তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৫

#তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা(উপন্যাস)
#পর্ব:5
#Suraiya_Aayat

” ব্যাগে এতো জামাকাপড় নিলে যে ! সারাজীবন থাকার জন্য যাচ্ছো নাকি আফু সোনা ?” খানিকটা রসিকতা করে বলল আয়াশ ৷ নূর আয়াশের কথাটা শুনেও কানে নিলো না, ও যদি এখন বেফাস করে কোন কথা বলে ফেলে আর তাতে যদি আয়াশ রেগে গিয়ে যেতে না করে দেয় তাহলে ওর আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে তাই কষ্ট করে কথাগুলো হজম করে নিলো নূর ৷ আয়াশ সোফা থেকে উঠে বিছানার ওপর থেকে নূরের ট্রলিটা মেঝেতে ফেলে দিয়ে নূরের কোমরটা জড়িয়ে ধরে ওর কাছে আনলো ৷ আচমকায় এমন হওয়াতে নূর চমকে গেল ৷ আয়াশের শরীরের সাথে মিশে আছে নূর ৷ আয়াশ নূরের মুখের উপর আছড়ে পড়া চুলগুলো হাত দিয়ে ওর কানের পাশে গুজে দিয়ে বলল
” এই আফুসোনা এত দূরে দূরে থাকো কেন বলতো , কাছে আসতে ইচ্ছা করে না বুঝি ?” নূরকে নিজের হাতের বাঁধনের মাঝে আবদ্ধ করে অদ্ভুত এক দৃষ্টি নিয়ে তাকালো ৷ নূর ওর দুহাত দিয়ে আয়াশের থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতেই হঠাৎ আয়াশ রেগে গিয়ে নূরের গলায় একটা কামড় বসাতেই নূর ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো ৷ আয়াশ দেখলো নূরের কাধে কামড়ানো জায়গায় ওর দাঁতের ছাপ বসে গেছে , তা দেখে মুচকি হেসে নূরের গলায় আরো গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়াতেই নূর এবার কেঁদেই ফেলল ৷ আয়াশ নূরকে জড়িয়ে ধরে আছে ছাড়ার নাম গন্ধ নেই তা দেখে নূর কাঁদতে কাঁদতে বলল ” এ কেমন অত্যাচার !”
আয়াশ ওকে জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে বলল
” তোমাকে কষ্ট দিয়ে তারপর কাছে টেনে নেওয়াটাও আমার কাছে একটা নেশার মতো ৷ কজ ইউ আর এলকোহোলিক ! বুঝলে আফুসোনা !”
কথাটা বলে নূরকে ছেড়ে দিয়ে নূরের দিকে আর দ্বিতীয়বার না তাকিয়ে বেরিয়ে গেল ৷ নূর ওর দু হাতের তালু দিয়ে বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে দু চোখ মুছে ফ্লোর থেকে ট্রলি আর জামা কাপড় গুলো তুলল ৷ ও বাসা থেকে আয়াশদের বাসাতে আসার সময় নূর ওর সাথে ওর মায়ের ছবির একটা ফটোফ্রেম এনেছিল , নূর ট্রলিটা তুলতেই দেখলো ফ্রেমটা ভেঙে গেছে কিন্তু ওর মায়ের ছবিটা অক্ষত অবস্থায় আছে, নূরের চোখ থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়লো ৷ মানুষটা এতো আঘাত কেন দেই ? কি এমন শত্রুতা ওর সাথে তার ?

___

আয়াশ ড্রাইভ করছে আর তার পাশে বসে অছে নূর ৷ এখনো সন্ধ্যা হয়নি, সবে মাত্র সূর্যের রক্তিম আভা দেখা দিতে শুরু করেছে , আকাশটা লাল-কমলা রঙে রঞ্জিত হয়ে আছে ৷ নূর আকাশের দিকেই তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে ৷ এই শহরে বিকাল বেলা সৌন্দর্য উপভোগ করার জো নেই, যদি কখনো কোন ঝিল বা লেকের ধারে গিয়ে পুরো বিকালটা কাটানো যায় তাহলে বোঝা যাবে যে প্রকৃতিটা আসলেই কতোটা সুন্দর, কতোটা নিঁখুতভাবে তা সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকর্তা ৷ মাঝে মাঝে রক্তিম আলোর ছটায় ঢাকা আকাশে পাখিদের উড়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল, তবুও মাঝে মাঝে দেখা যায়, তারা হয়তো তাদের গন্তব্যে ফেরার সুদীর্ঘ পথটা প্রয়াশই পরিবর্তন করে , তাঁদের ও ঘুরতে ইচ্ছা হয় এই শহর দিয়ে , উঠে যেতে ইচ্ছা করে এই শহরের বুকে ৷ নূর বরাবরই খুব প্রকৃতিপ্রেমী , আগে সুযোগ পেলেই ওর ভাইয়ার ক্যামেরাটা নিয়ে ছাদে গিয়ে কতো ছবি তুলে তা ক্যামেরাবন্দী করতো ৷ কিন্তু এখন সেই সুযোগ আর নেই ৷ সময় বদলায়, বদলায় মানুষজন, বদলায় তাদের অঙ্গভঙ্গি , বদলায় তাদের স্বভাব ৷ বাইরের দিকে বেশ মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে ছিলো নূর হঠাৎই আয়াশের বিষাদময় কন্ঠস্বর শুনে আয়াশের দিকে তাকাতে বাধ্য হলো ৷ সামনের দিকে তাকিয়ে আছে আয়াশ আর বলছে
” এই সেই রাস্তা আফু সোনা ৷”
আয়াশের এমন আধাখাপচা কথা শুনে নূর বিরক্ত হলো , পুনরায় নিজের কাজে মনোযোগ দিতে গেলেই আবার আয়াশ বলে উঠলো
” যেখানে সবাই হুঠ করে গুম হয়ে যাই ৷”
আয়াশের কথার শেষের অংশটুকু শুনে নূরের বুকের ভিতর ধক করে উঠলো ৷ না চাইতেও অবাক হয়ে আয়াশের দিকে তাকাতেই আয়াশের চোখের দিকে গভীর ভাবে নজর দিলো ও, চোখদুটি লেন্স বিহীন অপরূপ সুন্দর , আগে কখনো নূর কোন পুরুষের চোখের মায়ায় পড়েনি, আয়াশের চোখের মায়ায় পড়েছে সে, একবার তাকালে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা হয় , আসলে চোখ দুটো অনেক রহস্যের অধিকারী তাই হয়তো বড্ড সেই রহস্য গুলোকে সমাধান করতে ইচ্ছা হয় ৷ আয়াশ নূরকে অবাক করে বলল
” তোমাকে একদিন আমিও গুম করে দেবো, কি বলো !”
নূর শুকনো ঢোক গিলে বলল ” আপনি গাড়ি থামান আমি নামবো ৷ প্লিজ গাড়ি থামান ৷”
আয়াশ উদ্ভট এক হাসি দিয়ে বলল
” এতো ভয় পেলে চলে আফু সোনা ? এত ভয় পেলে তো মজা নেই ৷”
নূর মিনতির সুরে বলল ” আপনি গাড়ি থামান প্লিজ আমি নামবো ৷ আপনি কোন মানুষ নন, আপনি ভ্যাম্পায়ার অথবা মনুষরুপী ডেভিল ৷ আপনি কখনোই কারোর ভালো করতে পারেন না, আপনি অদ্ভুত একজন ৷”
আয়াশ হুঠ করে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে বলল
” যাও , ইউ ক্যান লিভ নাও ৷ ” নূর গাড়ির দরজা খুলতে গিয়েও পারলো না, সেটা লক করা বাইরে থেকে ‌৷ নূর ভয়ার্ত চোখে আয়াশের দিকে তাকালো, ভয়ে ও ঘেমে নেয়ে একাকার ৷ আয়াশ নূরের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো
“তুমি পালাতে চাইছো,নাও আই ইউল কিল ইউ ৷” বলে হাতের দিকে থাকা ছুরিটা নূরের দিকে ছুড়ে দিতেই নূর চেঁচিয়ে উঠলো ৷
বিছানা থেকে ধড়ফড়িয়ে নেমে এলো নূর ৷আয়াশ ওর পাশেই ঘুমাচ্ছে, আয়াশকে দেখে ওর শরীরটা থরথর করে কাঁপছে , ঘুমন্ত মুখে মানুষটাকে কতোটা নিষ্পাপ লাগছে কিন্তু ওর স্বপ্নে মানুষটা কতো ভয়ংকর , কি সাংঘাতিক, কতো সহজেই ওকে মারতে চাইছিলো ৷নূর মাটিতে হাটু ভাজ করে বসে আছে আর ফুঁপিয়ে উঠছে বারবার ৷ সারা শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার ৷ লুকিয়ে লুকিয়ে চোখ পিটপিট করে মাঝে মাঝে আয়াশের দিকে তাকাচ্ছে ৷ হঠাৎ আয়াশ ঘুমের ঘোরে ওর পাশের জায়গাটা খানিকখন হাতড়ে দেখলো, ও হয়তো নূরকেই খুঁজছে ৷ হঠাৎ নূরের জায়গাটা শূন্য অনুভব হতেই আয়াশ চমকে উঠলো , বিছানায় ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো আর চিৎকার করে বলল
” আফু সোনা ৷” নূর আয়াশের কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলো , মানুষটা ঘরের অন্ধকারে ওকে এখনো খুঁজে পাইনি , তবুও ঘরের মধ্যে জ্বলতে থাকা মরিচ বাতির আলোতে নূর তাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে, তার চোখে কোন কিছু মূল্যবান জিনিস হারিয়ে যাওয়ার বেদনা, তার চোখ জোড়া ছলছল করছে, এর থেকে আর বেশি কিছু দেখতে পারলো না নূর তার আগেই ঘরের আলো জ্বলে উঠলো ৷ হঠাৎ একসাথে অনেক আলো চোখে পড়ায় নূর চোখ বন্ধ করে নিলো ৷ আয়াশ এসে নূরের পাশে হাটু গেড়ে নূরের কাঁধে কাঁপাকাঁপা হাত রেখে বলল ” এই আফু সোনা তুমি এখানে কি করছো ?আমি না তোমাকে খুঁজছি ৷ কি করছো তুমি এখানে ?”
নূর ধীরে ধীরে চোখ তুলে আয়াশের দিকে তাকালো, মুখের ওপর আছড়ে পড়া চুলগুলো ঘামে ওর মুখের সাথে লেপ্টে গেছে ৷ আয়াশের দিকে তাকালো নূর, এখন আয়াশের চোখগুলো অতি স্বাভাবিক ৷ আয়াশ এবার নূরের দুগালে হাত রেখে হঠাৎই নূরকে আকঁড়ে ধরে বলল ” এই আফু সোনা আমি ডেভিল বলে তুমি আমার থেকে পালাতে চাও বলো ? এমন করো কেন? তুমি কি জানোনা তুমি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলে আমি আমার বাকিটা জীবন বাঁচার মনোবল হারিয়ে ফেলবো ৷”
হঠাৎ আয়াশের মুখ থেকে এতো হৃদয়স্পর্শী কথা শুনে আর আয়াশের শরীরের সংস্পর্শে এসে নূর ভাবলো যে আয়াশ ওর ক্ষতি করার জন্য ওর এতো কাছে এসেছে তাই স‌হ্য করতে না পেরে আর ভয়ে আয়াশকে ধাক্কা মারলো শরীরের সব শক্তি দিয়ে ৷ধাক্কা খেয়ে আয়াশ খানিকটা দূরে ছিটকে পড়লো ৷ অদ্ভুত ভাবে আয়াশ খুবই স্বাভাবিক, তার মুখে নেই কোন রাগের আভা আর নেই কোন হিংস্রতা ৷ আয়াশ নিজেকে সামলে নিয়ে নূরের কাছে গিয়ে বলল
” এই কি হয়েছে তোমার এমন করছো কেন আফু সোনা ৷ কোন কারনে ভয় পেয়েছো ?”
নূর এবার মুখ খুললো ” দূরে সরে যান আপনি, আপনি কখনোই আমার ভালো চাননা , আমাকে আপনি মারতে চান , আপনি মানুষ নন , আপনি অন্যকিছু ৷ আপনি মানুষরুপী ডেভিল ‌৷ আর একটু হলেই তো আমাকে,,,,,”
কথাটা বলতে যাবে তার আগেই আয়াশ নূরের ঠোঁটদুটো আঙুল দিয়ে চেপে ধরলো ৷
” শশশ, আর একটাও কথা না, আর যাইহোক তোমাকে মেরে ফেলে আমি কখনো নিজেকে এতো বড়ো আঘাত দেবো না ৷ পাগলেও নিজের ভালোটা বোঝে আর আমি তো ডেভিল ৷ তাই এই কথাটা কখনো মুখেও আনবেনা ৷”
কথাটা বলে নূরকে ফ্লোর থেকে কোলে তুলে নিলো ৷নূর আয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখের ভাষা খুব স্বাভাবিক আর খুব স্পষ্ট , যেখানে নূর কোন ভয় ছাড়া ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছে ৷ তাহলে এটা কি নিছকই ওর চোখের ভুল ! কথগুলো ভাবতে ভাবতে নূর অন্ধকার রুম অনুভব করলো, আয়াশ ওকে বিছানাতে শুইয়ে দিয়ে লাইটটা নিভিয়ে দিলো ৷ আয়াশ ওর দিকেই এগিয়ে আসছে,,নূরের কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যা কখনো বলে প্রকাশ করা যাবে না, এমন একটা অদ্ভুত চরিত্রের মানুষের এমন রুপটা যেন নূর মানতে পারছে না, আয়াশ ওর অছে, ভীষন কাছে ৷ নূর উঠে যেতে নিলেই আয়াশ নূরের হাতজোড়া মুঠিবদ্ধ করে নিলো
” এভাবে কেন পালিয়ে যাও আফু সোনা ?তুমি কি এটা জানো না যে তুমি যতোটা পিছিয়ে যাবে আমি ঠিক ততোটাই দরকার হলে তার ও বেশি তোমার দিকে এগিয়ে যাবো, তাই তোমার এই চঞ্চলতাটাকে কমাতে শেখো নয়তো আমার চঞ্চলতাতে তুমি অস্থির হয়ে পড়বে ৷ যখন তোমাকে কষ্ট দেবো তখন মুখ বুঝে কষ্টটাকেই গ্রহন করবে আর যখন ভালোবাসবো তখন সেই ভালোবাসাটাও মুখ বুজে মেনে নেবে ৷ কিন্তু কখনো আমার প্রতি তোমার অনুভূতি ব্যাক্ত করার মতো ভুল একটিবার ও করবে না ৷”
নূর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়াশ ওর ঠোঁটজোড়া দখল করে নিলো ৷ আজ কোনরকম কোন অস্বাভাবিকতা ছাড়াই আয়াশ নূরকে ভালোবাসছে , আয়াশ তার নেশাতে ডুবে যাচ্ছে, তার ভাষায়
” তুমিই আমার প্রিয় নেশা ৷”

____

কালকে রাতে নূরের বাসায় এসেছে আয়াশ আর নূর ৷ মায়াও এই বাসাতে আছে, সব রান্না বান্না ওই করছে ৷নূরের প্রতি মায়া খারাপ আচরন করলেও আয়াশের প্রতি তেমন কোন খারাপ আচরন করেনি ৷নূর আয়াশের প্রতি মায়ার ব্যাবহার গুলো লক্ষ করছে, এখনো অবধি খারাপ ব্যাবহার করেনি ৷ নূর একটা সস্তির নিশ্বাস ফেললো, আর যাই হোক আয়াশের প্রতি তো মায়ার ঘৃনাটা নেই, নাহলে নতুন জামাইয়ের সাথে খারাপ ব্যাবহার জিনিসটা বড্ড দৃষ্টিকটু ‌৷ নূর ওর ঘরে যেতেই হঠাৎ ওর বাবার ঘরের সামনে গিয়ে থেমে গেল ৷ সেই ঘরে আয়াশ ,নুরের ভাইয়া আর নূরের বাবা তিন জন মিলে গল্প করছেন ৷ আয়াশ আর নূরের ভাই বেশি কথা বলছেন , নূরের বাবা আরাফাত সাহেবের মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট ৷ হঠাৎই আয়াশ প্রশ্ন করে উঠলো
” আচ্ছা ভাইয়া আপনার আম্মু কোথায় তাকে তো দেখছিনা !”
নূরের ভাইয়া কিছু বলতে যাবে তার আগে আরাফাত সাহেব ঝাঁঝিয়ে বললেন
” অদ্ভুত প্রশ্ন কেন করো ? তুমি কি জানো না যে সে মারা গেছে ৷”
আয়াশ কৌতুহলী হয়ে বলল ” তা কবে আর কি করে মারা গেছেন উনি ?”
নূরের ভাইয়া বলে উঠলো ” কি করে মার গেছেন জানি না, তবে আমার নানুর বাসার যাওয়ার পথে সম্ভবত কোন কার এক্সিডেন্ট হয় আর,,,,,”
আয়াশ বলে উঠলো ” তারপর !”
আরাফাত সাহেব বলে উঠলেন ” তারপর আর কি ? তারপর মা গেছেন ৷”
আয়াশ একটু গাঢ় কন্ঠে বলল ” এতো উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? স্বাভাবিক কন্ঠে বলুন ‌৷”
উনি একটু থতমত খেয়ে বললেন
” পুরোনো কথা মনে পড়ছে তাই ৷”
আয়াশ মুচকি হেসে বললেন
” স্কিপ দিস টপিক ৷ উনি মারা গেছেন এটাই বড় সত্য তাইনা আঙ্কেল ?”
আরাফাত সাহেব রাগী চোখে তাকিয়ে বেরিয়ে গেলেন ৷ নূর তাড়াতাড়ি করে ওর ঘরে চলে গেল ৷ নূর ঘরে গিয়ে বিছানার ওপর বসে ভাবলো
” আমার তো নানার বাসাই নাই, থাকলে সেটা কোথায় ? কই আম্মু বা বাবা তো কখনো বলেনি ! কিন্তু কেন?”

#চলবে,,,

সরি লেট করে গল্প দেওয়ার জন্য ৷ এবার থেকে রেগুলার গল্প দিবো ৷ আসলে অনেক প্যাকটিক্যাল জমা পড়ে আছে সেগুলো করতে হচ্ছে তাছাড়া সারাদিনের কাজের ব্যাস্ততায় লেখার সময় হচ্ছে না, তাই সন্ধ্যাবেলা লিখতে বসি ৷ এবার থেকে প্রতিদিন দেওয়ার চেষ্টা করবো ৷ কেমন হয়েছে জানাবেন আর গঠনমূলক মন্তব্য করবেন ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here