ছদ্মবেশে কে সে পর্ব-০১

‘আমি ডিভোর্সি মেয়ে বলে আমার চেয়ে দ্বিগুন বয়সী ৪০-৪৫ বছরের এক বুড়াকে বিয়ে করবো,,তাও সে আবার পায়ে হেঁটে চলতে পারে না”
মারিয়ার এই কথায় ওর মা মিলি বেগম প্রচন্ড রেগে গেলো।তারপর ওর কাছে এসে কড়া গলায় বলল
->ওকে বিয়ে করবি না তো কাকে বিয়ে করবি,,তোর মতো একটা তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে এই বাচ্চাসহ কে বিয়ে করবে শুনি?
->আমি কি তালাকপ্রাপ্ত ইচ্ছা করে হয়েছি নাকি এটা যদি হয়ে থাকি তোমাদের দোষে হয়েছি।
->হারামজাদি কি বললি আমাদের জন্য হয়েছিস তাই না?তোকে জন্ম দেওয়ায় ভুল ছিলো আমার।
->এখান তো তাই বলবে।বিয়ে দেওয়ার আগে খোঁজ নিয়ে দেখো নি ছেলে আর তার পরিবার কেমন শুধু দেখেছো ছেলে প্রতিষ্ঠিত ভালো টাকা ইনকাম করে।আর তা দেখে মাত্র ১৪ বছর বয়সে একজন ৩০-৩২ বছর বয়সী ছেলের হাতে তুলে দিয়েছো।আর তাদের কাছে আমি দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়েছি।এসব তোমাদের জন্য হয়েছে।কি দরকার ছিলো তাড়াতাড়ি বিয়ের।
মারিয়া এই কথা শেষ করতে না করতে মিলি বেগম প্রচন্ড রেগে গিয়ে মারিয়ার গালে কষে থাপ্পড় মারলো।মারিয়া হাত দিয়ে ওর গাল ধরলো।মারিয়া ওর ঘরে এসে বিছানার ওপর বসে কাঁদতে লাগলো।তখন ওর চার বছর বয়সী ছেলে মেঘ এসে মারিয়ার মুখে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
->আম্মু তুমি কাঁদছো কেন?নানি আবার তোমায় বকেছে।কেঁদো না আম্মু আমি যখন বড় হয়ে যাবো তখন তোমায় আর কাঁদতে দিবো না।
মারিয়া এতটুকু ছেলের মুখ থেকে এমন কথা শুনে ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।মেঘ ওর মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে আছে।মিলি বেগম দরজার আড়াল থেকে এসব দেখে নিজেও চোখ মুছে সরে গেলো।
মারিয়া সবে একুশ বছর বয়সে পা রেখেছে।মারিয়া দেখতে বেশ সুন্দরী।যার কারনে মাত্র তেরো বছর বয়স থেকে ওর বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে।কিন্তু মারিয়ার মা-বাবার মন মতো কোন পাত্রকে পছন্দ হচ্ছিলো না।অবশেষে শিমুল নামের এক ছেলেকে ওদের পছন্দ হলো।শিমুলের বয়সটা একটু বেশি এছাড়া সে সব দিক দিয়ে পারফেক্ট।আর চৌদ্দ বছর হওয়ার আগেই মারিয়ার সাথে শিমুলের বিয়ে হয়ে যায়।মারিয়া কখনো আপত্তি করেনি।সে তার মা-বাবার সিদ্ধান্তকে সব সময় গুরুত্ব দিয়েছে ।বিয়ের প্রথম দেড়-দুই বছর ভালোই ছিলো মারিয়া।কিন্তু এরপর থেকে শুরু হয় মারিয়ার ওপর অত্যাচার।বিশেষ করে মারিয়ার শাশুড়ি আর ওর বড় জা বেশি জ্বালাতন করতো।তারপরেও মুখ বুঝে সে সহ্য করেছে।কারন ওর স্বামী শিমুল মারিয়াকে খুব ভালোবাসতো।কিন্তু এক সময় শিমুলও বদলে যায় সেও ওর মা আর ভাবির কথা শুনে মারিয়ার ওপর শারিরীক আর মানষিক অত্যাচার শুরু করে।মারিয়া বেশ কয়েকবার বাসায় চলে এসেছিলো কিন্তু ওর মা-বাবা বুঝিয়ে আবার রেখে আসে।এরপর মেঘের জন্ম হয়।মেঘের যখন দেড় বছর বয়স তখন মারিয়ার শাশুড়ী আর জা মিলে কুফরি কাজের মাধ্যমে মারিয়াকে পাগলের মতো বানিয়ে দেয় আর শিমুল সব জেনে শুনেও কিছু বলে না।উল্টো আরো মারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।তখন থেকে মারিয়ার নিজের বাসায় থাকে,,প্রতিবেশী আর নিজের আত্মীয়-স্বজনের কথা বলার শেষ নেই।এমন ভাবে কথা বলে যেন মনে হয় সব দোষ মারিয়ার।
মারিয়া ছেলেকে বুকে জড়িয়ে অনেক আদর করলো।মারিয়া মেঘ কে বলল
->বাবা আমি যদি কোথাও চলে যাই তাহলে কি কষ্ট পাবে তুমি?
তখন মেঘ আবার মারিয়ার গলা জড়িয়ে ধরে বলল
->আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না আম্মু।
মারিয়া আবারো কাঁদতে লাগলো।মনে মনে ভাবছে সে ছেলেটাকে ছেড়ে কি করে থাকবে।এমন সময় মারিয়ার মা মিলি বেগম এসে বলল
->আজ বিকেলে তোকে দেখতে আসবে।আর একটা কথা ওই ছেলে মেঘকে মেনে নিয়েছে।বিয়েটা হলে তোর ভালোই হবে কারন ছেলেটাও বাবা পাবে আর তোকেও মানুষের কথা শুনতে হবেনা।হয়তো ছেলেটার বয়স বেশি আর হাঁটতে পারে না।তারপরেও মানুষের কথা শোনার চেয়ে বিয়ে করে সবার কথা বন্ধ করা ভালো।
->আমি মানুষের কথার পরোয়া করিনা।
মিলি বেগম আর কিছু না বলে চলে গেলো।মারিয়া মনে মনে ভাবছে নিজের চাওয়া পাওয়া কোন কিছুর মূল্য নেই এদের কাছে।আর এখন চাইলেও সে নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করতে পারবে না এর কারন হলো তার নামের পাশে যে আজ আরেকটা নাম যুক্ত হয়েছে আর সেটা হলো ডিভোর্সী।
বিকেল বেলা ছেলে পক্ষ মারিয়াকে দেখতে এলো।মারিয়ার ভাবি ওকে একটা নীল রংয়ের শাড়ি পড়িয়ে দিলো।নীল শাড়ি গায়ে পড়ার পর মারিয়া আয়নার দিকে তাকিয়ে ভাবছে,,এই রংটা একজনে খুব প্রিয়।না জানি সে মারিয়ার বিয়ের কথা শুনলে ঠিক থাকতে পারবে কি না?
এরপর মারিয়াকে ছেলে পক্ষের সামনে আনা হলো।
মারিয়া ছেলের দিকে তাকালো।ছেলেকে দেখে বেশ স্মার্ট মনে হলো।মুখে সাদা কালো চাপ দাড়ি পরণে স্যুট প্যান্ট।একটা হুইল চেয়ারে বসে আছে।ছেলের নাম ইরফান শিকদার।ছেলের সাথে ওর মামা আর মামি এসেছে শুধু।সে মারিয়ার দিকে কেমন করে যেন তাকালো।মারিয়ার কাছে ব্যাপারটা বিরক্তিকর লাগলো।মারিয়ার ছেলে মেঘকে ওর ভাবি অন্যরুমে নিয়ে গিয়ে বসে আছে।
অবশেষে মারিয়ার সাথে ইরফানের বিয়ে ঠিক হলো।মাত্র তিনদিন পর মারিয়ার বিয়ে।মারিয়া এসে রুমে বসে পড়লো।খুব কান্না পাচ্ছে ওর।মারিয়া ফোন হাতে নিয়ে ডাটা অন করতে সামিউলের আইডি থেকে অনেক গুলো মেসেজ দেখতে পেলো।আজ সকাল থেকে মারিয়া ফেসবুকে ঢুকেনি।আর মারিয়াকে না দেখে ছেলেটি একের পর এক মেসেজ করেছে।মারিয়া সেগুলো পড়তে লাগলো আর নিজের চোখের জল ফেলতে লাগলো।মারিয়া মেসেজ দিলো।
->সামিউল তুমি আমায় ভুলে যাও।তিনদিন পর আমার বিয়ে।আমার মতো ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করে তুমি কখনো সুখী হবে না।আর আমাকে তোমার মা বাবা কখনো মেনে নিবে না।
একটু বাদে সামিউল রিপ্লাই দিলো
->এসব কি বলছো মারিয়া।আমি তোমায় ভালোবাসি আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
->এসব ছেলে মানুষি বাদ দাও।আর আমায় ভুলে যাও।পারলে আমায় মাফ করে দিও।বাই।
মারিয়া আইডি ডিএক্টিব করে দিলো আর ফোন বন্ধ করে দিয়ে কাঁদতে লাগলো।সামিউলের সাথে মারিয়ার এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছে।এর মধ্যে একবার দুইজন সরাসরি দেখা করছিলো।সামিউলই একমাত্র মারিয়াকে বুঝতে পারতো এমনকি মারিয়াকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছিলো আর আজ নিমেষে সব শেষ হয়ে গেলো।মারিয়া নিজেও সামিউলের সাথে কথা বলতে বলতে একসময় তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েছিলো।মারিয়া জানতো যে এটা কখনো পূর্নতা পাবে না কারন সামিউল অবিবাহিত ছেলে আর দুইজনই ছিলো সমবয়সী।সামিউলের বাবা-মা কখনো মারিয়াকে মেনে নিবে না তার আরেকটা কারন সে ডিভোর্সি।একজন অবিবাহিত ছেলের সাথে ডিভোর্সি মেয়ের বিয়ে সমাজ তো ভালো চোখে দেখে না।
কিন্তু মারিয়ার খুব খারাপ লাগছে।।সহজে হয়তো মারিয়া সামিউলকে ভুলতে পারবে না।
এদিকে সামিউল মারিয়ার আইডি ডিএক্টিব দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।সামিউল আর মারিয়ার বাসার দুরত্ব খুব বেশিদুর ছিলো না।সামিউল বুঝতে পারতো এমন কিছু হতে পারে কিন্তু তারপরেও মন তো আর সেটা মানতো না।মন যে কখন কার প্রতি আকৃষ্ট হয় সেটা মন ভালো জানে না।মারিয়ার মতো সামিউলেরও অনেক কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই।
তিন দিন পর মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেলো ইরফান শিকদারের সাথে।মারিয়ার ছেলে মারিয়ার গলা জড়িয়ে ধরেছে ওকে কোথাও যেতে দিবে না।মেঘ মারিয়ার গলা ধরে অনেক কান্না করছে।মারিয়া নিজেও খুব কান্না করছে।সবাই তাক লেগে এসব দেখছে।সন্তানকে ফেলে মা অন্যে কারো সংসারে চলে যাচ্ছে চিরদিনের জন্য সন্তানের জন্য এর মতো কষ্টের কিছু হয়তো আর হয়না।কিন্তু এক সময় মেঘ কে ছাড়তে হলো মারিয়ার।মিলি বেগম মেঘ কে কোলে তুলে নিলো।মারিয়া কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে গাড়িতে বসলো।মেঘ কাঁদতে কাঁদতে আম্মু আম্মু বলে ডাকছে,,মারিয়ার বুক যেন কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।গাড়ি ছেড়ে দিলো।এখনো মারিয়ার কানে নিজের ছেলের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে।মারিয়া গাড়ির জানালা দিয়ে আরেকটা জিনিস দেখলো যা দেখে ওর কষ্ট আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেলো।রাস্তার ধারে সামিউল দাড়িয়ে আছে মুখ মলিন করে।ঘন্টা দুয়েক পর একটা বাংলো বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামলো।এমন সময় কয়েকজন মেয়ে ছেলে হৈ-হুল্লোড় করতে করতে গেটের সামনে আসলো।গাড়ি থেকে নামার পর সবাই এসে মারিয়াকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলো।বাড়িটা বিশাল বড় চারদিক দেয়ালের প্রাচীর তোলা।অনেক গাছও আছে।রাতের অন্ধকারে দেখা গেলো না সেগুলো আসলে কি গাছ।
মারিয়াকে একটা ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে।অনেকে মেয়ে ওকে ঘিরে বসে আছে।তারা নানারকম গল্প গুজব করছে।মারিয়ার বার বার মেঘের কথা মনে পড়ছে।না জানি ছেলেটার কান্না থামলো কি না?মারিয়াকে ছাড়া সে এক মুহুর্ত থাকতে পারে না।মারিয়ার সাথে বসে থাকা বেশির ভাগ মেয়ে ওর সমবয়সী।
একটু বাদে কিছু মেয়ে মারিয়াকে একটা রুমে এনে বসিয়ে দিয়ে গেলো।রুমটা ওর অনেক পরিচিত।কেননা আগেও মারিয়া এই দিনটার সাথে পরিচিত হয়েছে।ফুলে ফুলে সাজানো বিছানার চারপাশ।মারিয়া শুধু চোখ থেকে পানি ফেলছে।একটু বাদে ইরফান শিকদার হুইল চেয়ারে করে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।দরজা বন্ধ করায় মারিয়ার বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠলো।ইরফান চেয়ার নিয়ে এগিয়ে এসে মারিয়ার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।মারিয়া একটু নড়েচড়ে বসলো।ইরফান বলল
->আমি জানি যে তোমার আমাকে মেনে নিতে অনেক কষ্ট হবে।আর নিজের ছেলের জন্যও তোমার বেশ কষ্ট হবে।এবার বাড়ি থেকে আসার সময় তোমার ছেলেকে নিয়ে এসো।তাকে আমি নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসবো।আর এমনিতে আমি কখনো বাবা হতে পারবো না।তাই না হয় তোমার ছেলেকে দিয়ে নিজের পিতৃত্বের স্বাদ পূরন করে নিবো।
মারিয়া ইরফানের কথা শুনে ওর দিকে অবাক হয়ে তাকালো।মনে মনে ভাবতে লাগলো লোকটা আসলেই অনেক ভালো মনে হয়।ভালো না হলে অন্য কারো সন্তানকে মেনে নিবে কেন?যত সে বাবা হতে পারুক আর না পারুক।আবার হতে পারে বাবা হতে পারবে না বলে হয়তো মারিয়ার ছেলেকে মেনে নিতে কোন আপত্তি করছে না।মারিয়া বলল
->আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
->হ্যাঁ করো।
->আপনি কি জন্ম থেকে এমন নাকি আগে ভালো ছিলেন হয়তো কোন দূর্ঘটনায় এমন হয়েছে?
ইরফান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
->আমি এমন ছিলাম না।আর পাঁচটা ছেলের মতোই আমি ছিলাম।কিন্তু হঠাৎ একটা এক্সিডেন্টে এমন হয়ে গেলাম।আমার ভালোবাসার মানুষটিও আমায় ছেড়ে চলে গেলো।জানো আমার মনে হয় না যে আমার কোন পা আছে।আমার দুই পায়ে কোন বোধ নেই।এটাতে আঘাত করলেও বুঝতে পারিনা।
কথাটা শুনে মারিয়ার বেশ খারাপ লাগলো।তবে লোকটার চেহারা দেখে বোঝা যায় সে ভালো থাকতে নিশ্চয় অনেক স্মার্ট আর হ্যান্ডসাম ছিলো।লোকটি আনমনে বেলকনির দিকে তাকিয়ে আছে।মারিয়া বলল
->আপনার ভালোবাসার মানুষটি কি আপনার ওয়াইফ ছিলো নাকি প্রেমিকা?
->দুটোই ছিলো।প্রেমের বিয়ে ছিলো আমাদের।যখন সে জানতে পারলো আমি আর হাঁটতে পারবো না তখন সে চলে গেলো।
->বুঝলাম।
->আর বিয়ের ইচ্ছা ছিলো না আমার কিন্তু নিজেও আর ঠিক ভাবে চলতে পারি না।কাজের লোক ছিলো সে আমার অনেক কিছু চুরি করে নিয়ে গেছে।তাই বাধ্য হয়ে মামা-মামি বিয়ে করালো।
->হুমম।
মারিয়া মনে মনে বলল,,,চাকরানি হিসেবে বিয়ে করে আনছে বুড়া বেটা।’
মারিয়াকে চুপ থাকতে দেখে বলল
->তুমি শুয়ে পড়ো।মনটা হয়তো তোমার অনেক খারাপ।ঘুমালে ঠিক হয়ে যাবে আর নিজের ছেলেকে নিয়ে টেনশন করো না ওর পুরো দায়িত্ব আমি নিলাম।
->আপনি ঘুমাবেন না?
->আমি চেয়ারে বসে ঘুমাই প্রতিদিন।
মারিয়া আর কিছু বললো না।মাথাটা বেশ ব্যথা করছিলো তাই শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়লো।পরেরদিন সকালে সূর্যের আলো মারিয়ার মুখে পড়ায় ওর ঘুম ভেঙ্গে গেলো।মারিয়া উঠে দেখলো ইরফান রুমের ভিতর নেই।রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখলো পুরো বাড়ি একদম ফাঁকা একটা মানুষ নেই।বিষয়টা বেশ অবাক লাগলো মারিয়ার।কাল তো অনেকে ছিলো সকাল হতে না হতে সবাই চলে গেলো কেন?
এমন সময় ইরফান এসে পিছন থেকে বলল
->উঠে পড়েছো?
->হুমম।কোথায় গিয়েছিলেন আপনি?
->এই তো বাইরে বাগানে।
->ও আচ্ছা।বাড়ির লোকজন কই সব?
->ওদের কাজ শেষ তাই ওরা চলে গেছে।
এমন সময় মারিয়ার ফোন বেজে উঠলো।মারিয়া ফোন রিসিভ করলো আর তখন কেউ একজন বলল
->তোমার মা-বাবা ছেলে সহ সবাই মারা গেছে।
কথাটি শোনা মাত্রই মারিয়ার হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো।

চলবে,,,,,,।

#গল্পঃছদ্মবেশে_কে_সে।
#পর্বঃপ্রথম।
#লেখাঃসিহাব হোসেন।

(গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক।বাস্তবের সাথে গল্পের কোন মিল নেই।এই গল্প গুলো শুধু লেখা হয় বিনোদনে জন্য।যাদের গল্প ভালো লাগবে না তারা এড়িযে যাবেন কিন্তু কোন বাজে মন্তব্য করবেন না।ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here