তোর নামেই এই শহর পর্ব -১১

#তোর_নামেই_এই_শহর
#লেখিকাঃসুমাইয়া_জাহান
#পর্ব_১১

৩৭)

রাতের নিস্তব্ধতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সকলে রাতের খাবার খেয়ে যে যার মতো শুতে চলে গেলো। ইয়াদ নিজের ঘরে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলো। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে সামনে তাঁকিয়ে দেখলো দরজার বাহিরে অরা দাঁড়িয়ে আছে। অরাকে এত রাতে নিজের ঘরের দরজায় দেখে কিছুটা অবাক হলো সে। বলল,
“কি ব্যাপার মিস অরা আপনি এত রাতে আমার ঘরে?”

“ওহ মি.ইয়াদ কোথায় এত রাত মাত্র তো রাত বারো টা বাজে।”

“আপনি নিশ্চই ভুলে যান নি এটা শহর নয় গ্রাম। এখানে রাত বারোটা মানে গভীর রাত। আপনি এত রাতে আমার ঘরে কেনো।”
ঘরে ডুকে পুরো ঘরটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলো অরা। ইয়াদ বেশ বিরক্ত হলো তার কর্মকাণ্ডে তাও সে চুপ করে নিজের কাজ করে গেলো। পুরো ঘরে একবার চক্কর দিয়ে ইয়াদের সামনে গিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসল অরা। ইয়াদ ল্যাপটপ থেকে একবার চোখ তুলে তাকিয়ে তার গতিবিধি লক্ষ্য করলো। মেয়েটা যে মোটেই সুবিধার নয় সেটা আগেই বুঝতে পেরেছিলো সে। সব জেনে শুনেই তাকে গ্রামে আসার অনুমতি দিয়েছে ইয়াদ। অবশ্য এর পেছনে বড় একটা কারণ লুকিয়ে আছে আর সেটা বুঝতে হলে অরাকে চোখের সামনেই রাখতে হবে। বেচারি অরা ইয়াদ ডেকেছে বলে এক প্রকার খুশিতে পাগল হয়ে গ্রামে চলে এসেছে অথচ সে জানেই না ইয়াদ তাকে এমনি এমনি ডেকে আনে নি এত দূর পর্যন্ত।
“মি.ইয়াদ আপনি তো আমার দিকে নজরই দিচ্ছেন না। ঠিক করে কথাই বলছেন না আমার সাথে।”
“মিস. অরা দূরত্ব বজায় রেখে পা নামিয়ে ঠিক করে বসুন। ভুলে যাবেন না আমি আপনার বস। তাছাড়া আপনার সাথে আমার কাজের বাহিরে বিশেষ কোনো কথা আছে বলে মনে হয় না। আর এত রাতে তো নয় ই। রাত অনেক হয়েছে যান নিজের ঘরে যান আর হ্যাঁ এর পর আমার ঘরে ডুকতে আবশ্যই অনুমুতি নিয়ে ডুকবেন। এইভাবে হুটহাট কেউ আমার ঘরে ডোকা টা আমি পছন্দ করি না।”

“কিন্তু ইয়াদ।”
ইয়াদ ল্যাপটপ কোল থেকে নামিয়ে অরার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিপাত করে বলল,
” নিজের ঘরে যান গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন সকালে অনেক কাজ রয়েছে আপনার অযথা সময় নষ্ট করবেন না।”
ইয়াদের ব্যাবহার হজম করতে পারছে না অরা। একটা মানুষের এতটা ইগো হতে পারে জানা ছিলো না তার। মুখে কিছু না বললেও প্রচণ্ড রাগে তার শরীর জ্বলে উঠলো। পুনরায় কিছু বলতে যাবে তখনি ইয়াদ চোখের ইশারায় দরজা দেখিয়ে দিয়ে বলল,
“শুভ রাত্রি।”

ঘরে এসে পায়ের জুতা খুলে ছুড়ে পেলে দিলো। বিছানা থেকে জামা কাপড় সব মেঝেতে ছুড়ে পেললো। প্রচণ্ড রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

“মি.ইয়াদ নিজেকে কি মনে করেন? এত করে সেজেগুজে উনার সামনে গেলাম আর তিনি আমাকে। ধুর ভাল লাগে না।এই একটা মানুষ তার কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগই দিচ্ছে না।”
বলে মাথায় হাত দিয়ে বিছানা বসে সে। তার মাথা কাজ করছে না। যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছে তার কিছুই সফল হবে বলে মনে হচ্ছে না। একে তো ইয়াদ নিজের ধারে কাছে তাকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না তার উপর বাড়িতে এত গুলো লোক মনে হতেই মাথা চক্কর খেলো অরার।

রাহেলা বেগম ঘরে ছিলেন না। সবে মাত্র শোয়ার জন্য ঘরে এলেন। আর এসেই তিনি যা দেখলেন তাতে চক্ষুচড়ক হওয়ার অবস্থা। পুরো মেঝেতে কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, বিছানারচাদর তুলে এক পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। সারাঘরের নাজেহাল অবস্থা দেখে তিনি রাগে চেঁচিয়ে বললেন,
“আমার ঘরের এই অবস্থা কেডা করলো? কার এত সাহস হইছে আমার ঘরটারে আবর্জনা করার।”
“আমি করেছি কেন কি হয়েছে।”
অরাকে দেখেই রাহেলা বেগম খেঁকিয়ে বলল,
“বজ্জাত মাইয়া কোনখানের বাপ মা শেখায় নাই মুরুব্বী দেখলে সম্মান দিয়া কথা কওন লাগে। আর তুমি আমার ঘরে আইসো ক্যান তোমারে এই ঘরে ডুকতে দিছে কে?”
“এই যে বুড়ি এত চেঁচাচ্ছেন কেনো। আপনার বাড়ির লোকই আমাকে এখানে থাকতে বলেছে। যেহেতু আমাকে এখানে থাকতে বলেছে তাই ঘরটা এখন আমার, আর আমার ঘর আমি নোংরা করি না আবর্জনা করে ফেলে রাখি তাতে আপনার কি।”
“কি কইলি মাইয়া তোর ঘর? খারা দেখাইতাছি কার ঘর।” রাহেলা বেগমের রাগী কণ্ঠস্বর শুনে পাশের ঘর থেকে হুমায়রা, মালিয়া ছুটে এলেন।
এত রাতে শ্বাশুড়ির চেঁচামেচিতে শুনে ভয় পেয়েছিলেন হুমায়রা। তাই নিজের ঘর থেকে বেড়িয়ে মালিহাকে ডেকে নিয়ে শ্বাশুড়ির ঘরে এসে উপস্থিত হলেন। বললেন,
“কি হয়েছে আম্মা আপনি রেগে গেলেন কেনো।”
বলেই পুরো ঘরে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো হুরায়রা। বুঝতে আর বাকি রইলো না তিনি কি কারণে মধ্যরাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছেন। মালিহা চারপাশে তাকিয়ে অরাকে বলল,
“এসব কি করেছো তুমি। আম্মার ঘরটাকে এমন এলোমেলো করলা ক্যান? তোমারে এই ঘরে থাকতে দিছি তাই বলে এমন করবা ঘরটার। উনি বৃদ্ধ মানুষ ঘুমাবেন কি করে।”
“দেখছো বউ মাইয়ার কান্ডখানা। এইডা কোন মাইয়া মাইনসের কাজ হইতে পারে।”
“আমাকে উনার সাথে থাকতে দিয়েছেন কেনো? আমার একা একটা ঘর চাই তাছাড়া উনার সাথে আমি ঘর শেয়ার করতে পারবো না।”
“আজকে একটু কষ্ট করে থাকলেই পারো। সবাই তো থাকছে হঠাৎ সবাই এসেছে তাই বাকি ঘর গুলো গুছিয়ে উঠতে পারি নি।”
ইয়াদ এতক্ষণ দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলো। বলল,
মামী মা তোমরা ঘুমাতে যাও। অরা এই ঘরেই থাকবেন আর ঘরটা তিনি নিজেই গুছিয়ে নিবেন কেউ সাহায্য করবে না। আর নানী তুমি আমার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড় এই ঘরে শুতে হবে না। আমি ইনান আর নাবাদের সাথে শুয়ে পড়বো।

অরার ঘর থেকে বেড়িয়ে নিজের ঘরে এলো ইয়াদ। রাহেলা বেগমকে শুইয়ে দিয়ে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে ইনানের ঘরে চলে গেলো। ইনানের ঘরে এসে দেখলো নাবাদ আর ইনান পুরো খাট দখল করে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে। তাদের ঘুমোতে আর জাগালো না চেয়ারে টেনে জানালার পাশে গিয়ে বসলো। নিশুতি রাতের আধার চারপাশে। দূর থেকে শেয়ালের ডাক ভেসে আসছে। মৃদু সমীরণ বইছে বাহিরে। ইনানের ঘরের জানালার বাহিরে একটা হাসনা হেনা ফুলের গাছ আছে। রাত বাড়তেই হাসনা হেনা তীব্র সুবাস ছড়ায়।ইয়াদ থুতনিতে হাত রেখে জানালার বাহিরে অন্ধকারে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলো। দীর্ঘসময় অন্ধকারে এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ জ্বলে উঠলো তার। সে দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে এনে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় ইউয়াদ। অন্ধকার হাতরে ঘর থেকে বেরোতেই চোখ পড়লো হুরায়রা ঘরে। হুরায়রার ঘরে তখনো আলো জ্বলছে। ইয়াদ কাঁহাতক সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে শেষে দরজা খুলে ঘরে ডোকে। চেয়ারে বসে টেবিলের উপর বইয়ে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে হুরায়রা।হুরায়রার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাঁকিয়ে কিঞ্চিৎ হাসে ইয়াদ। তার ছোট্ট হুরিটাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কি মিষ্টিই না দেখতে লাগে। যেনো সত্যিই কোন জান্নাতের হুর এসে এই ঘরটা আলোকিত করে রেখেছে।

ইয়াদ অতি সন্তপর্ণে এগিয়ে হুরায়রার কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। ঘুমন্ত হুরায়রা কপালে আলতো হাত ছুঁইয়ে এলোমেলো চুলগুলো কানের পাশে গুঁজে দেয়। কপালে কারো স্পর্শ পেয়ে নড়েচড়ে উঠে হুরায়রা। তাকে নড়ে উঠতে দেখে ইয়াদ দ্রুত হাত সরিয়ে নেয়। হুরায়রা ঘুম পাতলা হয়ে এসেছে দেখে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য অগ্রসর হয়ে আবার কি চিন্তা করে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফিরে এসে হুরায়রাকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে পায়ের কাছ থেকে কাঁথা টেনে গায়ে জড়িয়ে দিয়ে নিজে হুরায়রার মাথার কাছটায় বসে পড়ে।
“জানিস তো হুর কিছু জিনিস আছে যা চাইলেও ছোয়া যায় না,শুধু দূর থেকে অনুভব করতে হয়। তুইও ঠিক তেমনি একজন যাকে আমি ছুঁতে পারি না অথচ হৃদয়ের সমস্ত টুকু দিয়ে অনুভব করতে পারি। তুই আমার কামনা নয়, আমার প্রেম। যাকে নিয়ে কল্পনা করা গেলেও ছোঁয়া যায় না। অনুভব করা যায় অথচ অনুভুতি প্রকাশ করা যায় না। জীবনের সকল অনুভুতি তো আর ব্যক্ত করা যায় না কিছু কিছু অনুভুতি অব্যক্তই রয়ে যায়। তোর কাছে আমার অনুভূতি গুলো না হয় অব্যক্তই থাকলো।”
বলে হুরায়রা কপালে নিজের কপাল ঠেকালো ইয়াদ। হঠাৎ তার নজর পড়লো হুরায়রা ঠোঁটের কিনারায়। অচিরেই সে অধর যুগল প্রসারিত করে হাসলো। বলল,
“ঘুমের মাধ্যেও তোর ঠোঁট ফুলিয়ে রাখতে হবে?তোকে না বলেছি ঠোঁট ফুলাবি না?তোর ফুলকো ঠোঁট দুটো যে আমায় প্রেমিক পুরুষ হতে বাধ্য করে।”

(৩৮)
কোচিং এ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিছুটা পথ এগিয়ে আসতেই হুরায়রাকে থামিয়ে পথ আগলে দাঁড়ালো ইনান। ইনানকে এইভাবে পথ আগলে দাঁড়াতে দেখে হুরায়রা দাঁতে দাঁত ছেপে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাঁকালো। এই মুহুর্তে ইনানের উপর তার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। এমনিতেই আজ কোচিং এ যেতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে তার মাঝে ইনান এসে তার পথ আটকে দাঁড়িয়েছে।
“কি হলো কি তোর এমন কালো বিড়ালের মতো আমার পথ কাঁটলি কেনো?”

“কোচিং যাচ্ছিস?”

“না তোর শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি।পথ আগলে দাঁড়ালি কেনো সর আমার দেরি হচ্ছে।”

“এই হুর শুন না এমন করছিস কেনো।”
কাছুমাছু হয়ে বলল ইনান।

“কি ব্যাপার বলতো তোর? এমন ভাব করে কথা বলছিস যে, নিশ্চই কোনো বদ মতলব আছে তাই না।”
হুরায়রা কথায় ইনান সঙ্গে সঙ্গে নিজের সব জড়তা কাঁটিয়ে দুই কদম এগিয়ে এসে বলল,

“শুন না তুই তো কোচিং এ যাচ্ছিস। লিরাও তো তোর সাথে যাচ্ছে তাই না?”
“হ্যাঁ যাচ্ছে তো?”
“বোন তুই আমার কলিজার বোন আমার সোনা বোন আজ ওকে তুই আমার মনের কথা টা বলে দিস প্লিজ। বলিস যে আমি ওকে কতটা পছন্দ করি আর অনেক ভা-ভা ভা,,,,।”

হুরায়রার মুখের দিকে তাঁকিয়ে বাকি কথা আর বলতে পারলো না ইনান। মুহূর্তেই চিৎকার করে পালা বলে ভো দৌড়ে দিলো। হুরায়রা পিছন হতে দাঁত কিড়মিড় করে চিল্লিয়ে বলল,
“শালা বান্দর কোথাকার পালাচ্ছিস কোথায়? খুব প্রেম শিখেছিস তাই না? আজ যদি আমি ছোট মার কাছে তোর নামে নালিশ না করেছি তবে আমার নামও হুরায়রা না।শয়তানের খাম্বা কোথাকার।”

“কি রে আবার কি হলো। তোর জন্য কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি।”
পেছন থেকে লিরার কণ্ঠস্বর কর্ণকুহর হতেই চমকায় হুরায়রা। কিছুটা সন্দিগ্ধ হয়ে বলে,
“তুই? কখন এলি এখানে?”
“এইতো এখন। তুই আসছিস না দেখে আমি নিজেই এগিয়ে চলে এলাম।”
“ওহ আচ্ছা চল চল অনেক দেরি হয়ে গেছে।”

“তা চল কিন্তু তুই এমন রেগে কার সাথে কথা বলছিলি।”

“সেটা তোর না জানলেও চলবে এখন দ্রুত হাঁটা লাগা না হয় দেরি করে যাওয়ার জন্য স্যার কান ধরে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখবেন।”

“দেরি কি আমি করেছি, তুই তো করলি।”

“উফ এত কথা বলিস কেনো চল।”

“হু যাচ্ছি।”

হুরায়রা আর লিরা হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির রাস্তা পেড়িয়ে গ্রামের কাঁচা রাস্তায় এসে উঠলো। গ্রামের সুরু পথ। রাস্তার দুই পাশে বিস্তর ধানের জমি। রাতে দিনে চব্বিশ ঘন্টা সেখানে বেশ হাওয়া বয়। লিরা আর হুরায়রা হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগিয়ে এলো। কিছুটা পথ অতিক্রম করে আসার পর হুরায়রা দেখলো আবরার আজও সাইকেল নিয়ে রাস্তার পাশে বড় আম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। হুরায়রাকে এই পথ দিয়ে আসতে দেখে একটু নড়েচড়ে দাঁড়ায় আবরার।হুরায়রা সেদিকে এক পলক দেখে চুপচাপ সামনে এগোয়। লিরা ব্যাপারটা লক্ষ্য করে বলল,

“হুরায়রা ওই যে দেখ আবরার ভাই আজও দাঁড়িয়ে আছে।”
হুরায়রা জবাব না আড়চোখে আরেকবার দেখলো আবরারকে।
“আমার মনে হয় আবরার ভাই তোকে পছন্দ করে।”
“জানি।”
“তুই জানিস? বলেছে তোকে?”
“উহু।”
“তবে বুঝলি কি করে?”

“যখন কেউ কারো প্রেমে পড়ে তখন সে নিজে বুঝে উঠার আগে অপর মানুষটি সেটা বুঝতে পারে। ভালোবাসার অনুভুতিটা ঠিক সূর্যের রশ্মির মতোই প্রখর যেটা মানুষ শত চেষ্টা করেও লুকিয়ে রাখতে পারে না। ঠিক যেমন তুই এখন বুঝেছিস।”
বলেই হুরায়রা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
পৃথিবীর এই অদ্ভুত নিয়মের মাঝে শুধু তার তপ্ত হৃদয়ের অনুভুতিগুলোই যেন মৃতপ্রায়। যে অনুভুতি ইয়াদের হৃদয় অবধি আজও পৌঁছাতে পারে নি।

হুরায়রাকে যত এগিয়ে আসতে দেখলো আবরারের হৃদ স্পন্দন ততোই বাড়তে লাগলো। তার নিশ্বাস থেমে যেতে চাইছে। অন্তঃকরণে ডিব ডিব শব্দ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।আবরার নিজেই যেনো সেই শব্দ শুনতে গেলো। তার হাত পা রীতিমতো কাঁপতে শুরু করেছে। সে বুঝলো না হুরায়রা যখনি তার আশে পাশে থাকে তখনি কেনো এমনটা হয়। আচ্ছা এটাই কি তবে প্রথম প্রেমের অনুভুতি।

চলবে,,,,।
(গল্পটা কি আপনাদের ভালো লাগছে না? সবার রেসপন্স পাচ্ছি না কেনো তাহলে। সবাই রেসপন্স করবেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here