মেঘ_বৃষ্টি পর্ব=২৬

মেঘ_বৃষ্টি পর্ব=২৬
❤❤
রোদ-রোদেলা

#তানিয়া_আনিতা

মেঘ একের পর এক ড্রিংকস করেই যাচ্ছে থামার কোনো নামি নেই। এদিকে অচেনা মানুষটি তার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো। আর বৃষ্টি নাচের মধ্যে এতোটাই মনোযোগী ছিল যে মেঘের দিকে তাকালো না যদি তাকাতো তবে বুঝতে পারতো মেঘ কীভাবে তার দিকে রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ অচেনা মানুষটি একজন ওয়েটারকে ডেকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে,
,
,
,
,
,
,
——–এই টাকাটা নাও আর এযে দেখছো ঔষধ টা ওই যে বসে আছে ছেলেটা তার ড্রিংকসে মিশে দিবে আর হ্যা কাজটা হয়ে গেল আর ও টাকা দিবো কিন্তু মনে রাখবে কাজ হয়ে গেলে এখান থেকে চলে যাবে কেউ যেন জানতেও না পারে বুঝেছো।

———ম্যাম আপনি চিন্তা করবেন না আমি এমনভাবে করবো কেউ কিচ্ছুটি টের পাবে না আর কাজ হয়ে গেলে কেউ খুঁজে ও পাবে না।








বলে ওয়েটার চলে গেল।আর অচেনা মানুষটি আবারও নিজের জায়গায় এসে দাড়ালো।মেঘ যখন আবারও ড্রিংক অর্ডার দিলো ওয়েটারটি কায়দা করে মেঘের গ্লাসে ঔষধ টা মিশিয়ে দেয় আর মেঘ সেটা খেয়ে নেই। কাজটা হয়ে যাওয়ায় ওদিকে একজনের মুখে পৈশাচিক হাসি ফুটে উঠল।
,
,
,
,
,
,
বৃষ্টি এতোক্ষণ মেঘের কথা মনে ছিল না। হঠাৎ মেঘের কথা মনে হতে সে মেঘকে খুঁজতে লাগলো আর মেঘের দিকে চোখ যেতে বৃষ্টি অনেকটা ভয় পেয়ে গেল কেননা মেঘের চোখ মুখ অনেকটা রক্তিম বর্ন ধারণ করেছে মনে হচ্ছে বৃষ্টিকে পেলে খেয়ে ফেলবে।




বৃষ্টি কোনোরকমে শ্রাবন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে মেঘের কাছে গেল। গিয়ে দেখে মেঘ অনেক বেশি ড্রিংক করে ফেলেছে। তাই আর কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে মেঘকে নিয়ে বের হয়ে আসে।কেননা বৃষ্টি চাই না এমন বিষয় নিয়ে সবার আনন্দ মাটি করতে।
.
.
.
.
.
..
.
.
.
.
.
.
সারাদিন আকাশ টা অনেক গম্ভীর ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি পরতে শুরু করে।বৃষ্টি যখন মেঘকে নিয়ে বেরিয়ে আসে তখন বৃষ্টির মাএা আরো বেড়ে যায়। বৃষ্টি মেঘকে নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে যদি ও মেঘ গাড়ি এনেছিল কিন্তু এখন মেঘের যে অবস্থা চাইলেও তার পক্ষে ড্রাইভ করা সম্ভব না তার ওপর ড্রাইভারও সাথে আনেনি আর তাই বৃষ্টি মেঘকে ধরে মেইন রাস্তায় নিয়ে আসে গাড়ির জন্য।এদিকে বৃষ্টির শাড়ির নাজেহাল অবস্থা মনে হচ্ছে যে কোনো সময় খুলে যাবে। বৃষ্টি কোনো ভাবে মেঘ আর শাড়ি দুটোকেই সামলাচ্ছ। কোনোমতে একটা সিএনজি ঠিক করে বৃষ্টি মেঘকে নিয়ে চলে গেল।

এদিকে অচেনা মানুষটির ফোনো কল আসায় সে দূরে গিয়ে রিসিভ করতেই

——–হুমম বলো ওদিকের সব ঠিক আছে তো, তোমরা সব ঠিক করে রাখো আমি মেঘকে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবো আর গাড়ি পাঠিয়ে দিও।
.





বলে পার্টিতে আসলে দেখে মেঘ ওখানে নেই তারপর বৃষ্টিকে খুজতে থাকে দেখে বৃষ্টি ও নেই। তাই দৌড়ে বাইরে আসলে দেখে বৃষ্টি মেঘকে নিয়ে তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। সে দৌড়ে এসে ওখানে দাঁড়িয়ে,

——–ও শিট, এতো কষ্ট করলাম কিন্তু মেঘ ঠিকি আমার নাগালের বাইরে চলে গেল। ও নো এই মেয়েটা সব সময় আমার প্ল্যানে জল ঢেলে দেয়। সমস্যা নেই কতোদিন ওকে বাচাবে আমও তো ওকে আমার করবোই। বলে ডেবিল হাসি দেয়।













হুমম অচেনা মানুষটি আর কেউ নয় আমাদের ভিলেন তানিশা। মেঘের বাসা থেকে বের হওয়ার পর মেঘের ওপর নজর রাখতে একজন মানুষ ঠিক করে। আর আজকে পার্টির কথা সেই তানিশাকে জানায়।আর তানিশা সবার আড়ালে পার্টিতে ঢুকে পরে। আর ওয়েটার কে দিয়ে মেঘের গ্লাসে যৌন উত্তেজক ঔষধ মিশিয়ে দেয় যাতে মেঘ অনেকটা মাতাল হয়ে পরলে সে সুযোগে তানিশা সবার আড়ালে মেঘকে সেখান থেকে বের করে আনবে তারপর নিজের বুকিং করা হোটেল রুমে নিয়ে গিয়ে মেঘের সাথে ফিজিক্যালিভাবে ইনভলভ হবে আর যদি মেঘ তাতে সমস্যা করে তবে মেঘের সাথে এমন কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তুলবে যাতে পরে মেঘ অস্বীকার করতে না পারে আর সেই সুযোগে তানিশা মেঘকে বাধ্য করবে বিয়ে করতে। কিন্তু মাঝখান থেকে বৃষ্টি সব ভেস্তে দিলো।
,
,,
,
,
,
,
,
,
,
এদিকে বৃষ্টি বাসার গেটের কাছে এসেই গাড়ির ভাড়া দিয়ে মেঘকে নিয়ে দরজার কাছে আসলো।এতে মেঘ বৃষ্টি দুজনে ভিজে যায় আর বৃষ্টির শাড়ি প্রায় খুলে যায়। বৃষ্টি একহাতে মেঘকে ধরে অন্য হাতে নিজের ব্যাগ থেকে ডুপ্লিকেট চাবি বের করে বাসায় ঢুকে। ড্রয়িংরুম পুরো অন্ধকার। এতোক্ষণে সার্ভেন্টরা সবাই ঘুমিয়ে পরেছে। বৃষ্টি কোনোমতে মেঘকে নিয়ে নিজেদের রুমে চলে গেল আর মেঘকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে যেইনা পেছন ফিরতে যাবে ঠিক তখনি…………..
,
,
,
,
,
,
,
চলবে………..

(আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আপনাদের উদ্দেশ্য আমি কিছু কথা বলছি দয়া করে পরবেন।

আজ প্রায় একমাস হলো আমি গল্প লিখছি।আমি গল্প লিখছি শুধু আপনাদের বিনোদন দেওয়ার জন্য। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমি গল্পের মাঝে যতোটা সম্ভব আকর্ষনিয় কিছু আনার চেষ্টা করলেও আপনাদের কাছ থেকে কোনো রূপ সাড়া পায় না।আমি চাই আমার গল্পের ভালো খারাপ কিছু কথা আপনারা মন্তব্য করা জানেনে।আমি যদি কষ্ট করে এতো বড় গল্প আপনাদের জন্য লিখতে পারি তাহলে আপনারা কেন আমাকে উৎসাহিত করার জন্য দু এক লাইন কথা লিখতে পারেন না।আর তাছাড়া আপনরা নাইস নেক্সট না বললেও আমি পরের অংশ ঠিকি দিবো। আগে আমি একদিন পর পর দিলেও কিছু দিন ধরে আমি রোজ গল্প দিই কিন্তু আফসোস তেমন সাড়া পায় না।আপনারা নাইস নেক্সট না লিখে যদি গল্পের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য, আর গল্পের ধরন সম্পর্কে কিছু বলতেন তাহলে হয়তো আমও গল্পটাকে আরো সুন্দর করে সাজাতে পারতাম। আর গল্পের কাহিনি সবে মাত্র শুরু কিন্তু আপনাদের এমন রিয়েক্ট আর মন্তব্য দেখে আর কেন জানি এগোতে ইচ্ছে করছে না😌😌😌আর তাই পরের পর্ব কখন দিবো বা দিবো কিনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আপনাদের সাড়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পরেছি। তাই দয়া করে দু এক লাইন কিছু বলে যান নাইস আর নেক্সট না লিখে। আর অনেকে আমার গল্প খুঁজে পাননি বলে পরতে পারছেন না তাদের জন্য আমি সব পর্ব আমার টাইমলাইনে দিচ্ছি পরে নিবেন।ভুল এুটি ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ 🙂🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here