তোমার পিছুপিছু পর্ব -১০+১১+১২

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব- ১০+১১+১২

রাতে ডিনারে বসেও মিলন সাহেব ব্যবসায়ের কথাই বলে গেলেন…..পারভিন বেগম শেষমেশ টিকতে না পেরে…. চেচিয়ে উঠলেন…
-উফ,,,,থামোতো…. কি শুরু কি করলে…!!!! সারাদিন পর ছেলেটা খেতে বসল…. আর তোমার ব্যবসা ব্যবসা শুরু হয়ে গেলো…..
-আমি তো জাস্ট ওকে একটু ক্লাইন্টদের সম্পর্কে ধারনা দিচ্ছিলাম….
-থামো.… হয়েছে….
তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে ছেলের দিকে তাকালেন….
-তুই তোর বাপের কথা একদম কানে নিবি না…. নিজেতো ব্যবসা ব্যবসা করে পাগল হয়েছেনই… তোকেও পাগল করে ছাড়বে…..
বর্ন কোন প্রকার কথা বলল না… শুধু মাথা ঝাকিয়ে গেলো….

ডিনারের পর মিলন সাহেবের সিগারেটের অভ্যাস…. তিনি ১৫ মিনিট বারান্দায় বসে একান্তে কিছু সময় কাটান… এবং দুইটা সিগারেট শেষ করেন…. একটাও বেশি বা কম না…. কিন্তু আজ মনে হচ্ছে এই রুটিনে কিছু ব্যাঘাত ঘটবেই… পারভিন বেগম ডিনারের পর পর নিজেও স্বামীর পিছন পিছন বারান্দায় এসে বসেছেন….. এবং বসে বসে উসখুস করছেন।
-এভাবে বসে বসে খুটখাট না করে…. কি বলবে বলে ফেলো….
-শোন আমি কথা বাড়াবো না…. সরাসরি বলছি…. আমি ছেলের বিয়ে দিতে চাই….
স্ত্রীর কথা শুনে মিলন সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো……
-তুমি এতো উঠেপড়ে কেনো লেগেছো,,, বলতো..!?…
-উঠেপড়ে লেগেছি মানে!!! ছেলেদের জন্যতো এটাই উপযুক্ত বয়স…. ছেলেকে বুড়ো ধামড়া বয়সে বিয়ে দিবো নাকি!!! শোন তুমি আমার কথা….. আমার ছেলের জন্য একটা খুব সুন্দর মেয়ে বউ করে নিয়ে আসবো…. মেয়েটা ঘোমটা মাথায় টুকটুক করে ঘরে ঘুরে বেড়াবে…. আমি নিজে হাতে বউকে বর্নর সব পছন্দের খাবার রান্না করা শিখাবো……
-ছেলেকে কি আদৌ জিজ্ঞেস করেছো….. ও বিয়ে করতে চায় কিনা!!!
-আমার ছেলেকে আমি চিনি….. ও আমাকে কখনোই মানা করবে না….
-তারপরও পারভিন…. ওর মতামত ছাড়া….
-তাহলে চলো….. ওর সাথে কথা বলে দেখি…..
-অন্য একদিন সময় করে কথা বলো… আজ এমনিতেই……………..
-আবার অন্যএকদিন কেনো….!! চলোতো চলো….. দেখি….

বর্ন একটা বই নিয়ে বসেছিলো….. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও কিছু ইন্টারেস্টিং বই নিয়ে বসে… যেনো ব্রেইন ক্লিয়ার থাকে….. তাহলে ওর মনে হয় রাতে সাউন্ড স্লিপ হয়…..বইয়ে খুব গভীরভাবেই মগ্ন ছিলো…. যখন কথার আওয়াজে মনোযোগ ভাংলো….পারভিন বেগম ছেলের দরজায় দাঁড়িয়ে
-কিরে বিরক্ত করলাম!?
-নাহতো মা….
-এখনো ঘুমোস নি কেনো!?….
পারভিন বেগম ছেলের রুমে প্রবেশ করলেন…. পিছন পিছন মিলন সাহেব…..
-ঘুমোবো মা….. আর কিছুক্ষন পরেই….
-কি পড়িস এটা!!!!
বর্ন হাতের বইটা মা’র দিকে তুলে ধরল….
-কিসব মোটা মোটা বই পড়িস..,,,, কিযে মজা পাস তুই সারাদিন এসব নিয়ে বসে থাকতে…..
বর্ন মা’র দিকে তাকিয়ে শুধু হাসলো…..
-শোননা বাপ…… সামনে তো তোর জন্মদিন… আমি আর তোর বাবা তোকে এবার অনেক গ্রান্ড একটা গিফট দিবো বলে ভেবেছি…..বলতো কি গিফট হতে পারে??
বর্নর জবাবের অপেক্ষা না করেই,,,, পারভিন বেগম বলতে শুরু করলেন….
-আমরা ভেবেছি…. তোর জন্য একটা লাল টুকটক বউ আনবো….. তোর এই মোটা মোটা বইগুলোর বদলে তোর সঙ্গী নিয়ে আসবো….. কিরে গিফট পছন্দ হয়েছে!?
বর্ন এরও জবাব দিলো না…. কেবল হাসলো… এই হাসির মানে কি!!! ছোটবেলার অনেকগুলো অভ্যাসের মধ্যে এটা একটা অভ্যাস…..
এবার মিলন সাহেব… শুরু করলেন…
-তোর যদি অন্য কোন চিন্তা ধারা থাকে,,,,, আমাদের বল….. অবশ্যই তোর মতামত আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়…..
-বাবা আমি কালও অফিসে যেতে চাই…..
ছেলে এভাবে হঠাৎ প্রসঙ্গ ঘুড়িয়ে ফেলায় মিলন সাহেব কিছুটা অবাক হলেও…. নিজেকে সামলে নিলেন
-অবশ্যই যাবি…. তোর কোম্পানি,,,, তোর যখন মন চাইবে… তুই তখনোই যাবি…..

ছেলের রুম থেকে ফিরে পারভিন বেগম আবার শুরু করলেন…
-শোনো আমি কিন্তু ছেলের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করবো…
-কিন্তু বর্নতো কিছুই বললো না….
-আরে… আমিতো আমার ছেলেকে চিনি… এভাবে হঠাৎ বিয়ের প্রসঙ্গ উঠায় লজ্জা পেয়ে গেছে,…. তুমি চিন্তা করো না…. তুমি বরং তোমার বন্ধু, ক্লাইন্টদের সাথে আলাপ করো…. দেখো কারো উপযুক্ত মেয়ে আছে কিনা…..
জবাবে মিলন সাহেব কিছুই বললেন না… শুধু হালকা মাথা ঝাকালেন…
(আসছে)

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব- ১১

তামান্না কাচের দেয়াল বেধ করে আরো একবার নিজের স্যারের দিকে তাকালো….. আজ ১৭ দিন হতে চলছে তামান্না অফিস জয়েন করেছে…. এই ১৭ দিনে কাজ ব্যাতিত অন্য কোন ব্যাপার নিয়ে এই নিমচা স্যারের সাথে কথা হয়নি….তাছাড়া তামান্নাও খুব সাবধানে বর্নকে এড়িয়ে চলে….. যেনো সেই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে বর্ন আর কোন খোচা মারতে না পারে……

২৫ মিনিটের মধ্যে মিটিং শুরু হবে….. তামান্না চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো…বর্নর অফিস রুমের দরজায় দুইবার নক করতেই ভিতর থেকে সাড়া পেয়ে তামান্না ভিতরে প্রবেশ করল…
-কেমন আছেন মিস তামান্না?
-জ্বী স্যার ভালো..… ধন্যবাদ আবার জিজ্ঞেস করার জন্য….
-ইউ আর ওলেয়কাম।
-স্যার, মোস্তফা গ্রুপস এর সাথে দুপুর ২টায় মিটিং,,, ২৫ মিনিটের মধ্যেই শুরু হবে…..
-হুম…. এখনো আমাদের হাতে ১৯ মিনিট সময় আছে….মিস তামান্না আপনি কি ইনস্ট্যান্ট কফি করতে পারেন?
কফির ব্যাপারে তামান্নার ধারনা খুবই কম। নেই বললেই চলে…. গ্রামে কখনো চায়ের প্রতিও ওর ধারনা বা আগ্রহ ছিলো না…. আর কফি তো দূরেই থাক….
তামান্না হালকা করে মাথা নাড়ল,
-নেই স্যার….
-আচ্ছা সমস্যা নেই…
বলেই বর্ন টেবিলের উপরের বেল প্রেস করল। একটু পরেই একজন ১৩/১৪ বছরের ছেলে বর্নর রুমে প্রবেশ করল,,, ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বর্ন হালকা হেসে বলল,
-হ্যালো মি. কিং…… আমাদের তোমার একটু সাহায্যের প্রয়োজন….
-কইন স্যার…. কি করতাম হইতো….
বর্ন বয়টাকে দুই প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট কফি আর তামান্নাকে এক মগ গরম পানি আনতে বলল,,,, সাথে চিনি আর দুধ।
বর্ন খুব যত্ন করে তামান্নাকে ইন্সট্যান্ট কফি বানানো শিখালো…. এবং এক কাপ কফি নিজে নিয়ে এক কাপ কফি তামান্নাকে দিলো…..
-মিস তামান্না,,, কফিটা দারুন হয়েছে না!??
বর্ন উৎসাহিত চোখে তামান্নার দিকে তাকালো….
এই তিতকুটে পানীয়টা তামান্নার কাছে একদম বিষাদ লাগলেও তামান্না হালকা মাথা ঝাকালো
-জ্বী স্যার ভালো হয়েছে…..
-আমি একটা ইনস্ট্যান্ট কফি মেশিন বসিয়ে দিবো…. তখন আপনার জন্য আরো সুবিধা হবে…..

মিটিং শুরু হলো ঠিক ২টায়….. তামান্না সম্পুর্ণ মিটিং-এ মাঝে মাঝে আড়চোখে বর্নর দিকে তাকালো….. কোন এক্সট্রা পয়েন্ট যদি নোট করতে হয়….. কিন্তু বর্নর কাছ থেকে তেমন কোন ইংগিতই পাওয়া গেলো না…. বর্ন মুখে খুব ছোট্ট একটা হাসি ঝুলিয়ে রেখে সম্পূর্ণ মিটিং পর্যবেক্ষণ করল,,,,,, এবং খুব মনোযোগ দিয়ে ডিলের প্রতিটা ডিটেইলস শুনলো……. তামান্না যদিও খুব অবাক হলো…. কারন ওর মনে হয়,,,,, ওর এই নিমচা স্যারটা নিজের ব্যবসা নিয়ে পুরোই উদাসীন….. সারাদিন মাথা গুজে রাখে ইয়া মোটা মোটা বইয়ের ভিতর।

মিটিং শেষে বর্ন, তামান্না আর জনাব আকিজ বর্নর অফিস রুমে প্রবেশ করলেন। বর্ন নিজের চেয়ারে বসল,,,,আকিজ সাহেব বসলেন বর্নর সামনের চেয়ারে….জনাব আকিজ,, মিলন সাহেবের খুবই বিশ্বস্ত একজন কর্মচারী…. উনি মিলন সাহেবের সাথে গত ২৭ বছর যাবৎ কাজ করে আসছেন….. এবং সেই ভরসায়ই মিলন সাহেব উনাকে ছেলের কোম্পানিতে এপয়েন্ট করিয়েছেন….. যেনো আকিজ সাহেব বর্নকে হাতেকলমে ব্যবসায় ধরিয়ে দিতে পারে এবং সাহায্য করতে পারে…..
-সো বর্ন,,,,কি মনে হয় তোমার… …?
-মিস তামান্না….
-জ্বী স্যার…
-আপনি কালকেই উনাদের ফোন করে জানিয়ে দিবেন…. আমরা এই ডিলে আগ্রহী নই…. ওই আর নট ইন্টারেস্টেড….
-ভেবেচিন্তে বলো বর্ন….. কোম্পানিটা ছোটখাটো হলেও কিন্তু আমাদের ৬৫% শেয়ার দিচ্ছে…… অর্থাৎ দিন শেষে আমরাই লাভবান হচ্ছি…… সুতরাং…..
-মি. ইমতেয়াজ…. ইউ আর ফায়ারড….
(আসছে)

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব- ১২

তামান্না বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল বর্নর দিকে….. এভাবে সেকেন্ডের ভিতরেও কি কাওকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়!!!! তামান্না বার কয়েক শুকনো ঢোক গিলল…..
আকিজ সাহেব কিছুক্ষণ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলেন বর্নর দিকে…. কিন্তু বর্নর কোন ভাবান্তর নেই…. ঠিক আগের মতই গম্ভীরভাবে তাকিয়ে রইল…..
নিরবতা ভেঙে আকিজ সাহেবই প্রথম প্রশ্ন করলেন….
-কারন?
বর্ন মৃদু হাসলো এবার…..
-মি. ইমতেয়াজ…..
প্রথমত,,,,,আপনি আমার এমপ্লয়ি… সুতরাং….. ইউ শুড এড্রেস মি এজ স্যার….. ডোন্ট ইউ থিংক….
আকিজ সাহেব এখন একটু নড়েচড়ে বসলেন…
-দ্বিতীয়ত,,,,,এটা আমার কোম্পানি… সুতরাং আমি চাইবো,,,,আমার এমপ্লয়ি,,,, আমাকে মানবে,, আমার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে,, কিন্তু তাদের উপর আমার চেয়ে আপনার কর্তৃত্ব বেশি ফলে। সেটা কি আদৌ ঠিক!!! আমার এমপ্লয়ি,,, এমনকি আপনিও…. আমার আন্ডার কোন্ট্রলে থাকবেন সেটাই বিধিসম্মত নয় কি!!
-এবং,,,,মি. ইমতেয়াজ…. আপনি আমাকে খুব ভালোভাবে চিনেন…. অর্থাৎ একদম ছোটবেলা থেকেই চিনেন…. আমার দুর্বলতা, সবলতা সম্পর্কে আপনি অবগত…… আমার এমপ্লয়ি,,, আমার দুর্বলতা সম্পর্কে অবগত থাকবে,,,,দ্যট ইজ এ হিউজ রিস্ক…… ফর মি… এন্ড ফর দ্যা কোম্পানি….. আপনি যেকোনো সময় আমার বিরুদ্ধে আমার দুর্বলতা ব্যবহার করতে পারেন…..!!!
-কিন্তু মি. ইমতেয়াজ,,,, আপনাকে বরখাস্ত করার সবচেয়ে বড় কারন…… এমপ্লয়িদের মনে আমার জন্য যেমন সম্মান থাকাটা জরুরি,,,ঠিক তেমনই ভয় থাকাটাও জরুরি…. আপনি আমার এবং কোম্পানির জন্য,,,, বলতে গেলে রাইট হেন্ড….. খুবই উচ্চপদস্থ কর্মচারী…. আপনাকে বরখাস্ত করা মানে… প্রত্যেকের মনে একটা সূক্ষ্ণ ভয় জন্ম নেয়া….. এবং আমার জন্য তাদের মনে এই ভয়টাই এইমুহুর্তে আমার প্রয়োজন… কোম্পানির প্রগ্রেসের জন্য….
আকিজ সাহেব খুব মনোযোগ দিয়ে বর্নর প্রতিটা কথা শুনলেন….. তারপর হালকা হেসে মাথা ঝাকালেন….
-ইউ আর গোয়িং টু বি এ গ্রেট বিজনেসম্যান….
-থ্যাংক ইউ…. মি. ইমতেয়াজ…..
আকিজ সাহেব রুম ছেড়ে বের হয়ে গেলে…. বর্ন তামান্নার দিকে ফিরল… তামান্না এখনো পুরো বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছে না…..
-মিস তামান্না,,,
-ই,,,ইয়েস স্যার…
-এত টায়ারিং একটা মিটিং-এর পর একটু কফি খাওয়া যায়…. কি বলেন…..
-তামান্না উচা নিচা ভ্রু করে তাকালো বর্ন দিকে….. কত্তবড় পাষান…. মিনিট খানিক আগে এভাবে একজনকে বরখাস্ত করে দিয়ে লাটসাহেব এখন কফি খাবেন!!!!
তামান্নার মনের কথা বুঝতে পেরেই যেন…. বর্ন একটা আশ্বস্তের হাসি দিয়ে বলল,,,
-ডোন্ট ওয়ারি মিস তামান্না…. আকিজ চাচা আমার বাবার আন্ডারে কাজ করছেন….. আমার কোম্পানিতে উনি টেম্পোরারি কর্মচারী ছিলেন…. সুতরাং এখান থেকে উনাকে বরখাস্ত করে দিলেও উনার কোন প্রকার অসুবিধাই হবে না…..

@@@
বর্ন শাওয়ার নিয়ে বের হয়েই একটা বই হাতে নিলো…. গলায় ভিজা টাওয়াল ঝুলানো…. ঝাকড়া চুল থেকে তখনো টপ টপ করে পানির ফোটা পড়ছে…… বর্নর তারপর চুল শুকাতে ইচ্ছে করছে না….. হঠাৎ কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে ফিরে তাকালো….
মিলন সাহেব ছেলের গলায় ঝুলানো ভিজা টাওয়াল নিয়ে বর্নর রুমের বারান্দায় শুকাতে দিয়ে এলেন…..
ছেলের সামনে বসলেন…. বর্ন বইয়ে মুখ গুজে….
-বর্ন,,,, অফিসে দিন কেমন গেলো…
-হুম….
বর্ন মাথা না তুলেই জবাব দিলো….
-বর্ন….
-বলো বাবা….
-বর্ন,,,,তুমি ইমতেয়াজকে বরখাস্ত করেছো!!!….
-হুম….
-কারন?
এবার বর্ন বই রেখে বাবার দিকে তাকালো…..
-বাবা….. বিজনেসটা আমার….. আমি কাকে এপয়েন্ট করবো,,, কাকে ফায়ার করবো এটা নিয়ে তোমার জবাবদিহি করাটা কি যৌক্তিক!!!! তোমার বিজনেস নিয়ে কিন্তু আমি কখনো কোন প্রশ্ন করি না বাবা……..
ছেলের স্পষ্ট জবাবে মিলন সাহেব কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন…… তারপর কোন জবাব না দিয়েই দরজার দিকে পা বাড়ালেন….
– ব্যবসা সম্পর্কে তোমার আর কোন ধারনা লাগবে বলে আমার মনে হয় না…..
তারপর ছেলের দিকে ফিরে তাকালেন….
-ইউ হেভ অলওয়েস… এন্ড আর মেকিং মি প্রাউড অফ ইউ…..সান….
বর্ন কেবল জবাবে শুধু মাথা ঝাকিয়ে হাসলো….

(আসছে)

নিয়মিত গল্পের লিংক পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে সাথেই থাকুন।

https://facebook.com/groups/999645603764557/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here