প্রেম পায়রা ২ পর্ব ৪

#প্রেম_পায়রা (২)
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব____০৪

সম্পদ এক টানে তিথিকে বিছানায় বসিয়ে দিল। বিস্ফািরিত নয়নে তিথি কিছুক্ষণ এদিক ওদিক চাইলো। সম্পদের মুখ দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেল। মস্তিষ্ক সচল হতে তার মনে পড়লো, গতকাল তার বিয়ে হয়ে গেছে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষটির সাথে। গায়ের কম্বল সরিয়ে সে আঁচল টেনেটুনে বসলো। বিছানা ছেড়ে নামতে নিতে বুঝতে পারলো, প্রচন্ড দুর্বল সে। তার দেরি দেখে সম্পদ কড়া গলায় বলল,

‘বড় ভাবী এসে একবার খুঁজে গেছে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বাইরে বের হও।’

তিথির আর বিশ্রাম নেওয়ার সাহস হলো না। ছোট্ট করে শ্বাস ফেলল। বিছানা ছেড়ে ফ্লোরে পা রাখতে মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো৷ সম্পদ হাত বাড়িয়ে ধরার আগেই তিথি বিছানা চেপে ধরে নিজেকে সামলে নিল। সম্পদ বাড়ানো হাতটা গুটিয়ে নিল। ভেতরে অপরাধ বোধ জেগে উঠল তার। বুঝতে অসুবিধা হলো না যে তিথির শরীরটা একটু বেশিই খারাপ। অপ্রতিভ সুরে বলল,

‘বিয়ের পরের দিন কেউ অসুস্থ হয়? সবাই কি ভাববে?’

‘আমি ঠিক আছি। কিছুটা সময় দিন। রেডি হয়ে নিচ্ছি।’

‘থাক, আর একটু বিশ্রাম নাও। উঠতে হবে না।’

তিথির উত্তরের অপেক্ষা না করে সে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। সম্পদ চলে যেতে কপালে হাত ছোঁয়াল তিথি। জ্বর নেই! আস্তে আস্তে উঠে সে শাড়ি বের করে নিল। কাপড় গুছিয়ে রেখে ফের বিছানায় গিয়ে বসলো। সম্পদ ওয়াশরুম থেকে বের হলে সে চট করে রেডি হয়ে নিবে।

৫.

বিয়ের দুদিন পর সকালবেলা সম্পদ আর তিথি ঢাকার পথে রওনা হলো। গাড়ি ছুটে চলেছে শহরের পথে। অতীতকে পিছু ফেলে এগিয়ে চলেছে। সম্পদ এতক্ষণ বাহিরে তাকিয়ে ছিল। মাথা সামান্য কাত করে একবার তিথির দিকে তাকালো। তিথি চোখ মুখ কুঁচকে সিটে মাথা এলিয়ে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে জার্নিতে তার প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সম্পদের কিছু করার নেই। গ্রামের বাড়ি তার কাছে বিষের মতো মনে হচ্ছিল। আর থাকতে পারছিল না৷ সবাই যখন তখন তাকে আর তিথিকে নিয়ে মশকরা করছিল। এগুলো শুনে ভেতরে পুড়ে গেলেও মুখে লজ্জার হাসি ফুটিয়ে তুলতে হতো। সবাইকে বুঝাতে হতো যে তিথিকে পেয়ে তার জীবন ধন্য। তাদের জুটিটা শ্রেষ্ঠ জুটি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি তারা। অথচ ভেতরের সমীকরণ পুরো উল্টো। এই দু’তিন দিন অভিনয় করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিল সে। আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে বাবাকে বলেছিল যে, অফিস থেকে ইমার্জেন্সি কল এসেছে বিধায় আজকের মধ্যে ঢাকা পৌঁছাতে হবে।

সবাই মন খারাপ করলেও অফিশিয়াল বিষয় বলে দ্বিমত পোষণ করেননি৷ সবাই হাসিমুখে তাদের বিদায় দিয়েছে। গাড়ি চলা শুরু করতেই সম্পদ বড় সড় দম ফেলেছে। ফাইনালি নিজেকে একটু মুক্ত মনে হয়েছে। তিথির অস্ফুট স্বরে সম্পদের ভাবনায় ছেদ পড়লো। সে তড়িঘড়ি করে প্রশ্ন করলো,

‘কোনো সমস্যা? কিছু লাগবে?’

তিথি অতি কষ্টে মাথা এদিক ওদিক নেড়ে অসম্মতি প্রকাশ করলো। সম্পদ স্বস্তি পেল না। তিথির চেহারা অস্বাভাবিক লাগছে। যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা পৌঁছাতে হবে। সে ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বলল,

‘মশিউর, গাড়ি একটু জোরে চালাও। কিন্তু সাবধান।’

‘ঠিক আছে।’

মশিউর রহমান নামের ছেলেটা মাথা নাড়লো। তার বয়স পঁচিশের কোঠায়। ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ে ড্রাইভিং শিখেছিল। দীর্ঘদিন ট্রাকের ড্রাইভার ছিল সে। তারপর কপালের জোরে চেয়ারম্যান সাহেবের ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হয়ে গেল। বছর চারেক হলো সে হাসি আনন্দে দিন কাটাচ্ছে আর চেয়ারম্যান সাহেবের ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিয়োজিত আছে। সে ভিউ মিররে রাস্তার পেছন সাইড পরীক্ষা করে দেখলো ফাঁকা। ময়মনসিংহ-ঢাকা হাইওয়ে। রাস্তায় খুব একটা গাড়ি নেই। গাড়ির এক্সিলেটর আরো খানিকটা নামিয়ে দিল সে। সঙ্গে সঙ্গে স্পিডোমিটারের কাঁটা ষাট থেকে সত্তরে চলে গেল। ধীরে ধীরে আরো বাড়িয়ে দিল। কয়েক মুহূর্ত বাদে গাড়ি শালবনের ভেতর ঢুকে পড়লো।

গাড়ি যেন উল্কার বেগে ছুটে চলেছে। তিথির শরীর কাঁপছে। মাথার ভেতর ছুটন্ত কিছু ক্রমাগত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। পেটের নাড়িভুঁড়ি গলা দিয়ে বের হয়ে আসতে চাইছে। ঠিক এই মুহূর্তে তার মনে হচ্ছে, এর চেয়ে মরে গিয়ে সে বেশি শান্তি পাবে। ছোটবেলা থেকে জার্নি করে অভ্যাস নেই। ঢাকা শহরের অক্সিজেনে তার কখনো শ্বাস নেওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে নিতে পারবে না। যখন তখন তার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবে।

হুট করে শরীর মুচড়িয়ে মুখ চেপে ধরলো সে। বাম হাতে সম্পদকে ধাক্কা দিল। সম্পদ চমকে বলল,

‘কি হয়েছে?’

তিথি বমি করতে নিতে সম্পদ তড়িঘড়ি করে বাঁধা দিল। ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বলল,

‘মশিউর গাড়ি সাইড করো। কুইক!’

গাড়ির স্পিড একটু বেশি ছিল। সাইড করতে কিছুটা সময় লাগলো। গাড়ির ইগনিশন সুইচ বন্ধ হতে দ্রুত দরজা খুলল সম্পদ। গাড়ি থেকে নেমে এসে তিথির পাশের দরজাটা খুলে দিল। তিথি আর ধরে রাখতে পারলো না। মুখটা কোনো রকমে বের করলো। হড়হড় করে বমি করে দিল সম্পদের জুতোর উপর। চোখ মুখ কুঁচকে গেল সম্পদের। নাক সিঁটকে বলল,

‘এটা কি করলে তুমি?’

তিথি কোনো প্রশ্নের উপর দেওয়ার অবস্থায় নেই। তার শরীর ক্রমেই নেতিয়ে পড়ছে। এই অবস্থা দেখে সম্পদ আর রাগ করতে পারলো না। তিথির কাঁধ চেপে ধরে বাইরে বের করলো। রাস্তার পাশে ঘাসের উপর বসে পড়লো তিথি। সম্পদ চেঁচিয়ে বলল,

‘পানির বোতল এদিকে দাও মশিউর।’

গাড়ির গ্লোব কম্পার্টমেন্ট থেকে ছোট্ট একটা পানির বোতল হাতে নিল মশিউর। বোতলটা সম্পদের দিকে বাড়িয়ে দিল। সম্পদ সেটা লুফে নিল। বোতলের ছিপি খুলে তিথির সামনে নিচু হয়ে বসে পড়লো। বোতল হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,

‘পানি খাও। ঠিক হয়ে যাবে।’

তিথি পেট চেপে আরো কয়েকবার বমি করার চেষ্টা করলো। থুথু ব্যতীত কিছু বের হলো না। বোতল উঁচিয়ে কুলি করলো সে। কয়েক ঢোক পানি খেয়ে চোখে মুখে পানি দিল। অবশিষ্ট পানি দিয়ে গলা ঘাড় ভিজিয়ে শূন্য বোতলটা সম্পদের দিকে বাড়িয়ে দিল। বোতলের দিকে নজর দিতে সম্পদের চোখ আটকে গেল তিথির উন্মুক্ত পেটের উপর। তিথির পরণে জাম রঙা শাড়ি যা মাত্র খেয়াল করলো। মেয়েটা অসুস্থ বলে ঠিক মতো শাড়িও সামলাতে পারছে না। অনাবৃত পেট থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সে গাড়ির দিকে তাকালো। দেখলো মশিউরের দৃষ্টি অন্য দিকে৷ গাড়ির মাডগার্ডে হেলান দিয়ে সে একমনে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সম্পদ। কেন জানি সে চাইছে না, তিথির অনাবৃত অংশ অন্য কেউ দেখুক। তিথির হাতের শূন্য বোতলটা ফেলে দিয়ে তাকে একটানে দাঁড় করালো। পেছন থেকে শাড়ির আঁচল টেনে একেবারে পেঁচিয়ে দিল তাকে। তিথি হাঁসফাঁস করতে করতে বলল,

‘আমি আর গাড়িতে উঠবো না। কোথাও যাব না আমি। এখানেই থাকবো।’

সম্পদের হাত ছাড়িয়ে তিথি আবার ঘাসের উপর বসে পড়লো। তার আর গাড়িতে উঠা সম্ভব নয়। এবার উঠলে নিশ্চিত দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। সম্পদ পড়ে গেল ঘোর বিপদে। কি সুন্দর ঝামেলা মুক্ত জীবন ছিল তার। প্রতিবার ছোট্ট একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বাড়ি আসা যাওয়া করতো। এই প্রথম তার মনে হলো মস্ত বড় ঝামেলায় ফেঁসে গেছে সে। তার সেই মুক্ত জীবনের ঘুড়িতে কেউ নাটাই ধরেছে। তিথির মুখের দিকে প্রথম বার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো সে। ফ্যাকাসে ত্বক। মলিন মুখ! এলোমেলো চুল। কপালে আর নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে৷ পাতলা ঠোঁট কালচে হয়ে গেছে। চোখের পাপড়ি ভেজা। সে চমকে বলে উঠলো,

‘তুমি কি কান্না করছো?’

তিথি অস্ফুট স্বরে বলল,

‘না!’

‘ভালো। এবার গাড়িতে উঠো৷ আর বেশি পথ বাকি নেই।’

‘আমি কোথাও যাব না।’

‘যাবে না মানে?’

‘যাব না মানে কোথাও যাব না। আরেকবার গাড়িতে উঠলে আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাব। আমি কোথাও যাব না। এখানেই ঘুমিয়ে পড়বো।’

সম্পদকে অবাকের চূড়ায় রেখে তিথি সত্যি সত্যি ঘাসের উপর শুয়ে পড়লো। সম্পদ বিস্ময় নিয়ে তিথির দিকে কিয়ৎক্ষণ চেয়ে রইলো। দ্রুত আশপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই। রাস্তায় ছুটে চলা দু একটা গাড়ি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই। তার মানে কেউ দেখেনি। সে জোরপূর্বক তিথিকে টেনে তুলল। ধমক দিয়ে বলল,

‘পাগল হয়ে গেছো? রাস্তার মাঝে কেউ শুয়ে পড়ে?’

‘আ-আমি রাস্তার মাঝে নই, রাস্তার পাশে শুয়ে-শুয়েছি।’

‘তিথি মেজাজ গরম করবে না। রোদ উঠে গেছে। দ্রুত ঢাকা পৌঁছাতে হবে।’

‘আপনি আমাকে মেরে ফেলতে চান?’

‘হ্যাঁ! কোনো সন্দেহ?’

সম্পদের কথার পিঠে তিথি আর কিছু বলতে পারলো না৷ সম্পদ আর দেরি করলো না৷ একটানে তাকে দাঁড় করালো৷ তারপর জোর করে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসাল। দরজা লাগিয়ে দিয়ে ঘুরে নিজের জায়গা গিয়ে বসে পড়লো। গাড়ি ছুটে চলল নতুন গন্তব্যে।

৬.

এক বহুতল ভবনের সামনে গাড়ি এসে থামলো। সম্পদ তিথির দিকে তাকালো। তিথি অচেতনের মতো পড়ে আছে। স্বীকার করতে হবে, আজ মেয়েটার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। এতটা কাহিল হয়ে গেছে! মশিউর গাড়ি থেকে নেমে গেছে। সম্পদ তিথির কাছাকাছি মুখ নিয়ে ডাকলো,

‘তিথি! তিথি?’

তিথি সাড়া দিল না। সম্পদ টিস্যু দিয়ে নিজের মুখ মুছে ফেলল। মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে সে বাইরে বের হলো। শার্টের বুকের কাছে ভেজা। সেখানটা শুঁকে নাক কুঁচকে ফেলল গন্ধে। ফিরতি পথে তিথি আরো দুবার গাড়িতে বমি করেছে। একবার তার শার্টের উপর। পানি দিয়ে ধোঁয়ার পরেও গন্ধ যায় নি। গাড়ির পেছনে এগিয়ে গিয়ে দেখলো, মশিউর গাড়ি থেকে লাগেজ গুলো নামিয়েছে। লাগেজগুলো টেনে নিয়ে সে গেটের দিকে গেল। সম্পদ দরজা খুলে তিথিকে ফের ডাকলো। শুনলো না। বাধ্য হয়ে ধাক্কা দিল সে। এবারে ধড়ফড় করে চোখ খুলল তিথি। সম্পদ বিরক্তি নিয়ে বলল,

‘নেমে পড়ো! পৌঁছে গেছি।’

তিথি আস্তে আস্তে গাড়ি থেকে নামলো। হাঁটতে নিতে পা এলোমেলো হয়ে এলো তার। সম্পদ দ্রুত ধরে ফেলল। সে যতই চাচ্ছে মেয়েটাকে স্পর্শ না করতে ততই যেন মেয়েটা গায়ে এসে পড়ছে। কপাল কুঁচকে সে বলল,

‘আমার হাত ধরো। তিন তলায় যেতে হবে।’

তিথি হাত ধরলো না। নিজে থেকে হাঁটার চেষ্টা করলো। সম্পদের পিত্তি জ্বলে গেল। কত সাহস মেয়ের। সে হাত বাড়িয়ে দিল। অথচ সেই হাত ধরলো না? ফোঁস ফোঁস করে এগিয়ে গেল সে। এক হাতে তিথির কাঁধ জড়িয়ে সে হাঁটতে সাহায্য করলো।

তিন তলার সিঁড়ির ডান পাশের দরজার সামনে এসে তিথিকে ছাড়লো সম্পদ। পকেট থেকে চাবি বের করে তালা খুলল। লাগেজ দুটো ভেতরে ঢুকিয়ে দিল। ফ্রিজ থেকে একটা জুসের বোতল হাতে বেরিয়ে এলো। দেখলো, তিথি এখনো দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সে বলল,

‘ভেতরে গিয়ে বিশ্রাম নাও। আমি মশিউরকে বিদায় করে আসি। ওকে আজই গ্রামে ফিরতে হবে। আগামীকাল সকালে বাবার গাড়ি লাগবে। কোনো মিটিং আছে।’

বলে সম্পদ ঝটপট সিঁড়ি মাড়িয়ে নিচে নামলো। মশিউর ড্রাইভিং সিটে বসে পড়েছে। সে জুসের বোতল ধরিয়ে দিয়ে বলল,

‘সাবধানে ড্রাইভ করবে মশিউর। আর এই গলির মাথায় যে রেস্টুরেন্ট আছে ওখান থেকে খেয়ে নিবে। না খেয়ে ড্রাইভ করবে না কিন্তু।’

‘জ্বি।’

মশিউরের হাতে কিছু এক্সট্রা টাকা গুঁজে দিয়ে সম্পদ তিনতলায় উঠলো। ভেড়ানো দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো। ভেতর থেকে দরজা লক করে আশপাশে তাকালো। তিথি নেই। আছে কোথাও হয়তো ভেবে সে নিজের রুমে ঢুকলো। বিছানার দিকে তাকাতে চমকে উঠলো সে। তিথি বিছানার উল্টো দিকে শুয়ে আছে। সে চেঁচিয়ে বলে উঠলো,

‘তিথি! আমার বিছানায় কেন তুমি? আরো রুম আছে তো।’

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here