মেঘের পালক চাঁদের নোলক পর্ব -১২

#মেঘের_পালক_চাঁদের_নোলক
#পর্ব_১২
#অধির_রায়

নিজেকে প্রমাণ করার বড় মাধ্যম হলো পরীক্ষা। পরীক্ষায় বলে দিতে পারে কে কতটা সেরা৷ জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে হলে পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই৷ আজ নিধির মেডিকেল এডমিশন পরীক্ষা৷ এডমিশন পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চার নাম্বার ভবনে৷ রাস্তায় অনেক জ্যাম৷ অতি কষ্টে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে। ভয়ে নিধির মুখটা চুপসে গেছে। জীবন যুদ্ধে হেরে যাবে না তো৷ আলোর প্রতীব কি এখনেই নেতিয়ে যাবে৷ শাওন নিধিকে অভয় বানী দিয়ে বলল,

“মেডিক্যাল চান্স পাওয়া না পাওয়া বড় বিষয় নয়৷ বড় বিষয় হলো তুমি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছো৷”

নিধি ভয়ে মুখ চুপসে আছে৷ আজ এক ঘন্টা সময় চার হাজার ছাত্র ছাত্রীর জীবনের উজ্জ্বল পথ দেখাবে৷ অনেকে ঝড়ে পড়বে৷ নিধি মুখে শুকনো হাসির রেখে টেনে বলল,

“আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব৷ আল্লাহ পাক চাইলে নিশ্চিয় আমার চান্স হবে৷ আগে নিজে থেকে আমায় চেষ্টা করতে হবে৷ আমি চেষ্টা করলেই তো আল্লাহ আমাকে সাহায্য করবে৷

নিধি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে৷ শাওনের মুখে চিন্তার ছাপ দৃঢ়মান৷ শাওনের চিন্তা এখন নিধিকে নিয়ে৷ নিধির চান্স ঢাকার বাহিরে হলে তাকে না দেখে থাকবে কীভাবে? নিজের মস্তিষ্ক মেনে নিতে পারছে না৷ নিজেকে পা/গল পা/গল লাগছে৷ তবুও নিধির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করছে৷ যেন পিচ্চি নিধির স্বপ্ন পূরণ হয়৷ ভালো মেডিক্যাল কলেজে চান্স হয়৷

এক ঘন্টার পর নিধি পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে আসে৷ মুখে ডিপ্রেশনে ছাপ দেখাচ্ছে। পরীক্ষা কেমন হয়েছে জানতে চাইল না শাওন৷ হাসিমুখে বলল,

“ভয়ের কিছু নেই৷ তোমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া৷ আল্লাহর উপর ভরসা রাখ৷ তোমার স্বপ্ন পূরণে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না৷”

নিধি টলমল দৃষ্টিতে শাওনের দিকে তাকায়৷ ভেবে পাচ্ছে না একটা মানুষ কতকিছু করছে৷ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না৷ কিছু হাসার চেষ্টা করে বলল,

“চলেন, ভালো লাগছে না কিছু ৷ ভীষণ খারাপ লাগছে৷ মনের মধ্যে ভয় এসে বাঁধা বেঁধেছে৷”

“ভয়ের কিছু নেই৷ নিজের উপর বিশ্বাস রাখ৷ আল্লাহ যা করবেন ভালোর জন্যই করবেন৷”

নিধি আর কোন কথা বলল না৷ গাড়ির দুয়ার খুলে গাড়িতে উঠে পড়ল৷ শাওন কিছু বলল না৷ শাওন গাড়িতে উঠতেই নিধি বলল,

“আপনার ফোনটা দেন। আমি প্রশ্নগুলো উত্তর মেলাব৷”

শাওন হাত বাড়িতে ফোন দিল৷ নিধিকে এখনও ফোন কিনে দেওয়া হয়নি৷ নিধিও কখনও মুখ ফুটিয়ে ফোন চাইনি৷ কথা বলার জন্য বাটন ফোন কিনে দেওয়া হয়েছে৷ নিধি গুগল ঘাটাঘাটি করে নিজের প্রশ্ন মেলাতে ব্যস্ত৷ রাস্তায় এত পরিমাণে জ্যাম বলা বাহুল্য। পরীক্ষা শেষ হওয়ায় সবাই যেন রাস্তায় নেমে পড়ছে৷ অনেকে মুক্ত পাখির মতো ডানা মেলে উঠছে৷ অনেকের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে৷ অনেকে ডিপ্রেশনে৷ চোখের সামনে যেন ভেঙে যাচ্ছে সবার স্বপ্ন। অভিভাবকের ক্লান্ত দেহ জানান দিচ্ছে অনেক কিছু।
_________________

পড়ন্ত দুপুরে আড্ডায় মেতে উঠেছে শায়লা ভিলা। শায়লা চৌধুরী, নিধি, মাধবী এক সাথে বসে আছে৷ মাধবী নিধির দিকে তাকিয়ে অভিমানী কন্ঠে বলল,

“নিধি তোমার উপর আমি রেগে আছি৷ তুমি গ্রামে ঘুরতে গেলে আমাকে নিয়ে যাওনি কেন?”

নিধি ক্ষীণ দৃষ্টিতে শায়লা চৌধুরীর দিকে তাকায়৷ কি বলবে বুঝতে পারছে না? শায়লা চৌধুরীর নিধির আগেই জবাব দিলেন,

“মাধবী মা আমার নিধি ঘুরতে গেলে আমিও সাথে যেতাম৷ নিধি গ্রামে গিয়েছিল তার মায়ের কবর মোনাজাত করতে৷ এক পলক মা নামক করবটা দেখতে গিয়েছিল৷ ভালোবাসার পরিপূর্ণ থাকে সেই জায়গা৷ আমরা বরং অন্যদিন ঘুরতে যাব৷”

মাধবীর মাধার উপর দিকে গেল কথাগুলো৷ না বুঝেই মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিল৷ শায়লা চৌধুরী প্রসঙ্গ পাল্টে বলল,

“আমরা একদিন সবাই মিলে সোনারগাঁও ঘুরতে যাব৷ অনকদিন হলো কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয়না৷”

মাধবী খুশিতে মেতে উঠে৷ উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বলল,

“আমরা কবে ঘুরতে যাচ্ছি? কখন ঘুরতে যাব? আমার দেরি সইছে না৷”

নিধি নিরব দর্শকের মতো শ্বাশুড়ি বউমার কান্ড দেখে যাচ্ছে৷ মাধবী বাচ্চাদের মতো এখনও বাচ্চামি করে৷ শায়লা চৌধুরী গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

“আমরা কি এখনই যাচ্ছি? তোমায় দেখে মনে হচ্ছে এখনই যাচ্ছি৷ আমরা সবাই মিলে যাব৷ আমরা ছোট খাটো ফ্যামিলি ট্যুরে যাব৷ শাওন, মুগ্ধকে তো সময় দিতে হবে৷
__________________

সকাল থেকে বিষন্নতায় সময় পার কাছে নিধি৷ আজ তার মেডিক্যাল এডমিশন পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে৷ সকাল থেকে মুখে কিছু তুলছে না৷ শায়লা চৌধুরী জোর করে নিধিকে অল্প পরিমাণ খারাপ খাইয়ে দিলেন৷ খাবার গলা দিয়ে খাবার না নামলেও জোর করে খেয়েছে৷ চোখ দু’টো লাল বর্ণ ধারণ করেছে৷ চিন্তায় যেন সারা রাত ঘুম হয়নি৷ সকাল দশটা থেকে অপেক্ষা করছে৷ কিন্তু রেজাল্ট বের হওয়ার নাম গন্ধ নেই৷ টিভিতে নিউজ দেখতে ব্যস্ত৷ কখন রেজাল্ট প্রকাশ করবে৷ মন বসছে না কিছুতেই৷ নিধির মুখের দিকে সকলেই তাকিয়ে আছে৷ শায়লা চৌধুরী নিধিকে কাছে ডাকে৷ নিধি শায়লা চৌধুরীর কাছে এসে বসে৷ শায়লা চৌধুরী নিধিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলল,

” সামান্য একটা রেজাল্ট নিয়ে এভাবে চিন্তা করতে হবে না৷ আল্লাহ যা করবেন ভালোই জন্যই করবে৷ আল্লার উপর ভরসা রাখ।”

নিধির কণ্ঠ থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে না৷ কণ্ঠনালীতেই কথা আটকা পড়ছে৷ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিল৷ ঠোঁট জোড়া কাঁপছে কথা বলার জন্য। কিন্তু ধ্বনি বের হচ্ছে না৷ মন থেকে চিন্তামুক্ত হতে পারছে না৷ স্বপ্ন কি চিরকাল স্বপ্নই থেকে যাবে? অধীর আগ্রহে বসে আছে রেজাল্টের জন্য৷ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ করল রেজাল্ট৷ নিধির হাত কাঁপছে। কিছুতেই মােবাইলে রোল নম্বার এন্টি করতে পারছে না৷ মাধবী নিধির হাত থেকে ফোন নিয়ে রেজাল্ট দেখে৷ মাধবীর মুখ শুকিয়ে যায়৷ নিধিকে ফোন না দিয়ে শাওয়ার চৌধুরীর দিকে ফোন বাড়িয়ে দিল৷ শায়লা চৌধুরী রেজাল্ট দেখে কিছু বলল না৷ নিধি দু’জনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে৷ কারো মুখে কোন কথা নেই৷ গম্ভীর হয়ে বসে আছে৷ নিধি ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে পারছে না৷ নিধি শায়লা চৌধুরীর হাত থেকে ফোন নিল৷ নিধি ফোনের মেসেজে দৃষ্টি পড়তেই হাত থেকে ফোন পড়ে গেল৷ নিধি ধাপাস করে মাটিতে বসে পড়ল৷ মেডিক্যাল চান্স হয়নি নিধির৷ ওয়েটিং এ আছে৷ নেত্রদ্বয় ভিজে উঠে। কান্নায় ভেঙে পড়ল৷ মস্তিষ্কের নিউরন নিধির হার মানা রেজাল্ট নিতে পারল না৷ সারাদিন না খাওয়া এবং চিন্তায় নিধি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷

নিধির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শাওন৷ নিস্প্রভ দৃষ্টি নিধির চুপসে যাওয়া মুখ মণ্ডল কষ্ট দিচ্ছে শাওন চৌধুরীর নিউরনের প্রতিটি স্নায়ুকে। বুকের ভিতর তীব্র ব্যথা অনুভব করছে৷ ভালোবাসার দাবী নিয়ে কখনও দাঁড়ায়নি শাওন৷ আজ ইচ্ছা করছে জড়িয়ে ধরে পিচ্চিকে স্বান্তনা দিতে৷ ভালোবাসা দিয়ে কষ্ট ভুলিয়ে দিতে৷ নিধি আঁখি মেলে শাওন চৌধুরীকে দেখতে পেল৷ রুমে সবাই ছিল৷ শাওন সবাইকে চলে যেতে বলে৷ কারণ সে নিধিকে ঠিক বুঝিয়ে আগের নিধির বানিতে পারবে৷ নিধি কোন কিছু না ভেবেই শাওনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিল৷ স্বপ্ন ভেঙে গেল। নিধির কাছে আজ যেন শাওনের বুকটা খুব আপন মনে হচ্ছে৷ মেয়ে মানুষ তখনই ভরসা পাই যখন বিশ্বাসী কাউকে পায়৷ আজ শাওনকে খুব ভরসা এবং বিশ্বাসী মনে হচ্ছে৷ শাওন আলতো করে নিধিকে জড়িয়ে ধরে আছে৷ নিধির চোখের জল মুছে দিয়ে বলল,

“পিচ্চি নিধি আর কান্না করে না৷ অনেক কান্না করেছো৷ এখন কান্না করলে মাথা ব্যথা করবে। আমি তোমার স্বপ্ন পূরণ করব৷ তুমি মেডিক্যালে পড়বে৷ আর ভালো ডাক্তার হয়ে বের হবে৷ জনগণের সেবা করবে। সরকারি মেডিক্যালে না পড়ে কী ডাক্তার হওয়া যায়না? আমি তোমাকে পাইভেট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করব৷”

নিধি ভেজা গলায় জবাব দিল,

“সেখানে শুধু টাকার খেলা চলে৷ আপনি আমার জন্য কেন এত টাকা খরচ করবেন? একজন অচেনা অজানা মেয়েকে বাড়িতে জায়গা দিয়েছেন। এটাই নিধির কাছে অনেক পাওয়া৷”

“কিছু পাবার আশায় আমি কিছুই করি না৷ আমি তোমার জন্য যা করি তোমার ভালোর জন্য করি৷ আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখার জন্য সবকিছু করতে পারি৷”

“আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না৷ তাবুও কেন আমার জন্য এত কিছু করেন?”

শাওন বুকে পাথর চাপা দিয়ে তীব্র কষ্ট কমিয়ে বলল,

“ভালোবাসলেই কাছে পেতে হবে এমনটা নয়৷ আমি না হয় আমার সেই পিচ্চি নিধিকে সারা জীবন ভালোবেসে যাব৷ আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমার জন্য তোমার কোন ক্ষতি হবে না৷ তোমার জীবনে আমি কখনও জোর করে আসব না৷ ভালোবাসার দাবী নিয়েও কখনও আসব না৷ আমার ভালোবাসা এক প্রেক্ষিক৷ সে ভালোবাসা নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দিব৷”

নিধি নিজের ভাষা হারিয়ে ফেললে। একটা ভুলের জন্য মানুষটা সারাজীবন কষ্ট পেয়ে যাবে৷ সেই চারটা বছর থেকে কষ্ট পেয়ে যাচ্ছে৷ নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে৷ আজও মেনে নিতে কষ্ট হলেও নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে৷ ক্ষমা মহৎ গুণ৷ আল্লাহ মানুষ নিষ্পাপ মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেন৷ নিজের কর্মে মানুষ পা”পী হয়৷ মন থেকে পাপ কাজ থেকে দূরে সরে আসলে তাকে ক্ষমা করা যায়৷ নিধি অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,

“আপনি বিয়ে করছেন না কেন? সারা বছর সন্ন্যাসী হয়ে থাকবেন৷”

শাওন মুচকি হেঁসে বলল,

“যার জন্য ভালোর পথ বেছে নিলাম সেই মানুষটাই হলো না৷ অন্য কেউ কেন হতে যাবে? আমি তো ধোয়া তুলসীপাতা নয়৷ যে আমাকে ভালোবাসতে আসবে৷”

“আপনার কথাগুলো কেমন জানি গভীর গভীর লাগছে৷ আমার একটা কথা রাখবেন?”

“তোমার কোন কথা অমান্য করেছি৷ আজ অব্দি তোমার সব কথা শুনে এসেছি৷ নিশ্চিত থাকো তোমার এই কথা রাখার চেষ্টা করব৷”

“মা অনেকবার আপনাকে বিয়ের কথা বলেছে৷ এবার জিৎ না করে বিয়েটা করে নেন৷ বিয়ে করা ফরজ কাজ৷ বংশ বৃদ্ধির হাতিয়ার। সবথেকে বড় কথা হলো শেষ সময়ে ছেলে মেয়েদের সাথে আড্ডা দেওয়া। নাতি নাতনীর সাথে খেলা করা৷ পৃথিবীটা অনেক জটিল৷ কোন কিছু না থাকলেও জীবনে একটা জীবন সঙ্গী প্রয়োজন। যে আপনাকে মন থেকে ভালোবাসবে৷”

“আমি ভালোবাসার যোগ্য নয়৷ ভালোবাসার যোগ্য হলে এতদিন ভালোবাসা পেয়ে যেতাম৷ তুমি নিশ্চয়ই জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি৷ তোমার জন্য সব করতে পারি৷ কই তুমি তো কোনদিন সাড়া দিলে না৷ পারলাম না তোমার মনে এক চিলতে জায়গায় করে নিতে৷ ব্যর্থ হয়ে আজও তোমার সাথেই আছি৷ আমার কাছে ভালোবাসা শুধু পাওয়া নয়৷ আমি চাই আমার ভালোবাসার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে৷”

নিধি কিছু বলতে পারল না। মাথা নিচু করে বারান্দায় চলে গেল৷ শাওন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিধির পিছন পিছন বারান্দায় যায়৷ নিধি বারান্দার রেলিং ধরে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ মেঘ বার বার আড়াল করছে চাঁদকে। চাঁদ মেঘের আড়াল কাটিয়ে আবারও হাসিমুখে উঁকি দিচ্ছে। শাওন নিধির পিছনে এসে দাঁড়ায়৷ তাদের মাঝে কিঞ্চিৎ দূরত্ব। কেঁপে উঠল নিধির সমস্ত দেহ৷ শাওন নেশা ভরা কন্ঠে বলল,

“সবকিছু থেকে পালানো বা আড়াল করা যায়না৷ মেঘ চাঁদকে আড়াল করতে চাচ্ছে বারং বার৷ তবুও চাঁদ মেঘের আড়াল বেঁধ করে বেরিয়ে আসছে৷ তুমি কবে আড়াল থেকে বের হবে?”

নিধি দেহ যেন হালকা শিহরণ বয়ে গেলে৷ শাওনের দিকে ঘুরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

“আপনি কি বলছেন এসব? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না৷”

শাওন মুচকি হেঁসে জবাব দিল,

“নিধি এখন তুমি বাচ্চা নেই৷ নিজেকে আড়াল করলেও তোমার কথা বলার ধরণ, বচন ভঙ্গি আড়াল করতে পারবে না৷ সবকিছু তোমাকে জানান দিবে৷”

শাওন কথাগুলো একদম নিধির মুখের উপর বলে৷ শাওনের নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা গরম হাওয়া নিধির মুখে পতিত হয়৷ নিধি খিঁচে নেতাদ্বয় বন্ধ করে ফেলে৷ শাওন মুচকি হেঁসে নিধির চোখর পাতায় ওষ্ঠদ্বয় স্পর্শ করে৷ নিধির সমস্ত দেহ অবশ হয়ে যায়৷ বুঝতে পারছে না তার সাথে কি হচ্ছে? আঁখি মেলে তাকানোর সাহস নেই৷ নিধির পাতলা ঠোঁট জোড়া কাঁপছে। ঠোঁট জোড়া শাওনকে খুব কাছে টানছে৷ নিধি যখন আঁখি মেলে তাকায় তখন…..

চলবে….

ভুলত্রুটিগুলো মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখবেন। গতকাল না দেওয়ার জন্য দুঃখিত। লেখার জন্য সময় মিলিয়ে উঠতে পারছি না৷ সারাদিন ক্লাস করে লিখতে ইচ্ছা করে না৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here