তুমি বললে আজ ২ পর্ব -০৩

#তুমি_বললে_আজ_২
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ০৩.

.
“বাহ্! চার বছরের অপেক্ষার ফল যে, সোজা বুকে আসার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে ছিলো, ভাবতেই পারি নি।”

কথাটা কানে আসতেই তড়িৎগতিতে দু’হাতে প্রায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম তাসফি ভাইকে। জোরে জোরে শ্বাস টেনে ছাড়লাম বার কয়েক। এতক্ষণ মনে হয় কোন একটা ঘোরের মধ্যে গভীরভাবে পড়ে গেছিলাম। এতদিনের ধমিয়ে রাখা আবেগটা সহসায় বেড়িয়ে আসতে চাইছিলো যেন। নিজেকে সামলে নেবার চেষ্টা করলাম। এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে আবারও সামনের মানুষটার দিকেই স্থির হয়ে গেল। পুরনো সেই মানুষটিকে নতুন ভাবে তুমুল পরিবর্তনে আবারও তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। হ্যাঁ… চার বছর আগের সেই তাসফি ভাইয়ার সাথে কোনই মিল নেই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই তাসফি ভাইয়ার। আগের গায়ের রংটাও নেই। চার বছর আগে ওনার গায়ের রং ফর্সা হলেও এখন যেন ধপধপে ফর্সা হয়ে গেছেন। ফর্সা বুকে ও হাতের কালো লোমগুলো যেন আর গাড়ো কালো তে পরিণত হয়েছে। আগের সেই ছোট বড় চুলগুলোও নেই, সমান তালে বেড়ে কিছুটা কপাল সহ এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। খোঁচা খোঁচা চাপ দাঁড়িটা আগের চেয়েও অনেক বেশি গালে জায়গা করে নিয়েছে। পুরোনো কিছু খোঁজার আসায় খুঁটিয়ে দেখেও কিছুই খুঁজে পেলাম না পুরনো তাসফি ভাইয়ার মাঝে। মোটেও হতাশ হলাম না। চার বছর আগে পুরনো সেই মানুষটায় যখন হারিয়ে গেছে, তখন তার এই পরিবর্তন হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে জোরে নিশ্বাস টেনে ছাড়ালাম। তাসফি ভাইয়ার দিকে আবারও একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলাম। ওনাকে পাশ কেটে চলে আসার জন্য পা বাড়াতেই আবারও ভেসে আসলো সেই চেনা অচেনা গম্ভীর কণ্ঠস্বর।

“চোখ দিয়ে খাওয়া শেষ, আমাকে? নাকি আরও বাকি আছে?”

বলেই অদ্ভুত একটা হাসি দিলেন উনি। কয়েক সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বললেন,
“তাইলে রুমে যাওয়া যাক? একাকী বন্ধ রুমে শুধু চোখ দিয়ে নয়, ওই কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দিয়েও টেস্ট করা যাবে।”

ওনার কথায় আমি আবারও কেঁপে উঠলাম। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কাঁ/ম/ড়ে ধরলাম সাথে সাথে। চোখ তুলে ওনার দিকে তাকাতেই দেখলাম বাঁকা হেঁসে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। সাথে সাথে আবারও চোখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকালাম। ব*জ্জা*ত লোকের অ*সভ্য কথা বলার স্বভাবটা এখনো যায় নি। না…. এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকায় যাবে না। কিছুতেই ওনার এই হাসির মায়ায় দ্বিতীয় বার পরা যাবে না, কিছুতেই না। ওনার কথার প্রতিত্তোরে কিছু না বলে চলে আসতে লাগলাম, বড় বড় ধাপে পা ফেলে ওনাকে বেরিয়ে চলতে আসতেই খপ করে আমার ডান হাতটা শক্ত করে ধরে ফেললেন। হঠাৎ করে হাত ধরায় আমি আবারও প্রচন্ড গতিতে কেঁপে উঠলাম, বুকের বা পাশের টিপটিপ শব্দটা আবারও বাড়তে লাগলো।

উনি হাত ধরে টেনে ওনার সামনে নিয়ে আসলেন আমাকে। আমি কোন কথা না বলে শুধু হাতটা ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলাম। আমার ছটফট করতে দেখে ধমকে উঠলেন তাসফি ভাইয়া।
“এখনো লাফালাফির স্বভাবটা যায় নি? কথা বলছিস না কেন? বেয়াদব!”

প্রচন্ড শক্ত করে হাতটা চেপে ধরায় অনেক ব্যাথা পেলাম। ছলছল করে উঠলো চোখ দুটো। ওনার কথার কোন জবার না দিলেও অজান্তেই মুখ ফুটে অস্পষ্ট সুরে বেরিয়ে আসলো,
“আহ! লাগছে আমার।”

কিছুটা নরম হয়ে এলো ওনার হাতের বাঁধন। হাতটা আলগা করে ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামিয়ে নিলেন, আলতো করে পাঁচ আঙ্গুলে পুরে নিলেন আমার হাতটা। আমাকে আরও একটু টেনে নিয়ে কিছুটা দূরত্ব ঘুচিয়ে দিলেন। আস্তে করে বললেন,
“আমারও লেগেছে…. অনেক বেশিই লেগেছে, কিন্তু কাউকে দেখাতে পারি নি।”

ওনার দিকে তাকিয়েই ফট করে চোখ দু’টো নামিয়ে নিলাম। কেন জানি তাকাতে পারছি না ওনার দিকে, মনে হচ্ছে এখনি হয়তো ডুবে যাবো ওনার চোখের গহীনে। হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে উঠলাম,
“এভাবে অ*সভ্যের হাত ধরার মানে কি? ছাড়েন আমাকে। মামাতো বোনের হাত ধরাধরি করে কি বোঝাতে চাইছেন?”

আমার কথায় উনি দ্বিগুণ শক্ত করে হাতটা চেপে ধরলেন। এবার হাতের আঙুলে চা*প পরায় ব্যাথায় কুকিয়ে গেলাম। আবারও আহ্ করে আর্তনাদ করে উঠলাম। ছলছল চোখে বলে উঠলাম,
“লাগছে আমার। ব্যাথা লাগছে আমার।”

“ব্যাথা লাগছে? কিন্তু কষ্ট…. কষ্ট তো পাচ্ছিস না।”

“হ্যাঁ…. পাচ্ছি। অনেক কষ্ট পাচ্ছি আমি। কেন এভাবে হাত ধরে টানাটানি করছেন ভাইয়া? এগুলো আমার একদম পছন্দ নয়, ছাড়েন বলছি।”

শক্ত কণ্ঠে কথাটা বলেই অন্য হাত দিয়ে অনেকটা জোরেই ধাক্কা দিলাম ওনাকে। কিছুটা পিছিয়ে যেতেই হাতটা আলগা হয়ে গেল, সাথে সাথে ছুটিয়ে নিলাম ওনার হাত থেকে। অনেকটা অবাক চাহনিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। আমি পাত্তা দিলাম না, দিতে চাইও না, আর না আবারও ওনার মায়ায় পড়তে চাই। ওনাকে সাইড কে/টে দুই পা এগিয়ে আসলাম। হঠাৎ থেমে গিয়ে ওনার দিকে ঘুড়ে তাকালাম, উনিও তাকালেন। আমি আগের চেয়েও দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠলাম,
“মামার বাড়ি ঘুড়তে আসছেন, ঘুড়েন। মামীদের আদর যত্নের সাথে ভালো মন্দ খান। একদম আমার কাছে আসবেন না, হাত ধরাধরির চেষ্টা করবেন না। তাইলে কিন্তু ভালো হবে না বলে দিলাম।”

“তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস রুপু, এখন আর আমার কোন বাধা নেই।”

কথাটা বলেই চলে আসতে নিলে ওনার কথায় থেমে গেল আমার পা দু’টো। তবে এবার আর পিছন ফিরে তাকালাম না। প্রতিত্তোরে কিছু বললামও না।
কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে সোজা চলে আসলাম রুমে। দরজা আঁটকে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতেই দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। না চাইলেও বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো এক নতুন তাসফি ভাইয়ার চেহারা।
মিনিট বিশেকের মতো সময় নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলাম। নিজেকে ওনার প্রতি দূর্বল বানিয়ে কোন লাভ নেই, যে মানুষটা আমার নয় তাকে নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। ওনাকে নিয়ে ভাবার অনেক মানুষ আছে, আমার থেকেও অনেক কাছের মানুষ, ওনাকে ভালোবাসার মানুষ।

.
রুমের ছোট বারান্দায় বসে আকাশ কুসুম ভেবে চলেছি। ভাবনার পুরোটা জুড়েই শুধু একটা মানুষেরই বিচরণ, আর সেই মানুষটা অবশ্যই তাসফি ভাইয়া। মানুষটাকে যতই মন মস্তিষ্ক থেকে বের করতে চাই, ততই যেন আরও বেশি জেঁকে বসে। ওনাকে দেখার পর যেন একটু একটু করে জমিয়ে রাখা ওনার প্রতি খোপ, অভিমান সবকিছুই যেন মিলিয়ে যাচ্ছে। নতুন তাসফি ভাইয়ে দেখে, আবারও যেন কিশোরী বয়সের সেই আবেগ গুলো বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। না…. ওনার কথা কেন এতটা ভাবছি আমি? অন্য কিছুতে মন দিতে হবে। আপাতত মোবাইলে ডুবে থাকলে ওনার থেকে মু*ক্তি পাবো হয়তো।
ভেবেই মোবাইল নেবার জন্য রুমে আসলাম। বিছানায়, টেবিলে, ড্রেসিং টেবিলে খুঁজেও পেলাম না। গেল কোথায় মোবাইলটা? সকালে তাসফি ভাইয়ার সাথে দেখা হওয়ার পর আর রুম ছেড়ে বেরোয় নি। প্রাণ প্রিয় একাকী মন খারাপের সঙ্গী ডায়েরিটা নিয়ে বসেছিলাম। নিজের অবাধ্য কিছু না বলা কথা গুলো কলমের কালে কালি দিয়ে ভরিয়ে তুলেছিলাম ডায়েরির পাতায়। কখন যে দুপুর হয়েছিলো বুঝতেই পারি নি, জোহরের আজান কানে আসতেই খেয়াল হয়। চটপট গোছলটা সেরে নামাজ পড়ে বারান্দায় চলে আসি। এতক্ষণে ফোনের কথাটা মাথাতেই ছিলো না। হঠাৎ মনে পরলো সকালে তো খাওয়ার সময় হাতে দিয়ে বাইরে গেছিলাম। সোফায় বসে ফোন টিপতেই হঠাৎ তাসফি ভাইয়ার কথা মনে পড়ে। তারপর তো সেভাবেই ফোনটা ওখানে রেখে চলে আসছিলাম, তার মাঝ পথে তাসফি ভাইয়ার সাথে হঠাৎই ধাক্কা লাগলো।

তখনকার কথা মনে হতেই জোরে একটা নিশ্বাস ছাড়লাম। মোবাইলের কথা ভেবেই ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও দরজা খুলে বেরিয়ে আসলাম। বাইরে আসতেই রিফাপুর সাথে দেখা হয়ে গেল, হয়তো আমার রুমেই আসছিলো। আমি কিছু বলার আগেই বলে উঠলো,
” সারাদিন রুমের মধ্যে কি করিস তুই? খাবি কখন? আম্মু ডাকছে, তুই না গেলে আমার পাতেও ভাত দিবে না।”

বলেই হাসলো রিফাপু। আমিও হালকা হেঁসে বললাম,
“দিবে না, তো খাবে না। এক বেলা না খেলে কি এমন হবে বলো?

“তোর খাওয়া লাগে না জন্য, আমারও কি খাওয়া নাই? আমি তোর মতো ওমন না খাওয়া পাটি না বাবা, আজকে তো আরও না। স্পেশাল ভাবে রান্না হয়েছে কি না।”

“সেগুলো তো আর তোমার জন্য হয় নি, যার জন্য হয়েছে তাকেই বেশি বেশি গি*লতে বলো। হু!”

“উফ্ রূপা, তুই না বড্ড বেশি কথা বলিস। এখন চল তো তাড়াতাড়ি।”

“উমহু্! ভালো কথা বললেই বেশি কথা বলি, না? চলো।”

বলেই আর দাঁড়ালাম না। রিফাপুর আগেই হাঁটতে লাগলাম। রিফাপুও আসতে লাগলো। ডাইনিং রুমে আসতেই নজরে এলো সবাইকে। বড় টেবিল টাকে বুক করে বসে গেছে যে যার মতো। সবার সাথে সাগর ভাইয়া, রাহাত কেও নজরে এলো, শুধু মাত্র বড় চাচা, আব্বু এবং ফুপারা ছাড়া। হয়তো ওনারা আগেই খাওয়া শেষ করেছে। ছয় জনের ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে তাসফি ভাইয়া, সাগর ভাইয়া, রাহাত, রিমি বসেছে। তাসফি ভাইয়ার পাশের চেয়ার সহ আরও একটা চেয়ার বাকি পড়ে আছে। বড়মা বসতে বললেই আমি এগিয়ে গেলাম চেয়ারের দিকে। আমি বসার আগেই হঠাৎ রিফাপু ছুটে গিয়ে বসে পড়লো চেয়ারে। আমি আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম কি হলো। এখানেই কেন বসে হলো? রিফাপুর দিকে তাকিয়ে বললাম,
“কি হলো? এখানে বসলে কেন, আমি কোথায় বসবো?”

“ওই চেয়ারে গিয়ে বস। বললাম আমার খুদা লাগছে। আর একটা তে বসলেই তো হলো।”

রিফাপুর দিকে করুন চোখে তাকালাম, বোঝাতে চাইলাম ‘তোমার ব*জ্জা*ত ভাইয়ের পাশে আমি কিছুতেই বসবো না। তাতেও যেন কোন মায়া হলো না তার। এর মাঝেই ধমকে উঠলো আম্মু। বললো,
“হা করে স*ঙ্গের মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তোর জন্য কি পরে আবার নতুন করে খাবার বারবো? বস ওখানে।”

আম্মুর কথা শেষ হতেই তাসফি ভাইয়া বলতে লাগলেন,
“তোমার মেয়েকে একটু বেশি বেশি করে খাওয়াও মামী। যে পাটকাঠির শরীর বানাইছে, দু’দিন পর তো তোমার জামাই ওকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাবে না। তোমার নাতি নাতনির কথাগুলো তো বাদ-ই দিলাম।”

সবগুলো একসাথে হেঁসে উঠলো ওনার কথায়। আমি রাগী চোখে ওনার দিকে তাকাতেই দেখলাম বাঁকা হেঁসে একদিকেই তাকিয়ে আছেন। আম্মু আবারও আমায় ধমকে উঠে বসতে বললো। অগ্যতা তাসফি ভাইয়ের পাশের চেয়ারটাতে গিয়েই বসতে হলো। আমি বসতেই আম্মু আমার প্লেটে খাবার দিতে দিতে তাসফি ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,
“সারাদিনে একবার খেলে খাওয়ার কথা আর মুখেই আনে না। এখন তুই আসছিস, দেখিস ধমকে ধামকে যদি একটু খাওয়া তে পারিস। মানুষের ওজন দিন দিন বাড়ে আর ওর ওজন নিচের দিকে নামে।”

“তোমার মেয়ে কিন্তু অনেক বড় হয়ে বড় হয়ে গেছে মামী।”

বলেই চুপ হয়ে গেলেন উনি। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেই দেখলাম অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। হঠাৎ আমার আর তাসফি ভাইয়ার মাঝে দাঁড়ানো আম্মুর দিকে চোখ পড়লো। একদম স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে, তাসফি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। তাসফি ভাইয়া আমার দিকে থেকে চোখ সড়িয়ে আম্মু দিকে তাকালেন। হালকা হেঁসে বললেন,
“আমার ধমকে আর কাজ হবে না। তোমার মেয়ে তো আর ছোট নেই, যে আমার ধমকে কথা শুনবে।”

আম্মু কোন কথা বললো না। তাড়াহুড়ো করে প্লেটে খাবার দিয়ে দূত পায়ে চলে গেল। আম্মুর এমন ব্যাবহারে অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম না হঠাৎ কি হলো। হয়তো কাজ আছে, তাই আর কথা বাড়ায় নি।
সাতপাঁচ চিন্তা করা বাদ দিয়ে খাওয়ায় মন দিলাম। সবাই তাসফি ভাইয়ার সাথে টুকটাক কথা বললেও আমি চুপ করেই রইলাম। হঠা মোবাইলে রিংটোনের শব্দে আমার মতো সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি মাথা তুলে দেখার চেষ্টা করলাম কার ফোন বাজে। তাসফি ভাইয়ার পাশে তাকাতেই বুঝতে পারলাম ওনার মোবাইল বাজছে। হঠাৎ কি জানি মনে মনে করে মোবাইলের স্ক্রিনে নজর দিলাম। সহসায় কিছুটা চমকে উঠলাম। নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলাম। ওনার মোবাইলের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে তিন অক্ষরের ‘কিয়ানা’ নামটা। যেটা আমার কাছে প্রত্যাশিত হলেও হৃদয় পুড়ানোর একমাত্র কারণ।

.
.
চলবে…….

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here