প্রেমের রঙ পর্ব -০১

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_০১
#মোহনা_হক

“মা তুমি কিভাবে আমাকে বলো একটা ১৫ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে? একজন মেডিসিন স্পেশালিষ্ট হয়ে ওই বাচ্চা মেয়েকে আমি বিয়ে করতে পারবো না।”

” চুপ কর ইজহান।তোর বাবা যেহেতু বিয়েটা ঠিক করেছে তোর বাবাকে বল।আর মেয়েটা খুব সুন্দর।একেবারে মায়াবী চেহেরা তার।”

“মায়াবী হোক আমি বিয়ে করবো না।”

“বেশি কথা বলিস না ইজহান।খুব ভালো লক্ষী মেয়ে একটা।তোর বাবার বন্ধু নাহিদ সাহেবের মেয়ে। তিনি মারা গিয়েছেন দু মাস হলো।রুবিনা খাতুন মেয়েকে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চাননি এখন।কিন্তু গ্রামের কিছু বা’জে ছেলে মেয়েটাকে খুব জ্বালাচ্ছে। দয়া করে রাজি হয়ে যা বাবা।তোর বাবা কেমন মানুষ তুই তো জানিস।তারওপর সে একবার স্ট্রোক করেছে।এখন যদি তুই বিয়ে করবি না কথাটা শুনে আবার কিছু হয়ে যায়।পাগলামো করিস না ইজহান।”

‘মায়ের কথা শুনে ইজহান কিছুটা নত হলো.!’
[ইজহান শেখ। বাবা মায়ের বড় সন্তান। তার একটি ছোট বোন ও আছে। ইজনিয়া শেখ ইনেন। আপাতত মেডিকেলে পড়ছে। ভাইয়ের মতো ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে আছে। ইজহান পেশায় একজন ডাক্তার (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)।
ইজহানের বাবা হুমায়ুন শেখ সরকারি চাকুরীজিবী ছিলেন। তিনি মূলত একজন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। আর ইজহানের মা মুনিরা শেখ সাধারণ মহিলাদের মতো গৃহিনী।]

‘ইজহান কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিলো’

“ঠিক আছে আমি বিয়ে করবো।
‘কথাটি বলে ধপাধপ পা ফেলে রুম ত্যাগ করলো। মুনিরা বেগম হাসছেন। এ হাসির যেনো তৃপ্তিময়। মুনিরা বেগম তিনিও মুচকি হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।

‘প্রায় ৩ঘন্টা পর ইজহান এবং তার পরিবার গ্রামে এসে পৌঁছলো।গ্রামেই তার বিয়ে হবে। বিয়েটা সাধারণ ভাবেই হবে কারণ হুমায়ুন শেখ চান না এতো বড় করে বিয়ে হোক। এমনিতেও তার বন্ধুর কোনো রকম সংসার ছিলো। এখন সে ও নেই বিয়েটা বড় করে করলে তার বন্ধুর পরিবারের উপর বড় ভাবে একটা প্রভাব ফেলবে। তাই তিনি চাননি বিয়েটা বড় করে হোক।’

” আপু তোমার বর চলে এসেছে। কিছুক্ষণ পর তোমাকে বিয়ে করে নিয়ে চলে যাবে।হাহাহা!”

‘পুষ্পের কথা শুনে পদ্ম কেঁপে উঠলো। বিয়ের কথা শুনে পদ্মের বুকটা কেমন করে যেনো জ্বলে উঠলো। যেনো কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। চোখ দিয়ে বেহায়া হয়ে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। সে চায়নি এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে কিন্তু তার মা তাকে অনেক কথা বলার পর সে রাজি হয়েছে।

‘কিছুক্ষন পর ইজহান আর পদ্মর বিয়েটা শেষ হলো। এখন বিদায় দেওয়ার পালা। পদ্ম বেঘোরে কান্না করছে। ইজহানের বোন ইজনিয়া পদ্মর হাত ধরে আছে। রুবিনা খাতুন কান্নারত অবস্থায় ইজহানের উদ্দেশ্য বললেন

“বাবা আমার মেয়েটা অত্যন্ত ছোট। সবেমাত্র ওর বেড়ে ওঠার সময় এখনি তার বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতির কারণে আমার মেয়েটার এ দশা। বাবা হারা মেয়ে আমার। তুমি ওকে একটু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করো। আমার মেয়েটা যেনো ভালো থাকে।”

‘ইজহান গম্ভীর কন্ঠে জবাব দিলো।’

“জ্বী”

অতঃপর পদ্মকে গাড়িতে উঠিয়ে তারা আবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলো। গাড়িতেও পদ্ম কান্না করছে। পদ্মের এক পাশে ইজহান এবং আরেক পাশে পদ্ম কান্না থামিয়ে একবার ইজহান আরেকবার ইজনিয়ার দিকে তাকালো। ইজহান বিষয়টা খেয়াল করলো কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ করলো না। হঠাৎ ইজনিয়া বলে উঠলো।

“কিছু বলবে ভাবি?”

‘পদ্ম খুব ইতস্তভাবে বললো।
“আপু আমি একটু পানি খাবো।”

‘ইজনিয়া শুনে তাড়াতাড়ি পদ্মকে পানি দিলো। পদ্ম ঢকঢক করে পানি এক বোতল খেয়ে ফেললো।পদ্ম পানির বোতল ইজনিয়াকে দিয়ে ইজহানের দিকে তাকালো।ইজহানের দৃষ্টি মোবাইলের দিকে।মোবাইলের আলো ইজহানের মুখে পড়ছে।

‘পদ্ম মনে মনে ভাবলো এতো সুন্দর পুরুষ তাকে বিয়ে করলো।কি সুন্দর চেহেরা,গালে চাপ দাড়ি,চোখে চশমা। পদ্মের মনে হলো এ যেনো এক সুদর্শন পুরুষ।

‘পদ্মকে এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে ইজনিয়া পদ্মের কানে কানে ফিসফিস করে বললো।

“ভাইয়াকে কি বেশি পছন্দ হয়েছে নাকি?এখন এতো বেশি দেখো না। একেবারে বাসর ঘরে দেখো মনভরে।

‘ইজনিয়ার কথা শুনে পদ্ম তৎক্ষনাত চোখ নামিয়ে ফেললো।

দীর্ঘ একটা লম্বা জার্নির পর সবাই বাসায় আসলো।

‘ইজহানের মা মুনিরা শেখ দ্রুত সিড়ি বেয়ে নেমে এসে তার পুএবধুর কাছে আসলেন।কিসব নিয়ম আছে সেগুলো শেষ করার পর নতুন বউকে ঘরে তুলবেন তিনি। ইজহান এগুলো না শেষ করেই করেই উপরে চলে গেলো। এ বিষয়ে হুমায়ুন শেখ একটু রাগ হলেন। সব নিয়ম-কানুন শেষ করে ইজনিয়া পদ্ম কে নিয়ে ইজহানের রুমে গেলো।প্রায় রাত ১২টা বেজে গিয়েছিলো।

” ভাবি তোমার লাগেজ এ সব জামা-কাপড় আছে।তুমি ফ্রেশ হয়ে পড়ে নিও। আমি যাই প্রচুর ক্লান্ত আমি।

‘কথাটি বলে ইজনিয়া বাহিরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো আর তখনই পদ্ম তার হাত ধরে ফেললো। বেশ আকুতি করে বললো

“আপু আমি কখনো একা ঘুমাইনি আমার ভয় লাগে। সব সময় আমার ছোট বোন আমার সাথে ঘুমাতো।

‘ইজনিয়া হেসে ফেললো পদ্মের কথা শুনে।
” তুমি একা কোথায় ভাইয়া আছে তো।

‘ইজনিয়ার কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেলো। সে একজন পুরুষ মানুষের সাথে ঘুমাবে শুনেই কেমন শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো।’

” না না আপু আমি একটা ছেলের সাথে ঘুমাতে পারবো না।

‘ইজনিয়া হেসে দিলো কথাটি শুনে।
“সে তোমার বর।খাঁটি বাংলা যেটাকে বলে স্বামী। আজকে থেকে তার সাথেই তোমার ঘুমাতে হবে।

‘পদ্ম বড়সড় একটা ঢোক গিলল।
” উনার সাথে ঘুমাতে হবে?”

‘ইজনিয়ার কিছু বলতে যাবে তখনই ইজহান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো। চেহেরা দেখে মনে হচ্ছে,মাএই শাওয়ার নিয়ে এসেছে। ইজনিয়া আর পদ্ম কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো।’

“কি ব্যাপার? কি হচ্ছে ওখানে?”

“না ভাইয়া আমি শুধু ভাবিকে দিতে আসলাম।”

“তাহলে এখনও দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?”

“না এইতো যাচ্ছি।”

“বলেই ইজনিয়া চলে গেলো।ইজনিয়া চলে যাওয়ার পর ইজহান পদ্মের সামনে এসে দাঁড়ালো। ইজহানের সামনে পদ্মকে একটা মশার মতো মনেহলো।

“নাম কি তোমার?

‘ইজহানের গম্ভীর কন্ঠ শুনে পদ্মের যেনো কেমন করে উঠলো। বেশ কিছুক্ষণ পদ্মকে চুপ থাকতে দেখে ইজহান হালকা ধমকের সুরে বললো।

” কথা বলতে পারো না? তোমাকে আমি একটা প্রশ্ন জিগ্যেস করেছি।”

‘ইজহানের ধমক খেয়ে আমতা আমতা করে বললো

“প পদ্ম

‘ইজহান খুব মনোযোগ দিয়ে তার গালের দাড়ি গুলোতে হাত বুলাতে বুলাতে পদ্মকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছে।’

“শুনেছি তোমার বয়স নাকি ১৫ বছর?”

‘পদ্ম কথাটা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে গেলো।
“জ্বী হ্যাঁ।”

“জানো আমি তোমার কতো বড়?”

“জ্বী না।”

“এটা জানো না?

” না।”

“১৪ বছরের বড় আমি তোমার। কেনো বিয়ে করলে হু?”

‘ইজহানের প্রশ্ন শুনে পদ্ম থতমত খেয়ে যায়।
“আসলে আমি বিয়ে করতে চাইনি। আমার মা বাধ্য করেছিলো।”

“মা বললো আর বিয়ে করে ফেললে বাহ্!”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্মের চোখে পানি চলে আসে। হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেনি।তারওপর আবার ইজহানের এসব কথা.”

“কাঁদছেন কেনো ম্যাডাম?যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। শাড়িতে যে আপনি ঠিকমতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না ভালো করেই দেখতে পারছি।”

‘পদ্ম চুপচাপ হেটে লাগেজ থেকে একটা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চললো।ইজহান তীক্ষ দৃষ্টিতে পদ্মের চলে যাওয়া দেখছে।সে এমন একটা মেয়ে কে বিয়ে করেছে ‘সে জানেই না তার স্বামী তার থেকে বয়সে কতো বড়’। হায় এ কোন মেয়েকে বিয়ে করলো ইজহান। হসপিটালের কোনো লোক যদি জানে ইজহান তার ১৪ বছরের ছোট একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে তাহলে তার মান সম্মান কিছু থাকবে না।একজন সিনিয়র ডক্টর এই কাজ করেছে শুনলে হসপিটালের সিআই মেইবি অ’জ্ঞা’ন হয়ে যাবে।ইজহান এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার কলিগ শানায়া কল দিলো। সেও ইজহানের মতো সিনিয়র ডাক্তার। এতো রাতে শানায়ার কল পেয়ে কিছুটা বিরক্ত হলো ইজহান। মেয়েটা প্রায়ই এই কাজ করে। ইজহান কলটা রিসিভ করলো।’

“হ্যালো ইজহান শেখ কি অবস্থা আপনার?”

” ভালো। হঠাৎ এতো রাতে কল দেওয়ার কারণ জানতে পারি কি?’

“আমি তো প্রায়ই এই কাজ করি। আপনি কি জানেন না নাকি হু!”

“আচ্ছা।”

‘এটা বলে ইজহান ফোন কেটে দিলো। ইদানীং শানায়ার অকারণে কল দেওয়াটা খুব বিরক্ত করে ইজহানকে।শুধুমাত্র সিনিয়র ডাক্তার দেখে কিছু বলতে পারেনা।
‘ওয়াশরুম থেকে পদ্ম বের হয়ে আসলো। আবারও সে শাড়ি পড়েছে। শাড়ি পড়া হয়নি। দেখে মনেহচ্ছে কেউ শাড়ি পড়তে জোর করেছিল তাই এভাবে পড়েছে।

“আবার শাড়ি পড়েছো কেনো? তোমাকে কি আমাদের বাসা থেকে আর কোনো ড্রেস দেওয়া হয়নি!”

“থ্রি-পিস দেওয়া হয়েছে। আসলে আমাদের গ্রামের মেয়েরা বিয়ের পর শাড়ি পড়ে।”

“শাড়ি তো পড়তে পারো না দেখে তো মনেহচ্ছে কেউ জোর করে পড়িয়েছে।”

‘পদ্ম ইজহানের কথায় লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।
“আসলে কখনো পড়া হয়নি তো তাই।

‘ইজহান মুখ ঘুরিয়ে ফেললো।অনেক রাত হয়েছে এবার ঘুমাতে হবে। কাল আবার সকাল সকাল হসপিটালে যেতে হবে। ইজহান লাইটটা অফ করে খাটে শুয়ে পড়লো। পদ্ম লাইট অফ খুব ভয় পেয়ে গেছে। যেনো কেউ আশেপাশে দাঁড়িয়ে আছে তার এমন মনেহচ্ছে। এতো বেশি অন্ধকার যে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পদ্ম ভয়ে মুখে হাত দিয়ে আছে। একটু ঝুঁকে সামনের দিকে চলে গেলো। এইতো খাট এপাশে ইজহান নেই তাই পদ্ম শুয়ে পড়েছে। বেশিক্ষণ চোখ মেলে থাকতে পারলো না কারণ ঘুম তাকে একটু একটু করে ধরছে।পদ্ম শুয়ে শুধু মনে মনে একটি দোয়াই করতে লাগলো ঘুমের ঘোরে যেনো তার কাপড় ঠিক থাকে আর সে যেনো ইজহানের ধারেকাছে না যায়।

‘ঠিক সকাল ৭টায় ইজহানের ঘুম ভাঙলে। প্রতিদিন ইজহান এই সময়টাতেই ঘুম থেকে উঠে। অনেকটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তার। কথায় আছে না মানুষ অভ্যাসের দাস। ঠিক সেরকমই। ইজহানে দেখলো তার বুকের ওপর শাড়ি।দেখেই থমকে গেলো। পাশে তাকিয়ে দেখলো পদ্ম তার পাশেই শুয়ে আছে। পদ্মের মুখের উপর চুল পড়ে আছে যার কারণে পদ্মের মুখটা দেখা যাচ্ছে না। ইজহান খাটের পাশে ছোট্ট টেবিলটা থেকে তার চশমাটা নিলো। তারপর বেশিক্ষণ বসে না থাকে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

‘ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে একেবারে হসপিটালে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলো। নাস্তা সেরেই সে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। রুম থেকে চলে যাওয়ার আগে একবার পদ্ম কে দেখে নিলো। অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছে এমন মনেহচ্ছে। দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলে নিচে নেমে এলো। ইজহান দেখছে তার বাবা হুমায়ুন শেখ চা খাচ্ছেন আর টিভিতে খবর দেখছেন বেশ মনোযোগ দিয়ে। ইজহান চুপচাপ ডাইনিং এ বসলো। পকেট থেকে ফোন বের করে সেটা চাপতে লাগলো।

“মা নাস্তা দাও।

‘মুনিরা শেখ ইজহানের গলা শুনে তাড়াতাড়ি নাস্তা নিয়ে আসলো। হুমায়ুন শেখ নিজের মতো করে চা খাচ্ছেন আর টিভি দেখছেন ইজহানের দিকে তাকাচ্ছেনও না।

‘মুনিরা শেখ ইজহানকে নাস্তা দিতে দিতে বললেন
” আজ হসপিটালে যাবি?”

“হ্যাঁ কেনো প্রতিদিন যাই দেখোনা? আর হঠাৎ জিগ্যেস করছো কেনো?”

‘ইজহানের কথায় মুনিরা শেখ অবাক হয়ে গেলেন। কি ভাবলেশহীন কথাবার্তা।
“সবেমাত্র কাল বিয়ে হলো আর আজ হসপিটালে যাবি? আজ না গেলে হয়না?’

” না মা হয়না। আমি তো হসপিটাল থেকে ছুটি নেইনি। আর কেউ জানেও না আমার বিয়ে হয়েছে।”

“তা পদ্ম কোথায়?”

‘পদ্মের কথা শুনে ইজহান খাবার বন্ধ করে দিলো।

“ঘুমাচ্ছে।”
‘ইজহানে শান্ত কন্ঠে জবাব দিলো।

“আমি কিন্তু আমার ফ্ল্যাটে চলে যাবো। এখান থেকে হসপিটালে যেতে অনেক সময় লাগে। আজ রাতে বাসায় আসলে কাল সকালেই ওখানে চলে যাবো।

‘ইজহানের কথা শুনে মুনিরা শেখ একটু ভয়ে ভয়ে বললেন।

” পদ্মকে নিবি না?”

“ও ওখানে গিয়ে কি করবে! তার চেয়ে ভালো ও এখানে থাকুক তোমাদের কাছে।”

‘হুমায়ুন শেখ এতোক্ষণ তার ছেলের এবং তার স্ত্রীর কথা শুনছিলো। পদ্মকে নিয়ে ইজহানের এমন কথা শুনে তিনি উঁচু গলায় বলে উঠলেন।

“তোমার বউ তুমি সাথে করে নিয়ে যাবে এটাই শেষ কথা।”

#চলবে..

[আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।নতুন নতুন গল্প লিখছি ভুলত্রুটি হবেই।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।☺শব্দসংখ্যা ১৫৯৮]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here