তোমার পিছুপিছু পর্ব -১৬+১৭+১৮

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব-১৬+১৭+১৮

তামান্না যখন বাসের ঠেলা ধাক্কা আর উতপ্ত গরম পার করে অফিসে ঢুকল তখন ঘড়িতে ১০টা ছুই ছুই করছে। তামান্না “আল্লাহ, আল্লাহ” করতে করতে অফিসে ঢুকল। আজ আর তার রেহাই নেই। নিজের ডেস্কে বসার সময় পাশেই গ্লাসের ভিতর দিয়ে বর্নর রুমে একনজর দেখল,,,,, বর্ন বেশ মোটাসোটা একটা বইয়ের ভিতর মাথা ডুবিয়ে রেখেছে।
তামান্না ফোস করে দম ছাড়ল যাক বাবা বাচা গেল। ডেস্কে বসে কি মনে করে আরএকবার ওইদিকে তাকাতেই দেখে বর্ন ওর দিকে তাকিয়ে। তামান্না তাকাতেই বর্ন হাসল। তামান্নার বুকটা ধ্বক করে উঠল।
দুপুর দিকে তামান্না লাঞ্চ করে এমডির রুমে গেল কিছু ফাইল নিয়ে। নক করে ভিতরে ঢুকতেই বর্ন উৎসাহিত হয়ে বলল,
-মিস তামান্না ভালো সময় এসেছেন। এক কাজ করুন চট করে দুইকাপ চা করে নিয়ে আসুন। চা খেতে খেতে আপনাকে খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার বলি।
-আসলে স্যার এই ফাইলগুলো……………..
-ফাইল রাখুন এখানে পরে দেখব। আপনি কফি নিয়ে এসে বসুন। জলদি,, জলদি,,।
তামান্নার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। খুব বেশি মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এই ছেলের সমস্যা কি!! ওকে দেখলেই কি এর কফি খেতে মন চায়!!!! ওকে পেয়েছেটা কি,,,,,আশ্চর্য!! তামান্নার এখন নিজেকে এসিস্ট্যান্ট কম বুয়া বেশি মনে হচ্ছে।

তামান্না কফি হাতে বর্নর রুমে ডুকতেই বর্ন একটা হাসি দিল। তামান্না মনে মনে বলল, তরে রে ক্যাবলা বাবা একদিন এমন ঘুসি দিব যে সামনের দু পাটি দাত ভেঙে যাবে তখন দেখব কিভাবে এত কেলাস,,!
বর্ন চুকচুক করে কফিতে চুমুক দিচ্ছে আর হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছে। কথা বলছে না ঠিক, ও বুঝাচ্ছে। হাতের বইটা বন্ধ অবস্থায় টেবিলে রাখা। তামান্না আড়চোখে তাকালো “The Time Machine ” নামক বইটার দিকে….. এই বইয়ের ঘটনাই বর্ন ওকে খুব সুন্দর করে বুঝাচ্ছে……তামান্না খুব মনযোগী ছাত্রীর মত বর্নর প্রতিটা কথা শুনল। বুঝানো শেষ হলে বর্ন বলল
-ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং না??
-জ্বী স্যার।
-আমি জানতাম আপনার কাছে ভালো লাগবে।
-স্যার, একটা কথা,
-বলুন
-আপনি যে আমাকে বসিয়ে রেখে আপনার ইন্টারেস্টিং ব্যাপারগুলো বুঝান, এগুলো কি আমাকে ফ্রি শুনতে হবে নাকি এর জন্য আমাকে পেমেন্ট করা হবে।
তামান্না ইচ্ছা করেই কথাটা খোচা মেরে বলল,,, কারন বেশ কিছুদিন যাবৎ-ই বর্ন ফ্রী টাইমে তামান্নাকে ওর সামনে বসিয়ে রেখে এইসব বিভিন্নপ্রকার বই নিয়ে আলোচনা করে…. তামান্নাও আগ্রহী শ্রোতাদের মত শোনার ভান করে,,,,
কিন্তু তামান্নার এই খোচায় বর্নর মধ্যে কোনভাবান্তরই হলো না,,,,,বর্ন হাসি হাসি মুখ করেই বলল
-আপনি চাইলে পেমেন্ট করা হবে।
তামান্না অবাক হয়ে ভাবে এই হাবলাটা কি অপমানও বুঝে না নাকি।
-মিস তামান্ন আপনি এক কাজ করতে পারেন এই কাজটাকে ওভারটাইম ভাবতে পারেন। ওভারটাইমের জন্য একজন এমপ্লয়িকে যত পেমেন্ট করা হয় আপনাকেও তত করা হবে।

এই কথা শুনে তামান্নার আসলে খুশি হওয়া উচিত নাকি রাগ হওয়া উচিত ও ঠিক বুঝে উঠতে পারল না।ও উঠে বর্নকে কিছু জিগ্যেস না করেই বের হয়ে গেল রুম থেকে।

তামান্না বাসায় ফিরলো.…. খুশিতে বাকবাকুম করতে করতে… কারন,,,আজ ওর প্রথম স্যালারী দেওয়া হয়েছে…. তামান্না দুই হাত ভর্তি বাজার নিয়ে বাসায় প্রবেশ করল,,,,, ওকে এভাবে ভিতরে আসতে দেখেই ওর মামাতো বোন বিন্তি বলে উঠল,
-ওয়াও বাহুবালি আপু দেখছি,,,,, তুই তো পুরো বাজারই হাতে করে তুলে এনেছিস….
-আজকে ফিস্ট হবে রে,,,,যা মামীকে ডেকে নিয়ে আয়…
-মা পাশের ফ্লাটে গেছে,,,গরম গরম গসিপ গিলতে,,,,
তামান্নার মামী ফ্লাটে ফিরে এতসব বাজার দেখে যেনো পুরোই আক্কেলগুড়ুম অবস্থা,,,,
তামান্না মামীর হাতে ৫৫০০ টাকা তুলে দিয়ে বলল,
-মামী দুইবছর আমায় এখানে থাকতে দিয়েছেন,,,,তার প্রথম ঋণ শোধ করলাম,,,ধীরে ধীরে বাকিটাও করে দিবো…..।

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব-১৭

তামান্না হাত ঘড়িটার দিকে তাকালো… ২টা বেজে ৫মিনিট হতে চলছে…. ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে ঢক ঢক করে কয়েক ঢোক পানি খেলো,,,,তামান্না বুঝে উঠতে পারে না,,,এটা আসলে কি সিজন চলছে,,,এই বৃষ্টি পড়ছে তো,,, এই ঠাডা পড়া রোদ,,,আবার এই কুয়াশা,,৷ আশ্চর্য্য!!!!!,,,,, সেই সকাল ১০টায় বের হয়েছে বাসা থেকে….. উদ্দেশ্য ছোট খাটো একটা সিংগেল রুমের বাসা খোজা… কিন্তু এই অতি ক্ষুদ্র কাজটা যতটা সহজ মনে হয় ততটাও সহজ নয়,,,,একটা পার্মানেন্ট জবের অপেক্ষাতেই ছিলো তামান্না,,,,যার জন্য প্রথম সেলারী পেতেই বাসা খুজতে লাগলো,,,,অনেকতো হলো উঠতে বসতে মানুষের কথা শোনা,,,,এবার অবশ্যই নিজের রাস্তা নিজেরই খুজে নিতে হবে,,,,,
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই যে,,,এতো এতো বাসা দেখার পরও তামান্নার চাহিদা মত বাসা মিলছে না,,,,,শুক্রবার বিধায় আজই বাসা একটা খুজে বের করতে হবে,,,,কাল থেকে আবার ডিউটি শুরু,,,,আরো একসপ্তাহ অপেক্ষা করা অবশ্যই সম্ভব না,,,,,
ভাবতেই ভাবতেই তামান্না একটা খয়েরী রঙের লোহার গেটের সামনে এসে দাড়ালো,,,গেটের মাথায় টুলেট লিখা,,,,তামান্না দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করল।

বর্ন লেপটপ ওপেন করে ই-মেইল চেক করছে,,,বেশ কয়েকটা কোম্পানির সাথে মিটিং আছে,,,,,এবং সেই কোম্পানিগুলোর ই-মেইলের রিপ্লাই দিচ্ছে বসে বসে,,,,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তামান্নাই এইকাজগুলো করে,,,কিন্তু যেহেতু আজ অফিস নেই তাই বর্ন নিজেই করছে….. এর মধ্যেই জরজরি বেগম ধপাস করে বর্নর রুমের দরজা ঠেলে দৌড়ে ভিতরে প্রবেশ করল,,,,দৌড়ে সোজা বর্নর সামনে দাড়ালো,,
-ও ছুড স্যার,,আফনে এনো বোয়াগো ছুড স্যার,,,,হেনোগো আম্মায় ছুড স্যার বাইত আগুন দিয়া দিলোগো,,,, আমি বারান্দাত খাড়ায় চাইয়া রইলাম,,,ছেড়িডা ফাল মাইরা দেয়ালের উপুর দিয়া বাইত ডুকলো,,,,ছুড স্যার আম্মায় ও দরল,,,ছেড়ি আপনেরে চায়,,,,আম্মায়তো স্যারগো এমন গাইল মারলোগো স্যার,,,,আপনে এইব্যলা লওন,,,, লওন নিচে,,,চাল্লি মারেন স্যার,,,,
বর্ন আতংকিত চোখে জরজরি বেগমের দিকে তাকিয়ে রইল,,,তারপর ধীরে ধীরে মুখ খুলল,
-ইয়ে মানে,,,জরজরি বেগম, আপনি এতক্ষন যেই কথাগুলো বললেন,,, সেগুলো কষ্ট করে একটু বাংলায় অনুবাদ করবেন,,,,?
জরজরি বেগম কিছু বলার আগে,,,নিচে থেকে পারভিন বেগমের হুংকার শোনা গেলো,,,, জরজরি বেগম যেই বেগে বর্নর রুমে প্রবেশ করেছিলেন ঠিক তার দ্বিগুন বেগে রুম থেকে “ও আল্লাগো,,,,আম্মাগো ক্ষ্যামা দেন এল্লা” চিৎকার করে বলতে বলতে বের হয়ে গেলেন,,৷
বর্ন নিজেও লেপটপ বন্ধ করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো,,,সিড়ি বেয়ে নিচে নামাতেই দেখল,,
মিলন সাহেব ভাবলেশহীন ভাবে সোফায় বসে,,,,পারভিন বেগম অতিমাত্রায় রাগে ফুসছেন,,,ঠিক তার সামনে ব্লু কালার টি-শার্ট আর রিপড জিন্স পরহিতা নীলময়ী দাঁড়িয়ে,,
বর্নকে দেখেই বিশাল বড় একটা হাসি ফুটিয়ে বলল
-হেই দেয়ার,,, ,, হ্যান্ডসাম স্ট্রেঞ্জার,,,, আই হেভ জাস্ট কেম টু মিট ইউ,, বাট ইউর মম ইজ গেটিং ভেরি ফিউরিয়াস,,,,
সাথেই সাথেই পারভিন বেগম হুংকার ছাড়লেন,৷
-এই মেয়ে,,আমার সামনে দাঁড়িয়ে তুমি আমার ছেলের সাথে ইংলিশ লটর পটর করছো,,,, কত্ত বড় সাহস তোমার,,,,৷

তামান্না বাসা কনফার্ম করে লোহার গেট দিয়ে বাহিরে বের হলো,,,,দিনটা এখন খুব সুন্দর লাগছে,,,, বাসাটা তামান্নার পছন্দ হয়েছে,,,,খুব বেশি পছন্দ হয়েছে,,৷ টিন শেডের বাসা হলেও বাসাটা ওর চাহিদা মতই,,, বাথরুমও রুমেত ভিতর,,,,শেয়ার করার ঝামেলা নেই,,,,,এমনি এডভান্স পে-ও করতে হয়নি,,,,মন থেকে যেনো অনেক বড় একটা পাথর নেমে গেলো,,,বাসায় পৌছেই মা’র কাছে একবার ফোন দিতে হবে,,, টাকা পৌছেছে কিনা,,তরীর পড়াশোনা কেমন চলছে,,,,সবকিছু মিলিয়ে এতোটা টেনশনে ছিলো যে বাড়িতে একবার খোজ নেওয়া হয়নি,, আচ্ছা এরমধ্যে একবার বাড়িতে গেলে কেমন হয়,,,আচ্ছা বর্ন সাহেবকে সাথে যেতে ইনভাইট করলে কেমন হয়,,,!!!! ওনার কথাবার্তায় বুঝা যায় ঢাকার বাহিরে উনি কখনো কোথাও যান নি,,,৷ নিশ্চয়ই তামান্নাদের গ্রাম ওনার খুব পছন্দ হবে,,, একবার জিগ্যেস করবে কি!!!

#তোমার_পিছু_পিছু
পর্ব-১৮

নীলময়ী বসেছে একদম দক্ষিণের জানালার ধারে,,,,বিকালের ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে,,,নীলময়ী দুই পা নাচাতে নাচাতে আরো একবার বর্নর সম্পুর্ণ রুমে চোখ বুলালো,,,,বর্ন হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে আছে নীলময়ীর দিকে,,,,
নীলময়ী গলা খাকারি দিয়ে শুরু করল,,,
-শুনলাম আপনি নাকি আমাকে বিয়ের পাত্রী হিসেবে দেখতে গিয়েছিলেন!!!
-তাই নাকি!!!
-ও মাই গড!!! আপনি কি এখন অস্বীকার করছেন!!!?
নীলময়ী আতংকিত ভংগিতে নিজের দুইগাল চেপে ধরল,,,
-না,,মানে,,, ধারনা ছিলো এমন কিছুই একটা,,,,কিন্তু সিওর ছিলাম না,,,
-তো,,,কেমন দেখলেন!!! কোনো রিসপন্স নেই কেনো!!! আমি কি আপনার জবাবের আশায় আজীবন বসে থাকবো নাকি!! নো নো নট পসিবল,,,
নীলময়ী দুই দিকে মাথা নাড়াতে লাগল,,,,
-নীলময়ী আপনি দেয়াল টপকে কেনো বাড়িতে প্রবেশ করলেন!?
-আরে,,,,, আর বলবেন না,,,,ওই চ্যাংড়া গার্ডটা বলে কিনা এপোয়েন্টমেন্ট ছাড়া নাকি বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ,,৷ এত করে বললাম,,,,,গেট খুলল না তো খুললই না,,,,,পরে কি করি,,,,তাই তড়াক করে দেয়ালের উপর উঠে গেলাম,,,,,,,,,তারপ- ও মাই গড,,,ইজ দ্যাট ইউ
পুরো কথা শেষ না করেই লাফিয়ে উঠল নীলময়ী,,,
বর্ন নীলময়ীর দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালো,, ,, বর্নর বইয়ের কাচের আলমারিতে ওর একটা ছবি। ৬ কি ৭ বছর হবে ছবির বয়স,,,, ছবিতে বর্নর ফোকলা দাতের একটা হাসি…..
নীলময়ী ছবিটার একদম কাছে গিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগল,,,, বর্ন হালকা একটু লজ্জা পেয়ে,,,মাথার পিছন চুলকাতে লাগল।

মিলন সাহেব হাতের নিউজপেপারের দিকে সপ্তমবারের মত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলেন,,,,,,কিন্তু বরাবরই ব্যার্থ হলেন,,,উনি যখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভাবলেন,,,তখনই উনার রবার্ট ব্রুসের কথা মনে পড়ল,,,,,এবং তিনি আবারো নতুন উদ্যোমে মনোযোগ প্রদানের চেষ্টা করলেন,,,,কিন্তু!!!! না হচ্ছে না!!!! এভাবে কানের পাশে ভাংগা রেডিও বাজতে থাকলে মানুষ হাগতে গেলেও শান্তি পাবে না….. পরক্ষনেই নিজের ভাবনায় নিজেই সচেতন হয়ে গেলেন,,,,বউ-এর যন্ত্রনায় এবার বুঝি সত্যি মাথাটা গেলো,,,নাহয় এমন ওয়ার্ডতো আগে কখনো বলেন নি,,,,,
-তুমি কি আদৌ কিছু শুনছো….!!!
স্ত্রীর কথায় হাতের পেপার ভাজ করতে করতে উনি বললেন,,,,
-হ্যা আমি শুনছি,,,,এবং ক্রিস্টাল ক্লিয়ার শুনছি,,,,তোমাকে এতো চিৎকার করে বার বার রিপিট করতে হবে না,,,,
-আরে চুপ থাকোতো,,,,,আমার এতো আলাভোলা ছেলেটার পিছনে পড়েছে,,ওই পাগলা মেয়ে,,,,কিরকম পাগলা না হলে বলো ছেড়া কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়ায়,,,,,ইয়া মাবুদ,,,ইয়া আল্লাহ আমার ছেলেকে রক্ষা করো,,৷
-পারভিন তুমি কিন্তু এখন অভাররিএক্ট করছো…..
-বেশি কথা বলবে না,,,, আমি অভার করছি!!!! একতো তুমি এরকম পাগল ছাগল মেয়ে দেখাতে নিয়ে গেছো,,,,,আবা………………..
-পারভিন আমি কখনোই বলি নি আমি মেয়ে দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি,,,আমি বলেছিলাম ক্লায়েন্টর বাসায় ইনভাইটেশন আছে,,,,
-তাহলে এখন এখানে বসে কেনো!!! যাও একটু ছেলের ঘরে,,,দেখো ওই মেয়ে আমার ছেলের উপর কি জাদুটোনা করে,,,,
-আশ্চর্য্য কিসব আউল ফাউল কথাবার্তা বলছো,,,,এরকম চিন্তাভাবনা তোমার মাথায় আসে কোথা থেকে,,,,
পারভিন বেগম স্বামীর কথা উপেক্ষা করে সমানে তবজি গুনতে লাগলেন।

নীলময়ী রাস্তায় নেমেই কানে হেডফোন গুজল,,,, আজকের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর,,,,নীলময়ীর মনটা যেনো কি কারনে খারাপ ছিলো!! আরে বাহ মন খারাপের কারনটাও ভুলে গেছে… নীলময়ীর মন আরো খুশি খুশি হয়ে উঠল,,,,, ও গুন গুন করে গান ধরল,
“দুঃখটাকে দিলাম ছুটি আসবে নাকো ফিরে………..”

(আসছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here