মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =২৭

মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =২৭
❤❤
রোদ-রোদেলা

#তানিয়া_আনিতা

বৃষ্টি মেঘকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে যেইনা পেছনে ফিরতে যাবে ঠিক তখনি মেঘের হাত ঘড়ির সাথে বৃষ্টির শাড়ির টান লেগে পুরো শাড়িটা তৎক্ষনাৎ খুলে গেল।আর বৃষ্টি খানিকটা দূরে গিয়ে দাড়ালো। এদিকে মেঘ ঢুলুঢুলু চোখে উঠে বসে বৃষ্টিকে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখতে লাগলো।বৃষ্টির পরনে রয়েছে এখন কালো ব্লাউজ আর কালো পেটিকোট। আর শাড়িটা রয়েছে মেঘের হাত ঘড়ির সাথে।।




বৃষ্টি কিছু না ভেবে শাড়িটা নিতে আসবে তার আগেই মেঘ শাড়িটা পুরো নিজের কাছে টেনে নিলো।তারপর হাতে নিয়ে হাসতে লাগলো। বৃষ্টি মেঘের হাসি দেখে কিছু টা বিভ্রান্ত হলো।তার কেন জানি মেঘের হাসিটা ভালো লাগলো না।মেঘ ঢুলতে ঢুলতে উঠে দাঁড়ায় তারপর বৃষ্টির দিকে এগোতে থাকে আর বৃষ্টি পেছনে চলে গেল।

——–মে…মে….ঘ কি করছেন আপনি এভাবে কাছে আসাছেন কেন, দেখুন আপনি এখন স্বাভাবিক নন তাই এভাবে কাছে আসা ঠিক হবে না। আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।






বৃষ্টি নিজের মতো করে বলে যাচ্ছে কিন্তু মেঘের তো হুস নেই। সে আস্তে আস্তে করে বৃষ্টির একেবারে সামনে চলে গেল। তারপর বৃষ্টির মুখে আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে থাকে।তানিশার ঔষধ কাজ করা শুরু করেছে।মেঘ বৃষ্টির আরো কাছে গেল।এবার বৃষ্টি আর মেঘ পুরো মুখোমুখি।দুজনের মধ্যে শুধু মাএ শ্বাস প্রশ্বাসের কিঞ্চিৎ জায়গা আছে। বৃষ্টি কিছু টা ভয় পেয়ে গেল আর কান্না করতে লাগলো। বৃষ্টির কান্না দেখে মেঘ বৃষ্টির চোখের জল মুছে দিল,
,
,
,
,
,
,
,
,
———এই মেয়ে এই তুমি কাদছো কেন আমি কি তোমায় বকেছি, বলো, বলোনা,তুমি জানোনা আমি তোমায় কতোটা ভালোবাসি, আমার ভালোবাসা কখন কি তোমার চোখে পরে না।আচ্ছা আমি না হয় তোমায় জোর করে বিয়ে করেছি কেন করেছি ভালোবাসি বলে তো তাহলে। আমিও তো একজন মানুষ আমারও তো ইচ্ছে করে তোমায় আদর করতে, নিজের সবকিছু উজার করে ভালোবাসতে। কিন্তু তুমি কি করলে কখন আমাকে নিজের কাছেই আসতে দাওনা। তুমি বুঝোনা আমি একজন পুরুষ নিজের ভালোবাসাকে এতো কাছে পেয়েও ছুতে পারিনা কতো কষ্ট হয় আমার।শুধু তোমার তো বোঝা উচিত আমারও কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে কিন্তু তুমি সেদিকে কখন নজর দাওনি।বান্দরবানে যখন তোমায় ছুয়েছিলাম তখন তুমি আমায় দূরে টেলে দিয়েছিলে কিন্তু আজ ওই শ্রাবন যখন তোমাকে টাচ করলো তুমি কিছু বললে না। কেন বলো তো৷ ওর তো অধিকার নেই তোমাকে ধরার কিন্তু তাও ধরেছে আর আমি পূর্ণ অধিকার পাওয়া সত্ত্বেও তোমার আশেপাশে আসতে পারিনা।

কিছুক্ষন চুপ থেকে আবারও বলতে লাগলো,

——–জানো আজ যখন তুমি এই শাড়িটা পরে পার্টিতে গিয়েছিলে তখন তোমাকে কতো সুন্দর লাগছে আমি তো নতুন করে আবারও তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে ছুয়ে দিতে।আর এখন তো আমার ইচ্ছে করছে তোমার এই অর্ধ বস্ত্র শরীরে নিজের ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দিতে। তাই আজ তুমি বারন করলেও তোমার কোনো কথা শুনবো না।আজ তেমাকে আপন করে নিবো।
.
.
.
.
.
.
.
.
বলে বৃষ্টির ঠোঁটের দিকে আগাতে থাকে।বৃষ্টি এতোক্ষণ নির্বাক হয়ে মেঘের কথা গুলো শুনছিল আর বুঝতে পারল অতিরিক্ত ড্রাংক আর শ্রাবনের সাথে বৃষ্টিকে দেখে মেঘ চোটে গেছে যার জন্য মেঘ এসব কথা বলছে শুধু তাই নই মেঘ এখন পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই তাই যেকোনো সময় যা কিছু করতে পারে।বৃষ্টির হঠাৎ দরজার দিকে নজর পরতেই দেখলো দরজা খোলা তাই বৃষ্টি দৌড়ে দরজার কাছে যাবে তার আগেই মেঘ একটানে বৃষ্টিকে নিজের বুকে মিশিয়ে নিলো।দুজনের ভেজা শরীর তার ওপর বৃষ্টির গায়ে তেমন কোনো কাপড় না থাকায় বৃষ্টির অনেক অস্বস্তি লাগছে।সে বারংবার নিজেকে ছাড়াতে চাইলেও মেঘ তাকে আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরে, তারপর বৃষ্টির মুখটা ওপরে তুলে,

——–আচ্ছা সমস্যা কি তোমার তুমি বারবার আমার
কাছ থেকে পালায় পালায় করো কেন আমি তো কিছু করবো না শুধু আদর করবো বলে বাকা হেসে দিল।

——–দেখুন মেঘ আপনি কিন্তু বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন, আপনি এখন নিজের মাঝে নেই তাই এসব কথা বলছেন, ছাড়ুন আমায় যেতে দিন নাহলে চিৎকার করবো।

——–হা হা বোকা মেয়ে চিৎকার করবে তুমি কি ভুলে যাচ্ছো আজকে বাসায় মা নেই, তার ওপর সার্ভেন্টরা সবাই নিচে, যার যার রুমে ঘুমোচ্ছে তাই তুমি চিৎকার দিলেও কারো কানে পৌঁছেবে না আর বাইরের এমন বৃষ্টির শব্দে তো তে একেবারে নয় তাই তুমি চাইলেও নিজেকে আমার থেকে দূরে রাখতে পারবেনা।








মেঘের কথা শুনে বৃষ্টি এবার বুঝতে পারল সে চাইলেও কিছু করতে পারবেনা তবুও নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে যেইনা চিৎকার দিতে যাবে ওমনি মেঘ নিজের ঠোঁট দিয়ে আওয়াজ বন্ধ করে দিলো।বৃষ্টি মেঘের এমন কাজে কি করবে ভেবে পাচ্ছ না তবুও ইচ্ছে মতো কিল ঘুষি দিতে লাগলো।মেঘের তো কোনো হুস সে আপন মনে বৃষ্টির ঠোঁট গুলো কে চুষে নিচ্ছে। বৃষ্টির মনে হচ্ছে মেঘ যদি পারে তো বৃষ্টির ঠোঁট গুলে টেনেছিড়ে নিজের পেটে চালান করবে এমন অবস্থা। মেঘ ইচ্ছে মতো বৃষ্টি ঠোঁট গুলো বাইট করছে। বাইটের পরিমান এতোটাই যে বৃষ্টির ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে গেছে তবুও ছাড়ছে না। এবার বৃষ্টি কান্না করতে লাগলো। ৩০ মিনিট পর মেঘ বৃষ্টির ঠোঁট ছেড়ে দিল আর বৃষ্টি নিজেকে ছাড়িয়ে হাপাতে লাগলো।ঠোঁটে হাত দিতেই দেখে তার হাতে রক্ত লেগে আছে। বৃষ্টি আর কিছু না ভেবে সজোরে থাপ্পড় দিল মেঘকে।আর এই থাপ্পড় টাই কাল হয়ে গেল বৃষ্টির জীবনে।

———শয়তান, জানোয়ার তোর সাহস কেমনে হলো আমার সাথে এমন করার।

বৃষ্টির থাপ্পড় আর কথা শুনে মেঘ এবার আরো রেগে গেলো।সে এবার বৃষ্টির চুলের মুঠি ধরে তার মুখটা সামনে এনে,

——–তুই আমাকে থাপ্পড় দিলি আমার ছোয়া তোর খারাপ লাগছে যখন ওই শ্রাবন তোকে ছুয়েছিল তখন তোর খারাপ লাগেনি। আজ তোর শরীরে আমি সব জায়গায় ছুয়ে দিবো দেখি তুই কি করিস।আর আমি জানোয়ার তাহলে দেখ এই জানোয়ার কি করতে পারে,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
বলে বৃষ্টিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ছুড়ে ফেললো তারপর নিজের গায়ে থাকা কাপড় টা খুলে ঝাপিয়ে পরল বৃষ্টির ওপর।বৃষ্টি নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অনেক চেষ্টা করছিলো নিজেকে ছাড়াতে কিন্তু একজন পুরুষের শক্তির কাছে কখন একজন মেয়ের শক্তি কিছু না তার ওপর যদি পুরুষটা মাতাল হয়।বৃষ্টির ও একি হাল।হাজার চেষ্টার পরও বৃষ্টি পারলো না নিজেকে বাচাতে। সারারাত মেঘ নিজের রাগ, জেদ , ক্ষোভ বৃষ্টির শরীরের ওপর তোলে।আর না পেরে বৃষ্টি ভোরের দিকে সেন্সলেস হয়ে পরে আর মেঘ ও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরে।







সকাল ৮ টা।আড়মোড়া হয়ে মেঘের ঘুম ভেঙে গেল।মেঘ উঠে বসলো। মাথা টা অনেক ঝিমঝিম করছে। আর অনেকটা ভারী লাগছে মনে হচ্ছে মাথার উপর কেউ পাথর তুলে দিয়েছে। মেঘ ঘুমঘুম চোখে পাশে থাকাতেই দেখতে পেল বৃষ্টিকে।এবার যেন মেঘের মাথায় আকাশ ভেঙে পরল। সে দৌড়ে বিছানা ছেড়ে মেঝেতে গিয়ে দাড়ালো। আর নিজের দিকে তাকাতেই শকড কারণ মেঘের শরীরে এক টুকরা কাপড় নেই আয়নার দিকে চোখ যেতেই দেখে তার সারা শরীরে কামচির দাগ। বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখেে ওর শরীরেও কাপড় নেই। এসব কিছু দেখে মেঘ বুঝতে পারে গতকাল যা হয়েছে তা ভয়ানক কিছু একটা যা মেঘ আর বৃষ্টির জন্য অরো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।মেঘ আস্তে করে বৃষ্টির সামনে যেতেই দেখে বৃষ্টির সারা শরীরে বাইটের দাগ ঠোঁটের পাশে অনেকটা কেটে গেছে আর সেখান থেকে রক্ত পরেছে যা অনেকটা শুকিয়ে ঠোঁটের কোনে লেগে আছে। মেঘ আর কিছু না ভেবে চাদরটা বৃষ্টির গায়ে ঢেকে দিয়ে ওয়াশরুমে শাওয়ার নিতে চলে গেল। শাওয়ার নিয়ে এসে দ্রুত রেডি হয়ে বৃষ্টিকে না ডেকে নিচে চলে যায়। গিয়ে সার্ভেন্টদের ডাকে,

——–শোনো আমি অফিসে যাচ্ছি। আর কাল রাতে আসতে আমাদের দেরি হয়েছে তাই তোমাদের ম্যাম এখনো ঘুমাচ্ছে। যতোক্ষণ না ওনি নিচে নামছেন ততোক্ষন কেউ ওনার রুমে যাবেনা।ওনি আসলে ওনার খাবার ব্যবস্তা করবে।







বলে বেরিয়ে যায় অফিসের জন্য। মেঘ অফিসে বসে শ্রাবনকে ডেকে পাঠায় আর আদেশ করে যাতে আজ কেউ তার কেবিনে না আসে।আর অফিসের সব কাজ যেন সে সামলে নেয়।মেঘ বসে চিন্তা করছে কাল কি থেকে কি হয়ে গেল।সে তো বুঝতেই পারছেনা কাল কীভাবে সে এসব করেছে। কাল হয়তো একটু বেশি ড্রিংক করেছে, এর আগেও বন্ধুদের সাথে মিলে অনেকবার ড্রিংক করেছে কিন্তু কখনো তো ও নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়নি তাহলে কাল কীভাবে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারল না। সে খুব ভয় পাচ্ছে, সে বুঝতে পেরেছে গতকাল যা হয়েছে তার জন্য মেঘকে অনেক বড় মাসুল গুনতে হবে না জানি কি দিয়ে এই মাসুল দিতে হয়।
,
,
,
,
,
,
,
,
সকাল ১১ টা।বৃষ্টির কোনোমতে ঘুম ভাঙতেই সে ওটার চেষ্টা করছে কিন্তু কোনোভাবে উঠতে পারছে না কারণ বৃষ্টির সারা শরীর ফোড়ার মতো বিষাক্ত হয়ে গেছে। তবুও কোনোমতে উঠে ওয়াশ রুমে গেল।কোনোভাবে শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে আয়নার কাছে যেতেই দেখে তার শরীরে রাতের দাগগুলো তার ওপর ঠোঁট ফোলে একাকার।রক্তও লেগে আছে। বিছানার দিকে চোখ পরল আর সাথে সাথে ডুকরে কেঁদে উঠলো কেননা গতকাল রাতে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার সতিত্ব সে হারিয়েছে আর তার প্রমানের দাগ লেগে আছে এই চাদরে।বৃষ্টি একটান দিয়ে চাদরটা টেনে ফেলে দিল তারপর কাদতে কাদতে মেঝেতে বসে গেল।






মেঘ সারাদিন কোনো কাজ করেনি।সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে সে একজন সার্ভেন্ট থেকে জানতে পারে বৃষ্টি সকাল থেকে এখনো অবধি নিচে আসেনি আর মেঘের জন্য কেউ ওর রুমেও যায় নি।মেঘ বেশ বুঝতে পারছে তার জন্য সামনে ঝড় অপেক্ষা করছে তাই সে ওপরে চলে যায় আর রুমের দরজা খুলতেই দেখে পুরো রুম অন্ধকার। মেঘ লাইট জ্বালাতেই…….., ,
,
,
,
,
,
,
,
,চলবে…………..

( আসসালামু আলাইকুম গতকাল আমি পোস্ট করছিলাম যে কিছু সমস্যার কারনে আমি গল্প দিতে পারছি না তবুও আজকে গল্প দিছি জানিনা পরের পর্ব কখন দিবো ভুল এুটি ক্ষমা করবেন আর কেমন হয়েছে জানাবেন ধন্যবাদ )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here