টক্সিক_রিলেশনশীপ পর্ব ৮

#টক্সিক_রিলেশনশীপ
||৮ম পর্ব||
-ঈপ্সিতা শিকদার
বাসন্তীকে যখন উদ্ধার করতে আসে অনিমেষ ও নায়িমের লোকজন তখন সে পঞ্চাশ উর্ধ্ব পুরুষের জীবনকথা শুনতে ব্যস্ত।

লোকটি প্রবাসী, তার ধন-সম্পত্তি সবই আছে, কিন্তু এরপরেও পুরোটা ঘিরেই শূণ্যতা। পাঁচ বছর আগেই তার ত্রিশ বছর বয়সী স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে তার দুই সন্তান নিয়ে চলে গেছে। স্ত্রীর সাথে প্রণয়ের বিয়ে ছিল তার। আজও ভুলতে না পেরেছেন প্রেয়সীকে, না সন্তানদের। আপন কষ্টে জর্জরিত বাসন্তী এই লোকটির কষ্ট শুনে নিজেই কেঁদে ফেলে।

ঠিক তখনই দরজায় লাথি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে অনিমেষ। তার সাঙ্গপাঙ্গ এসে ঘেরাও করে লোকটিকে।

“চলো ভাবী!”

“আপনি এসেছেন। নায়িম কই?”

অনিমেষ খেয়াল করল বাসন্তীর কণ্ঠস্বরে যেন ‘বাঁচলাক’ জাতীয় সুর ধ্বনিত হলো। সেই সাথে তার মনে হলো মেয়েটার স্মৃতিশক্তি তুখোড় নাহলে একবার সাক্ষাতেই কাউকে স্পষ্ট চিনে ফেলা বেশ মুশকিল।

“চলছি। তবে এই চাচাকে ছেড়ে দিন। তার জীবনে এমনেই অনেক কষ্ট।”

সহানুভূতির শ্লেষ পাওয়া গেল বাসন্তীর কথা। অনিমেষ যতটা হাসি পেল, তার সাথে ফোনে থাকে নায়িমের ততটাই রাগ লাগল। নোংরা দুটো গালি সে অনায়াসেই নিক্ষেপ করল বাসন্তীর উদ্দেশ্যে।

“কত্ত ভালোবাসা! একদম চুয়ে পড়ে দরদ!”

তার কণ্ঠস্বরের ক্রোধ বুঝতে পেরে খুব দ্রুত বাসন্তীকে চলে যেতে বলল কয়েকজনের সাথে। বাসন্তী বের হয়ে দেখল সে একটা ছোটোখাটো এপার্টমেন্টে ছিল এতটা সময়। স্থানটা ঠিক চিনছে না। তাড়াতাড়ি বরাদ্দকৃত গাড়িতে উঠে বসল সে।

“তুমি ঠিক আছো তো বাসন্তী? কিছু লাগবে? ছোটখাটো ঝগড়ায় এভাবে বাড়ি ছাড়ে কেউ? নিজেরই তো ক্ষতি করতে যাচ্ছিলে…”

বিপদ থেকে বের হয়ে এলে সে কথা খুব মানুষই মাথায় রাখে। বাসন্তী সেই ক্ষুদ্রাংশের মাঝে না। তার চৈতালি অকপটে বলতে ইচ্ছে হলো, ‘তুমি নিজেই তো বাড়ি ছেড়েছো, হয়তো ছোট কিছুতেই।’

কিন্তু এমন কিছুই বলা হলো না তার। উল্টো বাসন্তী প্রশ্ন করল,

“তুমি এখানে?”

“না মানে নায়িম পাঠিয়েছে এমন অবস্থায় কীভাবে একা হ্যান্ডেল করবে তুমি? একজন নারীর সঙ্গ ভেবেই হয়তো…”

পানি এগিয়ে দিল চৈতালি। নায়িম ডগডগ করে পান করে নিল পুরো এক লিটারের বোতল। বেশ কয়েক মুহূর্ত ধরে পানি পিপাসা পেয়েছিল তার।

___

“শোন তাহলে ভাবীকে নিয়ে আমি বাসায় আসছি। এইখানের মালিকের সাথে ঝামেলা লেপ্টানো শেষ। আমরা বের হলেই পুলিশ এসে রেইড দিবে।”

“ভুলেও অপবিত্র বাড়িতে দিন কাটিয়ে আসা মেয়েকে এনে আমার ঘর-সংসার অপবিত্র করবি না? ছিঃ! ভাবতে আমার বমি আসছে, মাথা ধরে যাচ্ছে যে জায়গায় আমি পুরুষ হয়ে কোনো জায়গায় পা রাখিনি, ও আমার স্ত্রী হয়ে…!”

“ঠাণ্ডা হ। এটা পতিতালয় নয়, একটা এসকর্ট সার্ভিস। এসকর্ট সার্ভিস মানসিক নিঃসঙ্গতা কাটাতে ব্যবহার হয়, মানে টাকা দিয়ে মেয়ে বান্ধুবীকে কিছু সময়ের জন্য কেনা টাইপ। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।”

অনিমেষ জানে বন্ধুর মানসিকতা ও চিন্তা-ভাবনা। মূলত বাসন্তীকে খাণিক রক্ষে দিতে ও নায়িমকে শান্ত করতেই উক্ত বিষয়টি বোঝায় সে।

তাতে কী আর একরোখা নায়িম সাহেব মানে! বরং, সে আরও তেঁতে উঠে ঝাঁঝ নিয়ে শুধায়,

“বিয়ের পর তোর বউ রে পাঠাইস, তারপর বুঝব… যা বলছি তা কর। কথা বাড়াইস না। ”

অনিমেষ চুপ মেরে যায়। এই ছেলের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা না করে সে কোনোভাবেই পারে না। তাৎক্ষনিক মানুষকে কী করে কথার বানে মারতে হয় তা তার খুব করে জানা। অতঃপর আরও বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাদের মাঝে। সুদীর্ঘ এক শ্বাস ফেলে অনিমেষ নায়িমের কথা মোতাবেক কাজ করতেই অগ্রসর হয়।

___

সুবিশাল ও রাজকীয় সাজসজ্জা বিশিষ্ট এক স্নানাগারে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র শাড়ি পরিহিতা বাসন্তী। এই পুরো বাথরুমটাই মনে হয় তার বাসস্থান ফ্লাট থেকে বড়। পুরো স্নানঘর গোলাপজল, চন্দন, ঘিয়ের গন্ধে মৌ মৌ করছে। হাজারো ভাবনা মাথায় ঘুরছে তার। এই বাসাটাতে সে আগে কখনো আসেনি, এমন কী এই স্থানেও না। কী আলিশান বাড়ি! ঠিক যেন কোনো রাজপ্রাসাদ। রাজ-রানীদের বাস ছিল এখানে।

চৈতালি ও অনিমেষের সাথে গাড়ি করে দীর্ঘ সময়ের যাত্রার পর এই বাড়িতে পৌঁছিয়েছে সে। আর পৌঁছানোর পরপরই তাকে একঝাঁক সবুজ শাড়ি পরুয়া নারীর কাছে রেখে বিদায় নেয়। সেই নারীগুলো তাকে আদিকালের বাঙালি রমণীদের মতোন এক প্যাঁচা শাড়ি পরিয়ে এখানে রেখে গেছে। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করারও সুযোগ পায়নি বাসন্তী। অথবা, ইচ্ছে করেই দেওয়া হয়নি।

দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা দুটো অসাড় হয়ে আসছে বাসন্তীর। তারপরও কারো আসার নাম নেই। এবার ভয় ভয় লাগছে বাসন্তীর। যেই বাহিরে বের হওয়ার জন্য এক কদম আগাবে তখনই দরজা খোলার শব্দ। তাকিয়ে দেখে কালো পোশাকে নায়িম এসেছে। তার চোখের শুভ্র অংশটুকু রক্তিম, মাঝে নীলচে মণি। এই আঁখি যুগল দেখলে সবসময়ই ভয় লাগে তার।

“বাথটাবে যাও। গোসল করা হয়নি আজ সারাদিন, নোংরা হয়ে গেছো তো। পরিস্কার হতে হবে না বলো?”

বাসন্তীর দিকে না তাকিয়েই বাঁকা হেসে শান্ত সুরেই আদেশ করে নায়িম। এই স্থবিরতাই কি তুফান আসার পূর্বাভাস? আচার-ব্যবহারে পৈশাচিকী ধরা-ছোঁয়া বেশ ভালো অনুভব করতে পারছে বাসন্তী। সে কোনো কথা ছাড়াই আদেশ পালন করে। বাথটাবে পা লাগানোর সাথে সাথেই পানির শীতলতা গা শিউরে উঠে বাসন্তীর। একদম বরফ শীতল পানি। ছিটকে সরে যায় সে।

“অতিরিক্তই অবাধ্য হয়েছো বসন্তকুমারী, তাই না? এত সাহস যার কাছ থেকে পেতে, সে-ই তো বে*** বিক্রি করে দিসে। তাহলে এখন সাহস কোথা থেকে পাচ্ছো?”

নায়িমের নম্র কথাতেও কিছু একটা ছিল, যা বাসন্তীকে দগ্ধিত করে, বাধ্য করে। সে কাঁপতে কাঁপতে বাথটাবের পানিতে গোটা দেহ নিমজ্জিত করে।

প্রায় মিনিট দশেক হয়ে গেল তবুও কিছু বলছে না নায়িম। না বাসন্তী সাহস পাচ্ছে কিচ্ছু জিজ্ঞেস বলার। তবে সারা গা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে রমণী। মনে হচ্ছে এখনই বরফের মূর্তিতে পরিণত হয়ে যাবে।

“আ-আমি উঠি? আ-আমার খুব ঠাণ্ডা লাগছে।”

“লাগার জন্যই তো করা। আচ্ছা যাও, বেশি না, আর মাত্র দশ মিনিট।”

ঘড়ি দেখে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল নায়িম। বাসন্তীর কম্পিত কণ্ঠও তার মন ছুঁয়াতে পারে না। কিন্তু যুবতী? সে তো ধীরে ধীরে শক্তি হারা হয়ে উঠছে। অসাড় হয়ে উঠছে তার প্রতিটি অঙ্গ। সে যেন বোধ করতে পারছে না তার হাত-পা সহ অন্য অঙ্গ। আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বাসন্তী।

কাছে এসে কোলে তুলে বেডরুমে চলে নায়িম। তার চোখে-মুখে রাগ ঠোঁটে খেলা করছে এক পৈশাচিক হাসি। বাসন্তীর কাপড় বদলে দিয়ে তার চুল হেয়ার ড্রাইয়ারে শুকিয়ে, ব্লাঙ্কেট দিয়ে ভালোভাবে গা মুড়িয়ে দেয় সে।

“ইসলাম নারীকে সবচেয়ে অপরূপ ও মূল্যবান রত্ন বলেছে। তবে বসন্তকুমারী, তুমি আমার কাছে তার চেয়েও দামী। তবে তোমাকে আমি ভালোবাসি না বটে। ভালোবাসা তো ফিঁকে হয় সময়ের সাথে। তুমি হলে আমার জীবনরত্ন তুমি। যাতে আমার জান তো না, সুখ, স্বস্তি, আনন্দ, ভালো থাকা আটক। যা কখনো ফিঁকে হবে, সদাই মোহনীয় আর মূল্যবান মূল্য, যার দরকার শেষ হবে না আজীবন।”

থামে সে। বাসন্তীর কপালে আসা চুলগুলো কানের পিঠে গুঁজে দিতে দিতে পুনরায় মুখ খুলে।

“দামী রত্ন মানুষ লুকিয়ে রাখে, খারাপ নজরের আড়ালে। এত দামী রত্ন হয়ে তুমি লোকসমাজে দেখিয়ে নিজের প্রতি লোভ জন্মানোর গুস্তাখি করেছে। ক্ষমা তোমার প্রাপ্য নয়। শাস্তি তাই পেয়েছো। আশা করি আর কোনোদিন এই ভুল ভুলেও হবে না।”

___

“তুই কি পাগল? কী রে তুই? একটা প্রেগন্যান্ট মেয়েকে আইস বাথ্… যদি কোনো সমস্যা হয়?”

অনিমেষের চোখে, মুখে, কণ্ঠে রাগ ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা। সে কোনোসময়ই নায়িমের সাথে রাগ ধরতে পারে না। তার একমাত্র বন্ধুই নায়িম। এর পিছনেও অবশ্য নায়িম দায়ী।

“জাস্ট চিল। আইস বাথ প্রেগন্যান্সির সময় হার্মফুল না। তাছাড়া এটা তো আরও ভালো আমাদের জন্য, স্ট্রেস রিলিজ করে, রিলেক্স করে। এথালেটস্ও তো এই উপায় অবলম্বন করে।”

“ভুলিস না যে ঐটা তোর বউ, কোনো এথালেট না।”

“ওকে শাস্তি দেওয়া দরকার ছিল। তুই জানিস না আজ কত কী হতে পারত? আমি জাস্ট এসব বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু শুনতে চাই না।”

বন্ধুকে উত্তেজিত হতে দেখে হার মানে অনিমেষ।

“ওকেহ্। আজ রাতে তো তোর ইন্টারভিউ আছে ললিতা’স ইন্টারোগেশনে। আমি না করে দেই ওদের।”

“না, না, আমি যাব।”

বিচলিত হয় অনিমেষ।
“তুই নিশ্চিত? তোর মন-মানসিকতা এমনেই ঠিক নেই। এত বড় একটা কাহিনী হলো আজ। আর ললিতা খুবই ট্রিকি প্রশ্ন করবে। বাই চান্স তুই যদি এগ্রেসিভ হয়ে বা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছু বলে ফেলিস… তার চেয়ে ভালো আমি কিছু একটা বলে বিষয়টা পোস্টপন করে দেই।”

“বনে সিংহকে সবাই বেশি মানে কেন জানিস? কারণ সিংহ কখনো নিজেকে দুর্বল দেখায় না, শরীরে ক্ষত নিয়েও শানের সাথে গর্জন দেয় সে। আর এই গর্জনেই কাঁপে সবাই। আমি আজ না গেলে, ওরা মনে করবে আমি দুর্বল। একবার দুর্বল হিসেবে গণ্য হয়ে গেলে, বনে টিকা মুশকিল বন্যদের মাঝে।”

শ্রাগ করে উত্তর দেয় নায়িম৷ এত জটিল এক উপলব্ধি জাহির করাতেও তার কী যে সরল ভঙ্গি! যেন এটাই স্বাভাবিক। অনিমেষ সায় জানিয়ে চলে যায়। তার মামনি যে কল করেছে বাড়ি ফিরতে। যাওয়ার আগে একটা বাক্যই উচ্চারণ করে সে।

“এতটা কঠোরতার সহিত রাখিস না মেয়েটাকে, সবাই এক হয় না।”

___

বাসন্তীর দিকে এক পলক তাকিয়ে বেডের কিনারায় বসে নায়িম। হাতে তার কোকাকোলা। চেনা এই ঘরটাকে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে সে। গর্ভবতী বাসন্তীকে দেখে, এই ঘরকে দেখে অতীত তার চোখের সম্মুখে যেন স্পষ্ট ভেসে উঠে।

ঐ তো ঐ আলমারির কোণাটাতেই লুকাতো সে মিসেস খানের আঘাতের জন্য। নিজের অন্তঃসত্ত্বা জন্মদাত্রীকে প্রতিদিন বাবা ছাড়া অন্যকারো সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে দেখে কেমন ঝড় যেত বারো বছরের শিশু-কিশোরের উপর তা কেউ বুঝবে? তার রাগ লাগত না শুধু বমি পেত, গা ঘিনঘিন করত।

সে ছোট ছিল তবে একদম যে বুঝত না এমন নয়। প্রথমদিনই রাগ হলো তার ঐ লোকটাকে দেখে। লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিল সে। বলেছিল,

“দূরে থাকো আমার মমের থেকে, বাজে লোক!”

এর জন্য কত যে মার খেয়েছিল সেদিন মিসেস খানের থেকে।

“অসভ্য, শয়তান ছেলে! তোর বাপ এক কাটা জীবনের, আমার সুখের পথে বাধা। এখন তুইও জ্বালাবি! মর তুই!” তার কথাগুলোতে কতটা যে আঘাত কেটেছিল ছোট্ট হৃদয়ে তা কেউ জানে না।

নায়িম আজও ভাবে, ‘কোনো মা কী সন্তানের মৃত্যু কামনা করতে পারে এই সাময়িক সুখের জন্য?’ পরক্ষণে নিজেকেই উত্তর দেয়, ‘মায়েরা হয়তো পারে না, কিন্তু নারী ছলনাময়ী, তারা সবই পারে।’

সবচেয়ে কুৎসিত যে বিষয়টি লাগত ঐ ছেলেটির সাথে বাহিরে যেয়ে মিসেস খান মিস্টার খানকে বলত সে নিজের আর বাবুর চেক-আপ করাতে বেড়িয়েছে। প্রেগন্যান্ট নারী দেখলেই তার সামনে ঐ ঘৃণ্য নারীটির মুখশ্রী ভেসে উঠে।

কারো কলে ভাবনার সুতো কাটে নায়িমের। ফোন উঠিয়ে দেখে ললিতা’স ইন্টারোগেশন থেকে কল এসেছে। বেড়ুতে হবে তার। চলে যায়।

___

পরম উষ্ণতায় জ্ঞান ফিরে বাসন্তীর। জ্ঞান ফিরার পর বেশ রিলেক্স লাগে তার। নিজের অবস্থা দেখে আপনমনেই হাসে সে।

“মানুষটা এমন কেন? নিজেই আঘাত করে, নিজেই দাওয়া দেয়। সে কি অসুস্থ? যদি হয়, তবে এ অসুখের দাওয়া কেন নেই? না কি আছে?”

পরক্ষণেই রাতের কথা ভাবতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় সে। তার ডেলিভারি ডেট খুব বেশি দূরে নয়। কমপ্লিকেশনসের কারণে আগেই ডেলিভারি করতে হবে বলেছে ডাক্তার। তবে কী খুব শিঘ্রই নিজের সন্তান হারাতে চলেছে সে? জন্মের পর বাবুটার মুখটাও বুঝি দেখা হবে না তার?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here