Marriage_With_Benefits part 19+20

#Marriage_With_Benefits
#Part_19
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
কি হলো আস্থা কিছু বলো?(আভি)

আমি কি বলবো?(আমি)

আমি তোমাকে ভুল বুঝলাম।তুমি কিছু বলবে না?রাগ করবে না?(আভি)

আমাকে সবাই ভুল বোঝে এইটা নতুন কিছু না।আপনি এইটা নিয়ে এতো ভাববেন না তো!আমার বাহিরের আস্তরণ দেখে সবাই ভিতরটা মাপা শুরু করে এইটা তো আর নতুন কিছু না!(আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে কথা গুলো বললাম)

আস্থা,,(আভি)

ছাড়ুন তো।আর শুনুন আমাকে কিন্তু আমার পাঁচশো টাকা দিতে হবে বলে দিলাম।(আমি ভাব নিয়ে)

আভি আর কিছু বললো না।শুধু একাধারে আস্থার দিকে তাকিয়ে আছে।

আরে চলুন তো অনেক দেরি হয়ে গেছে।আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে তো!(আমি)

আভি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চালানো শুরু করলো।
আমি বসে বসে ভাবছি।আমার জীবন কথা থেকে কোথায় যেন যাচ্ছে।যেই আমি নিজের স্বার্থ ছাড়া কারো সাথে ঝগড়া করতাম না সেই আমি কি করে এক অপরিচিত মানুষের সাথে ঝগড়ায় লেগে গেছি।কি হচ্ছে আমার জীবনে?কি চাই আমি?যখন এই সব শেষ হবে আমি কি আমার স্বাভাবিক জীবনের ফিরে যেতে পারবো?কিছু জানি না।শুধু স্রোতের মত জীবনটা বয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে আভি
মেয়েটা মনে হয় অনেক কষ্ট পেয়েছে।আমি অনেক বিশ্বাস করি নি বলে।ওর কথায় অনেক অভিমান ছিলো।আমি আর এই ভুল করবো না।আমি যখন দায়িত্ব ওকে দিয়েছি ও নিশ্চয়ই পালন করবে সেই দায়িত্ত্ব।
বলেই আভি আস্থার দিকে তাকালো।জানালার পাশে বসার কারণে হাওয়া এসে ওর চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিচ্ছে।আভির ইচ্ছে করছে সেই এলোমেলো চুলগুলোকে ছুঁয়ে দিতে।কিন্তু কিছু কিছু ইচ্ছে তো আর বললেই পূরণ করা সম্ভব না।তাই এই ইচ্ছে গুলোও মাটি চাপা দিতে হবে।পরেই আভির চোখ গেলো আস্থার গোলাপি ঠোঁটের দিকে।
কি হচ্ছে আমার? কেন আমি ওর প্রতি দূর্বল হয়ে পরছি।আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবোনা।আভি নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা কর।

আভি।আভি।(আমি আভিকে ধাক্কা দিয়ে)

আস্থার ডাকে আভির জ্ঞান ফিরে
হুহ!!(আভি)

আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখছো?(আমি)

কিছু না।কিছু না।
বলেই আভি গাড়ি চালানোর দিকে মনোযোগ দিলো।

আমরা আমাদের মনের কথা ভাবতে ভাবতে বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়ির ভিতর ঢুকে আমাদের রুমে যেতেই দেখলাম।দাদু লোক দিয়ে আমাদের রুম থেকে সোফা নিয়ে যাচ্ছে।আর এক্সট্রা কম্বল,বালিশ,সব।শুধু দুই জন মানুষ ঘুমাতে প্রয়োজন সেই গুলোই রেখে বাকি সব বের করে নিয়ে যাচ্ছে।

কি হচ্ছে কি?তোমরা কার অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢুকেছ?(আভি)

বড়ো স্যার।আমাদের অনুমতি দিয়েছে।(সার্ভেন্ট)

আরিফ আরিফ।(আভি চিৎকার করে)

কি হয়েছে স্যার?(আরিফ হটাৎ করে সামনে এসে)

আরমান চৌধূরী এইসব কি করছে?(আভি দাত চেপে)

ওহ এইটা।এইটা স্যার বলেছে।আপনারা দুই জন মানুষ থাকবেন।এতো কিছু এক্সট্রা থাকা কি ভালো দেখায়!আর স্যার তো বিছানায় একটা বালিশ দিতে বলেছিলো।আমিই তো জোর করে দুটি বালিশের অনুমতি নিয়েছি।(আরিফ)

বালিশ থাকবে দুটো তাও আবার অনুমতি লাগবে?(আমি অবাক হয়ে)

আরে ম্যাম।এই ফ্যামিলি অনেক অদ্ভুত বুঝলেন।থাকেন বুঝে যাবেন।(আরিফ)

আরিফ।আমি কিন্তু এখনও এইখানেই দাড়িয়ে আছি।(আভি)

সরি স্যার।(আরিফ মাথা নিচু করে)

সব বুঝলাম।তাহলে সোফা নিলো কেন?(আভি)

এখন এই রুমে দুইজন মানুষ থাকবে তাদের জিনিস পত্র বেশি।তাই সোফা অযথা রেখে লাভ কি?(আরিফ)

আরমান চৌধুরীকে তো আমি,,,
আভি কিছু বলতে যাবে তার আগে আমিই উনাকে থামিয়ে বললাম

আপনি আপনার কাজ করুন।আর শুনুন সোফার জায়গাতে একটা দোলনা দিয়ে যাবেন প্লিজ।(আমি)

ওকে। ম্যাম
বলেই আরিফ সার্ভেন্ট গুলো নিয়ে চলে গেলো।

দেখছো। আরমান চৌধূরীর কাজ।উনি এতো সহজে শুঁধরানোর মানুষ না।উনি ইচ্ছে করে এইসব করছে।আমাদের নাটক ধরার জন্য উনি এইসব চাল চালবে।উনি এখন কি কি করে খালি দেখবে?(আভি রাগে গজগজ করতে করতে)

আভি শান্ত হও।এখন আমাদের মাথা গরম করলে হবে না।উনি যেমন চাল চালবে আমাদেরও সেই চাল অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে আমরাও পাল্টা জবাব দিতে পারি।(আমি আভিকে আশ্বস্থ করে)

আভি আমার হাত ধরে
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি আস্থা।
বলেই ওয়াশ রুমে চলে গেলো।
আমি সেখানেই দাড়িয়ে রইলাম।আজ যখন উনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।তখন আমার শরীর দিয়ে যেনো কারেন্ট প্রবাহিত হতে শুরু করলো।আর এখন যখন হাত ধরলো তখন ঝটকা লাগলো।যখনই উনি আমার পাশে আশে তখনই কেনো জানি না আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।আমার শরীর কাপা শুরু হয়ে যায় যখনই উনি আমাকে স্পর্শ করে কেনো আমার এমন হচ্ছে?আমার তো কিছুই মাথায় ঢুকছেনা।আমি কি আবার মি:কোবরার প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি?না না আস্থা এইসব পাপ অন্যর বরের দিকে নজর দিতে নেই!যদিও উনি আমারই বর।কিন্তু উনি তো আমার নকল বর।তবুও উনার উপর কেনো আমার এমন ফিল হয়।
আমি এই ভাবছি আর নিজের মুখে হাত দিয়ে বসে আছি। হটাৎ যেনো কথা থেকে আভি সামনে এসে দাঁড়ালো।
আস্থা।আস্থা।(আভি)

আমি আভি ডাক শুনে উপর দিকে তাকাতেই আবার চিৎকার দিয়ে উঠি।
আ আ।আপনি আমার খালি গায়ে ঘুরছেন।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আরে এখন তো প্যান্ট পড়া আছি।(আভি)

তাতে কি?শরীরে তো কাপড় নেই।(আমি বিরক্ত হয়ে)

কি করবো বলো?আমি আমার বউকে নিজের ফিগার দেখিয়ে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছি এই আর কি?
বলেই আভি দুষ্টু হাসি দিয়ে আমার দিকে এগুতে থাকলো।আমি এতক্ষন বেডে বসে আছি।আমি ভেবছিলাম বাসর রাতে যেটা হয়েছে এইটাই এখন হবে আভি আমার সাথে মজা করছে এই জন্য আমি আর পিছুই নি।আর এইটার আমার করা ছিলো বড়ো ভুল।
আভির চুল বেয়ে পড়া পানি গুলো ফ্লোরে ছিলো।ফ্লোর পিছল হওয়ার কারণে আভি যখন আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো তখন পানির মধ্যে পারা দিয়ে পিছলিয়ে উনি একদম আমার উপরে এসে পড়লো।আচমকা এই ঘটনায় আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না।আর লজ্জা তখনই পেলাম যখন আভির ঠোঁট আমার ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।
আভি আর আমি বিছানায় পড়ে গেলাম।আমি নিচে আর আভি আমার উপরে।আর ঘনটনাক্রমে আমরা একে অপরকে কিস করে বসি।উনিও অবাক হয়ে আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমিও উনার দিকে তাকিয়ে আছি।আর এইদিকে যে আমাদের ঠোঁট এখনও মিলিত আমাদের খেয়ালই ছিলো।

ভাই রোমান্স করতে হলে দরজা লাগিয়ে কর?(পাশ থেকে নিহাল হাত দিয়ে চোখ ঢেকে)

আমি তাড়াতাড়ি আভিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।আভিও তাড়াতাড়ি আমার উপর থেকে সরে শার্ট পড়লো।অন্যদিকে আমি কাপড় চোপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে পড়লাম।এইখানে থাকে লজ্জার পাত্রী হয়ে আমার কোনো লাভ নেই।নিহাল ভাইয়া যেই উনি নিশ্চয়ই আভিকে অনেক পচাবে।আর সেই সাথে আমিও লজ্জা পাবো।


বাহিরে
তুই কি আস্থার জন্য কিছু ফিল করছিস?(নিহাল)

পাগল নাকি।আমি ফিল করবো তাও আবার ওই মেয়ের জন্য!(আভি তাচ্ছিল্য করে)

তুই এইভাবে তাচ্ছিল্য করে কথা গুলো কেনো বলছিস?আস্থা কিন্তু তোর তাচ্ছিল্য পাওয়ার মেয়ে না!(নিহাল কঠোর ভাবে)

দেখ ভাই।আমি জানি আমি কি করছি।তুই জানিস আমার পক্ষে কাউকে ভালোবাসা সম্ভব না।(আভি)

কারণ তুই তোর দাদুর কাজ থেকে তোর মার উপর করা বদলা নিতে যেই খেলায় মেতেছিস!সেইটার পরিণাম কিন্তু খুব একটা ভালো হবে না।(নিহাল)

আমার শুধু আরমান চৌধূরীর উপর বদলা নিয়া দরকার।আর কিছুর আমি পরোয়া করি না। কারো না।এমনকি নিজেরও না।(আভি)

আস্থা..আস্থার ফিলিংস গুলোকেও না?(নিহাল)

আমার লক্ষ্য পৌঁছাতে শুধু আস্থা না আরো হাজার লোকের ফিলিংস গুলোকে নিয়েও যদি খেলতে হয় তাহলে আমি তাই করবো।(আভির চোখে খুব নিমর্ম খেলার নেশা দেখতে পেলো নিহাল)

নিহাল খুবই হতাশ হলো।আভির কথা শুনে। ও মনে মনে ভাবতে শুরু করলো
আমি ভেবেছিলাম।আস্থা তোর ভিতরের আগুন নিভিয়ে দিবে। কিন্তু কে জানতো তুই তোর ভিতরের আগুনে আস্থাকেও পুড়িয়ে ফেলার চিন্তা করছিস!যখন আস্থা জানতে পারবে তোর আসল বদলা কেনো?ততক্ষনে যদি ওর মধ্যে তোর জন্য ফিলিংস জন্ম নেয়। মেয়েটা যে কি কষ্ট পাবে তা আমি ভাবতেও পারছি না।যদি আগে জানতাম তোর মনে এইসব কখনও বলতাম না আস্থাকে বিয়ে করতে।জেনে বুঝে মেয়েটাকে আমি তোর খেলায় নামিয়ে দিয়েছি।আমি কি করে এত বড় ভুল করতে পারলাম।আমি তো শুধু চেয়েছিলাম আস্থার সাথে থেকে যেনো তুই সব কিছু ভুলে যাস।কিন্তু এখন আমার নিজেরই ভয় হচ্ছে।(নিহাল মনে মনে)


আমি ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে
কি হলো তোমাদের চোখে মুখের এই কি অবস্থা হলো!মনে হচ্ছে খুব সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিলো?(আমি চুল মুছতে মুছতে)

আরে না।আসলে ও একটু ভয় পায় গেছে।আজ আরমান চৌধূরী যা করেছিলো অনেক কিছু হতে পারতো কিন্ত হয়নি তোমার জন্য।তুমি সামলে নিয়েছো!কিন্তু পরবর্তীতে এইটা যদি আবার হয় তুমি সামলে নিতে পারবে তো?এই চিন্তাই করছে নিহাল(আভি)

আমি নিহাল ভাইয়ার সামনে দাড়িয়ে বললাম
ভাইয়া একদম চিন্তা করবেন না।আমি সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি।শুধু এখন না যেকোনো সময় আমি সব ঝড়ের মোকাবেলা করতে পারবো।

নিহাল আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো
আমি আশা করি তাই যেনো হয়।

আচ্ছা।অনেক হয়েছে ইমোশনাল কথা এখন একটু কাজ করা যাক।আস্থা তুমি গিয়ে বাসার সবাইকে একটু টাইড দিয়ে আসো।আমি আর নিহাল কিছু কথা বলবো।(আভি)

কথা বলবে বলে একটু সন্দেহ হলো আমি আভিকে জিজ্ঞেস করলাম
কি কথা?

ওই একটু অফিসের কথা আর কি!(আভি)

আচ্ছা তাহলে বলো আমি গিয়ে দেখি বাহিরের খবর
বলেই আমি বাহিরে চলে গেলাম।

নিহাল।ভুলেও আমার প্ল্যান সম্পর্কে আস্থা যেনো কিছু না জানে!নাহলে তুই জানিস আমি কতোটা কঠোর হতে পারি!(আভি)

আমি জানি আস্থাই পারবে তোকে ঠিক করতে।এই জন্যই তো আমি এই কাজের জন্য আস্থাকে বেছে নিয়েছি।(নিহাল মনে মনে)
তুই কোনো চিন্তা করিস না আমি আস্থাকে কিছুই বলবো না।(নিহাল)

এইতো আমার ভাইটা।আর শোন অনেক হয়েছে এইসব কথা এখন কাজের কথা শুন।(আভি)

কাজের কথা!কি কথা?(নিহাল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

তুই কালকে গিয়ে আস্থার বাবাকে আমার অফিসে নিয়ে আসবি পার্সোনাল ভাবে।(আভি)

ওকে ওকে।কিন্তু কেনো?(নিহাল আবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

আমি শিওর।ওর বাবা কিছু তো জানে!(আভি)

জানলেই কি তোকে বলবে নাকি?(নিহাল)

উনাকে একটু থ্রেট দিলেই হয়ে যাবে।যেহেতু আস্থা আজ থেকেই দাদুর সাথে বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে।সেহেতু কাল থেকেই ওর বাবামাকে আমি খোঁজা শুরু করে দিবো।(আভি)

আচ্ছা যা ভাবিস!
নিহাল আর আভি কথা বলছিলো তখনই নিচে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেলো।

কি হলো?(নিহাল)

আস্থা কি কিছু করলো নাকি?(আভি)

তুই তো বললি ওকে।বাসার সবার খবর নিতে এখন তো ও তাই করছে।(নিহাল)

আর এই মেয়ে কি রোবট নাকি!যা বলবো তাই করবে।আমি তো এমনি এমনি বলেছিলাম।এতো রাতে কি করেছে ও।(আভি)

আমি কি করে বলবো?চল নিচে যাই।গিয়ে দেখতে পারবো।

বলেই আভি আর নিহাল নিচে গেলো।
.
.#Marriage_With_Benefits
#Part_20
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
নিচে
আমি সদর দরজায় তালা লাগিয়ে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছি।

পাশেই ঈশানি খুব গালি দিচ্ছে আমাকে।উনার ছেলে আয়ুশও আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।উনার স্বামী রোহান আমার চাচা শশুর উনি আবার আমার পক্ষেই যা করেছি টা নাকি ঠিক করেছি।দাদু দোতলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের বাড়ির তামাশা দেখছে।

বাহ! হতচ্ছাড়া বিয়ে করছে ধানী লংকা।এদেরকে তো আমি জন্ম থেকে ঠিক করার চেষ্টা করছি।কিন্তু এইগুলো শুধরানোর না।তাই আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।এখন মনে হচ্ছে এই মেয়ে মনে হচ্ছে চৌদ্দ গুষ্টি ঠিক করে ছাড়বে!এক মিনিট চৌদ্দ গুষ্টির মধ্যে তো আমিও পরি এই মেয়ের সুনাম করতে করতে নিজের বদনাম করা শুধু করলাম(দাদু মনে মনে)

আজ ছোটো ম্যাম। কাম সারবে।সব গুলোকে শিক্ষা দিয়েই ছাড়বে।আমার যা ভালো লাগছে(আরিফ মনে মনে খুশি হয়ে)

আস্থা।প্লিজ সবাইকে মানুষ করে তুলো।আস্থা তোমার উপর আমার আস্থা আছে।(মিস:সাবিনা মনে মনে)


কিছুক্ষণ আগে আভি আর নিহালের সাথে কথা বলে আমি নিচে নামলাম।তখনই আমার চোখে পড়লো।আমার চাচা শশুর আর চাচী শাশুড়ি আর এক মাত্র দেবর সোফায় বসে আছে।দেবর ফোন টিপছে।চাচা শশুর ল্যাপটপে কাজ করছে।আর আমার চাচী শাশুড়ি সিরিয়াল দেখছে।আমি নামতেই আমার চাচী শাশুড়ি আর দেবরের মুখে যেনো কেউ নিউক্লিয়ার বোম মারছে।কিন্তু আমার চাচা শশুর আমাকে দেখে তার কাছে বসালেন
মা।এইদিকে আসো তো।তোমার সাথে তো আমার ভালো করে দুটো কথাও হয় নি!(রোহান)

আসসালামু ওয়ালাইকুম চাচ্চু।(আমি)

অলাইকুম আসসালাম।কেমন আছো মা?(রোহান)

আলহাদুলিল্লাহ আপনি কেমন আছেন?(আমি)

এইতো আলহামদুলি্লাহ।এইদিকে আসো বসো তোমার সাথে গল্প করি!(রোহান)

নেকামির আর শেষ হয় না!যতসব।
বলেই মুখ ভেংচি ছিলো ঈশানি।

উনার ছেলেও আমাকে দেখে বেশি খুশি না।উনার ছেলে আর আমার বয়স একই।কিন্তু আমি কোথায় যেনো উনাকে দেখেছি?কোথায়? তা জানি না!কিন্তু দেখেছি।(আমি মনে মনে)

আমি চাচুর সাথে কথা বলছি তখনই বাহিরে থেকে একজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেলাম।
তখনই আমার চাচা শশুর বলে উঠলো
আজকেও মাতাল হয়ে এসেছে।মেয়েটাকে মনে হয় আর মানুষ করতে পরলাম না।

আমি উনার কথা শুনে বাহিরে তাকিয়ে দিয়ে আমার আদরের ননদীনি। মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঢুলতে ঢুলতে আসছে।বয়স এই সতেরো কি আঠারো হবে।এই বয়সে এইসব।আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম এখন প্রায় রাত বারোটা।ওর এই অবস্থা দেখে আমি চাচ্চুর দিকে তাকালাম।
উনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো
অনেক চেষ্টা করেছিলাম মা।কিন্তু ওর মা আর ভাইয়ের আস্কারা পেয়ে এইসব হয়েছে।আমার,বাবা বা আভি কারো কথাই শুনে না।কিছু বললে বলে বাসা থেকে চলে যাবো।তখন ভাবি এই বয়সে সত্যি সত্যি বাসা থেকে চলে গেলে আমাদের মান সম্মান সব যাবে।তাই চুপচাপ মেনে নেই।(রোহান)

আপনি ওর এই সব মেনে নেন।এই জন্য আপনার সাথে আমার বোঝা পড়া পরে হবে আগে আপনার মেয়েকে ঠিক করি।
বলেই সোফা থেকে উঠলাম।উঠেই সদর দরজার সামনে এসে দাঁড়ালাম।
মিস:সাবিনা।আপনি বাহিরের দারোয়ানদের বলুন মেইন দরজা বন্ধ করে দিতে।আর একজনকে বলুন এই মেয়ের উপর বাহিরে নজর রাখতে যাতে বাহিরে যেতে না পারে।

এই মেয়ে।এখন আমার মেয়ে বাহিরে কেনো যাবে? ও অনেক ক্লান্ত তাই ও এখন রুমে এসে রেস্ট নিবে।(ঈশানি)

ও আমার আদরের চাচী শাশুড়ি।আপনার মেয়ে বাড়িতে ঢুকলে তো রুমে যাবে।(আমি নেকামি করে)

মানে(ঈশানি)

মানে
বলেই আরশির মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিলাম।পাশে থাকা একটা তালা দিয়ে দরজাতে তালা মেরে দিলাম।

এই মেয়ে কি করছো তুমি?(ঈশানি)

ভাবি হয়ে মায়ের দায়িত্ব পালন করছি।আপনি তো মা তাই না?আপনি মা হয়ে আপনার মেয়েকে যেই শিক্ষা দিতে পারেন নি আমি ভাবি হয়ে সেই শিক্ষা দিবো।যতই হোক ভাবি তো মায়ের মতোই।(আমি)

অনেক বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু?এখন তুমি খুলবে কি না?(ঈশানি)

না।খুলবো না।(আমি)

মম।সরো তো এখন আমি গিয়েই তালা ভাঙছি।(আয়ুশ)

এই দেবর মশাই।ভেবে দেখুন।আপনিও কি বাড়ির বাহিরে থাকতে চান কি না?ওকে তো আমি সদর দরজার বাহিরে রেখেছি।যেই এই তালা ভাঙবে তাকে আমি এই বাড়ির বাহিরে রেখে দিয়ে আসবো।ভেবে দেখুন।(আমি)

তাই বলে কি সারারাত মেয়েটা বাহিরে থাকবে?(আয়ুশ)

অর্ধেক রাত পর্যন্ত তো বাহিরেই বাকিটুকু থাকলে আর সমস্যা নেই।(আমি)

তোমাকে তো আমি
বলেই আমার দিকে তেড়ে আসতে যাবে তখনই আমি বলে উঠলাম
খবর দার।এই বাড়িটা আমার স্বামির।এখন এখানে আমার কিছু হলে আমার স্বামী কিন্তু কাউকে ছাড় দিবে না ভেবে দেখুন।ঠান্ডা মাথায় কাজ করুন দেবর মশাই।

বলেই আমি সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছি।

মিস:সাবিনা।(আমি)

ইয়েস।মিস:আস্থা।(মিস সাবিনা)

আজ থেকে এই বাড়ির নতুন নিয়ম।বাড়ির মেয়েরা রাত দশটার আগে বাসায় থাকতে হবে।মাতাল হয়ে এইভাবে কেউ আসতে পারবে না।না এই বাড়ির মেয়ে না ছেলে আর না বড়রা।এই বাড়িতে সকালে আর রাতে সবাই এক সাথে ডাইনিং টেবিলে খাবার খাবে। কারো খাবার তাদের রুমে যাবে না।যদি এক সাথে খাবার না খায় তাহলে তার এই বাড়িতে খেতে হবে না।সে অন্য কোথাও খেতে পারবে।(আমি)

এই বাড়িতে কি তোমার রাজত্ব চলবে?(ঈশানি রাগে)

রাজার রাজত্ব রাজ্যে।আর আমার রাজত্ব আমার স্বামীর বাড়ি।কোনো সমস্যা আপনার?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আমি আমার স্বামীর সম্পত্তির ভাগ চাই(ঈশানি)

ও তাই নাকি?আপনি আলাদা হতে চান।টা আগে বলবেন না।আরিফ সাহেব।
আমি চিৎকার করে।

স্যার।(আরিফ উপর থেকে দাদুর সাথে সব দেখছিলো যখনই আস্থা ডাক দিয়েছিল তখনই ও দাদুর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করলো)

যাও আরিফ। দেখি এই মেয়ে কি করে এই সব গুলোকে ঠিক করে?(দাদু)

আভি আর নিহালও দুতলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে আস্থার কান্ড কারখানা দেখে হাসছে।

এইবার শিক্ষা হবে সব গুলোর।(নিহাল)

আস্থা।খুব ভালো চালিয়ে যাও।কোনো কিছুর পরোয়া করো না।(আভি মনে মনে)


নিচে
ছোটো ম্যাম।আপনি আমাকে ডাকছেন?(আরিফ)

উনি উনাদের সম্পত্তি চান।কি করা যায় বলুন তো?(আমি)

আরমান স্যার বলছে।উনি মৃত্যুবরণ না করা পর্যন্ত কোনো ভাগবন্টন হবে না।যদি কেউ ভাগবণ্টন করতে চায় তাহলে তাকে এক পয়সাও দেয়া হবে না।(আরিফ)

এইবার বলুন।খালি হাতে এই রাজপ্রাসাদ ছাড়বেন?নাকি আমার নিয়ম গুলো মেনে এই বাড়িতে থাকবেন?বলুন।(আমি)

ঈশানি কিছু না বলেই রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো।তার পিছনে পিছনে আয়ুশও গেলো।

মেয়েটা সারারাত বাহিরে থাকবে?(রোহান)

যদি মেয়ের চিন্তা হতো।তাহলে মেয়েকে মানুষ করতেন।অমানুষ না।এখন যেহেতু অমানুষ করেই ফেলেছেন।তাহলে আমাকে ওর লাগাম টেনে ধরতে দিন।আঠারো বছরে আপনি যা করতে পারেন নি।আমি ঠিকই তা করতে পারবো।ইনশাল্লাহ।এই আস্থাটুকু আমার আছে নিজের উপর।(আমি)

চাচু আর কিছু বললো না। হয়তো উনি বুঝে গেছেন আমি যা বলছি ঠিকই।

চাচু।এখন আমার উপর একটু আস্থা রাখুন।(আমি উনাকে আশ্বস্থ করে)

তুমি কি পারবে আমার অমানুষ মেয়েকে মানুষ করতে?(রোহান)

উত্তরে শুধু আমি হাসলাম।আর কিছু বলার দরকার নেই আমার।

চাচু উপরে চলে গেলো।অন্যদিকে আরশি দরজা খোলার জন্য ধাক্কাচ্ছে।কিন্তু আমার অনুমতি ব্যতীত কেউ এই দরজা খুলবে না।দাদুকে গিয়ে ঈশানি নালিশ করেছে আমার নামে।কিন্তু উনি নাকি ঘুমাবে সকালে উঠে আমার খবর নিবে।এইটা বলাতে উনি কি আমার পক্ষে না বিপক্ষে তাই বুঝলাম না। যাই হোক আমার কাজে দাদু নাক গলায় নি এইটাই আমার জন্য যথেষ্ট।নাহলে আবার উনার সাথে আমার লাগতে হতো।কি বাড়িতে বিয়ে করে আসলাম।খালি যুদ্ধ করতে হয়।মহাভারত,বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।আমার মাথা ঘুরাচ্ছে।

বাহিরে থেকে আবার আরশি চিৎকার করছে।দরজা খুলে দেওয়ার জন্য।

মিস:সাবিনা।এই মেয়েকে ভোরের আগে বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না।আর ও যেনো এই বাড়ির বাহিরেও না যায়।সেদিকেও বলবেন সিকিউরিটিকে খেয়াল রাখতে।আর কেউ যেনো তালা না ভাংগে।যদি ভাঙ্গে তাহলে তার হাত ভেঙ্গে দিবেন।আমি বলছি।
বলেই উপর দিকে তাকিয়ে দেখলাম আয়ুশ খুব রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।ওর চোখ বলে দিচ্ছে একবার ওর হাতের কাছে যদি আমাকে পায় তাহলে খুব খারাপ অবস্থা করবে।কিন্তু আমি ঐযে আস্থা সব পরিস্থিতির জন্য আস্থার সঙ্গে প্রস্তুত।

আমি উপরে গেলাম।গিয়ে দেখি বাড়ির তামাশা দেখে নিহাল আর আভি রুমে বসে হাসছে।

কি হলো তোমরা পাগলের মত হাসছো কেন?(আমি কৌতূহল নিয়ে)

আরে আস্থা যা দিয়েছো না।ফাটিয়ে দিয়েছো(নিহাল)

হুম। আরমান চৌধূরীও তোমাকে কিছু বললো না।ভাবা যায়। সত্যিই আস্থা তোমার জবাব নেই।(আভি)

হুম।বুঝতে হবে।আমি আস্থা।যেকোনো পরিস্থিতিতে আস্থার সঙ্গে প্রস্তুত।(আমি ভাব নিয়ে)

আমরা কথা বলতে যাবো তখনই নিহাল ভাইয়ার ফোন বেজে উঠলো।উনি ফোন কেটে আমার আমাদের সাথে যোগ দিলো।আবার আমরা মজামাস্তি করছি তখন আবার নিহালকে কে যেনো ফোন দিলো।

নিহাল ভাইয়া জরুরি ফোন হতে পারে।ধরো ফোন।(আমি)

নাহ।কোনো জরুরি ফোন না।এমনি মজা নিচ্ছে ফোন দিয়ে।(নিহাল)

এই কি হয়েছে তোর?তখন রুমেও তোর ফোন মেসেজ আসছিলো।এখনও আসছে।এতো ভিআইপি কবে থেকে হয়ে গেলি দোস্ত।(আভি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

আরে বাদ দে তো।এখন বল আমি বাসায় যাবো কি করে?আস্থা তো দরজায় তালা লাগিয়ে দিলো।(নিহাল মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

তো এই বাড়ি কি থাকার রুমের অভাব আছে?(আভি)

গেস্ট রুমে থাকি তাহলে। বায় তোদের কাপল দের আর বিরক্ত করবো না।
বলেই নিহাল ভাইয়া কেটে পড়লো।যেনো উনি আমার আর আভির প্রশ্ন থেকে পালাচ্ছে।কিছু কি লুকাচ্ছে?কি লুকাবে উনি?থাক আমার কি?সবার একটা পারসোনার লাইফ থাকে।নিহাল ভাইয়ারও আছে।
আমি এইসব ভাবছি তখনই আভি বলে উঠলো।

কোথায় ঘুমাবে আজকে?(আভি)

আমি আবার এক মহাসাগর হতাশা নিয়ে বললাম
আপনার দাদু কি আর খেয়ে দেয়ে কাম পায় না।কেনো উনার সোফাটা নিতে হবে?

কি করবে?উনি হয়তো ভেবেছেন আমরা এক সাথে থাকি না।তাই উনি চান আমরা এক সাথে থাকি।(আভি বিছানায় বসতে)

এক সাথে থাকলে কি হবে?(আমিও আভির পাশে বসে)

উনি বড়ো দাদু হবে।আর আমরা মা বাবা হবো।(আভি টিটকারি করে)

হ্যা হ্যা।খুব মজার জোকস ছিলো।আমার হাসতে হাসতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

হাসতে হাসতে গাল আর পেট ব্যাথা হয় শুনতাম।এখন দেখি তোমার কোমর ব্যাথা হয়!(আভি )

আমার গাল,পেট,কোমর ছেড়ে এখন একটু কোথায় ঘুমানো যায় সেটা নিয়ে ভাবি?(আমি)

কিছু করার নেই!ঘুমালে এক খাটেই ঘুমাতে হবে।আসলে কি আমরা চলছি পাতায় পাতায় আরমান চৌধূরী চলছে শিরায় শিরায়।(আভি)

আমি আভির দিকে তাকিয়ে আছি।কতটা ঘৃণা করে ও ওর দাদুকে!এতো ঘৃণা করাও কি ঠিক?দাদু চাইলে আরো অনেক কিছু করতে পারতো।কিন্তু উনি তা করেন নি।উনি শুধু আমাকে টাকা অফার করছে।উনি আমাকে ধামকি দিতে পারতো।ভয় দেখাতে পারতো।কিন্তু উনি তার কিছুই করেন নি।আচ্ছা।যেইটা আমরা দেখছি ওইটা কি আসলেই সত্যি।নাকি আমাদের সামনে সত্য কে লুকিয়ে সাজানো কিছু তুলে ধরা হচ্ছে।আমার এখন চৌধূরীদের শিক্ষা দেওয়া না এদের নাড়িভুড়ি বের করেই ছাড়বো আমি আস্থা।সত্যটা কি তা আমাকে জানতেই হবে।অযথা সম্পর্ক নষ্ট হবে এমন তো হতে দেয়া যাবে না।এই জন্য আমাকেই কিছু একটা ভাবতে হবে।আর টা খুব শীগ্রই।সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগে।
আমি খুব গভীরভাবে ভাবছিলাম।তখনই আমার কানের কাছে আভি এসে বললো
আস্থা আস্থা।

আমি লাফ দিয়ে
কি হলো?আস্থা আস্থা। করছো কেন?

কতক্ষন ধরে তোমাকে ডাকছি!আর তুমি শুনতেই পারছো না?(আভি)

ও হ্যা।কি বলবে বলো?(আমি)

আমি বিছানা তৈরি করে দিয়েছি।এখন তুমি ঘুমাও।(আভি)

আমি আপনার সাথে এক বিছানায় ঘুমাবো কখনও না।ভুলে যান।(আমি)

আস্থা আমরা যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি তাহলেই তো যথেষ্ট।আর এই বেড তিনজনের অনায়াসে হয়ে যাবে।তাই এইটাতে তো আমাদের কোনো সমস্যাই হবে না।(আভি)

আমিও আভির কথা ভেবে দেখলাম।দুইপাশে দুই জন ঘুমালে মাঝখানে অনেক টুকু জায়গা খালি থাকে।তেমন কোনো সমস্যা হতে পারে না।তবুও আমি একটা কোল বালিশ আমাদের মাঝখানে রাখলাম।যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
আপনি কিন্তু ভুলেও এই কোল বালিশ পার হবেন না।(আমি আভিকে থ্রেট দিয়ে)

পার করলে কি করবে শুনি?(আভি ভ্রু কুঁচকে)

আপনাকে আর কি করবো? আমিই পরের দিন থেকে নিচে ঘুমাবো।(আমি ঠোঁট উল্টে)

আভি আমার কিউট ফেস দেখে হাসছে।
যাও ঘুমাও।কাল সকালে ভার্সিটি আছে।আজ কামাই করছো কাল করা যাবে না।
বলেই আভি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে।ওপাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

আমিও শুয়ে পড়লাম।আজ জীবনের প্রথম কোনো একটা পুরুষের পাশে শুয়ে আছি আমি।আর সেই পুরুষই আমার স্বামী।কিন্তু স্বামী স্ত্রী কথাটা যতো কাছাকাছি আমরা ঠিক ততটাই দূরে।
এই সব ভেবেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম।


চলবে……
চলবে…..

Part 18

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here