King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ২

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-2
শীতলঃকান্না করতে করতে বলল -, আপনি একটা জঘন্য, শয়তান , মেয়ে কাছে পেয়ে কন্ট্রোল হচ্ছে না?

শীতলের এর এ কথা শুনে মাথায় রক্ত চেপে গেল।শীতলের কোমড়ে চারটা নখ বসিয়ে দিল চাপ দিয়ে। লেহেঙ্গা সাথে ওড়নাটা কোমড়ের অংশ টা সরে যাওয়ায় সরাসরি কোমরে নখ বসে গেল।ব্যথায় শীতল চিৎকার করে উঠল।

—-নেক্সট টাইম বি কেয়ারফুল।আমি সব সহ্য করব, বাট এইসব এসকিউজড না।

শীতলঃছাড়ুন, লাগছে আমার।

আরাভ শীতল দিকে তাকাল।কান্না করতে করতে মুখ লাল হয়ে গেছে। শীতল দাতেঁ দাতঁ চেপে আছে শক্ত করে।

আরাভ ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে সরে গেল।শীতল ঠাস করেই নিচে বসে গেল। পেটের কাপড় টা সরিয়ে দেখল জায়গা টা নখের অনেকটা গর্ত হয়ে গেছে, আর রক্ত বের হচ্ছে। প্রচন্ড জ্বলছে জায়গা টা, শীতল হাত দিয়ে ধরে আছে।

আরাভঃ উঠুন এখন, আর আমার সাথে আসুন।

শীতল করুন চোখে বলল

—কোথায় যাবো?

আরাভঃউঠুন আর আমাকে ফলো করুন প্রশ্ন না করে।

শীতল আরাভ সাথে কোথাও যেতে চাইছে না।তবু এক প্রকার বাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

আরাভ আগে আগে হেটে সামনে দিকে যাচ্ছে পিছন পিছনে শীতল হাঁটা চেষ্টা করছে। শরীর কান্ত থাকায় মাথা কেমন যেনো ঘুরেছে।মাথা আর শরীর অবশ হয়ে আসছে।প্রচন্ড শরীর ব্যাথা আর মাথার ব্যাথায় খারাপ লাগছে।হঠ্যাৎ মাথা ঘুরে নিচে পড়ে গেলো শীতল।

পিছন থেকে ধুম করে পড়ে যাওয়ার শব্দ হল জোরে।

হাতের বাহু ধরে কয়েকবার ঝাকাতেই শীতল আরাভ হাতের উপর কাত হয়ে ঢলে পড়ে গেল।

আরাভঃ হেই মিস, হেই, হ্যালো, শুনছেন?
নাহ কোন সাড়া শব্দ নেই, এটা যে অভিনয় না টের পাওয়া যাচ্ছে কপালে কেটে রক্ত বের হয়ে আসছে।

আরাভ পাজকোলা করে দ্রুত হেটে ভেতরে যাচ্ছে। কিন্তু আলোর কাছাকাছি আসতেই দেখল, লেহেঙ্গা পায়ের অনেকটা উপরে উঠে ফর্সা পায়ের খানিক অংশ দেখা যাচ্ছে। শরীরের কাপড় ঠিক নেই।আরাভ চিৎকার করে সবাই কে বলো বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিতে লাইট পাওয়ার হালকা করে দেও সব। কোন লাইট যেন না জ্বলে। শুধু হাটা চলার জন্য আবছা হালকা আলো থাকে।
সাথে সাথে সব আলো আবছা করে দিল।মিষ্টি চাদের আলোয় দু’জন মানব-মানবীর মুখ বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালোই।

আরাভ দ্রুত পায়ে সিড়ি বেয়ে ওপরে শীতল কে নিয়ে রুমে চলে আসল। বিছানায় শুইয়ে দিতেই শীতল গরম নিশ্বাস ফেলল আরাভে মুখের ওপর। আরাভ শীতল হাতের উপর হাতটা পড়তেই কেমন যেন লাগল।পেটের কাছ থেকে ওড়নাটা একদম সরে গেছে। পেটের সবটা ই দেখা যাচ্ছে সেখান দিয়ে।আরাভ ভেতরে কেমন উশখুশ করছে।শীতল হাত ছেড়ে দূরে সরে বেলকনিতে দাড়ালো।কখনো কোনো মেয়ে এত কাছে যায়নি আজ শীতল কাছে যেতে কেমন পাগল পাগল লাগছে নিজেকে।কোনো রকম কন্ট্রোল করে ভদ্রতারখাতির করে সেইটুক টেনে ঢেকে দিল একটা কম্বল দিয়ে।

খারাপ ও লাগছে আবার নিজের ইগো তে লাগছে, সে কেন কিছু করবে। কিন্তু শীতল মুখ টা, কি আছে এটায় আরাভ ভেবে পায় না। কেনো বারবার ওই মুখটা টানে আরাভ কে এত কোমল নিষ্পাপ কেন?
বেশি সময় দাড়াতে পারল না সেখানে।
নিচে এসে দুজন মহিলাকে কে ডেকে শীতল কাপড় পরিবর্তন করে দিতে বলো।কারন কাপড় ধুলোময়লা মাখা ছিলো তার ওপরে আরাভ শীতলে গায়ে পানি মেরেছিলো জ্ঞান ফিরাতে।ডক্টর কে ফোন করে বাসায় আসতে বলো।
ডক্টর এসে চেকাপ করে গেলো শরীর দূর্বল থাকায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।কিছুক্ষণ মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে।বাহিরে দুজন কে পাহাড়ায় তে রেখেছে। কিছু হলে যেন ওকে খবর দেওয়া হয়।

সারদিন এর ধকল পার করে আরাভ বিছানায় গা এলিয়ে দিল। ক্লান্ত থাকায় অল্প কিছুক্ষনের ভেতর চোখ লেগে আসল। চোখ লেগে আসতেই শীতলের চেহারা ভেসে উঠল। এতটা কাছে তো কাউকে টানা হয় নি কখনো। ক্লাবে, বারে যতবার গিয়েছে, হাজার নারী তাকে আকর্ষণ করেছে, কিন্তু কারো দিকে কখনো চোখ লাগে নি। কিন্তু আজ কি হল, চোখ টা সাথে সাথে খুলে গেল।শীতল ফর্সা পেটের খানিক অংশ টা যেন একটু আগে চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে ছিল, আর আরাভ হাত বাড়িয়ে সেখানে ছুয়ে দিতে চেয়েছিল। এ কেমন বিচলিত হচ্ছে সে বারবার। গলা শুকিয়ে আসছে।

টেবিলের পাশে রাখা গ্লাস টা থেকে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিল। বিছানায় আবার হেলান দিল।কিন্তু ঘুরে ফিরে ওই একটা জিনিস বারবার চোখের সামনে ভাসছে। রাগ উঠে যাচ্ছে নিজের উপর। বিছানা থেকে নেমে, পাশের ছোট রুমে গেল।
আরাভ রুমের সাথে এটাচড ব্যায়ামের জন্য আলাদা একটা রুম আছে।আর ওখানেই প্রায় সকাল কাটে আরাভের।স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।তাই তো এতো ফিট বডি।”

আরাভ কানে হেডফোন লাগিয়ে ওর ট্রিডমিলে দৌড়াচ্ছে যাতে ক্লান্ত হলে ঘুম আসে তাড়াতাড়ি। কিন্তু কি আশ্চর্য বারবার শীতল অজ্ঞান হওয়া দৃশ্য টা মনে আসছে৷বিরক্তির শেষ সীমায় পৌছে গেল।
নিজেকে কোনোভাবে শান্ত করতে না পেরে শীতল কে যেই রুমে রেখেছে সেখানে চলে এলো।

খাটে নিশ্চিতে শুইয়ে আছে শীতল।ঠান্ডা বাতাস এসে শীতল মুখের ওপরের চুল গুলো সরিয়ে দিলো।আরাভ নেশাভরা চোখে শীতল কে দেখে যাচ্ছে।শীতল মাথার কাছে বসে পড়লো।কি আছে এই মুখে বারবার কেনো টানছে এই মুখ।শীতল মুখের কাছে মুখ নিতেই আরাভ নিশ্বাস শীতলের মুখের ওপর পড়লো।আরাভ ঠোঁট দুটো বিষণ কাপছে গলায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।নিজেকে বড্ড তৃষ্ণাময় লাগছে।আরাভ নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলো না।নিজের মনে মধ্যে থাকা চাওয়াটা পূরণ করে ফেলো।শীতলে কপালে নিজের ওষ্ঠদ্বয় দিয়ে ছুয়ে দিলো।হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো।বুকের ভিতর ঢিপঢিপ আওয়াজ হাজারগুন হতে লাগল।এক ঢোক গিলে শীতলে মুখপানে তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে অস্পষ্ট স্বরে বলো “মায়াবিনী।”আরাভ এর মায়াবিনী হবে তুমি আসবে হৃদস্পন্দনের টানে বুকের বা পাশটাতে।

No gifts received
Can’t go to any store,
Not found under any tree,
It’s just available,
Remember the people of true love.

আরাভ শীতলে কোমড়ে যে জায়গা কামচে ধরে ছিলো সেখানে ওষুধ লাগিয়ে দিলো।
******

কনিকা আরাভের ডুবলিকেট বাড়িতে এসেছে মেয়েকে নেওয়ার জন্য।আরাভ নিচে এসে শীতল মায়ের বরাবর বসলো।মিসেস কনিকা শীতল নিয়ে যাওয়ার কথায় বলে আরাভ বুকখানি কেঁপে উঠলো।

ওকে কোথা ও নিবেননা।ভারী কন্ঠে বলে উঠলো আরাভ।

কনিকাঃকি বলছো বাবা? কেন নিবোনা আমার মেয়েকে?কিছুটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন মিসেস কনিকা মির্জা।

আরাভঃও এখানে থাকবে আমার কাছে।
দেখেন একদিন না একদিন ওকে বিয়ে দিতে হবে। আর সেটা আমার সাথে বিয়ে দিবেন।তাই আমার সাথে বিয়ে হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবে ও।

বিয়ে?অবাক হয়ে গেলেন মিসেস কনিকা।

আরাভঃইয়েস।ওকে পছন্দ হয়েছে আমার।আর আপনার স্বামী জনাব আরমান মির্জা নিজের মেয়ে বলি যে কোনো মূহুতে চড়াতে পারেন।এখন নজর ওর ওপরে থাকবে ২৪ ঘণ্টা।বাবা হয়ে মেয়ে কে নিয়ে জঘন্য কথা বলতে যার মুখে বাদে না সে সবই করতে পারে। আপনাদের সাথে পাঠালে রিস্ক বাড়বে।আমার কাছে সেফ থাকবে ও।
আর আমি বলছিনা যে আপনি ওর সাথে একেবারেই দেখা করতে পারবেননা।যখন দেখা করতে চাইবেন আমাকে জানিয়ে দেবেন।

কনিকা মির্জা আরাভ কথা যুক্তি আছে ভেবে উনি চুপ রইলেন।

কনিকাঃকিন্তু শীতল কি এখানে থাকতে চাইবে? ওহ তো ওর বাবা কে পাগল মতো ভালোবাসে।তুমি ওকে এখানে আটকে রাখতে পারবে না।আর আরমান মির্জা শীতল তোমার এখানে জানতে পারলে লঙ্কা কান্ড হবে।শএু বাড়িতে মেয়ে আছে জানতে পারলে মুখ বুঝে নিশ্চয় চুপ করবে না। কিছু করার চেষ্টা করবে।

———-
মির্জা মন্জিলে আরমান মির্জা পাগলা কুকুর মতো করছে। শএু বাড়িতে মেয়ে আছে সেটা ফোন দিয়ে আরাভ খান নিজে বলেছে।তখন থেকে মির্জা মন্জিল এসে ভাঙচুর চিৎকার চেঁচামেচি করছে। আর মিসেস কনিকার গায়ে হাত তুলেছেন। রক্তাক্ত করেছে নিজের স্ত্রী কে।একের পর এক সব প্লান ভেস্তে দিচ্ছে এই আরাভ খান।আবার এখন নাকি মেয়ে সেই আরাভ খানের কাছে।রাগে শরীর জ্বলছে আরমান মির্জা।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here