স্বামীর অত্যাচার পর্ব ২

(প্লিজ🙏🙏🙏🙏🙏 প্রতিদিন নিত্যনতুন গল্প পড়তে গল্পের শহর চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন যাতে পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই আপনি নোটিফিকেশন পান)
প্লিজ সাবস্ক্রাইব করুন আমার চ্যানেল 💔💔আমি সবসময় ভালো গল্প দেওয়ার চেষ্টা করবো

স্বামীর_অত্যাচার
Part_2

তাহিন ধপ করে ফ্লোরে বসে পরে…….
.
চিৎকার করে কাঁদবে সেই শক্তিটুকু ও যেন নেই……… কি করে নিলয় এমন জানোয়ারের মত অত্যাচার করতে পারে…..মানুষ পশুর সাথে ও তো এমন বিহেভ করে না…..তাহলে নিলয় কি করে এমন করতে পারে…?নিলয়ের ব্যবহারে এতটুকু তো আন্দাজ করতেই পেরেছে নিলয় ওকে ঘৃণা করে……কিন্তু কেন?কারণটা বা কি? কিছুতেই বুঝতে পারতেছেনা…নিলয় কি ওকে ভালবাসে না…..?না,তা কি করে হবে ভালবাসলে তো আর এমন করত না…যদি নাই বা বাসে তাহলে বিয়েটা কেন করছে…?শুধু যেন প্রশ্নের মাঝেই যেন ডুবে আছে……
এতকিছু আর সহ্য করতে পারছেনা না……. এখনো ও তো অনেকটা পথ বাকি …তাহলে সারাজীবন কি ওর ঘৃনা সহ্য করেই বেঁচে থাকতে…? আর যেন কিছু ভাবতেই পারছেনা চোখগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে……..চারিদিক অন্ধকার মনে হচ্ছে………..বসা থেকে উঠতে জ্ঞান হারিয়ে ফ্লোরে নুয়ে পড়ে…….

সকাল গড়িয়ে বিকাল হতে তাহিনের জ্ঞান ফিরে…..আস্তে আস্তে করে চোখ খুলতে নিজেকে বিছানার মধ্যে অাবিষ্কার করল…..রুমের মধ্যে কি করে এল বুঝতেই পারছেনা…..?খুব যত্ন করে কেউ যেন গাঁয়ে চাদরটা ভাল করে মোড়ে দিয়েছে……এত কিছুর পর ও ঠোঁঠের কোণে নিজের অজান্তে একটা হাসি ফু্ঁটে উঠল….চারিদিকে একনজর চোখ বুলিয়ে নিল কিন্তু কাউকেই দেখতে পেল না….মাথাটা কেমন যেন ভার ভার মনে হচ্ছে….তারপরে ও চাদরটা সরিয়ে উঠতে নিলে ব্যাথায় আহহ করে একটা শব্দ করে উঠে……..হাতের দিকে খেয়াল করতে একটু অবাক হয়ে গেল ডান হাতের মধ্যে বেন্ডেজ দেখে…তাহিন নিজে ও জানে না অজ্ঞান হয়ে পরে যাওয়ার সময় কাচের উপর হাত পরে অনেকটা কেটে গেছে……ওর ভাবনা যেন শেষই হচ্ছে না…মাথায় শুধু নিলয়ের কথা ঘুরছে….কেন করছে এসব এত ঘৃনায় যখন করে..?হৃদয় নামে তাহলে কি কিছু একটা আছে…
ঠোঁঠের কোণে সেই হাসিটা রেখে এবার যেন নিলয়কে জালে ফেলার একটা ফন্দি এঁকেই ফেলল মনে মনে ……নিজের সাথে নিজেই বলতে লাগল মিস্টার নিলয় চৌধুরী এমন সময় আসবে আপনি নিজেই আপনার অপারাধের জন্য ক্ষমা চাইবেন….এখন শুধু সেই সময়টার অপেক্ষায়…..একজন স্ত্রী চাইলে কি না পারে এবার সেটা দেখবেন….চাইলে তো চলে যেতে পারি কিন্তু মায়ের কথা ভেবে সেই সিধান্তটা নিতে পারলাম না….আর কবুল বলে যখন আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনেছি…এত সহজে তো ছাড় দিচ্ছি না…..

তখনি নিলয় রুমে ঢুকতে হঠাৎ খেয়াল করে তাহিন বসে বসে নিজের সাথে নিজেই হেসে যাচ্ছে……নিলয় ভ্রু খুচকে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করল…একটু ভেবে কারণটা যেন উদ্ধার করেই ফেলল…নিজে ও ফ্যাক করে একটা বিটকেল হাসি দিয়ে……
এত খুশি না হলে চলবে……ভেবেো না এসব তোমার জন্য করেছি………
আচমকা তাহিন বেশ বড় সড় একটা শক খেল নিলয়ের কথা শুনে…..তবে উত্তরটা যেন আগে থেকে রেড়ি করা ছিল,
;;;আমি তো বলিনি আপনি আমার জন্য করেছেন….এর পিছনে নিশ্চয় কোনো কারণ আছে…..হতে পারে এটা ও আমাকে অত্যাচার করার কোনো প্লেন…
“”””ভালই তো জ্ঞান আছে দেখি…….
;;;;থাকতে তো হবে…….আপনার মত মানুষের সাথে থাকলে গেলে জ্ঞান, বুদ্ধি বিবেক আরো অনেক কিছুর প্রয়োজন……কারন সেটা আপনার নেই….

কথাটা শুনে নিলয়ের মাথায় যেন বাজ পরল…. একটু এগিয়ে গিয়ে তাহিনের গালে খুব জোরে একটা থাপ্পর বসিয়ে দেয়…তাহিন টাল সামলাতে না পেরে খাটের এক কোণায় গিয়ে পড়ে……নিলয় থাপ্পর দেওয়ার পর ও যেন ক্লান্ত হয়নি..আবার বিছানা থেকে উঠিয়ে ওর হাত ধরে টানতে টানতে ড্রাইনিং টেবিলে সামনে নিয়ে এসে একটা চেয়ারের উপর বসিয়ে দিল টেবিল থেকে খাবারের প্যাকেট টা খুলে….তার থেকে বড় সড় একটা ভাতের গ্রাস মেখে জোর করে ওর মুখে ভর্তি করে দিল…….আচমকা এত কিছু হয়ে যাবে ভাবতেই পারেনি.. মূতির মত শুধু চেয়ে আছে…..খাবারগুলা গলা দিয়ে নামছেই না….চিবুতে ও কষ্ট হচ্ছে…….পানির গ্লাস নিতে চাইলে নিলয় সেটা সরিয়ে ফেলে তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে,
;;;কি হল খাও…খুশি হওনি বুঝি? এখন তো আরো বেশি খুশি হওয়ার কথা…..বিকেক আছে বলেই তো খাবারটা নিয়ে আসলাম… এখন খাইয়ে ও দিচ্ছি….নাও খাও এবার সকাল থেকে তো কিছু খাওনি…..

নিলয়ের কথা শুনে মনে হয় সজ্ঞানে ফিরে আসল…কিছু একটা ভেবে অনেক কষ্টে চিবুতে লাগল…..ওর খাওয়ার অবস্থা দেখে নিলয় চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে…এমন কিছু যেন আশাই করেনি তাহিন খুব কষ্টে খাবারটা শেষ করে…..
….কি হল খাওয়ান…
নিলয়ের ঘোরটা যেন কাটছে না……..নিলয়কে চুপ হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবার ও বলল…..
;;;;আরে এভাবে কি দেখছেন…আগে খাওয়ান তো…তারপর না হয় দেখবেন…আপনার হাতের খাবার যে এত মজা হবে ভাবতেই পারেনি…..জানলে তো নিজেই হাতটা কেটে ফেলতাম…আপনি আমাকে প্রতিদিন এভাবে খাইয়ে দিবেন ঠিক আছে…..

এবার তো নিলয় তাহিনের চেয়ে বশি শকড খেল……. রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে….নিজের জালে যে নিজেই ফেসে গেল…বাধ্য হয়ে একের পর এক গ্রাস ওর মুখে পুরে দিচ্ছে….তাহিনের খেতে কষ্ট হচ্ছে তারপরে খেয়ে চলল… ভাবটা দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি……কোনোভাবে খাইয়ে দিয়ে চেয়ারে খুব জোরে একটা লাত্তি মেরে রাগে হনহন করে চলে গেল…..

আয়নায় নিজেকে দেখেছে….আর চোখ থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে পানি বেয়ে পরছে….ঠোঁঠ জোড়া ব্যথায় লাল বর্ন ধারন করেছে…..খাবার খাইয়ে দিয়ে ও যে এমন অত্যাচার করা যায় সেটা যেন জানায় ছিল না…….
ব্যান্ডেজ খুলে গিয়ে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে…..নিলয় টেনে আনার সময় হাতটা এমন ভাবে চেপে ধরেছিল যে ব্যাথাটা অনুভব করতেই পারেনি……..মনের ব্যাথার কাছে এসব যেন তুচ্ছ………

টেবিলে রাখা নিলয়ের ফোন বেজে উঠতে তাহিনের ধ্যান ভাঙে……মুখে একটু পানির ছিটকে মেরে বেসিনের সামনে থেকে সরে গিয়ে ব্যান্ডেজটা আবার পেছিয়ে নিল…এদিকে অনবরত রিং হয়ে যাচ্ছে……যার ফোন সেই যেন কোথায় হারিয়ে গেল….তাহিন বেশ রিরক্তি নিয়ে টেবিলের সামনে গিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে স্ক্রিনে দিকে তাকাতে তনিমার নাম্বার দেখে মনের মধ্যে একরাশ খুশি ভর করল… নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে তাড়াতাড়ি করে রিসভ করে নিল…
;;;হ্যালো আসলামুআলাইকুম আম্মু…
;;;;কেমন আছিস মামুনি…..?
:::;;একদম ঠিক নেই…
তনিমা ঘাবরে গেল তাহিনের এমন জবাব শুনে……
::::ঠিক নেই মানে কি হয়েছে ?…..
:::::…কি করে ঠিক থাকি বল তো সকাল থেকে একবার ও আমার খবর নিয়েছ…বল তো..তোমাকে খুব জ্বালিয়েছিলাম না….তার জন্য তো এতটায় পর করে দিলে….
;;;;;;;;;আমারা মেয়েরা যে পরের ঘরের জন্যই জন্মায়….একদিন না একদিন তো বিদায় দিতেই হত…..কোনো মা কি চাই তার কলিজাকে পর করে দিতে.. কিন্তু বুকে পাথর চাপা দিয়ে সেটা করতে হয়রে মা…এখন বুঝবি না,মা হলে তখন ঠিকিই বুঝবি…তাছাড়া তো নিলয় বাবার মত….
তাহিনা তনিমাকে থামিয়ে দিয়ে….
;;;;আচ্ছা আচ্ছা এবারের মত ক্ষমা করলাম….আর শোনো একদম কান্নাকাটি করবে না বলে দিলাম…নিজের খেয়াল রাখবে হুম…..আমি এসে যদি শুনি নিজের খেয়াল রাখো নায় তাহলে সেটা… এসেই নাহয় দেখাব…..
:::আচ্ছা মা জননী…..

অঝর ধারায় মোবাইল বুকে চেপে কাঁদতে লাগল…..এতক্ষণ হাসিমুখে খুব ভালই অভিনয় করে নিল…তনিমাকে এই প্রথম সত্যিটা বলতে পারল না…বলতই বা কি করে….কষ্টে বুক ফেটে যাচ্চে…..

এর মধ্যে ফোনটা আবার বেজে উঠল….এবার আননোন নাম্বার দেখে রিসিভ করেনি……চোখ মুছে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাধ্য হয়ে রুমের দিকে যেতে হল…..নিলয় রাগে হনহন করে তখন মোবাইলটা না নিয়েই সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গিয়েছিল….

তাহিন আস্তে আস্তে করে রুমের ভিতরে পা রাখতেই যেন ঘাবরে উঠল…রুমের নাজেহাল অবস্থা দেখে…..রুমের বেশ অর্ধেক জিনিস ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে পড়ে আছে…..নিলয় যেন রাগটা রুমের একটা একটা জিনিসের উপর দেখাল……কিন্তু নিলয় রুমেের কোথাও নেই….তাহিন নিলয়কে না দেখে রুম থেকে বের হতে ধুপ করে ওয়াশরুমে দরজার খুলে কেউ যেন বের হল……ঘুরে তাকাতেই তাহিনের চোখ কপালে উঠে গেল…উন্মুক্ত শরীল পরনে শুধু একটা টাওয়াল………বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে ওর বুকের উপর….লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিল……রাগ কমাতে এই শীতের সন্ধ্যায় শাওয়ারটা নিতে ও যেন পিছপা হল না… নিলয় ওর সামনে এসে একটা তুরি মেরে…..
;;রুমটা পাঁচ মিনিটের ভিতর পরিষ্কার চাই..
কথাটা শুনে তাহিন এবার নিলয়ের দিকে তাকিয়ে……এমন কথা বলল নিলয়ের মাথার উপর যেন একটা পর একটা বাজ পরল……

;;; দিতেই পারি যদি আপনি ও আমায় হেল্প করেন……

নিলয় রেগে তাহিনের হাত পিছনে মুড়ে ধরে…
;;;কি বললে তুমি আমি তোমাকে হেল্প করব…….

নিলয় এবার কেন যেন খুব জোরে চেপে ধরেনি…..তারপরে ও তাহিন….
;;;আমার লাগছে ছাড়ুন বলছি..
তাতে অসুবিধা….বলেই ঘাড় ঘুরাতেই জোরে একটা চিৎকার করে নিলয়ের পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়…আর দুহাত দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে……..
তাহিনের এমন আচারণের কারণ উদ্ধার করতে গিয়ে নিলয় ও চিৎকার করে উঠে…….নিলয়ের চিৎকার শুনে তাহিনের চিৎকার যেন থেমে যায়…যে ছেলে মেয়ে মানুষকে ভয় পাই না সে কিনা সামান্যা একটা ইদুরের বাচ্চাকে ভয় পাচ্ছে…এটা ভাবতেই তাহিনের হাসি পাচ্ছে….সব ভুলে একটু হেসেই ফেলল…..নিলয় হঠাৎ করে নিজের অজান্তে তাহিনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে……..তাহিনেের অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে….যেমনটা আগে একবার হয়েছিল…. বিয়ের আগে নিলয়ের সাথে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল শুধু…আর সেই প্রথম দেখাতে অজানা একটা অনুভূতি ফিল করেছিল….আজ যেন আবার সেই অনুভূতিটা খুঁজে পেল…তার মধ্যে নিলয় আবার খালি গায়ে…….তাহিন একটু নড়ে উঠতেই নিলয় ওকে এক ঝটকায় সরিয়ে সোপায় উপর উঠে দাঁড়ায়…..তাহিনের বেশ হাসি পাচ্ছে……ইদুরটাকে যেন এখন বেশ কিউট লাগছে……
নিলয় রেগে মেগে চিৎকার করে…
তুমি নিশ্চয় জানতে পেরেছ ইদুরে আমার ফোবিয়া আছে..তার জন্য তুমি এটা করেছ, না…এক্ষুণি বাইরে ফেল বলছি…..
;;;আপনার কি মাথা খারাপ আমি কেন রাখতে যাব…..
;;;;তা না হলে এই ঘরে ইদুর আসবে কোথেকে….ইদুরের পাকা আছে নাকি উড়ে উড়ে আসবে….
;;;;;যে ঘরে আপনার মত মানুষ থাকে সেই ঘরে ইদুর তো আসবেই……
;;;;;হোয়াট…..?
;;;;না কিছু না…..
;;;ভালই ভালই বাইরে ফেল আস বলছি……
;;;আর যাই করি না কেন এটা করতে পারব না…..
;;;তাহলে কি সারারাত এভাবে দাড়িয়ে থাকব…..

;;;সেটা আপনার ইচ্ছা….
তবে করে দিতে পারি শুধু আমার একটা শর্ত আছে.. যদি আপনি রাজি থাকেন….
;;;;কি?
;;;;আগে রাজি কিনা বলেন…..

নিলয় এখন যেন সব শর্তেই রাজি…তাহিনের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল রাজি…..
;;;;পরে কিন্তু না করতে পারবেন না…
;;;;;বললাম তো সব শর্তে রাজি….
:::::তাহলে ঘরের জিনিসপত্র গোছাতে আমাকে সাহায্য করতে হবে….
;;;;;হোয়াট…..?
;;;;;হোয়াট না বলেন হুম….

;;;;;ওকে ওকে ফাইন……

;;;;;তাহিন এবার ইদুরকে বের করার মিশনে নেমে পরল… প্রায় অাধ ঘন্টা পর অনেক কষ্টে ইদুরের বাচ্চাটাকে বাইরে বের করতে সফল হল….ইচ্ছে করছিল ইদুরের বাচ্চাটাকে একটু আদর করে দিতে….ইদুরটা যে ওর বড্ড উপকার করল… কিন্তু ভয়ের কারনে সেটা করতে পারল না…….

নিলয় একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে ওভারড্রপ থেকে টাওজার আর টিশার্টা বের করে পরে নিল….তারপর গাড়ির চাবি নিয়ে বের হতে…..
তাহিন বলে উঠল….
;;;;আপনার শর্তটা কি ছিল ভুলে গেছেন….নাকি মনে করিয়ে দিতে হবে
নিলয় একটা হাসি দিয়ে…কিসের শর্ত আমার ঠিক মনে নেই…….
কথাটা শুনে তাহিনের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে…কিসের শর্ত মানে….ইদুরের বাচ্চাটাকে বাইরে ফেলে দিলে আপনি আমায় জিনিসপত্র গুছাতে সাহায্য করার কথা বলেছেন…..
;;;;ওটা তো তুমি আমার জন্য ফেলনি… নিজে ইদুরকে ভয় পাও তাই এটা করেছ…..
সো রুমটা নিজেই পরিষ্কার করে নাও…..
তাহিন কিছু বলতে যাবে নিলয় রাগি চোখ নিয়ে…..
;;;বেশি কথা না বলে নিজের কাজ কর….
তাহিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় চাবিটা আঙুলের মধ্যে ঘোরাতে ঘোরাতে বের হয়ে গেল……

রাগে ইচ্ছে করছে কয়েকটা ইদুর এনে ওর মাথায় ঢেলে দিতে…..

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here