চাঁদ হয়ে রবো পর্ব ১৪

“চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
পর্ব-১৪
চোখের সামনে সাদা আলোটা ধেয়ে আসছে।
তার মাঝে।সাদা রঙের ড্রেস পরে একটা মেয়ে।
চুল গুলো ছেড়ে দিয়েছে।
মৃধূ বাতাসে কাঁপছে।চুল।তার ওড়না।
পৌষী ভরকে উঠলো।শোয়া থেকে উঠে।বসে।
গায়ের চাদর খামছে ধরলো।
সাদা অবয়বটা ধীরে ধীরে তার দিকে এগচ্ছে।
,
ফোনের রিং বেজে ওঠায় পৌষীর চোখ চলে গেলো।
ফোনের স্ক্রিনে।ফোনটা তড়িৎ গতিতে হাতে নেওয়ায়।
পুরো ঘর ফোনের আলোয়।আলকিত হলো।
ফোনটা রিং হয়ে কেটে গেলো।
পৌষীর হাত পা কােছে।তুষার ফোন দিয়েছিলো।
হাত এতো কাপছিলো পিক করতে পারে নি।
,
ফোনের ফ্লাস লাইট অন করে সামনে তাক করে ধরতে অবাক হলো।
একটু আগে যে ও সাদা কিছু অবয়ব দেখলো ওটা কোথায়।
মুহূর্তে হাওয়ায় বিলিন হয়ে গেলো।
তুষার আবার ফোন দিলো।এবারে চট করে রিসিভ করলো।
,
তুষার বলল।
“ম্যাডামের ঘুম ভেঙেছে তাহলে”
পৌষী ভয়ে কাপা কাপা গলায় বলল।
“আপনি এতো রাতে জেগে”
“ঘুম আসছিলো না।তাই ভাবলাম।ফোন দেই।হোপ ছিলো না।রিসিভ করার।তবুও আশা নিয়ে দিয়েছি”
“ওহহ।তাই”
“তাই কেনো।”
“এমনি”
“আমার।।তোমার জন্য টেনশন হচ্ছিলো”
“কেমন?? মানে কেমন টেনশন”
,
তুষার হাসবে না কি বলবে বুঝতে পারছে না।
টেনশনের সামর্থক শব্দ কি ও তো জানে না তাহলে বলতো।টেনশনের কেমন ধরনটা।
দির্ঘস্বাস ফেললো।পৌষী এপাশ থেকে অতৃপ্ত হয়ে শুনলো।
,
“প্রতিদিন রাতের মতো আজও কি কিছু?”
পৌষীর হুস ফিরলো।তুষার মনে না করিয়ে দিলো হয়তো।বুঝতে পারতো না।
দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে অবাক হলল।
বাহিরে কিছু নেই।ঘুট ঘুটে অন্ধকার।
বাড়ীটা ওর পরিচিত না।হলো হয়তো পরে যেতো।
দু একবার হোচোট খেলো কিন্তু পরলো না।
শ্বাশুড়ীর রুমের সামনে গিয়ে থমকে গেলো।
উনি কারো সাথে কথা বলছে।
কারো ঘরে আড়ী পাতা ভালো না তাই চলে আসতে নিলো ওখান থেকে।পরক্ষনে নিজের নাম শুনে থমকে গেলো।
,
“মেয়েটার লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই।
এতো কিছু বলি।ভোতা ছুড়ির মতো ধরেই না।
ইচ্ছে তো করে মেরে ফেলি।
আমার ছেলেদের আবার দয়াল দরদি প্রান।”
ওপাশের লোকটা নিঃশব্দে সব শুনে গেলো।
কিছু বলল না।
লিজা বেগম কিছুটা থেমে আবার বলল।
“চুপ করে আছিস কেন।
শোন।আজকে শেষ করে দি।”
আগান্তুক লোকটা। বলল
“আমি ওই সব খুন খারাবির মধ্যে নাই”
“আমি একাই করতে পারবো”
“মনে আল্লাহর ডর থাকলে।ওই সব কইরেন না।
সবার একদিন মরতো হইবো।”
“চুপ।এতো বুলি ফুটছে”
“আমার বলার দরকার বলছি।
করার কাজ আপনের।
আমি এর মধ্যে আর নাই।আমার টাকা আমারে বুজাই দেন।।চলি”
লিজা বেগম টাকা দিয়ে দিলো।
লোকটা তখনও দাড়িয়ে।বলল
“একটা।কথা জানতে চাই।এই যে আপনি মেয়েটার দুইটা বাচ্চা নষ্ট করলেন।ও টের পায় নায়”
“না পায়নি”
“কেমনে।ও তো মেয়ে ওর কি বোঝা উচিৎ ছিলো না”
“তোমার জানতে হবে না
না ছিলো না।বেশি বুজে সমস্যা”
লিজা বেগম একটু থেমে বলল
“কত কিছু করলাম।তুষারকে দিয়ে মার খাওয়া লাম।ভূতের ভয় দেখালাম।ফোন দিয়ে কতো কি?কিছুতেই চলে যাচ্ছে না।থ্যতা মেয়ে একটা।এবার আমি ওকে মেরেই ফেলবো।না থাকবে বাঁশ না থাকবে বাশুরি”
লোকটা বলল
“আপনার ঘর আপনে যা ভালো বোঝে তাই করেন”
লিজা বেগম।গম্ভীর গলায় বলল
“ডিসিশন ফাইনাল শেষ করে দিবো”
,
পৌষী চোখ বেয়ে টপ করে কয়েক ফোটা জল গরিয়ে পরলো।
,
,
চলবে,,,,
,
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here