হাওয়ায় ভাসা উড়ো চিঠি পর্ব -০১

অসুস্থ স্ত্রী কে সামনে রেখে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী আবৃত্তিকে ঘরে তুলল উন্মেষ! চার পাশে চলছে তুমুল হৈ চৈ। কিয়ৎক্ষন পূর্বে ও সম্পর্কে আবৃত্তি ছিল তার শালিকা(আপন নয়)। আর এখন দ্বিতীয় স্ত্রী! শাড়ির আঁচলটা মাটি ছুঁই ছুঁই। আবৃত্তিকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করছে উন্মেষ। ক্র্যাচ এ ভর করে লিভিং রুমে এল উন্মেষের প্রথম স্ত্রী লেখা। চোখ দুটো পানিতে ডুবে আছে। লেখার কাছে এল আবৃত্তি। মুখ টা শুকনো দেখাল। কিছু বলার জন্য ব্যাকুল হতেই লেখা বলল, “ফ্রেস হয়ে ঘরে যা। আমি খাবার পাঠাতে বলছি।”

“আপু তোর সাথে আমার কথা আছে।”

“কোনো কথা নয় আবৃত্তি। সারাদিনের ধকলে কেমন নেতিয়ে পড়েছিস। ঘরে যা ফ্রেস হয়ে নে তারপর সব কথা হবে।”

লাল চোখে তাকিয়ে আছে উন্মেষ। লেখা ওর দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। অন্য দিন হলে এগিয়ে যেত না হয়। তবে আজ যাবে না সে। কেন এমন প্রতিশ্রুতি করাল লেখা? কোন স্ত্রী স্ব ইচ্ছেতে নিজের সতীন ঘরে আনে? তা ও সেই মেয়ে যদি হয় নিজের ই বোন!
“কি গো দাঁড়িয়ে আছ কেন। এতটা পথ এসেছ। নিশ্চয়ই শরীর খারাপ লাগছে। আমি লেবু পানি পাঠিয়ে দিচ্ছি।”

ক্র্যাচ এ ভর করে কয়েক পা এগোল লেখা। পেছন থেকে অসহিষ্ণু কন্ঠে শুধাল উন্মেষ।
“কেন এমন করলে লেখা?”

“এত প্রশ্ন করো না তো উন্মেষ। সর্বদা বেশি কথা বলো তুমি।”

“আমার প্রশ্নের উত্তর দাও লেখা।”

“প্লিজ। আমি বলেছি তো এই বিষয়ে আর কথা হবে না আমাদের। সব ভেবেই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।”

সামান্য থামল লেখা। পরমুহূর্তেই বলা শুরু করল,”দেখ উন্মেষ আমি আজ আছি কাল নেই। তুমি আমাকে খুব ভালোবাসো সেটা বলার বাহিরে রাখে না। তবে আকাশে থাকা অবিনশ্বর আমার সময় কেড়ে নিয়েছেন। তোমার সঙ্গী প্রয়োজন হবে।”

“ভুল ভাবনা তোমার। আমার প্রয়োজন ছিল না কাউকে।”

“আছে প্রয়োজন। দেখ মাত্র ই নতুন বউ ঘরে এসেছে। যদি এসব শুনে তো কেমনটা হবে তখন! ”

উন্মেষের অক্ষিদ্বয় থেকে গাল বেয়ে নেমে গেল দু ফোঁটা অশ্রু। ক্র্যাচ এ ভর করে খট খট শব্দে চলে গেল লেখা। এখনো কত কাজ বাকি। কে জানে বাসরটা সাজানো হলো নাকি। নতুন বউ এল আর বাসর হবে না?

বুক থেকে শাড়িটা সরিয়ে ফেলল আবৃত্তি। ঠান্ডা শীতল পানির স্পর্শে কেঁপে উঠছে সে। কি থেকে কি হয়ে গেল! শেষে কি না নিজের ই বোনের হাসবেন্ড কে বিয়ে করতে হলো! চোখ দুটো নিষ্প্রাণ। শরীরে হালকা ক্ষত, পানির সংস্পর্শে জ্বালা করছে। বাথরুমের দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ হতে শুরু করেছে। ঝর্না বন্ধ করতেই বুঝতে পারল উন্মেষ এর বোন উষা। তাই বলল,”পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করো উষা। হয়ে গেছে আমার।”

“আচ্ছা ছোট ভাবি।”

ভাবি! কেঁপে উঠল অন্তকর্ন। বুকের ভেতর ধীম ধীম শব্দ হতে শুরু করেছে। তবে কি সত্যিই কিছু মুহূর্ত পূর্বে উন্মেষের সাথে বিয়ে হয়েছে তার? কিছু সময় কেঁটে গেল। আবার দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ। জামা চেঞ্জ করে বের হলো আবৃত্তি। চুলের আগা থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে। সদ্য বিয়ে হয়েছে যে সেই লেশ নামে মাত্র নেই। উষা কিছু গহনা দিয়ে বলল, “এগুলো আম্মু দিল। বলল যে বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী বাসর রাতে বউকে এই অলঙ্কার পরতে হয়। আর এই অলঙ্কার খুলে দিতে পারে শুধুই তার স্বামী।”

“উষা,আন্টি কে বলো এসব রিচুয়াল পালন করার দরকার নেই।”

“লাভ নেই ছোট ভাবি। আম্মু শুনছে না কিছুই। এসব না করলে নাকি ভাইয়ার ক্ষতি হবে। হয়ত আম্মু তোমার উপর রেগে আছেন। তবে সে তো চায় না তার ছেলের ক্ষতি।”

“আমার এসব ভালো লাগে না।”

মিনমিনে কথায় আর কি যেন বলল আবৃত্তি। উষা নিজে ও খুশি নয় এই বিয়েতে। এমন কখনো হয় নাকি! হয়ত এরা আপন বোন নয় তবে বোন তো। আর সেই দুই বোনের স্বামী নাকি একজন! ভাবতেই কেমন কাঁটা দেয় শরীর। ম রে গেলে ও উষা এমন হতে পারবে না। সব কিছুর ভাগ হয় তবে স্বামীর ভাগ হয় না কোনো ক্রমেই।

উষা চলে যেতেই ভেজা চুল মেলে দিয়ে শাড়ির আঁচল টেনে নিল আবৃত্তি। এই বাসায় অবস্থান করার অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ও উন্মেষের দেখা নেই। ছেলেটা বিয়ের দায়িত্ব পালন করেই লাপাত্তা! একটি বার খোঁজ ও নিল না। হতাশ ভঙ্গিতে আয়নার কাছে এল সে। চুলের আগা থেকে আবারো পানি পড়ছে টপটপ করে। বিরক্ত হলো মেয়েটি। তোয়ালে দিয়ে মুছে নিল চুল। কান ঘেঁষে এক গাছি চুল মেলে দিয়ে বের হলো কক্ষ থেকে। কিছু দূর যাওয়ার পর ই উষা এসে হাজির। “মাথায় ঘোমটা দিবে না ছোট ভাবি?”

“ঘোমটা কেন?”

“সেকি। নতুন বউরা ঘোমটা দেয় জানো না? বড় ভাবি যখন এসেছিল তখন তো ঘোমটা দিয়েই ছিল সব সময়।”

“আপু আর আমি কি এক হলাম উষা? আমাদের বিয়েটা ও তো স্বাভাবিক নয়। এত অস্বাভাবিক এর মধ্যে রিচুয়াল মানার কি প্রয়োজন?”

কথা শেষ করতে করতে অন্যমনষ্ক হয়ে গেল আবৃত্তি। উষার ছোট মাথায় এত কঠিন আলোচনা আসে না। মেয়েটি আবৃত্তিকে নিয়ে চলে আসে। নিচে আসতেই উন্মেষকে চোখে পড়ল। ছেলেটা একবার ফিরে ও তাকাল না ওর দিকে! প্রথমে বুকের বা পাশটা মোচর দিয়ে উঠলে ও খানিক বাদে স্বাভাবিক হয়ে গেল আবৃত্তি। মাঝে মাঝে মেয়েটি ভুলে বসে এই বিয়েটাই স্বাভাবিক না। অদ্ভুত লাগে ওর। শেষ মেশ উন্মেষ কেই বিয়ে করতে হলো!

“উষা ওকে বল মাথায় ঘোমটা দিতে। বাড়ির গুরুজন’রা বসে আছে।”

দিতিয়ার কথায় ঘোর ফিরে আবৃত্তির। ভদ্র মহিলা টেবিল গোছাতে ব্যস্ত। আবৃত্তির কোনো হেলদোল না দেখে উষা নিজ থেকেই মাথায় ঘোমটা টেনে দিল। তবু প্রতিক্রিয়া নেই আবৃত্তির। দিতিয়ার পানে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল সে। গত কয়েক দিন কত রকম কথা শুনিয়েছেন দিতিয়া। বোনের সংসার ভাঙছে,বোনের বর কে কেড়ে নিচ্ছে,বাজে মেয়ে মানুষ আরো কত রকম কথাই না শুনতে হলো কিছু দিন যাবত। অথচ আবৃত্তি এই বিয়েটা করতে চায় নি কখনোই। লেখার জোরাজুরিতেই তো সম্মতি। তবে ভবিষ্যৎ যে খুব সুখকর না সে বিষয়ে অবগত রইল সে। লেখার হাতে সময় নেই। ডাক্তার বলেছেন আর তো কয়েক মাস। এর মাঝেই হয়ত শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবে লেখা। উন্মেষ কে প্রচন্ড ভালোবাসে মেয়েটি। কিছু দিন আগেই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবৃত্তির সাথে উন্মেষ এর আবার বিয়ে দিবে। কারন অন্য কোনো মেয়ের সান্নিধ্য সহ্য হবে না ওর। অথচ উন্মেষ এর কথা ছিল তুমি না থাকলে ও আমি কখনো অন্য মেয়েকে বিয়ে করব না। তুমিই আমার জীবনের শেষ নারী। হেসে ছিল লেখা। উন্মেষ তাকে কতই না ভালোবাসে। অথচ এই ধরায় ওর সময় নেই। সৃষ্টিকর্তা কেন এত নিষ্ঠুর হলেন ওর প্রতি? আরও কিছু সময় কেন দিলেন না তিনি। মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়। পরক্ষণেই মনে পড়ে এই পৃথিবীতে পাঠানোর কোনো না কোনো উদ্দেশ্য আর প্রাপ্তি থাকে। হয়ত সে উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয়েছে। তাছাড়া প্রাপ্তি স্বরূপ উন্মেষ এর স্ত্রী হবার সুযোগ দিয়েছেন অবিনশ্বর। এর থেকে বড় পাওয়া আর কিই বা হতে পারে?

ক্র্যাচে ভর করে এগিয়ে আসে লেখা। চলতে কষ্ট হয় দেখে দিতিয়া দু হাতে আগলে নেয়। আবৃত্তি নড়েচড়ে উঠে। এই পরিবারে লেখার স্থানটা মোটেও ক্ষণস্থায়ী নয়। হঠাৎ ই মনে হয় আবৃত্তি কখনোই পারবে না এ পরিবারের মন জোগাতে। যে ভরসায় লেখা ওকে রেখে যাচ্ছে সেটা হয়ত সম্ভব নয় কোনো কালেই। মনের ভেতর খচখচ করে উঠে। দিতিয়ার সাহায্যে আবৃত্তির সন্নিকটে আসে লেখা। ক্র্যাচে এক হাত রেখে অন্য হাতটা ঠেকায় আবৃত্তির গালে। “মন খারাপ?”

“না। তেমন কিছু না। অসুস্থ শরীর নিয়ে বার বার কেন আসছিস আপু?”

“অসুস্থতা তো থাকবেই। বসে থাকলে কি ভালো হয়ে যাব?”

“তবু তুই…।”

“লেখা সবাই এসে গেছে। খেতে এসো।”

দিতায়ার কণ্ঠ। লেখা তাগাদা দিয়ে বলল,
“এখন চল। তোর প্রিয় সব খাবার,রান্না করেছি আজ।”

“তুই রান্না করেছিস!”

“হুম। তুই আমার জন্যে এতটা করলি আর আমি একটু রান্না করে খাওয়াব না?”

হতাশ চোখে তাকাল আবৃত্তি। গাল বেয়ে দু ফোঁটা নোনা জল গড়াল। হাতের তালু তে তা মুছে নিয়ে লেখা কে চলতে সাহায্য করল সে। ডাইনিং এ উপস্থিত প্রায় সকলে। শুধু নেই উন্মেষ। লেখার অসহিষ্ণু কণ্ঠ। “মা উন্মেষ কে দেখতে পাচ্ছি না যে।”

“পরে খাবে বলেছে।”

“সেটা কি করে হয়। নতুন বউ কে রেখে পরে খাবে! উষা আমাকে তোর ভাইয়ার কাছে নিয়ে যা তো।”

সকলে চুপ।লেখার কান্ড গুলো খুব বেশি হতাশাজনক। তবু মেয়েটির মুখের উপর কথা বলে না কেউ। আবৃত্তি বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করল। তবে লেখা শুনল না কোনো কথাই।

অন্ধকার লাইব্রেরিটা তে চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছিল উন্মেষ। ঠিক তখনি লেখা এসে দাঁড়াল পাশে। মেয়েটির উপস্থিতি অনুভব করে উন্মেষ তাকায়। কোটরে ঢুকে যাওয়া চোখ গুলো আঁধার আলোতে ভয়ঙ্কর আর বিধ্বস্ত দেখায়। লেখা মৃদু হাসে। “তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?”

“কেমন দেখাচ্ছে?”

“অগোছালো লাগে ভীষণ। চুল গুলো এমন এলেবেলে হয়ে গেছে কেন বলো তো?”

হাতের সাহায্যে উন্মেষের চুল গুলো গুছিয়ে দিতে লাগল লেখা। মেয়েটি চুলে হাত গলিয়ে দিতেই শান্তি এসে স্পর্শ করে। আলগোছে কোমর জড়িয়ে কাছে টানে উন্মেষ। লেখা আহত দৃষ্টি তে বলে, “এখন রোম্যান্স করার সময় বুঝি?”

“তাহলে কখন হবে সময়?”

“উঠ তুমি। খেতে যাও নি কেন? আর নতুন বউ কে রেখে বসে আছ এই আঁধারে। কি ভাববে সবাই বলো তো!”

“যা ইচ্ছে ভাবুক। আমি এখন যাব না। তুমি বসো আমার পাশে।”

“আহা বুঝতে পারছ না তুমি। অনেক রাত হয়ে গেছে। বাসর সাজিয়েছি সেটা ও দেখলে না।”

“পরে দেখব। তুমি বসো স্থির হয়ে।”

“নতুন বউ যে একা।”

“থাকুক। কথা বলো না প্লিজ।”

লেখার পেট বরাবর চুমু খায় উন্মেষ। বিয়ের তিন বছর হলে ও মানুষটার স্পর্শে কেমন শিহরন জাগে ওর। মোচড়াতে থাকে শরীর। অশান্ত হয় বুক। লেখার এমন করুণ দশায় বিরক্ত হয়ে উন্মেষ বলে,”নড়ো কেন। একটু চুপ করে বসো।”

“অনেক হয়েছে। এবার প্লিজ ছাড়ো। নতুন বউ রেখে তুমি বসে আছ! না জানি কি সব ভাবনা জেগেছে সবার। এখন ডিনার না করলে বাসর হবে কখন?”

আচানাক রেগে গেল উন্মেষ। “তখন থেকে একি কথা বলছ! পাগল মনে হয় আমাকে? বিয়ে করালে জোর করে। এখন আবার বাসর সাজিয়েছ! এসব কি লেখা? আমাকে নিয়ে সার্কাস বানাচ্ছো তুমি? কেন করছো এসব। বলেছি না কাউ কে চাই না আমার। তোমার স্মৃতি নিয়েই কাঁটিয়ে দিব আমি। তবু কেন এমন করলে।”

ধমকে চোখে জল চলে আসে লেখার। উন্মেষ অনুতপ্ত হয়। দু হাতে চোখের জল মুছিয়ে বলে, “ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড। আমি ও তো একজন মানুষ।”

হিচকি উঠে যায় লেখার। দরজার কাছটায় আবৃত্তি দাঁড়িয়ে,”আপু সবাই বসে আছে।”

“দাঁড়া, ওকে নিয়ে আসছি।”

উন্মেষ বুঝে যায় একে বুঝিয়ে লাভ নেই। আলগোছে কপালে চুমু একে দেয় উন্মেষ। গলা জড়িয়ে ধরে হাঁটতে শুরু করে।

খাবারের টেবিলে আর কোনো কথা হলো না। দিতিয়া গত কয়েক দিন বেশ রাগ দেখিয়েছেন। এদিক থেকে মৌন ছিলেন উন্মেষ এর বাবা আলমাস সাহেব। ভদ্র লোক একদম ই নীরব দর্শক। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি ও হয়েছে বেশ।

আবৃত্তিকে বসিয়ে দিয়ে গেল লেখা। যাওয়ার পূর্বে বলল কাঁচা ফুল বেশ পছন্দ করে উন্মেষ। বিশেষ করে বেলি ফুল। তাই এক পাশের ফুলদানিতে বেলি ফুল রাখা হয়েছে। উন্মেষ এলে যেন তাকে সেই ফুল দেওয়া হয়। এসব কথাতে ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিল আবৃত্তির। মনে হচ্ছিল মাটির নিচে ঢুকে যেতে। লেখা আর ও কিছু কথা বলেছে। সেসব আমলে নিল না আবৃত্তি। ওর মন চাইছে পালিয়ে যেতে। গত রাতে ও যে মানুষটি কে বোনের হাসবেন্ড বলে জেনেছে সেই মানুষটি আজ ওর বর! আর সেই বোন ওকে বসিয়ে গেল নিজের স্বামীর বাসর সঙ্গী হতে! গা ঘিন ঘিন করে উঠে আবৃত্তির। বেডে বসে থেকে হাত পা অবশ হয়ে আসে। অস্থির হয়ে যায় সে। চার পাশে চোখ বুলাতেই দেখে পুরো ঘর জুড়ে উন্মেষ এর ছবি লাগানো। সব গুলো ছবি তেই দারুণ লাগছে মানুষটাকে। আবৃত্তি চোখ সরিয়ে নেয়। ঘড়িতে এখন রাত দুটো বাজে। অপেক্ষা করতে ইচ্ছে হলো না আর। তবু ও চেষ্টা করল আরো কিছুক্ষণ। রাত যখন তিন টে তখন আবৃত্তি শতভাগ নিশ্চিত উন্মেষ আসবে না। গলা ধরে আসল মেয়েটির। আলগোছে চোখ বুজল। তবে কান্না সেটা কি করে থামাবে?

চলবে….
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি
#হাওয়ায়_ভাসা_উড়ো_চিঠি (১)

**বাজে মন্তব্য না করার অনুরোধ। কাহিনী বেশ বাকি।**

ছবি: ইন্টারনেট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here