বিষাক্ত প্রেম পর্ব ১০+১১

পর্ব ১০+১১
#বিষাক্ত প্রেম ২

Urme prema (sajiana monir)

পার্ট: ১০

(জানি পার্টটা ছোট হয়েছে কাল বিকালে আরেকটা পার্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো )

সেহের ঘুমে আচ্ছন্ন বাহিরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমে তলিয়ে গেছে তার নিজেরও জানা নেই ।
হঠাৎ গাড়ি থামতেই সেহেরের ঘুম ভাঙ্গে চারদিকে তাকিয়ে দেখে চারদিকে অন্ধকার নেমে গেছে ।
আরহাম সেহেরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে

-“আমরা পৌছিয়ে গেছি !”

সেহের এবার ও উত্তরে মাথা নাড়ায় আরহাম গাড়ি থেকে নেমে সেহেরের সামনের দরজা খুলে দেয় ।সেহের গাড়ি থেকে নামতেই দেখে গাড়ি এক বড় ধবধবে সাদা বাড়ির সামনে দাড়িয়েছে ।অন্ধকারেও বাড়ির সাদা রংটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ।সেহের অবাক হয়ে বড় বড় চোখে আরহামের দিকে তাকায় ।আরহাম ভ্রু নাচিয়ে জিগাসা করে “কি হয়েছে “ সেহের আগের মত অবাক চোখে তাকিয়ে জিগাসা করে

-“এটা আপনাদের ফার্ম হাউজ ?”

আরহাম স্বাভাবীক ভাবে উত্তর দেয়

-“হ্যা , কিন্তু কেন ?”

-“এত বড় বাড়ি আপনাদের ফার্ম হাউজ ?
তাহলে তো আপনারা এখানে থাকলেই পারেন ।এত বড় বাড়ি রেখে শুধু শুধু কেন সেখানে থাকেন ।”

আরহাম মুচকি হেসে উত্তর দেয়
-“হুম এখানে সিফ্ট হতে পারি কিন্তু সেখানে যে আমার প্রিয়জন আছে যাকে আমি একমূহুর্তের জন্য নিজের চোখের আড়াল যে তাকে করতে পারিনা ।যে আমার প্রত্যেকটা নিশ্বাসের জন্য প্রয়োজন ।”

সেহের আরহামের মুখে এমন উত্তর শুনে মুখচোখ কালো করে ফেলে হয়তো তার প্রিয়জনের কথাটা ভালো লাগেনি কিছুটা রেগেও যায় ।বেশ চেচিঁয়ে বলে

-“তো এখন কি এখানেই সারারাত দাড়িয়ে থাকবো ?”

আরহাম তার রাগের কারন বুঝতে পেরে মুখ চেপে হেসে বলল

-“উফ সরি ,ভিতরে চলো !”

সেহের বড় বড় পা ফেলে সামনের দিকে হাটা শুরু করে দেয় ।আরহাম মুচকি হেসে পিছন পিছন যায় ।

বেল বাজাতেই একজন বয়স্ক লোক খুলে দেয় ।আরহাম সেহের ভিতরে প্রবেশ করে পিছন পিছন বৃদ্ধ লোকটিও ।
আরহামকে দেখে মুচকি হেসে বলে

-“আরহাম বাবা তোমারই আসার অপেক্ষা করছিলাম !”

আরহাম হেসে বলল
-“কেমন আছেন চাচা ?”

-“এই তো বাবা ভালো !
তুমি কেমন আছো ?”

-“ভালো চাচা !”

লোকটি চশমা খুলে তার ফ্রেমটি ভালো করে পরিষ্কার করে তা পরে সেহেরের দিকে তাকিয়ে কাপাঁ কাপাঁ আঙ্গুল দেখিয়ে আরহাম কে জিগাসা করে

-“উনি কি আমাদের সেহের মা ?”

আরহাম বৃদ্ধ লোকটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মাথা হ্যা বোধক নাড়ায় ।লোকটি ছলছল চোখে সেহেরের দিকে তাকিয়ে কাপাঁ কাপাঁ কন্ঠে বলে

-“বাহ্ কত বড় হয়ে গেছে আমার মা টা ।
পাচঁ বছর আগে এতটুকু দেখেছি এখন কত বড় হয়ে গেছে মা আমার !
সেহেরের দিকে তাকিয়ে আবার বলল
-“মা তুমি কেমন আছো ?”

সেহেরের যেন সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সে হেবলার মত তাকিয়ে আছে ।লোকটি প্রশ্ন করতেই সে নিজেকে সামলিয়ে উত্তর দেয়

-“জ্বি চাচা ভালো আছি “

আরহাম পরিস্থীতি সামলানোর জন্য বলে উঠে

-“তো চাচা রাতের খাবারের জন্য কি আছে ?”

লোকটি চিন্তিত হয়ে আরহামের চেহারার দিকে তাকিয়ে বলে

-“বাবা তুমি ফোনে খাবারের কথা কিছু বলোনি তাই আমি ভেবেছি তুমি হয়তো খাওয়া দাওয়া করে আসবে ।
তাই কোন আয়জন করিনি !
তুমি চিন্তা করোনা আমি এখনি কিছু বানিয়ে দিচ্ছি ।”

-“না না চাচা আপনার এখন আর কিছু করতে হবেনা ।আপনি বরং বাড়িতে যান রাত হয়ে আসছে চাচী ও একা ।আমি ডিনারের জন্য কিছু বানিয়ে নিবো ।”

লোকটি বেশ জোর করে কিন্তু আরহাম বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ।লোকটি যেতেই আরহাম দরজা লক করে সেহেরের দিকে এগিয়ে আসে ,সেহের এখনো অবাক চোখে আরহামের দিকে তাকিয়ে আছে ।আরহাম তার এমন অবাক চাহনি দেখে তাকে প্রশ্ন করে

-“এভাবে তাকিয়ে আছ কেন ?”

-“মানে আপনি রান্না করতে পারেন ?”

-“হুম পারি যখন ভার্সিটিতে ছিলাম তখন ট্যুরে যেতাম আর সেখান থেকেই শিখা ।
কিছুটা পারি আরকি ”

আরহাম কথা বলতে বলতে কিচেনে চলে যায় তার পিছনে সেহের ও যায় ।আরহাম ফ্রিজ চেক করে দেখে তেমন কিছু ফ্রিজে নেই কিছু সবজি আর ডিম ছাড়া ।পাশেই সেল্ফ চেক করে দেখে সেখানে দু পেকেট নুডুলস আর থাই স্যুপের পেকেট রয়েছে ।
আরহাম সেহেরের দিকে তাকিয়ে বলল

-“স্যুপ আর ভেজিটেবল নুডুলস চলবে ?”

সেহের চট করে হেসে উত্তর দেয়

-“দৌড়াবে !
কিন্তু আপনি সবটা পারবেন তো ?
আমি কিছু হেল্প করি ?”

আরহাম সেহেরের কথা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পরে ।সেহের গোল গোল ছোট রাগি দৃষ্টিতে আরহামের দিকে তাকিয়ে থাকে ।আরহাম নিজের হাসি আটকিয়ে সেহেরকে উদ্দেশ্য করে বলে

-“কিচেন কেমন হয় তা ও কি তোমার জানা আছে ?
আমি জানি তুমি কুকিং পারোনা ।”

সেহের আরহামের কথায় কিছুটা লজ্জাবোধ করে আবার কিছুটা রেগে যায় ।আরহাম আবার বলল

-“তোমার কিছু করতে হবে না
তুমি বরং উপরে যেয়ে ফ্রেশ হও আমি খাবার রেডি করে নিয়ে আসছি ।”

সেহের মাথা হ্যা বোধক নাড়িয়ে উপরে চলে যায় ।আরহাম রান্না শুরু করে দেয় ।

পার্ট: ১১

সেহের উপরে আসতেই দেখে সব রুমের দরজা বন্ধ শুধু একটা রুমের দরজা খুলা ধীর পায়ে সেদিকে এগিয়ে যায় ।রুমের ভিতর প্রবেশ করতেই তার চোখ বড় বড় হয়ে যায় রুমটা বেশ বড় আর বিলাশবহুল ।দেখেই মনে হচ্ছে যিনি রুমটা সাজিয়েছো তিনি বেশ শৌখিন রুমের প্রত্যেকটা জিনিস খুব এক্সক্লুসিভ ।
রুমের প্রত্যেকটা জিনিস পরিপাটি করে সাজানো ।হঠাৎ সেহেরের চোখ বেডের সামনে পর্দার দিকে যায় ।অনেক বড় বড় পর্দা দিকে কিছু একটা ঢাকা ।সেহের সেদিকে যেয়ে পর্দা সরিয়ে দিতেই দেখে বড় কাচের দেয়াল বাহিরের বাগানের দিকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ।রাতের অন্ধকারে বাহারি রঙের লাইটের আলোতে বাগানের সৌন্দর্যটা বেশ ফুটে উঠেছে সেহেরের বেশ ভালো লাগছে এই দৃশ্যটা ।সে মনমুগ্ধকর দৃষ্টিতে সে দিকে তাকিয়ে আছে ।
কিছু সময় এভাবে অতিবাহীত হবার পর হঠাৎই তার কানে কারো কথা বেসে আসে পিছনে ফিরে দেখে আরহাম খাবারের ট্রে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
সেহের বিষ্ময়কর চোখে তাকিয়ে বললো

-“এতো তারাতারি রান্না শেষ ?”

আরহাম খাবারের ট্রেটা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে উত্তর দেয়

-“হুম শেষ , তুমি এখনো কেন ফ্রেশ হওনি ?”

-“আসলে বাড়িটা এত সুন্দর করে সাজানো যে সবটা ঘুরে দেখতে দেখতে ভুলে গেছি যে আমাকে ফ্রেশ হতে হবে ।”

আরহাম সেহের কথায় এক চিলতে হেসে বললো

-“ডিনার শেষে না হয় বাকিটা ঘুরে দেখ । এখন আগে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে নেও ।”

সেহের মুচকি হেসে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায় ।আরহাম খাবার প্লেটে সার্ভ করে সবটা রেডি করে রাখে ।

সেহের ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বেশ চমকিয়ে যায় কারন ঘরের লাইট অফ টেবিলের উপর বোমবাতি আর খাবার সুন্দর ভাবে সাজানো পাশেই আরহাম সবসময়ের মত পাগল করা সেই হাসি দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
সেহের মুচকি হেসে বললো

-“ইলেকট্রিসিটি থাকার পরও কেন্ডেল ?”

আরহাম আগের মত মুচকি হেসে উত্তর দেয়

-“ভাবলাম একটা সুযোগ পেয়েছি সুযোগটা কাজে লাগাই মোমেন্টটাকে একটু স্পেশাল বানাই ।
তাই কেন্ডেল লাইট ডিনার প্লান করলাম !
পছন্দ হয়েছে ?”

সেহের চেয়ারে বসতে বসতে উত্তর দেয়

-“খুব বেশি পছন্দ হয়েছে ।”

আরহাম ও সামনের চেয়ারে বসে ।সেহেরের দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে মোমবাতির আগুনের লালচে আলোতে সেহেরের সুন্দর্য যেন শতগুন বেড়ে গেছে ।মায়াবী মুখ খানায় যেন আরো মায়া বেড়ে গেছে চোখজোড়া চকচক করছে ।সামনের ছোট চুলগুলো বার বার কপাল ছুয়ে দিচ্ছে ‌অসম্ভব সুন্দর লাগছে যা আরহামকে দিশেহারা করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট !
তার চোখে সেহের দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী নারী ।
এতোটা কেন ভালো লাগে তার ? এতটা কেন পাগল সে সেহেরের প্রতি ?
যার উত্তর এত বছরে ও সে খুজেঁ পায়নি তাই আজ তা খুজাঁর বৃথা চেষ্টা সে করবেনা শুধু প্রাণ ভরে নিজের সেহেরকে দেখে যাবে ।নিজের মনের তৃষনা মিটাবে সে ।সে সেহেরের এই রূপের মৌহতে ডুবে থাকতে চায় ।

সেহের খাহার মুখে দিতেই আরহাম তাকে জিগাসা করে

-“খাবার কেমন হয়েছে ?”

সেহের মুখে খাবার পুরে তা শেষ করতে করতে আনমনে উত্তর দেয়

-“উমমম জাস্ট ইয়ামমমমম !
আপনি সত্যি খুব ভালো রান্না করেন ,আপনার বউ খুব লাকি হবে !”

-“তো তুমি আমার বউ হয়ে যাও !”

সেহের আরহামের কথায় থমকিয়ে যায় তাকিয়ে দেখে আরহাম তার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
সেহের আরহামের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে উত্তর দেয়

-“আমি আপনার বউ হলে আপনার প্রিয়তমার কি হবে ?
যে এক মুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল হলে আপনার নিশ্বাস নেওয়া কষ্টের হয়ে যায় তাকে সারাজীবনের জন্য আড়াল করে কি করে বাচঁবেন ?”

আরহাম সেই আগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে সেহেরের দিকে ঝুকেঁ বাকাঁ হেসে উত্তর দেয়

-“তোমাকে পেলেই হবে আর অন্য কারো প্রয়োজন নেই
তোমার জন্য সব হারিয়ে নিশ্ব হতেও রাজি ।”

সেহের আরহামের কথায় কিছু সময় তার দিকে তাকিয়ে থাকে ।খুব করে ইচ্ছে করছে কথাগুলো বিশ্বাস করতে কিন্তু সে তা করতে পারবেনা কারন সে জানে আরহাম তার সাথে ফ্লাট করছে মজা করছে ।সত্যি তো এটাই আরহাম নিজের প্রিয়তমাকে খুব বেশি ভালোবাসে ।আরহামের চোখে তার প্রিয়তমার জন্য অজস্র ভালোবাসা সেহের দেখেছে ।তাই কিছু সময়ের জন্য এই কথা গুলো বিশ্বাস করে সে সারাজীবন কষ্ট পেতে চায় না ।
তাই আরহামের কথাগুলো ইগনোর করে সে খাওয়ায় মন দেয় কোন মতে খাবার শেষ করে সেখান থেকে তারাতারি করে উঠে যায় ।আরহামের এই গভীর চাহনি সে খুব বেশি সময় সয্য করতে পারবেনা ।তাই সেখান থেকে সরে যাওয়াই শ্রেয় !

সেহের ছাদের কোন ঘেসে দাড়িয়ে আছে শীতল হাওয়া বইছে ।শীতল হাওয়া বার বার তাকে ছুয়ে যাচ্ছে ।কিন্তু সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই আকাশের দিকে তাকিয়ে কোন এক গভীর ভাবনায় সে ডুবে আছে ।
অনেক প্রশ্ন জাগছে মনে ,মনকে শান্ত করার চেষ্টা করছে সে ।পাশে থাকা মানুষটার উপস্থিতি সে টের পাচ্ছেনা ।বেশ কিছুক্ষন হয়েছে আরহাম তার পাশে দাড়িয়ে আছে তার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই ।
আরহাম মুচকি হেসে তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো

-“আকাশের তারা গুনছো ?”

হঠাৎ কারো আওয়াজে সেহের বেশ চমকিয়ে কেপেঁ উঠে পাশে তাকিয়ে দেখে আরহাম তার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে ।তার ভয় পাওয়াটা আরহাম বেশ ইনজয় করছে ।সেহের কয়েক সেকেন্ড রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আবার সামনের দিকে ফিরে ।আরহাম এবার সেহেরের গা ঘেসে দাড়ায় ।সেহের ছোট ছোট চোখে আরহামের দিকে তাকিয়ে চেচিঁয়ে বললো

-“কি হয়েছে ? এমন গাঁ ঘেসে দাড়িয়েছেন কেন ?”

-“কই গাঁ ঘেসে দাড়ালাম ? তুমিই তো আমার কাছে আসলে !”

সেহের এবার আরো বেশি রেগে যায় ।সে রেগে আরহাম থেকে সরে আসতে নেয় ঠি ক সেই সময়ই আরহাম তার কোমড় চেপে ধরে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় ।দুজন খুব বেশি কাছাকাছি ।আরহামের গভীর চাহনী সেহেরের দিকে ।সেহের এই চাহনিকে উপেক্ষা করতে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ।আরহাম তা দেখে মুচকি হেসে ধীর আওয়াজে বলে

-“আমার জন্য তোমার মনে অনুভূতি নেই ?
আমি তোমার আশে পাশে থাকলে তোমার কোন কিছু অনুভব হয়না ?”

সেহের অন্যদিকে তাকিয়ে কঠোর গলায় উত্তর দেয়

-“না নেই !”

আরহাম সেহেরের মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে গভীর ভাবে তার চোখে তাকিয়ে বলে

-“সেহের জেদ করোনা
আমি জানি আমার কাছে আসা তোমার ভালো লাগে ।
আমি দেখেছি যতবার আমি তোমার কাছে আসি ততবার তুমি তোমার চোখজোড়া আবেশে বন্ধ করে ফেল ।
তোমার অনুভূতিগুলো লুকানোর বৃথা চেষ্টা করো !”

সেহের আবেশে চোখ বন্ধ করে আরহামের প্রত্যেকটা কথা সে অনুভব করছে ঘনঘন নিশ্বাস নিচ্ছে ।আরহাম সেহেরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে

-“এখনো তুমি চোখ বন্ধ করে অনুভব করছো আমাকে !আর বলছো আমার জন্য তোমার মনে কোন অনুভূতি নেই ?”

সেহের আরহামের কথায় চোখ খুলে তার দিকে গভীর ভাবে তাকিয়ে আছে ।আরহামের চাহনিতে অদ্ভুদ এক মৌহ আছে যা সেহের উপেক্ষা করতে পারছেনা ডুবে যাচ্ছে তার চোখের এই নেশায় ।আচ্ছা কিছু সময় এই ভাবে তাকিয়ে থাকলে এই সময়টাকে অনুভব করলে খুব বেশি অন্যায় হয়ে যাবে ?
যদি এভাবে আরহামের দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে কি খুব বেশি অপরাধ হবে তার ?
যদি অপরাধই হয় তাহলে এই অপরাধের যেকোন শাস্তি সে মাথা পেতে গ্রহন করবে তবুও এই সময়টা সে অনুভব করতে চায় ।

চলবে……❤️

প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here