ঝরা ফুলের বাসর পর্ব ৩+৪

#ঝরা_ফুলের_বাসর
#Season_02
#Part_03&4
#Mst_Liza

ফুল ঘামছে।আর অন্ধকার রুমে খাটের নিচে শুয়ে হালকা ঠোঁট কাঁপিয়ে হিচকি তুলে কাঁদছে।হঠাৎ ফুলের রুমের দরজায় কেউ নক দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ফুল চোখ মুখ মুছে স্বাভাবিক হয়ে যায়।অনেক সময় নিয়ে বিছানা থেকে যেসব জিনিস ফেলেছিলো সব পুনরায় বিছানায় মেলিয়ে গুছিয়ে রাখে।তারপর গিয়ে দরজাটা খোলে।ফুল দরজাটা খোলার সাথেই কেউ ফুলকে একটানে দরজার সাথে চেপে ধরে।ফুলের মুখটা খুব শক্ত করে চেপে ধরে ফুলের শরীরের কাছে এসে নাক টেনে একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলে, কি নেশা তোমার এই শরীরে।যা বারবার আমাকে টেনে নিয়ে আসে।তুমি শুধু একবার আমার হয়ে যাও ফুল তোমাকে আমি অনেক টাকা দেবো।কথাটা বলে ফুলের মুখ ছেড়ে দিয়ে হাতদুটো চেপে ধরে দরজার সাথে।ফুল নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাই কিন্তু পারে না।ফুল দাঁপাতে থাকে, ঝাঁপাতে থাকে আর ছুটটে চেস্টা করে।ছেলেটা ফুলের গলাতে নিজের ঠোঁট বসাবে এমন সময়ে হৃদ এসে পিছনের থেকে ছেলেটাকে টেনে এনে মুখের উপরে দেয় এক ঘুষি।ফুল তাকিয়ে দেখে হৃদ এসেছে।কিছু না ভেবেই আবেগের বসে হৃদকে জোড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।আর ছেলেটা নিচে বসে পরে কেবলাকান্ত মুখ করে হৃদের দিকে হা হয়ে আছে।

ফুল খুব ভয় পেয়ে আছে। হৃদ ফুলকে কাঁদতে দেখে ফুলের মুখটা আকড়ে ধরে বলে, আমি আছি না? কোনো ভয় নেই ফুল।কিছু হয়নি তোর সাথে।ওকে তো আমি আজ.. কথাটা বলে ছেলেটার দিকে আগাবে এমন সময় নূর এসে হৃদকে ডাকে।পাশে ছেলেটাকে দেখে বলে, একি ভাইয়া তুমি কখন এলে?

ছেলেটি কোনো কথা বলে না।খুব ভয়ে ভয়ে আছে হৃদ যদি নূরকে সব বলে দেয় সেজন্য। হৃদও মনে মনে ভাবে, নূরকে তার ভাইয়ের এসব নোংরামোর কথা বললে নূর খুব কস্ট পাবে।তাই হৃদ নূরের খুশির কথা ভেবে কথাটা চেপে যায়।আর ছেলেটার দিকে রাগি দৃস্টিতে তাকায়। নূর অনেক খুশি তার ভাইকে পেয়ে তাই এক প্রকার টেনে ভাইকে সেখান থেকে নিয়ে যায়।আর নূর তার ভাইকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর হৃদ ফুলের সামনে দাড়িয়ে মাথাটা নিচু করে হাত জোড় করে বলে, আমি জানি না কথাটা বললে তোর কেমন লাগবে।কিন্তু আমাকে বলতে হবে ফুল।নূরকে আমি খুব ভালোবাসি। এতোটাই ভালোবাসি যে আমি চাইনা ওর চোখে কখনো পানি আসুক।আজ যা হলো কিছুই নূরের সামনে কখনো বলিস না তোর কাছে আমার অনুরোধ।ওর ভাইয়ের আসল রুপটা জানতে পারলে যে ও খুব কস্ট পাবে।আর ও কস্ট পেলে যে আমার তার চেয়েও অনেক গুণ বেশি কস্ট হয়।

হৃদের বলা শেষ হলে ফুল হৃদের হাত ধরে নামিয়ে দেয়। চোখের পানি মুছে বলে, না না ভাইয়া কাউকে কিচ্ছু বলবো না আমি।তুমি আর নূর ভাবি সবসময় সুখে থাকো।হাসি খুশি থাকো সেটাই আমি চাই।

ফুলের কথা শুনে হৃদ খুশি হয়ে ফুলের মাথায় হাত রেখে দোয়া করে, দেখবি একদিন আমার আর নূরের মতোন তোর জীবনেও এমন একজন আসবে যে তোকে অনেক ভালোবাসবে।কথাটা বলে হৃদ চলে যায়। আর হৃদ চলে যাবার পর ফুল সেখানেই বসে পরে কাঁদতে থাকে।মেঝেতে পরে কস্টে ছটফটে কান্না করে বলে, ঝরা ফুলের জীবনে কখনো ভালোবাসা আসে না হৃদ।কখনো আসে না।

নতুন বৌ দেখার পর্ব শেষ।দুপুরের দিকে বৌ ভাতের অনুষ্ঠানটা শুরু।বাড়ির বাইরের বিশাল এড়িয়া জুড়ে সব আয়োজন।নূরকে খুব সুন্দর করে পার্লারের মেয়েরা এসে সাজিয়েছে।আর ফুলকে তার খালাম্মা একটা লাল রং এর লেহেঙ্গা দিয়েছে।যেটা পরে সিম্পল ভাবেই শ্যাম্পু করে চুল ছেড়ে দিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছে ফুল।ফুল কারও সাথে কথা বলছে না।এক জায়গাতেই দাড়িয়ে আছে।আর হৃদ স্টেজে নূরের পাশে বসে আছে।মাইকে খুব জোরে মিউজিক চলছে।এমন সময় নূরের ভাই সুযোগ খুঁজছে ফুলকে একা পাওয়ার।

নূরের ভাই একটা সরবতের গ্লাসে নেশার ওষুধ মিসিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে বলে, এই সরবতটা খাওয়ার পরে তোমার কিছুই মনে থাকবে না ফুল।শুধু একটাই আকাক্ষা জাগবে মনে যার চাহিদা আমি মেটাবো হা হা হা।সরবতটা নিয়ে নূরের ভাই ফুলের দিকে আগাতে থাকে।ফুলের কাছে এসে পিছনের থেকে ফুলের পিঠটা নেশা ভরা দৃস্টিতে দেখে।আর বাজে ভাবে ফুলের পিঠে হাত বুলায়।অস্বস্তিতে কেঁপে উঠে পিছনে ঘুরে ফুল নূরের ভাইকে দেখে চমকে উঠে বলে, নাহিদ ভাইয়া?

নাহিদ দাঁত কেলিয়ে বলে, হ্যাঁ আমি।তখন আমি ভুল করেছি ফুল তাই ক্ষমা চাইতে এসেছি।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।ফুলের হাত ধরে বসে বলে, ক্ষমা কি করেছো আমাকে?

ফুলে কেঁপে উঠে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া।

এই নাও সরবত খাও।বলে ফুলের হাতে সরবতের গ্লাসটা ধরিয়ে দেয় নাহিদ।আর মনে মনে বিজয়ীর হাসি দেয়।তবে নাহিদের মুখে সেই হাসি বেশিক্ষণ টেকে না।নাহিদকে অবাক করে দিয়ে হৃদ এসে ফুলের হাত থেকে সরবতের গ্লাসটা নিয়ে ডগডগ করে সব সরবতটুকু খেয়ে নেয়। তারপর অগ্নি দৃস্টি আরোপ করে নাহিদের দিকে তাকিয়ে বলে, হয়েছে তোর নাটক? আর ফুলকেও বলে, তুই নাহিদের সাথে কেন কথা বলছিস ফুল? ফুল কোনো উত্তর দেয় না।নাহিদও হৃদের ভয়ে দূরে সরে অন্য কোথাও চলে যায়।আর হৃদ ফুলকে ভালোভাবে বোঝায় যেন নাহিদের ধারে কাছেও না ঘেঁষে। কথাটা বলে হৃদ স্টেজের দিকে যেতে যাবে কিছুদূর গিয়ে মাথাটা ঘুরে ওঠে হৃদের।আর শরীরের মধ্যেও অনেক নেশা জেগে ওঠে। হৃদ কোনো মতে স্টেজে গিয়ে নূরকে টেনে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যায়। তারপর রুমের দরজা বন্ধ করে নূরকে ঝাপটে ধরে।

কি করছো হৃদ? হৃদ নিজের সোরোয়ানিটা খুলে ফেলে।তারপর নূরকে ঝাপটে ধরে বলে আমার তোমাকে খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে জানেমান।

নূর হৃদের ভাবসাব দেখে ভয় পেয়ে যায়। মতি গতি কিছু ভালো ঠেকছে না হৃদের।হৃদ কাছে আসছে আর নূর পিছাচ্ছে।এক প্রকার নূরকে বিছানায় ফেলে দেয় হৃদ।হৃদ এবার সবকিছু ঝাপসা দেখছে।

এমনটা তুমি করতে পারো না হৃদ।আমি এই অবস্থায় না না! এইই হৃদদ তুমি তো আমাকে তিনদিন সময় দিয়েছিলে তাহলে? প্লিইইজজ এমনটা করো না।এটা পাপ।হৃদ কোনো কথায় শোনে না নূরের ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়। আর কোনো উপায় না পেয়ে নূর হৃদকে ধাক্কা দিয়ে উঠে পরে।পিছনে আগাতে আগাতে বলে, তোমার নিশ্চয় কিছু হয়েছে।হয়তো নেশা করেছো, নয়তো উল্টো পাল্টা কিছু খেয়েছো।নাহ আজ আর তোমার কাছে আমি আসছি না।তিনদিন শেষ হলেই তাই আসবো।তুমি বরং রুমেই বন্দী থাকো।বাড়ি ভরতি মেহমান।এখন কাউকে কিছু বলা যাবে না।অনুষ্ঠান শেষ হলে আজ না হয় রাতটা আমি ফুলের রুমেই ঘুমিয়ে পরবো।

কথাটা বলে বাইরে থেকে ছিটকানি দিয়ে চলে যায় নূর।আর হৃদ রুমের মধ্যে দরজায় লাথি, গুতা, কিল দিতে থাকে।আর ডাকতে থাকে নূরকে।

ওদিকে নাহিদ এবার ওয়েটারকে দিয়ে আবার সরবত পাঠায় ফুলকে।ফুলের গলাটা শুকিয়ে যাওয়ায় সরবতটা খেয়ে নেয়। আর কিছুক্ষণ পর ফুলেরও মাথাটা ঘুরতে থাকে। শরীরের মধ্যে কেমন যেন একটা অনুভব হয়।সেই সুযোগে নাহিদ এসে ফুলের কোমড় জড়িয়ে ধরে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসে।হঠাৎ নাহিদের ফোনটা বেজে ওঠে।নাহিদ তাকিয়ে দেখে গার্লফ্রেন্ডের ফোন।না ধরলে বিপদ।তাই ফুলকে পাশে দাড়িয়ে রেখে উল্টো দিকে ঘুরে গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে থাকে।

আর ফুল হাঁটতে হাঁটতে হৃদের রুমের সামনে চলে আসে।ফুল লক্ষ্য করে হৃদ দরজায় লাথি, গুতা, কিল দিয়ে চলেছে আর কাউকে ডাকছে।ফুল এগিয়ে দরজা খুলতেই হৃদ আবছা চোখে ফুলকে দেখে নূর ভেবে টেনে রুমের মধ্যে নিয়ে আসে।তারপর ভেতর থেকে দরজাটা বন্ধ করে বলে, এবার পালিয়ে যাবে কোথায়?

হৃদ ফুলকে জড়িয়ে ধরলে ফুলও হৃদকে জড়িয়ে ধরে। ওদিকে নাহিদ ফোনে কথা বলা হয়ে গেলে ফুলকে সারা বাড়িতে খোঁজে কিন্তু কোথাও পাই না।হৃদের রুমের সামনে আসলে দুইটি স্পষ্ঠ কন্ঠ শুনতে পাই।এইই ছাড়বে না কিন্তু। নাহ ছাড়বো না।ছাড়ার জন্য তো জড়িয়ে ধরি নি তোমায়।ভালোবাসবো এখন, কথাটা বলে ফুলকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয় হৃদ।ফুলের লেহেঙ্গার পেছনের দড়ি টেনে খুলে ফেলে। তারপর ফুলের পিঠে চুমু দিতে থাকে যার শব্দ বাইরে নাহিদের কানে পৌঁছাচ্ছে।নাহিদ একবার ভাবছে কিছু কি করবো আবার ভাবছে না থাক।তাহলে আমিই ফেঁসে যাবো।এখন যা করছে এরা কিছুই মনে থাকবে না।কিন্তু সরবতটা যে আমিই খাইয়েছিলাম হৃদকে সেটা হৃদের যানতে সময় লাগবে না ওতে কি ছিলো।আমি বরং এখান থেকে কেটে পরি।বেঁচে থাকলে এমন অনেক ফুলের বাসর করবো।এটা আমার ভাগ্য নেই মনে হয়। কথাটা বলে নাহিদ অনুষ্ঠানে গিয়ে ভীরের মাঝে মিলিয়ে যায়।

চলবে,,,,
#ঝরা_ফুলের_বাসর
#Season_02
#Part_04
#Mst_Liza

হৃদ অনেক্ষণ ধরে ফুলের পিঠে চুমু দিতে থাকে ফুল ঘুরে হৃদকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।হৃদের গালটা আকড়ে ধরে ঠোঁটে অনেকগুলো আলতো পরস ছুঁইয়ে দেয়।হৃদও ফুলের মাথাটা শক্ত করে ধরে চোখদুটো বন্ধ করে নেয়।কিছুক্ষণ পর হৃদ ফুলের ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে ফুলের জামাটা আস্তে করে খুলে ফেলে।তারপর নিজের সমস্ত শরীরের ভরটুকু ফুলের উপরে ছেড়ে দেয়। ফুলের হাতদুটো বালিশের সাথে চেপে ধরে ফুলের গলায় আর বুকে ঠোঁটের আলতো পরস ছুঁইয়ে দিতে থাকে।ফুল হৃদকে ঘুরিয়ে নিয়ে হৃদের বুকের উপরে উঠে আসে।হৃদের পায়ে পা চেপে, হাতের আঙুলে আঙুল চেপে বুকে আলতো চুমু দিয়ে যায়।তারপর হৃদকে টেনে ঘুরিয়ে আবার নিজের উপরে নিয়ে আসে।হৃদ এক হাতে ফুলের চুলের ভাজে হাত ডুবিয়ে আলতো হাত বুলায় আর অন্য হাতে ফুলের একবাহু চেপে ধরে ফুলের বুকের উপরে নিজের নাকের ডগা ঘঁষে যায়।আর ফুল হৃদের চুলের ভাজে হাত ডুবিয়ে আলতো বিলি কাটতে থাকে। এভাবেই হৃদ আর ফুল দুজন দুজনের মাঝে বিলীন হয়ে যায়।

দুই ঘন্টা পর,,,,
ঘুমের মধ্যে ফুল নিজের শরীরের উপর খুব শীতল আর ভারি কিছু অনুভব করে।ফুল আস্তে করে চোখ মেলে হৃদকে নিজের বুকের উপরে শুয়ে থাকতে দেখে চোখদুটো বুজিয়ে নেয়।আর এক শীতল প্রশান্তি অনুভব করে।ফুল দুই হাত দিয়ে হৃদকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে, ভালোবাসি হৃদ।তোমার থেকেও অনেক বেশী। তারপর কিছু একটা বুঝে এক ঝাটকায় হৃদকে দূরে ঠেলে দিয়ে উঠে বসে।ফুল বুঝতে পারে এটা স্বপ্ন না বাস্তব। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে শরীরে কোনো কাপড় নেই।বিছানায় ছিটানো গোলাপের পাপড়িগুলো শরীরের সাথে লেপ্টে আছে।ফুল থমকে গিয়ে দু’হাত নিজের মাথায় রেখে ভাবে, কিভাবে হলো এসব? ফুল কিছুই মনে করতে পারছে না।ফুলতো হৃদের কাছ থেকে দূরে যেতে চেয়েছিলো তাহলে কিভাবে এমনটা হলো আজ?

ফুল অনেক সময় নিস্তব্ধ থেকে মনের ভেতর থেকে বলে ওঠে।হে আল্লাহ! তুমি কি চাও? এই বিছানায় তো নূরের সাথে হৃদের কাল বাসর হওয়ার কথা ছিলো। যদি এভাবেই হৃদকে আমার জীবনে আবার ফিরিয়ে আনবে।তাহলে ওর জীবনে নূরকে কেন এনেছো? ওতো এখন শুধু নূরকেই ভালোবাসে।আর নূর? ওর তো কোনো দোষ নেয়।ও ভালোবেসে বিয়ে করেছে আমার হৃদকে।কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কেঁদে দেয় ফুল।

কিছুক্ষণ পর,,,,ফুল চোখের পানি মুছে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে, আচ্ছা! আমি এভাবে কাঁদছি কেন? ছোটবেলায় হৃদের আমাকে প্রোপোস করা।আমার জন্য রোজ গাছে উঠে আম পেরে আনা। আমি না খেয়ে থাকলে আমাকে বোঁকা বানিয়ে খাওয়ানো।এমনকি পাঁচ বছর আগে আমাকে ওর জোড় করে বিয়ে করা সব কিছুই কি ওর মনে পরে গেছে? আজ যা কিছু হয়েছে এই সব কিছুই কি হৃদের ইচ্ছাতে হয়েছে? আমাকে আগে জানতে হবে।

ফুল হৃদকে ডাকতে গিয়ে নিজের দিকে খেয়াল করে।এই অবস্থায় হৃদকে ডাকা যাবে না।ফুল আগে বিছানার পাশে পরে থাকা নিজের লেহেঙ্গাটা উঠিয়ে পরে নেয়।তারপর হৃদের দিকে তাকায়। হৃদের ঘুম এতোটা শক্ত যে একবার ঘুমালে উঠতে অনেক বাহানা করে।তাই ফুল ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় হৃদকে না ডেকে প্যান্টটা আগে পারিয়ে দেয়।তারপর হৃদের কপালে একটা ঠোঁটের পরস ছুঁইয়ে দিয়ে বিছানা থেকে নেমে রুমের দরজাটা খুলে দেয়।তারপর হৃদের কাছে এসে হৃদের কানের কাছে নিচু হয়ে জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বলে, হৃদদ ভাইয়াআআআআ।

ফুলের চিৎকার এতো জোরে ছিলো যে হৃদ ধরফরিয়ে উঠে বসে। কি হলো? কি হলো? ভয়ে ভয়ে এদিকে ওদিকে তাকায়।সামনে তাকিয়ে দেখে ফুল দাড়ানো।

একি ফুল তুই? তোকে না বলেছি এখন আমার বিয়ে হয়েছে, নূর আছে। সকাল হলে তোর আর আমাকে ডাকতে আসতে হবে না।নতুন বিয়ে হয়েছে একটু প্রাইভেসি লাগে তো বুঝিস না?

হৃদের কথা শুনে ফুল বড়সড় একটা সকট খাই।মনে মনে ভাবে, তার মানে হৃদও জানে না এসব কিভাবে হলো?

হৃদ আবারও ফুলকে কিছু বলতে চাইলে ফুল সেটা না শুনেই হৃদের রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। আর হৃদ হা হয়ে ফুলের যাওয়ার পানে চেয়ে থাকে।ভাবে ফুলের আবার কি হলো? ঘড়ির দিকে চোখ গেলে বুঝতে পারে এখন সন্ধ্যা ৬ টা বাজে।হৃদ মুচকি হেসে মাথায় হাত রেখে জ্বিব কামড়ে বলে, আমিও না সন্ধ্যাকে সকাল ভাবছি।কিন্তু আমি রুমে কখন এলাম?










ফ্ল্যাশ ব্যাক,,,,

পাঁচ বছর আগে, যখন ফুল সবে মাত্র নবম শ্রেনিতে উঠেছে। টিভির সামনে বসে চোখ বড় বড় করে হিন্দি ফিল্মের কিসিং সিন দেখছে।কিসিং পার্ট শেষ হতেই ফুল খেয়াল করে হৃদ এসে তার পাশে বসেছে।

কি ব্যাপার? কি করে আমার ময়নাটা? ফুলের চুলে আলতো হাত ছুঁইয়ে দিয়ে বলে হৃদ।

ফুলের মনে এখনো সেই কিসিং সিনটাই চলছে।হৃদের খুব কাছে এগিয়ে এসে হৃদের ঠোঁটের দিকে নেশা ভরা দৃষ্টিতে তাকায়।

কি হলো? ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? খেয়ে ফেলবি নাকি আমায়? হৃদের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে ফুল হৃদের শার্টের কলারটা টেনে ধরে বুকের সাথে মিশে যায়।

কি হচ্ছে কি ফুল? ছাড় আমাকে।হৃদ ফুলকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলে, কি হয়েছে আজ তোর?

একটা কিস করবে হৃদ ভাইয়া?

কিইইই? বলে হৃদ বসা ছেড়ে উঠে দাড়ায়। তোর মাথা ঠিক আছে ফুল? কিসব বলছিস?

ফুল দাড়িয়ে আবার হৃদকে টেনে ধরে, একটা কিস করতে তোমার অসুবিধা কোথায় শুনি? বারো বছর ধরে তো শুধু ভালোবাসি ভালোবাসি বলে গেলে।কখনো একটু আদর করলে না।আজ আমার কিস চায়ই চায়।তুমি দেবে নাকি আমি অন্য কাউকে খুঁজে নেব।

অন্য কাউকে খুঁজে নিবি মানে কি? পাগলের মতোন কিসব উল্টো পাল্টা বলছিস ফুল? রাগি দৃস্টিতে তাকিয়ে বলে।

তো কি করবো? তুমি আমাকে একটুখানিও আদর করো না।তাই ঠিক করেছি কিস করার জন্য একটা নতুন বফ খুঁজবো।যে আমাকে প্রতিদিন কিস করবে।

কথাটা শুনে হৃদ এবার একেবারে রেগে যায়। ফুলকে টেনে নিজের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দাঁত কটমট করে বলে, আর একবার এমন কথা বললে তোর জ্বিব টেনে আমি ছিড়ে ফেলবো।তুই শুধু আমার।তোকে আমি ছাড়া আর কারও কাছে যেন ঘেষতে না দেখি।

তাহলে দাও..একটাই তো।বেশি সময় লাগবে না।আস্তে করে এসে ঠোঁটটা ঠোঁটে রাখবে।তারপর একটু ধীর গতিতে কয়েকটা বাইট নিবে।হৃদের ঠোঁট আঙুল নাড়িয়ে বলে ফুল।

হৃদ ফুলকে দূরে সরিয়ে দেয়।মনে মনে ভাবে ফুল কোথা থেকে শিখছে এসব?

হৃদ ফুলকে বলে, তুই এখনো খুব ছোট ফুল।একটু বড় হ তারপর।

নাহ! আমি এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি।আর বড় হতে চাই না দাও হৃদ একবারই তো।

বললাম তো না।

তাহলে ব্রেকাপ।আজ এখানেই তোমার আর আমার ভালোবাসার ইতি টানলাম।কখনো আসবে না আমার কাছে হুমমমম।

কথাটা বলে ফুল হৃদের সামনে থেকে চলে যায়। হৃদ কাছে আসলে ফুল হৃদকে আর পাত্তাই দেয় না।হৃদেরও সারাটাদিন একা কাটে।রাতে পড়ার টেবিলে বসে ফুল হৃদের কথা ভাবতে থাকে।এমন সময় দরজার কাছে কারও পায়ের শব্দ ভেসে আসতে শুনে ফুল নিজের ফোনটা কানের কাছে ধরে এ্যাক্টিং করে বলে, জান আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার জন্য সব করতে পারি।যদি প্রতিদিন একটা করে কিস দাও উম্মাহ।তারপর কলটা কেটে দেওয়ার মুড নিয়ে ফুল সামনে তাকিয়ে দেখে মা দাড়িয়ে আছে।মায়ের চোখদুটো রাগে গজগজ করছে আর ফুল ভয়ে টেবিল থেকে পরে যায় যায় অবস্থা।

ফুল আমতা আমতা করতে থাকলে ওকে কোনো কথা না বলার সুযোগ দিয়ে কাছে এসে ইচ্ছামতো মারতে থাকে।আর ফুল মার খেয়ে চিৎকার করতে থাকে।ফুলের চিৎকার শুনে হৃদ, হৃদের মা-বাবা সবাই ছুটে আসে।ফুলের মাকে ফুলের থেকে ছাড়িয়ে দূরে নিয়ে আসে।দূর থেকেই ফুলের মা চিৎকার করে বলে, হারামজাদি কাল থেকে তোর স্কুল যাওয়া বন্ধ।আর ওই ফোনটা ভেঙে ফেলবো আমি।

হৃদ গিয়ে ফোনটা উঠিয়ে নিজের পকেটে রেখে বলে, ঠিক বলেছো খালাম্মা।এই ফোনটা আমার কাছেই থাকুক।যখন ফুল বড় হবে তখন আমি একটা কিনে দিবো।

হৃদের কথা শুনে ফুল হৃদের দিকে রাগি দৃস্টিতে তাকায়। কিছুক্ষণ পর সবাই চলে গেলে হৃদ থেকে যায় ফুলের রুমে। আর ফুল হৃদকে দেখে এবার মাটিতে হাত পা ছুটিয়ে বসে পরে কাঁদে।হৃদ কাছে এসে ফুলকে উঠাতে গেলে ফুল তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।

সয়তান! হারামি! কখনো ছোঁবে না আমাকে তুমি। বিয়াদ্দব একটা। নিজে ভালো থাকো আমি তো খারাপ।একটা কিসই চেয়েছিলাম তারজন্য এতো মাইর খাওয়ালে? তোমাকে ভালোবাসায় ভুল।কি যেন বলছিলে তুমি আমি এখনও ছোট তাই না? ঠিকই বলেছিলে।ভালোবাসি না আমি তোমাকে। আবেগের বসে ছোটবেলায় তোমার সাথে খেলার জন্য, মেশার জন্য বানিয়ে বলতাম ভালোবাসি।সব মিথ্যে! তোমাকে আমি কোনো ভালোটালো বাসি না।বেড়িয়ে যাও আমার সামনে থেকে।কথাটা বলে ফুল হৃদকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়।

হৃদ উঠে এসে ফুলের কান্না জড়িত মুখটা আকড়ে ধরে মুখ পানে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ।হৃদ ফুলের মুখ ধরায় ফুল শান্ত হয়ে নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে রাখে।ভাবে এবার বুঝি হৃদ ওকে কিস করবে।কিন্তু কিসের কি? হৃদ ফুলকে ছেড়ে দিয়ে উল্টো ঘুরে উঠে দাড়ায়।

ফুল চোখ খুলে তাকায়। এবার আরও রেগে যায় হৃদের উপর।হৃদকে ধরে ঠেলতে ঠেলতে রুম থেকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে রুমের দরজাটা আটকে দেয়।

টানা দুই দিন হয়ে গেছে ফুল হৃদের সাথে কথা বলে নি।হৃদও অযথা চেস্টা করে হেরে যায়। একাই কথা বলতে থাকে ফুলের কোনো প্রতি উত্তর পাই না।

আজ ফুল স্কুলে গিয়েছে।ছুটির শেষে গেটের সামনে এসে ফুল হৃদকে দেখতে পাই। ফুল হৃদকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে আসতে লাগে। হৃদ ফুলের পিছনে পিছনে দৌড়াতে থাকে। তারপর ফুলের সামনে গিয়ে কান ধরে উঠবস করে ছরি বলে।ফুল তাতেও শোনে না।তাই এক প্রকার জোড় করে হৃদ ফুলকে গাড়িতে তোলে।গাড়ি থেকে নামার জন্য ফুল অনেক দাঁপাদাঁপি ঝাঁপাঝাঁপি করে।কিন্তু নামবে কিভাবে? হৃদ এক হাত দিয়ে ফুলের হাত ধরে বসিয়ে রাখে আর অন্য হাত দিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করে।গাড়ি এসে থামে একটা কাজি অফিসের সামনে।ফুল আর হৃদ পৌঁছাতে হৃদের কিছু ফ্রেন্ড এসে গাড়ির দরজা খোলে।

ফুল যখন জানতে পারে হৃদ ওকে বিয়ে করার জন্য কাজি অফিসে এনেছে তখন ফুল রাজি হয় না।তারপর হৃদের ফ্রেন্ডরা ফুলকে বোঝানোর পর গিয়ে ফুল রাজি হয়।

বিয়ের পর হৃদ ফুলকে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যায়। গাড়ির উপরে উঠে ফুলকে নিজের কোলের উপরে বসিয়ে ফুলের ঘাড়ে থুথনিটা রেখে বলে, খালাম্মা তোকে লেখাপড়া শেষ করিয়ে একটা ভালো চাকরি করতে দেখতে চায়। আর তুই এইটুকু বয়সে কিসব পাগলামি করিস ফুল? তোকে আমি ভালোবাসি তার মানে তো এই না যে আমার ময়নাটার উপর যখন মন চাইবে অধিকার ফলাবো।খুব ভালোবাসি আমার ময়টাকে তাইতো কখনো স্পর্শ করি নি।আমি চাইলে তোকে আরও অনেক আগে নিজের করে পেয়ে নিতে পারতাম ফুল।একই বাড়িতে, একই সাথে থেকে এটা কঠিন কোনো ব্যাপার ছিলো না।কিন্তু সেটা যে অবৈধ বলে গণ্য হতো।যাকে ভালোবাসি কিভাবে তাকে নিজের স্বার্থে ইউস করি বলতো? তুই যখন আমাকে কিস করার কথা বলেছিলি আমার ভেতরটা কেমন করছিলো তোকে আমি বোঝাতে পারবো না।এই দুইদিন তুই আমার সাথে কথা বলিস নি।যার জন্য রাতেও আমার ঘুম হয় নি।অনেকবার চেয়েছি তোকে আদর করি কিন্তু কি করবো বিবেকে বাঁধা দিচ্ছিলো।আমার কথা গুলো শোনার পরও তোর কি এখনো আমার উপরে রাগ আছে ফুল?

হুমমম।আছে তো।তুমি সয়তান।হারামি খুব খারাপ।বিয়ে করে নিয়েছো।এখনো কিস করো নি।হৃদকে টেনে ধরে বলে, এই হৃদ।তুমি তো এখন আমার স্বামী। তোমাকে আমি হৃদ বলেই ডাকবো।আর যখন বলবো আদর করতে তখন আমাকে তুমি আদর করবে।যানো না স্ত্রী আদর চাইলে স্বামীকে কাছে আসতে হয়? এখন একটু এই ঠোঁটের আদর দাও না।তুমিতো এখন আমারি।আমার বড্ড ইচ্ছা করছে এই ঠোঁটের আদর পেতে।দেখবো কেমন লাগে কিস…সস.. উম.. মম..

ফুল আর কিছু বলার আগেই হৃদ ফুলের ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেয়। ফুল চোখদুটো বড় বড় করে আস্তে করে বন্ধ করে নেয়।আর হৃদের মাথাটা আকড়ে ধরে। এ যেন কত বছরে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে দুটি দেহ, দুটি মন।এভাবে টানা বিশ মিনিট পর ফুল হৃদকে সরিয়ে দিয়ে হাঁপাতে থাকে।ফুল জোড়ে জোড়ে নিঃস্বাস নেয়।আর হৃদকে বলে আর না হয়ে গেছে।

কি হয়ে গেছে? আমার হয়নি আরও লাগবে। কথাটা বলে ফুলকে কাছে টেনে নেয় হৃদ। ফুলের ঠোঁটে আবার নিজের ঠোঁট বসাতে যায়। ফুল অন্য দিকে ইশারা করে বলে, কেউ আসছে হৃদ।কথাটা শুনে হৃদ ফুলকে ছেড়ে দেয়। আর ফুল সেই সুযোগে গাড়ির উপর থেকে নিচে নেমে গিয়ে জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে।

আমাকে বোকা বানানো হলো? দাড়া দেখাচ্ছি তোকে….. হৃদও গাড়ি থেকে নেমে যায়। ফুল ছুটটে থাকে।হৃদ ফুলের পিছনে ছোটে।ছুটতে ছুটতে ফুল মেইন রোডটার কাছে চলে আসে।বাইপাসে ফাঁকা রাস্তায় মাঝখানে দাড়িয়ে জোড়ে জোড়ে হাসে।হৃদ দূর থেকে একটা ট্রাককে এগিয়ে আসতে দেখে।হৃদ ফুলকে বলে পিছনে ট্রাক আসছে সরে যা ফুল।ফুল সরে না পিছনে ঘুরেও তাকিয়ে দেখে না।হাসতে হাসতে বলে, আমি তোমার মতোন বোকা না।এভাবে আমাকে বোকা বানাতে পারবে না।ভ্যাঁআআআ।

ট্রাক চালক ফোনে কথা বলতে বলতে অন্যদিকে তাকিয়ে ট্রাক চালাচ্ছে। বাইপাসের রাস্তায় তেমন একটা গাড়ি গোড়া চলে না।খুব বেশি একটা মানুষও আসে না।তাই সামনের দিকে খেয়াল করে নি।সে আপন গতিতে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছে। আর হৃদ ছুটছে ফুলের দিকে।ট্রাকটা যখন খুব কাছে চলে এসেছে হৃদ ফুলকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। ফুল ছিটকে রাস্তার পাশে পরে গিয়ে হাত পায়ের কিছু অংশ ছিলে যায়। সামনে তাকিয়ে দেখে ফুল থ হয়ে যায়। ট্রাকটা হৃদকে মেরে দিয়েছে। রাস্তার মাঝখানে হৃদ পরে আছে আর হৃদের মাথা থেকে প্রচন্ড আকারে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে।সেটা দেখে ফুল হৃদদদদদদ! বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।ট্রাক চালক ট্রাকের সাথে কিছুর আঘাত লেগেছে বুঝতে পেরে ট্রাক থামিয়ে দেয়। ট্রাক থেকে নেমে এসে হৃদকে দেখে।ফুল ছুটে হৃদের কাছে যায় আর হৃদকে ডাকে।হৃদের কোনো সাড়া নেই।ট্রাক চালক ফুলকে বলে এই রাস্তায় গাড়ি গোড়া তেমন চলাচল করে না।উনাকে এক্ষনি আমার ট্রাকে উঠান হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।ফুল তার কথায় তার সাথে ধরে হৃদকে ট্রাকে উঠায়।কিছুক্ষণ পর হৃদকে হসপিটালে নিয়ে আসা হয়।বাড়ির সবাইকে খবর দেওয়া হয়। সবাই হসপিটালে এসে ফুলের স্কুল ড্রেসটা রক্তাক্ত দেখে থম খেয়ে যায়। হৃদের মা এক চিৎকার দিয়ে নিজের জ্ঞান হারায়। ছয় ঘন্টা পর ও.টি থেকে ডাক্তার বের হয়। আর বলে, প্রেশেন্ট এখন বিপদ মুক্ত কিন্তু তার মাথায় প্রচন্ড আকারে আঘাত লেগেছে।মনে হচ্ছে সে হয়তো তার সম্পূর্ণ স্মৃতি হারিয়ে ফেলবে।আপনাদের সবাইকে নাও চিনতে পারে।আর হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ব্রেন্ডে জোড় দিয়ে ফিরিয়ে আনতে চাইলে প্রেশেন্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্খা আছে। তবে লক্ষ্য রাখবেন, ব্রেন্ডের উপর জোড় দিবেন না।তাকে একটু সময় দিবেন।দেখবেন নতুন করে তার মধ্য স্মৃতি তৈরি হচ্ছে। বাকিটা জ্ঞান ফিরলেই বলা যাবে।

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here