সামনে রিকশা থেকে নেমে ভিতরে গিয়ে প্রাণো তার ফোন বের করে সাদমান আগেই নিরবের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে যাতে চিনতে অসুবিধা না হয়৷ প্রাণো ছবি টা একবার দেখে আশে পাশে তাকিয়ে খুজতে লাগলো নিরব কে স্মরণ যেহেতু পাঁচটায় আসতে বলেছে তাই প্রাণো নিশ্চিন্তে নিরব এর সাথে কথা বলে বিয়ে টা ক্যান্সেল করে দিবে ৷

প্রাণোর চোখ হঠাৎ লাস্ট টেবিলের উপর পড়তে নিরব কে খুজে পায় প্রাণো ৷ হেটে নিরবের সামনে গিয়ে দাড়াতে নিরব হা করে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ ৷ অবশ্য রেস্টুরেন্টে ঢুকার পর থেকে আশে পাশের লোকজন প্রাণোর দিকে তাকিয়ে দেখছে৷ প্রাণো এটা বুঝে উঠতে পারছে না তার দিকে এভাবে তাকানোর মানে কি? প্রাণো তার শাড়িদিকে তাকিয়ে দেখছে শাড়ি ঠিক আছে কিনা?

” সব তো ঠিকি আছে তবুও এরা কেন এভাবে তাকিয়ে আছে?”

” কারণ আপনাকে জলজ্যান্ত একটা পরী দেখতে লাগছে তাই”

নিরবের মুখে এমন কথা শুনে প্রাণো চমকে ওঠে,

” কিহ বললেন আপনি?”

” না মানে আপনাকে ভিষণ প্রিটি দেখতে লাগছে মিস প্রাণো ৷ ”

” ফরগেট ইট ৷ শুনুন আমাকে কেমন লাগছে এটা জানার জন্য এখানে আসি নি আমি , আপনাকে একটা কথা জানানোর জন্য এসেছি মিস্টার নিরব ৷”

” বলুন কি বলবেন?”

” আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না ৷ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি৷”

” এটা কোন বিষয় না৷ এ যুগের ছেলে মেয়েদের রিলেশন থাকবে ৷ তবে আমার কোন আপত্তি নেই আপনাকে বিয়ে করতে৷ ”

” কিন্তু আমার আছে৷”

“সেটা আপনার বাবা কে বলুন আমাকে বলছেন কেন?”

” বাবা শুনবে না তাই আপনাকে বলছি ৷”

” আপনার কেন মনে হলো আমি আপনার কথা শুনবো?”

” কারণ আপনি যদি আমার কথা না শুনেন আর বিয়েটা না ভাঙেন তাহলে বিয়ের দিন আপনারি সন্মান হানি হবে কেননা আমি সেদিন পালিয়ে আমার বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করবো৷ আর একটা কথা আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেছে তাই আপনার সন্মান বাচঁবে এমন কোন পথ খোলা নেই৷ এখন আপনি ভেবে দেখুন কি করবেন?”

নিরব প্রাণোর কথা গম্ভির মুখে বলে উঠলো ,” আমার না সন্মান হানি হবে আর না আপনি পালাতে পারবেন মিস প্রাণো৷”

” মানে কি বলতে চাইছেন আপনি?”

” বিয়েটা আমি আপনাকে করছি ৷ আর সেটা আগামিকাল৷”

” নাইস জোকস মিস্টার নিরব৷ আসুন তাহলে বিয়ে করতে ৷ কথা দিচ্ছি আপনি নিজ দায়িত্বে নিজের নাক কাটিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে ফিরে যাবেন৷ ” কথাটা বলে প্রাণো উঠতে নিলে নিরব প্রাণোর হাত টেনে ধরে ৷

” হাউ ডেয়ার ইউ মিস্টার নিরব৷” রেগে বললো প্রাণো ৷

” এখানে সাহসের কিছু নেই আমি আমার হবু বউয়ের হাত ধরেছি প্রাণো ৷ এতে তো তোমার কোন প্রব্লেম থাকার কথা না৷”

প্রাণো কিছু বলতে যাবে তার আগে পাশ থেকে অন্য কেউ নিরব এর নাক বরাবর ঘুশি মেরে বলে উঠলো , ” প্রাণোর প্রব্লেম না থাকলেও আমার প্রব্লেম আছে মিস্টার নিরব৷ ”

প্রাণো হতবিহ্বল হয়ে স্মরণের দিকে তাকিয়ে আছে৷ এদিকে নিরব নিজের নাক ধরে বসে আছে৷ যন্ত্রণায় কিছু বলে উঠতে পারলো না৷ এদিকে স্মরণের রক্ত চক্ষু দেখে প্রাণোর মুখের কথা অটুমেটিক বন্ধ হয়ে গেল৷ স্মরণ নিরবের দিক থেকে চোখ সরিয়ে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে প্রাণোকে কোলে তুলে নিলো৷ ৷ প্রাণো কিছু বলতে যাবে তার আগে স্মরণ প্রাণোর দিকে তাকিয়ে বলে, ” এনি প্রব্লেম ?”

প্রাণো শুকনো ঢোক গিলে মাথা ডান বাম নারে যার অর্থ না৷

স্মরণ প্রাণোর দিক থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকিয়ে প্রাণোকে কোলে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেল৷

স্মরণ প্রাণোকে তার গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল লাগিয়ে দিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পরে হাই স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগলো৷ প্রাণো একবার সামনে দিকে তাকায় তো এক বার স্মরণের দিকে ৷ প্রচন্ড ভয় লাগছে প্রাণোর ৷ এভাবে হুট হাট করে কোলে তুলে নেওয়া এমন রাগ দেখানো ৷ সব মিলিয়ে প্রাণো খুব ভালো করে বুঝতে পারছে এই লোকটা তাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে হয়তো এতোটা ভালোবাসা সে হয়তো স্মরণকে বাসে না৷ প্রাণো নিজেকে শান্ত করতে লাগলো কারণ স্মরণ যতোটা রেগে আছে তা দেখে বুঝা যাচ্ছে স্মরণ আজ ভয়ংকর কিছু একটা করবে তার সাথে ৷

আচমকা গাড়ি থেমে যেতে প্রাণো চমকে ওঠে ৷ প্রাণো সামনে তাকিয়ে দেখে এক চমৎকার পরিবেশ ৷ স্মরণ তাকে নিয়ে নদীর পাড়ে এসেছে৷ প্রাণো গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে যেতে একটা শক্ত পক্ত হাত তার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে আছে৷ প্রাণো এটাই ভয় পাচ্ছিলো৷

স্মরণ প্রচন্ড রেগে আছে ৷ স্মরণ ভেবেছিলো প্রাণোর আগে এসে তার জন্য চমৎকার এক সারপ্রাইজ এরেন্জমেন্ট করতে এই জন্য রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কে সবটা বলে রেখেছিলো৷ কিন্তু রেস্টুরেন্টে এসে নিরব আর প্রাণোকে এক সাথে দেখে স্মরণ ক্ষেপে যায় ৷ স্মরণ ঠিক করে নেয় ছেলেটির সাথে প্রাণো কি কথা বলে এটা শুনবে সে তাই তার পেছনের টেবিলে খুব সাবধানে বস পরে৷ স্মরণ প্রাণো আর নিরবের সব কথা শুনে প্রাণোর উপর আর রেগে থাকতে পারে না কিন্তু স্মরণ যখন প্রাণোর হাত স্পর্শ করলো তখন আর স্মরণ নিজেকে আটকাতে পারলো না৷

প্রাণো স্মরণ দুজনে পাশা পাশি দাড়িয়ে আছে৷ কারো মুখে কোন কথা নেই৷ প্রাণো নিজ থেকে এবার বলে উঠলো , ” স্মরণ কিছু বলবে নাকি আমি বাড়ি ফিরে যাবো?”

প্রাণোর কথা শুনে স্মরণ ঘাড় ঘুড়িয়ে প্রাণোর দিকে লাল টকটকে চোখ দিয়ে তাকিয়ে বললো,” এক পা বাড়িয়ে দেখো এখানে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিবো৷ তোর খুব শখ না বিয়ে করার আজ আমি তোর এই শখ মিটিয়ে দিবো যাষ্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ৷ ”
প্রাণো কিছু বলতে যাবে তার আগে স্মরণ প্রাণোর মুখে রুমাল চেপে ধরতে প্রাণো সেন্সলেস হয়ে যায়৷

প্রাণো চোখ মেলে তাকাতে নিজেকে গাড়িতে আবিষ্কার করে৷ প্রাণোর সব মনে পড়তে গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করে কিন্তু কোন লাভ হয় না কেননা স্মরণ গাড়ি লক করে গেছে৷ প্রাণো নিজের পার্সটা গাড়িতে পেয়ে ফোন বের করে দেখে রাত আটটা বেজে গেছে৷ প্রাণো দ্রুত সাদমানের নাম্বারে কল করে৷

” হ্যালো দাভাই হ্যালো হ্যালো ”

” প্রাণো আমি শুনতে পাচ্ছি ৷ শোন আমি বাবা কে বলেছি তোর আসতে লেট হবে তুই ঘুরে ফিরে সাবধানে বাড়ি ফিরে আসিস রাখছি৷”

সাদমান প্রাণোর সব কথা না শুনে কল কেটে দেয়৷ এদিকে প্রাণোকে যেতে হবে আজ রাতে তার একটা অপারেশন আছে ৷ প্রাণো যদি না যায় তাহলে RV আর কণা সেখানে গিয়ে ওদের পাতা ফাঁদে পা দিবে৷ আর এটা প্রাণো কিছুতেই হতে দিতে পারে না৷ প্রাণো গাড়ির কাঁচ নামিয়ে দরজা খোলার অনেক চেষ্টা করে সফল হয়৷

অন্যদিকে ….

“দোস্ত সব রেডি কাজী সাহেব কে নায়ে এসেছি ৷”(সাগর)

” আর আমি আমার উওরার ফ্লাটটায় তোদের বাসর ঘরের ব্যবস্থা করেছি ৷”(নিলয়)

নিলয়ের কথা শেষ হতে আকাশ দৌড়ে এসে হাপাতে হাপাতে এসে বলে,” দোস্ত ওই নিরব এর এমন অবস্থা করেছি যে একমাস হসপিটালে ভর্তি থাকতে হবে ৷ আর তোর কথা মতো হাত দুখানা ভেঙে দিয়েছি৷ ”

” আর তোদের সখিরা কোথায়?”(স্মরণ)

” ওদের তিন বান্ধবীকে ভাবিকে নিয়ে আসতে পাঠিয়েছি ৷ বেচারি রা ভাবিকে ভিষণ ভয় পায় স্মরণ৷”

স্মরণ সাগর কে কিছু বলতে যাবে তখনি স্মিতা ঐশী সাফা দৌড়ে এসে বলে , ” ভাইয়া প্রাণোকে কোথাও খুজে পেলাম না ৷”

” কিহ! প্রাণ কে তো আমি গাড়িতে লক করে রেখে এসেছি৷”

” ভাইয়া আমরা গাড়ির কাছে পৌছে দেখে গাড়ির দরজা খোলা আর প্রাণো ভিতরে নেই৷”(স্মিতা)

কথা শুনে স্মরণ দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বিড়বিড় করে বলে উঠলো ,” কাজ টা মটেও ঠিক করলে না প্রাণ ৷ এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে ৷ ”
.
.
.
#চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here