মেঘবিলাসী পর্ব ৭+৮

#মেঘবিলাসী
#israt_jahan_arina
#Part_7

তিন্নির সকালের ঘুম ভাঙলো মোবাইলের রিংটোনের শব্দে। রাতে অনেক লেট করে ঘুমিয়েছে। মোবাইলের স্ক্রিনে নামটা দেখে তিন্নির ঘুম নিমিষেই উরে গেলো।রাতুল ভাই কল করেছে। তিন্নি কলটা রিসিভ করলো।
-আসসালামুআলাইকুম রাতুল ভাই।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম। কিরে তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস? সামনে না তোর পরীক্ষা?
-রাতে ঘুমাতে একটু লেট হয়েছিলো তাই সকালে উঠতে পারিনি।
-রাতভর প্রেম করলে সকালে উঠবি কি করে বল? জামাইয়ের সাথে প্রেম পরেও করতে পারবি। এখন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দে।
তিন্নির এবার খুব রাগ হচ্ছে। রাতুল ভাই সব সময় তার সাথে এভাবে কথা বলে। তবে আজকের কথাগুলো শুনে তার গা জ্বালা করছে।
-কি আর করবো রাতুল ভাই। আপনার আব্বাই তো আমার জন্য প্রেমিক পুরুষ খুঁজে নিয়ে এসেছে। এর জন্যই রাতদিন প্রেম করে বেড়াচ্ছি।
-কর বেশি করে কর। তোর জামাই তো ACP. বেশি কিছু বলতেও পারবোনা। তাহলে আবার কেস খেয়ে যাব।
-আমার জামাইর কাছে কিন্তু টুয়েন্টি ফোর আওয়ারস রিভলবার থাকে। শুনেছি বেস্ট শুটার এর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
-আমাকে ভয় দেখাস তুই?
-না, আমি তো জাস্ট এমনি বললাম।
-আমাদের বাসায় ঘুরতেছে আরেক পড়া চোর। তুইতো ভালো করবি, কিন্তু এই রাইমা নির্ঘাত ফেল করবে এবার পরীক্ষায়।
-মোটেও না, রাইমা অনেক ভাল রেজাল্ট করবে দেখে নিও।
-দেখা যাবে।

আরো কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা হলো। রাতুল ভাইয়াকে তিন্নির অনেক পছন্দ হলেও কোন বিশেষ কারণে সে তাকে বলতে পারেনি। হঠাৎ করেই তিন্নির সেই দিনের কথা মনে পড়ছে।
সেদিন কলেজ শেষ করে তিন্নি বাসায় আসলো। বাসায় ঢুকতেই তিন্নির মা বললেন”জানিস আজকে একটা বিশাল ঘটনা ঘটেছে।” সারাদিন ক্লাস আর কোচিং শেষে তিনি এখন ভীষণ ক্লান্ত। মায়ের এই ঘটনা শোনার ইচ্ছা তিন্নির নেই। তাই কাঁধের ব্যাগটা টেবিলে রাখতে রাখতে বলল বললো
-আমিতো মাত্র বাসায় আসলাম মামনি। আমি কিভাবে জানবো কি ঘটনা ঘটেছে।
-আরে রাতুল আজকে কোত্থেকে এক মেয়েকে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে এসেছে।
তিন্নি অবাক চোখে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। এরকম কিছু শোনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
সেদিনের পর থেকে রাতুলের প্রতি তার একটা চাপা অভিমান জমেছে।

জিসান টেবিলে বসে সকালের নাস্তা করছে। এই একাকিত্বের জীবনটা তার মোটেও পছন্দ না। সে না খেয়ে সারাদিন পড়ে থাকলেও জিজ্ঞেস করার মতো কেউ নেই। সূচনা প্রায়ই ওর খবর রাখে। তবুও খুব একা একা লাগে নিজেকে। তিন্নিকে খুব মিস করে সে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিন্নির চেহারাটা দেখতে ইচ্ছে হয় তার। প্রেমে পড়লে নাকি মানুষের বুদ্ধি বাড়ে। কিন্তু জিসানের তো বুদ্ধি শক্তি লোপ পাচ্ছে। তিন্নির মতো পিচ্চি এক মেয়ের কাছে বার বার জব্দ হচ্ছে সে। ভালোবাসার অনুভূতি গুলোকে এই প্রথম ফিল করছে সে। তিন্নিকে বারবার খুব দেখতে ইচ্ছে করে তার। কিন্তু তিন্নির পরীক্ষার কথা ভেবে ইচ্ছাটাকে দমিয়ে রেখেছে।

কিছুদিন পরে কথা
আজ থেকে তিন্নির পরীক্ষা শুরু। তিন্নির মা তার মেয়ের পিছনে ঘুরছে আর তাকে এ নাস্তা খাইয়ে দিচ্ছে।
-মামনি প্লিজ, আর খেতে পারব না।
-চুপচাপ সবগুলো খেয়ে নে। পরীক্ষায় লিখতে গেলে শক্তির প্রয়োজন হয়।
-প্লিজ আর না। আমাকে রেডি হতে হবে, লেট হয়ে যাচ্ছে।
-ঠিক আছে আর খেতে হবে না।
তিন্নি দ্রুত তৈরি হয়ে ড্রইং রুমে এসে কিছুটা অবাক হলো। জিসান সোফায় বসে আছে। তিন্নির চোখ কিছুক্ষণের জন্য জিসানের উপর আটকে গেল। জিসানের মুচকি হাসিতে তিন্নির ধ্যান ভাঙ্গলো।
-আপনি এখানে?
আনিসুর রহমান বললেন”জিসান তোকে এক্সাম হলে ড্রপ করতে এসেছে। তুই রেডি তো?
-পাপা আমিতো একাই চলে যেতে পারতাম।
এবার জিসান বললো”তোমার যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমি তোমাকে ড্রপ করে দিতে চাই।”

তিন্নি আর জিসান গাড়িতে বসে আছে। গাড়িটা মূলত জ্যামে আটকে আছে। তিন্নি আড়চোখে একবার জিসানের দিকে তাকালো। সে মনে মনে ভাবতে থাকলো “লোকটা কি আসলেই হ্যান্ডসাম, নাকি আমাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছে? এই লোকটার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। নিশ্চয়ই সব মেয়েকে এভাবে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে।”
জিসান ভাবছে “কি কপাল আমার? নিজের বউকে ও লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হয়।” চোখে চোখ পড়লেই তিন্নি খুব অকওয়ার্ড ফিল করে। “আচ্ছা মেয়েদের রূপের প্রশংসা কিভাবে করতে হয়? আমার যদি জানা থাকতো, তাহলে তিন্নির চোখের দিকে তাকিয়ে বিশাল কাব্য রচনা করতে পারতাম।”
তিন্নির এক্সাম হলের সামনে জিসান গাড়ি থামালো। দুজনেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো। জিসান বললো
-আমি জানি তুমি খুবই মেধাবী একজন ইস্টুডেন্ট। তুমি খুব ভালো রেজাল্ট কবে। সো রিলাক্স এ পরীক্ষা দিও। অল দ্যা বেস্ট।
-থ্যাঙ্ক ইউ। আমি আসি আল্লাহাফেজ।
-আচ্ছা ঠিক আছে।

আশেপাশে তাকিয়ে তিন্নির মেজাজ গরম হচ্ছে। অনেকেই তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু মেয়েতো জিসানের উপর থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না। তিন্নি ভাবছে”আমি ঠিক ধরে ছিলাম, এই লোকের চরিত্রে সমস্যা আছে। আমার কলেজে আসবে বলেই মনে হয় এত হ্যান্ডসাম সেজে আসছে। যাতে সব মেয়েদের অ্যাটেনশন পায়। অসভ্য লোক একটা।”মনে মনে জিসানকে গালি দিতে দিতে তিন্নি এক্সাম হলে ঢুকে গেলো।
তিন্নিকে দেখে নীলিমা এগিয়ে আসলো। “কিরে ভাইয়া তোকে ড্রপ করে দিয়ে গেলো?” মৌমিতা বলে উঠলো “তোর জামাইটা এত হ্যান্ডসাম না!! তোর যদি এটা দেবর থাকতো না ওটাকে আমি পটাইতাম।”
-ওই অসভ্য ACP কে তোর কাছে হ্যান্ডসাম লাগে?
-হ্যান্ডসাম মানে, আমি তো পুরাই ক্রাশ খেয়েছি তোর জামাইয়ের উপর। না চাইতেই পাইছিস তাই মূল্য বুঝিস না।
-চুপচাপ ক্লাসে চল পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
তারপর সবাই পরীক্ষা দিতে চলে গেলো।
-#মেঘবিলাসী
#israt_jahan_arina
#part_8

জিসান আজকাল একটা হাই প্রোফাইল কেস নিয়ে ব্যস্ত। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সে তিন্নির পরীক্ষার দিনগুলোতে তাকে তার কলেজের ড্রপ করে আসে। অল্প সময়ের জন্য হলেও তিন্নিকে দেখার লোভ সামলাতে পারেনা। তাই এই দিনগুলোতে সে ছুটে আসে।

এত ভাবনার মাঝেই জিসানের মোবাইল রিংটোন বেজে উঠলো। অনিক কল করেছে। অনিক হলো তার মামাতো ভাই।
দেড় বছর আগে একটা কেস ইনভেস্টিগেশন এর জন্য তাকে চিটাগাং যেতে হয়েছিল। অপ্রত্যাশিতভাবেই সেখানে অনিক এর সাথে তার দেখা হয়েছিল। কথায় কথায় সে জানতে পারল সে তার মামাতো ভাই। তখন অনিক তাকে তাদের বাসায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু জিসান না করে দিয়েছিলো। তার মামাদের প্রতি জিসানের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিলো। তাদের জন্য তার মা অনেক কষ্ট পেয়েছে। তাই সে আর মামার সাথে দেখা করতে যায়নি।

জিসানের কথা শুনে তার মামাতো বোন আদিতি তার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। মামা,নানা তাদের প্রতি ক্ষোভ থাকলেও তার ভাই বোনদের প্রতি জিসানের কোন ক্ষোভ ছিল না। সে তাদের দুই ভাই বোনের সাথে খুব ভালোভাবে মিশেছিলো।
-হ্যালো অনিক কেমন আছিস?
-এইতো ভালো তুই কেমন আছিস।
-ভালো। অদিতির কি খবর?
-বেচারী তোর বিয়ের খবর শুনে একটু মন খারাপ করেছে। আবার তোর বিয়েতে আসতে পারেনি তাই মন খারাপ।
-সমস্যা নেই ।আমার রিসেপশনের আগে আমি তোদের বাবার সাথে কথা বলে অদিতিকে নিয়ে আসবো।
-আচ্ছা অদিতি আমার পাশেই আছে, ওর সাথে কথা বল।
কিছুক্ষণ পর অদিতি বলে উঠলো
-হ্যালো জিসান ভাইয়া কেমন আছো?
-এইতো ভালো। তোর নাকি মন খারাপ?
-না তেমন কিছু না।
-শোন মন খারাপ করিস না। বিয়েটা এত দ্রুত হলো, তার ওপর তোর পরীক্ষা ছিলো। তানাহলে আমি অনিককে বলতাম তোকে সাথে করে নিয়ে আসতে।
-তোমার বউ নাকি অনেক সুন্দরী।
জিসান এবার হেসে উঠলো “সুন্দরী কিনা জানিনা তবে অনেক মায়াবতী।”
জিসানের কথা শুনে অদিতির অনেক রাগ লাগছে। সে জিসানকে প্রথম দেখেই পছন্দ করে ফেলেছিলো। হঠাৎ জিসানের বিয়ের খবরটা সে ঠিক হজম করে উঠতে পারেনি। আর অনিকের কাছে তিন্নির বর্ণনা শুনে তার গা জ্বলে যাচ্ছিলো।

তিন্নির পরীক্ষা শেষ হয়েছে আজ দুদিন হলো। পরীক্ষার চাপে পড়ে গেছে একদম শুকিয়ে গেছে। সকালে বাবা মেয়ে বসেছে নাস্তা করতে।তিন্নির বাবা বললো “তিন্নি মা তুই এখন কিছুদিন রেস্ট নে।এই কয়েক দিনে অনেক শুকিয়ে গেছিস।কিছুদিন ঘোরাফেরা কর। তাছাড়া বিয়ের পর জিসানকে তেমন একটা সময় দিতে পারিস নি।”
-পাপা এখন রেস্ট নিলে কি চলবে? সামনে অ্যাডমিশন টেস্ট আছে। আমার মেডিকেলের জন্য প্রিপারেশন নিতে হবে।
তিন্নির মা এবার একটু রেগে বললো “তুই সব সময় একটু বেশি করিস তিন্নি। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মানে বুঝিস তুই? সামান্যতম অবহেলা যেকোনো সুন্দর সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।
তিন্নির এবার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। মামনি সব সময় কেন এই ACP কে ডিফেন্স করে?
জিসান আজ অফিস থেকে একটু জলদি বের হলো।তিন্নির বাবা আজ তাকে ডিনারে ইনভাইট করেছে। তাই সে জলদি বাসায় ব্যাক করলো।ভালোবাসার মানুষটির কাছে যাওয়ার পূর্বে নিজেকে একটু রেডি করে নিলো।তার বউ কি তাকে দেখবে?বউ তো সারাক্ষণ তাকে জব্দ করার পেছনে থাকে।কতো মেয়েরা তাকে দেখে ক্রাশ খায়।কতো মেয়েরা তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে।
অথচ সে যাকে ভালোবাসে,যাকে গভীরভাবে অনুভব করে,যাকে সে ইমপ্রেস করতে চায় সেই তাকে পাত্তা দিচ্ছে না।
বিথী আজকে অনেক খুশি। জিসানকে তার খুবই ভালো লাগে। সে আজ তিন্নির মায়ের সাথে রান্না নিয়ে ব্যস্ত। কাজ করতে করতে বীথি বললো
-খালাম্মা, চিংড়ি মাছটা আমি রান্দি? দুলাভাইয়ের মেল্লা পছন্দ হইবো।
-হ্যাঁ কর। তোর হাতে চিংড়িটা অনেক ভালো হয়।
-আইচ্ছা।
-শোন, তিন্নিকে বলতো আজ যেন একটা শাড়ি পড়ে।
-হ্ খালাম্মা, তিন্নি আফারে শাড়িতে এক্কেবারে ফরির লাহান লাগে।
-বিথী তোকে কতবার বলবো কথা ঠিকভাবে বলবি। ভাষাটা ঠিক কর।
-আচ্ছা খালাম্মা চেষ্টা করুম।
তিন্নি মোবাইলে তার বন্ধুদের সাথে গ্রুপ চ্যাট করছে। জিসান কে নিয়ে মামনি এত আদিখ্যেতা তার খুব বিরক্ত লাগে।
এমন সময় বিথী রুমে ঢুকলো।
-আফা আফনে অহনো বইয়া বইয়া মোবাইল টিপতাছেন।
-কি বলতে আসছিস চুপচাপ বলে বের হ।
-ওমা আফনে জানেননা আইজ দুলাভাই আইবো।
-তোদের দুলাভাই আসবে তো আমি কি করবো?
-খালাম্মা আফনেরে আইজ শাড়ি পরতে কইছে।
তিন্নি প্রচন্ড বিরক্ত হলো। আর বললো
-আশ্চর্য আমি শাড়ি কেন পড়বো?
– এত দিন পর দুলাভাই আইব,একটু সাজুগুজু করবেন না।জামাইরে হাতে রাহোনের লাইগা কতো কিছু করন লাগে। তার উপড়ে দুলাভাই যেই সুন্দর!! এক্কেবারে নায়কের লাহান।কত মাইয়া না জানি দুলাভাই এর উপরে নজর দেয়।
-তোর কি মনে হয় ওই ACP কে ইমপ্রেস করার জন্য আমি সং সেজে বসে থাকবো? তোর মন চাইলে তুই শাড়ি পড়ে বসে থাক। আমাকে বলতে আসবিনা।
-কি যে বলেন আফা, আফনে সং সাজবেন কে? আফনে তো এমনি সুন্দর।
-বিথী প্লিজ যাতো আমার সামনে থেকে।
তিন্নি ভাবছে”ওই লোকটার জন্য নাকি আমাকে শাড়ি পড়ে বসে থাকতে হবে। ইম্পসিবল!! সং সেজে ওই লোকটাকে আমার হাতের মুঠোয় রাখার কোনো ইচ্ছা নেই। হাজার হাজার মেয়ে ওই লোকের উপর নজর দিক আমার তাতে কি? মামনি আজকাল বেশি বেশি শুরু করেছে।”

রাত ৮ নাগাদ জিসান তিন্নিদের বাসায় পৌঁছলো। জিসান আজ সবার জন্য কিছু শপিং করেছে। তিন্নির বাবার জন্য পাঞ্জাবি আর ঘড়ি, তিন্নির মায়ের জন্য শাড়ি, আর তামিমের জন্য তার পছন্দের ভিডিও গেম। তামিম একবার বলেছিল এই ভিডিও গেমটির কথা। তিন্নির মা বললো
-এসব কেন আনতে গেলে বাবা?
-এতদিন তো আমার কেউ ছিল না যাদের জন্য শপিং করবো। এখন তো আমার একটা পরিবার হয়েছে। তাই এতদিন এই ইচ্ছাটা পূরণ ফেললাম।
তিন্নির মায়ের চোখ ভিজে উঠলো। আসলেই ছেলেটা অনেক একা। এতগুলো বছর একা একা কিভাবে কাটিয়েছি ছেলেটা। পরিবারের মাঝে থেকেও কত কত ছেলে মেয়ে মানুষ হতে পারে না। অথচ এই ছেলেটা পরিবারহীন একা একা বড় হয়েও মানুষের মত মানুষ হয়েছে। তিন্নির জন্য জিসানের চেয়ে বেটার কেউই হতে পারে না। মেয়েটাকে সঠিক হাতে তুলে দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে তার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here