নীরবে তুমি রবে পর্ব -০৩

#নীরবে_তুমি_রবে
লেখনীতেঃ রিধিমা জান্নাত রূপা
পর্বঃ ০৩

.
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগ মুহুর্ত। বাইরে কত কত মানুষের নানার হৈ চৈ, কথাবার্তা, দোতলার ঘরেও যেন তা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। বিছানায় আধশোয়া হয়ে খাটোর সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে রূপা, চোখ দুটো বন্ধ। বাইরের হৈ চৈ গুলো কানে আসলেও ভেবে চলেছে গতকাল থেকে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো। ভাবনার অর্ধেকই জুড়ে রয়েছে তাসফি। ভাবতে চায় না সে ওই মানুষ’টাকে, তবুও যেন তার ভাবনায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।
কিছুক্ষণ আগেই রূপার বড়মা রুম ছেড়েছে। খাওয়াতে এসেছিলো তাকে। জোর করেও কিছু খাওয়াতে পারে নি। একটুও কিছু মুখে তুলে নি, আজকের এই দিনে মোটেও খেতে ইচ্ছে করে নি। খাওয়াতে না পারলেও বড়মা বুঝিয়ে গেছে রূপা কে। আর সেটা অবশ্যই তাসফির বিষয়ে। তাসফি কে বিয়ে করলে সে যে কতটা ভালো থাকবে এটাই বুঝিয়েছে। এত কেয়ার, এত যত্ন, এত ভালোবাসা আর কোথাও পাবে না সে। গতরাত থেকে রূপার প্রতি তাসফির এত এত করা কেয়ার, যত্নের কথায় বুঝিয়ে গেছেন বড়মা।

রূপা নিজেও যেন তাসফির ব্যবহারে কিঞ্চিৎ অবাক। সেই মানুষ’টা তাকে ভাবনায় রাখছে এটা ভেবেই সে অবাক। এত এত কাজের চাপেও সকালে নিজ দ্বায়িত্বে রূপাকে ও তার ফুপিকে সাথে নিয়ে হসপিটালে যায় তাসফি। পো’ড়া ক্ষ’ত খুব একটা গভীর না হলেও ড্রেসিং করিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে আসে, সাথে ওষুধ গুলোও নিজ দায়িত্বে কিনে নিয়ে আসে। বাড়ি আসর পর ওষুধ গুলো বুঝিয়ে টাইমলি খেতেও বলে। সেই সাথে রূপার প্রপার খেয়াল রাখার দ্বায়িত্ব’টা মা, মামী ও রিফার উপর গচ্ছিত রাখে। তবুও যেন স্বস্তি মিলে না তাসফি। একটু পর পর এসে তার কথা জিজ্ঞেসও করে মা ও মামীর কাছে। এর অর্ধেক’টা নিজে দেখলেও বাকি অর্ধেক’টা বড়মা জানিয়ে গেছে রূপা কে। তাসফির ব্যবহারের কোনোটাই যেন যেন আন্দাজ করতে পারছে না রূপা। কি চায় ওই মানুষটা? নিজের ভাবনার মাঝেই রূপা বিরবির করে বলে উঠলো,

“কি চান আপনি তাসফি ভাইয়া, কেন করছেন এমনটা?”

চট করে চোখ মেলে তাকালো, উঠে বসলো বিছানায়। আবারও যে মাথা ব্যাথার উৎসর্গ দেখা দিলো তার। এরা নতুন কিছু নয়। গত তিন বছরে অতিরিক্ত টেনশনের ফলেই এই মাথা ব্যাথার উৎসর্গ দেখা মিলেছে রূপার। ভাবনার মাঝেই আবারও নিজ মনেই বলে উঠলো,

“যে করেই হোক, তাসফি ভাইয়ার সাথে কথা বলতেই হবে আমার। উনি ঠিক কি চান জানতেই হবে।”

বিছানা ছেড়ে নেমে দাঁড়ালো রূপা। আবারও কানে এলো বাইরের বহু মানুষের নানার কথাবার্তার আওয়াজ। মুহুর্তেই মনটা ভার হয়ে উঠলো রূপার। ভাবতে লাগলো আজকের এই দিন, এই পরিস্থিতি তো হওয়ার কথা ছিলো না। তাসফি ভাইয়ার সাথেও তো তার বিয়ের কথাটা উঠতো না। কিন্তু হচ্ছে, এর সবটাই তার সাথে ঘটছে। সময়ের সাথে এই পরিস্থিতি সত্যি’ই ভয়ংকর ঠেকছে তার কাছে।
এবার কান্না পেল রূপার। হঠাৎই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো, ধীরে ধীরে সেই কান্নার বেগ কমলো না, বরং বৃদ্ধি পেল অধিক মাত্রায়। মিনিট পাঁচের পর নিজ উদ্যোগেই থেমে গেল রূপা, সহসায় চোখ মুখ গায়ের ওড়না দিয়ে মুছে নিলো। জানালা দিয়ে তাকিয়ে বেলা’টা দেখে নিলো। তারপর গায়ের ওড়না’টা মাথা সহ গায়ে ভালোভাবে পেচিয়ে ধীরে ধীরেই বেরিয়ে এলো রুম ছেড়ে।

.
“সারাদিন মোবাইলের মাঝে ডুবে থাকিস, অথচ মেয়েটার একটু খেয়াল রাখতে পারিস নি?”

“ও তো রুমেই ছিলো মা, কখন বেরিয়েছে আমি তো….. ”

“মোবাইলে ঢুকে থাকলে সেই খেয়াল পাবি কখন?”

বেশ জোরেই রিফাকে ধমকে উঠলো রূপার বড়মা শাহানা বেগম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এখন, একটু পর মাগরিবের আজানও পড়বে। অথচ অসুস্থ রূপা রুমে নেই। শুধু রুমে নয়, পুরো বাড়িতেই মেয়েটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ভর সন্ধ্যায় অসুস্থ শরীর নিয়ে মেয়েটা গেল কোথায়, সেটা ভেবে ভেবেই হয়রান তিনি। তার মধ্যে বাড়ি এত এত মেহমান। শাহানা বেগমের কাছে এসে বসলেন রেহেনা। বড় ভাবী কে বলে উঠলো,

“ওর আর দোষ কোথায় ভাবী, মেয়েটার খেয়াল তো আমরাই রাখতে পারলাম না। কোথায় যে গেল আমার মা ‘টা?”

“বাড়ি তে এত এত আত্মীয়স্বজন, চারদিকে নজর দিতে হচ্ছে, মেয়েটার দিকে কখন নজর দিতাম? তবুও বিকেলে এসে একবার দেখে গেছি। এই বদমাইস’টাকে বললাম রূপার একটু খেয়াল রাখতে। আর ও কি-না….. ”

বলেই একটু থামলেন উনি। জোরে একবার নিশ্বাস টেনে আবারও বলে উঠলো,

“রেহেনা, তাসফি…. তাসফি কই গেল? ওই আমার একমাত্র ভরসা।”

“ভাবী, তাসফি তো…… ”

“রূপা ছাঁদেও নেই মামী।”

এর মাঝেই বসার ঘরে উপস্থিত হলো তাসফি, বলে উঠলো সে কথা। হতাশার নিশ্বাস ছাড়লেন শাহানা বেগম, আর ছেলেকে দেখে এগিয়ে এলেন রেহেনা। ধীর কণ্ঠে বলে উঠলেন,

“বাড়ির বাইরে’টা ভালোভাবে দেখেছিস তো বাবা?”

“সাগর, রাহাত দেখেছে, আশেপাশেও দেখছে, কোথাও নেই।”

“আমার মা ‘টা অসুস্থ শরীর নিয়ে কোথায় গেল তাসফি?”

মায়ের চিন্তিত মুখে তাকালো তাসফি। মা’কে কি বলে সান্ত্বনা দিবে ঠিক বুঝতে পারলো না। সে নিজেও তো ব্যাপক চিন্তায় আছে মেয়েটার জন্য। কিন্তু দেখাতে পারছে না কাউকেই। অসুস্থ শরীর নিয়ে হঠাৎ গেল কোথায় সেটাই যেন ঠিক ধরতে পারলো না। মনে মনে রূপার প্রতি রাগ হতে লাগলো তাসফির। অধিকার থাকলে, মেয়েটাকে সামনে পেলে ঠা’টিয়ে এক চ’ড় লাগাতো সে। তার রাগের কিঞ্চিৎ ধারণা মেয়েটাকে বুঝিয়ে দিতো। বাড়িসুদ্ধ লোকের তার রাগের ধারণা থাকলেও রূপার তা বিন্দু পরিমাণেও নেই। থাকলে বাড়ির এতগুলো মানুষসহ তাসফি কে এভাবে টেনশনে ফেলে গায়েব হতো না।
নিজের রাগটা কন্ট্রোলে রাখতে চেয়েও তা যেন হালকা ভাবে বেরিয়ে এলো। রূপার প্রতি হওয়া রাগটা ঝাড়লো মায়ের উপর। বলে উঠলো,

“তুমি কি করলে আম্মু? আদরের ভাতিজির একটু খেয়াল পর্যন্ত রাখতে পারলে না? বাড়িতে এত এত কাজের লোক থাকতে কি এত কাজ থাকে তোমাদের?”

“ওদের দেখিয়ে না দিলে কাজ’টা করে বল? তাছাড়া এত এত মেহমান আসছে, যাচ্ছে। বাইরের’টা তোরা সামলে নিলেও বাড়ির ভেতরের সবটাই তো আমাদের সামলাতে হচ্ছে। মেয়েটা কখন বেরিয়ে গেছে কিভাবে বুঝবো?”

“আশ্চর্য! আম্মু, বাড়িতে এতগুলো মেহমান সামলাচ্ছো আর সে এতগুলো মেহমানের সামনে দিয়েই বেড়িয়ে গেল, তোমরা তা ধরতেই পারলে না…..”

কথার মাঝেই থেমে গেল তাসফি। হুট করেই কিছু একটা মনে পড়ে গেল যেন তার। মা মামীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,

“এক মিনিট, এক মিনিট। আমি হয়তো বুঝতে পেরেছি ও কোথায় গেছে। তোমরা টেনশন করো না, আমি ওকে নিয়ে আসছি।”

বলেই আর দাঁড়ালো না তাসফি। দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে গেল। এদিকে তাসফির বলা কথায় যেন স্বস্তি মিললো শাহানা বেগমের। রেহেনা এটা ওটা বললেও থামিয়ে দিলেন তিনি। তাসফির প্রতি তার অগাত বিশ্বাস আছে, ঠিক রূপাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে আশস্ত করলেন রেহেনা কে।

.
তাসফির ধারণাকৃত জায়গাতে এসেই দেখা মিললো রূপার। মাঝারি আকৃতির একটা গাছের নিচে হাঁটু মুড়িয়ে মাথা ঠেকে বসে থাকতে দেখলো রূপাকে। মেয়েটাকে দেখেই যেন স্বস্তির নিশ্বাস বেড়িয়ে এলো তাসফির বুক থেকে। ধীর পায়ে এগিয়ে গেল রূপার কাছে। পাশে দাঁড়িয়ে ভারী কণ্ঠে গম্ভীর গলায় বলে উঠলো,

“বাড়ি চলো।”

চট করে মাথা তুললো রূপা, কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো হঠাৎ ভারী কণ্ঠের স্বরে। মাথা উঁচিয়ে তাকাতেই দেখতে পেল তাসফির চেহারা। উনি? উনি এখানে কিভাবে এলেন? মনে মনে ভাবতে লাগলো রূপা। চারদিকে নজর পড়তেই নিজের করা প্রশ্নের উত্তর’টা যেন নিজেই পেয়ে গেল। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, চারদিক থেকে আজানের প্রতিধ্বনি ভেসে আসছে, আর সে এখনো এখানে। নিশ্চয়ই বাড়ির সবাই তাকে নিয়ে চিন্তা করছে, আর বাড়িসুদ্ধ লোকের চিন্তা কমাতে তাকে খুঁজতে খুঁজতে তাসফি ভাইয়া এখানে। মনে মনে নিজ ভাবনায় ভেবে নিলো রূপা। তবুও যেন কোন হেলদোল দেখালো না।, সেভাবেই বসে তাকিয়ে রইলো তাসফির দিকে। বোঝার চেষ্টা করলো তাসফির মনোভাব, কিন্তু পারলো না। মানুষটা কি রেগে আছে? না-কি নেই, ঠিক ধরতে পারলো না সে।
রূপার ভাবনার মাঝেই তাসফি আবারও বলে উঠলো,

“কি বললাম শুনতে পাচ্ছো না? বাড়ি চলো।”

“যাবো না।”

“যাবা না মানে? বাড়ির প্রতিটা মানুষ তোমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, আর তুমি বলছো যাবা না?”

“না যাবো না আমি। বাড়ি তে সারাক্ষণ ওই এককথা মোটেও শুনতে ভালো লাগছে না আমার। এখানেই থাকতে চাই আমি, একটু স্বস্তি পেতে চাই।”

সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি। এই মেয়েটার জেদ অনেক, পুরোটাই তার মতো সেটাও জানে তাসফি। কিন্তু এই ভর সন্ধ্যায় কিছুতেই রূপাকে এক মুহুর্তও এখানে রাখতে রাজি নয় সে। কড়া গলায় কিছু বলতে চাইলো তাসফি, কিন্তু পারলো না মেয়েটার মায়ায় মাখা মুখে তাকিয়ে। গত রাতের মতোই কান্নারত রূপার মুখে মায়া জিনিসটা যেন জেঁকে ধরলো তাসফিকে। মেয়েটা যে এতক্ষণ এখানে বসে বসে কান্না করেছে সেটা তার মুখে তাকিয়েই বোঝা যাচ্ছে। বেশ শান্ত স্বরেই তাসফি বলে উঠলো,

“বিয়ের কথাটা আর কেউ উঠাবে না, আমি দেখবো সেই বিষয়টা। এখন চলো এখান থেকে। এখানে থাকা আর ঠিক হবে না।”

“বললাম তো যাবো না আমি, এখানে একটুখানি স্বস্তি পেতে চাই আমি।”

“আমাকে রাগিয়ো না রূপা, বাড়ি চলো এখন।”

“চলে যান আপনি। কেন এসেছেন এখানে? কোন অধিকারে এসেছেন আমাকে বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য? যাবো না কোথাও আমি।”

“রূপাআআ, তুমি কিন্তু….. ”

হু হু করে কেঁদে উঠলো রূপা, থেমে গেল তাসফি। মেয়েটার মনের অবস্থা কিছুটা হলেও যেন উপলব্ধি করতে পারছে সে। কিন্তু এই মুহুর্তে রাগ’টা যেন মাথায় চেপেছে তাসফির। রাগী কণ্ঠে কিছু বলতে চাইলো তাসফি, কিন্তু তার আগেই কাঁদতে কাঁদতে রূপা বলে উঠলো,

“কেনওও? কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেল এই মানুষগুলো? কেন অন্যের কাছে গচ্ছিত রেখে আমাকে এতিম করে এই মানুষ গুলো চলে গেল? ওরা থাকলে তো আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না আমাকে। জবাব চাই আমার ওদের থেকে, কেন আমাকে একা রেখে চলে গেল ওরা?”

সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি। হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লো রূপার সামনাসামনি। মেয়েটার কাঁধে এক হাত রেখে বলে উঠলো,

“ওই মানুষগুলো কে তোমার এতটুকুই পাওনা ভাগ্যে ছিলো রূপা। তাদের আদর, স্নেহ, ভালোবাসা এতটুকুই তোমার ঝুলিতে ছিলো।”

একটু থামলো তাসফি। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বলে উঠলো,

“পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তো আমাদের সবার যেতে হবে, মামা মামী হয়তো একটু আগেই গেছেন। আফসোস করছো কেন? বরং দোয়া করো তাদের জন্য।”

রূপা শুনলো কি-না কে জানে? ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল শুধু। হ্যাঁ! রূপার বাবা মা মা’রা গেছে দুই তিন বছরের ব্যাবধানেই। তার বাবা বছর তিনেক আগে ও মা তার এক বছরের ব্যাবধানেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। আজকেই তাদেরই বড়সড় করে মিলাদ ছিলো। বাড়ির এত এত মানুষের হৈ চৈ, আর তাসফি ও তার বিয়ের কথাগুলো যেন সহ্যই করতে পারছিলো না রূপা। হঠাৎই মনে পড়ে যায় বাবা মার কথা, আর তখনই ছুটে আসে বাবা মায়ের কবরের কাছে। এখানেই একটা গাছের নিচে হাঁটু গেঁড়ে বসে কান্না করছিলো রূপা, কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তা বুঝতেই পারে নি যেন।

তাসফি আর কিছু বললো না রূপা কে। বসা থেকে উঠালো, রূপার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো। বললো,

“এখন আর কোন কথা শুনবো না, বাড়ি চলো। হাঁটতে পারবে তো?”

রূপা হ্যাঁ! না কোনটাই বললো না। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। তাসফিও কিছু না বলে েয়েটার হাত ধরে হাঁটতে লাগলো। কয়েক ধাপ গিয়ে হঠাৎ থেমে গেল তাসফি। রূপার দিকে তাকিয়ে বেশ কঠা গলায় বলে উঠলো,

“আর হ্যাঁ! এতিম শব্দ’টা যেন নেক্সট টাইম তোমার মুখে আর না শুনি, তখন ঠাটিয়ে এক চ’ড় লাগাতে আমার অধিকারের প্রয়োজন লাগবে না। আর যদি সেই অধিকার’টা লাগে, তবে সেটাও আদায় করে ছাড়বো।”

.
এই তো রূপা আসছে, এবার বল বাবা কি বলতে সবাই কে এখানে ডেকেছিস?”

বড় মামার কথায় রূপার পানে একবার তাকালো তাসফি। সবার সাথে সেও যেন বেশ আগ্রহ নিয়ে আছে, ঠিক কি বলতে চায় তাসফি তা শোনার জন্য। আর সময় ব্যায় করলো না তাসফি। বড় মামা ও বাবার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,

“আমি রূপা’কে বিয়ে করতে রাজি মামা।”

.
.
চলবে……

রি-চেক দেওয়া হয় নি। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন।🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here