এবং তুমি, পর্ব:৬+৭

গল্পের নাম— #এবং_তুমি
লেখিকা— #সোনালী_আহমেদ
পর্ব– ৬

রুম নাম্বার ৯০২ এ আমি একা বসে আছি। ইশান বাহিরে গেছেন। অফিস থেকে জরুরী ফোন এসেছে। সম্ভবত নতুন বিয়ের প্রজেক্টের ব্যাপারে। আমি খুশি হলাম। ইশান থাকলে আমার খুবই অসুবিধা হতো ডাক্তারের সাথে কথা বলতে। লজ্জায় হয়তো কিছুই বলতেই পারতাম না। ডাক্তারকে খুব সহজেই আমার সমস্যার কথা জানালাম।
তিনি বললেন, — এত চাপ নেবার কিছু নেই। নরমালি বিয়ের পর কিছু মেয়েদের এমন সমস্যা দেখা দেয়। আমি ট্যাবলেট লিখে দিয়েছি এগুলা খেলেই সেরে যাবে। প্লাস কয়েক ঘন্টা রেস্ট নেতেই হবে। রিমাইন্ডার, এই ঔষধে ইনস্ট্যান্ট কিছুই হবে না, ধীরে কাজ করবে।

— ওকে। আমি আরো একটা বিষয় বলেছিলাম তার জন্যেও কি এই ঔষধগুলো। আই মিন এক্সট্রা কিছু লাগবে না?

— অভিয়েসলি। তার জন্য আপনাকে দুটো টেস্ট দিয়েছি। ইউরিন এন্ড ব্লাড টেস্ট। উইদাউট রিপোর্ট আই কান্ট সে এনেথিং।

— রিপোর্ট তো ২ টার পরে পাবো। কিন্তু আপনার ভিজিটিং আওয়ার তো শুধু ১২ টা পর্যন্ত।

— আপনি কাল আসবেন রিপোর্ট নিয়ে।তখন রিপোর্ট দেখে জানিয়ে দিবো। ওহ,নো। কাল তো হবে না। কালকেই আমাকে লন্ডন যেতে হবে ট্রেনিং। আই হেভ টু গো। ওয়ান উইক ট্রেনিং। এক কাজ করুন আমি দেশে ফিরলে নাহয় দেখিয়ে নিবেন।

আমি বললাম, –ঠিক আছে। রিপোর্ট নিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে পড়লাম। হাটতে হাটতে দেখলাম ইশান কারো সাথে কথা বলছে। ফোনে নয় সামনাসামনি। আমি শুধু ব্যাকসাইড দেখতে পাচ্ছিলাম। ইশান খুবই রুড আচরণ করছে। কৌতুহলবশত সেদিকে এগুলাম। অবাক চোখে দেখলাম মানুষটা আমার বাবা। চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত।কিন্তু কেনো? তিনি সম্ভবত ইশান কে কিছু বলতে চাইছেন, ইশান তা শুনতে চাইছে না। আমি ইশানের পাশে দাড়ালাম। খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বললাম,

—কেমন আছো বাবা?

বাবা জবাব দিচ্ছেন না। একদৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রয়েছেন। মনে হচ্ছে হুশ নেই। আমার জানতে ইচ্ছা করলো,বাবা কেনো এই মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন? তিনি কি জানেন এ দৃষ্টিতে আমার মন কেঁদে উঠছে। বুক অসাড় হয়ে আসছে! আবারো বললাম, —বাবা, কেমন। আছো?
এইবার বোধহয় বাবার টনক নড়েছে। তিনি দৃষ্টি নামিয়ে বললেন,
—হু, ভালো।

—জিজ্ঞেস করবে না আমি কেমন আছি? বাবা জানতে চাইলো। আমি বললাম— আমিও ভালো আছি বাবা। তুমি কি এখানে একা এসেছো?
বাবা চুপ রইলেন। আমি শান্ত কন্ঠে বললাম, — আমি জানি আপা তোমার সাথে এসেছে। তাকে এখানে আসতে বলো। কথা আছে।

বাবা বললেন, — সে আসে নি।

—মিথ্যা বলো না বাবা। তুমি জানো মিথ্যা বলা আমার পছন্দ না।

বাবা নিচু স্বরে বললেন সে সত্যিই আসে নি। আমি জানতে চাইলাম কই আছে? বাবা বলতে চাইলো না। ইশান সেই মুহূর্তে আমাদের পাশ থেকে চলে গেলো। সে বোধহয় বুঝতে পেরেছে বাবা তার জন্য বলতে চাইছে না। আমি ঠান্ডা কন্ঠে বললাম— বাবা এইবার নিশ্চই বলতে সংকোচ নেই।
—হু।

—তাহলে বলো।

বাবা জানালেন, আপা ফুফুর বাড়ী আছেন। এই একমাত্র ফুফুর সাথেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। কারণ বাকিরা বাবার উপর রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলো। বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে রাজি হয় নি বলে। অবশ্য শেষমেষ কথা হয়েছিলো আমাদের বিয়ের পর বাবা বিয়ে করবেন। এই শর্তে এই একমাত্র ফুফু যোগাযোগ রেখেছিলেন। ফুফুর এক ছেলে। যার নাম রিয়াজ রাজ চৌধুরি। খুবই বেয়াদপ ছেলে। আমি তাকে সহ্য করতে পারি না। এর পেছনে জোরালো কারণ ছিলো, সেটা হলো সে দু-তিনবার আমার বুকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। এমন ছেলেকে নিশ্চই পছন্দ করা যায় না? ভয় আর সংকোচের জন্য কাউকে বলতেও পারতাম না। সে সবসময় মেয়েদের দিকে বাজে নজরে তাকায়। ক্যারেক্টালেস ছেলে। আপা প্রথম প্রথম তাকে পছন্দ করলেও শেষে খুবই অপছন্দ করতেন। কিন্তু বাবা কষ্ট পাবে বলে বলতো না। ফুফুর বাড়ী যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও বাবাকে খুশি করতে যেতো। প্রতিবার এসেই বলতো, –আই সোয়ার প্রভা, আমি জীবনেও আর ওই বাড়ীতে যাবো না। কোনদিন না জানি ওই ছেলেকে খুন করে ফেলি। তাহলে আপা আজ ফুফুর বাড়ীতে কেনো?

আমি বাবাকে ঠান্ডা গলায় প্রশ্ন করলাম, — তুমি জিজ্ঞেস করো নি সে কেনো পালিয়ে গেছে?

—হু।

—কি বলেছে সে?

— রিয়াজকে ভালোবাসি। ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। তাই পালিয়েছি। এটুকুই উত্তর দিয়েছিলো সে।

— সিরিয়াসলি বাবা? বিয়ের দিন তার মনে পড়েছে সে কাকে না কাকে ভালোবাসে। এর আগে বলে নি কেনো? তুমি তাকে জিজ্ঞেস করো নি?

— সে জানিয়েছিলো আমায়, আমি মানি নি।

—কেনো মানো নি?

—কারণ সেদিন তার গায়ে হলুদ ছিলো। এরপরের দিন বিয়ে, এ সময়ে আমি কীভাবে বারণ করবো?

—ভালো, খুব ভালো।

আমার অস্থিরতার মধ্যেই বাবা বললেন, — আমি কি তোকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারি?

বাবার স্বর আটকে যাচ্ছে। তিনি কাঁপছেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। বাবা কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন? কিন্তু কেনো? কেনো এত জড়তা? আমি কেঁদে ফেললাম। বাবা কোনোদিন আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরেন না । আমার সাথে কখনও নরম গলায় কথা বলেন না । সবকিছু আপার সাথে করতেন। তার সুখ দুঃখ সব আপার সাথে শেয়ার করতেন। আমার খুব আফসোস থাকতো। অনেক সময় এভাবেই রইলাম। বাবা কাঁদছিলেন। আমি নরম কন্ঠে বললাম,

—বাবা

—হু

—স্যারকে আপনি কি বলছিলেন? তিনি এত রেগে যাচ্ছিলেন কেনো?

— মাধবি চিঠি দিয়েছে।

—সেজন্যই কি এত রেগে যাচ্ছিলেন।

—হু।

— আচ্ছা,তুমি আমাকে দাও। আমি দিয়ে দিবো।

বাবা দিতে চাইলেন না। তিনি বললেন, থাক দেওয়ার দরকার নেই। আমি বললাম,– কোনো সমস্যা বাবা?

—হু। মাধবি বলেছে এটা যেনো তোকে না দেখাই। শুধু ইশানকে দিতে।

—কেনো বলেছেন? কি আছে চিঠিতে?

—জানি না। ও আমাকে দেখতে বারণ করেছে।

—ঠিক আছে। আমিও দেখবো না। তুমি দাও আমি উনাকে দিয়ে দিবো।

বাবা দিতে চাইলেন না। আমি প্রায় জোর করেই নিয়ে নিলাম। চিঠি হাতে নিতেই আমি অশান্ত হয়ে উঠলাম। কি আছে এই চিঠিতে যা শুধু ইশান দেখতে পারবে আমি পারবো না? বাবা ইশানের বাবাকে দেখতে গেলেন। আমার শাশুড়ি জানালেন, তারা আর কোনোরকম অনুষ্ঠান করতে পারবে না। এমনতিই অনেক কিছু হয়েছে। বাবা বললেন –না না,আমি কোনো অনুষ্ঠান করতে নয়। বেয়াইকে দেখতে এসেছিলাম। বাড়ীতে কেউ ছিলেন না। আপনাদের কাজের বুয়া বললো আপনারা সবাই হাসপাতালে। তাই বেয়াইকে দেখতে হাসপাতালে চলে এসেছি।

ফুফু বললেন,— দেখুন, আপনার মেয়ে তো কম করেনি। আপনার তো গেছে সাথে আমাদেরও মানসম্মান গেছে। তাই এসব কিছুর মন-মানসিকতা আমাদের একদম নেই। ভাবী সেটাই বলতে চাইছে। আপনি অন্যকিছু মনে করবেন না, প্লিজ।

—না, না। আমি কিছুই মনে করি নি। আপনাদের যা ভালো মনে হয়।

বাবা মাথা নিচু করে বসে রইলেন। তিনি হয়তো খুব লজ্জা পাচ্ছেন। আমার কষ্ট লাগলো। বাবাকে কখনো কারো সামনে ঝুঁকে থাকতে হয় নি। অথচ আজ…

#চলবে……

® সোনালী আহমেদ

গল্পের নাম— #এবং_তুমি
লেখিকা— #সোনালী_আহমেদ
পর্ব– ৭ (বোনাস)

হুড খোলা রিক্সায় আমার শরীর ঘেষে রিক্সায় বসেছেন ইশান স্যার।। ভয় আর উত্তেজনায় কাঁপছিলাম। এতটা কাঁপছিলাম যে রিক্সার নড়ার সাথেও তা বুঝা যাচ্ছিলো। স্যার বোধহয় বুঝলেন। তিনি মৃদু হেসে সরে বসলেন। আমি স্বাভাবিক হলাম। শাই শাই গতিতে রিক্সা চলার সাথে আমার শাড়ীর আঁচল এলেমেলো হয়ে উড়ছিলো। বারংবার মুখের উপর থেকে চুল সরাতে সরাতে আমি ক্লান্ত হয়ে উঠলাম। বিরক্তিতে চুলগুলো পেঁচিয়ে খোপা করে নিলাম। আগোছালো খোঁপা। তাই সেই আগের মতো চুল উড়ে আসছে। আমার পাশের লোকটার বেধ হয় খবর ই নেই যে তার পাশে বসা মেয়েটার কি হাল হচ্ছে। সে একপানে সামনের দিকে চেয়ে রয়েছে। আমার রাগ উঠলো।

বিরক্তিকর সুরে রিক্সাওয়ালাকে বললাম, —মামা একটু ধীরে চালান।

ইশান শান্ত কন্ঠে বললো, —কোনো দরকার নেই মামা। আপনি যেভাবে চালাচ্ছেন ওভাবেই চালান।

— আমার সমস্যা হচ্ছে তাই ধীরে চালাতে বলেছি।

ইশান পাত্তা দিলো না। সে ভাব নিয়ে সামনে তাকিয়ে বসে আছে। রাগে আমার পিত্তি জ্বলে উঠলো। আমার চোখমুখ কালো হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিলো এক্ষুণি কেঁদে দিবো। ইশানের চোখে বোধহয় ব্যাপার টা পড়লো। আমি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। ইশান মৃদু হেসে আমার দিকে সরে আসলেন। একদম গা ঘেষে বসলেন। তার ডানহাত আমার পেছনে নিয়ে নিলেন। শাড়ির আঁচল টেনে আমার মাথায় পরিয়ে দিলেন। খুব কায়দা করে আমার মুখের উপর পড়া চুলগুলো কানের পেছনে গুজে দিলেন। আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকালাম। তিনি হুড টেনে দিলেন। আমার মসৃণ কোমড়ের উন্মুক্ত অংশে হাত রেখে ফিসফিস করে বললেন, — তোমায় একদম বউ বউ। রসগোল্লা টাইপ বউ। ইচ্ছা করছে কচকচ করে খেয়ে ফেলি।

আমি বললাম,– ছিঃ,কি অশ্লীল।

ইশান ভুবন কাপিয়ে হাসলেন। তার হাসির শব্দের ঝংকার শুনে রিক্সাওয়ালা পর্যন্ত পেছনে ঘুরে তাকালেন। আমি ভীষণ লজ্জা পেলাম। ভীষণ লজ্জা। আমি এক ধাক্কা দিয়ে ইশানকে সরিয়ে দিলাম। রিক্সাওয়ালা তখনও আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। আমি তাকে সামনে ফিরে চালাতে বললাম। কথাটা শেষ না করতেই বড় মাইক্রোবাসের সাথে আমাদের রিক্সার সংঘর্ষ হলো। এত জোরে রিক্সা বাড়ী খেলো যে আমি আর ইশান দুজনেই ছিটকে গাড়ি থেকে পড়ে গেলাম। আমি রিক্সার ডান পাশে থাকায় মাটির উপর পড়েছিলাম। তখন হাত আর কনুইয়ের বেশ কিছু স্থান সাথে সাথে ছিলে যায়। অপরদিকে ইশান রাস্তায় রক্তের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে। তার শরীর থেকে স্রোতের মতো রক্ত ভেসে যাচ্ছে। এই দৃশ্যপট সহ্য হলো না আমার। গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম,— ইশাননননন

— এইতো,এইতো আমি। কি হয়েছে? কি হয়েছে?

ইশান আতঙ্কিত গলায় আমাকে প্রশ্ন করছেন। তার হাতে হলুদ রঙের তোয়ালে। মুখ ভেজা। আমার থেকে প্রায় আট দশ ইঞ্চি দূরে দাড়িয়ে আছপ সে। অথচ আমার মনে হচ্ছিলো আমার থেকে কতশত মাইল দূরে সে। আমার দম আটকে যাচ্ছিলো। শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হতে লাগলো। ইশান একপ্রকার দৌড়ে এসে আমার ধরলেন।

—কি হয়েছে? এমন করছো কেনো? দুঃস্বপ্ন দেখেছো?

ইশানের নরম কন্ঠে আমি শান্ত হলাম। এটা স্বপ্ন ছিলো? আমি এতক্ষণ ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম? কিন্তু এত বাজে স্বপ্ন কেনো?হোয়াই? এর নিশ্চই বড়সড় কারণ আছে। ইশানকে শক্ত করে ধরলাম। সঙ্গে সঙ্গে হুরহুর করে কেঁদে উঠলাম।

ইশান অস্থির হয়ে বললো,

—কাঁদছো কেনো? কি হয়েছে বলবে তো? না বললে কীভাবে বুঝবো?

—আপনাকে যেতে দিবো না। একদম যেতে দিবো না।

—আচ্ছা দিও না। কিন্তু বলো তো কি হয়েছে?

আমার কন্ঠ আসছিলো না। নাক টেনে ধরা ধরা গলায় বললাম,

— হাসপাতাল, হাসপাতাল থে্ থেকে আ আসার স্ সময়…

ইশান আমাকে থামিয়ে বললো,

—হাসপাতাল থেকে আমরা চলে এসেছি প্রভাতি। বাবাও এসেছেন। এখন সুস্থ আছেন। তিনি ঘুমাচ্ছেন। আর বাকি সবাইও যার যার রুমে ঘুমাচ্ছে। তুমি খামোখা চিন্তা করছো।

—কিন্তু আ আমি….

—তুমি কিছুই নয়। যা দেখেছো তা দুঃস্বপ্ন বৈ কিছুই নয়। অসময়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে তাই হয়তো দুঃস্বপ্ন দেখেছো।

আমি চুপ করে রইলাম। ইশান স্যার উঠে গেলেন। এক গ্লাস পানি এনে আমার সামনে ধরলেন। আমি বিনা দ্বিধায় খেয়ে নিলাম। কয়েক মুহূর্ত এক স্থানে বসে রইলাম। হাসপাতাল থেকে দুপুরের দিকেই চলে এসেছিলাম। বাবাও আমাকে হাসপাতালে বিদায় দিয়েছিলেন। যাবার সময় কি কান্না টাই না করেছিলো। বাবাকে থামাতে না পেরে শেষমেষ বললাম যে সপ্তাহখানেকের ভেতরেই আমি চলে আসবো। এর ভেতরে আর চিঠি দেখায় সময় মিলে নি। রিপোর্ট পত্রের সাথে চিঠি লুকিয়ে বাড়ীতে নিয়ে এসেছি। বাড়ীর কারোর নজরে অবশ্য চিঠির ব্যাপার টা পড়ে নি। শুধুমাত্র ফুফুমা একবার বলেছিলো ওই নীল কাগজে কি? আমি রিপোর্ট বলে লুকিয়ে নিয়েছিলাম। বাড়ীতে এসে খুব গোপনে নিরাপদ স্থানে রেখে দিয়েছিলাম। বিশেষত ইশান যাতে টের না পায় তার ব্যবস্থা করলাম। এরপর এরপর, চোখ ভারী হয়ে এসেছিলো। ক্লান্তিতে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলাম। ডাক্তারের ঔষধগুলোর জন্যই এত ঘুম। আমার নিজের উপর ভীষণ রাগ উঠলো। ভীষণ রাগ! এত…..

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here