চেকমেট পর্ব ১৪+শেষ

#চেকমেট
#পর্ব-১৪ ও শেষ পর্ব
লাবণী অবিশ্বাস্য গলায় বলল, বয়ফ্রেন্ড!

সৌরভ প্রিয়ন্তির দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, প্রিয়ন্তি তুমি খুব ই স্মার্ট মেয়ে। কিন্তু বুদ্ধিতে যা একটু খাটো।

প্রিয়ন্তি চোখ তুলে তাকালো না। হাত, পা সমানে কাঁপছে। সৌরভ পানির বোতল সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল, ভালো করে গলাটা ভিজিয়ে নাও। এরপর আরও অনেক আশ্চর্য হওয়া বাকী যে তোমার।

লাবণী ঘৃনার দৃষ্টিতে বোনের দিকে তাকালো। বলল, ছিঃ আপু! তোমাকে এখন আপু ডাকতেও আমার গা রি রি করছে।

সৌরভ লাবণীকে বলল, গল্পের ক্লাইম্যাক্স এখনো বাকী মাই ডিয়ার সুইট সিস্টার। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ!

লাবণী মাথানিচু করে কাঁধতে লাগলো। পুরো ঘটনায় প্রিয়ন্তি ওকেও ব্যবহার করেছে এটা ভেবে আরও বেশী খারাপ লাগছে ওর।

সৌরভ প্রিয়ন্তিকে বলল,

“প্রিয়ন্তি তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা সারপ্রাইজ আছে। একচুয়েলি তুমি আমাকে এতো এতো সারপ্রাইজড করেছ যে আমাকেও তার প্রতিদানে তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে হচ্ছে। ”

প্রিয়ন্তি মুখ তুলল না। কান্নার দমকে শরীর ফুলে কেঁপে উঠছে বারবার।

লাবণী বলল, এক মিনিট ভাইয়া। ওর যেহেতু বয়ফ্রেন্ড আছে তাহলে তোমাকে বিয়ে করতে রাজী হলো কেন?

সৌরভ শব্দ করে কিছুক্ষণ হাসলো। তারপর বলল, এটাও একটা গেম ছিলো।

“একটু ক্লিয়ার করে বলবে ভাইয়া। ”

সৌরভ বলল, সারা যেদিন ফার্স্ট আমাকে দেখে সেদিন ই প্রিয়ন্তিকে সবটা খুলে বলে। তারপর প্রিয়ন্তি জায়গামতো খবর টা পাঠালে নতুন করে প্ল্যান করা হয়। আর সেই প্ল্যানে আমাকেও রাখা হয়। কিন্তু একটা গন্ডগোল করে ফেলে, সেটা হলো সারাকে আমার পারসোনাল নাম্বার টা দেয়। যেটা আমি কয়েকদিন আগে নিয়েছি। যদিও আমি সেটা তখন ধরতে পারিনি, কিন্তু পরে ব্যাপার টা মাথায় এলো যে সারা কী করে নাম্বার টা পেল। এবং আমার সবচেয়ে বড় মিস্টেক টা হলো সেখানেই। সেই মুহূর্তে আমি যদি হেমলক আর খুনীকে না ভেবে ওই ব্যাপার টা তলিয়ে ভাবতাম তাহলে এতো সাত ঘাটের জল খেতে হতো না। কিন্তু আমার ফোকাস একদম ই মোবাইলের ব্যাপারে ছিলো না। আমি ওটাকে পারসোনালি নিয়েছি কারণ সারা আমাকে কিছু এমন কথা বলেছিল…. যাকগে… শোনো, আমার মনে হয় আইমিন আমার অনুমান বলছে সারা… সৌরভ কথা শেষ করতে পারলো না তার আগেই দারোগা সাহেব এসে বললেন, স্যার শয়তান টা’র সব জিনিসপত্র সহ আনা হইছে।

সৌরভ ভাবলেশহীন গলায় বলল, ওটাকেও এখানে নিয়ে আসো।

লাবণীর বুক ডিপ ডিপ করছে। দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রিয়ন্তি কান্না বন্ধ করলেও চোখ তুলে তাকাচ্ছে না। চোখে, মুখে অপরাধবোধ আছে বেশ। ঠিক তখনই দরজার কাছে এসে কেউ একজন দাঁড়ালো। সে পুরুষ নয়, একজন মানবী। লাবণী অস্ফুটস্বরে বলল, নী..রা..আ..পু!

সৌরভ পিছু ফিরে নীরাকে দেখলো। এই প্রথম মেয়েটাকে অন্যরকম লাগছে। তার কারন মেয়েটার মুখ থমথমে। হাসি হাসি চেহারার পরিবর্তে বিধ্বস্ত মুখ! নীরা গুটি গুটি পায়ে ভিতরে এলে সৌরভ চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলল, বসুন আপনি!

ঠিক তখনই দারোগা সাহেব শার্টের কলার ধরে ভিতরে নিয়ে এলো খুনীকে। খুনীকে দেখে লাবণীর মূর্ছা যাবার মতো অবস্থা! এটা কী সত্যি নাকি ভ্রম! মাহিন! হেটে আসছে, এটা কীভাবে সম্ভব!

সৌরভ উঠে গিয়ে মাহিনের কলার ধরে নাক বরাবর একটা ঘুষি মেরে বলল, বহুত কাদাপানি খাইয়েছিস লোককে এবার তোর পালা।

প্রিয়ন্তির পাশের চেয়ারটিতে মাহিন কে জোর করে বসিয়ে দেয়া হলো। মাহিন রাগে ফুসছে বারবার। চোখ, মুখ শক্ত করে বলল, অফিসার আমাকে আটকে রাখা তোমার মতো লোকের পক্ষে সম্ভব না। আমার হাত কত লম্বা সে সম্পর্কে তোমার কোনো আইডিয়াও নেই।

সৌরভ শাসিয়ে বলল, রিমান্ড মঞ্জুর হলে তোর লম্বা হাত কেটে ছোট বানানো আমার বা হাতের খেল।

সৌরভ লাবণীর দিকে তাকিয়ে বলল, লাবণী তুমি মুক্ত। তোমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

লাবণী বলল, কিন্তু ভাইয়া এরা…

“তুমি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করো। আমি এই হারামিটার মুখ খোলার ব্যবস্থা করে আসছি। ”

লাবণী উঠে গেল। সৌরভ বলল, নীরা আপনিও যেতে পারেন।

*****
সৌরভ ফিরে এলো এক ঘন্টা পর। এসেই বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস পানি খেয়ে নিজেকে ধাতস্থ করলো। তারপর বলল, পুরো গল্পটা বলছি এবার।

লাবণী, নীরা দুজনেই নড়েচড়ে বসলো।

প্রিয়ন্তির সাথে মাহিনের দেখা হয়ে অস্ট্রেলিয়াতে। উল্লেখ্য, সারা আর মাহিনের দেখাও হয় কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তে। সেখানে সারা মাহিনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব জমে ওঠে অল্প সময়েই। সারার ক্যারেক্টারের সবচেয়ে বড় গুন হলো সে অল্পেই মানুষ কে পটিয়ে ফেলতে পারে। যাইহোক সে অস্ট্রেলিয়াতে বেশীদিন টিকতে পারে নি জাহাঙ্গীর কবিরের সমস্যার কারনে। কিন্তু ফিরে এসেও মাহিনের সাথে যোগাযোগ রাখে। এক পর্যায়ে দুজনের অন্তরঙ্গতা বেড়ে যায়, কিন্তু সারা বিবাহিত আর জাহাঙ্গীর কবিরকেও ডিভোর্স দেয়া তার পক্ষে সম্ভব না। তাই কায়দা করে নীরার সাথে মাহিনের বিয়ে দেওয়া হয়।

নীরা আমি কী ঠিক বলছি?

নীরা মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। লাবণী বলল,

“তারপর? ”

“নীরার সাথে বিয়ে হবার পরও সারার সাথে যোগাযোগ কন্টিনিউ রাখে মাহিন। মাহিনের দিক থেকে অনুভূতি থাকলেও সারা ওকে শুধুই ইউজ করতো নিজের স্বার্থে। এরপর মাহিনের স্ট্রোক হয়, এবং ব্যাপার টা নীরার কান পর্যন্ত চলে আসে। ”

নীরা মাঝখানে বলে উঠলো, তারপরের টুকু আমি বলি।

“বলুন। ”

মাহিনের সাথে সারার সম্পর্ক টার ব্যাপারে জানাজানি হলে ভাইয়া, আর মা’র সাথে সারার ঝগড়াঝাটি হয়। আমার তখন এতোকিছু ভাববার সময় নেই, আমি তখন মাহিন কে নিয়ে ছুটছি। অনেক ছোটাছুটি করে দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নিলাম এই টপিক এখানেই বন্ধ হোক। আমি চাইছিলাম বাকী জীবন মানুষ টা’র সাথে সংসার করব। কারণ আমার দিক থেকে কেয়ার, ভালোবাসা এসব কিছুই ফেক ছিলো না। নীরা ওড়নার আঁচলে চোখ মুছে নিলো। তারপর বলল, কিন্তু দেশে ফিরে ওর আচরনে চেঞ্জ হলো। আমার উপর শুরু হলো টর্চার। এই টর্চার দিন কে দিন বেড়েই চলছিল। আমি মুক্তি চাইলেও সে মুক্তি দিবে না। শেষমেস মা এসে পাশে দাঁড়ালো। মা আমাকে নিয়ে এলো বাড়িতে। কিন্তু তাতেও রক্ষে হলো না। বলল যতদিন পর্যন্ত সারা ওর টাকা ফেরত না দিবে ততদিন পর্যন্ত ওর সাথেই থাকতে হবে। মূলত সারার সাথে আমাদের ঝামেলাটা সেখানেই। সারা টাকা পয়সার জন্য আমাদের প্রেশার ক্রিয়েট করতো এটা মিথ্যা বলেছিলাম।

সৌরভ বলল, প্রিয়ন্তির সাথেও মাহিনের দেখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। প্রিয়ন্তি পড়তে গিয়েছিল আর মাহিন গিয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য। যদিও মাহিন সেই চিকিৎসায় সুস্থ হবার পরও হুইলচেয়ার ব্যবহার করছিল লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার জন্য। কারণ লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে নিজের কার্যসিদ্ধি উদ্ধার করতে পারবে।

লাবণী বলল, কার্যসিদ্ধি?

“মাহিন ব্ল্যাকসাইটে অবৈধ ভাবে টাকা ইনকাম করতো। নীরা আপনি কী এই ব্যাপার টা জানতেন?”

নীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ডিটেইল জানতাম না।

“এর পরের প্রতিটি ঘটনাই মাহিনের সাজানো ছিলো। প্রিয়ন্তি, সারার বন্ধুত্ব, বাড়ি ভাড়ার ব্যপার, এভ্রিথিং। ”

লাবণী জিজ্ঞেস করলো, কিন্তু একটা খটকা আছে ভাইয়া। সারা আর প্রিয়ন আপুর তো সাপ, বেজির মতো সম্পর্ক ছিলো। হাতাহাতি, পুলিশ কেস পর‍্যন্ত গিয়েছিল ব্যাপার টা।

“ওই যে বললাম সবকিছু প্ল্যান করা ছিলো। এটাও মাহিনের প্ল্যান। একচুয়েলি ওর প্ল্যান ছিলো আমাকে ফাঁসানো। কিন্তু ব্যাপার টা সাজানো হয়েছিল প্রিয়ন্তিকে দিয়ে।”

“বুঝিনি। ”

“সারার সাথে আমার একটা সম্পর্ক ছিলো। এখন আর নেই তাই প্রতিশোধপরায়ন হয়ে আমি খুন করেছি ব্যাপার টা এভাবে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রিয়ন্তিকে এসবের থেকে দূরে রাখার জন্য ঝগড়ার নাটক টা করলো। আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি, প্রিয়ন্তি আর সারা সবার সামনে ঝগড়া করতো এটা বোঝাতে যেন কেউ না ভাবে ওরা দুজন ক্রাইম পার্টনার। কিন্তু মাহিনের সব প্ল্যানে দুটো অপশন থাকে। সেই অনুযায়ী আমাকে না ফাঁসাতে পারলে নীরাকে ফাঁসাবে।

নীরা চমকে উঠলো।

সৌরভ বলল, প্রিয়ন্তি সারার সম্পর্ক খারাপ তাই সবাই প্রিয়ন্তিকে সন্দেহ করলেও পুলিশ সেটা করবে না। কারণ অপরাধী ঘাপটি মেরে থাকা পাব্লিক। এতো ওপেনলি এসব কেউ করবে না। সেই সুযোগ নিয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হলো ওইদিন তোমাদের বাসায় আমার রাতে যাবার কথা। সেই প্ল্যান অনুযায়ী প্রিয়ন্তি সারার বাসায় খাবার পাঠিয়েছে। কিন্তু আমি যখন নাখালপাড়ার কাছাকাছি পৌছুলাম তখন আমার আর্জেন্ট কল আসায় যাওয়া হলো না। তাই প্ল্যান পালটে নীরাকে ফাঁসানোর ব্যবস্থা করা হলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত নীরাও ওইদিন বাড়ির বাইরে আসে নি।

নীরা বলল, আমার একবার সুপার শপে যাওয়ার কথা ছিলো।

“ইয়েস। এখানেই ওদের প্ল্যান ফ্লপ হলো। আর আমাদের অবস্থা হলো খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো।
প্রিয়ন্তি সব কাজ করে নিজের ওড়না ফেলে এসেছিল কারণ ও জানতো যে আমি যেহেতু আছি সেহেতু ওকে প্রটেক্ট করবো ই। খুব সম্ভবত এটা ওর মাথা থেকে বেরিয়েছে। এমন কাচা বুদ্ধি মাহিনের হতে পারে না। ক্রাইম শো’র মতো ব্যাপার টা। অর্থাৎ এতে ওর দিকে ফোকাস করবে না কেউ।

লাবণী অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছে। বলল, কিন্তু ভাইয়া হেমলক কোত্থেকে আসলো।

সৌরভ বলল, খুনী তো বলল ই যে তার হাত অনেক লম্বা।

“তুমি এসব কিছু জেনেছ ওই নীল ফুলের বক্সটার জন্য? ”

“ওটা সামনে আসায় সব টা জলের মতো পরিস্কার হয়ে যায়। তবে একের পর এক ক্লু দিয়েছিল নীরা। ”

লাবণী অবাক গলায় বলল, কীভাবে?

“তুশল বারবার ওই নীল ফুল আঁকছিল দেখে ও তোমাকে ডেকেছে এই কারনে যেন তুমি সেটার অর্থ বের করো। দ্বিতীয়বার তুমি ওর বাসায় যাওয়ার পর ও তোমাকে বের না করে রেখেছিল কারণ একটাই। তুমি ওটার অর্থ খুঁজে বের করো। অবশ্য আরও একটা ক্লু ও দিয়েছে সেটা হলো লাস্ট যেদিন ওর সাথে দেখা হয়েছে সেদিন হাতের আঙুলে পুরোনো হয়ে যাওয়া অল্প নেইলপলিশের প্রলেপ। যার অর্থ হলো এতো পরিষ্কার থাকছে মাহিনের জন্য। শুচিবায়ু ওর না, মাহিনের।

নীরা হেসে বলল, আমি কিন্তু ক্লু দিয়েছিলাম অন্যভাবে। কানের দুল একটা ছিলো না।

সৌরভ বলল, সেটা পরে খেয়াল করেছি।

লাবণী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ভাগ্যিস সেদিন আমি ওই বক্সে খাবার পাঠিয়েছিলাম।

সৌরভ বলল, হ্যাঁ। লাস্ট বাজিমাৎ তোমরাই করলে। নীরা আপনি কী শুরু থেকে জানতেন যে মাহিন কাজ টা করেছে?

“কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল৷ আসলে মাহিন অনেকদিন ধরেই সারার ব্যাপারে চুপচাপ ছিলো তাই সন্দেহ হচ্ছিলো যে বড় কোনো বিপদ আসছে না তো।”

“কিন্তু আমার সন্দেহ আপনাদের উপর ই ছিলো কারণ আপনারা সারার মৃত্যু এতো স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন!”

নীরা উদাস হয়ে বলল, আসলে ওর কর্মকান্ডে আমরা হাপিয়ে উঠেছিলাম। সত্যি বলতে সবাই ই মনে মনে স্বস্তি পেয়েছি যে আর কারও ক্ষতি হবে না অন্তত। ”

“মাহিনের মুখ সারা কী ভাবে বন্ধ করেছিল সেটাও আপনি জানেন?”

সারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, তুশলের ব্যাপার টা।

“ঠিক। তুশল যে মাহিনের ছেলে এটা সারা আমাকেও বলেছে। মাহিনের নাম বলেনি কিন্তু বলেছে যে একটা এক্সিডেন্ট আছে লাইফে তাই….

“এই একটা ব্যাপারে মাহিন দূর্বল ছিলো। এইজন্যই তুশলের ক্ষতি হতে দেয় নি সম্ভবত। ”

“কী জানি! হতে পারে বাচ্চাটার লাক ভালো তাই বেঁচে গেছে। ”

নীরা কিছু সময় চুপ করে বলল, আমি কী এখন যেতে পারি।

“হ্যাঁ পারেন। ”

নীরা উঠে গেল। সৌরভের কেন যেন খুব খারাপ লাগছে। হাসিখুশি মেয়েটার সাথে এমন একটা ব্যাপার….

****
লাবণী সৌরভ কে নিয়ে এক জায়গায় যাচ্ছে। সৌরভ বলল, আমরা কোথায় যাচ্ছি লাবু?

“একজন ইনভাইট করেছে সেখানে। ”

“আচ্ছা। কবজি ডুবিয়ে খাওয়া যাবে তো?

“হ্যাঁ একদম। ”

রিকশা নীরাদের বাড়ির সামনে থামতেই সৌরভ লাবণীকে জিজ্ঞেস করলো, এখানে?

লাবণী ঠোঁট টিপে হেসে বলল, নীরা আপু ইনভাইট করেছে।

সৌরভ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে। কেন যেন যেতে ইচ্ছে করছে না। দরজার সামনে এসে কলিংবেল টিপে লাবণী ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো, নীরা আপুকে কেমন লাগে?

সৌরভ আঁতকে উঠে বলল, আর কোনো সুন্দরীদের পাল্লায় পড়ছি না। খুব শিক্ষা পেয়েছি৷ দুই দুই বার। ”

ঠিক তখনই নীরা দরজা খুলল। লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে নীরাকে রাজেশ্বরীর মতো লাগছিল।

(চেকমেট সিরিজের দ্বিতীয় আরেকটা খন্ড লিখতে চাই। যেখানে নীরা আর সৌরভের একটা জার্নি থাকবে। দুজনের সাথে লাবণীও থাকবে। এই সিরিজ টা বড় প্লাস এটা রোমান্টিক থ্রিলার হবে। গল্পের পুরুষ চরিত্র মানে সৌরভ কে আমার ভালো লাগছে তাই এটা সময় নিয়ে লিখব। পেজে যুক্ত থাকলে আপডেট পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।)

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here