সে_আমারঃ (আপডেট) পর্বঃ-১৬

সে_আমারঃ (আপডেট)
পর্বঃ-১৬
মোর্শেদা হাবিব!
***************
রানী ঘরে এসে হাতের কোটটাকে ওয়্যার ড্রোবে ঝুলিয়ে রাখলেন।মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত লাগছে।মাথার ভেতরটা ভার ভার।রাজের বাবা রাজের বিয়ে করিয়ে দিয়েছেন পৌষীর সাথে।কথাটা শুনে যতটা রাগ হবার কথা ছিলো ততটা রাগ হচ্ছেনা।বরং পৌষীকে ঐ নোংরা কথাগুলো বলার জন্য একটু খারাপই লাগছে।তাছাড়া সেদিন রাতে পৌষীর চেয়ে রাজ উৎফুল্ল ছিলো বেশী।
মা হিসেবে সেটা তার চোখ এড়ায়নি।
নিজের ছেলেকেই তিনি এখনো চিনতে পারলেন না।তার চঞ্চলমতি ছেলেটা এমন শান্ত অন্তর্মুখী স্বভাবের মেয়ের প্রতি আকর্ষিত হলো,ব্যপারটা অবাক করার মতো।
রানী দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
এমন সময় তার সেল ফোনটা বেজে উঠলো!রানী ফোন রিসিভ করলেন-“হ্যালো!”
-“মা…!”বলে কেঁদে উঠলো ইরা!রানী ওর কান্না শুনে অবাক হয়ে বললেন-
-“কাঁদছিস কেন!কি হয়েছে!”
-“মা..গো…তুমি এখানে এসে কিছু একটা বলে আমাকে নিয়ে যাও…ও আমাকে আজো একটা পার্টিতে নিয়ে যাবে!”
-“আচ্ছা,নিয়ে গেলে সমস্যা কি?তুই পার্টি এটেন্ড করতে চাস না কেন, বলতো?তোর সমস্যাটা কি?
-“তুমি কি কিছুই বোঝোনা?কেমন মা তুমি?ফোনে এতো ব্যখ্যা করতে পারবোনা!তুমি এসো মা,মীরার বিয়ের কথা বলে হলেও আমাকে নিয়ে যাও মা…প্লিজ!”
রানী বিভ্রান্ত বোধ করলেন।
-“আচ্ছা….তুই রাখ্…আমি আসছি।”বলে রাণী উদ্বিগ্ন হয়ে দ্রুত ইরার বাড়ী যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলেন।এদিকে আজই রাজের বাবা এসেছে।তাকেও খাওয়া দাওয়া দিতে হবে।ইস্,পৌষীটা থাকলে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হতো না!এসব ভাবতে ভাবতে রানী নিচের দিকে রওনা হলেন।রাহেলাকে সব বলে যেতে হবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



★★
পৌষী বোরকা পড়ে পূর্ণ হিজাব নিকাবে আবৃত হয়ে মা’কে বলল-“মা…আমি একটু ব্যাংকে যাচ্ছি!সেখান থেকে যাবো তোমার ঔষধ কিনতে তারপর একটু তৃণার সাথে দেখা করবো!ও আজ আমাকে দেখা করতে বলে দিয়েছিলো!ওর বড় ভাইয়ের অফিসে নাকি একটা ভালো পোষ্ট আছে !ও ওর ভাইয়াকে বলে আমার জন্য সেই চাকরীটার ব্যবস্থা করবে বলেছে !কম্পিউটার অপারেটর।
বেতন যা দেবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক !
কাল আবার তোমাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হবে!তাই আজ এদিকটা সেরে আসি।
সাহেদা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন-“তুই একা এসব পারবি?”
-“একা কই মা….আল্লাহ আছেন না?তিনি সাহায্য না করলে সে দিনই হুট করে বেরিয়ে এসে আজ এ বাড়ীতে আশ্রয় পেতাম না!তৃণা তো শুধু একটা উসিলা মাত্র।ও আমার ঘনিষ্ট বান্ধবী।কেবল এই একটা পরিচয়েই ও আজ আমার জন্য যা করেছে তার ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না! মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে ও আমাকে এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।আল্লাহর রহমত না থাকলে এই সুব্যবস্থাটা হলো কি করে বলো! মহান আল্লাহতা’লা সরাসরি অলৌকিকভাবে কিছু করেন না,তারই এক বান্দাকে দিয়ে আরেক বান্দার উপর রহমতের বারিধারা বর্ষিত করেন!আল্লাহ চাইলে অনাত্মীয়ের মাধ্যমেও উপকারের বন্দোবস্ত করে দিতে পারেন!সব তাঁর অপার মহিমা!”
সাহেদা দীর্ঘশাস ফেলে শাড়ীর আঁচল দিয়ে চোখের কোণ মুছলেন!একথা সত্য যে,পৌষী ওর বান্ধবী তৃণাকে ওর সমস্যার কথা জানানোর আধাঘন্টার মধ্যেই সে জানায় ওর বড় বোন,বোনজামাই দেশের বাইরে সেটেলড।ঢাকায় মগবাজারে তাদের একটা পাঁচতলা ভবন রয়েছে যার পুরোটাই ভাড়া চলে! সেখানেই দুটো ফ্ল্যাট খালি পড়ে আছে।পৌষী চাইলে তার একটাতে উঠতে পারে!সেই সন্ধ্যা বেলাতেই তৃণা নিজে এসে চাবি দিয়ে তালা খুলে পৌষীকে ঘর বুঝিয়ে দিয়েছে!বাড়ীর কেয়ার টেকারের সাথে আলাপ করিয়ে দিয়েছে।তার পর থেকে গত দুতিনটে দিন ধরে পৌষীরা এ বাড়ীতেই আছে!
কিন্তু পৌষীর দরকার একটা স্থায়ী আয়ের উৎস যা দিয়ে সে বাড়ীভাড়া দিয়ে মোটামুটি চলতে পারবে!ব্যাংক থেকে যে টাকাটা পায় তা নেবার ব্যপারে পৌষীর বেশ দ্বিধা ছিলো তাই মামাকে বলে টাকাটা একটা ইসলামিক ব্যাংকে রেখেছে।সুদ থেকে বেঁচে থাকার যথাসম্ভব একটি চেষ্টা।
পৌষী ব্যাংকে আসার পরপরই ওকে ম্যানেজারের রুমে অপেক্ষা করতে বলা হলো।ও বিস্মিত হয়ে কারন জানতে চাইলে বললো, স্যার আপনাকে বসতে বলেছে।
অগত্যা পৌষীকে অপেক্ষা করতে হলো।ম্যানেজার তার রুমে নেই। উনি এখনো আসেননি বলেই পৌষীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে!
পৌষী একটু পরপর ঘড়ি দেখছিলো।
এমন সময় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এসে বললো-
-“তোমার কি খুব তাড়া আছে,মামনি?”
-“জ্বী…..একটু কাজ ছিলো।”
-“আর অল্প কিছুক্ষণ!স্যার এই এলেন বলে….,!”
বলতে বলতেই দরোজা দিয়ে আমজাদ চৌধুরী আর ম্যানেজার একসাথে ঢুকলে পৌষী সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।
পৌষী তাকিয়েই চমকে গেলো।
বড় মামা….?এখানে?
পৌষী মুখ নামিয়ে ফেললো সংকোচে।
আমজাদ পৌষীর সালামের জবাব দিয়ে ম্যানেজারের দিকে হাত বাড়ালেন হ্যান্ডশেকের জন্য!
ম্যানেজার চেয়ার দেখিয়ে বসতে বললে তিনি বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করে পৌষীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন-“বসবো না,ঈসমাইল ভাই,আমার জন্য অনেকখানি করলেন,তার আগে পরিচয় করিয়ে দেই,এটা হলো আমার ছোট বোনের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা।ওর আরেকটা পরিচয় হচ্ছে সি ইজ মাই ডটার- ইন-ল ! ও আমার একমাত্র ছেলে রাজের স্ত্রী!”
-“আরে তাই নাকি?মাশাআল্লাহ,খুব ভালো!”
-“তো গেলাম আমরা!মেয়েকে নিয়ে একটু বেরোবো তো তাই বসবো না।”বলে পৌষীর দিকে তাকিয়ে বললেন-“আয়রে মা….!”
পৌষী আর কিছু বলার সাহসই পেলোনা।মামার পেছন পেছন এসে গাড়ীতে উঠলো!
★★★
বাড়ী আসার পর থেকে ইরা অনবরত কাঁদছে।ওর চোখ ববেয়ে পানি পড়ছে আর ও বারবার আঁচলে তা মুছছে।
রানী এককোণে চুপচাপ বসে আছেন না যেন পাথরের মুর্তি বনে গেছেন।
ঘরের ভেতর নীরা,মীরা দুজনই আছে।
দুজনেই চুপচাপ থম ধরে আছে।
মীরা হঠাৎ বললো-“আব্বুকে বলে তোমার জামাইয়ের নামে কেস করে দেয়া উচিত।বজ্জাত হারামী একটা লম্পট কোথাকার!”
নীরা পাল্টা ধমক দিলো মীরাকে -“হুঁ….কেস করে দেয়া উচিত!বললেই হয়ে গেলো…না?মানসম্মানের ভয় নাই?”
ওদের কথা শুনে এবার ইরা বলে উঠল-“যা মন চায় হয়ে যাক্,আমি ও বাড়ীতে আর ফিরে যাবোনা!যাবো না!”
রানী দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করলে টের পেলেন তার চোখে পানি জমেছে।তার আদরের মেয়ে যে এতবড় ভয়াবহ বিপদে এতগুলো দিন কাটিয়ে এসেছে তিনি তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি?অথচ পনের দিন একসাথে কানাডা থেকে এলেন।মেয়ে তখনো ওর কাছে মুখ ফুটে বলেনি যে তার জামাই নিজের ব্যবসা বড় করার জন্য বড় বড় বায়ারদের কাছে নিজের স্ত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে।বেড়ানোর নাম করে নিয়ে তাদের কাছে স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে আসে!ইরা বহু কষ্টে দু’ দু’বার বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে।একবার সিনক্রিয়েট করতে হয়েছিলো ফলে ওর স্বামী ওকেই পাল্টা দোষী বানিয়ে দেয়।সব শুনে রানীর মাথা ঘুরে উঠেছে……ছিঃছিঃ এ লজ্জা তিনি কোথায় রাখবেন।মেয়ের জামাইয়ের তিনটা বাড়ী আর চারটা গাড়ী দেখে গলে গিয়েছিলেন তিনি।নিজেকে পৃথিবীর সৌভাগ্যবতীদের একজন মনে করে আসছিলেন।আজ মনে হচ্ছে তিনি পৃথিবীর দুর্ভাগাদের একজন।তিনি সেই অভাগা মেয়ের মা যার স্বামী তাকে ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চায়!
এমন সময় বাড়ীর ল্যান্ডফোনটা বেজে উঠলে রানী নীরাকে ইঙ্গিত করলেন ফোনটা ধরার জন্য!
নীরা ফোনটা ধরে চিৎকার দিয়ে উঠেই কেঁদে ফেলল-“হায় আল্লাহ!কখন? কোথায় আছে ভাইয়া?জ্বী…জ্বী…আমরা এক্ষুণি আসছি!”
রানী ভয়ে প্রশ্ন করার সাহস পেলেন না।ফ্যালফ্যাল করে নীরার দিকে চেয়ে রইলেন।
নীরা কেঁদে ফেলে বলল-“মা,ভাইয়া বাইক নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে!ওকে এপোলোতে ভর্তি করা হয়েছে।”
রানী উঠে দাঁড়িয়েও ধপ করে বিছানায় বসে পড়লেন।হায় আল্লাহ্,এসব কি! একটার পর একটা দুঃসংবাদ! এ কার বদনজর পড়লো তার সংসারে।নাকি পৌষী আর তার মায়ের বদ দু’আ লেগে গেলো!!
রানী আর কিছু ভাবতে পারছেন না!
এমনিতেই কষ্টে ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে আছে।তার উপর আদরের ছেলের রোড এক্সিডেন্টের সংবাদ শুনে রানী যেন একেবারে মূষড়ে পড়লেন!
★★
পৌষী একদম চুপচাপ বসে আছে গাড়ীতে যেন সে কোনো অপরাধী !গাড়ী ছুটে চলেছে মগবাজারের দিকে।মামা গাড়ীতে ওঠার আগেই জিজ্ঞেস করে নিয়েছেন-“কোথায় উঠেছিস তোরা?”
পৌষী মিনমিন সুরে ঠিকানা বলেছে।মামা আর আগ বাড়িয়ে জানতে চাননি এটা কার বাসা!পৌষী মনে মনে খুব অস্বস্তি বোধ করছে।মামা কি জিজ্ঞেস করবে আর ও কি জবাব দেবে!
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর মামা বললেন-“তোর মামীর ব্যপারে তোর হয়তো কিছু অবজেকশন থাকতে পারে,আমি তোকে একটা কথাই বলবো!আমরা সবাই এক মানসিকতার মানুষ না।তোর মামী তার চারপাশে যা দেখে আসছে সেগুলোকেই নিজের জন্য অবধারিত করে নিয়েছে।এর বাইরে সে কিছু ভাবতে শেখেনি।আমার নিজেরও কিছু ছোটখাট ভুল ছিলো।আসলে গোটা পরিস্থিতিটাই কেমন খাপছাড়া হয়ে ছিলো।তুই পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে গেছিস।তোর মামীর কথায় কিছু মনে করিস না।সে তো এখন কেবল তোর মামী না তোর শ্বাশুড়ীও।তার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করিস।”
পৌষী সাথে সাথেই বলে উঠলো-“ছি…ছি..
.এসব কি বলছেন।মামী আমার গুরুজন।তিনি আমার ক্ষমার মুখাপেক্ষী নন!”
-“না,তারপরেও সে তোর সাথে না বুঝেই অন্যায়টা করে ফেলেছে।তোর মা’ও সেই কষ্টেই বাড়ী ছেড়েছে।অথচ ওটা তোর নিজের বাড়ি।রাগ করে কেউ নিজের বাড়ী ছাড়ে?”
পৌষী চুপ মেরে গেলো।
আমজাদ বলে চললেন-“সবার পরিমিতি জ্ঞান সমান থাকেনা রে মা।তোর মামী ছেলের ব্যপারে খুব হাই এ্যামবিশাস।সেই প্রত্যাশা পূরন না হবার আশঙ্কায় সে চট করে ক্ষেপে উঠেছিলো যার জের তোদেরকে পোহাতে হয়।”
-“আমি ওনাকে দোষী ভাবছিনা মামা।মা হিসেবে সন্তানের প্রতি প্রত্যাশা থাকা খুবই স্বাভাবিক।”
-“ঠিক বলেছিস….আর ভুলটা সে কারনেই!”
কথাবার্তার এ পর্যায়ে আমজাদ চৌধুরীর সেল ফোন বেজে উঠলো।
ফোন কানে ঠেকিয়ে আমজাদ চৌধুরী প্রায় চিৎকার করে উঠলেন-“কি হয়েছে?সেকি… কখন?আমি আসছি!”বলে ড্রাইভারকে বললেন-
“এই….জাহাঙ্গীর…গাড়ী ঘুরাও….কুইক।
সোজা এপোলোতে চলো!”
পৌষী একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।আমজাদ চৌধুরী মোবাইল রেখে ডান হাত দিয়ে চেহারাটা মুছলেন।তার হাত কাঁপছে।
পৌষী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো-
-“কি হয়েছে মামা?”
আমজাদ চৌধুরী পৌষীর দিকে তাকালেন।স্থির কন্ঠে বললেন-
“রাজ এক্সিডেন্ট করেছে, ও এপোলোতে ভর্তি আছে!”
পৌষী বিষম চমকে উঠল!
ডান হাত ঠোঁটের ওপর রেখে কাঁদো স্বরে বলল-
“ইন্নালিল্লাহ! কিভাবে? কখন হলো এমন?”
-“তোদের খোঁজ নিতে ও এ্যাপোলোতে যাচ্ছিলো।সাহিদার ডাক্তারের মাধ্যমে তোদের সন্ধান পাবার জন্যে ও ওখানে যাচ্ছিলো।পথেই দুর্ঘটনাটা ঘটে।”
পৌষীর বুকটা কষ্টে ফেটে যেতে চাচ্ছে যেন।ওর মনে হলো ও নিজে এর জন্য দায়ী।
ওর চোখে বর্ষার মেঘ নামলো !
আল্লাহই জানেন,কেমন আছে রাজ।কতটুকু ব্যথা পেয়েছে ও..?পৌষীর হাত পা অসাঢ় হয়ে আসছে।নিজের অবস্থা দেখে নিজেই অবাক হলো!মাত্র কয়েকদিনের সম্পর্ক।অথচ মনে হচ্ছে রাজ ওর জন্মজন্মান্তরের সাথী।ওর কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে পৌষীর বুকে বাজছে।
বড়মামার সামনে নিজেকে সংযত রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে ওকে।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলো পৌষী। হাত দুটো পরস্পর পরস্পরকে চেপে ধরে আছে।
আমজাদ পৌষীর অবস্থা টের পেয়ে ওর মাথায় হাত রাখলেন।
-“ডোন্ট গেট নার্ভাস মাই ডটার।তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্!”
পৌষী ভেজা চোখে মুখ নিচু করে মাথা ঝাঁকালো কেবল! কোনো উত্তর দিতে পারলোনা।ওর মনে হচ্ছে, ও মুখ খুললেই কেঁদে ফেলবে!
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here