অজানা অনুভূতি পর্ব -৩৬+৩৭

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৩৬
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রর কথায় আদ্রিতা আর কথা বাড়ালো না। সাজ্জাদ কোনোমতে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বললো,

কোনো দরকার নেই এখন এই সব কিনার। ( সাজ্জাদ)

আচ্ছা ( আদ্রিতা)

আমি সম্পূর্ণ সিউর মিঃ সাজ্জাদ আপনি আদ্রর প্রতি জেলাস। এখন টের পাবেন হারে হারে। আমি এইটা ও নিশ্চিত আপনি আমাকে ভালোবাসেন দির সাথে বিয়ের নাটক কেনো করছেন আপনি ভালো জানেন। কিন্তু এই দু’বছর আপনার জন্য অনেক চোখের পানি ফেলিয়েছি। এখন দেখবেন মজা কাকে বলে ( আদ্রিতা মনে মনে কথা গুলো বলে একটা মুচকি হাসি দিলো তারপর বলে উঠলো,

না আদ্র ভাইয়া আমি গাজরা কিনবো। ( আদ্রিতা)

চলো মিস বকবক যেয়ে কিনে আনি ( আদ্র)

আদ্র আদ্রিতা আর আলো যেতে নিবে তখন সাজ্জাদ বলে উঠলো,

আদ্র তুই থাক আমি যাচ্ছি। ( সাজ্জাদ)

কেনো দুলাভাই আপুর জন্য কিনবেন নাকি নিজের শালিকার জন্য? ( আদ্রিতা)

আদ্রিতার কথা শুনে বিষম খেলো সাজ্জাদ। একটু আগেই সাজ্জাদের জন্য কান্না করছিলো আর এথন সাজ্জাদকে দুলাভাই বলে ডাকছে। সাজ্জাদ থমথমে গলায় বললো,

সবার জন্যই কিনবো। কথাটি বলে সাজ্জাদ সামনে হাঁটা শুরু করলো। আদ্রিতা মুখ টিপে হাসলো। আদ্রিতা আর আলো সাজ্জাদের পিছন পিছন গেলো। সাজ্জাদ ৩টি গাজরা কিনে নিলো। আদ্রিতা, সামিরা আর আলোর জন্য। তারপর সবার হাসি মজার মধ্যে দিয়ে কেটে গেলো কয়েকঘন্টা।

অনেক দেরি হয়েছে এখন সবার বাসায় যাওয়া উচিত। ( সাজ্জাদ)

আসলে ও সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তাই বাকিরা ও দ্বিমত পোষণ করলো না। সামিরা, আলো,আদ্রিতা গাড়িতে উঠে পড়লো। স্বাধীন গাড়ি ড্রাইভ করবে। আদ্র সাজ্জাদের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করলো,

ব্রো আমি এখন কোথায় বসবো? ( আদ্র)

যেখানে জায়গা আছে বসে পর। ( সাজ্জাদ)

মিস বকবক এর সাথে বসবো তাহলে? সারা রাস্তা মাথা নষ্ট করে দিবে।( আদ্র)

তুই সামনে বস আমি পিছনে বসি। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা এর মধ্যে বলে উঠলো না আমি দুলাভাইের সাথে বসবো না। একটা কাজ কর দি তুই আমার জায়গায় বস। দুলাভাইের সাথে বস।( আদ্রিতা)

হ্যাঁ মিস বকবক ঠিক বলেছে ব্রো তুই সামিরা আপুর সাথে বস।( আদ্র)

সাজ্জাদ থমথমে গলায় বললো,

এখন আর সবাইকে বের হতে হবে না যে যেইখানে বসছে সেখানেই থাকুক। কথাটি বলে আদ্রিতার পাশে বসে পড়লো। আদ্র ও সামনের সিটে বসে পড়লো। স্বাধীন মুখ টিপে হাসলো। স্বাধীন গাড়ি চালানো শুরু করলো,

সবাই নিজের মতো গল্প করে যাচ্ছে। সাজ্জাদ আদ্রিতার কানের সামনে এসে আস্তে আস্তে বললো,

অনেক বার বেড়েছো বলেছিল না আদ্রর সাথে না মিশতে। ( সাজ্জাদ)

দুলাভাই দেখতে থাকুন আমি আর কি কি করি।( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ প্রতিউওরে আর কিছু বললো না। হঠাৎ স্বাধীন থুব দ্রুত আর এলোমেলো ভাবে গাড়ি চালানো শুরু করলো, সবাই সামনে তাকিয়ে দেখলো একটি গাড়ি খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে। আদ্রিতা ভয়ে সাজ্জাদের হাত খামছে ধরলো। স্বাধীন কোনোমতে গাড়িটি অন্য সাইডে নিয়ে থামালো।

একটুর জন্য বেঁচে গেছি। ( স্বাধীন)

ব্রো এইভাবে গাড়ি কে চালায় আর একটু হলে আমাদের পিষে মে*রে ফেলতো। ( আদ্র)

মনে হচ্ছিলো কেউ ইচ্ছে করে গাড়ি এমন ভাবে চালাচ্ছিলো। ( সামিরা)

যা হওয়ার হয়েছে এখন এই ব্যাপার নিয়ে আর কোনো কথা না। স্বাধীন তুই আবার গাড়ি চালানো শুরু কর।( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা এখনো সাজ্জাদের হাত ধরে আছে। সেদিকে আদ্রিতার খেয়াল নেই। সাজ্জাদ ও কোনো বাঁধা দিলো না। কিছুক্ষণ পর বাসায় পৌঁছে গেলো সবাই। আলো ও নিজের বাসায় চলে গেলো। সাজ্জাদ, স্বাধীন আদ্রকে বললো যেনো বাসায় চলে যায় ওদের কিছু কাজ আছে। আদ্রিতা আর সামিরা ও নিজেদের বাসায় চলো গেলো।

******

এসেছিছ? সব কিছু কেনাকাটা হয়েছে? ( আদ্রিতার মা)

হ্যাঁ মা সব কিনেছে। ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর সামিরা সব কিছু বিয়ের শপিং দেখালো আদ্রতার মা বাবাকে। আদ্রিতার মা আদ্রিতার বাবার উদ্দেশ্য বললো,

তোমার মেয়ে বড়ো হয়ে গেছে। দুদিন পর অন্যের সংসারে যাবে। ( আদ্রিতার মা)

হুম বড় হয়ে গেছে। ( আদ্রিতার বাবা)

দেখ মা নতুন পরিবেশে যাবি সব কিছু মানিয়ে চলতে হবে। কিছুদিন পর থেকে ঔইটাই তোর সংসার। সবাইকে আপন করে নিতে হবে। ( আদ্রিতার মা)

কথাগুলো বলে আদ্রিতার মা চোখ মুছলো।

উফফফ মা এখন কেনো যে এই কান্নাকাটি শুরু করলে। কিছুদিন পরই কান্নাকাটি করো যখন একবারে চলে যাবে। আর দি যাওয়ার পর থেকে কিন্তু দির রুম ও আমার হয়ে যাবে 😁 ( আদ্রিতা)

হয়েছে আমার রুমে তালা লাগিয়ে যাবো তাও তোকে রুমে আসতে দিবো না। ( সামিরা)

দেখেছো মা তোমার বড় মেয়ে কতো খারাপ। ( আদ্রিতা)

আদ্রিতার কথা শুনে আদ্রিতার মা আর সামিরা হেঁসে উঠলো। আদ্রিতার বাবা আদ্রিতার হাস্যজ্বল চেহেরা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।

আচ্ছা তোরা যেয়ে ফ্রেশ হয়ো নে। (আদ্রিতার মা)

ওকে বলে আদ্রিতা আর সামিরা উপনে চলে গেলো।

******

তোর কি মনে হয় তখন আমাদের সামনে এভাবে কে গাড়ি চালিয়েছিলো? ( স্বাধীন)

শএুর অভাব নেই। কে করেছে বোঝা মুশকিল।( সাজ্জাদ)

ওকে আমি খবর নিচ্ছি। কালকের মধ্যেই বের করে ফেলতে পারবো। ( স্বাধীন)

ওকে। ( সাজ্জাদ)

*******

মাঝখানে কেটে গেছি ৪ দিন। সাজ্জাদ আর সামিরার বিয়ের মাএ ৩ দিন বাকি এ ৪ দিনে আদ্রিতা সাজ্জাদকে অনেক জ্বালিয়েছে। সব সময় দুলাভাই বলে ডেকেছে। আদ্রর সাথে বেশি মিশেছে। সাজ্জাদ ও অনেক রেগে আছে আদ্রিতার উপর। আদ্রিতা পাওা না দিয়ে নিজের মতো চলেছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আদ্রিতা নিচে নামলো।

আদ্রিতা একটু শোন ( আদ্রিতার মা)

হ্যাঁ বলো ( আদ্রিতা)

কিছু পিঠে বানিয়েছিলাম চাচ্ছি সাজ্জাদের বাসায় ও দিতে। তুই একটু কষ্ট করে দিয়ে দিস। ( আদ্রিতার মা)

আদ্রিতা ঢুক গিললো, এমনি সাজ্জাদ রেগে আছে এখন আবার সাজ্জাদের বাসায় যাবে?
#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৩৭
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রিতা পিঠে আর কিছু মিষ্টি নিয়ে সাজ্জাদের বাসায় গেলো।

*****সাজ্জাদের বাসায়*****

কলিং বেল এর শব্দে সাজ্জাদের মা এসে দরজা খুলে দিলো।

আন্টি আসসালামু আলাইকুম। আন্টি কেমন আছেন?(আদ্রিতা)

আলহামদুলিল্লাহ ভালো বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেনো ভিতরে আসো মা।( সাজ্জাদের মা)

আদ্রিতা ভিতরে আসলো।

বাড়ির সবাই কেমন আছে?(সাজ্জাদের মা)

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। আন্টি আম্মু কিছু পিঠে বানিয়েছিলো সেগুলো দিতেই এসেছি। ( আদ্রিতা)

এখন আবার কষ্ট করে এগুলো বানাতে গেলো কেনো? এমনি এখন বিয়ে নিয়ে কতো কাজ বাকি আছে। ( সাজ্জাদের মা)

না আন্টি সমস্যা নেই। ( আদ্রিতা)

এমন সময় আদ্র নিচে নেমে আসলো,

আরে মিস বকবক যে সকাল সকাল তোমার চেহারা দেখলাম না জানি আমান দিন কতটা খারাপ কাটে। ( আদ্র)

শুধু শুধু মেয়েটাকে জালাস না ত এই মেয়ে যেই ঘরে যাবে সেই ঘর উজ্জ্বল করে রাখবে। ( সাজ্জাদের মা)

আদ্রিতা মুচকি হাসলো।

আচ্ছা মা শুন সামিরার কি কি পছন্দ আমরা ত জানি না তুই একটু সাজ্জাদের রুমে যেয়ে সাজ্জাদের সাথে কথা বল তাহলে সাজ্জাদ বুঝতে পারবে সামিরার পছন্দ অপছন্দ গুলো। ( সাজ্জাদের মা)

[ সাজ্জাদের বাবা আর আদ্রিতার বাবা বন্ধু ছিলো তাই ছোট থেকেই আদ্রিতাকে সাজ্জাদের মা তুই করে বলে। আদ্রিতা ছোট থেকেই অনেক চঞ্চল ছিলো তাই সাজ্জাদের মার সাথে আদ্রিতার সম্পর্ক অনেক ভালো। অন্যদিকে সামিরা সবসময় চুপচাপ থাকতো বলে সামিরারকে ও সাজ্জাদের মা স্নেহ করতো কিন্তু সামিরা এতো মিশতো না। আদ্রিতা যেনো ছিলো ভালোবাসার কাঙাল ]

আচ্ছা আন্টি যাচ্ছি। সাজ্জাদ ভাইয়ার রুম কোন দিকে? ( আদ্রিতা)

আদ্র আদ্রিতাকে নিয়ে যা। ( সাজ্জাদের মা)

আচ্ছা খালামনি যাচ্ছি। চলো মিস বকবক ( আদ্র)

সাজ্জাদের মা হাসলো আদ্রিতা আদ্রর সাথে গেলো। আদ্র কথা বলছে আদ্রিতা চুপচাপ শুনে যাচ্ছে। হঠাৎ আদ্রর ফোনে কল আসলো।

মিস বকবক সামনের ২য় নাম্বার রুমটি সাজ্জাদের। আপনি যান আমি কথা শেষ করে আসছি। ( আদ্র)

আচ্ছা ( আদ্রিতা)

আদ্র চলে গেলো। আদ্রিতা সাজ্জাদের রুমের সামনে এসে কিছু কথা শুনে আদ্রিতার হাত পা যেনো বরফের মতো ঠান্ডা হেয়ে গেলো কারণ আদ্রিতা শুনতে পেলো সাজ্জাদ কাউকে বলছে,

খু*ন করে ফেল শরীরের কোনো অংশে যেনো অবশিষ্ট না থাকে। এমন ভয়ানক ভাবে খু*ন কর যেনো সাধারণ কোনো মানুষ দেখলে তার আত্মা কেঁপে উঠে। আমি সন্ধ্যায় এসে ডেড বডি দেখতে চাই। ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ ফোনে কথা বলছিলো পর্দার আড়ালে কারোর ছায়া দেখে চমকে উঠে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখে আদ্রিতা দাঁড়িয়ে আছে। আদ্রিতা সাজ্জাদকে দেখে ভয়ে হাত পা জমে যাচ্ছে। আদ্রিতার মনে হচ্ছে সাজ্জাদ এখন আদ্রিতাকেই খু*ন করে ফেলবে। আদ্রিতা পিছনে ফিরে দৌড়ে দিতে নিলে সাজ্জাদ হাত ধরে টান মেরে নিজের কাছে টেনে নেয়। আদ্রিতাকে টানতে টানতে রুমের ভেতরে নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ভয়ে আদ্রিতার চিল্লানোর শক্তিটুকু নেই। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,

আআমি কিছু শুনি নি আআমকে ছেড়ে দিন প্লিজ। ( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ তার ড্রয়ার থেকে পিস্তল বের করলো আদ্রিতার সামনে ঘুরিয়ে বললো,

আশা করি কাউকে কিছু বলবে না। আর বললে এর পরিণতি ভালো হবে না। তাই যা কথা শুনেছো ভুলে যাও। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।

কেনো এসেছিলে? ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা ভয়ে কিছু বলতে ও পারছে না অনবরত কাঁপছে। সাজ্জাদ পিস্তলটি আবার ড্রয়ারে রেখে দিলো। আদ্রিতার কাছে এসে ওকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আদ্রিতা না বলার মতো সাহস পর্যন্ত পাচ্ছে না।
সাজ্জাদ তা বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো। হঠাৎ আদ্রিতার কোনো রেসপন্স না পেয়ে দেখলো আদ্রিতা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সাজ্জাদ আদ্রিতাকে কো*লে তুলে নিলো। সাজ্জাদের বিছানায় শুয়ে দিলো। কো*লে তুলার সময় আদ্রিতার ওরনাটি নিচে পড়ে যাই। সাজ্জাদের খুব আদ্রিতাকে কাছে টানতে ইচ্ছে করছে। জ্ঞানহীন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকা আদ্রিতার ঠোঁটে সাজ্জাদ নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। হাত দিয়ে পিঠে স্পর্শ করে। কিছুক্ষণ পর আদ্রিতাকে ছেড়ে দেয়। আদ্রিতার তখন ও জ্ঞান নেই। মুখে পানি ছিটাতে হবে। রুমে পানির জগ ও খালি। সাজ্জাদ আদ্রিতাকে আবার কো*লে তুলে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। কোনোমতে আদ্রিতার মুখের উপর পানি ছিটালে আদ্রিতার জ্ঞান ফিরে আসে। ওয়াশরুমে সাজ্জাদের কো*লে নিজের অবস্থান দেখে আদ্রিতা লজ্জায় কুঁকড়ে উঠলো। পরে বুঝতে পারলো আদ্রিতার ওর*না ও আদ্রিতার কাছে নেই। আদ্রিতা হাত পা ছুটোছুটি করতে থাকলে সাজ্জাদ আদ্রিতাকে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। আদ্রিতাকে নিচে নামিয়ে দেয়। আদ্রিতা ওরনা গায়ে দিয়ে দ্রুত দরজা খুলে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে এমন সময় আদ্র আসছিলো,

আরে মিস বকবক চলে যাচ্ছো নাকি? ( আদ্র)

আদ্রিতা আদ্রর কথার জবাব না দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো।

যাক বাবা এর আবার কি হলো। ( আদ্র)

*****

আন্টি আমি এখন বাসায় যাচ্ছি। ( আদ্রিতা)

কথাটি বলে আদ্রিতা সাজ্জাদের মার কোনো কথা না শুনে বেরিয়ে গেলো।

আদ্র সাজ্জাদের রুমে গেলো,

ব্রো মেয়েটা এভাবে দৌড়ে চলে গেলো কেনো?(আদ্র)

জানি না। ( সাজ্জাদ)

দুর ভেবেছিলাম তোর শালিকার সাথে একটু গল্প করবো কিন্তু তা আর হলো না। ( আদ্র)

আদ্রর কথা সাজ্জাদ কিছুটা বিরক্ত হলো।

কেনো এসেছিলো আদ্রিতা? (সাজ্জাদ)

মিষ্টি, পিঠে এগুলো নিয়ে এসেছিলো। ( আদ্র)

ওকে ( সাজ্জাদ)

আদ্র রুম থেকে চলে গেলো।

******* আদ্রিতার বাসায় *******

আদ্রিতা বাসায় আসার পর থেকে চিন্তা করে যাচ্ছে সাজ্জাদ কি কাজের সাথে জড়িতো? কেনো খু*ন করতে চাচ্ছে? কেনই বা সাজ্জাদের কাছে পিস্তল রয়েছে? আদ্রিতা রুমে বসে কথাগুলো চিন্তা করছুলো এমন সময় সামিরা রুমে আসলো

আদুরি ( সামিরা)

হ্যাঁ দি বল। ( আদ্রিতা)

সামিরা এসে আদ্রিতার পাশে বসলো।

তোকে কিভাবে কথা গুলো বলবো বুঝতে পারছি না। আমি জানি তুই সাজ্জাদকে ভালোবাসিস। কিন্তু মাএ ৩দিন পর সাজ্জাদের সাথে আমার বিয়ে আদো কি তুই মেনে নিতে পারবি? ( সামিরা)

আমি ভালোবাসতাম এখন আর বাসি না। তুই নিশ্চিন্তে বিয়ে করে নে। ( আদ্রিতা)

সামিরা আর কিছু বললো না। আদ্রিতা টুকটাক অন্য ব্যাপারে কথা বললো,

আচ্ছা দি আমার মনে হচ্ছে তুই শুধু সাজ্জাদের ব্যাপারে বলতে আসিছ নি অন্য ব্যাপারে ও বলতে চেয়েছিছ। ( আদ্রিতা)

সামিরা আদ্রিতার কথা শুনে চমকে উঠলো,

না তেমন কিছু না। এইটাই বলতে এসেছিলাম। কথাটি বলে সামিরা চলে গেলো।

দি আজকাল কেমন যেনো মরমরা হয়ে গেছে। কোনো কথা লুকাচ্ছিলো নাকি? ( আদ্রিতা মনে মনে কথা গুলো ভাবলো।)

******* সন্ধ্যায় *******

সাজ্জাদ অচেনা একটি জায়গায় প্রবেশ করলো,

যেমন ভাবে বর্ণনা দিয়েছিলো ঠিক তেমন একটি লা*শ দেখতে পেরে খুশি হলো। গার্ডরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। কারোর কারোর লা*শ দেখে ব*মি চলে আসছে।

মাটি চাপা দিয়ে দে ( সাজ্জাদ)

ওকে বস ( সাজ্জাদের লোক)

দেখে যেনো মনে হয় এখানে কিছুই হয় নি ( সাজ্জাদ)

ওকে বস ( সাজ্জাদের লোক)

সাজ্জাদ বেরিয়ে পড়লো সেই জায়গা থেকে মনে মনে তৃপ্তির হাসি

*****আদ্রিতার বাসায় রাতে *****

আদ্রিতা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। এক ঝোঁক হতাশা এসে আদ্রিতার মনে ভর করেছে। আদ্রিতা কিছু প্রশ্নের উওর পাচ্ছে না, যদি সাজ্জাদ আদ্রিতাকে ভালোবাসে তাহলে সামিরার সাথে বিয়ের নাটক কেনো করছে? আর সাজ্জাদ কি খারাপ কাজের সাথে জড়িত? না হলে কাউকে কেনো খু*ন করতে চাইবে? আদ্রিতা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথাগুলো ভাবছিলো তখনই নিচে দেখলো যে………….

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here