লাভার নাকি ভিলেন পর্ব ৯+১০

#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ৯
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আকাশ মেঘলাকে ভালবাসে কিনা এই নিয়ে এতদিন মেঘলার মনে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল কিন্তু আজ এভাবে লিপস্টিক মুছার পর সব সন্দেহ উবে গেছে।ভালবাসা ছাড়া এভাবে একটা মেয়েকে টাচ করার মত ছেলে আকাশ নয় এটা ভেবে মেঘলার খুব আনন্দ হচ্ছে।

এদিকে আকাশ ও খুভ খুশি।তার অনেকদিনের ইচ্ছা আজ পুরন করে ফেলেছে সে।

মেঘলা ছাদ থেকে নেমে সোজা ক্লাসে গেল সেখানে গিয়ে আরও একটা খুশির খবর শুনল। কলেজ থেকে ট্যুরে যাওয়া হবে তাও বড় ছোট সব ক্লাস একসাথে।খবরটা শুনেই মেঘলার মনে লাড্ডু ফুটছে।বাড়িতে তো আকাশের সাথে কথাই বলা যায় না ট্যুরে গিয়ে একসাথে সময় কাটানো যাবে।
খুব মজা হবে আমি তো ছোট থেকে কোথাও ঘুরতে যাই নি এবার যাব তাও মনের মানুষের সাথে ভাবতেই ভাল লাগছে। কিন্তু পর মুহুর্তেই তার মন খারাপ হয়ে গেল যখন আকাশের মার কথা মনে হল।মেঘলা আংকেল কে না হয় কোন ভাবে ম্যানেজ করা যাবে কিন্তু আন্টি কি আমায়
বাসা থেকে যেতে দিবে?

মেঘলা কলেজ থেকে ফিড়ে এই এক চিন্তায় বিভোর মনে মনে শুধু ফন্দি করছে আংকেলের কাছে কিভাবে ট্যুরের কথা বলা যায়? কিন্তু সাহস করে উঠতে পাড়ছে না।



রাতে সবাই খেতে বসেছে হটাৎ আকাশ বলে উঠল মেঘলা কলেজ থেকে যে ট্যুরে যাচ্ছে,দেখিস তুই যাওয়ার কথা ভুলেও ভাব্বি না, তুই যাওয়ার চেস্টা করবি না। তুই গেলে আমি যাব না।তাই একদম বাড়াবাড়ি করবি না সাবধান।

কথাটা শুনে মেঘলার খুব রাগ হল সাথে মন খারাপও হল যার জন্য যেতে চাই সেই আমায় যেতে মানা করছে? কি কপাল আমার? ভেবেছিলাম আন্টি হয়ত বাধা দিবে অথবা ভাবি এখন ত দেখে ঘরের শত্রু বিভিষন….
দুপুরে তাহলে আমি ভুল ভেবেছিলাম উনি আমায় ভালবাসেন না। অন্যছেলেদের মতই চান্স পেয়ে মজা নিয়েছেন তাই তো? ভালবাসলে ত আমার সাথে যেতে চাইতেন। আচ্ছা আমার সাথে নাই বা যেতে চাইলেন একবারো এটা ভাবলেন না আমি কখনো ঘুরতে যাই নি ট্যুরে গেলে আমার ভাল লাগবে।আমার কি কোন ইচ্ছা নাই?আপনাদের বাড়িতে থাকি বলে আমার সাথে যা ইচ্ছা করা যায় তাই না?কথা গুলি মনে মনে ভেবে মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিল মেঘলা। তখন আকাশের বাবা বলে উঠলেন তুমার যাওয়া ইচ্ছা না হলে থেকে যাও কিন্তু মেঘলা ট্যুরে যাবে।

আকাশঃ মানে কি বাবা? আমার চেয়ে তোমার কাছে মেঘলা বেশি প্রিয়?

আজাদ সাহেবঃ কে প্রিয় সেটা বিষয় না তুমি ত সারাদিন টই টই করে বেড়াও মেয়েটা কখনো কখনো কোথাও যায় নি তাই ও যাবে।তাতে যার যত সমস্যাই হোক ও যাবে।

কিন্তু আকাশ চায় না মেঘলার সাথে যেতে এটা শুনেই মেঘলার সব শখ মিটে গেছে কারন সে আকাশের জন্যই যেতে চেয়েছিল তাই মেঘলা বলল থাক না আংকেল ভাইয়া যখন চাচ্ছে না আমি বরং না যাই।

আজাদ সাহেবঃ সব কিছু কি ওর কথায় হবে নাকি?আমি যা বল্লাম তাই হবে। কাল সকালেই আমি তোর ফি জমা দিয়ে দিব।

আকাশঃ মা কি হচ্ছে এসব তুমি কিছু বলছো না কেন? ও চলে গেলে বাসার কাজ কে করবে।

মেঘলাঃ ভাইয়া তো ঠিকি বলেছে আমি চলে গেলে বাড়ি কিভাবে চলবে?

আজাদ সাহেবঃ একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নে তুই এই বাড়ির কাজের মেয়ে না যে সবার সব কথা শুনে চলতে হবে।তুই যাচ্ছিস এটাই শেষ কথা।তুই ব্যাগ প্যাক কর।

রাবেয়া বেগম কিছু বলতে যাবে তার আগেই আজাদ সাহেব বলে উঠল এ ব্যাপারে আমি কারো কোন বক্তব্য শুনতে চাই না এই বাড়িতে সেটাই হবে যেটা আমি বলব তাই সবাই কান খুলে শুনে নাও মেঘলার যাওয়া নিয়ে যে কথা বলবে তার জন্য এই বাড়ির দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে আর এটাই ফাইনাল।
ছেলে তো নয় একটা অপদার্থ তৈরি করেছো,মেয়েদের কিভাবে সম্মান করতে হয় সেটাও শিখে নি।শোন রাবেয়া,সারাদিন মেঘলার পিছনে না লেগে, পাড়লে এটাকে একটু মানুষ করার চেস্টা করো বোঝেছো?আকাশকে বকা দিতে দিতে আজাদ সাহেব চলে গেলেন

রাবেয়া বেগমঃ ঢং দেখলে বাঁচি না।কার না কার মেয়ে তার জন্য আমার ছেলেটাকে এত গুলি কথা শুনিয়ে গেল। তুই মন খারাপ করিস না বাবা তোর বাবাকে ত চিনিস মেঘলার জন্য দরদ একেবারে উতলে পড়ে সবসময়।৩ দিনের তো ব্যাপার কষ্ট করে একটু সহ্য করে নিস আর আমি মুখ পুড়ি কে বলে দিব তোকে যেন না জ্বালায় তুই রাগ করে থাকিস না তুই ও যা।

আকাশঃ ভেবে দেখি বলে চলে গেল।

মেঘলার খুব খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে আকাশ তার সাথে মজা নিয়েছে আসলে ভালবাসে না।রাত হয়ে গেছে তবুও মেঘলা ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে আজ যদি আমার বাবা মা থাকত আমার যখন যা ইচ্ছা করতে পাড়তাম। সবাই আমাকে আদর করত কথাগুলি ভাবতে ভাবতে চোখ ২ টি ভিজে এসেছে মেঘলার।

হটাৎ মেঘলার কানের কাছে ফিসফিস করে কেউ বলে উঠল কিরে মুখ টা এমন করে রেখেছিস কেন খুশি হস নি?আরে পাগলি কাঁদছিস কেন? শোন
তুই সারাদিন বল্লেও বাবা তোকে এতদূরে যেতে দিত না।আর মা তো তুলকালাম করে ফেলত ভাবিও বাধা দিত তোকে কিছুতেই যেতে দিত না। তাই বাবাকে রাগিয়ে দিলাম যাতে রাগ করে সবার বিরুদ্ধে গিয়ে তোকে পাঠায়।
তোর আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত আর তুই তা না করে মুখ টা কালো করে রেখেছিস। এই জন্যই তোকে মারতে ইচ্ছা করে। কিছু না বোঝেই নিজের মত সব ভেবে নিস। এখানে বসে ঠান্ডা না লাগিয়ে
যা গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নে।তোকে ছাড়া আমি যাব নাকি বোকা মেয়্ব….. আকাশ কথা গুলি বলে মেঘলার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে চলে গেল….

মেঘলার এই মুহুর্তে ইচ্ছা করছে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে আদর করে দিতে কিন্তু সেটা সম্ভব না। আকাশ এতক্ষনে নিচে চলে গেছে মেঘলার এবার আগের চেয়েও বেশি আনন্দ হচ্ছে তার।

মেঘলাঃ ইসস কত ভালবাসে আমায়, আমার জন্য আংকেলের কাছে কতগুলি বকা শুনল আর আমি কিনা তাকেই ভুল বোঝলাম চরিত্রহীন পর্যন্ত বানিয়ে দিলাম?ছি মেঘলা তোর লজ্জা হওয়া উচিত।ধুর আমি না আসলেই একটা মাথা মোটা….
আচ্ছা এখানে অন্যরাও তো কেউ কিছু বোঝেনি এমনকি আংকেল ও বোঝে নি তারমানে আমি বোকা না আসলে আকাশ একটু বেশিই চালাক। তাই তার ভালবাসাটাও সবার চেয়ে আলাদা।

আমিও আপনাকে খুব ভালবাসব দেখবেন ট্যুরে গিয়েই বলে দিব আমি আপনাকে ভালবাসি…..

।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১০
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

পরদিন আকাশের বাবা নিজে গিয়ে মেঘলার ট্যুর ফি দিয়ে দিলেন।

অনেকেই যাবে সবাই খুশি, কিন্তু মেঘলাদের ব্যাচ যেহেতু সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচ তাদের উপড় সিনিয়রা হুকুম চালাবে এটাই নিয়ম তাই মেঘলাদের ব্যাচের তেমন কেউ যাচ্ছে না। কিন্তু তাতে মেঘলার কি যায় আসে? আকাশ তো যাচ্ছে তাতেই হবে।

এই পিচ্চি মেয়েটা ট্যুরের কি বোঝে? একে কে নিয়ে যাচ্ছে?কথাটা শুনে চোখ গরম করে মেঘলা পিছনের দিকে তাকাল।

মেঘলাঃ অহ খচ্চর,তাই তো বলি এসব বাজে কথা আর কে বলবে?

নাবিল হাসতে হাসতে বলল যানো তোমাকে ওখানে নিয়ে গিয়ে বেঁচে দিব ভাল হবে না?

মেঘলাঃ আহা শখ কত? আমি আপনাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিব সেটা কেমন হবে?

নাবিলঃ ওহ আচ্ছা তুমি তাহলে সাঁতার ও জানো না?

মেঘলাঃ ওমা আপনি সেটা কি করে জানলেন?

নাবিলঃ এই তো এখুবি বল্লে….

মেঘলাঃ আমি ত আপনাকে ফেলব বল্লাম।

নাবিলঃ তুমি ভেবেছো আমাকে ফেলে দিবে বললে আমি ভয় পাব তারমানেই তো তুমি পানি ভয় পাও আর যে সাঁতার পাড়ে না সেই ত পানি ভয় পায় তাই না?

মেঘলাঃ আপনার আর আকাশ ভাইয়ের মাথায় কত বুদ্ধি…. আমারো যদি থাকত।

নাবিলঃ আকাশের সাথে থাকতে থাকতে তোমারো বুদ্ধি হয়ে যাবে।কিন্তু তুমি এখুনি দাঁড়িয়ে আছো কেন বাসায় গিয়ে গোছগাছ করে নাও সকালে যেতে হবে তো।এদিকে আমিও প্লেন করি তোমাকে পাহাড় থেকে ফেলব?সমুদ্রে ডুবাব নাকি বেঁচে দিব?

মেঘলাঃ আমাকে কাবু করা এত সহজ না বোঝলেন মশাই। যাই হোক আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে এখন যাই সকালে দেখা হবে।

মেঘলা বাসায় এসে সব গুছিয়ে নিয়েছে। তার সময় যেন আর কাটছে না।আকাশও বাসায় এসে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে।

মেঘলা সারারাত ধরে প্লেন করেছে সে কি কি করবে?আকাশের সাথে ঘুরবে,শপিং করবে,একসাথে খাবে আর যাওয়ার সময় আকাশের কাঁদে মাথা রেখে ঘুমাবে।সব প্লেন করা শেষ।

সকালে উঠেই মেঘলা রেডি।আকাশ এসে বলল মেঘলা আমি আগে যাই তুই একটু পর যাস।

মেঘলাঃ আচ্ছা….

নানা রকম ঝলপনা কল্পনা করে মেঘলা গিয়ে বাসে চড়ল কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই তার সমস্ত খুশি বিলিন গেল কারন আকাশ একটা মেয়ের পাশে বসেছে আর মেয়েটা আকাশের হাত ধরে বসে আছে।আকাশ এমন ভাব করল যেন সে মেঘলাকে চিনেই না।

মেঘলা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে যে যার সিটে বসে পড়েছে।তাই বাধ্য হয়ে মেঘলা গিয়ে পিছনে বসলো।
পিছন থেকে আকাশ আর ওই মেয়ে ২ জনকেই দেখা যাচ্ছে তারা ২ জনেই খুব খুশি নানা রকম খুনশুটি করছে ২ জনে মিলে, যেমনটা মেঘলার থাকার ছিল। আকাশের ওই মেয়ের প্রতি এত কেয়ারিং দেখে,মেঘলার সারারাত ধরে দেখা প্রতিটা স্বপ্ন এক এক করে ভেংগে যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছে এর চেয়ে না আসায় ভাল ছিল।মেঘলার খুব কান্না পাচ্ছে।ইতিমধ্যে কেঁদেও দিয়েছে।কিছুক্ষন কাঁদার পর তার ম্যাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে মাঝে মাঝে হিচকি তুলছে মেঘলা।

মেঘলার হিচকি দেখে পাশে বসে থাকা মেয়েটি চেচিয়ে বলে উঠল কি হচ্ছে এসব? এই মেয়েটাকে কে এনেছে একটু শান্তিতে বসতে দিচ্ছে না।এখন তো বমিও করবে।

মেয়েটির কথা শুনে সবাই মেঘলার দিকে তাকাল মেঘলা তাড়াতাড়ি চোখ মুছে নিল।

মেয়েটিঃ এই উঠো এখান থেকে… আমার পাশে বসবা না।বলেই মেয়েটি মেঘলাকে সীট থেকে তুলে দিল।

সবাই মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে।মেঘলার লজ্জা করছে সে আপাতত এখানে তার আকাশ বাদে কাউকে আপন মনে হচ্ছে না তাই অসহায় দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকাল মেঘলা কিন্তু আকাশের তাতে কোন রেসপন্স নেই।

কাঁদতে কাঁদতে মেঘলার মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেছে।
কি ভেবে এসেছিলাম আর কি হল? আমার কোন ক্লাসমিট ও তো আসে নি কি করব আমি?কার কাছে সাহায্য চাইব? আকাশ যে কোন সাহায্য করবে না দেখেই বোঝা যাচ্ছে কি করব এখন? শরীরতো খুবি খারাপ লাগছে।

আশে পাশের সবাই মেঘলাকে হাজার টা কথা শুনাচ্ছে।
এই তুমি দূরে গিয়ে দাড়াও কাছে আসবা না।মনে তো হচ্ছে এখুনি বমি করে সবার অবস্থা খারাপ করে দিবে।জার্নি যখন করতে পাড়ো না এসেছিলে কেন?নিজের ক্লাসের কেউ আসে নি উনি ড্যাংড্যাং করে চলে এসেছেন যতসব প্যারা।কে যে এই মেয়েকে আসার পারমিশন দিল।

মেঘলার এত অপমান সহ্য হল না এবার সে কেঁদেই দিল।

তখনি পিছন থেকে একজন এসে বলল, কি হচ্ছে এখানে?যাদের যাদেএ এত সমস্যা হচ্ছে নেমে যাচ্ছিস না কেন?একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে এমন করতে তোদের খারাপ লাগছে না?

পিছনে তাকিয়ে মেঘলা যেন আত্মায় প্রান ফিড়ে পেল সস্বির নিশ্বাস ফেলে বলল ভাইয়া আপনি আছেন তো ভুলেই গেছিলাম। বাসায় যাব আমাকে নামিয়ে দিন প্লিজ।

নাবিলঃ ড্রাইভার গাড়ি থামান….

নাবিল মেঘলার হাত ধরে নিয়ে নেমে গেল।

মেঘলাঃ ভাইয়া আপনি নামছেন কেন আপনি যান আমি একাই যেতে পাড়ব।

নাবিলঃ তাই বোঝি?

মেঘলাঃ হুম আমি কোন গাড়ি নিয়ে চলে যাব।

নাবিল একটা পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল পানি খাও চোখে মুখে পানি দাও।

মেঘলার শরীর খারাপ লাগছিল তাই নাবিলের কথা মত পানি খেয়ে নিল।

আকাশ ভিতর থেকে বলল নাবিল তোরা নাটক কর আমরা যাই গাড়ি থামিয়ে রেখেছিস কেন?

নাবিল চোখ গরম করে বলল,দেখে কি ভিখারি মনে হচ্ছে? তুই যত টাকা দিয়ে এসেছিস আমরাও তত দিয়েই এসেছি তাই চুপচাপ বসে থাক যতক্ষন না মেঘলা ঠিক হচ্ছে সবাই অপেক্ষা করবি।আর মেঘলাকে নিয়ে যার যার সমস্যা তারা নিজের ইচ্ছায় নেমে যেতে পাড়ে।কাউকে যাওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে না মেঘলা যদি না যেতে পাড়ে তাহলে এই ট্যুর হবে না। ও সবাই কে সম্মান দেখাচ্ছে বলে সবাই ওকে চেপে ধরেছিস অমানুষের দল কিন্তু আমি থাকতে সেটা তো হতে দিব না।

নাবিলের কথায় আকাশ চুপ হয়ে গেল সাথে অন্যরাও কারন যেখানে আকাশ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না সেখানে অন্যকেউ কথা বল্লে নাবিল মেনে নিবে না।

মেঘলা আকাশের ব্যবহারে অবাক হচ্ছে।আর নাবিলের কেয়ারিংও তার কাছে অদ্ভুত লাগছে।

নাবিলঃ কারো কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। তুমি খোলা হাওয়ায় বসে যতক্ষন ইচ্ছা বিশ্রাম নিয়ে নাও মেঘলা।

কিছুক্ষন পর মেঘলাকে নিয়ে এসে নাবিল নিজের পাশের সীটের ছেলেটাকে তুলে দিয়ে মেঘলাকে জানালার পাশে বসিয়ে দিয়ে জানালা খোলে দিল আর মেঘলাকে ধরে নিজের কাঁধের উপড় শুয়িয়ে দিয়ে বলল ঘুমাও।

মেঘলার আপত্তি থাকলেও তার মাথা ব্যাথা করছে তাই আপত্তি না করে নাবিলের কাঁদে মাথা রেখে ঘুমানোর চেস্টা করল।আর কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়েও গেল।

আকাশ আড় চোখে বারবার মেঘলাকে দেখছে কিন্তু মেঘলা গভীর ঘুমে আছন্ন।

মাঝপথে খাওয়ার জন্য সবাই নেমে গেল। আকাশের পাশে বসা মেয়েটির এসে বলল নাবিল খাবে না? নামছো না যে?

নাবিলঃ দেখতেই পাচ্ছো মেঘলা ঘুমাচ্ছে ওকে রেখে যাব কি করে? বোঝতেই পাড়ছো অসুস্থ হয়ে গেছে। আকাশ তুই যদি ওর পাশে একটু বসতি আমি খেয়ে আসতে পাড়তাম। আমি না হয় তোর জন্য খাবার নিয়ে আসব।

আকাশঃ আচ্ছা যা তুই বলে, আকাশ মেঘলার পাশে বসল।নাবিল আর মেয়েটি চলে যাওয়ার পর আকাশ মেঘলাকে নিজের কাঁধে শুয়িয়ে দিয়ে আলত করে কানের কাছে চুল গুলো গুঁজে দিয়ে মেঘলার কপালে চুমু খেল।কিন্তু মেঘলা সেসব দেখতে পাচ্ছেনা সে তো তার ঘুমের রাজ্যে বিচরন করছে।

কিছুক্ষনের মধ্যেই নাবিল ফিড়ে এলো এখুনো কেউ আসে নি।

নাবিল মেঘলাকে ডাকতে যাবে তখনি আকাশ বলল ডাকিস না আগে আমি যাই তারপর ডাক।

নাবিলঃ তোর মাথায় কখন কি চলে শুধু তুই জানিস বাকি সবার মাথার উপড় দিয়ে যায়।

আকাশঃ সময় হলে না হয় বোঝাব….

আকাশ চলে যাওয়ার পর নাবিল মেঘলাকে ডেকে খায়িয়ে দিল।

নাবিলঃ মেঘলা ঠিক আছো?

ঘুমিয়ে মেঘলার সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে আমি একদম ঠিক আছি ভাইয়া আপনি টেনশান করবেন না।

মেঘলাঃ ভাইয়া একটা প্রশ্ন করব?

নাবিলঃ অবশ্যই….

মেঘলাঃ না মানে আসলে… আকাশ ভাইয়ার সাথে বসা মেয়েটা কে….???উনাকে আগে কখনো দেখি নি আর আকাশ ভাইয়াকেও এর আগে মেয়েদের সাথে এত বেশি মিশতে দেখি নি তাই জিজ্ঞাস করছিলাম আর কি…




চলবে…!!!

চলবে…!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here