বিষাক্ত প্রেম পর্ব ২

#বিষাক্ত প্রেম ২

Urme prema (sajiana monir)

পার্ট:২

সেই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে এখন পুরোপুরি সুস্থ ।প্রথম প্রথম সেই ঘটনার কথা মনে করে ভয় পেলেও আস্তে আস্তে এখন বেশ স্বাভাবীক হয়ে গেছে সবটা ।বাড়িতে আব্বু আম্মুকে এই নিয়ে কিছু জিগাসা করলে তারা প্রতিবারের মতই আমার কথা গুলো ইগনোর করতো এই নিয়ে মনে হাজার প্রশ্ন উঠলেও আস্তে আস্তে নিজেকে শান্তনা দিতে লাগি আর সবটা পুরোপুরি নিজের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করি কিন্তু সেই দিনের সেই সাইকো কে ভুলা ছিলো আমার পক্ষে অসম্ভব তার প্রত্যেকটা কাজের কথা মনে পড়লে মাঝে মাঝে আমার কলিজা নাড়া দিয়ে উঠে ।
আব্বুকে অনেক কষ্টে ভার্সিটিতে এডমিশনের জন্য রাজি করাই প্রথমে আব্বু এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে একদমই নারাজ ছিলো কিন্তু আব্বুকে ‌অনেক বোঝানোর পর আব্বু রাজি হয়ে যায় কিন্তু শর্ত একটাই আমাকে রুশা আপুর ভার্সিটিতেই ভর্তি হতে হবে আর আপুকেও বেশ কড়া করে বলে দেওয়া হয়েছে যেন সবসময় আমার পাশে থাকে আমার খেয়াল রাখে ।

আজ আমার ভার্সিটির প্রথম দিন আমি খুব এক্সসাইডেট আমি ।তাই খুব ভোরেই ঘুম ভেঙ্গে যাই রুমের পর্দা সড়াতেই শরীরে ভারের মিষ্টি রোদের সোনালি আলো আমার গাঁ ছুয়েঁ দেয় ঠোঁটের কনে বেখেয়ালীতেই হাসি ফুটে উঠে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাই ।বারান্ধায় দাড়াতেই সকালের শীতল হাওয়া ছুঁয়ে যায় একাএকাই চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে যায় । এই শীতল হাওয়া আমার শরীরের সাথে সাথে মন টাও সতেজ করে দেয় ।ধীরে ধীরে চোখ জোড়া খুলে সামনে তাকাতেই চোখ চলে যায় বাড়ির সামনে দাড়ানো বড় কালো গাড়ির দিকে ।চোখজোড়া ছোট ছোট করে ভালো করে তাকাতেই দেখি গাড়ির কাচ নামানো ভিতরে কেউ কালো পোশাকে বসে আছে মুখে মাস্ক পড়া তার দৃষ্টি আমার জানালার দিকে মূহুর্তেই আমার আত্না কেপেঁ উঠে ।
বার বার মন থেকে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে এটা সেই লোকটা না তো যে আমাকে কিডন্যপ করেছিলো ভয়ে হাত-পা কাপাকাপি শুরু হয়ে যায় ।
।হঠাই এমন সময় ফোনের শব্দ কানে ভেসে আসে কাপাঁকাপাঁ হাত ফোন সামনে আনতেই দেখি কেউ আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ পাঠিয়েছে ।
মেসেজে ছিলো -“গুড মর্নিং মোস্ট বিউটিফুল লেডি ।
গুড লাক ফর ইউর নিউ লাইফ !
ডোন্ট ওয়ারি আই উইল অলওয়েজ উইথ ইউ এজ ইউর শ্যাডো !
লাভ ইউ মাই বিউটিফুল !”
মেসেজটা দেখেই আমার হাত থেকে ফোন নিচে পড়ে যায় ।আমি কাপঁতে কাপঁতে তারাতারি করে কোন মতে নিজের রুমে চলে যাই রুমের দরজা জানালা সব কিছু অফ করে দেই ,জানালার পর্দা টেনে দেই ।জানালার কাচের ভিতর থেকে পর্দা একটু ফাকঁ করে দেখতে লাগি গাড়ি চলে গিয়েছে কি না ?
বেশ কিছুসময় গাড়ির ভিতরের সেই মাস্ক পড়া লোকটি আমার বারান্ধার দিকে তাকিয়ে থাকে ।আমার কোন সাড়া না পেয়ে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করে গাড়ি স্টার্ড করে চলে যায় ।
লোকটি যেতেই আমি বেশ বড় নিশ্বাস নেই ।এতটা সময় যেন আমার শ্বাস আটকিয়ে ছিলো ।আমার বুক এখনো জোরে জোরে ধকধক করছে ।
জানিনা আমার কি অতীত ছিলো হয়তো এই লোক আমার অতীতের কোন অধ্যায় সাথে জড়িত যা আমার স্মৃতি থেকে সারাজীবনের জন্য মুছে গিয়েছে জানিনা তার উদ্দেশ্য কি কেনই বা আমার পিছনে পড়ে আছে ।
সে যেই হোক না কেন আমি তাকে ঘৃনা করি !
শুধুই ঘৃনা ।কোন দিন সে আমার জীবনের সাথে জড়াতে পারবেনা ।যতবার সে আমার কাছে আসবে ততবারই আমার থেকে তাচ্ছিল্য আর ঘৃনা পাবে ।

তারাতারি করে রেডি হয়ে নিচে চলে যাই ।নিচে যেতেই দেখি ডাইনিং টেবিলে বাবা বসে চা খাচ্ছে চোখ গুলো পেপারের দিকে বেশ মন দিয়ে পেপার পড়ছে ।আমি মুচকি হেসে বাবার পাশে বসতেই বাবা পেপার রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে
-“শুভ সকাল আম্মি ।”
-“শুভ সকাল বাবা “
-“ক্লাস কয়টায় শুরু হবে ?”
-“বাবা ১১:৩০ টায় ক্লাস শুরু হবে ।জানো বাবা আমি খুব এক্সাইডেড আজ আমার ভার্সিটিতে প্রথম দিন ।‌অচেনা পরিবেশ অচেনা মানুষ না খুব নার্ভাস ফিল করছি ।
-“চিন্তার কোন কারন নেই আম্মি তোমার সাথে রুশা ,নিলাদ্রি আর আফিয়া সবসময় থাকবে ।”
বাবা কথায় মুচকি হেসে সম্মতি জানাই ।
বাবা আবার বললো
-“মনে আছে তো আজ সন্ধ্যায় বাড়িতে পার্টি অনেক ইমপর্টেন্ট গেস্ট আসবে তারাতারি বাড়িতে চলে এসো !
আর হ্যা কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আমাকে ফোন করবে ”
-“আচ্ছা বাবা আমি তারাতারি চলে আসবো তুমি টেনশন করোনা ।”
বাবার চেহারায় স্পস্ট চিন্তার ছাপ ফুটে রয়েছে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে যায় ।বাবার এই চিন্তার কারন আমি নই তো ?
আমার দেশে ফিরে আসা নিয়ে এতটা চিন্তিত নয় তো এমন হাজারো প্রশ্ন মনে ঘুর পাক খাচ্ছে ।
ঠি ক এমন সময়ই কেউ বলে উঠে
-“গুড মর্নিং ।কেমন আছ সেহের ?”
আমি আর বাবা পিছনে তাকিয়ে দেখি রুশা দি এসেছে ।রুশা দি কে দেখেই বেশ খুশি লাগছে রুশাদি একদম ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে এসেছে ।রুশা দি আমার পাশে এসে বসতেই এমন সময় নিলাদ্রি আর আফিয়া আসে চারজন একসাথে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ি ভার্সিটির উদ্দেশ্য ।
ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামতেই কেমন জানো এক অনুভূতি কাজ করছে বেশ ভীত লাগছে ।তাই বড় বড় করে শ্বাস ছেড়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম ।তারপর গাড়ি থেকে নেমে পরি ।
ভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি সবাই যার যার মত ব্যস্থ ।কিছুটা ভিতরে যেতেই হঠাৎ একটা মেয়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে একদমে বলতে শুরু করে
-“সেহেররররর ওহহ মাই গড !
আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা তুই আমার সামনে সত্যি কি তুই আমার সামনে নাকি কোন স্বপ্ন দেখছি ?
পুরো পাচঁটা বছর পর আজ তোকে দেখছি সেদিন এর পর…..”
মেয়েটি আর কিছু বলতে নিবে তার আগেই পিছন থেকে রুশা আপু গলা ঝেড়ে বলল
-“কনক আগে নিজের পরিচয়টা তো দে
তুই তো জানিস সেহের সবটা ভুলে গেছে ।ও তোকে চিনতে পারছে না তাই কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে !”
কনক নিজে নিজের মাথায় হালকা হাত দিয়ে আঘাত করে বলে
-“আসলে রুশাদি সেহেরকে দেখে এক্সাইডমেন্টে সবটা ভুলে গেছি ।”
কনক আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে
-“বায় দ্য ওয়ে !
আমি তোর বেস্টি কনক ছোট থেকে এক সাথে দুজন বড় হয়েছি । জানি তুই সবটা ভুলে গিয়েছিস বাট নো প্রবলেম আমি আছি তো আমি সবটা মনে করিয়ে দিবো আফটার অল বেস্টি বলে কথা ।
জানিস তোকে খুবউউউ মিস করেছি !”
আমি খুশি হয়ে কনক কে জরিয়ে ধরে বলি
-“অকে মাই বেস্টি !
এবার আমি এসে গিয়েছি আবার সবটা আগের মত হয়ে যাবে ।”

ক্লাসে সবাই যার যার মত ব্যস্থ আমরা প্রবেশ করতেই সবাই কেমন যেন চুপ হয়ে গেল ।ক্লাসের সব ছেলেরা সাথে সাথে মাথা নিচু করে ফেলে ।২ টা মেয়ে সামনের সিট গুলো খালি করে দিয়ে পিছনে চলে যায় ।সবার এমন ব্যবহার আমাকে বেশ অবাক করে দেয় ।আমি পাশ ফিরে আফিয়া নিলাদ্রি আর কনকের দিকে তাকাই কিন্তু তাদের চেহারায় চিন্তার ভাজ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তারাও এসব কিছু জানে না !
তবে কি বাবা এসব করেছে ?
হঠাৎই কল্পনায় ছেদ পরে আফিয়ার ডাকে পাশ ফিরে ওর দিকে তাকাতেই আফিয়া ফিসফিস করে বলে
-“আমার তো মনে হচ্ছে বড় বাবা কিছু বলেছে তাই তো সব এমন অদ্ভুদ ব্যবহার করছে !”
পাশ থেকে নিলাদ্রি কাদোঁ কাদোঁ মুখ করে বলল
-“হায় কি কপাল !
ভেবেছিলাম ভার্সিটিতে এসে জমিয়ে প্রেম করবো কিন্তু বড় বাবা আমার সব ইচ্ছের উপর জল ঢেলে দিলো ।”
আফিয়া মুখ ভেংচি দিয়ে নিলাদ্রি কে উদ্দেশ্য করে বলে
-“জীবনে এত প্রেম করে কি শখ মিটেনি ?”
নিলাদ্রি তার নেকা কান্না থামিয়ে চেচিঁয়ে বলে
-“তা কি ভার্সিটি লাইফের মত প্রেম ছিলো নাকি ?
কত আশা করেছিলাম ভার্সিটি তে উঠে প্রেম করবো একসাথে ঘুরবো ফুসকা খাবো মাঠে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেমিকের সাথে আড্ডা দিবো কিন্তু তা আর হলো কোথায় বড় বাবা যা করেছে তাতে কোন ছেলে প্রেম তো দূরের কথা ভয়ে আমাদের দিকে তাকাবেনা পর্যন্ত ।”
আফিয়া দাতঁ বের করে হেসে বলে
-“একদম ঠি ক হয়েছে আমি খুব খুশি হয়েছি ।”
নিলাদ্রী পাশ থেকে দু হাত বাড়িয়ে চুল ধরার চেষ্টা চালাতে চালাতে বলে
-“দাড়া তোকে খুশি হওয়াচ্ছি বজ্জাত মেয়ে ।”
আফিয়া ও নিলাদ্রীকে বেশ খেপাচ্ছে দুজনের ঝগড়া দেখে আমি আর কনক হাসছি আর মজা নিচ্ছি ।
ক্লাস শেষ হতেই মাঠের উদ্দেশ্য চলে যাই রুশা আপু বলেছিলো ক্লাস শেষে মাঠে থাকবে ।

হঠাৎই দমকা হাওয়ায় কানে গিটারের আওয়াজ ভেসে আসে ।একটু পরই কারো কন্ঠে গান ভেসে আসে ।গানের প্রত্যেকটা কথা যেন আমাকে টানছিলো আমাকে কোন এক মায়া আকর্ষন করছে যেন আমি এই কন্ঠে এই গান আগে হাজার বার শুনেছি ।যেন আমার খুব কাছের কেউ আমাকে ডাকছে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না দ্রুত পায়ে সেই কন্ঠ অনুসরন করে সে দিকে ছুটে যাই ।আমার আসেপাশে কোন কিছুর কোন খেয়াল নেই নিজেকে ভুলে সব কিছু ভুলে ছুটে যাই সেই গানের পিছনে

তোমার জন্য নিলচে তারার একটুখানি আলো

ভোরের রঙ রাতে মিশে কালো

কাঠগোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি

আবছা নীল তোমার লাগে ভালো …..(২)

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বলে

মহুয়া বনে মাতাল হাওয়া খেলে

একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা

মনকে শুধু পাগল করে ফেলে

তোমায় ঘিরে এতগুলো রাত অধীর হয়ে জেগে থাকা

তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা

আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে

ভালোবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা (২)

গানের শব্দটা ভার্সিটির একদম পিছনের দালানের দো তলার রিয়ার্সেল রুম থেকে আসছে ।আমি দ্রুত পায়ে সিড়ি বেয়ে সেদিকে চলে যাই ।রুমে ডুকতেই দেখি অনেক মানুষ কাউকে ঘিরে ভিড় করে দাড়িয়ে আছে ।আমি ভিড় ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করি ।ভিতরে প্রবেশ করতেই আমার চোখ জোড়া আটকিয়ে যায় গিটার হাতে সুদর্শন ছেলেটির উপর শুধু পলকহীন ভাবে উনার দিকে তাকিয়ে আছি – লম্বা ৬ ফুট হবে পরনে সাদা পান্জাবী চুল গুলো স্টাইল করে কাটা , চোখ গুলোর মাঝে অদ্ভুদ এক মায়া আছে ,মুখে চাপ দাড়ি গায়ের রং ফরসা আর সব চেয়ে সুন্দর নিচের ঠোঁটের তিলটা আগে জানতাম মেয়েদের তিলে বেশি সুন্দর লাগে কিন্তু কোন ছেলেকে ঠোটেঁ তিলে যে এতটা মানাবে তা হয়তো উনাকে না দেখলে জানতাম না ।চেহারায় অদ্ভুদ মায়া রয়েছে ।জিবনের প্রথম কোন ছেলেকে এত নিক্ষুত ভাবে পর্যবেক্ষন করছি চাওয়ার পর ও চোখ ফিরাতে পারছিনা ।আর সবচেয়ে অদ্ভুদ হলো উনাকে দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে আগে কোথাও দেখেছি ! এই চোখ গুলো যেন আমার খুব চেনা ।কিন্তু কোথায় দেখেছি তা মনে করতে পারছিনা ।তাহলে কি সে আমার ‌অতীতের সাথে জড়িত ?
আমার কাছের কেউ সে ।কেন তাকে দেখে এমন মনে হচ্ছে যে তার সাথে আমার কোন গভীর সম্পর্ক রয়েছে ।
কেন তার গাওয়া গান তার কন্ঠ আমাকে এমন পাগল করে দিয়েছে যেন আমার কাছের কেউ যার সাথে আমার গভীর কোন সম্পর্ক রয়েছে যেন সে আমার অতীতের সাথে গভীর ভাবে জড়িত !
আমার অস্থিরতা বরাবরই বাড়ছে ছুটে আসার কারনে নিশ্বাস উঠা – নামা করছে ।কিন্তু এত কিছুর মাঝে ও তার থেকে আমার চোখ সরছে না ।আমি এক পা এক পা করে তার সামনে যেয়ে দাড়াই ।উনি চোখ খুলতেই তার চোখ জোড়া প্রথমেই আমার দিকে পরে ।তার সেই চাহনি ছিল নেশার চেয়েও বেশি নাশকীয় ।তার চোখের চাহনি ছিলো আসক্তি ভরা মাতাল করা ।
যা আমাকে তার দিকে আরো আকৃষ্ট করছিলো আমি ডুবে যাচ্ছিলাম তার চাহনিতে ।
আমি তাকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই রুশাদি ,নিলাদ্রি ,আফিয়া আর কনক চলে আসে ।রুশাদি আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলে
-“তুমি এখানে কি করছো ।
তারাতারি চল বাসায় যেতে হবে তো বড় মামা কতবার ফোন করেছে ।”
আমি লক্ষ করে দেখি নিলাদ্রি আফিয়া কনক রুশাদি সবার চোখে ভয় যেন আমি ‌অনেক বড় কোন অপরাধ করে ফেলেছি ।আমি রুশা দির কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে বলি
-“দি এক মিনিট আমার উনার সাথে কিছু জানার আছে ।”
বলেই আমি লোকটির কাছে চলে যাই লোকটির দৃষ্টি তখনো পুরোপুরি আমার দিকে সেই আগের মত করে তাকিয়ে আছে ।
ইচ্ছে তো করছে তার কাছে যেয়ে তাকে বলি
-“ কে আপনি ?
আপনাকে কি আমি চিনি কেন এমন মনে হচ্ছে যে আমি আপনাকে কোথাও দেখেছি ?
কেন মনে হচ্ছে আপনি আমার খুব চেনা কেউ ।”
কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই বলতে পারলাম না চোখ দিয়ে কেন জানো এমনি এমনি পানি ঝড়ছে কেমন যেন একটা অনুভূতি কাজ করছে আমার আমি কিছু বলতে নিবো তার আগেই তিনি আমার সামনে মুচকি হেসে বলল
-“রিলেক্স !
হুরের চোখে জল বেমানান ।”
বলেই আমার হাতে রুমাল এগিয়ে দেয় ।আমি ও যেন কোন ঘোরের মাঝে আছি অজান্তেই রুমালটা নিয়ে নেই ।আমি আনমনেই তাকে প্রশ্ন করে বসি
-“আমি কি আপনাকে চিনি ?”
উনি জবাবে মুচকি হেসে বলে
-“হয়তো আমি তোমার কাছের কেউ !
তোমার সব প্রশ্নের উত্তর তুমি খুব তারাতারি পাবে ।”
বলেই সেখান থেকে চলে যায় তার পিছু পিছু তার বডি গার্ড ও চলে যায় ।
আমি শুধু তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকি ।
কনক আমার কাছে এসে বলে
-“তুই কাদঁছিস কেন ?”
-“আমি কাদঁচ্ছিনা কেন জানো চোখ থেকে পানি ঝড়ছে কেমন জানো অনুভূতি কাজ করছে ।
আচ্ছা উনি কে ?”
কনক আদো আদো ভাবে বলতে লাগে
-“উনি আরহাম খান ।এই শহরের নাম করা রাজনিতীবিদ বয়সের কম হলেও রাজনিতীতে বেশ পাক্কা ।এই শহরে তার পরিবারের বেশ নাম ডাক রয়েছে ।এমপি সাহেবের ছেলে ।
অনেক মেয়ে তার জন্য পাগল কিন্তু উনি ?
কারো প্রেমে ‌অন্ধ নিজের সবটা উজার করে তাকে ভালোবাসে ।
বলতে গেলে আমার তো চাইল্ডহুড ক্রাশ ।”
আমি হালকা আওয়াজে প্রশ্ন করি
-“কে সেই মেয়ে যাকে তিনি এতটা ভালোবাসে ?”
আফিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগে রুশা দি বলে
-“হয়েছে তোরা কি সব কথা এখানেই শেষ করবি ?
ঐদিকে কত কাজ পরে আছে ভুলে গেছিস সন্ধ্যায় যে বাড়িতে পার্টি ?
এখন তো আবার শপিং মলে যেতে হবে কত কাজ !”
আমি কপালে বারি দিয়ে বলি
-“ওহো একদম মাথা থেকে বের হয়ে গেছে তারাতারি চল দেরী হলে বাবা রাগ করবে আর মায়ের কাছে বকা শুনতে হবে !”
তারপর সবাই ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে পড়ি শপিং সেন্টারের এর উদ্দেশ্য ।
কিন্তু কেন জানো মনে হচ্ছিলো কেউ আমার পিছু নিচ্ছিলো শপিং সেন্টারে যতটা সময় ছিলাম মনে হয়েছিলো কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।

অন্যদিকে কেউ সেহেরের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হাতের ছুড়িটার দিকে তাকিয়ে রাগি কন্ঠ গর্জন করে বলতে লাগে
-“আজই তোমার জীবনের শেষ দিন সেহের ।
মরতে তো তোমাকে হবেই ।
আজকের পার্টিই হবে তোমার জীবনের শেষ পার্টি !”

(গল্প নাম যেহেতু বিষাক্ত প্রেম নাম অনুযায়ী গল্পের থিম হবে অপেক্ষা করুন সকল রহস্য সামনে আসবে গল্পের পাগলামো ভালোবাসা এখনো শুরু হয়নি )

চলবে……❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here