আমার হৃদমাঝারে তুমি প্রিয় পর্ব ১৮(শেষ)

#আমার_হৃদমাঝারে_তুমি_প্রিয়
#পর্বঃ১৮_শেষ_পর্ব
#Sohana_Akther
” নিরা ফ্রেশ হয়ে জলদি বারান্দায় আসো ” । এই বলেই সে বারান্দায় চলে গেল । যাক তার এই কথায় স্বস্তি পেলাম সেই কখন থেকে এই ভারি লেহেংঙা পরে রয়েছি । তাই আমিও ফ্রেশ হওয়ায় জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলাম । ফ্রেশ হয়ে একটি লালা রঙের জরজেটের শাড়ি পরে বারান্দায় গেলাম । ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পরে কোমরের অনেক অংশ ভিজে আছে ।

বারান্দায় যেয়ে দেখি নিহান সোফায় বসে আছে।
তার রুমের বারান্দাকে বারান্দা বললেও ভুল হবে তা তো একটা ছোট খাটো ছাদ । রুমের ডান দেয়ালে বড় থাই গ্লাস দেয়া ঐটা খুলেই এই ছাদ । ছাদের একপাশে সোফা আর একটি দোলনা আছে আর অপর পাশে কয়েক প্রকার ফুল গাছ। রাতের বেলায় লাইটিং এর কারণে ছাদটাকে অসাধারণ সুন্দর লাগছে । আমি যেয়ে নিহানের পাশে বসলাম, আমার উপস্থিতি টের পেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে যেনো স্তব্ধ হয়ে গেল তার চোখ । একনাগাড়ে সে আমার দিকে তাকিয়েই আছে । আমার ডাকে সম্মতি ফিরে মৃদু হেসে আমার হাত তার কোলে নিয়ে বললেন ,

” নিরা তুমি বলতে পারবে তোমাকে আমি প্রথম কোথায় দেখেছি ” ?

” হ্যা, ভার্সিটির ক্যাম্পাসেই তোমার সাথে ধাক্কা খাওয়ার সময় । হঠাৎ এই কথা কেনো ” ?

” উঁহু, তোমাকে আমি আরো আগে চিনি ” বলে মৃদু হেসে ডান হাতে তার চুলে হাত বুলিয়ে আমার দিকে তাকালেন ।

” কি অবাক হচ্ছো এই ভেবে যে আমি তোমাকে এর আগে থেকে কিভাবে চিনি তাই না ” ।

আমি মাথা নেড়ে বুঝালাম যে সত্যিই আমি অনেক অবাক হচ্ছি যে নিহান আমাকে আগের থেকে কিভাবে চিনে , কখনো কি আমাদের দেখা হয়েছে কি জানে ।

” থাক তোমার ঐ মোটা মাথা নিয়ে এসব ভাবতে হবে না, আমি তোমাকে একটি গল্প বলছি তা চুপচাপ মন দিয়ে শুনো ” ।

” হুম শুনছি বলো ” ।

” একদিন ভার্সিটি যাওয়ার সময়ে রাস্তায় অতিরিক্ত জ্যাম থাকার কারণে অনেকক্ষণ গাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল । গাড়িরগ্লাস নিচে নামিয়ে বাহিরে তাকিয়েই আমার গাড়ির এক হাত দূরত্বে রিকশায় একটি মেয়েকে দেখতে পেলাম ।
মেয়েটি সাদা আর গোলাপী রঙের মিশেলের একটি সালোয়ার সুট পরে ছিল । রাস্তায় অতিরিক্ত জ্যাম থাকার কারণে অনেক সময় ধরে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল ।

মেয়েটি বারবার হাত ঘড়ি দেখছিল হয়তো কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল । এরমধ্যে একটি ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েটির কাছে বেলী ফুলের মালা নিয়ে আসলো বিক্রি করার জন্য । বেলীফুলের মালা দেখে মেয়েটিকে অনেক প্রফুল্ল দেখলাম, ফুলটি হয়তো তার প্রিয় ফুল হবে । ফুল কিনে ছেলেটিকে যখন টাকা দিল তখন ছেলেটি বললো তার কাছে খুচরো টাকা নেই , মেয়েটি ফুলের পর্যাপ্ত পরিমাণ দাম থেকে বেশি টাকা দিয়ে ফুলের মালা কিনেছিল । ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে মেয়েটি বলেছিল ” বাকি টাকা দিয়ে তুমি নিজের জন্য কিছু কিনে নিও ।

সর্বপ্রথম তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকালেও তখন তার অমায়িক ব্যবহারে মুগ্ধ হলাম । জ্যাম ছুটার পর রিকশা তার নিজস্ব গন্তব্যে চলে গেল । ঐদিন রাতে আমি ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারি নি । মাথায় শুধু ঐ মেয়েটি ভনভন করছিল । এর দুই দিন পর মেয়েটিকে আবার দেখলাম তাও আমার ভার্সিটিতে, সাথে তার বন্ধু ও ছিল । মেয়েটিকে দেখে আমার যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা । মেয়েটির খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম মেয়েটি অনার্স ১ম বর্ষে হিসাববিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টে পড়ে ।

ভার্সিটির শেষে মেয়েটির পিছু নিয়ে তার বাড়ি পর্যন্ত গেলাম । আমার লোক ধারা মেয়েটির খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম মেয়েটি আর কেউ না আমার বড় মায়ের ভাইয়ের মেয়ে । ছোট বেলায় এই মেয়েটির জন্য একবার আমি আমার ভাইয়ের মাথা নেড়া করে দিয়েছিলাম । আমি সাধারণত কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি না কিন্তু এই মেয়ে যে কি যাদু করলো আমায় । এরপর থেকে মেয়েটি কলেজে গেলে তাকে একটি ছোট ছেলের ধারা বেলী ফুলের মালা পাঠাতাম । মেয়েটি অনেক খুঁজার চেষ্টা করেছে যে কে এই মালা পাঠালো কিন্তু কিছুতেই কিছু জানতে পারলো না , পারবে কিভাবে আমি তো সেই সুযোগই রাখিনি । একদিন ধাক্কা খাওয়ার বাহানায় মেয়েটির সামনে প্রথম আসলাম । ধাক্কা আমি ইচ্ছে করেই দিয়েছিলাম কিন্তু এমন ব্যবহার করলাম যে তার জন্যই ধাক্কা খেয়েছি । ওকে নিয়ে সবার সামনে একটু মজা করলাম তার রিএকশান দেখার জন্য, সে কিছুটা ভীতু টাইপের কিন্তু অনেক সাহস দেখিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে ।

ডিপার্টমেন্ট থেকে তার নাম্বার নিয়ে প্রতিরাতে তাকে কল দিতাম শুধুমাত্র একটিবার তার কন্ঠ ও নিঃশ্বাসেরশব্দ শুনার জন্য ।
আমার এই পাগলামির সম্পর্কে আকাশ ছাড়া কেউ জানতো না । একদিন বন্ধুমহলের সবাই তাকে রেগ দেয়ার কথা বললো আমিও চুপচাপ ছিলাম আমার মায়াবিনী কি করতে পারে তা দেখার জন্য । রিজভী মায়াবিনীকে একটি ছেলেকে প্রপোজ ও কিস করার কথা বললো । প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে গিয়েছিল সে । আমার সামনে মায়াবিনী অন্য কাউকে চুমু দিবে তা আমি সহ্যকরতে পারলাম না । রাগে গাড়ির গ্লাসে ঘুষি দিয়ে নিজের হাত কেটে ফেলি। যার ফলে ব্যথায় জ্বর এসে পরলো আমার ।

মায়াবিনী প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে একবার বারান্দায় আসতো , তাই আমি ও প্রতিদিন তাকে আর একটিবার দেখার লোভ সামলাতে না পেরে দেখতে চলে আসি । ঐদিন ও তাকে দেখার চেষ্টা করলাম ।

রাতে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছেছিল জ্বর নিয়ে তাকে আরেকটি বার দেখতে চলে গেলাম । যেয়ে দেখলাম মায়াবিনী বারান্দায় দাড়িয়ে গুনগুন করে গান গাচ্ছে । সে ভুলে তার বারান্দার দরজা না লাগিয়ে ঘুমাতে চলে গেল , তার বারান্দার দরজা দিয়ে খুব সহজেই কেউ রুমে ঢুকতে পারবে । এই যেন আমার সুবর্ণ সুযোগ আমার মায়াবিনীকে ঘুমানো অবস্থায় দেখার । দেখার লোভ সামলাতে না পেরে তার রুমে চলে গেলাম ।

বাহিরের বিদ্যুত চমকানোর আলোতে রুমে পর্যাপ্ত আলোয় তাকে দেখলাম এলোমেলো ভাবে শুয়ে আছে । তার পা অনেকটাই দেখা যাচ্ছে, তার এই অবস্থা দেখে আমি এক ঢোক গিললাম । নিজেকে কেমন দূর্বল মনে হচ্ছেছিল তখন । তাই তার জামা কাপড় ঠিক করে দিয়ে তার দিকে ঝুঁকে তাকে গভীর ভাবে দেখতে লাগলাম । কিছুক্ষণের মধ্যেই মায়াবিনী নড়েচড়ে ওঠলো তাই দ্রুত সেখান চলে আসলাম ।

এরপরের দিন মায়াবিনী যখন কলেজে আসলো তখন তাকে দেখলাম রিদানের সাথে কথা বলতে। গতকাল যাকে সে প্রপোজ করেছিল । কথা বলার এক ফাঁকে দেখলাম রিদান তার চুল কানের পিছনে গুজে দিচ্ছে । বাস পায়ের রক্ত মাথায় চড়ে বসলো , আমার মায়াবিনীর এতোটা কাছে যাওয়া সহ্য করতে পারলাম না । রিদান যাওয়ার পর মায়াবিনীকে টেনে নিয়ে আমাদের একটি বন্ধ ক্লাসরুমে নিয়ে আসলাম । এসেই তাকে অনেক শাসালাম যে আর যেনো কোনো ছেলের সাথে তাকে না দেখি । যাওয়ার আগে তার হাতে একটি চুমু দিয়ে চলে আসলাম ।

এরপর থেকে মায়াবিনীকে বেলী ফুলের মালা দেয়ার সাথে সাথে একটি করে চিরকুটও পাঠাতাম যাতে আমার মনের কথা লিখা ছিল । কিন্তু নিজে তার সামনে আসিনি । এরমধ্যেই খবর পেলাম যে আমার বড় মায়ের ছেলে ফারানের বিয়ে ঠিক হয়েছে । বিয়ের উপলক্ষে মায়াবিনী অবশ্যই তার ফুফুর বাড়িতে যাবে । এটাই সুবর্ণ সুযোগ তার কাছে যাওয়ার । বিয়ের আগেরদিন হলুদে যেয়ে পৌঁছালাম আমি , আমাকে ঐ বাড়িতে দেখে মায়াবিনী অনেক চমকে গেল । তার এই চমকানো চেহেরা দেখে অনেক মজা লাগলো । তাকে তখন পরিচয় দিলাম যে আমি এই বাড়ির ছেলে ।

হলুদের শেষে ছাদে যখন সবাই ডান্স করছিল তখন অনেকের কথার কারণে মায়াবিনীকে ও ডান্স করতে হয়েছিল ফারানের কাজিনের সাথে। অনেক কষ্টে নিজের রাগকে সংযোত করে রেখেছিলাম কিন্তু হঠাৎ দেখলাম তার লেহেংঙারউপরের পার্টের চেইন অনেকটা খুলে গেছে সেদিকে তার খবর নেই । তাই দৌড়ে গিয়ে তাকে টেনে নিয়ে নিজে ওর সাথে ডান্স করতে শুরু করলাম আর ডান্স করার ছলে তার ড্রেসের চেইন লাগিয়ে সেখান থেকে ঝটপট চলে এলাম ।

রুমে এসে রাগে সব ভাংচুর করতে শুরু করলাম, কখন যে হাত কেটে গেল সেই দিকে খেয়াল নেই। মায়াবিনী আমার পিছু পিছু রুমে এসে এই অবস্থা দেখে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করলো , আর আমার কাটা হাতে ব্যান্ডেজ করে দিল । তার প্রতি রাগের কারণে একটি দুঃসাহসী কাজ করে বসলাম । রাগের বসে তার ঠোঁটে হঠাৎ করেই চুমু খেলাম , চুমুতে ভালোবাসার বদলে রাগের প্রকাশটাই বেশি ছিল ।

এরপর বিয়ের বৌভাতের দিনেও মায়াবিনী আমার রাগের শিকার হলো । সে যখন আমাদের নতুন ভাবির ভাই তিহামের সাথে কথা বলছিল তখন তার শাড়ি সরে গিয়ে তার পেট দেখা যাচ্ছিলো আর সে দিকেই একনাগাড়ে চেয়ে ছিল তিহাম । তাই রাগ সামলাতে না পেরে মায়াবিনীকে রুমে টেনে নিয়ে তার পুরো শাড়িটাই খুলে তাকে অনেক কথাবার্তা বলে চলে আসলাম । কিন্তু এরপর থেকে যে মায়াবিনী আমার এতোটা দুরে সরে যাবে তা ভাবতে পারিনি । আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে তার কাছে ক্ষমা চাইতে যেয়ে দেখি মায়াবিনী তার পরিবার সহ এইখান থেকে চলে গেলে ।

এর কিছুদিন পরেই তার পরীক্ষা ছিল , তার পরীক্ষার কারণে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করিনি , কিন্তু কয়েক বার কথা বলার চেষ্টা করিছি কিন্তু সে আমাকে এড়িয়ে চললো। শেষ পরীক্ষার সময় তার কাছে ঐদিনের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছি কিন্তু সে কিছুই বললো না । তাই এরপর আমিও আর কথা বলার চেষ্টা করিনি শুধু দুর থেকেই তাকে দেখেছি ।

একদিন সে একা ক্যাম্পাসের পিছনে পুকুর পাড়ে দিকে গেল , এই খবর আমি আকাশ থেকে জানতে পারলাম । এই কথা জানার পর পরেই আমি আর আকাশ রিজভী মিলে সেখানে গেলাম। যেটার ভয় ছিল সেটাই হয়েছে, ঐখানে থাকা ক্যাম্পাসের কয়েকটা বখাটে ছেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে । এই অবস্থায় আমি কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ছেলেগুলোকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করলাম। মারের কারণে ছেলেগুলোর নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছিলো যার কারণে অতিরিক্ত ভয়ে মায়াবিনী অজ্ঞান হয়ে পরলো । তাকে দ্রুত আমি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, তার বাবা মাকে কল দিয়ে হাসপাতালে আসতে বললাম । আঙ্কেল যখন জিজ্ঞাসা করছে যে এসব কিভাবে হলো তখন তাকে মিথ্যে বললাম যে একটি এক্সিডেন্ট দেখে তার এই অবস্থা । জ্ঞান ফেরার পর তার সামনে একটিবার আমি গেলাম কিন্তু মাথা উঁচু করে তাকাতে পারলাম না আমার নিজেকেই তার এই অবস্থার জন্য দায়ী মনে হচ্ছেছিল।

ঐদিন রাতে ঐ বখাটেদের শায়েস্তা করার জন্য নিজের গোডাওনে এনে সেই মার মেরেছিলাম । হঠাৎ মায়াবিনীর কল পেয়ে আমি তাদেরকে ছেড়ে দিলাম । এরপর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে আমার আর মায়াবিনীর চর্চা হতে শুরু করলো । যেই নিহান চৌধুরী কখনো কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি আজ সে একটি মেয়ের জন্য এমন করেছে চর্চা হওয়ারই কথা ।

কিন্তু এরপর মায়াবিনী যখন ভার্সিটিতে আসলো তখন আমার মুখোমুখি হতেই দেখলাম সে কেমন ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছে, আমার সাথে তেমন কথা বলছে না । মায়াবিনী যখন ক্লাস থেকে ক্যান্টিনে গেল তখন আমিও তার পিছু পিছু ক্যান্টিনে যেয়ে তার টেবিলে বসলাম । তার সাথে কথা বলার মধ্যেই তার ফোন বেজে ওঠলো , তার কথা বলার ধরন দেখে বুঝলাম কোনো ছেলের সাথে কথা বলছে সে । কার সাথে কথা বলছে জিজ্ঞাসা করতেই বলবো বয়ফ্রেন্ড নাকি । চুপচাপ কিছু না বলেই তারদিকে তাকিয়ে ছিলাম । আমি জানি ওর কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই আমাকে জালানোর জন্যই এই কথা বলেছে । কিছু না বলে সেখান থেকে ওঠে চলে আসলাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম এই মিথ্যা কথার জন্য মায়াবিনী তোমাকে অনেক বড় মূল্য চুকাতে হবে । বাস আরকি এর কয়েকদিন পরেই মায়াবিনীর বাবাকে পটিয়ে মায়াবিনীকে বিয়ে করে ফেললাম”।

সামনেরদিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে কথাগুলো বলে আমার দিকে তাকালো নিহান । চোখজোড়া আমার ছলছল করে উঠলো । মানুষটা আমাকে এতোটা ভালোবাসে কখনো বুঝতেই পারলাম । তাকে জরিয়ে ধরে পাগলের মতো কান্না শুরু করে দিলাম।

” এই পাগলি কান্না করছো কেনো তুমি, তোমার চোখের এক ফোঁটা পানিও আমি সহ্য করতে পারি না জানো না ” ।

তার বুক থেকে মাথা ওঠিয়ে চোখের পানি মুছে গাল ধরে বললো ,

” মায়াবিনী কি তোমাকে নিজের করে ভালোবাসতে দিবে”?

কিছু না বলে আবারও তার বুকে মুখ লুকালাম । আমার চুপটিকেই সম্মতি মনে করে নিহান আমাকে কোলে তুলে নিলো । আমি নিজেও আজ নিজেকে নিহানের ভালোবাসায় রাঙ্গাতে চাই । নিহান আমাকে কোলে নিয়ে কপালে ছোট্ট একটি চুমু দিয়ে রুমের দিকে অগ্রসর হলো । আজ আমাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ হওয়ার দিন।

সমাপ্ত ..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here