“ফেমাস_বর🙈 পার্ট_৭

#ফেমাস_বর🙈
#পার্ট_৭
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা
রাতে সবাই খাবার টেবিলে খাবার জন্য বসেছে।তমা ও আদনানও সেখানে রয়েছে।আদনান একটা চেয়ার টেনে সেখানে বসে পড়ল।আদনানকে চেয়ার টেনে বসে পড়তে দেখে দিনাও আদনানের পাশের চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ল আর বলল,
দিনা-আমি জান্টুসের পাশে বসবো।(তমাকে শোনানোর জন্য বলল,কিন্তু তমা দিনার খোঁচা দেওয়াকে বুঝতেই পারল না)

আদনানও কম না!সে দিনার পাশ থেকে উঠে গিয়ে তমার পাশে গিয়ে বসে পরল।কিন্তু আদনানের পাশে আরেকটা চেয়ার খালি আছে দেখে দিনা যেই না সেটায় বসতে নিবে সাথে সাথে আবরার(আদনানের ছোট ভাই)সেটায় বসে পড়ল।

আবরার-সরি মিস ওয়েস্টার্ন,থুরি মিস দিনা।হাউসফুল!(দিনাকে রাগানোর জন্য চোখ মেরে বলল)

দিনা রাগে ফুসফুস করতে করতে নিজের জায়গাতেই বসে পরল।

(দিনাকে মিস ওয়েস্টার্ন বলার কারণ হচ্ছে,দিনা ওয়েস্টার্ন ছাড়া কিছুই পড়েনা।নিজের বাসায়ও টপস এন্ড জিন্স পরে থাকে)

এদিকে সবার খাওয়া শেষ হলে যে যার মতো ঘরে চলে গেল।শুধু তমা একবার ঘরে গিয়ে সেখান থেকে নিজের ফোন এবং ইয়ারফোন নিয়ে গার্ডেনে চলে গেল।

তমাদের গার্ডেনে একটা দোলনা আছে।তমা দোলনায় বসে চুল খুলে দিয়ে কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিলো।ফোনে গান চলছে,
Kyun itno mein tujhko hi
Chunti hoon har pal,
Kyun tere hi khwab ab
Bunti hoon har pal!

Kyun itno mein tujhko hi
Chunti hoon har pal,
Tere hi khwaab ab
Bunti hoon har pal!

Tune mujhe jeene ka hunar diya
Khamoshi se sehne ka sabar diya,
Tu hi bharosa zindagi ka
Tu hai mera hosla.

Mujhe jeena sikha diya!
Marna sikha diya!
Teri wafaaon ne insan bana diya……

Jeena sikha diya,
Marna sikha diya,
Teri wafaaon ne insan bana diya!(আমার খুবই ফেভারিট একটা গান)

এদিকে আদনান সিগারেট খাওয়ার জন্য গার্ডেনে আসছিল।কিন্তু এসে দেখলো কে যেন দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে।আদনান একটু কাছে এসে দেখলো যে তার তমু দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে।বাতাসে তমার খোলা চুল উড়ছে।প্রকৃতি বোধহয় তমা এবং আদনানের জন্যই এই পরিবেশটা তৈরি করেছে।

তমাকে এই অবস্হায় দেখে আদনানের অবস্থা”পড়েছি প্রেমে প্রথম দেখায়”এমন।

আদনানের পক্ষে তমাকে এভাবে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেক কষ্টদায়ক।তাই সে তমার কাছে গিয়ে ওর কান থেকে এক টান দিয়ে ইয়ারফোন খুলে ফেলল।

তমা-এটা কী হলো,আদনান ভাই?আপনি কেন আমার কান থেকে ইয়ারফোন খুলে নিলেন?

আদনান-আমার ইচ্ছা হইসে তাই।আর তমু তোকে এই চুল খোলা অবস্থায় দেখে একদম পাগলের মতো লাগছিল।আর শোন,এইরকম রাত-বিরাতে তুই যদি চুল খুলে এভাবে গার্ডেনে বসে থাকিস তাহলে শিউর তোকে পেত্নি ধরবে!তখন পেত্নি তাড়াতে ওঝা কোথায় পাবো,বলতো?এই ঢাকা শহরে ওঝার সন্ধান তো আমার জানা নেই।(তমাকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলল)

তমা-আদনান ভাইয়াাাাাাাা!(রেগে গিয়ে বলল)

আদনান তমার রাগ দেখে হাসতে হাসতে শেষ।কোনোমতে হাসি থামিয়ে বলল,
আদনান-এই তমু,”কেনো হঠাৎ তুমি এলে”এই গানটা ছাড় তো।
তমা রাগ নিয়েই গানটা ছাড়ল।গান চলছে,
বড়ো অবেলায় পেলাম তোমায়
কেনো এখনি যাবে হারিয়ে?
কি করে বল রবো একেলা?
ফিরে দেখো আছি দাড়িয়ে
দাড়িয়ে…
কেনো হঠাৎ তুমি এলে?
কেনো নয় তবে পুরোটা জুড়ে?
আজ পেয়েও হারানো যায়না মানা
বাঁচার মানেটা রয়ে যাবে দূরে।

গান চলছে আর গানের সাথে সাথে তমার খোলা চুল উড়ছে।আদনানের এই মূহুর্তে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে।এতো সুন্দর একটা মূহুর্তে তমাকে একা পেয়ে আদনানের খুবই ভালো লাগছে।

এক মনে তমার দিকে তাকিয়ে আছে আদনান!ইশ,এতো সুন্দর কেন রে তুই তমু?এতো সুন্দর কেন?

হঠাৎ গান বন্ধ হয়ে গেল।মানে শেষ হয়ে গেল আরকি।

আদনান এখনো তমার দিকেই তাকিয়ে আছে।আদনানের এই নেশাভরা চাহনি দেখে তমা আদনানের সামনে চুটকি বাজালো।
তমা-এই যে ভাইয়া,কোন দুনিয়ায় ডুব দিলেন?

তমার কথায় আদনানের হুস আসলো।

আদনান-অনেক রাত হয়ে গেছে।যা গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।

তমা-ওকে।

তমা এই বলে চলে যেতে নিলে আদনান তমার হাত ধরে ফেলল।

তমা-কী?কিছু লাগবে?

আদনান-লাগবে তো তোকেই রে তমু।কিন্তু সেটা তো এখন সম্ভব নয়।তবে একদিন না একদিন তা সম্ভব হবেই।আর সেদিন তোকে নিজের করে নিতে আমার আর কোনো বাঁধা থাকবেনা।(মনে মনে)
হুম,না কিছু লাগবেনা!গুড নাইট!(সরাসরি বলল)

তমা-গুড নাইট।

এই বলে তমা নিজের রুমে চলে আসলো!আর আদনানও কিছুক্ষন সেখানে থেকে নিজের রুমে চলে এলো।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here