মাইন্ডগার্ড,পর্ব:১

#MindGuard ~মনরক্ষী (১ম পর্ব)

“মামা, একটা চা”

মনমরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়া গাছের ছড়ানো ডালের নিচে নয়না টি স্টলের সামনের লম্বা ব্রেঞ্চটিতে বসে পড়লো অরিত্রা। আজ টি স্টলটা ফাঁকা, চারিদিকে কোলাহল নেই, রাস্তাঘাটে লোক নেই। ভরদুপুরের এই ব্যস্তসময়ে টিস্টলে বসে কেবল দোকানদার লোকটি নির্বিকার ভঙ্গিতে পান চিবুচ্ছে। পানের রস ঠোঁটের কোণা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে তার শার্ট ভিজে যাচ্ছে; অথচ তাতে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। চারপাশে জনসমাগম কম বলেই হয়তো অন্যান্যদিনের মতো আজ কৌতুহলী চোখে অরিত্রাকে দেখার লোকও তেমন নেই। অরিত্রার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকুক আর নাই থাকুক, রংপুরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর একমাত্র কন্যা শহরের নামিদামি রেস্তোরায় না গিয়ে শহরের এক কোণায় অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা ভাঙ্গা, ছোট্ট টি স্টলে বসে নির্বিকার ভঙ্গিতে চা খাচ্ছে-এ দৃশ্য কিছুটা অস্বাভাবিকই বটে।

ঘড়িতে এখন দুপুর একটা তেরো বাজছে। অরিত্রার কলেজ ছুটি হবে আড়াইটায়। অর্থাৎ সে চাইলে আরো দেড়ঘন্টা এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারবে। যদিও দুপুর বারোটা নাগাদ কলেজে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলো সে, কিন্তু গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে বলেছে তিস্তার দিকে যেতে। আজকের দিনটা কেমন যেনো মনমরা, এমন দিনগুলোতে ক্লাসে বসে কাটালে পাপ হবে; পড়ায় মন বসবেনা, বারবার জানালার বাইরের দুর আকাশের দিকে চোখ চলে যাবে।
তিস্তার দিকে যাওয়ার কথা শুনে কোনোরকম মুখভঙ্গি ছাড়াই মাসুদ বলে উঠলো, “ম্যাম, স্যার আপনাকে কলেজ ছাড়া অন্য কোথাও যেতে বারণ করেছেন।”

মাসুদ অরিত্রার বডিগার্ড, শুদ্ধ বাঙলায় যাকে বলে “দেহরক্ষী”। অরিত্রা কলেজে উঠার পর অরিত্রার বাবা, মোতাহার আহমেদ “মাসুদ” নামের এই লোককে ধরে নিয়ে এসে বললেন,

“আজ থেকে মাসুদ তোমার বডিগার্ড। সবসময় সে তোমার সাথে থাকবে। তোমার কোনো আপত্তি আছে?”
“না আপত্তি নেই!”
“তোমার আপত্তি থাকলেও, তুমি যখন যেখানে যাবে, সে তোমাকে ফলো করবে। তোমার নিরাপত্তার বিষয়টা তো আমাকেই ভাবতে হবে!”

অরিত্রা ঘুমঘুম চোখে হাই তুলে বললো, “আচ্ছা বাবা, উনি কি সবসময় থাকবে? মানে আমার ঘরেও আমার সাথে থাকবে? তারপর ধরো, যখন ওয়াসরুমে যাবো, সেখানেও কি যাবে? নাকি বাইরে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিবে?” মোতাহার আহমেদ কিছুটা থতমত খেলেন!

অরিত্রা বললো, “বাবা, আমার আরো একজনকে লাগবে।”
“আরো একজন? দুজন বডিগার্ডের তো প্রয়োজন নেই মা!” ভ্রু কুঁচকে বললেন তিনি।

“না, বডিগার্ড তো একজন আছেই। আমার একজন মাইন্ডগার্ড লাগবে, বাবা। মাইন্ডগার্ড মানে বুঝছো? “মনরক্ষী”….. মনের নিরাপত্তারও তো প্রয়োজন আছে, তাইনা?”
মোতাহার আহমেদ অবাক চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। মা-মরা মেয়েটার কি সবসময় একা থাকতে থাকতে কোনো মানসিক সমস্যা হচ্ছে?

মাসুদ কঠিন ধরণের মানুষ। অরিত্রার ধারণা সৃষ্টিকর্তা এই লোকটাকে কাঠিন্য মেশানো কোনো মাটি দিয়ে গড়েছিলেন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, ধারালো কন্ঠস্বরের লোকটিকে দেখলে যে কেউ তার কথামতো চলবে। কিন্তু একমাত্র অরিত্রার সামনে মাসুদের কাঠিন্যের মাঝে সরলতা ফুটে ওঠে। কাঠিন্য আর সরলতার এ বিক্রিয়া শেষে কাঠিন্য বাষ্প হয়ে উড়ে যায়, অবশিষ্ট থাকে সরলতা।

“ম্যাম, আপনি তিস্তা যেতে চাইলে আমাকে আগে স্যার এর কাছে অনুমতি নিতে হবে।”

অরিত্রা ভ্রু কুঁচকে রাগাণ্বিত দৃষ্টিতে মাসুদের দিকে তাকালো। চোখে চোখ পরতেই মাসুদ চোখ সরিয়ে নিয়ে ড্রাইভারকে বললো,
“কি? শুনতে পাওনি ম্যাম কি বললো? তিস্তার দিকে চলো।”
অরিত্রা হেসে ফেললো। মাসুদ লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে রইলো।

বাইরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। অরিত্রা গাড়ির কাচ নামিয়ে দিলো। অধিকাংশ মেয়েরা ঝুম বৃষ্টি পছন্দ করে। মুষলধারার বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে হৃদয়াঙ্গম করতে ভালোবাসে।অরিত্রা একটু অন্যরকম। তার ধারণা ঝুম বৃষ্টি অকস্মাৎ সব ভিজিয়ে দিয়ে যায়। অথচ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির প্রতিটি ফোটাকে যেনো আলাদা আলাদাভাবে অনুভব করা যায়; প্রতি ফোঁটায় ভিন্নরকমের গল্প থাকে, ভিন্ন অনুভূতি থাকে।

মহীপুর ঘাটের কাছাকাছি এসে অরিত্রা গাড়ি থামাতে বললো। গাড়ি থেকে নেমে মাসুদকে বললো, “আপনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যান। ঠিক দেড়টার দিকে এসে এখানে দাঁড়াবেন।”
মাসুদ গাড়ি থেকে ছাতাটা এনে অরিত্রার দিকে বাড়িয়ে দিলো। অরিত্রা ছাতাটা নেওয়ার কোনোরকম আগ্রহ প্রকাশ করলোনা। বরং বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এগিয়ে গিয়ে বসলো নয়না টি স্টলে।

অরিত্রার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা অগণিত; ওই যে বলেনা, দেখতে সুন্দর মেয়েদের বন্ধুবান্ধবের অভাব হয়না। বাড়ির বাইরে বেশিরভাগ সময় তাদের কারো না কারো সাথেই কাটায় সে।
কিন্তু কিছু কিছু মুহূর্ত মানুষের সম্পূর্ণ নিজস্ব হয়, এসময় অন্য কারো উপস্থিতি বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। আজ এইসময়টা তেমনই অরিত্রার কাছে, এসময়তা সম্পূর্ণ তার একার!

অরিত্রার চা খাওয়া হয়ে গিয়েছে; দেড়টাও প্রায় পার হতে চললো। সে ঠিক করেছে দেড়টায় যাবেনা, দুটোর দিকে যাবে। গিয়ে দেখবে মাসুদ অপেক্ষা করছে, নাকি তার স্যারকে কল করে খুঁজাখুঁজি শুরু করে দিয়েছে; পুলিশে ফোন করেও হুলুস্থুল কান্ড ঘটাতে পারে। কিংবা মাইকিং করতে পারে, “একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি… কলেজপড়ুয়া এক যুবতী হারিয়ে গিয়েছে। যুবতীর পড়নে লাল কামিজ, কোঁকড়ানো চুল, গায়ের রঙ দুধে আলতা ফর্সা……..”

বৃষ্টি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এখন আর টি স্টল এর সামনে বৃষ্টির ধারা ছাড়া স্পষ্টভাবে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। টি স্টলের টিনের ছাউনিতে বৃষ্টির শব্দ চারপাশের সব আওয়াজকে ছাপিয়ে উঠেছে। কিছু সময়ের জন্য যেন কানে বৃষ্টির আওয়াজ ঢুকে তালাবদ্ধ হয়ে গেছে, সে শব্দের কোনো স্থবিরতা নেই, কোনো ক্লান্তি নেই, অবসাদ নেই। অরিত্রা চোখ বন্ধ করে বসে আছে। হঠাৎ ব্রেঞ্চের অপর প্রান্তে কারো উপস্থিতি টের পেলো, যেনো কেউ এসে পাশেই বসলো। অরিত্রা কানের তালা ভেঙ্গে ফেললো। চোখ খুলে তাকাতে ইচ্ছে হলোনা। চোখ বন্ধ করেই অনুমান করার চেষ্টা করলো, পাশে কি অচেনা কেউ এসে বসলো? মাসুদও তো হতে পারে; হয়তো তাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছে।

“মামা, চা হবে? কড়া করে এককাপ দুধ চা। যা বৃষ্টি শুরু হলো!”

নাহ! এটা তো মাসুদের কন্ঠস্বর না। অরিত্রা চোখ মেললো। ব্রেঞ্চের অপর প্রান্তে হালকা নীল শার্ট, ব্ল্যাক জিন্স পরা মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা চেহারার একটা ছেলে ভিজে একাকার হয়ে বসে তার মোটা ফ্রেমের চশমাটা ভেজা রুমাল দিয়ে মুছার চেষ্টা করছে। অরিত্রা কিঞ্চিত বিরক্ত হলো। উটকো একটা লোকের জন্য তাকে কষ্ট করে কানের তালা ভাঙ্গতে হলো, কল্পনায় বাঁধা পড়লো। অরিত্রা ঠিক করলো এখান থেকে যাওয়ার আগে ছেলেটার কিছু একটা ক্ষতি করে দিয়ে যাবে। যেমন, ছেলেটাকে চা দিয়ে গেলে নিজে হোচট খাওয়ার ভঙ্গিতে তার শার্টে চা ফেলে দেওয়া যেতে পারে কিংবা চশমাটা ফেলে দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা যেতে পারে। এমনভাবে করতে হবে যাতে ছেলেটি বুঝতে না পারে যে সে ইচ্ছে করেই কাজটি করেছে। অবশ্য বুঝলেই বা কি! তার সাথে তো আর দেখা হচ্ছেনা।
.
অরিত্রা যখন এসব ভাবছে, তখন হঠাৎ ছেলেটার নিজের হাত ফসকে তার চশমাটা নিচে পরে গেল। মেঘ না চাইতেই যেনো বৃষ্টি। ছেলেটা মাটিতে হাঁটু ভাঁজ করে বসে হাতরাতে লাগলো; কিন্তু চশমাটা কোথায় পড়েছে তা আঁচ করতে পারলোনা। অরিত্রা এই সুযোগে চশমাটা নিয়ে চায়ের দাম মিটিয়ে সেখান থেকে নির্বিকার ভঙ্গিতে বেড়িয়ে এলো। গাড়ি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো, ঠিক সেখানেই আছে। অরিত্রা গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে সোজা বাড়ির দিকে যেতে বললো। অরিত্রার এখন ছেলেটার জন্য কেমন একটা মায়া করতে লাগলো। বেচারা বাড়ি ফিরবে কিভাবে ভেবে একটু ভয় ভয়ও হলো।

অরিত্রা বাড়িতে ঢুকে শুনলো ছোট খালা বেড়াতে এসেছেন। অরিত্রাকে দেখেই ছোটখালার প্রথম প্রশ্ন ছিলো,
“কিরে তোর যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। আমাকে কিছু জানালি না পর্যন্ত! আমি কি এতই পর হয়ে গেছি তোদের?”

“আমার বিয়ে! এ গুজব তুমি কোথায় শুনলে খালামণি?” হাসতে হাসতে বললো অরিত্রা।

“কোনো গুজবটুজব না। কাল রাতেই দুলাভাই আমাকে কল করে বললো, তোর জন্য নাকি তিনি ছেলে দেখেছেন। আগামীকাল তোকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। আজ আপা নেই বলে, তোর জন্য ছেলে খোঁজার অধিকারটাও দিলোনা তোর বাবা।” বলেই শাড়ির আঁচলে চোখ মুছলো খালামণি।

অরিত্রা বললো, “আরে খালামণি, ছেলে দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছেনা। এরপরেরবার তুমি খুঁজে খুঁজে ছেলে আনিও। এখন নাকিকান্না কাঁদিওনা আর!”

“তোর বাবা বলেছে এই ছেলের সাথেই তোর বিয়ে দেবে। তোর পছন্দ না হলেও দেবে। আর তোকে কোন ছেলে পছন্দ করবেনা বলতো?”

অরিত্রা হাসলো। মনে মনে কিছুটা বিরক্তও হলো। একদিকে খালামণির নাকিকান্না; অপরদিকে বাবা হঠাৎ তাকে না জানিয়ে তার জন্য পাত্র ডেকেছে।

পরেরদিন সকাল থেকে বাড়িতে হইচই পড়ে গেলো। পাত্রপক্ষকে কতভাবে সমাদর করা যায়, তা নিয়ে বিশাল আয়োজন হচ্ছে।
আর এদিকে অরিত্রার নিজেকে বলির পশু মনে হচ্ছে। বলির আগে ছাগলকে যেভাবে যত্ন নিয়ে সাজানো হয়, খালামণি তাকে ঠিক সেভাবেই সাজাচ্ছেন।

“খালামণি, এতো সাজার কি আছে, বলোতো? উফফ… বিরক্ত লাগছে আমার!”

“আরে মেয়ে, বরকে ইমপ্রেস করতে হবেনা?”

“বর! বিয়েই তো হয়নি এখনো। আর ইমপ্রেস করে কি হবে? বাসরঘরে গেলে এমনিতেই আসল রূপ বের হবে।”

“ছি…ছি..ছি.. আমি তোর গুরুজন না? আমার সামনে এসব কি বলিস?”

“ঠিকই তো বললাম!”

“তুই কি দেখতে খারাপ নাকি? না সাজলেও তোকে ঠিক পরীদের রাজকন্যার মতো লাগবে।”

“তাই? তাহলে আমাকে দুটো পাখা কিনে দাও, উড়ে যাই। তাতে যদি অন্তত বিয়ে না করে পালাতে পারি। এভাবে বলির পাঠা হয়ে লোকজনের সামনে বসার ইচ্ছে নেই আমার, খালামণি!”

“এই! কি বলিস তুই! বিয়ে করবিনা মানে? এসব অলক্ষুণে কথা খবরদার মুখে আনবিনা অরু!”

অরিত্রা কিছু বলার আগেই কলিংবেলের আওয়াজ শোনা গেলো। খালামণি নিজেই ছুটে নিচে চলে গেলো ছেলেপক্ষ এলো কিনা দেখতে। আর এদিকে অরিত্রা ভাবতে থাকলো কিভাবে এ ছেলেকে বিদেয় করা যায়। প্রতিটা মেয়েরই একটা বয়সের পর বিয়ে নিয়ে নানারকম স্বপ্ন থাকে; অরিত্রার নেই। মা চলে যাওয়ার পর, বাবা পুরো একা হয়ে গিয়েছিলেন। এখন সেও যদি চলে যায়, তাহলে, বাবা পুরোপুরি নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে। বাবাকে একা এ বাড়িতে রেখে সে স্বার্থপরের মতো কিভাবে অন্যের সংসার সাজাতে চলে যাবে ভাবতেই বিয়ের স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে যায় তার!

“অরিত্রা…. চল…চল… তোকে ডাকছে নিচে..” খালামণি চিৎকার করতে করতে ঘরে ঢুকলো।

” ভালো করে মাথায় কাপড়টা দিয়ে নে।”

“কেনো? ঘোমটা দিবো কেনো?” আমি কি নতুন বউ নাকি?”

“বউ হবি তো কিছুদিন পর। এখন কথা কম বল। নিচে চল।”

অরিত্রা বিরক্ত হয়ে শাড়ির আঁচল মাথায় দিয়ে নিচে নামলো।

ড্রইংরুমে অরিত্রার বাবা, খালামণি, একজন পাকাচুলের বয়স্ক ভদ্রলোক, একজন মহিলা আর ষোল-সতের বছরের একটা মেয়ে বসে আছে।
ঘরের একপাশে মাসুদ মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। অরিত্রা তার বাবার একপাশে মাথা নিচু করে গিয়ে বসলো। ঘরের সবগুলো মানুষকে নিরীক্ষণ করে অরিত্রার চোখদুটো কপালে উঠে গিয়েছে। এখামে পুড়ুষমানুষ বলতে কেবল সেই বুড়োলোক, তার বাবা আর মাসুদ! তাহলে ছেলে কে? এই বুড়োটা তার বর হবে নাকি? কি সর্বনাশ! বাবার কি শেষে মাথা খারাপ হলো! একমাত্র মেয়েকে এক বুড়োর হাতে তুলে দেবেন!
অরিত্রা চোখের কোণা দিয়ে আঁড়চোখে মাসুদের দিকে একবার তাকিয়ে থমকে গেলো!
মাসুদ কি হতে পারে? মোতাহার আহমেদ মাসুদকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। স্নেহের খাতিরে মেয়েকে তার হাতেই তুলে দেয়ার ইচ্ছাপোষণ করতেও পারেন!

চলবে….

© জান্নাতুল মীম (নবনীতা)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here