তুমি_আমার_অধিকার🍂 পর্ব ১২+১৩

#তুমি_আমার_অধিকার🍂
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
#পার্টঃ12

অন্তী বাসায় এসে রাগে বিড় বিড় করে বলতে শুরু করলো..

পাগলামি কাকে বলে তুমি বুজতে পারবে নিলয় সাহেব ।
– অন্তীর রাগের সাথে অভিমানের পাল্লাটাও ভারী হলো !! নিলয় ওই ডাইনির সামনে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে, এর শোধ আমি তুলবো হারামির থেকে । হারুন সাহেব মেয়ের কথা শুনছে এতোক্ষণ ধরে ।

তবে হারুন সাহেব আর এসবের মাঝে নেই ।

নিলয় বাসায় এসে অন্তীর ফোনে অনেকবার কল দিচ্ছে , কিন্তু কল উঠাচ্ছে না সে । বেচারি অভিমান করছে নিলয় বুজতে পারছে । তবে কলটা কেনো ধরছে না সে এটা ভেবে নিলয়ের খুব রাগ হচ্ছে ।

সে অথৈকে কল দিলো – হ্যালো
– কিরে অন্তী কল ধরছে না কেনো রে?
অথৈঃ- আমি কি জানি । তাকে জিজ্ঞাসা কর । আমার সাথে কথা বলছে তর সাথে কেনো বলছে না তুুইই তো ভালো করে জানছ!!

– নিলয় কলটা কেটে দিলো, এইবার সোজা অন্তীদের বাসায় যাবে প্লান করলো !!

– অন্তী কিভাবে যেনো জানতে পারলো নিলয় আসবে তাদের বাসায়!! সে খুব দ্রুত রেডি হয়ে নিলয় আসার আগে বেরিয়ে গেলো । অন্তীর এমনভাবে কাপড় পড়ছে সহজে কেউ চিনতে পারবে না এটা সে??

– নিলয় বাসায় ঢুকতেই অন্তীও বের হয়ে গেলো । নিলয় তেমন খেয়াল করলো না কে গেলো তার পাশ দিয়ে । সে সিড়ি বেয়ে রুমের সামনে এসে কলিংবেল বাজালো..

– হারুন সাহেব দরজা খুলে দিলো..
আরে নিলয় যে, কি ব্যাপার ভেতরে আসো ।
নিলয়ঃ- আসসলামু ওয়ালাইকুম আংকেল অন্তী আছে ??
ওফফ একটু আগেই তো বান্ধবির বাসার কথা বলে বেড়িয়ে গেলো কেনো তুমার সাথে দেখা হয় নি
নিলয়ঃ- না দেখা হয় নি । তবে.. এইটুকু বলে আংকেল আমি আসছি পরে আরেকদিন আসমু ওকে এখন যেতে হবে..

হারুন:- আরে মাএ আসলা এখন চলে যাবা, ওহ হো এই পোলাপানদের বুজা দায় এই বলে দরজা বন্ধ করে দিলেন ওনি !!

নিলয় দ্রুত সিড়ি বেয়ে নেমে এসে রাস্তার দিকে দৌড় দিলো
অন্তীকে দেখাতো দূরের কথা, অন্তীর কেনো ছিটেফোটা নেই.

– এইবার নিলয়ের বড্ড অভিমান হলো । অন্তীর কাজে সে খুব কষ্ট পেলো । সে আসবে জেনে অন্তী চলে যাবে এটা ভাবতে পারিনি সে??

– নিলয় বাসায় চলে আসলো ।ফ্রেশ হয়ে ঘুম দিলো..

– অন্তী বাসায় ফিরতে হারুন সাহবে বলে উঠলো কিরে কোথায় ছিলি নিলয় এসেছিলো.. আর তার কল ধরছিস না কেনো..
অন্তীঃ- আমি বান্ধবিদের বাসায় ছিলাম । আর ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই ধরতে পারিনি..

-হারুন সাহেব হতাশা ভাব নিয়ে আর কিছু জিজ্ঞাসা করলো না. কি লাভ.. তাদের ব্যাপার তারা বুজে নিবে ।

বেশ কয়েকটা দিন চলে গেলো এর মধ্যে নিলয় আর যোগাযোগ করিনি অন্তীর সাথে । অন্তীতো এইবার মহা সমস্যা পড়ে গেলো । সে কি বেশি করে ফেললো নাকি নিলয়ের সাথে. তড়িঘড়ি করে নিলয়ের নাম্বারে কল দিলো । একি নাম্বারও দেখি বন্ধ । এইবার মনে হচ্ছে অন্তী কেদে দিবে ।

সে‌ আর কেনো উপায় না পেয়ে, অথৈকে কল দিলো…

অন্তীঃ- হ্যালো অথৈ.. ( কাদার স্বরে…)
অথৈঃ- হুম কি হয়েছে কাদছিস কেনো তুই… কি হয়েছে??
অন্তী তারপর সব কিছু খুলে বললো তাকে । আমি আসলে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলছি তাকে হুম… । আসলে আমি ব্যাপারটা চায়ছিলাম অন্যভাবে নিতে কিন্তু এখম দেখি পুরা খেলাটা ঘুরে গেছে । নিলয় আমার কল ধরছে না । কোথায় গেছে তাও জানি না । আমি আসলে গাধা হু. তুই খোজ নিয়ে দেখ না নিলয়ের ।
অথৈঃ- আচ্ছা ঠিক আছে ওয়েট আমি নিলয়ের খোজ নিয়ে জানাচ্ছি !!

অথৈ নিলয়কে কল দিয়ে জানতে পারলো সে কিছুদিনের জন্য তার খালাদের বাসায় গেছে আর কালকেই চলে আসবে. আর ফোনটা নিতে ভুলে গেছে ।

অন্তীঃ- ওহ এই ব্যাপার… কুওাটা আমাকে চিন্তা ফেলে এখন মনের শখে ঘুরছে ।

– অন্তী রাগ কম অভিমান বেশি । সে রাগ করলে আবার ঘন্টা দুয়কের মধ্যে শেষ হয়ে যায় । এইবার নিলয়ের ওপর কি করা উচিত সে বুজতে পারছে না ।

নিলয় আজকে বিকালে আসলো.. তার খালাদের বাসা থেকে. ফ্রেশ হয়ে দেখলো অন্তীর এতগুলো কল…

ও মাই গড…. এই মেয়েটা পারো বটে… বলতে না বলতেই অন্তীর কল আসলো.. নিলয় কলটা রিসিভ করে..??

নিলয়কে হ্যালোও বলতে দিলো না অন্তী.. একদাপ নিলয়কে বকা দিলো, কিছুটা রাগ দেখালো আর হালকা খানিক অভিমান স্বরে কথা বললো.. অনেক্ষণ কথা হলো তাদের.যাক সব ঠিকঠাক করে নিলো তারা!!

কালকে বিকালে নিরা আর অন্তীকে নদীর পাশে আসতে বলছে নিলয়, কি জন্য আসতে বলছে নিরাও জানে না অন্তীও জানে না ।

– যথা সময় নিরা আর অন্তী চলে আসলো । নিলয় এখনো আসে নি । অন্তী আর নিরা কথা বলা তো দূরের কথা দুজনে দুজনের মুখের দিকে ভালো করে তাকালো না । একজন নদীর দিকে তাকিয়ে আছে আরেকজন আকাশের দিকে 😂😂 । আর মনে মনে অন্তী নিরাকে কত কিছু বলছে তার কেনো হিসাব নেই ।

– নিরা মনে মনে খুশি অবশেষে নিলয় তাকে মেনে নিবে এমনটি মনে হচ্ছে তার কাছে না হলে তাকে ডাকবে কেনো? ..

– অন্তীর হদয়টা ধুক ধুক করছে, আর মাথায় একটাই কথা ঘুরছে আমি কি সত্যি নিলয়কে হারিয়ে ফেলবো এমনটি মনে হচ্ছে কেনো তার সে বুজতে পারছে না ।

একটু পর নিলয় আসলো হাতে তার কিছু একটা দেখা যাচ্ছে. দূর থেকে ঠিক তা বুজা যাচ্ছে না ।

নিলয় যত এগুাচ্ছে একজনের মনে খুশির জোয়ার বয়ছে.. আরেক জনের মনে প্রিয়জনকে হারানের ভয় তীব্র হচ্ছে..??

অবশেষে নিলয় তাদের সামনে আসলো । দুজনের সাথে কুশল বিনময় করে সে তার হাতের কাগজটা তার দিকে বাড়িয়ে দিলো. সে খুশি মনে কাগজটা নিয়ে পুরাই টাস্কি খেলো । আকাশ ভেঙ্গে পড়লো তার মাথায় এমন মনে হচ্ছে ?? সে কি ভাবলো আর কি হলো..

– নিলয় এটা কিভাবে পারলো তার সাথে ??
#তুমি_আমার_অধিকার🍂
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
#পার্ট_13

নিলয় নিরার হাতে ডিভোর্স পেপার দিয়েছে । আরে সেটাতে নিলয়ের সাইন করা বাদ ছিলো । আজকে সেটা করে দিয়েছে

নিলয়ঃ- যাক অবশেষে তুমি যা চেয়েছো তাই হয়েছে । এখন আর আমাদের মধ্যে কেনো যোগাযোগ নেই বা কেনো সম্পর্ক. আজ থেকে তুমি তুমার পথ দেখবে আমি আমার পথ দেখবো । ফারদার আমার সামনে কখনো আসবে না । আমার ওপর কেনো অধিকার নেই আজ থেকে । এটুকু বলে নিলয় থেমে গেলো ।

নিরা ভাবতেও পারিনি নিলয় এমনটি করবে । সে নিলয়কে কিছু বলতে যাবে নিলয় তাকে থামিয়ে দিলো.

– দেখো এখন আর একটি কথাও বলবা না । তুমি আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও.

– এইদিকে তো অন্তী সেই খুশি, সে ভাবতোও পারছে না । সমস্যাটা এতো তাড়াতাড়ি সলভ হয়ে যাবে । নিলয়ের ওপর প্রচন্ড অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে । অন্তী মুচকি মুচকি হাসছে নিরার চেহারার দিকে তাকিয়ে
আর নিরার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে ইশারাতে বুজালে ফট এখন থেকে.. তর সময় শেষ ।

-নিরা চলে গেলো ।

অন্তী তো সেই খুশি । তার এখন মন চায়ছে নিলয়কে জড়িয়ে কিস করতে । তবে সে আর দেরি না করে নিলয়কে অচমকা জড়িয়ে ধরিয়ে কিস করা শুরু করলো । নিলয় তো অন্তীর এমন কাজ দেখি হতম্ভব..

এইইই কি করছো পাগল হয়ে গেলা নাকি থামো মানুষ দেখে কি বলবে??
– দেখলে দেখুক তাতে আমার কি?? আমি আমার হবু বরকে কিস দিয়েছি তাদের সমস্যা কি??
– ওহ ছাড়ো আমার শরম করছে ।
– ওরে আমার লজ্জাবতী কই দেখি দেখি মুখখানা..

অনেকক্ষণ চললো তাদের খুনসুটি তারপর বাসায় চলে আসলো তারা । নিলয় তার বাবা মাকে অন্তীর বিষয়টা জানালো তারা নিলয়ের এক কথায় মেনে নিলোও । অপর দিকে হারুন সাহেবও না করলো না মেয়ের দিকে তাকিয়ে । আর নিলয় ছেলে হিসাবে ভালো তাহলে আপওি করার তো প্রশ্ন আসে না ।

– সামনের 14 তারিখে বিয়ের ডেট ঠিক হলো

এর মধ্যে কার্ড ছাপিয়ে একখানা কার্ড নিরার বাসায় পাঠানো হলো..

নিরার বাবা নিরাকে ডেকে তার হাতে নিলয় আর অন্তীর বিয়ের কার্ডটা দিয়ে বললো আহ কি কপাল আমাদের কত ভালো ছেলে আর তুই নিজ হাতে সব নষ্ট করে দিলি । নিরা তার বাবার কথার জবাব না দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো
কার্ডটা খুলে পড়লো । তার মনে নিলয়ের জন্য ভালোবাসা না ঘূর্ণা জন্মায়ছে । নিলয়ের বলা কথা আর অন্তীর হাসি তার মনে বিষাদ ঢেলে ঢালছে । মনে মনে সে তাদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত করা শুরু করে দিলো আমি থাকতে তুমাদের কখনো এক হতে দিবো না । তুমাদের সুখের সংসার হওয়ার আগে আমি তা নরক করে দিবো । আমাকে এখনো পুরাপুরি চিনো নাই তোমরা ।

– নিরা তার ফোনটা বের করে সে ভার্সিটিতে পড়ার সময় তখনকার এক মাস্তান ছিলো তার সাথে নিরার রিলোশন ছিলো কিছুদিন । তাকে কল করলো..

হ্যালো রবিন.. কে?
– কে
আমি নিরা..
– কোন নিরা..??
নিরাঃ- ভুলে গেছো আরে তালতলার নিরার ।
রবিনঃ- ওহ চিনছি কেমন আছো অনেক দিন পর কি মনে করে??
নিরাঃ- আমার একটা কাজ করে দিতে পারবা..!!
রবিন:- কি কাজ!!
একজনকে তুলতে হবে শুধু…
রবিন:- দেখো আমি এইগুলো ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগে এখন পারবো না!!
নিরাঃ- প্লিজ প্লিজ না করো না প্লিজ যতটাকা চাইবে দিবো সমস্যা নেই.
রবিন:- আচ্ছা ঠিক এতো বলতে হবে না, এই কাজে রিস্ক আছে আর টাকা নগদ 50 হাজার ক্যাশ দিতে হবে তারপর কাজ হয়ে গেলে 50 হাজার ওকে
নিরাঃ- হুম ওকে..
রবিন:- আচ্ছা এখন যাকে তুলতে হবে তার ফটো দেও আর কাজ হয়ে গেলে টাকা নিয়ে আমাদের গ্যারেজে চলে আসো আর যাকে তুলবো তাকে রাখবো কোথায়..
নিরাঃ- আগে তুলো কিছুদিনের জন্য গ্যারেজে রাখবা তারপর আমি ব্যবস্থা করে নিবো..
রবিন:- তবে দুইদিনের ভিতর পারবো না কিন্তু পরে ক্যচাল হয়ে যাবে । পুলিশের ঝামেলা টামেলা এখন আর ভাল্লাগে না তুমি বলছো দেখে কাজটা করে দিচ্ছি…
নিরাঃ- আচ্ছা বাবা আচ্ছা আগে কাজটা করো । আর কাজ হয়ে গেলো কল দিয়ো…

রবিন:- ওকে ঠিক আছে…

রবিন তাদের ছেলেদের কাজে লাগিয়ে দিলো তারা অন্তীকে দুই দিন ফলো করলো সে কোথায় যায় কি করে কার সাথে দেখা করে.. তবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো তারা অন্তী শুধু একজনের সাথে দেখা করে সেটা হলো নিলয়..

রবিন তার গ্যারেজে বসে তার ছেলেদের বললো ডেট ফাইনাল, মেয়েটা যখন কালকে বিকাল বেলা বাসা ফিরবে তখনিই কিডন্যাপ করবো । অন্তী যে পুলিশের মেয়ে তারা জানে না । বা নিরা তাদেরকে বলি নি তারাও জানতে চেষ্টা করে নি । তাদের কাজ হলো কাজ করো টাকা নেও..

পরের দিন …

আজকে দিনটা ফ্যাকাশে লাগছে নিলয়ের, চোখের সামনে বার বার অন্তীর মুখটা সামনে ভেসে আসছে । তড়িঘড়ি নিলয় ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেলো । অন্তীর বাসার সামনে এসে অন্তীকে কল দিয়ে নিচে নামতে বললো । অন্তী নিলয়ের ফোন পেয়ে কিছুটা অবাক হয়ে গেলো দ্রুত নিচে নামলো অন্তী নিচে নামতেই নিলয় অন্তীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ছাড়ার কেনো নাম গন্ধ নেই । বেচারি অন্তী তো তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিলো না । নিলয় অন্তীকে ছেড়ে বললো দ্রুত রেডি হয়ে আসো‌..

– অন্তী বাসা চলে গেলো আয়নার সামনে দাড়িয়ে ঠোটে হালকা করে গোলাপি রংয়ের লিপিষ্টিক দিলো । চোখে কাজল, আপতত এইটুকু দিয়ে দ্রুত নিলয়ের কাছে আসলো.

– নিলয়ের আজকে অন্তীকে প্রাণ ভরে দেখছে মেয়েটাকে আজকে অন্যদিনের চেয়ে খুব মায়াবি লাগছে ইসস মন চায়ছে এখনি খেয়ে ফেলতে তার পাখিটাকে নিজেকে কোন রকমে কন্টোল করে একটা রিক্সা ডেকে ঘুরতে বেড়িয়ে গেলো তারা

– আজ অনেক জায়গায় ঘুরলো অন্তীর যত পছন্দের জায়গা আছে সবখানে নিলয় অন্তীকে নিয়ে গেলো । চেয়ারে বসে আছে সে

– সে বলার আগে দুই প্লেট ফুচকা নিয়ে এলো নিলয় আগে সে ফুচকা খেতো কিন্তু আজ নিলয়ও তার সাথে খাবে উফ তার যে কি যে ভালো লাগছে….

– তবে সে এইবার ফুচকা খেতে গিয়ে ঝালে একাকার এমন ঝাল আগে কখনো লাগে নি । নিলয় অন্তীর দিকে তাকিয়ে বললো কি ঝাল লাগছে ,

অন্তী:- হুম… নিলয় অন্তীকে অবাক করে দিয়ে নিলয়ের ঠোট অন্তীর ঠোটের সাথে মিলিয়ে দিলো । অন্তী চোখ বড় বড় করে চেয়ে থাকলো নিলয়ের দিকে ।

– নিলয়ের ঠোটে স্পর্শ পেয়ে সে কেপে উঠলো.. তবে ঝাল কিছুটা কমেছে এটা ভালো লেগেছে.. তার

সন্ধ্যা হতে চললো

এইবার অন্তীকে রিক্সায় উঠিয়ে দিলো নিলয়

অন্তী যাওয়ার আগে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নিলয় মনে হচ্ছে‌ তার কলিজাকে কেউ তার কাছ থেকে নিয়ে যাবে..

এইদিকে রবিন ও তার ছেলেরা শিকারের জন্য অপেক্ষা করছে এতো দিন তাদের হাত থেকে কেনো শিকারী রেহাই পায় নাই ।

বস.. মেয়েটা এখনো আসছে না কেনো । আর কতক্ষণ থাকবো মশা তো আমাদের শরীরের ওপর অন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে..
রবিনঃ- অপেক্ষা কর আসবে আসবে..

রবিনের কথায় সত্যি হলো দূর থেকে অন্তী আসছে
‌ওইইই চললল শিকারি এসেছে গেছে চল শিকার করি..

অন্তী রিক্সা থেকে বাসার সামনে দাড়ালো রবিন তার দল অন্তীর দিকে এগুচ্ছে

– হঠাৎ তাদের সামনে দিয়ে গাড়ি গিয়ে অন্তীর সামনে দাড়ালো অন্তী কিছু বুজে উঠার আগে তার মুখে স্পে মেরে তাকে তুলে নিলো..

রবিন আর তার ছেলেরা তো পুরা অবাক, শিকারিকে তাদের সামনে থেকে নিয়ে গেলো, এটা কোনো অন্য কেনো গ্যাংয়ের কাজ হবে নাকী..

– কিছু না করে মামলা খেয়ে গেলো তারা.. রবিনের দল ব্যর্থ হয়ে গ্যারেজে ফিরে আসলো..

মোটামোটি রাত বারোটা অন্তী হুশ এলো রুমের বাহিরে বের হতেই সে পুরা হতবাক…??

( রহস্য যেনো বেড়ে চলছে, অন্তীকে রবিনরা কিডন্যাপ না করতে পারলে কে করলো সেটা আর কেনোই বা করলো তাদের উদ্দেশ্য কী ?? রহস্যের জট খুলবে নেক্সট পার্টে ততক্ষণ পযন্ত অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ)

চলবে..

.
( গল্পটা শেষ পর্যায়ে তাই চাচ্ছি আরো একটু গুছিয়ে কাহিনী দিয়ে শেষ করবো । যাতে পুরো গল্পটার মজা শেষ পার্টে পেতে পারেন.. নেক্সট পার্টে হয়তো গল্পটা শেষ হয়ে যাবে !!)

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here