প্রেমাসক্তি পর্ব ১৪

#প্রেমাসক্তি
#পর্ব__১৪
#অদ্রিতা_জান্নাত

হঠাৎ করে পিছনে ঘুরতেই ভয়ে জোরে করে একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো ইশিতা ৷ ইশান ওর হাত ধরে টেনে এনে ওর মুখ চেপে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

ইশান : তোমার ওই কাকের মতো রেডিওটা এখন না বাজালে হচ্ছিল না? চিল্লানোর কি হলো?

ইশিতা রেগে ইশানের হাত ঝাঁটা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,

ইশিতা : আমার গলা কাকের মতো? তো তোমারটা কি হ্যাঁ? আর বলে চিল্লানোর কি হলো? ভয় দেখিয়ে এখন বলছে চিল্লানোর কি হলো? আরো বেশি করে চিল্লাবো আমি ৷

ইশান : ভয় দেখালাম কখন?

ইশিতা : আমার পিছনে ছিলে কেন তুমি? সামনে থাকার কথা ছিল না? আমি তোমাকে খুঁজছিলাম আর তুমি আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলে?

ইশান : আচ্ছা বাবা সরি ৷ আর হবে না ৷

ইশিতা : হয়েছে আর ঢং করতে হবে না ৷ কি বলবে বলো ৷

ইশান আমাকে চেপে ধরে ওর সাথে মিশিয়ে নিল ৷ ওর চোখ আমার চোখের দিকে ৷ এই চোখ আমাকে অনেক কিছু বলছে, বোঝাতে চাইছে ৷ কিন্তু আমি বুঝতে চাইছি না ৷ ওর ঠান্ডা হাত আমার গালে রাখতেই কেঁপে উঠলাম আমি ৷ ইশান আমার দিকে কিছুটা ঝুঁকে বললো,,,,,,,

ইশান : মনে হচ্ছে কত বছর পর তোমাকে কাছে পেলাম৷

ইশিতা : মাত্র তো একটা দিন দূরে ছিলাম আমি ৷ এখনই এমন করছো?

ইশান : এই একটা দিনই আমার কীভাবে কেটেছো জানো? তোমার শূন্যতা অনেক কষ্ট দিচ্ছে আমায় ৷

ইশিতা : আগে যখন আমাদের দেখা হয় নি তখন?

ইশান : সেটা তো আগের কথা ৷ এখন তো তুমি আমার সব ৷ এক একটা মূহুর্ত আমার তোমাকে ছাড়া বিষাক্ত লাগে ৷

ইশিতা : জানি অনেক কষ্ট দিচ্ছি তোমায় ৷ কিন্তু আমার কিছুই করার নেই ৷

ইশান : কিছু করতে হবে না তোমার ৷ তুমি চলো ৷ আমরা আজই চলে যাবো এখান থেকে ৷ অনেক দূরে চলে যাবো ৷

ইশিতা : না ইশান এটা হয় না ৷ এরকমটা করতে পারবো না আমি ৷

ইশান : কেন পারবে না? কেন দূরে যাচ্ছো তুমি আমার থেকে?

ইশিতা ইশানের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলো ৷ কিছুটা পিছে গিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

ইশিতা : আমি যেতে পারবো না ৷ চলে যাও তুমি ৷ আর কি বলতে এসেছো সেটা বলো ৷ নাহলে যাও প্লিজ ৷

ইশান ইশিতার কাছে আসলে ও পিছিয়ে যাচ্ছে বারবার ৷ ইশিতার চোখ ছলছল করছে ৷ নিজেকে ইশানের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না ৷ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ৷ ওর মনটা বারবার ইশানের কাছে যেতে বলছে ৷ কি করবে কিছুই বুঝছে না ৷ ইশান ইশিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো ৷ ইশিতা হাত মুচড়ামুচড়ি করে ইশানকে ছাড়তে বলছে ৷ কিন্তু ও ছাড়ছে না ৷ ইশান শুধু চাইছে আজ ইশিতাকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাবে ৷ ইশিতা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলতে লাগলো,,,,,,,

ইশিতা : ইশান হাত ছাড়ো প্লিজ ৷ তুমি কি চাও তোমার জন্য তোমার বাবার আর ভাইয়ার কোনো ক্ষতি হোক?

ইশান থেমে গেলে ৷ ঘুরে ওর দিকে তাকালো ৷ ইশিতা ওর হাত টান মেরে ছাড়িয়ে নিয়ে আবার বলতে লাগলো,,,,,,

ইশিতা : তুমি কি চাও তোমার জন্য আমার আম্মু, আপুই, ফুপ্পির কোনো ক্ষতি হোক? তুমি কি চাও তোমার জন্য আমার কোনো ক্ষতি হোক? তুমি কি চাও তোমার নিজের জন্য তোমার নিজেরই কোনো ক্ষতি হোক? বলো ইশান তুমি কি শুধু আমাদের দুজনের সুখের জন্য এত্তোগুলো মানুষকে কষ্ট দিতে চাইছো?

ইশান ইশিতার দিকে এগিয়ে এসে কাঁপাকাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,,,,,,

ইশান : এএসব কি বলছো ইশুপাখি? আমি কেন এরকমটা চাইবো? আর আমার জন্য কেনই বা ওদের ক্ষতি হবে?

ইশিতা : হবে ৷ তোমার জন্য না হোক আমার জন্য তো হবে ৷ মূলত আমাদের দুজনের জন্যই সবার ক্ষতি হবে ৷ আমি চাই না সেটা ৷ আজ যদি আমি তোমার সাথে পালিয়ে যাই ৷ তো আমার দ্বারা অনেক বড় একটা ভূল হয়ে যাবে ৷ যেটা আমি কখনোই চাই না ৷ আমার নিজের স্বার্থের বা সুখের জন্য আমি অন্য কাউকে কষ্ট দিতে পারবো না ইশান ৷ তাই তোমার সাথেও যেতে পারবো না আমি ৷

ইশান : কেন অন্যকারো কষ্ট হবে? কে বলেছে তোমাকে এগুলা বলো?

ইশিতা : যেই- ই বলুক না কেন আমি আজ যাবো না তোমার সাথে ৷ তুমি বাড়ি চলে যাও ৷

ইশান : ইশিতা কিছু হবে না চলো প্লিজ ৷

ইশিতা : না ইশান যেতে পারবো না আমি ৷ চলে যাও তুমি ৷ বাড়ি ফিরতে হবে আমাকে ৷ নাহলে সমস্যা হয়ে যাবে ৷ বাপি তোমার সাথে যোগাযোগ করতে না করে দিয়েছে আমাকে ৷ এখন তোমাকে কেউ দেখলে অনেক কিছু হয়ে যাবে চলে যাও তুমি ৷

ইশান : আর কবে দেখা পাবো তোমার?

ইশিতা : জানিনা ৷

বলেই চলে যেতে নিলে অাবার ঘুরে এসে দাঁড়ালাম ইশানের সামনে ৷ ওর চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলাম,,,,,,,,,,

ইশিতা : বাপি ভার্সিটি যাবার পার্মিশান দিয়েছে আমাকে ৷ তবে শুধু তিন মাস ৷ তিন মাস পর আমার অনার্সের ফাইনাল এক্সাম ৷ এক্সাম শেষ হলেই বাপি ছেলে দেখবে (কিছুটা থেমে বললো) আমার বিয়ের জন্য ৷

ইশান চমকে উঠলো ইশিতার বলা শেষ কথাটা শুনে ৷ টলমল চোখে ওর দিকে তাকালো ৷ ইশিতা আবার বলতে লাগলো,,,,,,,

ইশিতা : জানো? অনেক ইচ্ছা ছিল তোমাকে বর বেশে নিজের চোখে দেখবো আমি ৷ সঙ্গে নিজেকেও আয়নায় দেখবো ভেবেছিলাম তোমার পাশে বধূ বেশে সেজে ৷ তোমার জন্য চেয়েছিলাম শুধু নিজেকে সাজাতে ৷ কিন্তু সেটা হয়তো আর হবে না ৷ অন্য কারো জন্য সাজতে হবে আমায় ৷ তবে একটা ইচ্ছা তো পূরণ করাই যায় কি বলো! তুমি বিয়ে করলে আমাকে ইনভাইট করবে ওকে? আমি তখন তোমাকে ভালোভাবে দেখবো ৷ তোমাকে বর সাজে দেখবো ৷ এই ইচ্ছাটা পূরণ হলেই হবে ৷ কি করবে তো?

এই কথা গুলো বলতে বলতে ইশিতার চোখ পানিতে ভিজে গেছে ৷ ইশানের চোখেও পানি ৷ কিছু বলতে পারছে না শুধু তাকিয়ে আছে ৷ চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে নিয়ে ইশান ইশিতাকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে এসে বলতে লাগলো,,,,,,,,

ইশান : পারবো না আমি ৷ বিয়ে করলে তোমাকেই করবো ৷ আর কাউকে না ৷ অন্য কারোর জন্য আমিও সাজতে পারবো না ৷ আমি শুধু তোমার জন্য সাজবো ৷ তোমাকে আমার পাশে বউ সাজে দেখবো ৷ অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারো না তুমি ৷ আমি কখনোই দিব না এরকমটা হতে ৷ তুমি শুধু আমার ৷

ইশিতা : আচ্ছা বাদ দাও তো ৷ পরেরটা পরে ৷

এই বলে ইশিতা ইশানের হাত থেকে ওর জ্যাকেটটা নিয়ে সেটা নিজে পরে নিলো ৷ তারপর মুখে হাসি ফুটিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,

ইশিতা : দেখো তো কেমন লাগছে আমাকে? উম.. এটা আজ থেকে আমার কাছে থাকবে ৷

ইশান : এটা দিয়ে তুমি কি করবা?

ইশিতা : নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিব ৷ তুমি আমার কাছে থাকবে না তাতে কি? এই জ্যাকেটটা তোমার শূন্যতা পূর্ণ করে দিবে আমাকে ৷

ইশান : কি?

ইশিতা : জ্বী! এবার যাও তুমি ৷

ইশান : চলো না আমার সাথে প্লিজ ৷

ইশিতা : না ৷ চলে যাও প্লিজ ৷ আমি আর চাইছি না যে আমাদের জন্য কোনো সমস্যা হোক ৷ কিছু বলবে আমায়?

ইশান মাথা নাড়িযে ‘না’ বললো ৷

ইশিতা : কি বলতে ডেকেছিলে তাহলে?

ইশান : ইচ্ছা করছে না এখন ৷ পরে বলবো ৷ এখন ভালো লাগছে না ৷ কষ্ট হচ্ছে আমার ইশিতা ৷

বলেই ইশান একপ্রকার শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমায় ৷ কিছুক্ষনপর ছেড়ে দিয়ে আমার দুই গালে হাত দিয়ে মুখটা উঁচু করে তুলে ধরলো ৷ আমার কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো ৷ তারপর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,

ইশান : কষ্ট পেও না ৷ সব ঠিক হয়ে যাবে দেখো ৷ নিজের খেয়াল রেখো আর ভালো থেকো ৷ আসছি ৷

বলেই পিছন ফিরে চলে গেল ৷ এক মূহুর্তের জন্যও আর দাঁড়ালো না ওখানে ৷ একবারও পিছনে ফিরে তাকালো না ইশিতার দিকে ৷ ইশিতা করুণ চোখে তাকিয়ে রইলো ওর যাওয়ার দিকে ৷ ইশান সোজা দ্রুত হেঁটে গাড়ির দিকে চলে গেল ৷ ইশিতার চোখের দিকে তাকাতে পারবে না ও ৷ কষ্ট হবে অনেক যেটা প্রকাশ করা যাবে না ৷

কিছুক্ষন এভাবে তাকিয়ে থেকে পিছনে ঘুরে হেঁটে বাড়ির ভেতরের দিকে চলে গেলাম ৷ পা চলচ্ছে না তবুও চালাতে হচ্ছে ৷ পিছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢুকে সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম ৷ দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম ৷ কেন ইশানকে ফিরিয়ে দিলাম আমি? কি করে থাকবো ওকে ছাড়া? কেন আমার সাথে এরকম করছে বাপি? প্রচুর কষ্ট হচ্ছে ৷

গায়ে দেয়া ইশানের জ্যাকেটটা শক্ত করে জড়িয়ে নিলাম ৷ তবুও শান্তি পাচ্ছি না ৷ হঠাৎ হাতের কাছে কিছু একটা খসখস করে উঠলো ৷ জ্যাকেটের দিকে তাকালাম ৷ গায়ের থেকে খুলে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলাম ৷ ওই জায়গাটায় হাত দিতেই আবার খসখস করে উঠলো ৷ কি আছে এখানে? ভালো করে খুঁজে সেই জায়গাটায় দেখি একটা পকেট ৷ তবে সেটা বাহিরে না ভেতরে ৷ পকেটের চেইন খুলে ভিতরে হাত দিতেই ছোট্ট একটা কাগজের মতো কি যেন পেলাম ৷ সেটা বের করে দেখি এটা একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৷

ছবিটা ঘুরিয়ে ধরে দেখতেই অবাক হয়ে গেলাম ৷ মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এলো,,,,,,,,,, “ফুপ্পি?”
কি করে হতে পারে এটা? ছবিটা ইশানের কাছেও বা এলো কি করে? এটা তো ফুপ্পির ছবি ৷ ফুপ্পির ছবি ইশান কি করে পাবে? ইশান ফুপ্পিকে চিনে? চিনা তো দূর কখনো দেখেছে নাকি সেটাই সন্দেহ ৷ কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না ৷

মোবাইল নিয়ে সেই ছবিটার পিক তুলে নিলাম ফোনে ৷ তারপর ইশানকে সেই ছবিটা ম্যাসেজ করে দিয়ে বললাম,,,,, “এই মহিলা তোমার কি হয়?”

বেশ অনেক ক্ষন পর ইশান ইশিতার ম্যাসেজ সিন করে ৷ তবে ও বেশ অবাক হলো ৷ হঠাৎ এরকম প্রশ্নের মানে কিছুই বুঝলো না ৷ তবুও ম্যাসেজ করে দিলো,,,,,
“আমার মা”

ইশিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ৷ সবটা ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ৷ ওর ফুপ্পি ইশানের মা কি করে হতে পারে? যেখানে ওর ফুপ্পি এখনো অবিবাহিত ৷ আবার এদিকে ও জানে ইশানের মা মারা গেছে সেখানে বেঁচে থাকার প্রশ্নও বা আসে কোথা থেকে? ওর মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে ৷ কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না ৷ তবে কিছু একটা তো কাহিনী আছেই এর মধ্যে ৷ যেটা ওকে আজ জানতে হবে ৷

ছবিটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে ফুপ্পির রুমে চলে গেলাম ৷ দরজাটা খোলাই ছিল ৷ বাহির থেকে নক করলাম ৷ ফুপ্পি আমাকে দেখে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ভিতরে আসতে বললো ৷ আমি ভিতরে গিয়ে ফুপ্পির পাশে বসলাম ৷ সে বই পরছিল ৷ বইটা রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,,,,

—- কি রে? হঠাৎ এখানে এলি?

ইশিতা : কেন আসতে পারি না?

—- সেটা কখন বললাম বল? কিছু বলবি নাকি?

ইশিতা : হুম ৷

—- কি বল?

ইশিতা : আমার কিছু কথা জানার আছে ৷ জিজ্ঞেস করার আছে ৷

—- কি? (ভ্রু কুচকে)

ইশিতা ওর হাতের ছবিটা একপলক দেখে সেটা রিফার সামনে ধরে বললো,,,,,,,,,

ইশিতা : এটা কে ফুপ্পি?

—- এএটা তো আমি ৷ (অবাক হয়ে)

ইশিতা : সত্যি কি তুমি?

—- এতে সত্যি মিথ্যার কি আছে?

ইশিতা : এটা যদি তোমার ছবি হয়ে থাকে তাহলে তোমার ছবি ইশানের কাছে কি করে গেল ফুপ্পি?

রিফা অবাক হয়ে তাকালো ইশিতার দিকে ৷ তারপর বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো,,,,,,

—- সসসেটা আমি কি করে জানবো?

ইশিতা ওর ফুপ্পির সামনে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,

ইশিতা : তুমি জানো না তো কে জানে? কি সম্পর্ক তোমার ইশানের সাথে ৷ ইশান কেন তোমাকে মা বলছে ৷ তোমার তো বিয়ে হয়নি ফুপ্পি ৷ সেখানে তুমি কীভাবে ইশানের মা হবে?

—- ইশু নিজের রুমে যা তুই ৷ ভালো লাগছে না আমার৷

ইশিতা : না কোত্থাও যাবো না অামি ৷ আমার সব প্রশ্নের উত্তর চাই ৷ কে তুমি? ইশানের পরিবারের সাথে তোমার কি সম্পর্ক? তুমি কীভাবে ইশানকে আগে থেকে চিনো? ওই দিন তোমার ফোনে ইশানের নাম্বার সেভ করা পেয়েছিলাম আমি ৷ কোত্থেকে পেলে সেটা? বলো ফুপ্পি ৷ আমি জানতে চাই কি এমন হয়েছিল যে ইশানের বাবা আমার বাপির উপর রেগে আছে এতো? তারা দুজন দুজনকে চিনো কীভাবে?

ইশিতার ফুপ্পি ধমকের সূরে বললো,,,,,,,

—- এসব কথা আমি তোকে বলতে বাধ্য নই ৷””

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(কালকের পর্বে সবটা ক্লিয়ার হবে ৷ আপনারা যারা যারা আমার গল্প পরেন রেসপন্স করুন প্লিজ ৷ গল্প বিষয়ক মন্তব্য করুন ৷ নাহলে বুঝবো না আদো গল্পটা ভালো হচ্ছে নাকি খারাপ ৷ আমরা তো আপনাদের জন্যই গল্প লিখি তো সেখানে দুই একটা কথা কি গল্প নিয়ে লেখা যায় না? কেমন হচ্ছে বলবেন প্লিজ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here