প্রেমের রঙ পর্ব -০২

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_০২
#মোহনা_হক

ঠিক আছে আমি পদ্ম কে আমার সাথেই নিবো। বিয়েটা আমি করেছি। কিন্তু বিয়ে করতে জোর করেছো তুমি। সেটা অন্তত ভুলে যেও না বাবা। মা আসছি আমি।”

‘মুনিরা শেখ সদর দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ইজহান গাড়িতে উঠে চলে গেলো হসপিটালের উদ্দেশ্যে। মুনিরা শেখ তার স্বামীর পাশের সোফায় বসলেন।

“আচ্ছা আমি বলি কি পদ্ম আমাদের সাথে থাকুক কিছুদিন। সবকিছুই তো তোমার ইচ্ছাতে হচ্ছে। এটা নাহয় আমার ইচ্ছাতে একটু হোক। ইজহান সারাদিন হসপিটালে থাকবে। পদ্ম কি একা একা বাসায় থাকবে নাকি? ওর মন টিকবে ওইখানে বলো। সবেমাত্র গ্রাম থেকে আসলো মেয়েটা। শহরের কিছুই চিনে না। যদি ওখানে ওর একা থাকতে কোনো সমস্যা হয়?”

“পদ্ম কি সারাজীবন আমাদের সাথে থাকবে?ওর তো একাই থাকা লাগবে। আর নাহয় ইজহানের বাসায় তুমি দু একদিন থেকো এসো।

‘বুদ্ধিটা খারাপ না। হুমায়ুন শেখের কথাটি খুব ভালো লাগলো মুনিরা শেখের।
” ঠিক বলেছো আমি থেকে আসবো ওই বাসা থেকে।”

‘ঘড়ির কাটা যখন ৯:২০ তখন পদ্মের ঘুম ভাঙলো। ঢুলুমুলু হয়ে উঠে বসেছে সে। হাত দিয়ে চোখ ডলছে। দু হাতে তার চুলগুলো খোপা করে নিলো। পদ্মের একটা অভ্যাস ঘুম থেকে উঠে সে ওই বিছানাতেই কয়েক মিনিট বসে থাকবে। পদ্ম ইজহানের রুম ভালো করে দেখছে। এক দেয়ালে ইজহানের অনেক বড় একটা ছবি। দেখে মনেহচ্ছে চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। আর ইজহান দাত দেখিয়ে হাসি দিয়ে আছে। ইজহানের গ্যাজ দাত ও আছে। যার কারণে তার হাসিটা একটু বেশিই সুন্দর দেখাচ্ছে৷ পদ্ম মুগ্ধ নয়নে ইজহানের ছবিটা দেখছে। আর ‘মনে মনে বলছে মানুষটা এতো সুন্দর কেনো’। পদ্ম বিছানা ছেড়ে উঠে আসলো। কিন্তু বিছানার দিকে আবারও তাকালো। আচ্ছা মানুষটা কোথায়। ঘুম থেকে উঠে তাকে তো দেখলাম না। এসব ভাবতে ভাবতে পদ্ম ওয়াশরুমে চলে গেলো।

‘ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলো তার ননদ ইজনিয়া দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইজনিয়াকে দেখতে পেয়ে পদ্ম একপ্রকার খুশিই হলো। কারণ তার শাড়িটা এলোমেলো হয়ে আছে। ইজনিয়া ঠিক করে দিতে পারবে। দ্রুত পায়ে ইজনিয়ার সামনে দাঁড়ালো।
‘ইজনিয়া পদ্মকে এ অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে গেলো।’

“একি এ অবস্থা কেনো তোমার?”

‘পদ্ম তোতাপাখির মতো উত্তর দিলো
“আপু কাল রাতে আমি বিয়ের শাড়ি খুলে এটা পড়েছিলাম। শাড়ি ঠিকমতো পড়তে পারিনি। আমি কখনো পড়িনি।”

“তা তোমাকে শাড়ি পড়তে বলেছিলো কে?”

“আমাদের গ্রামের মেয়েরা বিয়ের পর শাড়ি পড়ে। তাই আমিও পড়েছি!”

“তুমি যে এভাবে শাড়ি পড়েছো ভাইয়া কিছু বলেনি?”
‘ইজনিয়া সন্দেহ দৃষ্টিতে প্রশ্নটি করলো’

“না আপু উনি কিছু বলেনি। আমার শাড়িটা একটু ঠিক করে দিবেন আপু?”

“অবশ্যই দিবো। আর শুনো তুমি আমাকে তুমি তুমি করে বলো। ঠিক আছে?”

“জ্বী আচ্ছা।”

‘ইজনিয়া পদ্মের শাড়ি ঠিক করে দিচ্ছে। পদ্ম বেশ নিচুকন্ঠে ইজনিয়াকে প্রশ্ন করলো।’

“আপু উনার নামটা আসলে কি?উনি কি করে? আচ্ছা আপু আমি ঘুম থেকে উঠে উনাকে দেখলাম না কেনো?”

‘ইজনিয়া একপর্যায়ে পদ্মের প্রশ্ন শুনে হেসে দিলো। পদ্ম তার স্বা’মী’র নাম জানেনা। বিষয়টা একটু বেশিই হাস্যকর না?’
“তোমার উনার নাম ইজহান শেখ৷ সে একজন মেডিসিন স্পেশালিষ্ট। মানে ধরে নেও একজন ডক্টর। আর তোমার উনি হসপিটালে চলে গিয়েছে।”

“আপু তোমার ফোনে এখন কয়টা বাজে?”

“৯:৩৫ কেনো?

“এতো তাড়াতাড়ি উনি হসপিটালে চলে গিয়েছেন? আর এখন কি কোনো রুগী আসবে নাকি?”

‘ইজনিয়া আবারও হেসে দিলো পদ্মের কথা শুনে।’
“এখান থেকে হসপিটাল যেতে ২ ঘন্টার ও বেশি সময় লাগে। আর ভাইয়া যেহেতু সরকারি ডক্টর আই মিন মেডিকেল অফিসার তাই ওদের একটু আগেই হসপিটালে উপস্থিত থাকা লাগে। বুঝছো সুন্দরী!”

“জ্বী আপু।”

‘ইজনিয়া এবার মজা করতেই পদ্মকে একটা প্রশ্ন জিগ্যেস করলো।
“তুমি আমার নাম জানো তো?”

‘পদ্ম প্রশ্নটা শুনে বেশ থতমত খেয়ে গেল। আসলে সে তো তার ননদের নামও জানে না। এই লজ্জার কথা কাকে বলবে!”

“না আপু।”

‘ইজনিয়া হাসতে হাসতে শেষ’
“আমার নাম ইজনিয়া শেখ।

“তোমরা কি শেখ বংশ?”
‘পদ্ম বেশ উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন করলো’

“হ্যাঁ। আচ্ছা এখন নিচে চলো। বাকি কথা পরে বলবো তোমাকে। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে এখনো নাস্তা করোনি। মা বকবে তাড়াতাড়ি চলো।”

‘ইজনিয়া পদ্ম কে নিয়ে নিচে চলে আসলো। ডাইনিং এ এক মহিলা খাবার বাড়ছে। ইজনিয়া মুনিরা শেখ কে ডাক দিলেন। তাদের সাথে নাস্তা করার জন্য। কারণ তিনিও এখনো নাস্তা করেননি। একই টেবিলে পদ্ম তার ননদ এবং তার শ্বাশুড়ি বসলো। খাওয়ার সময় পদ্ম কে তার শ্বাশুড়ি অনেক কথাই বললো। পদ্ম শুধু কথার উত্তর হিসেবে হেসেছে।

“শুনো পদ্ম ইজহান যখন হসপিটালে যাবে। তখন তুমি যতো গভীর ঘুমে থাকো না কেনো। উঠে যাবে বুঝছো! ওকে হসপিটালে যাওয়ার আগে নাস্তা রেডি করবে তারপর দিবে। এরপর নাহয় ও হসপিটালে চলে গেলে তুমি আবার ঘুমোবে। দেখো তোমার বয়স কম আমরা মানছি কিন্তু এখন তো তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে তোমার এখন এগুলো অভ্যাস করতে হবে। শিখে নিতে হবে।

“জ্বী মা। আমি প্রতিদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠি আজ কেনো দেরী হয়ে গেলো বুঝলাম না।
‘পদ্ম মাথা নিচু করে কথাটি বললো।’

“সমস্যা নেই। আর তোমার লাগেজ যদি গোছানো না থাকে তাহলে গুছিয়ে নিও। কাল ইজহান তোমাকে নিয়ে ওর ফ্ল্যাট চলে যাবে।”

‘পদ্মের কাশি উঠে গেলো। কাশতে কাশতে অবস্থা খারাপ। চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে। ইজনিয়া পদ্মকে এক গ্লাস পানি দিলো। মুনিরা শেখ পদ্মের এই অবস্থাকে ওকে শান্ত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেলো। পানি খেয়ে একটু কাশি থেমেছে পদ্মের।”

“ঠিক আছো তুমি?”

‘পদ্ম অস্থির হয়ে চেয়ারে মাথা হেলিয়ে দিলো। এখনো চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছছে পদ্ম।
“জ্বী মা ঠিক আছি।”

“হঠাৎ এমন হলো কেনো তোমার?”

“মা আসলে ভাবি মনেহয় ভয় পেয়েছে ফ্ল্যাটের যাওয়ার কথা শুনে।”
‘দাঁত কেলিয়ে মুনিরা শেখকে উত্তর দিলো ইজনিয়া। মুনিরা শেখ চোখ রাঙিয়ে তাকালেন তার মেয়ের দিকে। তৎক্ষনাত হাসি বন্ধ হয়ে গেছে ইজনিয়ার।’

“শুনো পদ্ম আমিও যাবো ওই বাসায়। কয়েকদিন থেকে আসবো। যতোদিন আমি ওইখানে থাকবো তোমার চিন্তা নেই। সব শিখিয়ে দিয়ে আসবো তোমাকে। এতো বেশি টেনশন নিও না।”

‘পদ্ম নিঃশব্দে হাসলো। পদ্মের হাসি দেখে মুনিরা শেখ বেশ খুশি হলেন। তিনি পদ্মের পাশের চেয়ারে দাঁড়ালেন। পদ্মকে জড়িয়ে ধরলেন। পদ্মও তার শ্বাশুড়িকে জড়িয়ে ধরেছে। পদ্ম মনে মনে বলছে কতো ভাগ্য করে সে এমন একজন শ্বাশুড়ি পেয়েছে।

(*)

ইজহান তার কেবিনে বসে আছে লাঞ্চটাইম এবং নামাজের ব্রেক চলছে এখনো। ইজহান লাঞ্চ করে এবং নামাজ পড়ে বসেছে তার চেয়ারে। প্রতিদিন এতো চাপ থাকে তার। সারাদিন শুধু রোগী দেখাই হচ্ছে তার কাজ। হঠাৎ ইজহানের কেবিনে শানায়ার আগমন ঘটলো। শানায়া ইজহানের সামনাসামনি চেয়ারে বসলো। ইজহান তার চেয়ারে শরীরটা হেলিয়ে দিলো। সামনে থাকা কলমটা ঘুরাচ্ছে। তার দৃষ্টি শানায়ার দিকে।

“কি ব্যাপার শেখ সাহেব এখন ফোন দিলে যে ফোন কেটে দেন?হু? কাহিনী কি বুঝছি না কিছুই!”

“আপনি আমাকে ঠিক কখন ফোন দেন?”

“রাত ১-২টা এই সময়ই তো দিই।”

“তখন মানুষ কি করে?”
‘ইজহান চোখ ছোট ছোট করে প্রশ্নটা করেছে শানায়াকে।

“সাধারণত সব মানুষ তখন ঘুমায়। কিন্তু আপনি তো আরও পরে ঘুমান। আসলে আপনার সাথে কথা বলতে ভালোই লাগে।

“আমার তো ভালো লাগেনা। আসলে ওই সময়টায় নিজেকে একা রাখতে পছন্দ করি।”

“আপনার একাকিত্বের সঙ্গী হতে দিবেন ইজহান শেখ?”
‘বেশ মোহনীয় কন্ঠে কথাটি বললো শানায়া।’

“লাঞ্চটাইম শেষ আবার অন্য একদিন খোশগল্প করতে আসবেন ঠিক আছে।”

“আপনাকে কি আমার সেরকম মনে হচ্ছে ইজহান?”

“আসলে কি রকম বুঝতে পারছি না”
‘ইজহান বুঝেও না বুঝার মতো বললো।’

“যাই হোক বাদ দিন এক মাস পর হসপিটালের সব সিনিয়র ডক্টর, মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র ডক্টর, হসপিটালের সিআই এবং ম্যানিজিং কমিটি সবাই মিলে একটা গেট টুগেদার হবে। আপনি থাকবেন৷ তো?”

“পরেরটা পরে ভেবে দেখবো। এখন আমি রোগী দেখা স্টার্ট করবো।আপনি চাইলে আসতে পারেন।”

‘কথাটি শানায়ার বেশ গা’য়ে লাগলো। এভাবে কেউ
বলে নাকি! আজব তার মতো একটা সুন্দর মেয়েকে ইজহান পাত্তা দিচ্ছেনা বিষয়টা বেশ সন্দেহজনক। ইজহান কেনো বুঝেনা শানায়ার যে তার খুব পছন্দ। শানায়া চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল আর এক মুহুর্ত এখানে থাকা যাবেনা। নাহলে জানি আবার কি বলে ফেলে। তার একটা মান সম্মান আছে তো।’

(*)

‘সারা দুপুর বিকেল ইজনিয়া তার চৌদ্দগোষ্ঠীর কাহিনী শুনিয়ে দিলো পদ্মকে। পদ্মের কিন্তু ভালোই লেগেছে। আসলে পদ্ম এইরকম কথা বলা মানুষকেই পছন্দ করে। সেও প্রচুর কথা বলতে পছন্দ করে কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বলা হয়ে উঠছে না। আবার কি না কি ভাবে। ইজনিয়া একটা বন্ধুসুলভ মেয়ে। তার কথা দেখেই বুঝা যায়।

‘রাত আটটায় পদ্ম আর ইজনিয়া রাতের খাবার খেয়ে ফেললো। ইজনিয়া চলে গিয়েছে পড়তে আর পদ্ম ইজহানের রুমে এসেছে। গ্রামে হলে এতোক্ষণ ঘুমিয়েই যে কিন্তু এখানে এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে যদি ওনারা কিছু মনে করেন। পদ্ম খাটে বসে আবারও সেই ছবিটার দিকে তাকালো।ছবিটার দিকে তাকালে পদ্মের জানি কেমন কেমন লাগে। যেনো ইজহান তার দিকে তাকিয়েই হাসছে। একটু একটু করে লজ্জাও লাগতে শুরু করলো পদ্মের। ঘড়ির কাটা 8:34 তখন একটু একটু করে পদ্মের চোখে ঘুম আসছে। সে আর বসে থাকতে পারছে না এবার শুয়েই গেলো। সকালে শ্বাশুড়ি বলেছিলো ইজহান যখন হসপিটালে যায় তখন যেনো সে উঠে। এই কথা চিন্তা করেই পদ্ম ঘুমিয়ে গেলো।

রাত 10:30
‘ইজহান বাসায় আসলো। উপরে উঠার সময় মুনিরা শেখ বললেন সে যেনো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে। কারণ তারা কেউ এখনো খাননি। ইজহান কথা মতো তাই করলো। কিন্তু রুমে এসে সে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। বাহির থেকে দেখা যাচ্ছে পদ্ম ঘুমাচ্ছে। ইজহান বিরবির করতে করতে রুমে ঢুকলো। ‘এই মেয়ে সারাদিন ঘুমায় নাকি’।
‘রাতের খাবার খেয়ে ইজহান রুমে আসলো। এখন ঘুম আসবে না তাই সে মোবাইল নিয়ে বসলো। খাটের একপাশে পদ্ম আরেকপাশে ইজহান। ইজহান নিজের মতো ফোন দেখছে পদ্মের দিকে তাকাচ্ছে না।

‘রাতে হঠাৎ অনেক বাতাস শুরু হলো। ইজহান সেটা দেখে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিকেলে তো এমন কোনো সংকেত পায়নি যে বৃষ্টি আসবে। এমনকি সে বাসায় আসার আগ পর্যন্ত এমনটা মনেহয়নি বৃষ্টি আসবে। ইজহান বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাতাস দেখছে। মেঘ আসার আগ মুহূর্ত তার কাছে ভিষণ প্রিয়। ‘

‘ঘুরুম করে মেঘের আওয়াজ শোনা গেলো। পদ্ম লাফ দিয়ে উঠে পড়েছে ঘুম থেকে। ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলো বৃষ্টি হবে তাই মেঘের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু মেঘের আওয়াজে তো তার ভয় হচ্ছে। গ্রামে থাকলে তার মা তাদের দু বোনকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকতো। এখন কি হবে। পদ্ম দেখছে বারান্দায় ইজহান দাঁড়িয়ে আছে। তড়িঘড়ি করে ইজহানের পেছনে দাঁড়ালো। ইজহান পদ্মকে খেয়াল করেনি। তার দৃষ্টি বাহিরে। আবারও মেঘের ডাক শোনা গেলো পদ্ম ভয়ে ইজহানের টিশার্ট টেনে ধরলো। ইজহান পিছন ফিরে তাকাল দেখলো। দেখলো পদ্ম চোখ বন্ধ করে মুখ কাচুমাচু করে রেখেছে। ইজহান পদ্মের হাত ধরে টেনে ওর পাশে দাঁড় করালো।’

“বেশি ভয় পাচ্ছেন নাকি ম্যাডাম?”

‘পদ্ম ভয়ে ভয়ে বলছে।
“জ্বী হ্যাঁ’

‘আবারও মেঘ ডাক দিলো। পদ্ম আবার চোখ বন্ধ করে ইজহানের টিশার্ট চেপে ধরেছে। ইজহান পদ্মের দিকে তাকিয়ে বললো।’

“আমি কি জড়িয়ে ধরবো তোমাকে?”

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আসলে গল্প লিখতে গেলে মাথা ঠিক থাকেনা। মনেহয় এখান দিয়ে একটু দু’লাইন বাড়িয়ে দেই🙂। যার কারণে এলোমেলো হয়ে যায় মাঝেমধ্যে। আমার ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দসংখা ১৫৬৪]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here