তোকে দিয়েছি মন পর্ব ৩৩+৩৪

তোকে_দিয়েেছি_মন❤
৩৩.৩৪
পর্ব – ৩৩
Writer: Sidratul muntaz

🍂
টায়রাকে কোলে নিয়ে আমি বেডরুমে বসে আছি। আজরাতটার জন্য টায়রা থাকবে আমার খাচায় বন্দী। সারারাত ওর সাথে আমি গল্প করব। ওর কিচিরমিচির শব্দে মাতাল হবো। টায়রাকে শশা খাওয়াচ্ছি। লাল টুকটুকে ঠোটগুলো দিয়ে কি সুন্দর ঠুকরে ঠুকরে খায়। এ যেন এক অন্যরকম কৌশল। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে টায়রার শশা খাওয়া দেখছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে ঈশান এসে আমায় জড়িয়ে ধরলেন। উনার ঠান্ডা হাতের স্পর্শে কিছুটা চমকে উঠলাম আমি। উনি আমার পেছনে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে কাধের ডান পাশে মুখ ডুবিয়ে দিলেন। আমার ভীষণ সুরসুরি লাগছে। খিলখিল করে হেসে দিয়ে আমি বললাম–

আউউউ….. ঈশান সুরসুরি লাগে তো!

আমার কথায় ঈশানের কোনো ভাবান্তর হলো বলে মনে হচ্ছে না। সে খুব স্বাচ্ছন্দেই নিজের কাজ করে যাচ্ছে। আমি নিজের কোমর থেকে উনার হাত সরানোর চেষ্টা করলাম। উনি আমায় নিজের দিকে ঘুরিয়ে আমার দুই গাল চেপে ধরে বললেন–

ঘুম পাচ্ছে।

আচ্ছা তাহলে ঘুমান। আমি কি আপনাকে বেধে রেখেছি?

উনি আমাকে আরো শক্ত করে উনার বাহুডোরে আটকে নিয়ে বললেন– অবশ্যই বেধে রেখেছো। তোমার জন্য আমি বাজে ছেলে হয়ে গেছি। তাই এখন একা বিছানায় ঘুম আসেনা।

বলেই উনি আমাকে কোলে নিয়ে বারান্দা থেকে বেরিয়ে আসলেন। আমি ছটফট করছি কিন্তু উনার সাথে পেরে উঠা মুশকিল৷ দুম করে আমায় বিছানার উপর ছেড়ে দিলেন উনি। নিজের আশি কেজি ভরের শরীর টা পর্যন্ত আমার উপর চাপিয়ে দিলেন। এতো অত্যাচার কি সহ্য করা যায়? বিরক্ত হয়ে কিছু বলতে যাবো…. তার আগেই উপলব্ধি করলাম আমার ঠোট জোড়াও উনার দখলে। আমার যেন শ্বাস আটকে আসছে। মুহুর্তেই ঘরের আলো নিভে গেল। আর বাচার আশা নেই।

.

মাঝরাতে বিনা কারণেই ঘুম ভাঙল আমার। চারদিকে আবছা আলোর উপস্থিতি টের পাচ্ছি। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলাম ঘরের দরজা খোলা। ড্রয়িং রুম থেকে আলো আসছে। কিন্তু দরজা তো লক ছিল….. খুললো কে? পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম ঈশান পাশে নেই। কেনো জানি ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। উনি ওয়াশরুমে গেছেন?? না ওয়াশরুমে যায়নি। ওয়াশরুমের লাইট অফ। তাহলে কোথায় গেলেন?? খুব কষ্ট করে উঠে বসলাম। শরীর থেকে চাদরটা সরিয়ে বিছানা হাতড়ে কুর্তিটা খুজে পড়ে নিলাম। ওরনাটা গলায় জড়িয়ে বিছানা ছেড়ে নামলাম। উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈশানকে খোজা। এতোরাতে গেলেন কোথায় বুঝতে পারছি না। সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে দেখলাম পুরো বাড়ি অন্ধকার। কোথাও তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফোনের ফ্লাশলাইট টা নিয়ে আসলে ভালো হতো। এমনিতেও বাড়ির কোনো অংশই ঠিকমতো চিনে উঠতে পারিনি। তার উপর এমন অন্ধকার। ডানে বামে চোখ বুলিয়ে আবার উপরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। হাটতে কষ্ট হচ্ছে আমার। চোখটাও জ্বালাপোড়া করছে। সিড়ির দিকে পা বাড়াতে যাবো ঠিক তখনি আমার চোখ আটকালো রান্নাঘরের কোণায়। একটা সিকরেট রুম আছে ওই জায়গাটায়। শুরু থেকেই দেখে আসছি ওই ঘরটা তালাবদ্ধ থাকে। কিন্তু আজকে খোলা। লাইটও জ্বালানো। তাও আবার এই মাঝরাতে! ব্যাপারটা কেমন যেন গর্ভর লাগছে। ঈশান হয়তো ওইখানে থাকতে পারে। কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম। রুমের দরজাটা আধখোলা। আমি ডায়নাকে দেখতে পেলাম। প্রথমে ডায়নাকে চিনতে একটু অসুবিধা হল….. কারণ সবসময় মেয়েটাকে কালো কোর্ট আর শর্ট স্কার্টে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আজ হঠাৎ নাইট ড্রেসে দেখে খানিকটা অদ্ভুত লাগছে। তার থেকেও বেশি অদ্ভুত লাগার কারণ হল ডায়নার চেহারার অবস্থা। খুবই হতাশাগ্রস্ত লাগছে তাকে। যেন খুব খারাপ কিছু হচ্ছে তার সাথে। মেয়েটার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। মাথাটা নিচু রেখে নিঃশব্দে কেদে ভাসাচ্ছে সে। কিন্তু কেনো?? আমি এবার ঈশানের গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। ঈশানও তার মানে ভেতরে আছে। কিন্তু দরজাটা অর্ধেক বন্ধ থাকায় ঈশানকে দেখা যাচ্ছে না। ঈশানের বিড়বিড় কথা কানে আসছে। উনি কি ডায়নাকে বকছে? এইভাবে তো উনার বকার কথা না। এতোটা ফিসফিস করে উনি কাউকে ঝারবে এটা হতেই পারেনা। বরং এতোক্ষনে পুরো বাড়ি তোলপাড় হয়ে যাওয়ার কথা ছিল উনার চিৎকারের শব্দে। সেরকম কিছু যেহেতু হচ্ছে না তার মানে ঈশান মোটেও ডায়নাকে বকছে না। তাহলে কি বলছে?? কান অএতে শোনার চেষ্টা করলাম। ঈশান খুব শান্ত গলায় বলছে–

প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। ট্রাস্ট মি,,, আই লভ ইউ আ লট। হ্যা জানি আমার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিয়েটা আমি ইচ্ছে করে করিনি। বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে। আমি এখনো শুধু তোমাকেই ভালোবাসি ডানু! প্লিজ এইভাবে আপসেট হয়ে থেকো না। তোমার গোংরা মুখ দেখতে আমার একদমই ভালো লাগে না। সবসময় হাসিখুশি থাকবে তুমি। এটাই আমার চাওয়া। খুব শীঘ্রই মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়ে তোমাকে বিয়ে করবো। আমার বাড়ির বউ হবে তুমি। ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড সুইটহার্ট? গিভ মি আ কিস নাউ।

এটুকু শুনেই আমি কান চেপে ধরলাম। দাড়িয়ে থাকার শক্তি টুকু যোগাড় করতে পারছি। বুকের ভেতরটা চেপে আসছে। যেন এক্ষুনি দম আটকে যাবে। এক দৌড়ে রুমে চলে আসলাম। ওয়াশরুমে ঢুকেই দরজা আটকে বেসিনের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। আয়নায় নিজেকে দেখছি। চোখ দুটো রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছি। ঠোট কাপছে। এলোমেলো চুল গুলো মুষ্টি তে নিয়ে এবার কেদে উঠলাম আমি। শব্দ করে কাদতে লাগলাম। কি শুনলাম এটা আমি শুনলাম??? কেনো শুনলাম?? এই আর্তনাদ করতে করতে নিজের মাথা দেয়ালে ঠুকরালাম কয়েকবার। মাথায় চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে। হালকা ঠান্ডা অনুভুত হল। কপালে হাত রাখতেই দেখলাম গড়গড় করে রক্ত পড়ছে। চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসল। এরপর আর কিছু মনে নেই……
🍂

তোকে_দিয়েছি_মন❤
পর্ব – ৩৪
Writer: Sidratul muntaz

🍂
সবকিছু কেমন ঝাপসা লাগছে আমার। চোখ খুলে তাকাতে পারছি না। যতবার তাকানোর চেষ্টা করছি ততবারই যেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চোখ জোড়া। হাত দিয়ে কয়েকবার চোখ দুটো মুছে নিলাম। মাথাটায় ব্যথা হচ্ছে। যেন খুব ভারি কিছু চাপিয়ে রাখা হয়েছে আমার মাথায়। কপালে হাত রেখে বুঝলাম মাথাটা বাধা। হয়তো কোনো ব্যান্ডেজ করা। চোখটা প্রসারিত করে ভ্রু উচু রেখে আশপাশাটায় চোখ বুলালাম। ঈশানকে দেখলাম একটু দূরে সোফায় বসে আছেন। সিল্কি চুলগুলো খামচে ধরে মাথা নিচু করে রেখেছেন উনি। আমার নড়াচড়ার শব্দে হঠাৎ মাথা তুলে তাকালেন। লাল চোখ দুটো ফুলে আছে উনার। কেমন একটা অদ্ভুত লাগছে। মনে হচ্ছে খুব আপসেট উনি। আচমকা সোফা ছেড়ে উঠে আমার সামনে এসে বিছানায় বসে পড়লেন উনি। আমার দুই গাল চেপে ধরে তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে আমাকে দেখছেন। হঠাৎই জড়িয়ে ধরলেন। আমার চুলে হাত বুলিয়ে খুব শান্তির একটা নিঃশ্বাস নিয়ে ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলে উঠলেন —

কতোটা টেনশনে ছিলাম জানো? সারাটা রাত অসম্ভব যন্ত্রণায় কেটেছে আমার। শ্বাস নিতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন বিষাক্ত কিছু খেয়ে নিয়েছি। এতোটা কষ্ট হচ্ছিল। উফফ…. এতোক্ষনে যেন জীবন ফিরে পেলাম।

জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমার মাথায় আলতো করে একটা চুমু দিলেন উনি। উনার দুইহাত আমার কাধের উপর রেখে টেনে তুললেন আমায়। এবার উনার চোখেমুখে কাঠিন্যতা দেখা যাচ্ছে। কিছুটা ধমকের সুরে বললেন—

কেনো এভাবে কষ্ট দাও বলোতো?? এতোটা কেয়ারলেস কেনো তুমি?? ওয়াশরুমে গিয়েও এতোটা বেখেয়ালি থাকো যে পা পিছলে পড়ে মাথা ফেটে যায়! আচ্ছা তারা তুমি কি বাচ্চা? কিভাবে সামলাবো তোমায়!

কথাগুলো বলতে বলতে আবার মাথায় রাখলেন উনি। পুরো মুখে কয়েকবার মালিশ করে সোজা হয়ে বসলেন। উচ্চশব্দে বাবর্চি আঙ্কেলকে ডাকছেন।

— সায়েদ আঙ্কেল!!

কয়েক মিনিটের মাথায়ই সায়েদ আঙ্কেল উপস্থিত হলেন।

— জ্বী স্যার?

–মিস ডায়না কে বলবেন নিজে তদারকি করে পুরো ওয়াশরুম টা ক্লিন করাতে। ফ্লোর একদম নিট এন্ড ক্লিন তো থাকবেই সাথে যেন ড্রাই ও থাকে। খুব বেশিই অযত্ন হচ্ছে এসব ব্যাপারে। তারা ওয়াশরুমে গিয়ে হোচট খায় কি করে বলুন তো? ক্লিনিং এ কতটা ইরেসপন্সিবিলিটি থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? মিস ডায়নাকে বলুন এখুনি ব্যবস্থা করতে। দরকার হলে আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে সব ঠিক করাবো। আর কখনো যেন এমন ইন্সিডেন্ট না হয়।

— স্যার টয়লেট ওয়াশ করানোর জন্য অলরেডি একজনকে আনা হয়েছে। আপনি চাইলে কথা বলে দেখতে পারেন।

— ওকে কুল!! আমি যাচ্ছি।

অবসাদ কাটিয়ে এবার উঠে দাড়ালেন ঈশান। ধীরপায়ে হেটে বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে। আমার এসব দেখে রীতিমতো কান্না পাচ্ছে। এতোটা সাবলীল ভাবে মানুষ অভিনয় করতে পারে?? উনার ওই সরল মুখ দেখে তো যে কেউ অনায়াসে ধোকা খেয়ে যাবে। বাবর্চি আঙ্কেল আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।

— দেখলেন তো ম্যাম। আপনার একটা ভুলের জন্য কতকিছু হয়ে যাচ্ছে! কাল সারারাত আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। স্যার তো পুরো পাগল হয়ে গেছিলেন। পুরো বাড়ি লন্ড ভন্ড করে রেখেছেন। উনাকে সামলাতেই বেশি কষ্ট হয়েছে আমাদের। পুরোটা সময় আপনার মাথার কাছে বসেছিলেন স্যার। এই প্রথম স্যারকে কাদতে দেখেছি। সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। এমন করে উনি নিজেই না অসুস্থ হয়ে যান।৷ এরপর থেকে একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন ম্যাম প্লিজ। আপনার কাছে হাম্বল রিকোয়েস্ট। নিজে সেইফ থাকবেন আর আমাদেরও একটু সেইফ রাখবেন।

আমি নির্বিকার ভঙ্গিতে উনার কথা শুনে যাচ্ছি। কি উত্তর দেওয়া উচিৎ ভেবে পাচ্ছিনা। বাবর্চি আঙ্কেল চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই আমি উনাকে ডাক দিলাম—

বাবর্চি আঙ্কেল।

জি ম্যাম?

আমাকে ম্যাম বলবেন না। আজ থেকে আমি আর আপনার ম্যাম নই। আমি আপনার মেয়ের বয়সী। তাই মেয়ে হয়েই একটা রিকোয়েস্ট করবো আপনাকে। রাখবেন?

কি বলেন ম্যাম! রিকোয়েস্ট কেনো? আপনি শুধু অর্ডার করুন!

বললাম না ম্যাম বলবেন না।

আমম…. আচ্ছা বলবো না( অপ্রস্তুত হয়ে)। কি রিকোয়েস্ট?

আমাকে একটা টেক্সি বা ক্যাব ভাড়া করে দিতে পারবেন?? আমি চট্টগ্রাম ফিরে যেতে চাই।

আমার কথায় চোখ বড় করে কপাল কুচকালেন বাবর্চি আঙ্কেল।

কি বলছেন ম্যাম?? এই অবস্থায় আপনি জার্নি করবেন? স্যার জানতে পারলে তো…

স্যার যেনো কিচ্ছু জানতে না পারে। সেই দায়িত্ব টাও আপনার। প্লিজ বাবর্চি আঙ্কেল। নিজের মেয়ে মনে করে হলেও আমাকে আপনি সাহায্য করুন। এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই আমি। দয়া করুন।( মিনতির সুরে)

বাবর্চি আঙ্কেল বিস্ময় নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো কি বলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

ম্যাম এটা কি করে হয়? স্যারকে না জানিয়ে কিছু করলে আমার চাকরি চলে যাবে।

আমি উনার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে বললাম–

চাকরির গ্যারান্টি আমি দিতে পারবো না। শুধু এইটুকু বলতে পারি…. আমার এই উপকার টা করলে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে। প্লিজ। ( হাতজোড় করে)

কিন্তু ম্যাম কি কারণে আপনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা তো বলবেন?

সেটা…..সেটা আমি আপনাকে বলতে পারবো না। আপনাকে যেটা বলছি সেটা শুধু করে দিন।

কথাটা শেষ করেই চোখমুখ খিচে বন্ধ করলাম আমি। বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছি। ওই ভয়ংকর কথাগুলো মনেও করতে চাইনা আমি। তবুও প্রতিটা শব্দই যেন প্রতিধ্বনির মতো আমার কানে বেজে উঠছে। বাবর্চি আঙ্কেল আমার কথার উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন। আমি উনাকে পেছন থেকে ডাকতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না। শেষ ভরসাটুকুও নিভে গেল। এবার এই বন্দী দশা থেকে কিভাবে নিস্তার পাবো আমি? বাহিরে থেকে বাবর্চি আঙ্কেলের গলার আওয়াজ শুনলাম। আমার পালিয়ে যাওয়ার কথাটা ঈশান ভাইয়ার কানে লিক করছেন উনি। ভয়ে ভেতরটা কেপে উঠছে আমার। এইবার বুঝলাম আসলে মানবিকতা বলে কিচ্ছু নেই। সবই টাকার কাছে বিক্রি। অর্থের কাছেই একমাত্র এরা আত্মসমর্পণ করে। বড়ই নিষ্ঠুর এই মানবজাতি!
🍂

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here