“ফেমাস_বর🙈(বিবাহ পর্ব) পার্ট_১৭

#ফেমাস_বর🙈(বিবাহ পর্ব)
#পার্ট_১৭
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা

নাহ,এটা হতে পারেনা!সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।তার জন্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে তমু?মানিন প্লিজ,মানিন!তমুকে তোমরা একটু বলো অন্তত!প্লিজ মানিন!

কথাটা আদনান বলল!

মানিতা-আমি কিছু বলতে পারবনা আদি!তুই পারলে বুঝা!

আদনানের তো মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে এটা শুনে যে তমা তাকে বিয়ে করবেনা!

আদনান আর কিছু না ভেবে সোজা তমার ঘরে ঢুকে গেল।আদনানকে ঢুকতে দেখে তমা তারাতারি করে চোখ মুছে নিল।

আদনান-তোর সমস্যা কী আমাকে একটু বলতো?কী সমস্যা?এতো সামান্য একটা ব্যাপারে তুই বিয়ে ভেঙে দিবি?

তমা-আমি বিয়ে কেন করবোনা সেটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার!সেটার জবাবাদিহি আমার আপনাকে করার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা।

আদনানের এবার খুব রাগ হলো।এই মেয়েটার সমস্যা কী?সোজাসোজি কোনো একটা কথা বলতে পারেনা!খালি উল্টা-পাল্টা কথাবার্তা!

আদনান-ঐ বেয়াদপ!আমার সাথে এভাবে কথা বলতেসিস?আমার সাথে?ভূলে যাবিনা আমি সম্পর্কে তোর বড় ভাই হই!সম্মান দিয়ে কথা বল!

তমা-হাহ?কী বললেন?আপনাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবো?শুনুন,আপনাকে আমি আর যাই করিনা কেন এই সম্মান দিয়ে কথা আর বলতে পারবনা!বুঝেছেন?

আদনানের তমার কথাটা শুনে কেমন যেন লাগল।তাই সে তমাকে দেওয়ালের সাথে আটকে একটা হাত দিয়ে তমার কোমড়ের পিছনের দিকে ধরে বলল,

আদনান-কেনো?আমাকে আর সম্মান করবিনা কেন?

আদনানের এইভাবে ধরাতে তমার খুব অস্বস্তি লাগতে লাগছে।

তমা-আপপনিই,

আদনান ওর মুখটা তমার একদম কাছে এনে বলল,

আদনান-কী আপনি?

তমার এবার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্হা হলো।একে তো বেচারি একদম চিকন,তার উপরে আদনান একদম তার উপরে উঠে যাচ্ছে বলতে গেলে!

তমা-আপনি আমার উপর থেকে সরেন,প্লিজ!আমার দম আটকায় আসতেসে!

আদনান-আসুক দম আটকায়।এমনিতেও তেও তুই আমাকে বিয়ে করবিনা।সো তোর বেঁচে থাকারই দরকার নেই।তোকে না পেলে আমি মরে যাবো,কিন্তু মরে গিয়েও যে তোকে অন্য আরেকজনের সাথে সহ্য করতে পারবোনা!

তমা-এই আপন….

তমার কথা কানে না নিয়ে আদনান বলতেই থাকল,

আদনান-তাই তোকে নিয়েই নাহয় মরি।আর যাই হোক,আমার তমুকে আরেকজন তার বাচ্চার মা বানাবে সেটা তো এক্সেপটেবেল হবেনা।তুই হইলে আমার বাচ্চার মা-ই হবি।

তমার আদনানের কথা শুনে খুব লজ্জ্বা লাগলো।

তমা-মানে এই ছেলে কী?মুখে কী কিছুই আটকায় না নাকি?ছি:(মনে মনে)

আদনানের-কীরে?এরকম আপেলের মতন লাল হয়ে যাচ্ছিস কেন?আমি ভুল কিছু বলিনি কিন্তু।যা বলেছি

আদনানকে থামিয়ে দিয়ে তমা বলল,

তমা-আপনার বাচ্চার মা তো দিনা আপু হবে।আমি কেন?

আদনান এবার তমাকে ছেড়ে দিলো।

তমা-কী হলো?এখন একদম চুপ করে গেলেন কেনো?হুহ!সরেন প্লিজ!

তমা সরে যেতে নিলে হঠাৎ আদনান বলে উঠল,

আদনান-কালকে যা দেখছিস সব ভুল দেখেছিস!

তমা-হুহ!নিজের চোখে যা দেখেছি সব ভুল?আর আপনি যা বলছেন তা একদন কারেক্ট?এটা আমি বিশ্বাস করবো?কেন?

আদনান-কারণ,কাল তুই যা দেখেছিস তা সম্পূর্ণ ভুল দেখেছিস।তোর জানা দরকার যে কালকে আসলে কী হয়েছিল!

তমা-আমার জানার দরকার নেই!আমি যা দেখেছি একদম ঠিক দেখেছি।

আদনান-ভেবে বলছিস তো?এরপরে আবার না সত্যিটা জানার পর তোর নিজের পস্তাতে হয়!ভেবে দেখ!

তমা-আমি ঠিকই বলছি।যা বলার ভেবেই বলছি!আর শুনুন,ভাব্বেন না যে আপনার সাথে কথা বলেছি এর মানে এই যে আমি আপনাকে বিয়ে করছি!আমি আগেও বলেছি,এখনও বলছি যে আমি বিয়ে করবোনা আপনাকে।

এই বলে তমা ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।

অন্যদিকে,,,

৫০ দিব,চলবে?

কী কইতাসেন কী?এতো কমে কী পুষবো নাকি?

না পুষলে পুষিয়ে নিবে!দেখো,খুবই সিম্পেল একটা কাজ।বুঝলে?আর আমি কে জানো তো?সো,বেশি যদি আর্গিউমেন্ট করো,তাহলে তোমার অবস্হা খারাপ করতে আমার কিন্তু…

নাহ,নাহ আফা।কী যে কন!৫০ তো তাও বেশি হইয়া যাইতাসে!এইডা দিয়েই চলবো!

হুম!

এদিকে,,,,

আসবো?

তমা-আরেহ,মামিমণি!এসো,এসো!আমার ঘরে ঢোকার জন্য আবার পারমিশন নিতে হবে নাকি?

আফসানা হাসিব ঘরে ঢুকে তমা মাথায় হাত দিয়ে বললেন,

আফসানা হাসিব-তমা,তোকে আমি জোর করবোনা।তবে কিছু সত্যি তোকে বলতে চাই!

তমা কী বলবে বুঝতে পারলনা।তাই চুপ করে রইল!

আফসানা হাসিব-দেখ মা,কাল তুই যা দেখেছিস তা সত্যিই ভুল দেখেছিস।আমি আদির মম দেখে তোকে বলছিনা,তুই আসলেও ভুল দেখেছিস।কাল আদি(সবকিছু বলল)

সবকিছু শুনে তো তমা টাস্কি খেলো।অজান্তেই তমার চোখ দিয়ে পানি পরে গেল!

তমা-এখন আমি কী করবো?আমি তো উনার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করেছি।কী করে সেটা মুছবো উনার মন থেকে?কী করে?(মনে মনে বলল)

আফসানা হাসিব-তোকে আমার যা বলার ছিল,আমি বলে দিয়েছি।এখন দেখ মা তুই কী করবি!তবে আমার ছেলেটার কথাও একটু ভাবিস রে মা!ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে!জানিনা তোকে না পেলে কী করবে আমার ছেলেটা!

এই বলে আফসানা হাসিব চলে গেলেন সেখান থেকে!

আর তমা রোবটের মতো বসে রইল!

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here