অন্তরালের কথা পর্ব ৩০

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩০

.
.
” একদম ঠিক কথা বলেছি। তুমি তোমার বাবা মা’কে বলেছ না বিয়ের কথা? তুমি কি ভেবেছিলে? তোমাকে আমি এখনো ভালোবাসি? না তিহান, আমি আর এখন তোমায় ভালোবাসি না। যখন তোমায় ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম তখন কোথায় ছিলে তুমি? কেন পারোনি ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করে নিয়ে আসতে? আর আজ যখন আমি তোমায় ভুলে গিয়ে অতলকে আপন করে নিয়েছি সেখানে তোমার নজর পড়ছে? আমার দুর্বলতাকে হাতিয়ার বানিয়ে বাবা-মায়ের সামনে উপস্থিত করে এসেছ আমায় বিয়ে করতে? কিন্তু এটা যে কিছুতেই সম্ভব না তিহান। আমি তোমায় ভুলতে পেরেছি কিন্তু আমি যে অতলকে ভুলতে পারবো না। তোমার স্মৃতি সব মুছে ফেললেও অতলের স্মৃতি যে মুছতে পারবো না। তুমি ছিলে আমার প্রেমিক যে সম্পর্ক ইসিলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ। আর অতল..সে হচ্ছে আমার স্বামী। যে সম্পর্ক আল্লাহর এক নেয়ামত। তাহলে কি করে ভাবো সেই নাজায়েজ সম্পর্কের কথা ভেবে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের সম্পর্ককে আমি ভুলে যাবো। অতীতে অনেক কিছুই হয়। অনেক বাতাসই গায়ে লাগে। তবে আমি বাতাস গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারি। যেমনটা তোমায় ঝেড়ে ফেলেছি। তাই আজকের পর থেকে আমার আশেপাশে আসা তো দূরের কথা বিয়ের কথাও যাতে আমার কানে না আসে। ”

একদমে কথাগুলো বলে তানহা হনহন করে চলে গেল ঘরের ভেতর। এদিকে তিহান এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিচু স্বরে বলল,
” আজও ভুল বুঝে গেলে তানহা! তুমি কি এতবছরেও আমায় চিনতে পারোনি আমি কি করতে পারি আর না পারি! ”
বিড়বিড় করে কথাগুলো বলেই তিহান মাথা তুলে তাকালো মেঘে পূর্ণ আকাশের দিকে।
.
দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও ২ টি মাস। এ ২ মাসে তানহা তার শ্বশুর শাশুড়ী মুখের উপর দিয়ে কতবার যে না বোধক শব্দটি প্রয়োগ করেছে জানা নেই। তবে এবার আর তানহার কোনো না শব্দতে কাজ হবে না। তানহার শ্বশুর শাশুড়ী যে মন স্থির করে ফেলেছে তানহার বিয়ে নিয়ে। হোক সে বিয়ে তানহার ইচ্ছের বিরুদ্ধে। তারপরও যে তানহা কোনো না কোনো একসময় সুখের মুখ দেখতে পাবে সে কথা ভেবে। শুধুমাত্র তানহার সুখের কথা ভেবেই যে আজ তারা দু’জন নিজেদের মনকে কঠোর করতে বাধ্য হয়েছে।
আজ তিহান ও তানহার বিয়ে। তবে কেউ দেখলে বলবে না এটা কোনো বিয়ে বাড়ি। আর বলবেই বা কি করে? বাড়িতে নেই কোনো সাজসজ্জা, নেই কোনো আনন্দ উল্লাস, নেই কোনো মানুষের কোলাহল। এমনকি আত্মীয়স্বজনেরাও নেই। শুধুমাত্র রয়েছে বাবা-মা, তিহান, তানহা, তিহানের বন্ধু শান্ত ও বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজী।
তিহান নীল রঙের একটি নরমাল তোশরের পাঞ্জাবী পরে বসে আছে ড্রয়িং রুমে। পাশেই তিহানের গা ঘেঁষে মাথা নিচু করে বসে আছে শান্ত। তিহান কোনো কথা না বললেও শান্ত স্বাভাবিক গলায় বলল,
” ভাগ্যের পরিহাস নামক শব্দটি শুনেছি তবে বিশেষ কোনো দিক থেকে পরিচিত হইনি। তবে আজ শুধু পরিচিতই না চোখের সামনেও দেখব। ”
তিহান অন্যদিক মুখ করে বলল,
” হয়তো! ”
” এখনো তোর কাছে হয়তো মনে হচ্ছে? আর মিনিট দুয়েকের মাঝেই যেখানে তোদের বিয়ে! ”
” মন যা বলল তাই তোকে বললাম এর বেশি কিছু জানি না। ”
” বুঝলাম কিন্তু আমার মনের মাঝে অন্য কথা ঘুরছে জানিস। ”
” কি কথা? ”
” আমার কেন যেন বারবার মনে হচ্ছে তোদের ভালোবাসায় যে জোর ছিল সেই জোর তানহা ও অতল ভাইয়ের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝেও ছিল না। তাইতো তাদের সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না আর…তানহাও ঘুরে সেই তোর কাছেই এলো। ”
” হয়তো। ”
” মন খারাপ করে থাকিস না। সময় সবকিছু বদলে দেয়। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না, সময়ের সাথে সাথে জীবনও তার চলার পথ বেছে নেয়। যেমনটা তানহা বেছে নিয়েছিল অতল ভাইয়ের বেলা ঠিক এবারও মেনে নিবে দেখিস। তারউপর তুই ছিলি তানহার প্রথম ভালোবাসা। তোর প্রতি সবসময় তানহার ভেতর আলাদা একটি সফট কর্নার কাজ করে। আর সেই সফট কর্নার থেকেই সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তুই শুধু শুধু চিন্তা করে মুখ ভার করে রাখিস না, আমি বলছি সব ঠিক হয়ে যাবে। ”
” জানি না আমি। ”
” জানতে হবেও না, ওই দেখ তোর স্বপ্নের মুহুর্ত ধরা দিয়েছে তোর কাছে। ”
শান্তর কথা শুনে তিহান ড্রয়িং রুমের দরজার দিকে তাকাতেই হা হয়ে যায়।তার ভালোবাসার তানহা যে আসছে বিয়ের কনে সাজে গোলাপি রঙের বেনারসি পড়ে।
তানহা বিন্দুমাত্র সাজগোজ করেনি এই বিয়ে উপলক্ষে। কেবল বেনারসি টাই পড়েছে। তারপরও তানহার দিক থেকে চোখ ফেরানো যেন দায় হয়ে পড়েছে তিহানের। তানহার দিকে অবাক চাহনিতে তাকিয়ে তিহান মনে মনে ভাবছে,
” এ জীবনে অসংখ্য বিয়েতে অসংখ্য সুন্দরী সুন্দরী কনে দেখেছে সে কিন্তু কোনো একটি কনে কি তার কনে থেকে বেশি সুন্দরী ! মনে তো পড়ছে না। যদি তানহার থেকে সুন্দরী ধরতো এই চোখে তাহলে অবশ্যই মনে থাকতো। কিন্তু একটির কথাও তো তিহানের মনে পড়ছে না। ”
কথাটুকু ভেবে তিহান মুচকি হাসি দিল তানহার দিকে তাকিয়ে। পাশ থেকে শান্ত তিহানের মুখে হাসির ঝলক দেখে বলে উঠল,
” সামান্য বেনারসি পড়া দেখেই চোখেমুখে এতো হাসির ঝিলিক? সত্যিকারের কনের মতো সাজলে তো তুই এখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতি। আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে তাই হয়তো আজ তানহা বউ সাজে বিয়ে করতে আসেনি। হো হো….”
” হাসি পাচ্ছে খুব তাই না? ”
” না না, কই হাসলাম? আমিতো বিয়ে দেখছি তুইও দেখ মজা পাবি। হো হো.. ”
” আবারো শান্ত.. ”
” আচ্ছা আচ্ছা, আর করবো না সরি। এবার কথা না বলে সোজা হয়ে বস। বিয়ের কাজ এখনি হয়তো শুরু হবে। ”
তিহান আর কোনো কথা না বলে সোজা হয়ে বসে পড়ে। আর সময় গুনতে থাকে তার প্রাপ্তি অর্জন করার।
এদিকে তানহা ধীর পায়ে এসে তিহানের ডান পাশে বসতেই স্থির দৃষ্টিতে তাকালো তিহানের দিকে। কারো দৃষ্টি নিজের উপর আবিষ্কার করতেই তিহান চোখ তুলে তাকালো তানহার দিকে। মুহূর্তের মাঝে সবকিছু যেন আঁধারের ন্যায় মনে হলো তিহানের কাছে। সবকিছুই যেন অপরিষ্কার, ঘোলাটের রূপ ধারণ করছে তিহানের চোখের সামনে। তানহা যে তাকিয়ে আছে পলকহীন চোখে তিহানের পানে। শুধু যে তাকিয়ে আছে তা নয় চোখেমুখে ভেসে বেড়াচ্ছে হাসির রেখা। তবে এ হাসিতে যেন কোনো প্রাণ নেই কেবলই বিধ্বস্তের গভীরতা আছে। যে হাসিতে তিহান বছরের পর বছর কাত হয়ে আছে সেই হাসি যেন আজ তিহানের ভয়ের কারণ।
তিহানকে এভাবে ভ্রু কুচকে তানহার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শান্ত বলল,
” এভাবে তাকিয়ে না থেকে সামনে তাকা কাজী সাহেব তোকে ডাকছে। ”
শান্তর কথায় তিহানের হুশ ফিরলে।খচখচ মন নিয়েই তিহান তাকায় কাজী সাহেবের দিকে। আর ভীতিকর গলায় বলল,
” জ্বি, বলুন। ”
” আপনাদের কনে ও পাত্রীর যদি কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে বিয়ের কাজ কি শুরু করব? বুঝতেই তো পারছেন পাত্রীর দ্বিতীয় তরফা বিয়ে বলে কথা! তাই জিজ্ঞেস করা। ”
” জ্বি, বুঝেছি। আমার পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই তবে কনের আছে কি-না আমি তাকে জিজ্ঞেস করে আপনাকে জানাচ্ছি। ”
” জ্বি অবশ্যই। ”
তিহান কুচকে যাওয়া ভ্রু নিয়েই তানহার দিকে তাকিয়ে বলল,
” কোনো সমস্যা আছে কি? ”
তানহা কিছু বলার আগেই মরিয়ম বেগম স্বাভাবিকভাবে বললেন,
” না না, কিসের সমস্যা? কোনো সমস্যা নেই কাজী সাহেব আপনি আপনার মতো এগিয়ে যান। ”
তানহাও পাশ থেকে হাসি মুখ করে বলল,
” জ্বি, শুরু করুন। আমারো কোনো প্রবলেম নেই। ”
কথাটুকু বলে মাথা নিচু করে ফেলল তানহা। তবে ঠোঁটের কোণে বজায় রাখল স্মিত হাসির রেখা।
পর্যায়ক্রমে সবার সম্মতি পেয়ে কাজী সাহেব আলহামদুলিল্লাহ বলে তার কাজ শুরু করে দিল। এদিকে তিহান যেন একের পর এক ঝটকা খেয়ে ঘোরের মাঝে চলে যাচ্ছে। তানহাকে এতটা স্বাভাবিক দেখা যে মোটেও কাম্য ছিল না তিহানের। সেই জায়াগায় তানহা হাসছে! পুরোটাই তিহানের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। বিভিন্ন কথা তিহানের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই সাথে নতুন নতুন ভাবনার উদঘাটন হচ্ছে তানহার হাসির রহস্য খুঁজতে গিয়ে। আর এসব ভাবনার মাঝে তিহান এতটাই ডুবে গিয়েছে আশেপাশে কি হচ্ছে সবই তার অজানার মাঝে থেকে যাচ্ছে। পাশ থেকে শান্ত জোরে এক ধাক্কা দিতেই তিহান যেন ভাবনার জগৎকে পেছনে ফেলে বাস্তব জগতে নিবাস স্থাপন করে। আর পাশে তাকিয়ে দেখে তানহা একহাত মেলে পা দুটো কুচকে মেঝেতে পড়ে আছে। তিহান এক লাফে মেঝেতে বসে তানহার মাথা নিজের পায়ের উপর নিয়ে উত্তেজনক কন্ঠে বলল,
” তানহা তানহা! এই তানহা! কি হয়েছে তোমার? এভাবে মেঝেতে পড়ে আছো কেন, শরীর কি তোমার খারাপ লাগছে? কি হলো কথা বলছ না কেন? ”
তানহার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিহান শান্তর দিকে তাকিয়ে বলল,
” কি রে শান্ত? ওর কি হয়েছে? ও এভাবে মেঝেতে পড়ে আছে কেন? ও কথা বলছে না কেন? তোরা কেউ দেখিসনি ওর এ অবস্থা হওয়ার সময়? তোদের সামনে ও কি করে এভাবে মেঝেতে পড়ল? বাবা! মা! তোমরা দেখোনি? ”
তিহানের কাছে এসে শান্ত বলল,
” আমরা কি করব বল আমরা কিছু বুঝার আগেই যে তানহা মেঝেতে লুটিয়ে পড়লো। তারপরই তো তোকে ডাকা শুরু করলাম কিন্তু হুট করে ওর হলো টা কি সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ”
শান্ত ও তিহানের কথার মাঝে হুট করে তানহা নড়ে উঠে। নখ দিয়ে মেঝেতে খামচে ধরার ন্যায় করে চোখ দুটো মেলে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে। বড় বড় নিঃশ্বাস নিলেও নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারছে না তানহা। কেননা নিঃশ্বাস নেয়ার অনেকক্ষণ পর্যন্ত তানহা ঘাপটি মেরে মেঝেতে পড়ে থাকে। যখন একেবারেই ভেতরের নিঃশ্বাস ত্যাগ না করে পুনঃরায় নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারছে না তখন সে ধীরে ধীরে তার ভেতরে জমে থাকা নিঃশ্বাসগুলো ত্যাগ করে নতুন করে আবার স্বাভাবিকের চাইতে অধিক নিঃশ্বাস গ্রহণ করে।
তানহার এ পরিস্থিতি দেখে শান্ত ভীতিপূর্ণ কন্ঠে বলল,
” তিহান শীঘ্রই উঠ তানহাকে এখনি হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে। তা নাহলে বিরাট দূর্ঘটনার ঘটে যাবে। ”
” দূর্ঘটনা মানে? কিসের দূর্ঘটনার কথা বলছিস আর হসপিটালেই বা যাবো কেন? তানহা তো কেবল সেন্স লেস হয়েছে এর জন্য হসপিটালের কি প্রয়োজন? ”

” তিহান তুই কথা বাড়াস না দ্রুত ওকে কোলে তুলে নেয় আর চল হসপিটালে। ও কোনো সেন্স লেস হয়নি ও ঘুমের ঔষধ খেয়েছে এবং অতিরিক্ত মাত্রায়। যেটা ওর সিমটম দেখেই আমি বুঝতে পারছি। আর অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কি হয় অবশ্যই তুই জানিস! ”
” কি বলছিস কি শান্ত? এটা কি বললি তুই? তানহা কি করে পারবে এ কাজ করতে? ”
” পারার কিছু নেই তিহান ও যে কাজটা অলরেডি করে ফেলেছে। এখন তুই যদি দেরি করিস তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। ”
” না, কিছুতেই না। আমি কিছুতেই তানহার কিছু হতে দিব না। আমি আমার সবটা দিয়ে তানহাকে সুস্থ করে তুলবই। ”
কথাটুকু বলেই তিহান চোখের জল নাকের জল এক করে তানহাকে পাজ কোলে নিয়ে ছুটে গেল হসপিটালের উদ্দেশ্যে।
.
হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে তানহা। এখনো জ্ঞান ফিরেনি। আর ফিরবে কিনা তাও কেউ জানে না। ডক্টর যে বলে দিয়েছে জ্ঞান না ফেরার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি জ্ঞান ফেরে সেটা মিরাকল ব্যতীত আর কিছুই হবে না। কেননা ২ পাতা ঘুমের ঔষধ খেলে কে-ইবা সহজে সুস্থ হয় আর কার-ইবা দ্রুত জ্ঞান ফেরে! বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই যে পারি জমায় না ফেরার দেশে। যেটা তানহার সাথেও হতে পারতো কিন্তু ভাগ্য ভালো যে তিহান ও শান্ত তানহাকে দ্রুত হসপিটালে এনেছিল তাই হয়তো এ যাত্রায় সে বেঁচে যেতে পারে। তবে ডক্টর কোনো শিউরিটি দেননি যার জন্য সময়ের কাটা ঘুরার সাথে সাথে তিহানের অস্থিরতার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘড়ির কাঁটা দেখতে দেখতে কখন যে রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে সেই ভোরের আলো ঘুচিয়ে আরেক রাত হওয়ার অপেক্ষায় তিহান বুঝতেও পারেনি। তানহার কেবিনের সামনে উষ্কখুষ্ক চুলে বিধ্বস্ত মুখ নিয়ে পায়চারী করছে তিহান। অস্থিরতার জন্যে একবার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছে তো একবার কপালের মাঝখানে দু’আঙুল দিয়ে চিমটে ধরে হাঁটছে। কোনোভাবেই মনের কোণে শান্তির ‘শ’ ও খুঁজে পাচ্ছে না। তানহাকে চোখের দেখা দেখবে বলে এই নিয়ে গুনে দেখলে ১৫ থেকে ২০ বারের মতো রিকুয়েষ্ট করেছে ডক্টর ও নার্সকে তিহান কিন্তু এখন অবধি পারমিশন পায়নি সে। জ্ঞান ফেরা অবধি যে তারা কাউকেই কেবিনের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিবে না। তাই তিহান বাধ্য হয়েই পাগলের মতো পায়চারী করে যাচ্ছে কেবিনের সামনে।
তিহানের এই পাগল পাগল অবস্থা দেখে শান্ত পাশ থেকে বলল,
.
.
চলবে……
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here